Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • SBI: এসবিআই গ্রাহকদের কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ভুয়ো মেসেজ! বাঁচার উপায় কী? 

    SBI: এসবিআই গ্রাহকদের কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ভুয়ো মেসেজ! বাঁচার উপায় কী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএমএসে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ভুয়ো ফোন কল বা মেসেজ থেকে সাইবার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকতেও বলেন বারংবার। এবার টাকা হাতানোর নতুন চক্র ফেঁদেছে প্রতারকরা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) নাম করে ফেক মেসেজ আসছে গ্রাহকদের ফোনে। সেখানে দেওয়া থাকছে লিঙ্ক। যা ক্লিক করলেই তৈরি প্রতারণার ফাঁদ। টাকা উড়ে যাচ্ছে গ্রাহকদের আকাউন্ট থেকে। ভুয়ো ফোন কল রুখতে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাই। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার গ্রাহকদের সতর্ক করেছে এবং এই রকমের কোনও মেসেজ এলে কী কী করতে হবে, তারও নির্দেশিকা দিয়েছে।

    ভুয়ো মেসেজ মোবাইলে এলে কী করবেন?

    জানানো হয়েছে, এরকম কোনও বার্তা পেলেই আপনি মেইল করবেন report.phishing@sbi.co.in-এ। সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে একটি হেল্পলাইন দেওয়া হয়েছে ১৯৩০। এতেও যোগাযোগ করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে,  ভুয়ো ফোন বা ই মেইল থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে এই প্রতারণার ব্যবসা এখনও রমরমিয়ে চলছে।

    ব্যাঙ্ক কী বলছে?

    এসবিআই এ বিষয়ে জানাচ্ছে, গ্রাহকদের কখনই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন অ্যাকাউন্ট নাম্বার, পাসওয়ার্ড মেসেজের মাধ্যমে দেওয়া উচিত নয়। এ ধরনের বার্তা পেলে তাদের যাচাই করতেও বলছে ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্ক আরও বলছে যে ব্যক্তিগত তথ্য তারা কখনও গ্রাহকদের কাছ থেকে চায় না। শুধুমাত্র ভুয়ো মেসেজ নয়, অনেক সময় কেওয়াইসি আপডেটের নামেও প্রতারকরা ফোন করে। এক্ষেত্রে কেওয়াইসি আপডেট না হলে অ্যাকাউন্ট ব্লক করারও ভয় দেখানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী’’, মত অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী’’, মত অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার গুজরাটের দ্বারকায় ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ কোস্টাল পলিসিং’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী বললেন অমিত শাহ (Amit Shah)?

    এদিন তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি উপকূল রক্ষী বাহিনী, ভারতীয় নৌসেনার সাহায্যে ভারতের সুদর্শন চক্রের বলয় তৈরি করেছেন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ভারতীয় নৌসেনা এবং উপকূল রক্ষী বাহিনী মধ্য সমুদ্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেখে। অভ্যন্তরে সুরক্ষার ব্যবস্থা দেখে বিএসএফ। এই নিরাপত্তার সুদর্শন বলয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মৎস্যজীবীরাও। যাঁরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে নিরাপত্তার কাজে তথ্য দেওয়া-নেওয়া করে।’’

    কংগ্রেসকে নিশানা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    কংগ্রেস সরকারকেও এদিন একহাত নিতে ছাড়েননি অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তার ঘাটতির কারণেই অনেক ভয়ঙ্কর ফল ভুগতে হয়েছে। আমরা কখনও ভুলতে পারি না ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা। যেখানে ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের জীবনকে কেড়ে নিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা।’’

    আমেদাবাদে আজ মোদি সম্মেলনে যোগ দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পিছিয়ে পড়া ওবিসি মোদি সমাজের সংগঠন, ‘ভারতীয় মোদি সমাজ’-এর জাতীয় সম্মেলনে আমেদাবাদে আজ বক্তব্য রাখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে মোদি সমাজ। রাহুলের মন্তব্য ছিল, ‘‘সব চোরেদের পদবী মোদি কেন হয়?’’ ইতিমধ্যে এই অভিযোগে তাঁর সংসদ পদও খারিজ হয়েছে। রাহুল গান্ধীর করা এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন পূর্ণেশ মোদি, যিনি ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী। ‘গুজরাট মোধ-মোদি সমাজ’-এর সভাপতিও বটে তিনি। আমেদাবাদে রবিবারের সম্মেলনের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে থাকছেন পূর্ণেশ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দাদা সোমভাই মোদিরও রবিবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনের বিষয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, ‘‘আমরা আশা করছি মোদি সমাজের সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ এই সম্মেলন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। যেখানে সাংসদ এবং বিধায়করাও থাকবেন। আমাদের সমাজের প্রতিনিধিরা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে আসবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SECL: ভারত সরকারের উদ্যোগে ছত্তিসগড়ের কয়লাখনি এখন এশিয়ার সর্ববৃহৎ!

