Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Arvind Kejriwal: বছর শেষে ধ্যানমগ্ন হতে চলেছেন কেজরিওয়াল, থাকতে পারবেন না ইন্ডি জোটের বৈঠকেও!

    Arvind Kejriwal: বছর শেষে ধ্যানমগ্ন হতে চলেছেন কেজরিওয়াল, থাকতে পারবেন না ইন্ডি জোটের বৈঠকেও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে ধ্যানমগ্ন হতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। থাকতে না পারার সম্ভাবনা প্রবল, বিরোধী ইন্ডি জোটের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, ১৮ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে দিল্লি বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। ১৯ ডিসেম্বর থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন বিপাসনা ধ্যানকেন্দ্রে। তবে কোথায় তিনি এই ধ্যান করবেন সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বিপাসনা কেন্দ্রে ধ্যান করতে গিয়েছেন বলে জানা যায়। ২০১৬ সালেই তিনি ছিলেন নাগপুরে। গত বছরে বেঙ্গালুরু এবং জয়পুরে ধ্যান করতে হাজির ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

    বিপসনা কী আসলে?

    বিপাসনা পদ্ধতি হল প্রাচীন ভারতীয় ধ্যানের রীতি। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুশীলনকারীরা মানসিক চাপ সমেত উদ্বেগকে দূরে রাখেন। জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষে এই ধ্যান পদ্ধতি চালু ছিল। গৌতম বুদ্ধ এই পদ্ধতি তাঁর শিষ্যদের মধ্যে প্রথম প্রচলন করেছিলেন বলে জানা যায়। দেশে অজস্র বিপাসনার কেন্দ্র চালু রয়েছে। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যায় এই কেন্দ্রগুলিতে।

    দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ কেজরিওয়ালের দল

    প্রসঙ্গত, আবগারি দফতরের দুর্নীতি সমেত একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার। দলের মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া রয়েছেন জেলে। কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির বিরোধিতা করে দিল্লির আম আদমি পার্টি উঠে এসেছিল। সেই কংগ্রেসের সঙ্গেই পুনরায় ইন্ডি জোটের বৈঠকে দেখা যাচ্ছে আম আদমি পার্টি নেতাদের। এর পাশাপাশি পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত লালু যাদব, নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও জোট বেঁধেছে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। আম আদমি পার্টি যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেই নিজেদের সংগঠন বিস্তার করে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশেই দাঁড়াচ্ছে আম আদমি পার্টি এবং নিজেদের দলের মন্ত্রী-নেতারাও জেলে যাচ্ছে দুর্নীতির অভিযোগে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য, আদালতে হাজিরা দিলেন না রাহুল গান্ধী

    Rahul Gandhi: অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য, আদালতে হাজিরা দিলেন না রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালে কর্নাটকের একটি জনসভায় তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে তিনি (অমিত শাহ) খুনে অভিযুক্ত। এর পাশাপাশি গুজরাট দাঙ্গায় অমিত শাহের জড়িত থাকার অভিযোগও তোলেন রাহুল। সে সময়ে রাহুল গান্ধীর এমন আপত্তিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে জনৈক বিজেপি কর্মী বিজয় মিশ্র কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসেই। সুলতানপুরের জেলা আদালত এবং বিধায়ক-সাংসদদের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: লোকসভাকাণ্ডে গ্রেফতার মহেশ, ললিতকে পালাতে সাহায্য করেছিল সে-ই?

