Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Top 100 Richest: ফোবর্স র‍্যাঙ্কে ভারতের ১০০ জন ধনীদের মধ্যে নতুন তিন ধনবানের প্রবেশ

    Top 100 Richest: ফোবর্স র‍্যাঙ্কে ভারতের ১০০ জন ধনীদের মধ্যে নতুন তিন ধনবানের প্রবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফোবর্স ভারত ২০২৩ সালের ১০০ জনের ধনীর (Top 100 Richest) তালিকা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে তিনজন নতুন ধনবান ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে। এই তিনটি গ্রুপ হল এশিয়ান পেন্টসের দানি পরিবার, রেনুকা জাগতিয়ানির ল্যান্ডমার্ক গ্রুপ, কেপি রামস্বামী এবং কেপিআর মিল পরিবার। উল্লেখ্য, ফোবর্স ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অশ্বিন দানির মৃত্যুর সময় মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৮ বিলিয়ন। মার্চ শেষে আর্থিক বছরের এশিয়ান পেইন্টস ৪.১ বিলিয়ন আয়ের কথা জানিয়েছে। এই আয় পূর্বের আয়ের থেকে ১৯ শতাংশ অধিক বলা হয়েছে। 

    এশিয়ান পেইন্টে্স দানে পরিবার

    মুম্বাইয়ের দানি পরিবার ২০২৩ সালে ৮ বিলিয়ন সম্পত্তির পরিমাণের হিসেবে ধনীদের মধ্যে ২২ তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁদের এই সাফল্য অত্যন্ত অভূতপূর্ব। এই দানি পরিবারের সাফল্যের মূল কাণ্ডারি ছিলেন অশ্বিন দানি (Top 100 Richest)। তিনি এই এশিয়ান পেন্টসের মহানির্দেশক ছিলেন। গত মাসের ২৮ সেপ্টেম্বরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর সময় পর্যন্ত সংস্থার আয় ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এশিয়ান পেন্টসের এশিয়ার সবথেকে বড় কোম্পানির মধ্যে অন্যতম। বাড়িতে গিয়ে গ্রাহকদের পরিষেবাও দিয়ে থাকেন এই পেন্টসের সংস্থা।

    রেনুকা জাগতিয়ানি ল্যান্ডমার্ক গ্রুপ

    রেনুকা জাগতিয়ানি হলেন ল্যান্ডমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান। এই গ্রুপ হল দুবাই কেন্দ্রিক সংস্থা। এই বছর ভারতীয় ধনীদের (Top 100 Richest) মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নেয় এই গ্রুপ। তাঁদের এই বছর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.৮ বিলিয়ন। ফোবর্স ভারতে তাঁদের র‍্যাঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৪৪ তম। এই বছরের মে মাসে কোম্পানির প্রাক্তন চিয়ারম্যান মুকেশ ওয়াধুমাল মিকি জগাতিয়ানীর মৃত্যুর পর কোম্পানির তালিকায় নাম এসেছে। উল্লেখ্য, এই বছর ফোবর্সের ৩৭ তম বার্ষিক বিশ্ব তালিকায় ৫১১ তম স্থান নিয়েছিল এই সংস্থা। এই সংস্থা গত দুই দশক ধরে কর্পোরেট বাজার তৈরিতে বিশেষ সাফল্য রাখতে পেরেছে। প্রয়োজনীয় বাজার তৈরি করতে বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁরা। এই কোম্পানিতে ৫০০০০ হাজার বেশী কর্মচারীরা কাজ করেন। জাগতিয়ান ১৯৯৩ সালে ল্যান্ডমার্ক গ্রুপে যোগদান করেন। বর্তমানের মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় ১১ টি দেশের ২০০ টির বেশী বিপণন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।

