Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cricket World Cup 2023: বিশ্বকাপের ভিডিও প্রকাশ করল আইসিসি! প্রচারে শাহরুখ সমেত ক্রিকেট মহারথীরা

    Cricket World Cup 2023: বিশ্বকাপের ভিডিও প্রকাশ করল আইসিসি! প্রচারে শাহরুখ সমেত ক্রিকেট মহারথীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১১ সালের পর ফের ক্রিকেট বিশ্বকাপ (Cricket World Cup 2023) ভারতে। বিশ্ব ক্রিকেটের মহাযুদ্ধ শুরু হতে বাকি আর মাত্র ৭৭ দিন। বৃহস্পতিবারই তার প্রচার শুরু হল। আইসিসির তরফে বিশ্বকাপের প্রচারে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। এ ছাড়া প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটারদেরও দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপের প্রচারে। ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ এসেছিল ভারতের ড্রেসিং রুমে, এবার কি হবে? জানতে মুখিয়ে রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। বৃহস্পতিবার আইসিসির পক্ষ থেকে ২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। 

    প্রচারের নাম ‘ইট টেক্‌স ওয়ান ডে’

    ২০২৩ বিশ্বকাপ (Cricket World Cup 2023) প্রচারের নাম ‘ইট টেক্‌স ওয়ান ডে’। জানা গিয়েছে, পৃথিবীজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের একটি সূত্রে গাঁথার কারণেই এমন নাম দেওয়া হয়েছে। শাহরুখ ছাড়াও বিশ্বকাপের প্রচারে দেখা যাচ্ছে প্রাক্তন ক্রিকেটার জেপি ডুমিনি, দীনেশ কার্তিক, শুভমন গিল, গত বারের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক অইন মর্গ্যান, মুথাইয়া মুরলীধরন, জন্টি রোডস এবং জেমাইমা রদ্রিগেসের মতো মহারথীদের। গত বিশ্বকাপের বিভিন্ন মুহূর্তও দেখানো হয়েছে একটি ভিডিও-এর মাধ্যমে। আইসিসির দাবি, ক্রিকেট খেলা দেখার সময় সমর্থকদের মধ্যে যন্ত্রণা, সাহস, মহিমা, আনন্দ, আবেগ, শক্তি, গর্ব, সমীহ এবং বিস্ময়— এই নয় ধরনের অনুভূতি কাজ করে। পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে নবরস।

    কী বলছেন আইসিসির সিইও?

    আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালার্ডাইস বলেন, “এক দিনের ক্রিকেটের (Cricket World Cup 2023) সাহায্যে সত্যিকারের আনন্দকে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশেই এই প্রচার। সমর্থকই হোন বা ক্রিকেটার, প্রত্যেকেরই ম্যাচের সময় ন’রকমের অনুভূতি হয়। তাই নবরসকে তুলে ধরেছি আমরা। পাশাপাশি, ক্রিকেট এবং সিনেমার ভারতের মানুষের হৃদয়ে। তাই দু’টিকে মিলিয়ে দিয়ে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই আমরা।”

    কী বলছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ?

    বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ বলেছেন, “এক দিনের ফরম্যাটের তাৎপর্য রয়েছে। দুর্দান্ত মুহূর্ত, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এবং অপ্রত্যাশিত ফলাফল উপহার দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে যা গোটা বিশ্বের সমর্থকেরা উপভোগ করে। বিশ্বমানের একটা প্রতিযোগিতা উপহার দিতে চাই আমরা, যেখান থেকে আগামী প্রজন্মের নায়কেরা উঠে আসবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি! উপত্যকায় হানা এনআইএ-এর

    Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি! উপত্যকায় হানা এনআইএ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম দুই সন্ত্রাসবাদী। জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় এই অপারেশন চালায় সেনা। বুধবার সাত সকালেই পুলওয়ামায় বন দফতরের এক আধিকারিককে গুলি হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপরেই পাল্টা লড়াই শুরু করে সেনা। জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ, বিএসএফ এর একটি দল এই অপারেশন চালায় বলে জানা গিয়েছে। সেনার এই সাফল্যে বড়সড় কোনও নাশকতার ছকও বানচাল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী কী উদ্ধার হল মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে?