    ৬ জানুয়ারি ফের হাজিরার নির্দেশ দিল কোর্ট

    সেই মামলাই বিগত পাঁচ বছর ধরে চলছে। গত ২৭ নভেম্বর বিধায়ক ও সাংসদ আদালতের বিচারক যোগেশ কুমার যাদব, ১৬ ডিসেম্বর শনিবার রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আদালতে এই মামলার হাজিরার নির্দেশ দেন। কিন্তু শনিবার হাজিরা দেননি কংগ্রেস নেতা। এর পরবর্তীকালে হাজিরার তারিখ ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন দেখার ৬ জানুয়ারি রাহুল এই মামলায় হাজিরা দেন নাকি।

    সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে অন্য একটি মামলায়

    প্রসঙ্গত, এর আগে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন যে সব চোরেদের পদবী মোদি কেন হয়? এই মর্মে গুজরাটেই মামলা দায়ের করেন পূর্ণেশ মোদি নামে জনৈক বিজেপি নেতা। সেই মামলায় চলতি বছরের মার্চ মাসে রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরাট আদালত এবং দুই বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করে। এর ফলে লোকসভার সাংসদ পদও খারিজ হয়ে যায় রাহুল গান্ধীর। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাঁকে জামিন নিতে হয়। এবার সবার নজর রয়েছে অমিত শাহের বিরুদ্ধে করা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কী রায় দেয় আদালত!

    আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত পড়বে বড়দিন থেকে, হিমালয়ের কোলে চলবে তুষারপাত, জানাল হাওয়া অফিস

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Forecast: জাঁকিয়ে শীত পড়বে বড়দিন থেকে, হিমালয়ের কোলে চলবে তুষারপাত, জানাল হাওয়া অফিস

    Winter Forecast: জাঁকিয়ে শীত পড়বে বড়দিন থেকে, হিমালয়ের কোলে চলবে তুষারপাত, জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠান্ডা আরও জাঁকিয়ে পড়বে বড়দিন থেকে, এমনই সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস (Winter Forecast)। দেশের সমতল অঞ্চলগুলিতে ২৫ ডিসেম্বর থেকেই কনকনে ঠান্ডা পড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহেই দেশের অধিকাংশ রাজ্যে ব্যাপকভাবে ঠান্ডা পড়বে। এমনিতেই দেশের শৈল শহরগুলিতে বেশ ভিড় জমিয়েছেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা।

    কোথায় কোথায় হবে তুষারপাত?

    শনিবারই শৈলশহর সিমলার তাপমাত্রা নেমে যায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে লাদাখের শনিবার ছিল মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডাতে কাঁপছে রাজধানী দিল্লিও। হাওয়া অফিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হু হু করে নামতে থাকবে পারদ (Winter Forecast)। অন্যদিকে হিমালয়ের পাদদেশে যে রাজ্যগুলি রয়েছে সেখানে চলবে তুষারপাত। পর্যটকরা তাই এখন থেকেই সাদা বরফে দৌড়াদৌড়ি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাওয়া অফিসের এই ঘোষণার পরে। হাওয়া অফিসের এক আধিকারিকের মতে, ‘‘আগামী ১৬ এবং ১৭ তারিখ একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব থাকবে দেশে। এর জেরে পাহাড়ি অঞ্চলে তুষারপাত হবে। ২৩, ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর পাহাড়ে ভারী তুষারপাতের (Winter Forecast) জেরে তাপমাত্রায় আমূল পরিবর্তন হবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং গুজরাটে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতেও সম্ভাবনা রয়েছে এই রাজ্যগুলিতে। দিনের বেলাতেও ঘন কুয়াশার জেরে পারদ অনেকটাই নামবে।’’

    রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা 

    অন্যদিকে রাজধানী দিল্লিতে শনিবারের তাপমাত্রা ছিল ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩ ডিগ্রি কম তাপমাত্রা (Winter Forecast) ছিল স্বাভাবিকের থেকে। রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শনিবারই ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাজধানীতে সকাল থেকেই কুয়াশার দেখা মিলেছে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লিতে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা, একথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই বৃষ্টি থেমে মেঘ সরে গেলেই কনকনে ঠান্ডার আমেজ তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘যখন অন্যদের থেকে প্রত্যাশা শেষ হয়, তখনই মোদির গ্যারান্টি শুরু হয়’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘যখন অন্যদের থেকে প্রত্যাশা শেষ হয়, তখনই মোদির গ্যারান্টি শুরু হয়’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘যখন অন্যদের থেকে প্রত্যাশা শেষ হয়, তখনই মোদির গ্যারান্টি শুরু হয়’’, শনিবার একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এর পাশাপাশি তিনি জানান যে ছোট ছোট শহরগুলির উন্নয়নকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে উন্নত ভারত। শনিবারই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি ছত্তিসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং মিজোরামে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র সূচনা করেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেখানে তিনি যাত্রার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতাও করেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে মোদির গ্যারান্টির গাড়ি দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছবে।’’ বিগত এক মাসে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ হাজারেরও বেশি গ্রামে এবং শহরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আরও জানিয়েছেন যে তাঁর সরকার প্রত্যেক দেশবাসীর সংকটকে দূর করতে পেরেছে, ঠিক পরিবারের সদস্যের মতোই। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সরকার দরিদ্রদের, কৃষকদের, ছোট ব্যবসায়ীদের এবং আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে সমাজের প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়েছে।’’