    SECL: ভারত সরকারের উদ্যোগে ছত্তিসগড়ের কয়লাখনি এখন এশিয়ার সর্ববৃহৎ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়েভারা মেগা প্রকল্পের আওতায় ছত্তিসগড়ের সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড (SECL) বছরে প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করে এশিয়ার সর্ববৃহৎ কয়লাখনি হিসাবে মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেলল। সরকারি এই প্রকল্পে আগামী বছরে ৭০ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একে ভারতের কয়লা মন্ত্রকের বিরাট সাফল্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিলাসপুরে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের সেক্রেটারি, ছত্তিসগড় রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি এবং ভারতীয় রেলের মধ্যে বিশেষ সমন্বয় বৈঠক হয় শনিবার। সেখানে এই প্রকল্পের কাজ আগামী দিনে সুষ্ঠু ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কয়লা উত্তোলনে বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমা 

    দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যনেজার অলোক কুমার এবং সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডের সিডিএম প্রেম সাগর মিশ্রের সঙ্গে কয়লা মন্ত্রকের সেক্রেটারির ওই বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডের (SECL) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে প্রাকৃতিক সম্পদকে কীভাবে খননকার্যের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়, সেই বিষয়েই বিস্তৃত আলোচনা করা হয় বৈঠকে। কয়লা উৎপাদনে পরিবেশ, বন ও ভূমি দফতরের বিশেষ ছাড়পত্রের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি ছত্তিসগড়ে কয়লাখনির মেগা প্রকল্প সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড অঞ্চলের মধ্যে থাকা গেভেরা, দিপকা এবং কুশমুণ্ডার মানুষের পুনর্বাসন ও বিশেষ আর্থিক সাহায্যের বিষয়টিও বৈঠকে উঠে আসে বলে জানা যায়। কোল সেক্রেটারি কয়লাখনির কাজকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকার এবং প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সকল অংশগ্রহণকারীকে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন।

    জোর ভারতীয় রেলের সঙ্গে সমন্বয়ে

    কোল সেক্রেটারি দক্ষিণ পূর্ব রেল, পূর্ব রেল এবং পূর্ব-পশ্চিম রেলের সঙ্গে সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডের ( SECL) বিশেষ সহযোগিতা ও সমন্বয়ের উপর জোর দেন। রেল লাইনের সুবিধা অনুসারে কোরবা, মাণ্ড-রায়গড় কয়লা অঞ্চল থেকে খনি সরিয়ে নেওয়ার কথাবার্তাও হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আলোচনা বৃহত্তর কয়লাখনির খননকার্য এবং উত্তোলনের ক্ষেত্রে দারুণ আশা ব্যঞ্জক। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Election 2023: কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক, মমতা বলে দিলেন ‘শেষের শুরু’?

    Karnataka Election 2023: কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক, মমতা বলে দিলেন ‘শেষের শুরু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Election 2023) ফলাফলে কংগ্রেস যত না উল্লসিত, তার থেকেও বেশি লম্ফ-ঝম্ফ করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। এ রাজ্যে অন্তত ছবিটা তেমনই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এই একটি রাজ্যের ফলাফলের ভিত্তিতে বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের ‘শেষের শুরু’ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। যা তিনি তৃণমূল সর্বভারতীয় দলের তকমা হারানোতেও দেখতে পাননি, দেখতে পাননি ত্রিপুরায় দলের শোচনীয় ফলাফলেও! তিনি একইসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণীও করে দিয়েছেন, সামনে ছত্তিসগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনেও বিজেপির নাকি এমনই হাল হবে। কেমন হাল? আসুন একবার চোখ বোলানো যাক, কর্নাটকে বিজেপির ফলাফল এবার ঠিক কেমন হয়েছে। মমতার আশামতো কতখানি তারা ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে!

    কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক

    নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কর্নাটকে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka Election 2023) বিবাদমান মূল তিনটি দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা হল: কংগ্রেস ১৩৫, বিজেপি ৬৬ এবং জনতা দল সেকুলার ১৯। ভোটপ্রাপ্তির হার শতাংশের হিসাবে হল এইরকম: কংগ্রেস ৪২.৮৮ শতাংশ, বিজেপি ৩৬ শতাংশ এবং জনতা দল সেকুলার ১৩.২৯ শতাংশ। এবার দেখা যাক, এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে এই তিন মূল প্রতিপক্ষ কতগুলি করে আসন পেয়েছিল এবং ভোটপ্রাপ্তির হারই বা কেমন ছিল। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা ছিল এইরকম: বিজেপি ১০৪, কংগ্রেস ৮০ এবং জনতা দল সেকুলার ৩৭। ভোটপ্রাপ্তির হার এইরকম: বিজেপি ৩৬ শতাংশ, কংগ্রেস ৩৮ শতাংশ এবং জনতা দল সেকুলার ১৮ শতাংশ। ভোট বিশেষজ্ঞরা দুটি বিধানসভা নির্বাচনের ওই অঙ্কের হিসাবের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বলছেন, বিজেপির আসন সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমেছে, একথা ঠিক। কিন্তু এটাও ঠিক, তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার এতটুকু কমেনি। ২০১৮ সালে যা ছিল ৩৬ শতাংশ, ২০২৩ সালে এসেও তা সেই ৩৬ শতাংশই রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কংগ্রেস যে বিপুলভাবে এবং রেকর্ড সৃষ্টি করে জিতল, তা কীভাবে সম্ভব হল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাও ওই ছোট্ট অঙ্কের হিসাব থেকেই পরিষ্কার। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে পাঁচ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে, তার পুরোটাই এসেছে জনতা দল সেকুলারের বদান্যতায়। ওই দলের ভোটপ্রাপ্তির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৩ শতাংশ। পাশাপাশি কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। 
    লিঙ্গায়েত, ভোক্কালিগার সঙ্গে সংখ্যালঘু এবং দলিত ‘অহিন্দা’ সম্প্রদায়ের লড়াই, হিজাব নিষিদ্ধকরণ এবং সর্বোপরি বজরংবলী ইসু নাকি বিজেপিকে এই রাজ্যে ধরাশায়ী করে দিয়েছে। অনেকে আবার বলছেন, রাহুল গান্ধীর পদযাত্রাই গেরুয়া শিবিরের পায়ের তলার মাটি আলগা করে দিয়েছে। কারণ যাই হোক, কংগ্রেস যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ওই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে, এ নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। কিন্তু তাই বলে বিজেপি শেষ হয়ে গেল, পরিসংখ্যান কিন্তু সে কথা বলছে না। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে পরিষ্কার, বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে এতটুকুও চিড় ধরেনি। ফলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন বিজেপির শেষের দিন শুরু, তারা কিন্তু তা করছেন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে নয়, বরং পুরোপুরি অবিবেচকের মতোই, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ত্রিপুরায় খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল!

    এবার দেখে নেওয়া যেতে পারে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এই ফলাফল (Karnataka Election 2023) নিয়ে উল্লসিত, তাঁর দল তৃণমূল ত্রিপুরায় কী ফল করেছে। তৃণমূল চেয়েছিল উত্তর-পূর্ব ভারতে সম্প্রসারণ ঘটাতে। তার জন্য দলের তাবড় নেতারা ত্রিপুরায় গিয়ে পড়ে থেকেছেন, দলের হয়ে লাগাতার প্রচার করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা গেল, সব চেষ্টাই জলে গিয়েছে। সেখানে তৃণমূলের প্রাপ্তি শূন্য। একমাত্র মুখ রক্ষা করেছে মেঘালয়। অর্থাৎ সাম্প্রতিক ভোটের ফলে পরিষ্কার, তৃণমূল এখনও কুয়োর ব্যাঙ হয়েই রয়ে গিয়েছে, সাগরে ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ তার মেটেনি। কর্নাটকের কথাই ধরা যাক। সেখানে কি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও আছেন? প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে তাঁদের এত উল্লাস কীজন্য? আর সিপিএম? কর্নাটকে এই দলটি তো নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে। তারপরেও কংগ্রেসের জয়ে তারা বাংলায় বিজয় মিছিল বের করে দিয়েছে। এসব দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আড়ালে হাসাহাসিই করছেন।

    বেঙ্গালুরু শহরাঞ্চলে এখনও দাপট বিজেপিরই

    ভোটের (Karnataka Election 2023) ফলাফল পর্যালোচনা করে আরও একটি জিনিস পরিষ্কাের, কর্নাটকে শহরাঞ্চলের মানুষ এখনও বিজেপির প্রতি তাদের আস্থা বজায় রেখেছে। আর সেই কারণেই খোদ বেঙ্গালুরু শহরে বিজেপির ভোট বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। সেখানে জনতা দল সেকুলারের ভোট কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। যদিও উল্টো ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ কর্নাটকে। সেখানেও জনতা দল সেকুলারের ভোট কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। কিন্তু তার পুরোটাই গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। আরও লক্ষণীয় বিষয় হল, যে উপকূল এলাকায় বিজেপির লড়াই ছিল মূলত হিজাব এবং হালাল ইসুতে, সেখানে তাদের ভোটব্যাঙ্ক কার্যত অক্ষুন্ন রয়েছে এবং ভোটপ্রাপ্তির হার প্রায় ৪৭ শতাংশ।

