Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • GST 2.0: জিএসটি-তে বড় পরিবর্তন! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে বহু জিনিসের দাম

    GST 2.0: জিএসটি-তে বড় পরিবর্তন! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে বহু জিনিসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। দেশে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি (GST) ব্যবস্থায় আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন। বর্তমান চার-স্তরীয় কর কাঠামোর বদলে দুটি প্রধান স্তরে জিএসটি আনার যে প্রস্তাব কেন্দ্র দিয়েছিল, তা গ্রহণ করেছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠী (GoM)। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এই মন্ত্রিগোষ্ঠী কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় দেওয়ায় জিএসটি ২.০-এর (GST 2.0) পথ প্রশস্ত হল। এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হল কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ, সরল এবং স্বচ্ছ করে তোলা, যাতে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ উভয়েরই সুবিধা হয়।

    নতুন জিএসটি কাঠামো

    জিএসটি-র এই নতুন ব্যবস্থায় মূলত দুটি করের হার থাকবে ৫% এবং ১৮%। বর্তমানে দেশে চারটি প্রধান জিএসটি হার রয়েছে: ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। নতুন কাঠামোয় ১২% এবং ২৮% -এই দুটি স্তরকে পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে করের হিসাব রাখা এবং রিটার্ন ফাইল করা অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন জিনিস কোন স্তরে

    যে সমস্ত পণ্যের উপর বর্তমানে ১২% হারে জিএসটি (GST 2.0) নেওয়া হয়, তার প্রায় ৯৯% জিনিসই নতুন ব্যবস্থায় ৫% করের আওতায় চলে আসবে। এর মধ্যে ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পোশাক, জুতো এবং অন্যান্য গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকতে পারে। একইভাবে, যে সমস্ত পণ্যের উপর এখন ২৮% কর বসে, তার প্রায় ৯০% জিনিসপত্র ১৮%-এর স্তরে নেমে আসবে। এর ফলে বড় টেলিভিশন, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ক্ষতিকর ও বিলাসবহুল পণ্য

    সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত পণ্যে করের বোঝা কমানো হলেও, ক্ষতিকর এবং অতি-বিলাসবহুল কিছু পণ্যের উপর বাড়তি কর চাপানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল, বিলাসবহুল গাড়ি ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন গুডস’ বা ক্ষতিকর পণ্যের উপর সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত কর বসানো হতে পারে। এর উদ্দেশ্য হল একদিকে যেমন এই সব পণ্যের ব্যবহার কমানো, তেমনই সরকারের রাজস্ব আদায়ও নিশ্চিত করা।

    সাধারণ মানুষের জীবনে কী প্রভাব

    এই প্রস্তাব আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা জিএসটি (GST Reform) কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে কেন্দ্র ও সব রাজ্যের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এই পদক্ষেপকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত “নেক্সট-জেনারেশন জিএসটি সংস্কার”-এর প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নতুন জিএসটি ব্যবস্থা চালু হলে সাধারণ মানুষের জীবনে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। এই হার সংস্কার বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীতে কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও কর্ণাটকের মন্ত্রীরা রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই সংস্কার থেকে সম্ভাব্য রাজস্ব হ্রাস নিয়ে বেশ কিছু রাজ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই কারণে, রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দাবি করেছে। উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না বলেন, ১২% ও ২৮% করের স্তর তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে। তিনি জানান, ৫-৭টি পণ্যই মাত্র উচ্চ করের আওতায় থাকবে।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও সহজ কর ব্যবস্থা

    জিএসটি-র (GST Reform) এই পরিবর্তনে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমায় মূল্যবৃদ্ধির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। বিশেষত, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির মাসিক খরচের বোঝা কমবে। করের স্তর কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের জন্য জিএসটি রিটার্ন ফাইল করা এবং অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলা আরও সহজ হবে। এর ফলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হবে। দুটি মাত্র করের হার থাকায় পুরো ব্যবস্থাটি আরও স্বচ্ছ হবে এবং কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, এই সংস্কারের ফলে সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। এখন মন্ত্রিগোষ্ঠীর এই সুপারিশ জিএসটি কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেখানে সবুজ সংকেত পেলেই দেশজুড়ে চালু হবে ‘জিএসটি ২.০’, যা ভারতীয় অর্থনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

  • Online Gaming Bill: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ অনলাইন গেমিং বিল

    Online Gaming Bill: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ অনলাইন গেমিং বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হওয়ার পর এবার রাজ্যসভাতেও পাশ হল ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। বুধবার এই বিল লোকসভায় পাশ হয়। তার ঠিক পরদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, এটি রাজ্যসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিলটি পেশ (Online Gaming Bill) হতেই বিরোধীরা হৈ হট্টগোল শুরু করে। তবে তাতে আটকানো যায়নি। অবশেষে ধ্বনি ভোটের মাধ্যমেই রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়ে যায়।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