    দেশবাসী নেতৃত্ব দিচ্ছে  ‘বিকাশ সংকল্প যাত্রা’র 

    প্রধানমন্ত্রীর এদিন আরও জানিয়েছেন যে স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সময়ব্যাপী উন্নয়ন শুধুমাত্র বড় শহরগুলিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবং সেই সমস্ত শহরের বাসিন্দারাই এই উন্নয়নের সুফল পেতেন কিন্তু তাঁর সরকারের আমলে উন্নয়নকে ছোট শহরগুলিতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যা রচনা করছে একটি উন্নত ভারতের। পাশাপাশি তিনি তাঁর সরকারের প্রকল্পগুলিরও প্রচার করেন এদিন। তিনি আরও বলেন, ‘‘যদিও নরেন্দ্র মোদি ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ র সূচনা করেছেন কিন্তু আসল বাস্তব চিত্রটা হল আজকে দেশবাসী সেই ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ র নেতৃত্ব দিতে সামনে দাঁড়িয়েছে। এটা দেখা যাচ্ছে যেখানে যেখানে এই যাত্রা থামছে, সেখানেই গ্রাম এবং শহরের বাসিন্দারা এই যাত্রাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’’

    পাঁচ রাজ্যে ভোটের কারণে শুরু করা যায়নি ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’

    প্রসঙ্গত, বাকি রাজ্যগুলিতে এই যাত্রা একমাস আগে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই পাঁচ রাজ্যের জন্য যাত্রা এদিনই শুরু করেন। কারণ গত নভেম্বর মাসেই এই পাঁচ রাজ্যে ভোট হয়েছিল এবং আদর্শ নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন করে এই যাত্রা সেখানে শুরু করা সম্ভব ছিল না। তাই ১৬ ডিসেম্বর পাঁচ রাজ্যে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ শুরু হল। প্রসঙ্গত, ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ র অনুষ্ঠানে এদিন হাজির ছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ এবং বিধায়করা। এর পাশাপাশি সাধারণ উপভোক্তাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ললিতের, আজ তোলা হবে কোর্টে

    Parliament Security Breach: দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ললিতের, আজ তোলা হবে কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হানার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল দিল্লি পুলিশ। আজ শুক্রবার তাকে পেশ করা হবে পাতিয়ালা কোর্টে। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করে ললিত। বুধবার সংসদের (Parliament Security Breach) ভিতরে রঙ বোমা (স্মোক গ্রেনেড) নিয়ে হানা দেয় ২ যুবক এবং বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে স্লোগান দিতে থাকে অন্য দুই যুবক-যুবতী। তাদেরকে ধরে ফেলে পুলিশ। জেরা করে সেই সূত্রে জানা যায় ললিতের কথা। জানা যায়, ললিত ওই ঘটনার ভিডিও করতে সংসদের বাইরে উপস্থিত ছিল। এই ঘটনায় উঠে আসে কলকাতা যোগও। সেই ভিডিও কলকাতার এক কলেজ পড়ুয়াকেও পাঠায় ললিত। এরপর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল সে।