    কেপি রামস্বামী এবং কেপিআর মিল পরিবার

    ২০২৩ সালের জন্য ভারতের ১০০ ধনীর (Top 100 Richest) তালিকায় ১০০ নম্বরে রয়েছে কেপি রামস্বামির পরিবার। টেক্সটাইল এবং চিনি প্রস্তুতকারক হলেন কেপিআর মিল পরিবার। কেপি রামস্বামী পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ২.৩ বিলিয়ন। এই সংস্থা মূলত দক্ষিণ ভারতের কোয়েম্বাটোর ভিত্তিক। চিনি এবং ইথানলের সাথে বুননের পোশাক, তুলো এবং পলিয়েস্টার সুতা তৈরি করে থাকে এই সংস্থা। এছাড়াও, এটি ফাসো ব্র্যান্ডের অধীনে পুরুষদের অভ্যন্তরীণ পোশাক তৈরি করে থাকে। এই কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল। ২০১৩ সালে থেকে চিনি উৎপাদনে বিশেষ বৃদ্ধি লাভ করে। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কোম্পানিটি। বর্তমানে প্রতি বছর ১২৮ মিলিয়ন গার্মেন্টস তৈরি করার কাজ করে থাকে তাঁরা। উল্লেখ্য ফোবর্সের রিপোর্ট অনুসারে তামিলনাড়ুর ইরোডে কেপিয়ার মিলস বার্ষিক ৪২ মিলিয়ন পোশাক উৎপাদন করার ক্ষমতা অর্জন করেছে। এই কোম্পানিতে ৩০০০০ জন মানুষ কর্মী হিসাবে কাজ করেন। যাঁর মধ্যে ৯০ শতাংশ হলেন নারী।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pithoraghar: দেবভূমি পিথরাগড়ে পুজো দিয়ে একাধিক জনমুখী প্রকল্প উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি

    Pithoraghar: দেবভূমি পিথরাগড়ে পুজো দিয়ে একাধিক জনমুখী প্রকল্প উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভোরে উঠেই উত্তরাখণ্ডে পৌঁছে গেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ পুজো দেবেন পিথরাগড়ের (Pithoraghar) আদি কৈলাশ এবং যোগেশ্বর ধামে। সকালে মা পার্বতীর মন্দির ধামে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় ধ্যানে বসলেন তিনি। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের লোকসভার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কথা ঘোষণা এবং উদ্বোধন করবেন মোদি।

    উত্তরাখণ্ড সফর মোদির (Pithoraghar)?

    প্রধানমন্ত্রী আজ উত্তরাখণ্ডে (Pithoraghar) গিয়ে মন্দির ধামে পুজো দিয়ে বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪২০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের সূচনা করবেন মোদি। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৭৬ কোটি টাকার গ্রামীণ রাস্তা, ২৫ টি সেতু। রাজ্যের মধ্যে ১৫টি ব্লকে বিডিও অফিসের উদ্বোধন করবেন তিনি। সেই সঙ্গে রয়েছে আকর্ষণীয় আরও কিছু জনমুখী প্রকল্প। লোকসভা ভোটের আগে উত্তরাখণ্ডে মোদি এখন কল্পতরু বলে মনে করছেন রাজ্যের একাংশের মানুষ।

    মোদি কি বলেন?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে (Pithoraghar) যাওয়ার কথা নিজের এক্স ট্যুইটারে ট্যুইট করে বলেন, “দেবভূমি উত্তরা খণ্ডে যাচ্ছি, এই পাহাড়ি রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার দৃঢ় প্রতিবদ্ধ। ঘোষণা হবে বেশ কিছু সরকারি প্রকল্প। দেবদর্শন এবং পূজাপাঠের মধ্যে দিয়ে আজকের দিনটি কাটবে।”

    গুরুত্ব পাবে মূর্তি শিল্প 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে পার্বতী কুণ্ড মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর, মোদি মন্দিরে বেশ সময় ধ্যান করেন। যোগেশ্বর ধাম দর্শন নিয়ে বেশ উৎসাহী ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী এই মন্দিরে প্রবেশ করেননি। তিনি পৌঁছে ঠাকুরের কাছে পুজো দিয়ে মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছেন। এরপর সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে পিথরাগড়ের গুঞ্জ গ্রামে (Pithoraghar) পৌঁছান মোদি। স্থানীয় এই এলাকার অনেক মানুষ তামা দিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ করে থাকেন। স্থানীয় মানুষের পেশা এবং শিল্প কর্মের প্রধান কাজ হল ধাতব মূর্তি নির্মাণ শিল্প। এরপর তিনি একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। আজ এখানে তাঁকে তামার তৈরি মূর্তি উপহার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। মোদির এই যাত্রায় মূর্তি শিল্প আরও উজ্জীবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে দেবভূমিতে ভক্ত সমাগম আরও বৃদ্ধি পাবে। 