    বরাবরই পরিবর্তনের পক্ষে কর্নাটক

    দক্ষিণের এই রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে অনেকেই এক আসনে বসাচ্ছেন। ইতিহাস কিন্তু সে কথা বলছে না। এই রাজ্য আগাগোড়া পরিবর্তনপন্থী। মনে রাখতে হবে, দক্ষিণের এই রাজ্য আসলে কংগ্রেসেরই মূল ঘাঁটি। ১৯৮৩ সালে প্রথম জনতা পার্টি সেই একাধিপত্যে আঘাত হেনেছিল এবং কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন রামকৃষ্ণ হেগড়ে। ২০০৪ এবং ২০১৮ বাদ দিলে এই রাজ্যে সরকার বদল হয়েছে বারবার। বিজেপির পথ চলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে, মাত্র ৪ টি আসন দিয়ে। ১৯৯৪ সালে এটাই এক ধাক্কায় দশগুণ বেড়ে হয় ৪০। এরপর আর বিজেপিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভোটের এই ফল দেখে বলছেন, ভারতের বৃহৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে, তা এ থেকেই পরিষ্কার। রিগিং, ছাপ্পা, বুথ দখল এসব কিছুই শোনা যায়নি এই রাজ্যের ভোটে।
    ধরা যাক, ভোট-পরবর্তী হিংসার কথাও। ২০২১ সালের ২ মে ফলাফলে যখনই পরিষ্কার হয়ে গেল বাংলায় ফের ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল, তখন বিরোধী বিশেষত বিজেপি সমর্থকদের ওপর যে আক্রমণ নেমে এসেছিল, তার ভুরি ভুরি উদাহরণ এখনও আমাদের চোখের সামনে। এখনো বহু মানুষ ঘরছাড়া, নিজের সামান্য দোকানটুকুও খুলতে পারছেন না। কিন্তু দক্ষিণের ওই রাজ্য বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় এবং বৃহৎ দলের কাছে যে বিপর্যয় (Karnataka Election 2023) ডেকে আনল, তার কোনও বিরূপ প্রভাব সমাজে কিন্তু পড়েনি। রাজ্য চলেছে তার স্বাভাবিক ছন্দে। এই পরাজয়কে মেনে নিয়েই এগিয়ে চলেছে বিজেপি। নেই কোনও আক্রোশ, নেই কোনও হামলাবাজির ঘটনা। 

    কী বলেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র?

    বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় দল এই ফলকে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছে, তা দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথাতেও পরিষ্কার। কর্নাটকের পরাজয় (Karnataka Election 2023) নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “একটা সর্বভারতীয় দলের কাছে এটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। তাতে হেরেছে। আর লোকসভা নির্বাচন একদিনের ম্যাচ নয়, পাঁচদিনের টেস্ট। তৃণমূল দল তো রাজনীতিকে খেলা মনে করে। ওরা খেলুক। ২০২৪ পর্যন্ত দলটা থাকবে কিনা, সেটাই সন্দেহ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা এমন এক বস্তু, যা না থাকলে হয়তো জনজীবন থমকে যেত। বাড়ির রান্নার জ্বালানি থেকে শুরু করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আর আগের বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন-সব কিছুতেই কয়লা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসাবেই পরিচিত। গ্লোবাল চেঞ্জ ডেটা ল্যাব (যুক্তরাজ্য)-এর তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারের নিরিখে কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানি হিসাবে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কয়লা একপ্রকার পাললিক শিলা। কয়েক কোটি বছর আগে বিভিন্ন গাছপালা মাটির তলায় চাপা পড়ে সেগুলি আস্তে আস্তে জীবাশ্মতে পরিণত হয়। আর সেই জীবাশ্মগুলি কালো রং ধারণ করে কয়লায় পরিণত হয়। কিন্তু কখনও কি মাথায় এসেছে, এই কয়লার উত্তোলন ভারতে কোথায় এবং কীভাবে শুরু হয়েছিল? কয়লা উত্তোলন ও কয়লাখনির (Coal Mines In India) ইতিহাস কী?