    বিল পাশের (Online Gaming) পর প্রতিক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন,
    “এই বিল সমাজে একটি ভারসাম্য তৈরি করবে। ইতিবাচক ও কল্যাণকর গেমিংকে উৎসাহ দেবে, আর যে গেমিং (Online Gaming Bill) যুব সমাজের জন্য ক্ষতিকর, তার থেকে রক্ষা করবে।” নতুন বিল অনুযায়ী, কোন ধরনের গেম উৎসাহিত করা হবে আর কোনটি নিষিদ্ধ— সে বিষয়ে সংসদে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, অনলাইন গেমিংকে উৎসাহিত (Online Gaming Bill) করা হলেও, যেসব গেম অর্থের বিনিময়ে খেলা হয় বা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হবে।

    অশ্বিনী বৈষ্ণব অনলাইন গেমিংকে তিন ভাগে ভাগ করেন

    ই-স্পোর্টস

    অনলাইন সোশ্যাল গেমস

    অনলাইন মানি গেমস

    মন্ত্রী জানান, ই-স্পোর্টসকে দেশের অন্যান্য খেলাধুলোর মতোই উৎসাহ দেওয়া হবে। অনলাইন সোশ্যাল গেমসকে (Online Gaming Bill) তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিমনস্কতার অংশ হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    তবে নিষিদ্ধ হচ্ছে কোন গেমগুলো?

    মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ‘অনলাইন মানি গেমস’, অর্থাৎ যেসব গেমে আর্থিক বিনিয়োগ করতে হয় এবং যার মাধ্যমে মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ে ও সর্বস্ব হারায়—এমন গেমগুলোই নিষিদ্ধ হবে। এই গেমগুলোর অ্যালগোরিদম এমনভাবে তৈরি, যা ব্যবহারকারীকে বারবার বিনিয়োগে বাধ্য করে, কিন্তু বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পাওয়ার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকেই অর্থপাচার, আর্থিক প্রতারণা এবং এমনকি সন্ত্রাসে অর্থ জোগান দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    গেমিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমেই প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ভারতে

    কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমেই প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ভারতে। ফলে এই খাতে গত কয়েক বছরে হঠাৎ করেই অনেক ছোট-বড় সংস্থা গজিয়ে উঠেছে। এখন থেকে এমন অ্যাপ পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া হবে, জানিয়েছেন বৈষ্ণব। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এই বিল আইনে পরিণত হলে, বিল ভঙ্গ করলে ১ কোটি টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে। আর যারা সরাসরি জড়িত না থেকেও এই গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করছেন, তাদের উপর ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হবে।

  • Indian Constitution: ৩০ দিন জেলে থাকলে যাবে মন্ত্রীত্ব, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনকে কেন এত ভয় বিরোধীদের?

    Indian Constitution: ৩০ দিন জেলে থাকলে যাবে মন্ত্রীত্ব, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনকে কেন এত ভয় বিরোধীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে দায়ের মামলায় গ্রেফতার বা আটক হয়ে ৩০ দিন জেলবন্দি থাকলে চলে যাবে মন্ত্রিত্ব। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী রেয়াত করা হবে না কাউকেই। ৫ বছরের বেশি কারাবাসের সাজা হতে পারে এমন ফৌজদারি মামলায় ৩০ দিনের বেশি জেলবন্দি থাকলেই যাবে মন্ত্রিত্ব। বুধবার লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি (Indian Constitution) পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আর ইতিমধ্যেই তা নিয়ে রে রে করে উঠেছে বিরোধীরা। আর সেই তাণ্ডবের পুরভাগে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদি সরকারের এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপে বিরোধীদের তাণ্ডবে প্রশ্ন উঠছে, যাঁদের চুরি, জোচ্চুরি, দুর্নীতি এবং অপরাধের মামলায় জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারাই বিলের বিরোধিতায় সরব?

    অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

    অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। সংবিধান (Indian Constitution) সংশোধন করে অপরাধে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের পদ থেকে সরানোর ব্যবস্থা করছে তারা। আর তাতেই সবচেয়ে বেশি জ্বালা ধরেছে সেই বিরোধীদের। যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অপরাধের অভিযোগ ভুরি ভুরি। ভেবে দেখুন যে কোনও সরকারি কর্মচারী যদি ২৪ ঘণ্টা জেলবন্দি থাকেন, তাহলে তাঁর পরিণতি ঠিক কী হতে পারে। আইন অনুসারে চাকরি হারাতে হয় সেই সরকারি কর্মীকে। তবে মন্ত্রীরা বাদ যাবেন কেন? নৈতিকতা কি শুধু সাধারণ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য? ভোটে জিতলে কি নৈতিকতা পকেটে করে নিয়ে ঘোরা যায়? গ্রেফতারির ৩০ দিনের মধ্যে যদি কাউকে আদালত জামিন না দেয় তাহলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পক্ষে ধর্তব্যযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