    এছাড়াও ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে ইন্দো-তিব্বত পুলিশ এবং সীমান্ত সড়ক সংস্থার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী চম্পাওয়াতে একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বিশেষ ব্লক, নৈনিতালের হলদওয়ানি স্টেডিয়ামে অ্যাস্ট্রোটার্ফ হকি গ্রাউন্ড এবং রুদ্রপুরে একটি ভেলোড্রোম স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CEC Rajiv Kumar: উপঢৌকনের বিনিময়ে ভোট! সরব মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    CEC Rajiv Kumar: উপঢৌকনের বিনিময়ে ভোট! সরব মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দান-খয়রাতির টোপ দিয়ে ভোট কেনার কৌশল নতুন কিছু নয়। এর সবথেকে জ্বলন্ত উদাহরণ রাজ্যের শাসক দলই রয়েছে। এই খয়রাতি প্রথার বিরুদ্ধে বারবার মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC Rajiv Kumar)। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারে মতে, ‘‘খয়রাতির যে প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক দলগুলো দেয়, তার অর্থ কোথা থেকে আসবে সেটা নিয়ে তারা বিন্দুমাত্র ভাবেনা। তারা এনিয়েও চিন্তিত হয় না যে নতুন ভাবে যে ঋণের বোঝা রাজ্যবাসীর উপর চাপবে তা শোধ কীভাবে করা হবে।’’

    রেউড়ি পন্থার সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে মোদিকে 

    বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই সংস্কৃতির প্রবল বিরোধিতা করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে, ‘‘ভোটের আগে কিছু দল বিনামূল্যে সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট কিনতে তৎপর হয় যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।’’ রেউড়ি সংস্কৃতি নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার উদাহরণ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানেরও। প্রসঙ্গত, দুই দেশই আর্থিক সংকটে ব্যাপকভাবে ভুগছে। 

    মামলা সুপ্রিম কোর্টে

    প্রসঙ্গত, দান খয়রাতি সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করে ভোট কেনার যে কৌশল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেয় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন এক সমাজকর্মী। ট্যাব, টিভি, গয়না এ সমস্ত কিছু দিয়ে কি ভোট কেনা যায়? এই আরজি নিয়ে তিনি দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় গত সপ্তাহের শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের রাজ্য সরকার, নির্বাচন কমিশন (CEC Rajiv Kumar) ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য নোটিশ জারি করেছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।

    কী বলছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার 

    প্রসঙ্গত, সোমবারই রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের ভোট ঘণ্টা বাজিয়ে দেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC Rajiv Kumar)। এই প্রসঙ্গেই তাঁকে মন্তব্য করতে শোনা যায় যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই নিজেদের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অধিকার রয়েছে কিন্তু এই সমস্ত ঘোষণার কথা তাদের পাঁচ বছর ধরে কেন মনে পড়ে না? সবকিছুই শুধু শেষ এক মাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই মনে পড়ে কেন? এ প্রশ্নও তুলছেন রাজীব কুমার। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের হলফনামায় জানাতেও বলেছে যে দান-খয়রাতির রাজনীতির প্রতিশ্রুতি পালন করতে গিয়ে রাজ্যের ঋণের হার কত দাঁড়াবে তার পরিমাণ।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan Mission: পুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে ইসরো, কবে পাড়ি দেবে গগনযান?

