Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandrayaan 3: ১৩ জুলাই চাঁদের দেশে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩, ঘোষণা ইসরোর

    Chandrayaan 3: ১৩ জুলাই চাঁদের দেশে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩, ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। চন্দ্রযান-২ মিশনে অবতরণের ঠিক প্রাক মুহূর্তে ভেঙে পড়ে ল্যান্ডার বিক্রম। প্রধানমন্ত্রীর সামনে সেদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন। ৪ বছরের অপেক্ষা ও ইসরোর পরিশ্রমের পর ফের একবার চাঁদের মাটি ছোঁয়ার স্পর্ধা দেখাতে চলেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)।  একবার ব্যর্থ হলেও এবার প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না ইসরো। বুধবারই চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণের দিন ঘোষণা করে দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি?

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) কবে পাড়ি দিচ্ছে

    জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ জুলাই দুপুর আড়াইটে নাগাদ চাঁদের দেশে রওনা দেবে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের সবচেয়ে ভারী লঞ্চ ভেহিকেল থেকে। এই লঞ্চ ভেহিকেলের নাম মার্ক-৩। এই মিশনটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৬১৫ কোটি টাকা।

    চাঁদের মাটিতে নেমে দু সপ্তাহ গবেষণা চালাবে

    ইসরো সূত্রে খবর, চন্দ্রযান-২ অভিযানে পাঠানো অরবিটরটি এখনও ভালোভাবেই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। তাই এবারের অভিযানে ইসরো আর কোনও অরবিটার পাঠাবে না চাঁদের কক্ষপথে। চাঁদের মাটিতে নামতে কক্ষপথে থাকা চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারেরই সাহায্য নেওয়া হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর সঙ্গে যাওয়া ল্যান্ডার আর তার ভিতরে থাকা রোভার চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে।

    চাঁদের দেশে রোভারের কাজ

    চাঁদের মাটিতে নেমে রোভারটি গবেষণা চালাবে দু’সপ্তাহ। যার জন্য এসা-র পাশাপাশি নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কেরও সাহায্য নেবে ইসরো। কী কারণে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের সফ্ট ল্যান্ডিং সফল হয়নি, তা নিয়েও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে ইসরো। সেখানে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন আসল কারণ।

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    চন্দ্রযান ২-এর সময় যা ঘটেছিল

    এর আগে, ২০১৯ সালে চাঁদের বুকে অবতরণের চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরো। সেটিই ছিল চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম প্রয়াস। চন্দ্রযান ২-কে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল জিএসএলভি রকেট। তাতে ছিল একটি ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও একটি রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর। মূলত, চাঁদে জলের অস্তিত্বর প্রমাণের খোঁজ করা এবং পৃথিবীর উপগ্রহের মাটি ও তার তলায় থাকা খনিজের সন্ধান করাই ছিল প্রজ্ঞানের লক্ষ্য।

    কিন্ত, অবতরণের ঠিক আগে মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান ২-এর। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ ও অবতরণ স্থল থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়ে অবশেষে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) চন্দ্রযান ২।

    চন্দ্রযান ৩ নিয়ে সতর্ক ইসরো

    চার বছর আগের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ ইসরো। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এ (Chandrayaan 3)। যেমন প্রথমেই অবতরণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ল্যান্ডার ও রোভার নামানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • PM Modi: পরিবেশ রক্ষায় সাফল্য মোদির! ৯ বছরে সৌরশক্তির ব্যবহার অভূতপূর্ব

    PM Modi: পরিবেশ রক্ষায় সাফল্য মোদির! ৯ বছরে সৌরশক্তির ব্যবহার অভূতপূর্ব

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অথর্ববেদ বলে, ‘‘পৃথিবী হল আমাদের ধরিত্রী মাতা এবং আমরা তার সন্তান।’’ ভারতীয় দর্শন এবং জীবনশৈলী সর্বদাই বলে প্রকৃতির সঙ্গে সহাবস্থানের কথা। বিগত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Pm Modi) নেতৃত্বে ভারত বিশ্বগুরু হয়েছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যথেষ্ট সফলতা মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শপথ নেন ২০১৪ সালে। তখন থেকেই পরিবেশ নীতিতে বড় পরিবর্তন দেখা যায়। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গ্লাসগোতে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে প্রথম ব্যবস্থা ব্যক্তিগত স্তরে নিতে হবে।’’

    দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বনাঞ্চলের সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে সারা পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ বাঘের বাসস্থান আমাদের ভারতবর্ষে। আমাদের দেশে ওয়াইল্ডলাইফ ডাইভারসিটি নতুন মাত্রা পেয়েছে মোদির আমলে আফ্রিকান চিতার আগমনে। চলতি বছরেই আফ্রিকা থেকে আনা হয় বেশ কয়েকটি চিতার শাবক। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশ তাদের জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারছে না, সেখানে ভারতে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। বিগত ৯ বছর ধরে মোদি সরকারের নমামি গঙ্গে প্রকল্প নদী দূষণের মাত্রাকে কমিয়েছে। নদীপাড়ের শহরগুলির সৌন্দার্যায়ন এবং মানুষের জীবন জীবিকারও উন্নতি হয়েছে এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে। বিগত ৯ বছর ধরে আমাদের দেশ সাক্ষী থেকেছে পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যাপক ব্যবহারের। অসংখ্য উদ্যোগ এক্ষেত্রে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে কম খরচে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে পুনর্নবীকরণ শক্তির সাহায্যে। মোদি সরকারের অন্যতম সাফল্য হল, উজ্জ্বালা যোজনা। যেখানে কয়েক কোটি মানুষকে গ্যাস প্রদান করা হয়েছে এবং এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের দূষণের মাত্রা কমেছে। কারণ তাঁরা আজ আর উনুনে রান্না করেন না। সারা দেশে কমানো গেছে প্লাস্টিকের ব্যবহার।

    এক নজরে আমরা দেখে নেব, বিগত ৯ বছরে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মোদি সরকারের (Pm Modi) সাফল্য 

    ১) ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে রেকর্ড সংখ্যায় রয়েছে বাঘ। বর্তমানে দেশে বাঘের সংখ্যা হল ৩,১৬৭, যা সারা বিশ্বের ৭৫ শতাংশ। 

    ২) নমামি গঙ্গে প্রকল্পে ৩৫ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    ৩) ২০১৪ সালের পরে দেশে পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

    ৪) ২০১৪ সালে সৌরশক্তির ব্যবহার দেশে বেড়েছে ২,৩০০ গুণ। ৩৫ লক্ষ কৃষি পাম্প বসানো হয়েছে সৌরশক্তির সাহায্যে।

    ৫) উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ৩৭ কোটি এলইডি বাল্ব। 

    ৬) ভারতের বারোটি সমুদ্র সৈকত পেয়েছে ব্লু ফ্লাক্স সার্টিফিকেশন।

    ৭) জম্মু-কাশ্মীরের পালি দেশে প্রথম কার্বন মুক্ত পঞ্চায়েত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

    ৮) রাজস্থানে পৃথিবীর বৃহত্তম সৌর পার্ক স্থাপন হয়েছে।

    ৯) গোবর্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে বায়োগ্যাস তৈরিতে দেশে উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে।

     

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় নির্মাণ হচ্ছে রাম মন্দির! প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য নতুন উচ্চতায়

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    আরও পড়ুন: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    আরও পড়ুন: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

  • Yogi Adityanath: ফের এনকাউন্টার যোগী রাজ্যে! ভোররাতে পুলিশের গুলিতে খতম গ্যাংস্টার

    Yogi Adityanath: ফের এনকাউন্টার যোগী রাজ্যে! ভোররাতে পুলিশের গুলিতে খতম গ্যাংস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে কোর্টে ট্রায়াল চালানোর দিন ২০১৭ থেকেই শেষ হয়েছে। যোগী সরকার (Yogi Adityanath) ক্ষমতায় আসার পরে মোট ১১,০০০ এনকাউন্টার সংঘটিত হয়েছে সে রাজ্যে। খতম হয়েছে ১৮৫ দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার সাত সকালে এনকাউন্টারে মৃত্যু হল আরও এক গ্যাংস্টারের। মহম্মদ গুফরান নামের ওই সমাজবিরোধীর বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং ডাকাতির একাধিক অভিযোগ ছিল বিভিন্ন জেলায়। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তার।