    সংবিধান নির্মাতাদের কল্পনারও বাইরে ছিল, চুরির দায়ে মন্ত্রীরা জেলে যেতে পারেন

    এদেশের সংবিধান তৈরির (Indian Constitution) জন্য গঠিত হয়েছিল গণপরিষদ, যার সভাপতি ছিলেন ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ। খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বাবাসাহেব বি আর আম্বেদকর। ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে, যার সভাপতিত্ব করেন সচ্চিদানন্দ সিনহা। এইভাবে ধাপে ধাপে চলতে থাকে সংবিধানের কাজ। ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন পরে সংবিধান রচনা শেষ হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদের সংবিধান গৃহীত হয়। দেশে সংবিধান লাগু হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। এই এত দীর্ঘ সময় ধরে সংবিধান নির্মাতারা বসে বসে সংবিধানকে নির্মিত করেন। কিন্তু তখনও সংবিধান নির্মাতারা এটা বুঝতে পারেননি যে অত্যাচারী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য জেলে যেতে হত নেতাদের স্বাধীনতার আগে, আর স্বাধীনতার পরে দুর্নীতি-অপরাধের দায়ে নেতারা জেলে যাবেন, মন্ত্রীরা জেলে যাবেন, তার পরেও তারা নিজেদের পদ ছাড়বেন না।

    অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    খুব সাম্প্রতিক উদাহরণ দেওয়া যায়— দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পরেও ইস্তফা দেননি রাজধানীর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেলে বসে দিনের পর দিন রাজ্য শাসন করেছেন তিনি। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পরেও বনমন্ত্রীর পদে বহাল ছিলেন তিনি। গ্রেফতারির প্রায় সাড়ে তিন মাস পর মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে সরান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই উঠছে নৈতিকতার প্রশ্ন। দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি দশাতেও কি রাজ্য শাসন করা যায়? চালানো যায় মন্ত্রক বা দফতর? তাছাড়া এই ধরণের নজিরে জনমানসে ধারণা তৈরি হতে পারে যে একবার ভোটে জিতলে জেলে গেলেও ক্ষমতার সুখ যাবে না। এই জায়গাটাতেই আঘাত হেনেছে মোদী সরকার। যে গুরুতর অপরাধ করে কোনও মন্ত্রী জেলে গেলে ৩০ দিনের মধ্যে আদালত তাঁকে জামিন না দিলে চলে যাবে তাঁর মন্ত্রী পদ। হতে পারে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী। নতুন এই বিল অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে পারবেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর ক্ষমতা থাকছে রাষ্ট্রপতির হাতে। রাজ্যের মন্ত্রীদের সরাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁদের বিধায়ক ও সাংসদ পদ বহাল থাকবে।

    কেন বিলের বিরোধিতায় বিরোধীরা (130th Constitution Amendment Bill)

    এই বিলের যাঁরা বিরোধিতা করছে, তাঁরা কি বলতে চাইছে যে তাঁরা অপরাধ করবেন, তারপরেও তাঁরা মন্ত্রী থেকে যাবেন? তাঁরা দুর্নীতি করবেন, তারপরেও তাঁরা মন্ত্রী থেকে যাবেন? তাঁদের এই ভয় যে, অপরাধ এবং দুর্নীতির দায়ে তাদের জেল হতে পারে, এটা তাঁরা জানেন। কিন্তু কোনওভাবে তাঁরা মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন না (Indian Constitution)। ঠিক যেমনটা অরবিন্দ কেজরিওয়াল করেছিলেন। বুধবার, সংসদে যখন বিরোধীদের হট্টগোল চরমে তাখন তাঁদের চুপ করিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি বক্তব্য। শাহ বলেন, “আমরা এতটাই নির্লজ্জ হতে পারি না যে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকার পরেও সাংবিধানিক পদ (130th Constitution Amendment Bill)
    দখল করে থাকব।”

    গর্জে উঠলেন অমিত শাহ

    এ নিয়ে আবার কংগ্রেস সাংসদ কে. সি. বেনুগোপালকে অমিত শাহের ইতিহাস টানতে দেখা যায়। অমিত শাহও গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন জেলে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। কে. সি. বেনুগোপাল বলেন, “এই বিল সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে ধ্বংস করছে। আমি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটা প্রশ্ন করতে পারি? গুজরাটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি কি তখন নৈতিকতার মান রক্ষা করেছিলেন?” এরই পাল্টা হিসেবে গর্জে ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবুও আমি নৈতিকতা ও আদর্শ মেনে চলেছি। আমি শুধু পদত্যাগই করিনি, বরং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে সম্পূর্ণভাবে খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি। আর তাঁরা আমাদের নৈতিকতা শেখাতে চাইছেন? আমি পদত্যাগ করেছিলাম। আমি চাই নৈতিকতা দৃঢ় হোক। আমরা এতটা নির্লজ্জ হতে পারি না যে অভিযোগ থাকলেও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থাকব। আমাকে গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম।” প্রসঙ্গত, ওই মামলায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে অমিত শাহকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অমিত শাহ যে নজির দেখিয়েছেন, সেই নজির কি ভারতবর্ষের অন্যান্য দলের নেতা-মন্ত্রীরা দেখানোর সাহস, হিম্মত রাখেন? সেই নজির কি দেখাতে পেরেছেন রাজ্যের রেশন কেলেঙ্কারিতে জেলে যাওয়া নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিংবা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল? এনারা পারেননি। বিজেপির রাজনীতিতে সর্বোপরি থেকেছে মূল্যবোধ। একাত্মমানববাদেই যার উল্লেখ রয়েছে। সেই নীতিরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মোদি সরকারের নয়া সংবিধান সংশোধনীতে। এতেই আপত্তি বিরোধীদের।

