Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Environment Recycling: দেশের প্রথম ‘কার্বন-নেগেটিভ’ শৌচাগার তৈরি করলেন অষ্টাদশী! বিশেষত্ব জানেন?

    Environment Recycling: দেশের প্রথম ‘কার্বন-নেগেটিভ’ শৌচাগার তৈরি করলেন অষ্টাদশী! বিশেষত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রথম দর্শনে মনে হবে কোনও ইগলু! বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় নেই যে এটি কোনও শৌচাগার। আর এই অভিনব নকশার টয়লেটের নির্মাণেও রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। কারণ, এটি সুলভ-এর মতো আর পাঁচটা সাধারণ শৌচাগার নয়। এটি দেশের প্রথম কার্বন-নেগেটিভ টয়লেট। এই টয়লেট তৈরি করেছেন এক অষ্টাদশী।  যার দৌলতে গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন ওই তরুণী। পাঞ্জাবের ১৮ বছরের তরুণী রুহানি ভার্মা ছোটবেলা থেকেই একজন পরিবেশপ্রেমী। প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের (Environment Recycling) প্রতি ছোট থেকেই আগ্রহ তাঁর। এরপর রুহানি হাইস্কুলে ওঠামাত্রই পরিবেশ বান্ধব কিছু প্রজেক্ট করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। তিনি তখন মনে করতেন, যেকোনও নির্মাণই পরিবেশের (Environment Recycling) উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে। জলের অপচয়, বায়ু দূষণ ইত্যাদি।  তাঁর নিজের কথায়, “আমি ইউটিউবে ভিডিও দেখে এবং ইন্টারনেটে নিবন্ধ পড়ে পরিবেশ বান্ধব ইট নিয়ে গবেষণা শুরু করি। আমি তখন জানতে পারি ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক লোক বিভিন্ন প্রকল্পে এই ইটগুলি ব্যবহার করছে।  কিন্তু এখানকার বেশিরভাগ লোকই এবিষয়ে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প শুরু করতে, তিনি  প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেন। একাজে সাহায্য পান তাঁর পিতামাতা, এবং বিভিন্ন পেশাদারের। 

    কীভাবে বাস্তবায়িত হল এমন পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প (Environment Recycling)

     রুহানির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল শ্রী ধর রাও এর। শ্রী ধর রাও একজন ইঞ্জিনিয়ার। এই কাজে ব্যবহার করা হয় ফাউন্ড্রি ধুলো এবং প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি, সিলিকা প্লাস্টিক ব্লক বা SPB, একটি টেকসই এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইঁট। এরপর পরিবেশ বান্ধব এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য তৈরি করা হয় একটি টিম, ওই টিমের সদস্যরা হলেন শিখা ডুগার, রানা সরকার, জুনিয়র আর্কিটেক্ট হিসাবে মানবী দীক্ষিত এবং গ্রাফিক্স বিভাগে ছিলেন অভিষেক সিং। শুরু হয় কার্বন নেগেটিভ পরিবেশ বান্ধব টয়লেট ডিজাইনের কাজ। এরপর রুহানি বিভিন্ন জায়গা থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন। এরপর ওই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় হয় ইঁট। আরও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন,  এমএস অ্যাঙ্গেল, পিভিসি পাইপ, এইচডিএইচএমআর বোর্ড, ধাতু, ঢেউতোলা শীট, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। যা সবই ছিল পুনর্ব্যবহারযোগ্য (Environment Recycling)। রুহানি জানান, এটি ছিল পুনর্ব্যবহারযোগ্য পাবলিক টয়লেট,  ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়। মোট ৪ লক্ষ প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে এটা তৈরি করা হয়েছে।
    রুহানি বলেন, পাবলিক টয়লেট সাধারণত নোংরা দেখায়। তাই আমরা ভেবেছিলাম এই টয়লেটগুলো যেন বাকি জায়গার মতো নোংরা হয়না। এবং গঠনমূলকভাবে এটাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছিলাম।
    প্রকল্পের রুপায়নকারী সংস্থা বলে, এটি আমাদের প্রথম প্রকল্প ছিল, এটি তৈরি করতে আমাদের প্রায় দুই মাস সময় লেগেছিল, কিন্তু ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলি  আমরা দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ করত পারব বলে মনে হয়। অমৃতসর বিমানবন্দরের এই কাঠামোটি কমপক্ষে পাঁচ বছর স্থায়ী হবে। রুহানি বলেন, এই প্রকল্পটি আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছি। বর্তমানে এটি স্বচ্ছভারত মিশনের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। আমরা এটিকে প্রতিনিয়ত দেখভাল করছি। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তান সমস্যা। খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice) নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। সোমবার এই সংগঠনেরই প্রতিষ্ঠাতা গুরপন্তওয়ান্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) হুমকি দিয়েছেন, জি-২০’র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সময় হামলা করা হবে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়ানো হবে খালিস্তানের ঝান্ডা। 

    শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice)…

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্জাব (Punjab) ভারত নয় স্লোগান লেখা হয়েছে এসডিও অফিস কমপ্লেক্সে। পঞ্জাবের মোগা জেলার রোড ভিলেজে বাঘাপূর্ণা অ্যান্ড গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের দেওয়ালেও লেখা হয়েছে ওই স্লোগান। শিখস ফর জাস্টিসের তরফে দাবি করা হয়েছে দেওয়ালের ওই স্লোগান লিখেছে তারাই। উল্লেখ্য যে, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী জার্নেল সিং ভিন্দ্রেওয়ালা এই রোড ভিলেজেরই বাসিন্দা ছিলেন।

    পান্নুন (Sikhs for Justice) বলেন, এই বার্তা দেওয়া হয়েছে জি-২০’র বিদেশমন্ত্রীদের। পঞ্জাব ভারত নয়। শিখস ফর জাস্টিস নিউ দিল্লি এয়ারপোর্ট আক্রমণ করবে। সেখানে উড়িয়ে দেবে খালিস্তানি ঝান্ডা। তিনি বলেন, এই হচ্ছে সময় যখন আপনারা (জি-২০-র বিদেশমন্ত্রীরা) আমাদের খালিস্তানের দাবি সমর্থন করবেন। শিখদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিকে আপনারা সমর্থন করবেন। ভারত ভূখণ্ডকে আপনারা চিনতে পারবেন না। কারণ ভারত কোনও দেশ নয়, শর্তসাপেক্ষে কতগুলো রাজ্যের ইউনিয়ন। তিনি বলেন, যদি মানুষ এই ইউনিয়নে থাকতে না চায়, তাহলে তাদের ভোটের অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    শিখস ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) ভারত-বিরোধী কাজকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে দীর্ঘদিন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় খালিস্তানি পতাকা ওড়াতে পারলে আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার কথা তারা ঘোষণা করেছিল ২০২১ সালে। তখন পান্নুন বলেছিলেন, ২৬ জানুয়ারি আসছে। লালকেল্লায় ভারতের তিরঙ্গা পতাকা উড়বে। ২৬ জানুয়ারি ওই পতাকা সরিয়ে টাঙিয়ে দাও খালিস্তানি পতাকা। দিন কয়েক আগে আর এক খালিস্তানপন্থী অমৃতপাল সিং হুমকি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানি আন্দোলন দমন করতে গেলে অমিত শাহের পরিণতি হবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানের দাবি অধিকারের। এর অর্থ, শিখরা তাদের জমি ফেরত পেতে চায়। তাঁদের এই দাবিকে কেউ ছিনতাই করতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Olaf Scholz: জার্মানিতে এসে কাজ করুন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ কর্মীরা, আবেদন জার্মান চ্যান্সেলরের

    Olaf Scholz: জার্মানিতে এসে কাজ করুন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ কর্মীরা, আবেদন জার্মান চ্যান্সেলরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ভারত সফরে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ (Olaf Scholz)। শনিবার দুদিনের জন্যে এই দেশে এসেছেন তিনি। এ দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে যান শলৎজ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। এছাড়াও একাধিক প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেন। ক্লিন এনার্জি, বাণিজ্য ও নয়া প্রযুক্তি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। এই বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোদি বলেন, ইউরোপে ভারতের সবথেকে বড় বাণিজ্য অংশীদার হল জার্মানি। সেখানেই শলৎজ প্রধানমন্ত্রীর সামনে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও অন্যান্য কারিগরি শিল্পে দক্ষ কর্মীদের জার্মানিতে গিয়ে চাকরি করার আর্জি জানান।

    কী বললেন জার্মান চ্যান্সেলর?

      
    এ দিন বৈঠকের আগেই শলৎজ (Olaf Scholz) সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের ইতিমধ্যেই ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আমি আশা করি এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আশা করি আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন এবং বিশ্বের শান্তির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সমস্ত বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করব।” এ দিন একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল।

    বৈঠক শেষে দিল্লিতে হায়দ্রাবাদ হাউস থেকে একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর (Olaf Scholz) বলেন, “দুই দেশের মধ্যে গভীর বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে ভারত ও জার্মানির সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমাদের বাণিজ্য বিনিময়ের ইতিহাস রয়েছে। জার্মানি ও ইউরোপ আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যের অংশীদার।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউরোপে আমাদের বাণিজ্যের সর্ববৃহৎ অংশীদার হওয়া ছাড়াও ভারতে বিনিয়োগের অন্যতম একটি উৎস হল জার্মানি। তিনি বলেন, “একে অপরের স্বার্থের অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে ভারত ও জার্মানির মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।”  