    মাথার দাম ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার

    জানা গিয়েছে, মহম্মদ গুফরানের বিরুদ্ধে ১৩টি গুরুতর অভিযোগ ছিল পুলিশের কাছে। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। এদিন উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলায় তার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে গুফরান কোথায় রয়েছে। সেই মতো পরিকল্পনা সাজায় পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে কৌশাম্বীর সমদা সুগার মিলের কাছে গুফরানের গোপন ডেরায় আচমকাই হানা দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর পুলিশকে দেখে গুফরান পালানোর চেষ্টা করে। বাইকে চড়ে সে পালাচ্ছিল বলে খবর। পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। এরপরই শুরু হয় গুলির লড়াই। ভোর ৫টা নাগাদ এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর। ঘটনাস্থল থেকে গুফরানের বাইক এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। গুফরানের এনকাউন্টার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।

    কী বলছে পুলিশ?

    কৌশাম্বীর এসপি ব্রিজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘গুফরানের মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তার সন্ধান দিতে পারলে বা তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ওই পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পুলিশ। গুলিবিদ্ধ গুফরানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের এনকাউন্টারে যারা নিহত হয়েছে, তারা সকলেই সমাজবিরোধী। হিসাব বলছে, গত ছ’বছরে উত্তরপ্রদেশে গড়ে ১৩ দিনে অন্তত এক জন করে অভিযুক্ত নিহত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! মঙ্গলবার ১০ লক্ষ বুথে কর্মীদের পাঠ দেবেন মোদি

    Narendra Modi: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! মঙ্গলবার ১০ লক্ষ বুথে কর্মীদের পাঠ দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সারা দেশে বিরোধীরা অনেকটাই কোনঠাসা। মোদি সরকারের (Narendra Modi) ৯ বছর পরেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বইছে বিপুল হাওয়া। এবার বুথ কর্মীদের পাঠ দেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ২৭ জুন মধ্যপ্রদেশ থেকে ভার্চুয়ালি ১০ লক্ষ বুথে পৌঁছাবে মোদির ভাষণ। সারা দেশের বুথ কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী দিশা দেখাবেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে।

    সম্পূর্ণ কর্মসূচির বিবরণ

    ২৭ জুন মধ্যপ্রদেশ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিজেপি সূত্রে খবর, দু’দিনের এই সফরে আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পের কার্ড বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি দেশ জুড়ে বিজেপির ১০ লক্ষ বুথের কর্মী ও নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন ৯ জন নেতাকর্মী। পাশাপাশি, ২৭ জুন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি রোড শো করারও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই রোড শোয়ের মাধ্যমেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজাতে চলেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, শাহদোলে বীরাঙ্গনা দুর্গাবতী যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশ জুড়ে ১০ লক্ষ বুথের কর্মীদের ভার্চুয়াল মাধ্য়মে পাঠ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, “মেরা বুথ, সবসে মজবুত”। বৈঠকে একদিকে প্রধানমন্ত্রী যেমন প্রতিটি রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক অবস্থা, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি, রাজ্যগুলির আঞ্চলিক ইস্যু জানবেন, তেমনই আসন্ন বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কীভাবে সংগঠন মজবুত করা যায়, সেই পাঠও দেবেন। মোদির ভোপাল সফরের একদিন আগে ২৬ জুন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ভোপালে যাবেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষ ভাগেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: ভারী বৃষ্টিপাত উত্তরাখণ্ডে! মৃত ২, জারি কমলা সতর্কতা

    Uttarakhand: ভারী বৃষ্টিপাত উত্তরাখণ্ডে! মৃত ২, জারি কমলা সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক ঘোষণা করেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ থাকবে কেদারনাথ যাত্রা। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে গিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি খুঁটিয়ে দেখেন রবিবারই। ধস প্রবণ এলাকায় মোতায়েন করা হয় জেসিবি। সূত্রের খবর, বর্ষায় ভারী বৃষ্টি নামতেই এদিন দেবভূমিতে মৃত্যু হল কমপক্ষে দু’জনের। একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধস, রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো খবরও মিলেছে। বেশ কয়েকটি জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা (Orange Alert)। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতি আগামী বেশ কয়েকদিন ধরেই চলবে। এদিকে, কেদারনাথের মন্দির বন্ধ হলেও জারি রয়েছে চার ধাম যাত্রা।

    কী বলছেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী?