    মৃত দুই জঙ্গির পরিচয় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে ৪টি একে-৪৭ রাইফেল, ৬টি গ্রেনেড, এবং ৯টি ম্যাগাজিন। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে আরও যুদ্ধ সরঞ্জাম। মঙ্গলবারই উপত্যকার পুঞ্চ জেলায় ৪ জন জঙ্গির আত্মসমর্পণের খবর মেলে। ঠিক তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেল। জানা গিয়েছে অনুপ্রবেশের পরেই জঙ্গিরা হামলা চালায় পুলওয়ামা বন বিভাগের (Jammu And Kashmir) একটি চেক পোস্টে। তাদের ছোড়া গুলিতে জখম হন দুই কর্মী ইমরান ইউসুফ এবং জাহাঙ্গির আহমেদ। দুজনেই এখন সুস্থ আছেন বলে জাান গিয়েছে।

    জম্মু কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) চলছে এনআইএ হানা

    জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের খোঁজ চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্রের খবর গত সপ্তাহ থেকেই এই অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার সোপিয়ান, অবন্তীপোরা ও পুলওয়ামায় জেলায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। ইতিমধ্যে বেশকিছু জঙ্গি সংগঠনের নাম উঠে এসেছে। একনজরে সেগুলি দেখে নেব।

    ১) দ্য রেসিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট

    ২) ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট জম্মু ও কাশ্মীর

    ৩) মুজাহিদিন গজবা-উল-হিন্দ

    ৪) জম্মু ও কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্স

    ৫) কাশ্মীর টাইগার্স

    এনআইএ সূত্রে খবর, এই সংগঠনগুলিকে সাহায্য করছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ হিজাবুল মুজাহিদিন, আল-বদর ও আল-কায়েদা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Seema Haider: গ্রামীণ ভারতীয় মহিলার মতো সাজতে প্রশিক্ষণ নেন সীমা! দাবি গোয়েন্দাদের

    Seema Haider: গ্রামীণ ভারতীয় মহিলার মতো সাজতে প্রশিক্ষণ নেন সীমা! দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমার (Seema Haider) আদব-কায়দা এবং সাজপোশাক দেখে মনে হতেই পারে একেবার প্রান্তিক ভারতীয় মহিলা। তবে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ঠিক এমনভাবে সাজতে পেশাদার পোশাকশিল্পীদের সাহায্য নিয়েছিলেন সীমা হায়দার! ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র মারফত আরও খবর মিলেছে, ভারতীয় প্রান্তিক মহিলাদের পোশাক, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিলেন না সীমা (Seema Haider)। আর সেই কারণেই তাঁকে মেক-আপ নিতে হয়। শুধু তাই নয়, চার সন্তানের ড্রেস কোড কেমন, হবে তা ঠিক করেন পাবজি প্রেমিকা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন, নেপাল সীমান্তে মানবপাচারের কাজে যুক্ত থাকা অনেক মহিলা এক বিশেষ পোশাক পরেন। সীমা সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। আবার গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে বিভিন্ন ভাষার ওপর সীমার দক্ষতা। নিজেকে ফাইভ পাশ পরিচয় দিলেও সীমা গড়গড় করে ইংরেজি বলছেন।

    ২০১৯ থেকে সীমা-সচিনের পরিচয় 

    সীমার (Seema Haider) দাবি অনুযায়ী, অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় ২০১৯ সালে সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেখান থেকেই নাকি প্রেম। ২২ বছরের সচিনের প্রেমে পড়ে পাকিস্তান থেকে ছুটে আসেন ৩০ বছরের সীমা। তাঁর সঙ্গে আসে চার সন্তান, যাদের সবার বয়সই সাত বছরের কম। ভিসা ছাড়া নেপাল হয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করেন সীমা। এই অভিযোগে ৪ জুলাই গ্রেফতার হন সীমা। তাঁকে আশ্রয় দিয়ে গ্রেফতার হন সচিন এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল। পরে জামিনে ছাড়াও পান তাঁরা।