    ভারতবর্ষের বুকে কয়লাখনির ইতিহাস

    ভারতবর্ষে সবথেকে বেশি কয়লা মজুত (Coal Mines In India) আছে দামোদর নদীর তীরে রানিগঞ্জ অঞ্চলে। এখানেই প্রথম কয়লা খনন শুরু হয় ১৭৭৪ সালে জন সুমনার এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিটনিয়াস গ্রান্ট হিটলির উদ্যোগে। প্রথমে কয়লার চাহিদা কম থাকায় এর উত্তোলন তেমন কিছু বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু পরে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের উদ্ভব হওয়ায় ১৮৫৩ সালে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তখন বার্ষিক গড়ে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হত। এরপর ১৯২০ সালে উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়লার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। ১৯৪৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে গিয়ে পৌঁছায়।

    রানিগঞ্জ অঞ্চলে প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু

    গোটা ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, তখন বাংলা, বিহার, ওড়িশা-ভারতের এই প্রধান কয়লা উত্তোলক অঞ্চলগুলিকে (Coal Mines In India) ১৮৯৪ সাল থেকে ভারতের যৌথ পরিচালনাধীনে থাকার আবেদন জানান ভারতীয়রা। কিন্তু ব্রিটিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয়দের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তাদের একচেটিয়া প্রভাব ছিল খুবই বেশি। ফলে ভারতীয়দের সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এরপর নানা আন্দোলন ও চেষ্টার ফলে সিনুগ্রার শেঠ খোড়া রামজি চাওদা প্রথম ভারতীয় হিসাবে ভারতের ঝরিয়া কয়লাখনি থেকে ব্রিটিশদের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৬ সালে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি এবং কয়লাখনি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ঘটাতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যাশনাল কোল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NCDC)।

    ১৮১৫-১৮১৬ সালে রানিগঞ্জ অঞ্চলে রুপার্ট জোনস্ প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এই কাজের জন্য তাঁকে সরকারের তরফ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। জোনস্ রানিগঞ্জে পূর্বের খনন করা হিটলির পরিত্যক্ত কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India) খুঁজে পান। তিনি ১৮২০ সাল পর্যন্ত এখান থেকে দামোদরের জলপথের মাধ্যমে কয়লা কলকাতাতে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার তেমন মুনাফা লাভ করতে পারেননি। পরে জোনস্ এর খনিগুলির মালিকানা লাভ করে আলেকজান্ডার অ্যান্ড কোম্পানি। আর এই কোম্পানিকে ১৮৩৫ সালে সত্তর হাজার টাকায় ক্রয় করে ‘কার টেগোর কোম্পানি’, যার অংশীদার ছিলেন ঠাকুর বংশের প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। 

    সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি 

    দামোদর জলপথের মাধ্যমে কলকাতায় এই কয়লা রফতানির কাজে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল। কিন্তু অপরদিকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর এই সাফল্যে একদমই সন্তুষ্ট ছিল না। দ্বারকানাথের কোম্পানিকে ভেঙে ফেলার জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাতে থাকলেও পরে তা ব্যর্থ হয়। আবার কিছু ব্রিটিশ কোম্পানি যেমন গিলমোর, আর্কসাইন, হামফ্রে অ্যান্ড কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাছাড়াও আরও নানা বিবাদের মুখে পড়ে এখানকার কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India)। সেই সময় সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে সব কোম্পানিগুলিকে একত্রিত করে ১৮৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বেঙ্গল কোল কোম্পানি’। এর প্রথম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োজিত হন দ্বারকানাথ নিজে। ভারতের কয়লাশিল্পের প্রথম প্রশাসনিক ভবন এটাই। ১৯৭২ সালে কয়লাখনির জাতীয়করণের আগে পর্যন্ত রানিগঞ্জ-ঝরিয়া অঞ্চলের বেশিরভাগ কয়লাখনি এই বেঙ্গল কোল কোম্পানির অধীনে ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা এমন এক বস্তু, যা না থাকলে হয়তো জনজীবন থমকে যেত। বাড়ির রান্নার জ্বালানি থেকে শুরু করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আর আগের বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন-সব কিছুতেই কয়লা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসাবেই পরিচিত। গ্লোবাল চেঞ্জ ডেটা ল্যাব (যুক্তরাজ্য)-এর তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারের নিরিখে কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানি হিসাবে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কয়লা একপ্রকার পাললিক শিলা। কয়েক কোটি বছর আগে বিভিন্ন গাছপালা মাটির তলায় চাপা পড়ে সেগুলি আস্তে আস্তে জীবাশ্মতে পরিণত হয়। আর সেই জীবাশ্মগুলি কালো রং ধারণ করে কয়লায় পরিণত হয়। কিন্তু কখনও কি মাথায় এসেছে, এই কয়লার উত্তোলন ভারতে কোথায় এবং কীভাবে শুরু হয়েছিল? কয়লা উত্তোলন ও কয়লাখনির (Coal Mines In India) ইতিহাস কী?