    ভারী বর্ষার মধ্যে তীর্থযাত্রীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। রবিবার তিনি বলেন, পুণ্যার্থীরা যেন চার ধাম যাত্রা শুরু করার আগে অবশ্যই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নেন। রবিবারই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কন্ট্রোল রুমে যান মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি গোটা পরিস্থিতির খবর নেন। জেলায় জেলায় ত্রাণ শিবির খোলার নির্দেশ রবিবারই দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি সকল পুণ্য়ার্থীদের কাছে অনুরোধ করছি, যদি আবহাওয়া খারাপ হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে যাত্রা বন্ধ করে দিন। যাত্রা শুরু করার আগে মৌসম ভবনের পূর্বাভাসও অবশ্যই দেখে নেবেন”। নদীর পাড়ে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদেরও অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ হড়পাবানের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে ভারী বৃষ্টিতে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থাও করতে বলেছেন তিনি।

    দু’জনের মৃত্যু

    এদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে রবিবার রুদ্রপ্রয়াগে ধস নামে। ভয়াবহ ধসে পাথরের নীচে চাপা পড়ে যায় তিনটি গাড়ি। গাড়ির মধ্যে থাকা অনিল বিস্ত (৫০) নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরাকাশী জেলার পুরোলা তেহশিলে বৃষ্টির মধ্য়ে ধান রোপণ করছিলেন বছর কুড়ির অভিষেক। সেসময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath Yatra: ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা!

    Kedarnath Yatra: ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ হল কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra)। আনুষ্ঠানিক ভাবে একথা জানিয়েছেন রুদ্রপ্রয়াগের জেলা শাসক ময়ূর দীক্ষিত। সূত্রের খবর, সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫,৮২৮ জন তীর্থযাত্রী সোন প্রয়াগে থেকে এদিন কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra) শুরু করেছিলেন।

    সূত্রের খবর, রবিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি আচমকাই চলে যান বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। জানা গিয়েছে, বৃষ্টি পরিস্থিতির রিপোর্ট নিতেই এদিন তিনি হানা দেন। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হরিদ্বারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭৮ মিমি, দেরাদুনে ৩৩ মিমি এবং উত্তরকাশীতে ২৭ মিমি।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যের প্রশাসনকে এদিন সমস্তরকম ভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। দুর্গতদের রাত্রিবাসের জন্য প্রতিটি জেলায় ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে। ধসের কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে এমন অঞ্চলগুলিতে আগে থেকেই রাখা হচ্ছে জেসিবি মেশিন।’’ জানা গিয়েছে এদিন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মীদেরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।

  • Emergency: ‘‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল জরুরি অবস্থা’’, মত প্রধানমন্ত্রীর

    Emergency: ‘‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল জরুরি অবস্থা’’, মত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুন ১৯৭৫, কংগ্রেস শাসনের স্বৈরতান্ত্রিকতার চরম নজির সেদিন দেখেছিলেন ভারতবাসী। দেশে জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যা চলেছিল ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। অভিযোগ, এই সময়ে গোটা দেশকে কার্যত কারাগারে পরিণত করেছিল কংগ্রেস সরকার। রবিবার জরুরি অবস্থা ঘোষণার ৪৮ তম বর্ষপূর্তি। মিশর সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এদিন সেই অন্ধকারময় দিনগুলির কথা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এ দিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইতিহাসের অবিস্মরণীয় সময় ছিল জরুরি অবস্থার (Emergency) দিনগুলি।”

    তাঁর আরও সংযোজন, “জরুরি অবস্থার যারা বিরোধিতা করেছিলেন এবং আমাদের গণতন্ত্রের অন্তরাত্মাকে ধরে রাখতে লড়াই করেছিলেন, সেই সমস্ত সাহসী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। জরুরি অবস্থার অন্ধকারময় দিনগুলি ইতিহাসের অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত।”

    বিজেপি নেতৃত্বেরও একাধিক পোস্ট এদিন সামনে আসে

    বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব জরুরি অবস্থার (Emergency) ৪৮ তম বর্ষপূর্তিতে নিন্দা করেন কংগ্রেস স্বৈরতান্ত্রিকতার।

    কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এদিন একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, “গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। বিচার ব্যবস্থার হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল। অত্যাচার, গ্রেফতার, খুন- ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দিনটি এই সমস্ত শব্দের সমার্থক। জরুরি অবস্থার অন্ধকারময় দিনগুলি ভুলবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Emergency: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কালো দিন!