    Gaganyaan Mission: পুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে ইসরো, কবে পাড়ি দেবে গগনযান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে নামছে ইসরো। মহাকাশচারীদের নিয়ে কবে রওনা দেবে গগনযান (Gaganyaan Mission)? তারই দিনক্ষণ প্রকাশ করল ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গগনযান মিশন দুটি ধাপে হবে, প্রথমেই কোনও মহাকাশচারী থাকবে না গগনযানে (Gaganyaan Mission)। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হবে গগনযানকে। মহাকাশে পাঠিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্য মিললে আগামী বছরেই মহাকাশে পাড়ি দেবে মানুষ সমেত গগনযান। আগামী ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে গগনযানকে উৎক্ষেপণ করা হবে। গগনযান ফিরে আসার পরে তা বঙ্গোপসাগরে নামবে এবং সেই মতো ভারতের উপকূল রক্ষাবাহিনীও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গগনযানের এই প্রকল্পে মহাকাশচারীরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকেই নিরাপদ ভাবে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরেও আসবেন।

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইসরো প্রধান

    এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘‘গগনযানের (Gaganyaan Mission) টেস্ট ভেহিকল স্পেস ফ্লাইট (TV-D1) আগামী ২১ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা হবে। অবতরণের সময় কী ভাবে এই গগনযান থেকে মহাকাশচারীরা বেরিয়ে আসবেন সেটির পরীক্ষা করা হবে এই টেস্ট স্পেস ভেহিকলে।’’ গগনযান সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিবৃতি সামনে এসেছে ইসরোর প্রধান সোমনাথের। তিনি বলেন, ‘‘গগনযান মিশনের মূল লক্ষ্য হল মহাকাশচারীদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া ও তাঁদের ফিরিয়ে আনা। এর জন্য ব্যবহার করা হবে একটি লঞ্চ ভেহিকল। মহাকাশে ক্রুদের জন্য পৃথিবীর মতো পরিবেশ তৈরি জরুরি। জরুরি অবস্থায় যাতে মহাকাশচারীরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীতে ফিরতে পারেন তার ব্যবস্থা থাকবে ও সেই মতো মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বিষয়গুলি সম্বন্ধীয় আরও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর রয়েছে আমাদের।’’

    শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ পর্বও

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক গগনযানে (Gaganyaan Mission) কোনও মানুষ থাকছে না তবে আগামী বছরের মহাকাশচারী সমেত যে গগনযান পাড়ি দেবে সেখানে তিন জন নভোশ্চরকে দেখা যাবে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দুজন মহাকাশচারীকে জিমে শরীর চর্চা করতে দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর অফিসে যান তিনি। সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন রাজ্যপাল। বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি বোস। সোমবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল। 

    রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ

    সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের নির্যাস তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, অভিষেকর ধরনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল। বৈঠকে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে করেছেন রাজ্যপাল বোস। 

    রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা জনিত বিষয় নিয়েও রাজ্যপাল-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah Meets Ananda Bose) সাক্ষাৎ হতেই পারে। কারণ, সব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয় দেখার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। আর রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নিয়োগ করলেও, তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই রাজ্যে কাজকর্ম করতে হয়। এ ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। রাজভবন সূত্রে খবর ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে শাহ এর দরবারে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ইস্যু নিয়েই একাধিক নালিশ রাজ্যপাল  জানিয়েছেন বলেই রাজভবন সূত্রে দাবি। যার মধ্যে নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে একাধিক খুন, হিংসার ঘটনা। রাজ্যপালের মুভমেন্ট কে ট্র্যাক করা, মহিলাদের উপর নির্যাতন, ১৪৪ ধারা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে অবহেলা বিষয় নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    পাশাপাশি বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সমন্বয়ের অভাবকেও এদিন শাহের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যপাল বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বেআইনি অস্ত্র কারখানা এবং আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও এদিন উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর এখনো পর্যন্ত রাজভবনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, দুর্গাপূজোর আগেই যাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Landslide: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধস, আটকে আপেলের গাড়ি, বিপাকে পর্যটকরা