  • MEA: দিল্লি-কলকাতায় চলছে আওয়ামি লিগের অফিস! দাবি ইউনূস সরকারের, ‘‘ভুল জায়গা’’ কড়া জবাব ভারতের

    MEA: দিল্লি-কলকাতায় চলছে আওয়ামি লিগের অফিস! দাবি ইউনূস সরকারের, ‘‘ভুল জায়গা’’ কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের জামাত এবং বিএনপি’র প্রত্যক্ষ মদতে দখল হয় বাংলাদেশের গণভবন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশে তৈরি হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর নিষিদ্ধ করা হয় শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে (Awami League)। এই আবহে অন্তর্বর্তী সরকারের অদ্ভুত দাবি যে ভারতের মাটিতে নাকি কার্যকলাপ চালাচ্ছে আওয়ামি লিগ। শুধু তাই নয়, তারা নাকি দিল্লি এবং কলকাতায় অফিস খুলে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এই বিবৃতি জারি করেছে বুধবার অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার। যার পাল্টা হিসাবে বিবৃতি দিয়েছে নয়া দিল্লিও। বিদেশমন্ত্রকের (MEA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ঢাকার এই বিবৃতি তারা ভুল জায়গায় পাঠিয়েছে।

    কী বললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র?

    বাংলাদেশের তোলা দাবিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ভারত।  বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতে আওয়ামি লিগের সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে ভারত সরকার অবহিত নয়। ভারতের আইনের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন কিছুও করা হচ্ছে না। ভারতের মাটি থেকে অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ ভারত সরকার অনুমোদন করে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে, তা ভুল জায়গায় পাঠানো হয়েছে।’’ বাংলাদেশে স্বচ্ছ নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করে বিবৃতিতে (MEA) এর পর বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব স্বাধীন, স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের আশা পুনর্ব্যক্ত করছে ভারত সরকার। আশা করছি, দেশটিতে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠিত হবে।’’

    অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ জারি রেখেছে

    প্রসঙ্গত ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার (MEA) তাদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ জারি রেখেছে। কখনও তা বিবৃতির মাধ্যমে দিচ্ছে, কখনও বা চিন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হয়ে তারা কূটনৈতিকভাবে তা দিচ্ছে। আবার বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে মৌলবাদীরা ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে জঙ্গি কার্যকলাপ আগের চেয়ে আরও বেশি বেড়েছে — এমনটাই গোয়েন্দা তথ্য বলছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা অনেক পরিমাণে বেড়েছে এবং ইউনূস জমানাতে বাংলাদেশের মাটিতে যে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে — নয়াদিল্লি কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। এনিয়ে নয়াদিল্লিতে একাধিকবার কড়া বিবৃতিও দিয়েছে। এই আবহে ভারতের বিরুদ্ধে এক অদ্ভুত অভিযোগ তুলেছে অন্তর্বর্তী সরকার, এবং সেখানে তারা ভারতের মাটিকে ব্যবহার করে আওয়ামি লিগ (Awami League) কাজ চালাচ্ছে।

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ ইউনূসের

    প্রসঙ্গত, গত পাঁচ অগাস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে শোনা যায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে এবং তিনি তখন জানান যে আগামী বছর রমজান মাস শুরুর আগেই, ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদে নির্বাচন করতে চান।অর্থাৎ তিনি বলতে চান যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ভোট হবে। একাধিক রাজনৈতিক দল, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপিও রয়েছে। ভোট দেরিতে হওয়া নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। এই আবহে গত ১১ অগাস্ট আওয়ামি লিগের যে সামাজ মাধ্যমের পেজে একটি লম্বা পোস্ট করা হয়েছে এবং সেখানে শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতি বদলের জন্য ২১ দফা পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্যে মহম্মদ ইউনূসকে ফ্যাসিস্ট এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে জনশত্রু বলা হয়েছে।

  • Agni-5: শত্রুর বুকে কাঁপুনি! অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Agni-5: শত্রুর বুকে কাঁপুনি! অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সামরিক শক্তি দেখাল ভারত। বুধবার সফলভাবে দেশের সেরা ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ‘অগ্নি-৫’ ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালানো হল। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম ‘ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ অগ্নি-৫ পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র