    ভারতবর্ষের বুকে কয়লাখনির ইতিহাস

    ভারতবর্ষে সবথেকে বেশি কয়লা মজুত (Coal Mines In India) আছে দামোদর নদীর তীরে রানিগঞ্জ অঞ্চলে। এখানেই প্রথম কয়লা খনন শুরু হয় ১৭৭৪ সালে জন সুমনার এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিটনিয়াস গ্রান্ট হিটলির উদ্যোগে। প্রথমে কয়লার চাহিদা কম থাকায় এর উত্তোলন তেমন কিছু বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু পরে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের উদ্ভব হওয়ায় ১৮৫৩ সালে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তখন বার্ষিক গড়ে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হত। এরপর ১৯২০ সালে উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়লার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। ১৯৪৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে গিয়ে পৌঁছায়।

    রানিগঞ্জ অঞ্চলে প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু

    গোটা ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, তখন বাংলা, বিহার, ওড়িশা-ভারতের এই প্রধান কয়লা উত্তোলক অঞ্চলগুলিকে (Coal Mines In India) ১৮৯৪ সাল থেকে ভারতের যৌথ পরিচালনাধীনে থাকার আবেদন জানান ভারতীয়রা। কিন্তু ব্রিটিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয়দের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তাদের একচেটিয়া প্রভাব ছিল খুবই বেশি। ফলে ভারতীয়দের সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এরপর নানা আন্দোলন ও চেষ্টার ফলে সিনুগ্রার শেঠ খোড়া রামজি চাওদা প্রথম ভারতীয় হিসাবে ভারতের ঝরিয়া কয়লাখনি থেকে ব্রিটিশদের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৬ সালে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি এবং কয়লাখনি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ঘটাতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যাশনাল কোল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NCDC)।

    ১৮১৫-১৮১৬ সালে রানিগঞ্জ অঞ্চলে রুপার্ট জোনস্ প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এই কাজের জন্য তাঁকে সরকারের তরফ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। জোনস্ রানিগঞ্জে পূর্বের খনন করা হিটলির পরিত্যক্ত কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India) খুঁজে পান। তিনি ১৮২০ সাল পর্যন্ত এখান থেকে দামোদরের জলপথের মাধ্যমে কয়লা কলকাতাতে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার তেমন মুনাফা লাভ করতে পারেননি। পরে জোনস্ এর খনিগুলির মালিকানা লাভ করে আলেকজান্ডার অ্যান্ড কোম্পানি। আর এই কোম্পানিকে ১৮৩৫ সালে সত্তর হাজার টাকায় ক্রয় করে ‘কার টেগোর কোম্পানি’, যার অংশীদার ছিলেন ঠাকুর বংশের প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। 

    সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি 

    দামোদর জলপথের মাধ্যমে কলকাতায় এই কয়লা রফতানির কাজে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল। কিন্তু অপরদিকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর এই সাফল্যে একদমই সন্তুষ্ট ছিল না। দ্বারকানাথের কোম্পানিকে ভেঙে ফেলার জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাতে থাকলেও পরে তা ব্যর্থ হয়। আবার কিছু ব্রিটিশ কোম্পানি যেমন গিলমোর, আর্কসাইন, হামফ্রে অ্যান্ড কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাছাড়াও আরও নানা বিবাদের মুখে পড়ে এখানকার কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India)। সেই সময় সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে সব কোম্পানিগুলিকে একত্রিত করে ১৮৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বেঙ্গল কোল কোম্পানি’। এর প্রথম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োজিত হন দ্বারকানাথ নিজে। ভারতের কয়লাশিল্পের প্রথম প্রশাসনিক ভবন এটাই। ১৯৭২ সালে কয়লাখনির জাতীয়করণের আগে পর্যন্ত রানিগঞ্জ-ঝরিয়া অঞ্চলের বেশিরভাগ কয়লাখনি এই বেঙ্গল কোল কোম্পানির অধীনে ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: উত্তরপ্রদেশে পুর নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