    ঘটনার পরে রাজস্থানে যায় সে

    বুধবার ১৩ ডিসেম্বরের এই ঘটনার পরেই ললিতকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। তার মোবাইল নেটওয়ার্ক ধরে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছিল পুলিশ যে সে কোথায় কোথায় গিয়েছে, সেই সব তথ্য জোগাড় করছিল (Parliament Security Breach)। সদা সক্রিয় ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, বিহার পুলিশ সমেত অন্যান্য সমস্ত রাজ্যের পুলিশ। ললিতের সন্ধান দিতে মাঠে নেমেছিল হরিয়ানা ও রাজস্থান পুলিশও কারণ হরিয়ানা যোগও ইতিমধ্যে উঠে এসেছে এবং গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মা। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর বাসে চেপে রাজস্থান চলে যায় ললিত। সেখানে দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে এবং রাতে একটি হোটেলে কাটায়।

    সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী বদল

    এদিকে ঘটনার পরপরেই সংসদ সচিবালয়ের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভায় যাঁরা ঢুকবেন, বিমানবন্দরের ধাঁচে তাঁদের শরীর পরীক্ষা করতে বডি স্ক্যানার বসানো, সাংসদ, সংসদ কর্মী, সাংবাদিক এবং দর্শকদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। 

    বুধবার হানাদারেরা লাফ দিয়েছিল (Parliament Security Breach) দর্শক গ্যালারি থেকে। তাই মূল অধিবেশন কক্ষ ও দর্শক আসনের মধ্যে বসানো হবে কাচের দেওয়াল। দর্শকরা যাতে বেপরোয়া আচরণ করতে না পারেন, তাই অধিবেশন চলাকালীন বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সাংসদদের নিরাপত্তায় এসব ব্যবস্থা যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দর্শকদের পাশ দেওয়া হবে না। দর্শকদের যখন ফের নতুন করে পাস দেওয়া হবে, তখন তাঁদের ঢুকতে হবে সংসদের চতুর্থ গেট দিয়ে। সাংসদদের প্রবেশের জন্য স্মার্ট কার্ড চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের তরফে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Menstruation Leave: অফিসে ঋতুকালীন ছুটি কাম্য নয়! সংসদে এর ব্যাখ্যা দিলেন স্মৃতি ইরানি

    Menstruation Leave: অফিসে ঋতুকালীন ছুটি কাম্য নয়! সংসদে এর ব্যাখ্যা দিলেন স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের জায়গায় মহিলাদের বেতনযুক্ত ঋতুস্রাবকালীন ছুটির কোনও প্রয়োজন নেই, অভিমত কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani)। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে স্মৃতি জানান, ঋতুস্রাব মহিলাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, এটি কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়। ঋতুস্রাবের জন্য বিশেষ ছুটি মঞ্জুর করার করা উচিত নয়।

    কোন প্রশ্ন সাপেক্ষে উত্তর

    ঋতুমতী মহিলারা ঋতুচক্রের সময় নানা শারীরিক কষ্ট সহ্য করেন। মহিলাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই একাধিক দেশে চালু করা হয়েছে মেনেস্ট্রুয়েশন লিভ (Menstruation Leave) বা ঋতুকালীন ছুটি। ভারতেও কি এই ছুটি চালু করা হবে? কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)-র কাছে এই প্রশ্নই রেখেছিলেন আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা (Manoj Kumar Jha)। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, “ঋতুমতী মহিলা হিসাবে, ঋতুস্রাব ও ঋতুচক্র নারী জীবনের অত্যন্ত সাধারণ একটি অংশ। আমাদের এমন ইস্যু তৈরি করা উচিত নয় যেখানে তাদের সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে শুধুমাত্র একজনের নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, যার ঋতুস্রাব হয় না।”

    আরও পড়ুন: বালুর স্ত্রী-কন্যার নামে ৫৮টি ফিক্সড ডিপোজিট রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকায়? অনুমান ইডির