    কাঠমাণ্ডুর হোটেলে থাকেন তাঁরা ভারতে আসার আগে

    গোয়েন্দারা আরও জানাচ্ছেন, ভারতে আসার আগে সীমা (Seema Haider) ও সচিন দু’জনেই বেনামে হোটেল ঘর বুক করে এক সপ্তাহ ছিলেন কাঠমাণ্ডুতে। স্থানীয় ‘নিউ বিনায়ক হোটেল’-এর ২০৪ নম্বর রুমে ছিলেন সীমা-সচিন। তবে এই হোটেলের রেজিস্টার থেকে যুগলের নাম কোথাও পাওয়া যাবে না। কারণ, বেনামে হোটেল বুক করেছিলেন এই দম্পতি। জানা গিয়েছে হোটেলের এক কর্মী গণেশ রোকামগারের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে রিল শ্যুট করেছিলেন সচিন ও সীমা! আর সেটাই প্রমাণ ওই হোটেলে তাঁদের উপস্থিতির। হোটেল কর্মী বলছেন, ‘‘সচিন একাই এসে প্রথমে রুম বুক করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রী পরে আসবেন। হোটেল বুক করার সময় কোনও আইডি কার্ড জমা দেননি তাঁরা। শুধুমাত্র নিজেদের নাম রেজিস্টার খাতায় লিখে দিয়েছিলেন। যদিও সেটা নকল ছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে বিস্ফোরণ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মারে, মৃত ১৬

    Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে বিস্ফোরণ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মারে, মৃত ১৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) নতুন বিপদ। অলকানন্দা নদীর ধারে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় মঙ্গলবার রাতে। ফেটে যায় ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মার। আর তাতেই কম করে ঝরে গেল অন্তত ১৬টি প্রাণ। জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই শ্রমিক। এই ঘটনায় আহত কমপক্ষে ২১ জন। দুর্ঘটনায় এক পুলিশকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের সকলেই কোনও না কোনওভাবে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে একটি গোটা সেতু বিদ্যুৎবাহী (ইলেক্ট্রিফায়েড) হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সেতুটি নমামি গঙ্গা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল। গোটা সেতুটি বিদ্যুৎবাহী হয়ে যাওয়ায় সেই সেতুর উপরে কর্মরত প্রত্যকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যান। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই মারা গিয়েছেন বলে খবর। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে চামেলি জেলা প্রশাসন।

    কী বলছে চামোলি জেলা প্রশাসন?

    সূত্রের খবর মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজ চলছিল। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, আসে উদ্ধারকারী দলও। চামেলি পুলিশের এসপি পরমেন্দ্র ডোভাল নিজে ঘটনাস্থলের তদারকি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে বেশিরভাগজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের হেলিকপ্টারে করে ঋষিকেশ এইমসে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’ এদিনের ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় অসম (Assam Flood) সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। সরকারি হিসেব বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষ। এখানেই শেষ নয়, প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংখ্যা। ত্রাণ শিবিরে সংকুলান হচ্ছে না জায়গা। কিন্তু শুধুমাত্র মানুষ নয়। বন্যায় একই ভাবে দুর্গত হয়ে পড়েছে বন্য প্রাণীও। সড়ক পথে প্রাণ ভয়ে আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে, সাপ, হরিণ ইত্যাদিকে। বিপদসীমা তো কবেই পার হয়েছে, আপাতত ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্রের দাপটে জলোচ্ছ্বাস (Assam Flood) দেখা গিয়েছে কাজিরাঙার অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সেখানকার বন্য জীবন। অরণ্যের বাইরে লোকালয়ে তাদের দেখা মিলছে। বন্যা কবলিত অসমে কাজিরাঙার অন্যতম বড় আকর্ষণ আগোরাতলি রেঞ্জও জলের তলায়। ফি বছর এখানে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়। কয়েক জায়গায় তো জলস্তরের উচ্চতা সাত ফুট ছুঁয়েছে। ফলে সেই এলাকায় যে বন্য জন্তু-জানোয়ারের বসবাস, তাদের প্রাণ বাঁচাতে জায়গা ছাড়তে হচ্ছে। কিন্তু যাওয়ার তো জায়গা নেই, তাই ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে।