    PM Modi: উত্তরপ্রদেশে পুর নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে কার্যত গেরুয়া (BJP) ঝড়। শনিবার ফল বের হয় ওই নির্বাচনের। তার পরেই যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্যে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, এই ফলই তার প্রমাণ। ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বিজেপি কর্মী এবং পুরভোটে জয়ী দলীয় প্রার্থীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদল বিজেপি ১৭টি পুরসভার মধ্যে মেয়র পদে জিতেছে ১৭টিতেই। অযোধ্যা, ঝাঁসি, বরেলি, মথুরা-বৃন্দাবন, মোরদাবাদ, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজ, আলিগড়, শাজাহানপুর এবং গাজিয়াবাদে জয়ী হয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    উত্তরপ্রদেশে দলের এই বিরাট জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব বিজেপির তরফে দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। নির্বাচনের আগে ১৩ দিনে ৫০টি জনসভা করেছেন তিনি। বস্তুত এ রাজ্যে বিজেপির প্রচারের মুখ ছিলেন তিনিই। তাই প্রধানমন্ত্রীও তাঁর প্রশংসা করেছেন। দু দফায় হয়েছে পুরসভা নির্বাচন। ভোট (PM Modi) হয়েছে মেয়র, নগর পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সন এবং নগরপালিকা পরিষদ চেয়ারপার্সন বাছাই করতে। সর্বত্রই ক্লিন বোল্ড হয়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মূলত দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন।

    একটি হল, উত্তরপ্রদেশে অপরাধী এবং মাফিয়াদের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়টি হল, অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি। প্রসঙ্গত, ওই নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে ১৭টি মেয়র পদে। নগর পঞ্চায়েতের ৫৪৪টি আসন গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। নগর পালিকা পরিষদ নির্বাচনে ১৯৯টি আসনেও জয়ী হয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রাজ্যের যে ১৭টি নগর নিগমে বিজেপি (PM Modi) জিতেছে সেগুলি হল রাজধানী লখনউ, প্রয়াগরাজ, কানপুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীর শহর গোরক্ষপুর এবং অযোধ্যা। সাহারানপুর, আগ্রা, মোরাদাবাদ, ফিরোজাবাদ, মথুরা, ঝাঁসি, মিরাট, গাজিয়াবাদ, বরেলি, শাহজাহানপুর এবং আলিগড়ও রয়েছে এই তালিকায়। এই নগরনিগমগুলির মেয়রপদের পাশাপাশি ১,৪০১টি ওয়ার্ডের কর্পোরেটর পদের ৫০ শতাংশেরও বেশি আসনও গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: কর্নাটক (Karnataka) ক্যাডারের আইপিএস (IPS) অফিসার প্রবীণ সুদ (Praveen Sood) হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) নয়া ডিরেক্টর। রবিবার এই পদে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হতে চলেছে সিবিআইয়ের বর্তমান প্রধানের। সেই কারণেই প্রয়োজন ছিল নয়া সিবিআই প্রধান নির্বাচন। সেই জন্যই শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বিরোধী দলের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। এদিন সিবিআই প্রধান পদে তিনজনের নামের সুপারিশ জমা পড়েছিল। এঁরা হলেন, কর্নাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদ, মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীরকুমার সাক্সেনা এবং দমকল পরিষেবা, নাগরিক প্রতিরক্ষা এবং হোমগার্ড বিভাগের তাজ হাসান।

    সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর…

    বর্তমানে সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর পদে রয়েছেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সুবোধকুমার জয়সওয়াল। ২০২১ সালের ২৬ মে সিবিআই ডিরেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। ২৫ মে শেষ হতে চলেছে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে, নাকি নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে, তা ঠিক করতেই শনিবার বসেছিল বৈঠক। রবিবার ঘোষণা করা হল প্রবীণের নাম।

    বস্তুত সিবিআই ডিরেক্টর হওয়ার দৌড়ে প্রথম থেকেই এগিয়েছিলেন প্রবীণ। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা প্রবীণ আইআইটি দিল্লির প্রাক্তনী। ১৯৮৬ সালের আইপিএস অফিসার তিনি। এর আগে টানা তিন বছর ধরে কর্নাটকের ডিজিপি হিসেবে কাজ করেছেন প্রবীণ। ২০২৪ সালের মে মাসে অবসর নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সিবিআই ডিরেক্টর মনোনীত হওয়ায় তাঁকে কাজ করতে হবে কমপক্ষে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, দুর্নীত ও অর্থনৈতিক নানা অপরাধ থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রবিবার যে সরকারি নির্দেশনামা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে প্রবীণকেই সিবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারত সরকার। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু বছর। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটি নিয়োগ করেন সিবিআই প্রধানকে। এই পদে কাউকে মনোনীত করা হয় দু বছরের জন্য। পরে প্রয়োজনে সর্বাধিক পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে তাঁর মেয়াদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: নন্দীগ্রামের ছায়া কর্নাটকে! পুনর্গণনায় বিজেপি প্রার্থী জিতলেন ১৬ ভোটে