    Emergency: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কালো দিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ২৫ জুন ১৯৭৫, কংগ্রেস শাসনের স্বৈরতান্ত্রিকতার চরম নজির সেদিন দেখেছিলেন ভারতবাসী। দেশে জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যা চলেছিল ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। অভিযোগ, এই সময়ে গোটা দেশকে কার্যত কারাগারে পরিণত করেছিল কংগ্রেস সরকার। গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার দুটোই সেদিন কেড়ে নেয় গান্ধী পরিবারের শাসন। সরকার চাইলে যে কোনও ব্যক্তিকে যতদিন খুশি জেলে ভরে রাখতে পারত। সব থেকে বড় কথা, কোনও রকমের শুনানি ছাড়াই কয়েক হাজার সরকার বিরোধী ব্যক্তি জেলে ছিলেন। তাঁদের জামিনের আবেদন করার অধিকারও ছিল না। সংবাদপত্রগুলির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তালিকায় ছিল ৩,৮০১ সংবাদপত্র। আরও অভিযোগ, দেশে যখন এই কালো অধ্যায় চলছে, বিরোধী সমস্ত নেতা যখন জেলের ভিতর, তখনই এক প্রকার গায়ের জোরে ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনী এনে প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’ শব্দ। বন্ধ হয় দেশে সমস্ত ধরনের নির্বাচন। 
    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ব্রিটেনে গিয়ে বলেছেন, “মোদি জমানায় দেশে গণতন্ত্র নেই।” অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, জরুরি অবস্থার সময় যাঁর পূর্বসূরীরা লোকতন্ত্রকে জেলের ভিতরে রেখেছিলেন, তাঁর মুখে গণতন্ত্র বিপন্নতার কথা মানায় কি? এবার জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপট, ঘটনাক্রম, গণতন্ত্র হরণ নিয়ে এই প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হল।

    জরুরি অবস্থা (Emergency) ঘোষণার কথা জানতো না মন্ত্রিসভাও!

    রাত তখন ৩ টে হবে। দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর বাসভবনে উপস্থিত তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি দেবকান্ত বড়ুয়া, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে। ইতিমধ্যে ২৫ জুন মধ্যরাতে জরুরি অবস্থা জারি হয়ে গিয়েছে। সই করেছেন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণকে। সূর্য ওঠার আগেই দেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রগুলির অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সরকার।
    ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা মন্ত্রিসভাও জানত না। ২৬ জুন সকাল ৬টার ক্যাবিনেট মিটিংয়ে উপস্থিত ১৫ জনেরও বেশি মন্ত্রী প্রথমবারের জন্য জানতে পারলেন, জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে দেশে। তৎকালীন বিশিষ্ট সাংবাদিক ইন্দ্র মলহোত্রা ক্যাবিনেটে উপস্থিত সকল মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। সাংবাদিকের অভিমত, “মন্ত্রীরা সেদিনের ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অসম্ভব রকমের আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন।” এরপরই আকাশবাণীর বেতার ভাষণে জরুরি অবস্থা জারির কথা ঘোষণা করেন ইন্দিরা গান্ধী। ক্যাবিনেট মিটিংয়ের পরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সকল অধ্যাপকদের তালিকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল হাসানের কাছে চেয়ে নেন সঞ্জয় গান্ধী। অন্যদিকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালকে নির্দেশ দেন ইন্দিরা, সমস্ত সংবাদপত্রের খবর আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আসবে! তারপর কোন খবর ছাপা হবে তা সরকার ঠিক করবে।

    কেমন ছিল জরুরি অবস্থার দিনগুলি?