    লোকালয়ে বন্য প্রাণী, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    লোকালয়ে বন্য প্রাণী ঢুকলে তা নিশ্চিতভাবেই আতঙ্কের কারণ। বিভিন্ন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘আমরা সঙ্গে নিয়ে এসেছি গোরু, মহিষ এবং গবাদি পশুগুলিকেও। কারণ এইগুলিই আমাদের আয়ের উৎস। ভয় লাগছে এই গবাদি পশুগুলিকেও আক্রমণ করতে পারে বন্য প্রাণীরা। কারণ চিতা, বন্য শূকর এবং অন্যান্য প্রাণী আমাদের ক্যাম্পের কাছে চলে আসছে। তাই স্বেচ্ছাসেবকরা এখন রাতে মশাল জ্বালিয়ে ওই প্রাণীগুলিকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।’’

    চোরা শিকারিদের উৎপাত বাড়তে পারে এইসময়

    সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ৬৮টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গল ক্যাম্প আপাতত জলের তলায় (Assam Flood)। অরণ্যে বসবাসকারী পশুরা প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গল ছেড়ে উঠে পড়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায়। আবার কিছু পশুকে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হতেও দেখা যাচ্ছে। বিগত বছরগুলিতে চোরাশিকারিদের উৎপাত বন্ধ করা গেছে সরকারি কড়া পদক্ষেপে। বন্য জন্তুদের প্রাণ বাঁচাতে বিজেপি সরকারের এমন উদ্যোগ দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তবে বন্যার (Assam Flood) এমন পরিস্থিতিতে তাদের উৎপাত ফের বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পর্যবেক্ষকরা বলছেন,  এই সময়েরই অপেক্ষায় থাকে চোরাশিকারিরা। কারণ, এই সময় পশুরা বিভ্রান্ত থাকে। ফলে তাদের ফাঁদে ফেলে মেরে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। বন দফতরের কর্মীদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। এছাড়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাতেও প্রাণ যাচ্ছে বন্য জন্তুদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rhea Chakraborty: সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা! রিয়ার জামিনের বিরোধিতা প্রত্যাহার করল সিবিআই

    Rhea Chakraborty: সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা! রিয়ার জামিনের বিরোধিতা প্রত্যাহার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তাঁরই ফ্ল্যাট থেকে। রাজপুতের মৃত্যুর পরেই আঙুল ওঠে তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) দিকে। তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হন রিয়া। হাজতবাসও করতে হয় রিয়াকে। রিয়ার গ্রেফতারির চারদিন আগে অ্যারেস্ট করা হয় তাঁর ভাই সৌভিককে। পরে অবশ্য দুজনেরই জামিন মেলে। এক লক্ষ টাকার বন্ড দিয়ে জামিন নেন রিয়া। কিন্তু মামলা চলতে থাকে। এরপরের বছরগুলিতে সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি রিয়ার। সম্প্রতি ‘রোডিস’ নামের একটি টিভি শোতে মেন্টরের ভূমিকা দেখা যাচ্ছে তাঁকে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রিয়ার জীবন! ছাড়ছে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার আইনি জটও। 

    স্বস্তি পেলেন রিয়া (Rhea Chakraborty)…

    সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়াকে। জানা গিয়েছে, রিয়া (Rhea Chakraborty) জামিন পেলে, ২০২০ সালের অক্টোবরে সেই বেল-এর বিরোধিতা করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। এ বার সিবিআইয়ের তরফে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। বোম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এনডিপিএস আইনের ধারা ২৭এ অনুসারে (অবৈধ ভাবে অর্জিত অর্থ, তার অনৈতিক লেনদেন এবং অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য একজনকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জন্য জেল হতে পারে) একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রিয়ার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগটি তুলে নেওয়া হল।