    Landslide: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধস, আটকে আপেলের গাড়ি, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধসে (Landslide) অবরুদ্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় আটকে পড়েছে প্রচুর ফলের গাড়ি। চরম দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা। ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন অ্যাপেল ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, এই বছর বর্ষার অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ব্যাপক প্রকৃতিক বিপর্যয় নামে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, দোকান, হোটেল এবং গাছপালা ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ফের একবার ধসের কবলে হিমাচলের সড়ক পথ। চরম দুর্ভোগে অ্যাপেল চাষিরা।

    রাস্তায় ফের ধস (Landslide)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার হিন্দুস্থান-তিব্বত সড়ক, হিমাচলের শিমাল থেকে কিন্নর যাওয়ার জাতীয় সড়ক ৫ নম্বর ধসের (Landslide) কবলে পড়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছে সারিসারি গাড়ি। সূত্রে আরও জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কিন্নর প্রবেশের মুখে প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গের কাছেই পাহাড় ভেঙে পাথরের বড় বড় চাঁই পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আগত পর্যটকরা ধস জনিত কারণে আটকে পড়েছেন রাস্তায়। হিমাচলে এই সময়টা অ্যাপেলের মরসুম, তাই রাস্তা বন্ধ হওয়ায় বাগানের অ্যাপেল দ্রুত বাজারে পৌঁছাতে বাধার (Landslide) মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে অ্যাপেল চাষকে কেন্দ্র করে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত মুশকিলের মধ্যে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

    আগেও নেমেছিল ধস

    গত ৭ই সেপ্টেম্বর রাতে চৌরার কয়েক কিলোমিটার আগে জাতীয় সড়ক ৫ নম্বরে ধস (Landslide) নেমেছিল। এই ধসের স্তূপ অপসারণ করতে প্রশাসনের সময় লেগেছিল দশ দিন। সেই সময়ও পর্যটকরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। এই কিন্নর জেলায় জনজাতি সমাজের মানুষের সংখ্যায় বেশি। এখানে মূলত অ্যাপেল চাষ হল প্রধান ফসল। এই এলাকার অ্যাপেল সারা ভারতে বিখ্যাত। ধস নামলে রাস্তা অবরোধে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবসায়। 

    প্রশাসনের বক্তব্য

    কিন্নরের কৃষি বিভাগের ডেপুটি নির্দেশক অজয় কুমার ধিমান বলেন, “২০২২ সালে ৪০ থেকে ৪২ লক্ষ বাক্স অ্যাপেল উত্তোলন করা হয়। এই বছর অতি বৃষ্টিপাতের জন্য উৎপাদন কমে গেছে। এই বছরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আনুমানিক ৩০ লক্ষ বাক্স অ্যাপেল উত্তোলন করা হতে পারে। এই ধসের কারণে ফল বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যা (Landslide) তৈরি হয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: প্রশাসনিক প্রধান রূপে ২২ বছর পূর্ণ, প্রধানমন্ত্রী পদে রেকর্ড তৈরির পথে নরেন্দ্র মোদি

    Narendra Modi: প্রশাসনিক প্রধান রূপে ২২ বছর পূর্ণ, প্রধানমন্ত্রী পদে রেকর্ড তৈরির পথে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব পালনের ২২ বছর পূর্ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত সফল এবং জনপ্রিয় নেতা হিসাবে কাজ করছেন তিনি। আজ থেকে ২২ বছর আগে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। প্রথম দিন শপথ নিয়েই বলেছিলেন, “জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়।” আবার ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়ে বলেছিলেন, “জনগণের মধ্যেই আমাদের শক্তি রয়েছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকদের মধ্যে দেশের শক্তি নিহিত রয়েছে।”

    গুজরাটে  তিনবার মুখ্যমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)

    ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচন থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কোনও নির্বাচনেই নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) পরাজিত হননি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি আরএসএস-এর কর্মী হিসাবে সামাজিক কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা তিন বার ভোটে জয়ী হয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষের বিপুল সমর্থন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সফলতার পথকে ক্রমশ মসৃণ করেছে। গুজরাটের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং সবরমতি নদী প্রকল্পের উপর বিশেষ ভাবে কাজ করেন মোদি। এছাড়াও তাঁর সময়কার খাদি উৎসব, কৃষি উৎসব, বিকাশ উৎসবের প্রকল্পগুলি গুজরাটের উন্নয়নকে আরও সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছে।