    ২৮ বছর ধরে তখন দেশ শাসন করছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস বললে ভুল হবে। গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাবা ও মেয়ের হাতেই ছিল ক্ষমতা। ভারতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য নাম জর্জ ফার্নান্ডেজ। জরুরি অবস্থায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইন্দিরা সরকার। হাতে পায়ে শিকল বাঁধা হয় জর্জ সমেত তাঁর ২৪ সহযোগীকে। সেই অবস্থায় তাঁদের রাস্তা দিয়ে হাঁটানো হত। পরিসংখ্যান বলছে, সেসময় মোট রাজনৈতিক গ্রেফতারির সংখ্যা ১,১০,৮০৬। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোমরে দড়ি পরিয়ে পুলিশ জিপের সঙ্গে বেঁধে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। আর থানার লক আপে পুলিশি অত্যাচার! জরুরি অবস্থায় কেরলের কালিকট ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র রাজেনের মৃত্যু ঘটে পুলিশ হেফাজতে। অকথ্য অত্যাচার করা তাঁর উপর উপর। সদ্য ২০ পার হওয়া ছাত্রের জীবন সেদিন কেড়ে নেয় ইন্দিরা সরকার। তারপর দেহ লোপাট করে ফেলে পুলিশ। শোনা যায়, এরপর থেকেই রাজেনের মা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এমন অজস্র ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। সেটাই তখন ছিল কংগ্রেস সরকারের কুক্ষিগত। অন্যদিকে বিহারের ১৬ বছরের কিশোর দিলীপ শর্মা। যাকে ১১ মাস ধরে বন্দি রাখে ইন্দিরা সরকার। অপরাধ তো একটাই ইন্দিরার স্বৈরতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। সেসময় জনসঙ্ঘ এবং আরএসএস-এর বহু প্রচারক কার্যকর্তা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।

    ১২ জুন ১৯৭৫, কেন ক্ষমতা হারানোর ভয় পেলেন ইন্দিরা?

    ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন ইন্দিরা গান্ধী। বিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির রাজনারায়ণ। এই ভোটে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কারচুপি করে জেতার অভিযোগ আনেন রাজনারায়ণ। সোশ্যালিস্ট পার্টির এই নেতা দ্বারস্থ হন এলাহাবাদ হাইকোর্টের। তাঁর দায়ের করা মামলায় রাজনারায়ণ ইন্দিরার বিরুদ্ধে ৬ টি অভিযোগ আনেন। রাজনারায়ণের অভিযোগগুলি ছিল
    ১) ভোটে ইন্দিরা গান্ধী অসাংবিধানিকভাবে ভারত সরকারের এক আধিকারিক  যশপাল কাপুরকে নির্বাচনী এজেন্ট করেন। কাপুরের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেননি, তারপরেও তাঁকে নির্বাচনী এজেন্ট করেন ইন্দিরা।

    ২) রায়বেরিলি থেকে ভোট লড়ার জন্য ইন্দিরা গান্ধী, স্বামী অদ্বৈতানন্দ নামের একজনকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন, যাতে রাজনারায়ণের ভোট কাটা যায়। 

    ৩) নির্বাচনী প্রচারে ইন্দিরা গান্ধী বায়ুসেনার বিমানগুলির যথেষ্ট অপব্যবহার করেন।

    ৪) ভোটে জিততে এলাহাবাদের পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের সাহায্য নেন ইন্দিরা, যা বেআইনি।

    ৫) ভোটারদের প্রভাবিত করতে ইন্দিরা গান্ধী আগের রাতে কম্বল এবং মদ বিলি করেন।

    ৬) নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া খরচের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ বিলি করেন ইন্দিরা।

    ১২ জুন ১৯৭৫ সালে এই মামলার রায় দেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা। ইন্দিরার বিরুদ্ধে সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন জেতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ইন্দিরা গান্ধীর সাংসদ পদ তো খারিজ হয়, পাশাপাশি ওই রায়ে ৬ বছর পর্যন্ত তিনি কোনও ভোটে লড়তে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি সিনহা। এই অবস্থায় তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তেই হতো। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ইন্দিরা তখন দিশাহারা, দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টের। ২৩ জুন, ১৯৭৫ সালে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। ২৪ জুন বিচারপতি আইয়ার নির্দেশ দিলেন, যতক্ষণ না চূড়ান্ত রায় আসছে, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। তবে সাংসদ হিসেবে কাজ চালাতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিরোধীরা বলতে শুরু করেন, “চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।” অন্যদিকে ইন্দিরার পদত্যাগের দাবিতে তখন দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন শুরু করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। ক্ষমতা হারানোর ভয় তাড়া করে কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার ১ দিন পরেই জারি হয় জরুরি অবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • E Passport: খুব শীঘ্রই চালু হবে ই-পাসপোর্ট! বড় ঘোষণা বিদেশমন্ত্রীর