    সুশান্তর সঙ্গে ভিডিও পোস্ট রিয়ার

    তবে ফি বছর সুশান্তর জন্মদিন অথবা মৃত্যুদিনে তাঁকে নিয়ে পোস্ট করেন রিয়া (Rhea Chakraborty)। চলতি বছরের জুন মাসেছিল সুশান্তের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এইসময় রিয়া সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন একটি আদুরে ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, লাদাখের পাহাড়ি পরিবেশে পরস্পরকে আগলে বসে রয়েছেন রিয়া-সুশান্ত। দুজনকে হাসতে আর আলিঙ্গন করতেও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে লাদাখ ঘুরতে গিয়েছিলেন দুজনে, খুব সম্ভবত সেই সময়ের ভিডিও এটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Seema Haider: সীমা কি পাক-গুপ্তচর? চলছে জেরা, বেশ কিছু প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

    Seema Haider: সীমা কি পাক-গুপ্তচর? চলছে জেরা, বেশ কিছু প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমা হায়দার (Seema Haider) কি পাক গুপ্তচর? তার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার যোগ রয়েছে? তথ্য পাচার করতেই কি তার দেশে আসা? আপাতত এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে যোগী রাজ্যের পুলিশের এটিএস। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ এটিএস পাকিস্তানি নাগরিক সীমাকে হেফাজতে নিয়েছে। তাঁকে গোপন ডেরায় রেখে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পাবজি খেলতে প্রেমে পড়েন উত্তরপ্রদেশের সচিনের। প্রেমের টানেই ভারতে আসা, এমনটাই দাবি করেছিলেন সীমা। চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে গিয়েছিলেন সীমা এবং তাঁর বর্তমান স্বামী নয়ডার রবুপুরার সচিন মীণা। কিন্তু পরে জানতে পারা যায়, তাঁদের দুজনকে হেফাজতে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশে এটিএস। যোগী পুলিশের একটি সূত্র অবশ্য দাবি করছে, এখনও পর্যন্ত সীমাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁর কাকা পাকিস্তান সেনার সুবেদার ছিলেন। সীমার ভাই পাক সেনায় কর্মরত রয়েছে বর্তমানে। তাই সীমার পাক-সেনা যোগ আরও জোরালো হচ্ছে। সীমার কাছে মিলেছে নেপাল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পাসপোর্ট। নেপালের কাঠমাণ্ডুতে চলতি বছরের মার্চে দেখা করেন সচিন ও সীমা। সেখানে তাঁরা যে হোটেলে ছিলেন সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।

    জেরায় কী কী তথ্য উঠে এল? 

    জানা গিয়েছে, সীমার (Seema Haider) পাসপোর্ট, মোবাইল ফোনের তথ্য, এসব কিছুই খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত জেরা করার পর রবুপুরার বাড়িতে ফের ছেড়ে দেওয়া হয় সীমাকে। মঙ্গলবার সকালে আবার এটিএস পৌঁছায় সচিনের বাড়িতে। এরপর গোটা পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হয় জেরার জন্য। জানা গিয়েছে, সীমা সত্যি কথা বলছেন নাকি মিথ্যা! তা খতিয়ে দেখতে পলিগ্রাফ টেস্টও হবে। নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছেন বলে দাবি সীমার। পুলিশকে ভাবাচ্ছে, কী ভাবে গ্রেটার নয়ডায় কোনও রকম বাধা ছাড়াই ঢুকে পড়লেন সীমা? উঠছে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন, কেন ওই সময় সীমার কোনও নথি বা কাগজ পরীক্ষা করা হল না? নথি পরীক্ষার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন,তাঁরা কী করছিলেন? সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে শুধু উত্তরপ্রদেশ এটিএস-ই নয়, দেশের অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থারও জেরার মুখে বসতে হতে পারে সীমাকে। তাঁর হোয়াট্‌সঅ্যাপ কথোপকথন এবং ফোন কল ডিটেলও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    কী বলছেন সীমার (Seema Haider) পাকিস্তানি স্বামী?