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরপর দুইবার নির্বাচিত

    গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী রূপে ব্যাপক সাফল্যের পর ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার নেন। সেই সময় তাঁর শ্লোগান হয়, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ”। সেই সঙ্গে দেশের নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য ‘বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও’ প্রকল্পের সূচনা করেন। এছাড়াও, দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি, আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বীমা, স্বচ্ছ ভারত মিশন, উজ্জ্বলা যোজনা, আত্মনির্ভর ভারত, লোকাল ফর ভোকাল, মেক-ইন ইন্ডিয়া, মন কী বাত ইত্যাদি প্রকল্প এবং উদ্যোগের সূচনা করেন। এই কর্মকাণ্ডে পশ্চিম ভারতের উন্নয়নের পাশপাশি পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর উন্নয়নের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেন। দেশের ধর্মীয় স্থাপত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নের কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন তিনি।  

    সারা বিশ্ব যখন অতিমারি করোনার দাপটে সংক্রমিত, সেই সময় সারা বিশ্বকে ভারতে তৈরি করোনার টিকা পাঠিয়ে, বিশ্ববাসীকে মারণ ব্যাধি থেকে বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন নরেন্দ্র মোদি। আজ দেশের শুধু প্রধানমন্ত্রী রূপে নন, সারা বিশ্বের বিশ্বনেতা হিসাবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আরও একবার নির্বাচিত হলে, দেশে পরপর তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রেকর্ড গড়বেন নরেন্দ্র মোদি।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sadhvi Niranjan: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে দিল্লিতে আটক তৃণমূল নেতারা

    Sadhvi Niranjan: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে দিল্লিতে আটক তৃণমূল নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় তাঁরা যেমন খুশি তেমন করেন। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা (Ruckus in New Delhi) তৈরি করে তৃণমূল সাংসদরা ভেবেছিলেন, পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু, তাঁরা দিল্লিকে বাংলা ভাবার ভুল করেছিলেন। কিন্তু, দিল্লি যে বাংলা নয়, সেটা বোধহয় হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। 

    ঠিক কী ঘটেছিল মঙ্গলবার রাতে?

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষি ভবনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির (Sadhvi Niranjan) সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। সাক্ষাতের সময় ছিল সন্ধ্যা ৬টা। কিন্তু, তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করার জন্য নির্ধারিত সময়ের বাইরে আরও আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার পরেও কেউ না আসায় তিনি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। এর পর রাত ৯টা নাগাদ সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনেক পরে সেখানে গিয়ে জমায়েত শুরু করেন তৃণমূল নেতারা। কৃষি ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা (Ruckus in New Delhi) তৈরির চেষ্টা করেন। দিল্লি হাই-সিকিউরিটি জোন। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সামনে এভাবে আচমকা গিয়ে ধর্না-বিক্ষোভ-প্রদর্শন করা যায় না। কিন্তু, সেটা ভুলে গিয়েছিলেন এরাজ্যে ক্ষমতায় থেকে ধরাকে সরা জ্ঞান করা তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে, যা হওয়ার তাই হয়েছে। বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নেয় দিল্লি পুলিশ। রাত ৯টায় অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে আটক (TMC Leaders Detained) করে দিল্লি পুলিশ। রাত ১১টা নাগাদ তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

    রাতে ভিডিও পোস্ট করেন সাধ্বী নিরঞ্জন

    এখানেই থেমে থাকেনি তৃণমূল। আসল ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে উল্টে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ করতে থাকেন অভিষেকরা। বাধ্য হয়ে আসল সত্যটা প্রকাশ করতে আসরে নামতে হয় খোদ মন্ত্রীকে। মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan)। তাতে দেখা যাচ্ছে, নিজের দফতরে বসে বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষা করছেন সাধ্বী নিরঞ্জন। তাঁর সামনে বেশ কয়েকটি ফাঁকা চেয়ার রাখা। পিছনে আরও বেশ কিছু আসন রয়েছে। সবগুলিই ফাঁকা। ইঙ্গিত স্পষ্ট, ওই ফাঁকা আসনগুলি তৃণমূল প্রতিনিধি দলের জন্য রাখা ছিল। সাধ্বী নিরঞ্জনের অভিযোগ, বাংলার দাবি জানানো নয়, বরং রাজনীতি করাই ছিল তৃণমূল নেতাদের আসল উদ্দেশ্য। আর আসল উদ্দেশ্যর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলসা করে তৃণমূলকে (TMC Leaders Detained) কার্যত তুলোধনা করেন সাধ্বী নিরঞ্জন।