    অকপট স্মৃতি

    মাসিক ছুটির ফলে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতি বৈষম্য হতে পারে বলে স‌ংসদে সকলকে সতর্ক করেন স্মৃতি। ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব কথা বিবেচনা করে স্মৃতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কর্তৃক জাতীয় নীতি প্রণয়ন করার কথা ঘোষণা করেন। এই নীতির লক্ষ্য হবে দেশবাসীকে ঋতুস্রাবের বিষয়ে আরও বেশি সজাগ করা, ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্ক করা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখিত জবাবে বলেন, “অল্প সংখ্যক মহিলা অত্যাধিক ডিসমেনোরিয়া বা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু ঋতুচক্র ও তার সঙ্গে জড়িত কার্যকলাপকে আড়ালে রাখা হয়। সামাজিক ছুৎমার্গের কারণে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। সাধারণ কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়, যা শেষ অবধি হেনস্থা ও সমাজে বিতাড়িত করার পর্যায়ে পৌঁছয়। যখন কোনও কিশোরী শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং এই পরিবর্তন সম্পর্কে অবগতই না হয়, তখন বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach:  সংসদে হানার ঘটনায় ৮ পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মোদি

    Parliament Security Breach: সংসদে হানার ঘটনায় ৮ পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই লোকসভায় (Parliament Security Breach) স্মোক গ্রেনেড নিয়ে হানা দেয় দুই যুবক। এর জেরে লোকসভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দিল্লি পুলিশের আট কর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। জানা গিয়েছে রামপাল, অরবিন্দ, বীর, গণেশ, অনিল, প্রদীপ, নরেন্দ্র এবং বিমিত এই ৮ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার সংসদের এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। জানা গিয়েছে তাতে উপস্থিত থাকছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সহ অনেকেই। 

    সংসদ হামলা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ, গ্রেফতার ৫ জন

    বুধবার সংসদ ভবনে (Parliament Security Breach) যে ঘটনা ঘটে, তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, ওই তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফের ডিরেক্টর অনীশ দয়াল সিং। অন্যদিকে সংসদ হামলার পরেই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা হল— সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি, নীলম ও আনমোল। এদের মধ্যে ভিতরে ছিল সাগর ও মনোরঞ্জন। এরপরে পঞ্চম জনকেও গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় দিল্লি পুলিশ। বুধবার রাতেই হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মাকে। বিশাল শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে সংসদে যারা স্মোক গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং বাইরে যারা স্লোগান দিয়েছে, তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল সে (Parliament Security Breach)। গোটা ঘটনায় ৬ জনের যুক্ত থাকার কথা জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ললিত ঝা নামের সেই ষষ্ঠ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী বদল

    এদিকে ঘটনার পরপরেই সংসদ সচিবালয়ের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভায় যাঁরা ঢুকবেন, বিমানবন্দরের ধাঁচে তাঁদের শরীর পরীক্ষা করতে বডি স্ক্যানার বসানো, সাংসদ, সংসদ কর্মী, সাংবাদিক এবং দর্শকদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। 

    বুধবার হানাদারেরা লাফ দিয়েছিল (Parliament Security Breach) দর্শক গ্যালারি থেকে। তাই মূল অধিবেশন কক্ষ ও দর্শক আসনের মধ্যে বসানো হবে কাচের দেওয়াল। দর্শকরা যাতে বেপরোয়া আচরণ করতে না পারেন, তাই অধিবেশন চলাকালীন বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। সাংসদদের নিরাপত্তায় এসব ব্যবস্থা যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দর্শকদের পাশ দেওয়া হবে না। দর্শকদের যখন ফের নতুন করে পাস দেওয়া হবে, তখন তাঁদের ঢুকতে হবে সংসদের চতুর্থ গেট দিয়ে। সাংসদদের প্রবেশের জন্য স্মার্ট কার্ড চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের তরফে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের, গ্রেফতার পঞ্চম অভিযুক্ত