    এদিকে সীমার (Seema Haider) স্বামী পাকিস্তানি গুলাম হায়দর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের পাকিস্তানে ফেরৎ পাঠানো হোক। কিন্তু অন্যদিকে সীমার পরিবার অবশ্য মেয়েকে আর চান না। তাঁদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সীমা থাকুন ভারতে। কিন্তু সীমার সন্তানদের পাকিস্তানে ফেরৎ পাঠানোর দাবি জানিয়েছে সীমার বাপের বাড়ি। অন্যদিকে, সীমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মুম্বই পুলিশের কাছে হুমকি ফোন এল। হুমকিতে বলা হয়েছে, সীমাকে পাকিস্তানে না ফেরালে আবার ২৬/১১-র মতো হামলা হতে পারে। সীমার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতেও শোরগোল চলছে। সে দেশের সিন্ধ প্রদেশের বিধানসভায় সীমার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North India Flood: বর্ষায় হিমাচলে মৃত ১২০, দিল্লিতে নামছে যমুনার জল, বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    North India Flood: বর্ষায় হিমাচলে মৃত ১২০, দিল্লিতে নামছে যমুনার জল, বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে বন্যা (North India Flood) পরিস্থিতির কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। ত্রাণ শিবিরগুলিতে দুর্গতদের ভিড়। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ, সেনা, পুলিশ।   দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি খারাপ। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু হিমাচল প্রদেশেই বর্ষার কারণে ১২০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

    হিমাচলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    পাহাড়ে অনবরত ধস নামছেই, যার জেরে বন্ধ করা হয়েছে রাজ্যের ছোট বড় সাতশো রাস্তা। এর পাশাপাশি চলছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি (North India Flood) এবং হড়পা বানের দাপট। জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। সোমবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে রাস্তাঘাট, সেতু এবং বাড়িঘর চলাচল এবম বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। হাওয়া অফিস বলছে, ২৪ জুন হিমাচল প্রদেশে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। অর্থাৎ একমাসও হয়নি। বর্ষার কারণে রাজ্যে মোট ৪,৬৩৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    হিমাচল প্রদেশ এবং দিল্লির মতোই বর্ষায় উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। একনাগাড়ে বৃষ্টিতে (North India Flood) সেখানে গঙ্গার জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। গঙ্গা ছাড়াও বাকি পাহাড়ি নদীগুলি বিপদসীমার ওপর দিয়েই বইছে বলে জানা গিয়েছে। দেবপ্রয়াগ এবং হরিদ্বারে গঙ্গার জলস্তরের ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে। গঙ্গার জলস্তর পৌঁছেছে ৪৬৩.২০ মিটারে। হরিদ্বারে গঙ্গার জলস্তর পৌঁছেছে ২৯৩.১৫ মিটারে।প্রসঙ্গত বিপদসীমা হল ২৯৩ মিটার।

    দিল্লিতে একটু একটু করে নামছে যমুনার জল

    লাগাতার বৃষ্টিতে (North India Flood) ভেসে গিয়েছিল দিল্লির বিস্তীর্ন এলাকা। যমুনার জলেসদিল্লির ৬ জেলা প্লাবিত হয়েছিল।পরিসংখ্যান বলছে, এমন বন্যা দিল্লিতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে। লালকেল্লা, কাশ্মীরি গেট, এমনকী সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেও জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আশার কথা,  রবিবার থেকেই একটু একটু নামছিল যমুনার জল। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই বিপদসীমার নীচে নেমে যাবে জলস্তর।

    পূর্ব ভারতের অসমে বন্যা পরিস্থিতি

    শুধু উত্তর ভারত নয়, অসমে বন্যা (North India Flood) পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বলছে, সেখানের ১০টি জেলা এখনও বন্যা কবলিত। এর জেরে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ১ লাখ মানুষ। জানা গিয়েছে, বন্যায় সব থেকে ক্ষতি হয়েছে গোলাঘাট এবং ধেমাজি জেলায়। গোলাঘাট এলাকায় প্রায় ২৯ হাজার জন, ধেমাজি জেলার প্রায় ২৮ হাজার জন এবং শিবসাগরের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বাসিন্দা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র এখনও কিছু জেলায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে এত বিতর্ক কেন? কী আছে এতে?