    Karnataka: নন্দীগ্রামের ছায়া কর্নাটকে! পুনর্গণনায় বিজেপি প্রার্থী জিতলেন ১৬ ভোটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান উত্তেজনায় কর্নাটকের (Karnataka) জয়নগর কেন্দ্রে দেখা গেল ২০২১ সালের নন্দীগ্রামের চিত্র। রাতভর চলল পুনর্গণনা। নন্দীগ্রামে প্রথমে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে পুনর্গণনা হতেই পাল্টে যায় চিত্র। জেতেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। শনিবারই কর্নাটকের (Karnataka) ভোটের ফলাফল সামনে এসেছে। মসনদে ফিরেছে কংগ্রেস। এদিন বেঙ্গালুরুর জয়নগর কেন্দ্রের গণনা নিয়ে দিনভর চলল নাটক। শনিবার দুপুর থেকে কংগ্রেস প্রার্থী জিতেছেন বলে খবর রটে, রবিবার নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা করে পুনর্গণনার পরে, যে কংগ্রেস নয় ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সি কে রামামূর্তি। এবং ভোটের ব্যবধান মাত্র ১৬। কর্ণাটক (Karnataka) বিধানসভার ২২৪ আসনের মধ্যে ২২৩টির ফলাফল শনিবার রাত অবধি ঘোষণা হয়ে গেলেও জয়নগর কেন্দ্র নিয়েই চলতে থাকে চাপানউতর। ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্য রেড্ডি জয়ী হয়েছেন নাকি বিজেপি প্রার্থী সি কে রামামূর্তি তা নিয়েই সরগরম থাকে গণনা কেন্দ্র। রাত অবধি তিনবার গণনা হয়, কিন্তু তারপরেও বিজেপির তরফ থেকে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য ফের গণনার দাবি করেন। এরপর মধ্যরাত অবধি চলে ভোট গণনা। গণনায় দেখা যায় কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৮১ ভোট অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী এস রামামূর্তি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৯৭ ভোট। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে এদিন সারাক্ষণই উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গালুরু দক্ষিণের সাংসদ তেজস্বী সূর্য।

    কিভাবে তৈরি হয় সমস্যা

    সূত্রের খবর, গণনা শেষে কংগ্রেস প্রার্থীকে ১৬০ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয় কিন্তু বিজেপির তরফ থেকে তেজস্বী সূর্য পুনর্গণনার দাবি তোলেন। তাঁরা দাবি করতে থাকেন যে, প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে ১৭৭ টি পোস্টাল ব্যালটের ভোট বাতিল করা যাবে। জেলা নির্বাচন আধিকারিক এই দাবি মেনে পোস্টাল ব্যালটগুলি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন। তখন ১৬০ ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বিজেপি প্রার্থী ১৬ ভোটে জয়ী হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Third Front: “থার্ড ফ্রন্টে যাচ্ছি না”! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ঘোষণা নবীনের

    Third Front: “থার্ড ফ্রন্টে যাচ্ছি না”! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ঘোষণা নবীনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন, অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসী রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে আঞ্চলিক দলগুলি। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক সেই থার্ড ফ্রন্টের (Third Front) সম্ভাবনাতেই জল ঢেলে দিলেন। অ-বিজেপি ও অ-কংগ্রেসী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নবীনের উক্তি, ‘‘এখনই এরকম কোন সম্ভাবনা নেই।’’ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিহার থেকে উড়ে নবান্নে এসেছিলেন নীতিশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব। দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সম্ভাবনা তৈরি হয় অ-বিজেপি ও অ-কংগ্রেসী দলগুলোর একছাতার তলায় আসার। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ২০২৪ সালে আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বিজেপি। থার্ড ফ্রন্টের (Third Front) মুখ কে হবেন, সে নিয়েই সংশয় রয়েছে। তো এরকম পরিস্থিতিতে থার্ড ফ্রন্টের (Third Front) সম্ভাবনাকে একটা অলীক কল্পনা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অভিজ্ঞ মহল বলছে, প্রতিবারই লোকসভা নির্বাচনের আগে আঞ্চলিক দলগুলো মিলে এরকম একটা হাওয়া তৈরি করে। কিন্তু জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেস এবং বিজেপি ছাড়া সব রাজ্যে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।

    বৃহস্পতিবারে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

    প্রসঙ্গত, এদিন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। জানা গেছে, ওড়িশার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে এবং ওড়িশার বিভিন্ন উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা পুরীতে একটা বিমানবন্দর গড়তে চাই। ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্টের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী সব রকম দিক থেকে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, নীতিশ কুমারের সঙ্গে মঙ্গলবারই বৈঠক হয় নবীন পট্টনায়কের। যদিও এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎকার হিসেবে বলেছেন নবীন পট্টনায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share