    Parliament Security Breach: সংসদের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের, গ্রেফতার পঞ্চম অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সংসদ ভবনে (Parliament Security Breach) যে ঘটনা ঘটে, তার তদন্তের নির্দেশ দিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, ওই তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফের ডিরেক্টর অনীশ দয়াল সিং। অন্যদিকে সংসদ হামলার ঘটনায় গত কালই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার পঞ্চম জনকেও গ্রেফতার করতে সমর্থ হল দিল্লি পুলিশ। বুধবার রাতেই হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মাকে। বিশাল শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে সংসদে যারা স্মোক গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং বাইরে যারা স্লোগান দিয়েছে, তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল সে (Parliament Security Breach)। গোটা ঘটনায় ৬ জনের যুক্ত থাকার কথা জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ললিত ঝা নামের সেই ষষ্ঠ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “লোকসভার সচিবালয়ের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংসদের (Parliament Security Breach) নিরাপত্তায় গলদের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ জারি করেছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। যার দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল অনীশ দয়াল সিং। অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন।” বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “এই কমিটি সংসদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণগুলি খতিয়ে দেখবে। এ ছাড়া কোথায় খামতি রয়ে গিয়েছে সেই সব দিক খতিয়ে দেখে তাদের সুপারিশ জানাবে। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট যত দ্রুত সম্ভব জমা দেবে কমিটি।”

    বুধবারের ঘটনা

    প্রসঙ্গত, বুধবার শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Security Breach) চলাকালীন দুপুর একটা নাগাদ হঠাৎই লোকসভার গ্যালারি থেকে ভবনে ঝাঁপ দেয় ২ যুবক। তাদের হাতে ছিল স্মোক গ্রেনেড। জানা যায়, এক সাংসদের অতিথি কার্ড ব্যবহার করে তারা সেখানে ঢুকেছিল। অপরদিকে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল এক মহিলা ও এক যুবক। পুলিশের দাবি তারা ঠিক করে যে দু জন সংসদের ভিতরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। আর দুজন থাকবে সংসদের বাইরে। চারজনের মধ্যে কেউই দিল্লির বাসিন্দা নয়। এই পুরো পরিকল্পনাটি তারা করে গুরুগ্রামে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Yadav: মধ্যপ্রদেশে ধর্মীয় স্থানে নিষিদ্ধ মাইক, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই বড় নির্দেশ মোহনের

    Mohan Yadav: মধ্যপ্রদেশে ধর্মীয় স্থানে নিষিদ্ধ মাইক, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই বড় নির্দেশ মোহনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ধর্মীয় স্থান এবং জনবহুল এলাকাতে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ হল। বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। তারপরেই এমন বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে শোনা গেল মধ্যপ্রদেশের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের সমস্ত ধর্মস্থান এবং জনবহুল এলাকায় মাইক নিষিদ্ধ করা হল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম জারি করা নির্দেশ। বুধবার থেকেই নিজের দফতরে কাজে মনোনিবেশ করেছেন মোহন যাদব। কাজ শুরু করার আগে এদিন তাঁর দফতরে পুজোও করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    তিনবারের বিধায়ক মোহন যাদব

    প্রসঙ্গত, উজ্জয়নী দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হলেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। এর আগে শিবরাজ মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন তিনি। মোহন যাদব ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মধ্যপ্রদেশের ৪৮ শতাংশ মানুষই ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। তাই সে রাজ্যের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী থেকেই বেছে নেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী। ৫৮ বছর বয়সী মোহনকে মধ্যপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় গত ১১ ডিসেম্বর। তিন রাজ্যে বিপুল জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী স্থির করতে পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গত ১৭ নভেম্বর এক দফাতেই মধ্যপ্রদেশের সমস্ত আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ৩ ডিসেম্বর ফলাফল বের হতে দেখা যায় বিজেপির জয়জয়কার। ২৩০ টির মধ্যে ১৬৩ টি আসনে জেতে বিজেপি এবং কংগ্রেস জেতে ৬৬ আসনে।