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে এত বিতর্ক কেন? কী আছে এতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমগ্র ভারতবর্ষে এখন একটি বিষয় নিয়ে সব থেকে বেশি চর্চা ও সমালোচনা চলছে। আর সেটি হল UCC বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড, যাকে বাংলায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও বলা হয়। এই আইন বাস্তবায়ন করার জন্য অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে। আসলে এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অনুযায়ী ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতবর্ষের সমস্ত নাগরিককে একটি অভিন্ন আইনের ছত্রচ্ছায়ায় আনা হবে। প্রত্যেক ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের জন্য একই আইন প্রণয়ন হবে। আর এই সিভিল কোড যদি একবার কার্যকর হয়, তাহলে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তান দত্তক, সম্পত্তি ভাগ প্রভৃতি বিষয়ে সকল নাগরিকদের জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে। সংবিধানের ৪৪ নং ধারায় এই আইন নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা করা হয়েছে। এই ৪৪ নং ধারায় বলা হয়েছে “রাষ্ট্র ভারতের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবে।”

    ভারতীয় ইতিহাসে অভিন্ন নাগরিক আইন (UCC) সম্পর্কিত কিছু মামলা

    ভারতের সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে মহম্মদ আহমেদ খান বনাম শাহবানু বেগমের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সংসদকে এই অভিন্ন নাগরিক আইন গঠনের উপদেশ দেয়। এই মামলাটি ছিল ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারা অনুযায়ী তিন তালাক পাওয়ার পর স্বামীর কাছে থেকে ভরণপোষণের সমস্ত অধিকার পাওয়া সংক্রান্ত। কিন্তু ১৯৮৬ সালে মুসলিম মহিলা আইন নিয়ে এসেই এই সুপ্রিম কোর্টের মামলাটিকে সম্পূর্ণ রূপে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এই আইন অনুসারে একজন মুসলিম মহিলা তালাক পাওয়ার পর তাঁর কোনও ভরণপোষণের দায়িত্ব চাওয়ার অধিকার ছিল না। অবশেষে ২০১৭ সালে তিন তালাক বা তালাক-ই-বিদাতকে অসাংবিধানিক বা আইন-বিরুদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। আবার আরেকটি মামলা চর্চায় এসেছিল ১৯৯৫ সালে, যা হল সরলা মুদ্গাল মামলা। এটি ব্যক্তিগত আইনের মধ্যে দ্বি-বিবাহ ও বিবাহ সম্পর্কিত মতবিরোধের বিষয়গুলিকে সামনে নিয়ে এসেছিল।

    UCC -র পক্ষে যুক্তি কী?

    আমাদের ভারতবর্ষ এক বৈচিত্র্যময় দেশ এবং এখানে অনেক ধর্ম ও জাতির মানুষ বসবাস করে এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত আচার আচরণ ভিন্ন ভিন্ন। এর ফলে অভিন্ন নাগরিক আইন বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড (UCC) সমগ্র দেশকে একত্রিত করতে সাহায্য করবে। স্বাধীনতার সময় এই একত্রিত করার কাজ অনেকটা সম্পূর্ণ হলেও UCC এর মাধ্যমে এই একতা আরও বেশি জোরালো হবে বলে ধারণা। সমগ্র ভারতবর্ষের বিভিন্ন ধর্ম, জাতি ও বর্ণের মানুষকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার জন্য এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড যথাযথ। কোনও বৈষম্য ছাড়াই সমতার ধারণা আরও শক্তিশালী করা অর্থাৎ সকলকে এক করা এর উদ্দেশ্য। মানব জাতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব এই আইনের মাধ্যমে।

    UCC বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা কোথায়?