    ওড়িশার চাঁদিপুরের এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে অগ্নি-৫ সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্র চিনের রাজধানী বেজিং‌ঙে আঘাত হানতে পারে! আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও উত্তর কোরিয়া ছাড়া আর কোনও দেশের হাতে এই পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নেই। বর্তমানে, এটিই হল ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই মিসাইলটিকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও। পরীক্ষার সময় ভারত মহাসাগরে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ, শক্তিশালী রেডার দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতি, দিশা, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত সহ রিয়েল-টাইম ফ্লাইট অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরীক্ষায় সব কার্যকরী ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে ছিল বাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড। এই বাহিনীই ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য কৌশলগত অস্ত্রের দায়িত্বে থাকে। আকাশের বুক চিরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের যাওয়ার দৃশ্য দিঘা, এমনকী বাংলাদেশ থেকেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য চলতি মাসের গোড়ার দিকেই ভারত মহাসাগরে ৪,৭৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিমানবাহিনীর জন্য নোটাম জারি করেছিল কেন্দ্র। অসামরিক বিমান ও সামুদ্রিক যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লাইভ-ফায়ার পরীক্ষার সময় যেসব এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে তা চিহ্নিত করতে নোটাম জারি করা হয়।

    অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব

    ৫০ টন ওজনের প্রায় সাড়ে ১৭ মিটার লম্বা এবং ২ মিটার চওড়া অগ্নি-৫ একটি থ্রি-স্টেজ সলিড-ফুয়েল চালিত ক্ষেপণাস্ত্র। মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল (MIRV) প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ, একবার উৎক্ষেপণ করা হলে, এটি একই সঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে। অগ্নি-৫ এর দেড় টন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। রি-এন্ট্রির সময় এর গতি হয় ম্যাক ২৪। অর্থাৎ, শব্দের গতির ২৪ গুণ। ফলে, একে রোখা কার্যত অসাধ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ক্যানিস্টার প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই কারণেই এটি সহজেই যেকোনও জায়গায় পরিবহণ করা যেতে পারে। এমনকী, রেলে করেও নিয়ে যাওয়া যায়। যে কারণে ‘অগ্নি ৫’ ক্ষেপণাস্ত্রকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ বলে মনে করা হয়।

    আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগ

    ভারতের এই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার ওপর জোর দেওয়া আদতে তার প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ অভিযান এবং আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এ ধরনের উৎক্ষেপণ বারবার প্রমাণ করেছে যে, ভারত শুধু প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নয়, সামরিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও দ্রুত এগোচ্ছে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই ভারত ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বা সিস্টেম পরীক্ষা চালিয়েছে। এই তালিকার মধ্যে রয়েছে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম প্রলয় কোয়াসি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং জুলাই মাসে আকাশ প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা।

  • Indo-Bangladesh Border: জমি দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ থমকে, রাজ্যসভায় জানাল কেন্দ্র

    Indo-Bangladesh Border: জমি দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ থমকে, রাজ্যসভায় জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকার জমি দিচ্ছে না বলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Indo-Bangladesh Border) ৪৫০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যসভায় এই বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। রাজ্যসভায় সংসদ সদস্য শম্ভু শরণ প্যাটেল ও নীরজ শেখর সীমান্ত বেড়া নির্মাণের অগ্রগতি, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে বেড়ে চলা অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন তোলেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জবাব

    স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় জানান, পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ২,২১৬.৭ কিলোমিটার, যার মধ্যে ১,৬৪৭.৬৯৭ কিমি ইতিমধ্যেই বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৬৯.০০৪ কিমির মধ্যে ১১২.৭৮০ কিমি “অসাধ্য” বলে চিহ্নিত হয়েছে, এবং ৪৫৬.২২৪ কিমি এলাকা “সাধ্য” এবং সেখানে বেড়া ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ সম্ভব। কিন্তু জমি-জটের কারণে সেই অঞ্চলে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রের অভিযোগ, যখনই বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা তাণ্ডব করে, ধর্মীয় স্লোগান দেয়। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য সরকার ক্ষমা করে দেয় বলে কাজ শেষ হচ্ছে না।

    ভূমি অধিগ্রহণে বড় প্রতিবন্ধকতা

    মন্ত্রী জানান, ৭৭.৯৩৫ কিমি অঞ্চলের জন্য ইতিমধ্যে জমি হস্তান্তর হয়েছে, কিন্তু বাকি ৩৭৮.২৮৯ কিমি এলাকার জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। এর মধ্যে ১৪৮.৯৭১ কিমির জন্য এখনও রাজ্য সরকার প্রক্রিয়া শুরুই করেনি। বাকি ২২৯.৩১৮ কিমির মধ্যে ৩১.০১৯ কিমি জমি রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ১৮১.৬৩৫ কিমির জন্য অর্থপ্রদান সম্পন্ন হলেও জমি এখনও হস্তান্তর হয়নি। ৭.০৮৫ কিমি জমির মূল্যায়ন এখনও রাজ্য সরকার করেনি। ৯.৫৭৯ কিমির জন্য অর্থপ্রদান মন্ত্রকের তরফে বাকি রয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্র নিয়মিতভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করছে, পর্যালোচনামূলক সফর করছে এবং অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে উদ্যোগে ঘাটতি রয়েছে।

    অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত অপরাধের পরিসংখ্যান

    মন্ত্রী রাই আরও জানান, ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে ৩,৯৬৪ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। এই সময়কালে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১৩,৮৬৩ কেজি মাদকদ্রব্য, ২০,০০০-র বেশি গবাদি পশু, সোনা, জাল নোট-সহ আরও অনেক কিছু। অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে দ্রুত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Online Gaming Bill: সর্বনাশা অনলাইন গেম খেলে ফি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন দেশবাসী?