    ১৯ তম মুখ্যমন্ত্রী হলেন মোহন

    প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের ১৯তম মুখ্যমন্ত্রী হলেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। এর আগে শিবরাজ সিং চৌহ্বান ছিলেন এই রাজ্যের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার মোহন যাদব শপথ নেওয়ার আগে ভোপালের একটি মন্দিরে গিয়ে পুজোও দেন। এর পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম দুই স্থপতি পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধাও জানান তিনি রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে গিয়ে। মোহন যাদবের সঙ্গে এদিন উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজেন্দ্র শুক্লা এবং জগদীশ দেওরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদ হানায় ধৃত ৪, খোঁজ চলছে গ্যাং-এর আরও ২ জনের

    Parliament Security Breach: সংসদ হানায় ধৃত ৪, খোঁজ চলছে গ্যাং-এর আরও ২ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সংসদের (Parliament Security Breach) গ্যালারি থেকে স্লোগান দিতে দিতে কয়েকজন আগন্তুক ভবনে ঝাঁপ দেয়। সংসদে হানার এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তবে উঠছে নানা প্রশ্ন। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে যে তথ্য এসেছে, তাতে জানা গিয়েছে, গ্যালারি থেকে ভবনে ঝাঁপ এবং রং বোমা দেখানোর নেপথ্যে রয়েছে মোট ছ’জন। অন্যদিকে যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তারা কোনও সংগঠনেরই সদস্য নয়। ধৃতরা বুধবার দুপুরে সংসদে আচমকা গ্যালারি রুম থেকে ভবনে লাফ দেয়, দুই যুবককে বিভিন্ন দলের সাংসদরা ধরে ফেলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজনের নাম সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। সংসদে ঢোকার জন্য যে কোনও সাংসদের পাশ নিতে হয়। এক্ষেত্রে সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি হিসেবে তারা ঢোকে।

    ধৃত চারজন পূর্বপরিচিত

    আবার পুলিশি তথ্যে উঠে এসেছে ধৃত চারজন পরস্পরের পূর্ব পরিচিত। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের পরিচয় হয়। পুলিশের দাবি, তারা ঠিক করে যে দু’জন সংসদের (Parliament Security Breach) ভিতরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। আর দুজন থাকবে সংসদের বাইরে। চারজনের মধ্যে কেউই দিল্লির বাসিন্দা নয়। এই পুরো পরিকল্পনাটি তারা করে গুরুগ্রামে। সেখানে ললিত ঝা নামে একজনের বাড়িতে তারা আশ্রয় নেয়। সংসদে হানা দেওয়া সাগর নামে একজনের মা বর্তমানে লখনউতে ই-রিক্সা চালান। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার কোনও ধারণাই নেই। আমি এ সব দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি। ও বন্ধুদের সঙ্গে কোথায় একটা যাবে বলে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। বলেছিল, দু’দিনের মধ্যে ফিরবে।’’ অন্যদিকে মনোরঞ্জনের বাড়ি কর্নাটকের মাইসুরুতে। বেঙ্গালুরু বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে কম্পিউটারে বি টেক পাশ করেছে। সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা নিলমের বাড়ি হরিয়ানাতে। সেখানে হস্টেলে থাকে সে। অন্যদিকে আনমোল শিন্ডের বাড়ি মহারাষ্ট্রে।

    ১৩ ডিসেম্বর ছিল সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তি

    সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল নিলম ও আনমোল। তারা নতুন ভবনের সামনে স্লোগান দিচ্ছিল, ‘তানাসাহি নেহি চলেগা’। সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়া ওই দুই আগন্তুকের পরিচয় সামনে এসেছে। তাদের নাম আনমোল এবং নিলম। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে, তাদের হাতে যে রং বোমা ছিল, সেটি আসলে স্মোক গ্রেনেড। প্রসঙ্গত ১৩ ডিসেম্বর ২০০১ সালেই সংসদে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার ২২ বছর পূর্তি ছিল বুধবার (Parliament Security Breach)। তাই ওই একই দিনে সংসদে হানা দেওয়ার কোনও যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আবার খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা পান্নুন বেশ কয়েকদিন আগেই ১৩ ডিসেম্বর সংসদে (Parliament Security Breach) জঙ্গি হামলার হুমকি দিয়েছিল। সেটার সঙ্গেও এই ঘটনার কোনও যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share