    কী বলেছেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী?

    ভিডিও পোস্ট করে সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan) লেখেন, “আজ আড়াই ঘণ্টা সময় নষ্ট হল। তৃণমূল সাংসদদের জন্য অপেক্ষা করে করে আজ আমি সাড়ে আটটায় অফিস থেকে বের হলাম। আমি জানতাম, তৃণমূলের সাংসদ ও বাংলার মন্ত্রীদের প্রতিনিধি দল আমার কার্যালয়ে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য এদিন সন্ধ্যা ৬টায় সময় নিয়েছিল। কিন্তু পরে, তারা তৃণমূল কর্মীদের সামনে আমায় ডেকে দেখা করতে চেয়েছিল। এটা আমার অফিসের ব্যবস্থার বিরোধী। তারা বৈঠকের নির্ধারিত বিষয় থেকে সরে এসেছে। কারণ তাদের উদ্দেশ্য দাবি পূরণ করা ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি করা। তৃণমূল নেতাদের (TMC Leaders Detained) এই আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

    এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পাঁচ জনকে যেতে বলা হয়েছিল, ৪০ জন যেতে চান। ওটা হাট না ডায়মন্ড হারবার?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ATM Card Rules: এটিএম কার্ডে নয়া সুবিধা! ভিসা, মাস্টার না রুপে, বেছে নিতে পারবেন গ্রাহকই

    ATM Card Rules: এটিএম কার্ডে নয়া সুবিধা! ভিসা, মাস্টার না রুপে, বেছে নিতে পারবেন গ্রাহকই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল লেনদেনে এটিএম কার্ড (ATM Card Rules) ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নতুন নিয়ম সংযোজন করল। কেন্দ্রীয় সরকার বিগত কয়েক বছর ধরে নগদ লেনদেনের তুলনায় ডিজিটাল আদান-প্রদানের উপর জোর দিয়েছে। আর তাই আরবিআই গ্রাহকদের টাকার আদান-প্রদানে ডিজিটাল মাধ্যমকে আরও সরলীকরণ করে চলেছে। গ্রাহকদের মধ্যেও নয়া নয়া ব্যবস্থা গ্রহণে বিশেষ সাড়া মিলেছে। এটিএম কার্ডে এবার থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হল। সেই অনুযায়ী, ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড নিতে গেলে গ্রাহকরা এবার অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন। ১ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আরবিআই। নয়া ব্যবস্থার মূল বিষয় হল, এখন থেকে গ্রাহকরা নিজের পছন্দের নেটওয়ার্ক এটিএম কার্ডে ব্যবহার করতে পারবেন।

    কী বলা হয়েছে নতুন নিয়মে (ATM Card Rules)?

    ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গেছে, আগে গ্রাহকরা কার্ডে কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন, তা ঠিক করত সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের সঙ্গে যে নেটওয়ার্ক সংস্থার চুক্তি থাকত, কেবল সেই নেটওয়ার্কের সুবিধাযুক্ত কার্ডই দেওয়া হত। কিন্তু নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্কগুলিকে এবার থেকে এটিএম কার্ডে (ATM Card Rules) গ্রাহকদের পছন্দ অনুসারে নেটওয়ার্ক সংস্থা ব্যবহার করতে দিতে হবে। সেই সংস্থা একটিই হবে, এমনও কথা নেই। হতে পারে একাধিক। নতুন কার্ড নেওয়ার সময় বা পুরনো কার্ড নবীকরণ করার সময় এই সুবিধা গ্রাহক পাবেন।

    কী এই নেটওয়ার্ক?

    সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ব্যাঙ্কগুলি থেকে মোট পাঁচটি নেটওয়ার্কের কার্ড দেওয়া হয়। এই নেটওয়ার্কগুলি হল ডিনার ক্লাব, ভিসা, রুপে, আমেরিকান এবং মাস্টার (ATM Card Rules)। এক এক নেটওয়ার্ক কার্ডে আবার দামের রকমফের হয়। উল্লেখ্য, ইউপিআই-এর সুবিধা রূপে কার্ডের মধ্যে পাওয়া যায়। নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করে কার্ডে ক্রয়-বিক্রয়ের অফারগুলির তারতম্য হয়ে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gandhi Jayanti: গান্ধী-শাস্ত্রী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ভারতকে শক্তিশালী করার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Gandhi Jayanti: গান্ধী-শাস্ত্রী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ভারতকে শক্তিশালী করার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ নয়াদিল্লিতে গান্ধীজি এবং লালা বাহাদুর শাস্ত্রীজিকে জন্ম জয়ন্তীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাপুর স্বপ্নপূরণে দেশের একতা এবং সম্প্রীতি রক্ষায় দেশকে শক্তিশালী করতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    গান্ধীজি-শাস্ত্রীজির জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন (Gandhi Jayanti)

    মহাত্মা গান্ধী এবং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালা বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিনে (Gandhi Jayanti) এদিন দিল্লির রাজঘাট এবং বিজয়ঘাটে পুষ্পার্ঘ্যের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজঘাটে গান্ধীজির স্মৃতিস্মারকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, “গান্ধীজি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন। তাঁর মানবতাবাদকে সারা বিশ্ব গ্রহণ করেছে।” শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি কিছুক্ষণ ধর্মীয় ভজন সঙ্গীতও শ্রবণ করেন মোদি।

    কী বার্তা দিলেন মোদি?

    গান্ধীজির (Gandhi Jayanti) প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদি বলেন, “গান্ধীজির জীবন এবং তাঁর শিক্ষা আমাদের চলার পথে বিশেষ আলো সঞ্চার করে। আজকের দিনে গোটা বিশ্ব, তাঁর মানবতাবাদ দ্বারা ঐক্যবদ্ধ। সেই সঙ্গে সমাজে তাঁর সহানুভূতির চেতনা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা তাঁর স্বপ্ন পূরণে নিরন্তর যেন কাজ করি। দেশের তরুণ প্রজন্মকেই  এই স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়ে দেশে একতা এবং সম্প্রীতি গড়ে তুলতে হবে।”

    অপর দিকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, “শাস্ত্রীজির জয় জাওয়ান জয় কিষাণ শ্লোগান আজকের দিনেও ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি ভারতের খুব কঠিন সময়ে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সঠিক দৃঢ় সিদ্ধান্তকে পাথেও করে, ভারতকে শক্তিশালী করার আরও কাজ করতে হবে।”

    গান্ধীজির পছন্দের ভজন জার্মান গায়িকার কণ্ঠে

    জার্মান গায়িকা ক্যাসমে, যিনি ক্যসান্দ্রা মে স্প্রিটম্যান নামে পরিচিত, তিনি গান্ধীজির (Gandhi Jayanti) অত্যন্ত প্রিয় ভজন “বৈষ্ণব জানা তো” নিজের কণ্ঠে গেয়েছেন। এই গানের ভিডিও সামজিক মাধ্যমে শেয়ার করে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন স্বয়ং মোদি। এই গানের তাৎপর্য এতটাই প্রাসঙ্গিক যে গান্ধীজির আদর্শ এবং তাঁর পছন্দের ভজন, সারা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করছে। মোদি তাই বলেছেন, “গান্ধীজির প্রভাব এখন বিশ্বব্যাপী, সমগ্র মানব জাতিকে ঐক্য আর সহানুভূতির ভাবনা মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। বাপুর স্বপ্নকে পূরণ করতে দেশের যুব সমাজকে দারুণ ভাবে কাজ করতে হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share