    Online Gaming Bill: সর্বনাশা অনলাইন গেম খেলে ফি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন দেশবাসী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বনাশা অনলাইন গেম (Online Gaming Bill) খেলে ফি বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন এ দেশের ৪৫ কোটি মানুষ। এর মধ্যে জুয়া এবং বাজির মতো খেলাও রয়েছে। লোকসভায় ২০২৫ সালের অনলাইন গেমিং প্রচার ও নিয়ন্ত্রণ বিল পাশ হওয়ার (Illegal Betting Apps) ঠিক আগেই প্রকাশ্যে এল এই তথ্য।

    অনলাইন গেমিং (Online Gaming Bill)

    সরকারি সূত্রের খবর, অনলাইন গেমিং, বিশেষ করে যেসব খেলায় অর্থ লাগে এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু সাংসদ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকার জানিয়েছে, অনলাইন গেমিং ওয়েবসাইট থেকে রাজস্ব আয় করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জনগণের আর্থিক ও মানসিক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে, গেম আসক্তির সমস্যা, গেম অপারেটর ও ডেভেলপারদের জালিয়াতি, এবং রাজ্যভেদে জুয়ার আইন নিয়ে অসঙ্গতি। এছাড়াও বিলটিতে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলির ওপর কড়া নজরদারির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে সেই সব গেম যেখানে আসল টাকার লেনদেন হয়, যেমন পোকার।

    অর্থপাচার কিংবা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের জন্যও ব্যবহার

    উদ্বেগের আরও কারণ রয়েছে। এই সব লেনদেন অর্থপাচার কিংবা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের জন্যও ব্যবহার করা হতে পারে। সূত্রের খবর, যাঁরা এই সব গেম খেলেন তাঁরা আসলে ভুক্তভোগী এবং তাঁদের শাস্তি হবে না। তবে যেসব ব্যক্তি প্রকৃত অর্থভিত্তিক গেমিং প্ল্যাটফর্ম চালান, লেনদেনের ব্যবস্থা করেন ইত্যাদি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই অবৈধ বেটিং অ্যাপ নিয়ে ফেডারেল তদন্তের প্রসঙ্গে যেগুলি ‘দক্ষতার খেলা’ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয় যাতে সেগুলিকে জুয়াখেলা থেকে আলাদা মনে হয় – এই ‘বাজারে’র আকার ৮.৩ লক্ষ কোটি টাকা এবং এটি প্রতিবছর ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে (Online Gaming Bill)।

    কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থাপিত নয়া বিলে এই জুয়ার প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে জুয়ার অ্যাপ চালানোর জন্য জরিমানা আরোপের বিধানও রয়েছে (Illegal Betting Apps)। অনলাইনে অর্থভিত্তিক গেমিং সেবা আইন ভঙ্গ করলে শাস্তি হিসেবে রয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয়ই। আর যাঁরা এই ধরনের গেমের বিজ্ঞাপন করবেন, তাঁরা দু’বছরের জেল এবং /অথবা ৫০ লাখ টাকা জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন (Online Gaming Bill)।

  • Criminal Ministers Bill: “আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম,” কংগ্রেসকে নৈতিকতার পাঠ শাহের

    Criminal Ministers Bill: “আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম,” কংগ্রেসকে নৈতিকতার পাঠ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ দিনের বেশি হেফাজতে থাকা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে উত্তপ্ত লোকসভা (Criminal Ministers Bill)। কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মধ্যে বাদানুবাদ তুঙ্গে ওঠে। প্রবীণ এই দুই রাজনীতিবিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে বিলটির নৈতিকতা নিয়ে।

    বেণুগোপালের বক্তব্য (Criminal Ministers Bill)

    বুধবার বিলগুলি উপস্থাপনের পর বেণুগোপাল বলেন, “এই বিল দেশের ফেডারেল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য আনা হয়েছে। এটি সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা। বিজেপি নেতারা বলছেন এই বিল রাজনীতিতে নৈতিকতা আনতে এসেছে। আমি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি প্রশ্ন করতে পারি? যখন তিনি গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি কি তখন নৈতিকতার মান রক্ষা করেছিলেন?” সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    নৈতিকতার পাঠ শেখালেন শাহ

    শাহ বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবুও আমি নৈতিকতা ও আদর্শ মেনে চলেছি। আমি শুধু পদত্যাগই করিনি, বরং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি। আর তাঁরা আমাদের নৈতিকতা শেখাতে চাইছেন? আমি পদত্যাগ করেছিলাম। আমি চাই নৈতিকতা বৃদ্ধি পাক। আমরা এতটা নির্লজ্জ হতে পারি না যে অভিযোগ থাকলেও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থাকব। আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম।”