    ধর্ম, বর্ণ, ঐতিহ্য প্রথা সমগ্র ভারতে অঞ্চল অনুসারে ভিন্ন। অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু মনে করেন যে এতে তাঁদের ব্যক্তিগত ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর সীমারেখা টানা হচ্ছে। ফলে এটি (UCC) ধর্মের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করছে। ভারতবর্ষে এই নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে ভারতের সমগ্র জাতি, বর্ণ ও ধর্মের মানুষকে একত্রিত করা সম্ভব। কিন্তু অপরদিকে বেশ কিছু মৌলিক অধিকারের সঙ্গে এর কয়েকটি অমিল রয়েছে। সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় বিচারবুদ্ধির স্বাধীনতা, ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশ্যে তুলে ধরার স্বাধীনতা, ধর্মীয় রীতি পালন করার স্বাধীনতা, ধর্মের প্রচারের অধিকার প্রভৃতিকে লঙ্ঘন করছে এই আইন, এমনটাই বলছেন এর বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North India Flood: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচলে মৃত ১! বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    North India Flood: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচলে মৃত ১! বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতির (North India Flood) কারণে জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত উত্তর ভারতে। রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮৯ ছুঁয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার হিমাচলে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অর্থাৎ মোট মৃত ৯০। হিমাচল, জম্মু কাশ্মীর, হরিয়ানা, দিল্লি সর্বত্র স্বাভাবিক জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। গত কয়েক দিন ধরে একটানা প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লির জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। বন্যা পরিস্থিতি (North India Flood) এতটাই ভয়ঙ্কর যে লালকেল্লার দেওয়ালেও যমুনার জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। গোটা রাজধানী যেন নেমে এসেছে ত্রাণশিবিরে। অন্যদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে সে রাজ্যের ১৩টি জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রবিবারই চার রাজ্যে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডও।

    মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচলে মৃত ১

    সূত্রের খবর, সোমবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কুলুতে মারা গিয়েছেন এক জন। জানা গিয়েছে, কুলুর কাইস এব‌ং নিয়োলি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় এদিন সকালে। এর জেরে দু’জন আহত বলে জানা গিয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির (North India Flood) দাপটে ভেঙে পড়েছে দু’টি বাড়ি। ইতিমধ্যে হিমাচলের চার জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কুলুর কিয়াস গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মারা গিয়েছেন এক জন। আহত তিন জন। ন’টি যান ভেঙে গিয়েছে।’’

    যমুনার জলস্তর নামছে দিল্লিতে

    অন্যদিকে সোমবার সকালের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধীরে ধীরে যমুনার জলস্তর নামছে দিল্লিতে। জানা গিয়েছে, যমুনার জল আগের তুলনায় সামান্য সামান্য বৃদ্ধি পেলেও এখন তা বিপদসীমার নীচেই রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে দিল্লির বন্যা (North India Flood) হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। হরিয়ানায় জল ছাড়ার কারণেই ফুঁসছে যমুনা। তথ্য বলছে, সোমবার সকাল ৭টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৪৮ মিটার। ভোর চারটেয় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৪৫ মিটার। কেন্দ্রীয় জল কমিশন অনুমান করছে পরিস্থিতি উন্নত হবে।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    বৃষ্টিতে এখনও বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। ধসের কারণে বন্ধ হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। জানা গিয়েছে, দেবভূমির দেবপ্রয়াগে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে গঙ্গা। হরিদ্বারেও জলস্তরের ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এনিয়ে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, রবিবার গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৯৩.৫ মিটার। বিপদসীমার মাপকাঠি ২৯৩ মিটার। এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টিতে হরিদ্বার তহসিল, লাকসার, রুরকি ইত্যাদি স্থানের ৭১ টি গ্রাম ভেসে গিয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ৩,৭৫৬টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৮১টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে। সাতটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বন্যা পরিস্থিতির (North India Flood) কারণে। হরিদ্বারে ভারী বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি সেতু, ১৭টি রাস্তা। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা, পুলিশ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share