    E Passport: খুব শীঘ্রই চালু হবে ই-পাসপোর্ট! বড় ঘোষণা বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশযাত্রা আগামীদিনে আরও সহজ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে ই-পাসপোর্ট (E-Passport)। শনিবার ২৪ জুন ছিল পাসপোর্ট সেবা দিবস। এদিনই নয়াদিল্লিতে আয়োজিত পাসপোর্ট সেবা প্রোগ্রামে এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    এদিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত শীঘ্রই ‘পাসপোর্ট সেবা কর্মসূচি’র (PSP-সংস্করণ ২.০) দ্বিতীয় ধাপে যাত্রা শুরু করবে। যার মধ্যে নতুন এবং আপগ্রেড করা ই-পাসপোর্ট রয়েছে।” এদিন পাসপোর্ট সেবা দিবসে বিদেশমন্ত্রী ভারত ও বিদেশে পাসপোর্ট ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষকে জনগণকে ‘সময়মতো, নির্ভরযোগ্য, স্বচ্ছ এবং দক্ষ পরিষেবা’ দেওয়ার অঙ্গীকার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

    নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহজ করার লক্ষ্যে ‘EASE’ নামক বিশেষ উদ্যোগ

    এদিন বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহজ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘EASE’ নামক এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। যার অর্থ হল, E: ডিজিটাল ইকো-সিস্টেম ব্যবহার করে নাগরিকদের পাসপোর্ট পরিষেবা উন্নত করা। A: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত পরিষেবা সরবরাহ। S: চিপ-নির্ভর ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণ সহজ করা এবং E: ​​উন্নত ডেটা নিরাপত্তা।”

    বিদেশ সচিবের ট্যুইট

    এদিনই ই পাসপোর্ট (E-Passport) নিয়ে ট্যুইট করেন বিদেশ সচিব অরিন্দম বাগচি।

    ৭ গুণ বেড়েছে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র

    ভারতকে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘পাসপোর্ট সেবা কর্মসূচি’ একটি বড় পদক্ষেপ বলেও জানান এস জয়শঙ্কর। সমস্ত রাজ্যের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রগুলিতে এই পরিষেবা চালু হয়েছে কিনা জানতে তিনি স্বয়ং পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে দেশে ৭৭টি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (PSK) ছিল। এই সংখ্যা ৭ গুণ বেড়েছে বর্তমানে ৫২৩ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • All Party Meeting: মণিপুর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক অমিত শাহের! কী সিদ্ধান্ত হল?

    All Party Meeting: মণিপুর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক অমিত শাহের! কী সিদ্ধান্ত হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে এদিন সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meeting) ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সেখানে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে। বৈঠকের মধ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি জানিয়েছে কোনও কোনও দল, এমনটাই জানা গিয়েছে। 

    চলতি বছরের ৩ মে থেকে অশান্তি চলছে মণিপুরে 

    এদিন সংসদের লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত হয় ওই বৈঠক (All Party Meeting)। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী হল মেইতেই। কিন্তু উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত না হওয়ায় রাজ্যের মাত্র দশ শতাংশ জমির উপর অধিকার পায় এই জনগোষ্ঠী। বাকি পাহাড়ে, জঙ্গলের সংরক্ষিত জমিতে বসবাস করার অধিকার রয়েছে একমাত্র আদিবাসী কুকি সম্প্রদায়ের। ৩ মে এক মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মণিপুর জুড়ে। এখনও অবধি এই হিংসায় ১৪০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যে সেখানে ১০১ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

    কোন কোন দল এদিন উপস্থিত ছিল?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে (All Party Meeting) এদিন হাজির হাজির ছিল কমবেশি সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিই। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পওয়ার এই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিল। তবে তাঁর বদলে এদিন হাজির ছিলেন এনসিপির সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্র ভর্মা ও মণিপুরে এনসিপি প্রধান সোরান ইবোয়াইমা সিং। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে যোগ দেন। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন ইবোবি সিং, বিআরএসের বিনোদ কুমার, আরজেডির মনোজ ঝা, শিবসেনা (উবিটি)-র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। প্রত্যেক দলের প্রতিনিধিকে ১০ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত ‘আদিপুরুষে’র! শাহকে চিঠি অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share