    বুধবার দিনের শুরুতে শাহ তিনটি বিল (Criminal Ministers Bill) উপস্থাপন করেছিলেন। এগুলি হল, সংবিধান (একশ ত্রিশতম সংশোধনী) বিল, ২০২৫, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৫, এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫।

    এই বিলগুলিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, যে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা যদি এমন কোনও অপরাধে গ্রেফতার হন এবং ধারাবাহিকভাবে ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, যার জন্য অন্তত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, তাহলে ৩১তম দিনে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে, নতুবা পদ থেকে তাঁরা অপসারিত হবেন।

    জানা গিয়েছে, বিলগুলি পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। শাহ (Amit Shah) বলেন, বিরোধী দলগুলি এই কমিটির সামনে তাদের আপত্তি উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে (Criminal Ministers Bill)।

  • PM-CM Removal Bill: টানা ৩০ দিন ‘বন্দি’ থাকলেই পদ খোয়াবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের

    PM-CM Removal Bill: টানা ৩০ দিন ‘বন্দি’ থাকলেই পদ খোয়াবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীদের নিয়ে সংসদে নতুন বিল পেশ করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। দোষী সাব্যস্ত না হলেও, গুরুতর অপরাধ মামলায় গ্রেফতার বা আটক হলেই তাঁদের অপসারণের কথা বলা রয়েছে বিলে (PM-CM Removal Bill)। বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেন। কেন্দ্রের দাবি, অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই বিল।

    বিলে কী বলা হয়েছে?

    কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল এনেছে, তাতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও মন্ত্রী যদি গ্রেফতার হন এবং একটানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, সেক্ষেত্রে ৩১তম দিনে তাঁকে হয় পদত্যাগ করতে হবে, নয়ত পদ থেকে সরানো হবে। নতুন বিল অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নরই নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। (PM-CM Removal Bill) দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস জেলে থাকলেও ইস্তফা দেননি। জেল থেকেই দায়িত্ব সামলেছিলেন। কিন্তু এই আইন পাশ হলে ৩১তম দিনেই মন্ত্রিত্ব থেকে সরতে হবে বন্দি মন্ত্রীকে।

    লোকসভায় মোট তিনটি বিল পেশ

    বুধবার লোকসভায় মোট তিনটি বিল পেশ করেন শাহ। ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল পেশ করেন তিনি। তিনটি বিল পেশ হতেই বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন লোকসভায়। ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিলের প্রতিলিপি (কপি) ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিরোধী সাংসদেরা। কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি, কেসি বেণুগোপাল, মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি-সহ অন্য সাংসদেরা এই বিলের বিরোধিতায় সরব হন লোকসভায়। তাঁদের দাবি, এই বিল সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বক্তব্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা বলে স্রেফ সাধারণ মানুষের চোখে পট্টি পরানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ভবিষ্যতে যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কোনও মামলা করা যেতে পারে। তিনি দোষী সাব্যস্ত না হলেও তাঁকে ৩০ দিন হেফাজতে রেখে দেওয়া হতে পারে। তার পরে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটি সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী, অগণতান্ত্রিক এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিলের বিরোধিতা করছেন।

    বিল পাঠানো হল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে 

    বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে সংসদের উভয় কক্ষের শাসক-বিরোধী সাংসদেরা থাকবেন। তবে এর পরেও বিরোধীদের হট্টগোল বন্ধ হয়নি। শেষে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে দুপুর তিনটে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। পরে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    কোন কোন বিল পাঠানো হয়েছে কমিটিতে?

    ১. সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল
    ২. কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৫
    ৩. জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫

    এই বিলগুলিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন অমিত শাহ। তবে বিরোধীরা বলছে, “অভিযোগ প্রমাণিত না হয়েই পদচ্যুতির বিধান গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”

    কী করবে যৌথ সংসদীয় কমিটি?

    এই কমিটি লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট ৩১ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে — ২১ জন লোকসভা থেকে এবং ১০ জন রাজ্যসভা থেকে। সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন এতে। কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংস্থা কিংবা স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের ডেকে মতামত নিতে পারবে। এই কমিটিকে আগামী অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে — অর্থাৎ প্রায় তিন মাস সময় পাচ্ছে তারা। সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার। এরপর নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বসবে পরবর্তী অধিবেশন। জানা গিয়েছে, সংবিধানের ৭৫ অনুচ্ছেদে নতুন ৫(এ) ধারা যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই আইনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কিংবা কোনও রাজ্যের মন্ত্রীকে যদি গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে ৫ বছর কিংবা তার বেশি দিন কারাদণ্ড হতে পারে। গ্রেফতার কিংবা আটকের পর যদি টানা ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, তবে ৩১ তম দিনে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে কিংবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে বিলে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বহিষ্কৃত মন্ত্রীরা মুক্তি পাওয়ার পর ফের পদ ফিরে পেতে পারেন।

  • India: ট্রাম্পকে ‘কাঁচকলা’ দেখিয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়াল ভারত

    India: ট্রাম্পকে ‘কাঁচকলা’ দেখিয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব আপাতত শিকেয়। ভারতকে (India) নতি স্বীকার করাতে দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump Tariff Threats)। তবে তার কোনও প্রভাব যে নয়াদিল্লির ওপর পড়েনি, তা বলাই বাহুল্য। কারণ ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ভারত বাড়িয়ে গিয়েছে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার পরিমাণ। প্রসঙ্গত, এই রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়েই ভারত-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হয়। গত কয়েক সপ্তাহে ট্রাম্প রাশিয়ান তেল কেনা ও মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা করার কারণে ভারতের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

    অর্থনৈতিক সুবিধাকেই অগ্রাধিকার (India)

    জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে এখনও পর্যন্ত ভারত প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল তেল রাশিয়া থেকে কিনছে। অপরিশোধিত তেল কেনার সময় ভারতীয় রিফাইনারিগুলির অর্থনৈতিক সুবিধাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভারত। গ্লোবাল ডেটা ও অ্যানালিটিক্স সংস্থা কেপলার (Kpler) জানিয়েছে, অগাস্টের প্রথমার্ধে ভারত প্রতিদিন প্রায় ৫২ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যার মধ্যে ৩৮ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। এই সময়ে ভারত প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল তেল রাশিয়া থেকে কিনেছে। জুলাই মাসে এই সংখ্যাটাই ছিল ১৬ লাখ।

    তেল আমদানি কমেছে ইরাক-আমেরিকা থেকে

    একই সময়ে ইরাক থেকে তেল আমদানি কমে এসে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন ৭.৩ লাখ ব্যারেল এবং সৌদি আরব থেকে আমদানি ৭ লাখ ব্যারেল থেকে কমে ৫.২৬ লাখ ব্যারেলে নেমেছে। কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিদিন ২.৬৪ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারত। এর ফলে আমেরিকা পরিণত হয়েছে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম তেল সরবরাহকারীর দেশে। কেপলারের  প্রধান গবেষণা বিশ্লেষক সুমিত ঋতোলিয়া বলেন, “ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতের রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি অগাস্ট মাসেও স্থিতিশীল রয়েছে। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালের জুলাই মাসের শেষে শুল্ক ঘোষণা করার পরেও আমদানিতে ভাঁটা পড়েনি।” ঋতোলিয়া বলেন, “পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হলে তা সম্ভবত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছানো জাহাজগুলির মাধ্যমেই স্পষ্ট হবে।”

    ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যেতে চায়

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় (India) পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপের আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্য করছে এবং এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে রাশিয়াকে সাহায্য করছে। ট্রাম্পের এই দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, অর্থনৈতিক ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেওয়া হবে (Trump Tariff Threats)। ভারতের সর্ববৃহৎ তেল বিপণন সংস্থা (ওএমসি) ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এএস সাহনি জানান, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যেতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এই কেনাকাটা বন্ধ হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “কোনও বিরতি নেই। সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতে আমরা কেনাকাটা চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ যদি দাম ও অপরিশোধিত তেলের গুণাগুণ আমাদের প্রক্রিয়াকরণের পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে আমরা কিনি। আমদানি বাড়ানো বা কমানোর জন্য কোনও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক বিবেচনার ওপর ভিত্তি করেই অপরিশোধিত তেল কিনছি (India)।”

    ভারতের অভিপ্রায় অপরিবর্তিতই

    তিনি ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ান তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারতের অভিপ্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে। সাহনি বলেন, “রাশিয়ান তেল কেনা কখনওই নিষিদ্ধ ছিল না এবং ভারতের কেনার সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক কারণে।” তিনি বলেন, “এ ধরনের কেনা চলতেই থাকবে যতক্ষণ না নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আমাদের কাছে (সরকারের পক্ষ থেকে) কেনা বাড়ানো বা কমানোর কোনও নির্দেশ আসেনি। আমরা স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।” তিনি বলেন, “আমাদের না বেশি কেনার জন্য (Trump Tariff Threats) বলা হচ্ছে, না কম কেনার জন্য, সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হোক বা অন্য কোনও দেশ। আমাদের কার্যক্রম অর্থনৈতিক বিবেচনাই নির্ধারণ করে (India)।”

    রাশিয়ান তেলের অংশ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের আগে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির মধ্যে রাশিয়ান তেলের অংশ ছিল এক শতাংশেরও কম। তবে, পশ্চিমী দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার পর ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে আমদানি বাড়িয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বর্তমানে ভারতের মোট তেলের চাহিদার ৩০ শতাংশই রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল দিয়ে পূরণ করা হয়। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে (Trump Tariff Threats) বলা হয়েছে, এপ্রিল-জুন এই ত্রৈমাসিকে আইওসি রিফাইনারিগুলিতে প্রক্রিয়াজাত হওয়া মোট অপরিশোধিত তেলের প্রায় ২২-২৩ শতাংশই ছিল রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত (India)।

LinkedIn
Share