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “বিগত কয়েক বছরে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আজ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ফলে সমস্ত ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ এসেছে। আমরা এই সুযোগগুলিতে জার্মানির আগ্রহ দেখে উত্সাহিত হয়েছি।” সেখানেই শলৎজ় বলেন, “আমাদের দরকার মেধা ও দক্ষ কর্মীর। ভারতে তথ্য প্রযুক্তি ও সফ্টওয়্যারের বিকাশ হচ্ছে এবং অনেক সক্ষম সংস্থা ভারতে রয়েছে। ভারতে এত প্রতিভা রয়েছে এবং আমরা তা থেকে উপকৃত হতে চাই। আমরা জার্মানিতে সেই প্রতিভা নিয়োগ করতে চাই।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পকে ক্লিনচিট দিল্লি হাইকোর্টের, খারিজ যাবতীয় বিরোধী-মামলা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথাও উঠে এসেছে আলোচনায়। শলৎজ (Olaf Scholz) বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গোটা বিশ্বে একটি বড় বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। কারণ আমরা জানি এই যুদ্ধ অর্থনৈতিক নীতিগুলি লঙ্ঘন করে। প্রায় ১,৮০০ জার্মান সংস্থা ভারতে সক্রিয় এবং হাজার হাজার চাকরি দিয়েছে।” তিনি রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করে বলেন, “রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাবে ভুগছে গোটা বিশ্ব। খাদ্য ও জ্বালানির সরবরাহ অবিচ্ছিন্ন রাখতে নিশ্চিত করা হচ্ছে।” ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শলৎজ বলেন, “এই সময়ে ভারতের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের জন্য তা ভাল।”   

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে বলেন, “ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হতেই ভারত আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে এই বিরোধ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে। ভারত যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Agnipath Scheme: অগ্নিপথ প্রকল্পকে ক্লিনচিট দিল্লি হাইকোর্টের, খারিজ যাবতীয় বিরোধী-মামলা

    Agnipath Scheme: অগ্নিপথ প্রকল্পকে ক্লিনচিট দিল্লি হাইকোর্টের, খারিজ যাবতীয় বিরোধী-মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পকে ক্লিনচিট দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Agnipath Scheme)। খারিজ হয়ে গেল অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যাবতীয় মামলা। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলে, “সেনা ও দেশের যুব সমাজের স্বার্থে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে আপত্তির কিছু নেই।”

     


     
     
    কেন্দ্র অগ্নিপথ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) ঘোষণা করার পর থেকেই দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসে। অনেকেই এই প্রকল্পের বিরোধীতায় সরব হন। আদালতে দায়ের করা হয় একাধিক মামলা। দিল্লি হাইকোর্টেও দায়ের হয়েছিল বেশ কিছু জনস্বার্থের মামলা। তারমধ্যে কয়েকটি মামলা করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তারা।

    আরও পড়ুন: সুদূর ফ্রান্সে গিয়ে যোগ্যতা অর্জন, বাংলার ১১তম গ্র্যান্ডমাস্টার সায়ন্তন দাস

    বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। শীর্ষ আদালত সেই মামলা দিল্লি হাইকোর্টে পাঠায়। এছাড়া দেশের একাধিক হাইকোর্টে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, জওয়ানদের চার বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করা হলে সেনার সক্ষমতা হ্রাস পাবে। একইভাবে বিপাকে পড়বেন অবসরপ্রাপ্ত অগ্নিবীররা।

    কী বলেছেন বিচারপতি?

    দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Agnipath Scheme) সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, সেনা বাহিনীতে নিয়োগের বিষয়ে মামলাকারীরা প্রশ্ন তুলতে পারেন না। সেনাই ভাল জানে নিয়োগের ভালমন্দ। আদালতেরও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। দিল্লি হাইকোর্ট গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তার রায় সংরক্ষণ করেছে।

    প্রসঙ্গত, সশস্ত্র বাহিনীতে যুবকদের নিয়োগের জন্য গত বছরের ১৪ জুন ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’ (Agnipath Scheme) চালু করা হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে, সাড়ে সতেরো ​​থেকে ২১ বছর বয়সী যুবকরা এই স্কিমের আওতায় সেনাবাহিনীতে আবেদন করার যোগ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Nagaland Manipur: নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা! আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল, কড়া নিরাপত্তা মেঘালয়ে

    Nagaland Manipur: নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা! আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল, কড়া নিরাপত্তা মেঘালয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই মেঘালয়, নাগাল্যান্ড বিধানসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। চোখে পড়েছে লম্বা লাইন। মেঘালয়ে মোট ২১ লক্ষ ভোটার ৩৬৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নিজেদের পছন্দ মতো প্রতিনিধি বেছে নেবে জনসাধারণ। পাশাপাশি নাগাল্যান্ডে ১৩ লক্ষ ভোটার আজ, ১৮৩ জন প্রার্থীর ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন। বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে যাতে কেউ এখানে প্রবেশ না করতে পারে, সেজন্য ভোটগ্রহণ ঘিরে দুই রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ২ তারিখ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শেষ না হওয়া অবধি আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল থাকবে। ভোটারদের অবাধে ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    নাগাল্যান্ডে উত্তেজনা

    নাগাল্যান্ডে এবারও জোট করেই লড়াই করছে এনডিপিপি এবং বিজেপি। নাগাল্যান্ডে নিফো রিওর দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (এনডিপিপি)-র সঙ্গে জোটে লড়াই করছে দেশের শাসকদল। এনডিপিপি ৪০টি আসনে, ২০টি আসনে বিজেপি লড়াই করছে। এই দু’দলের জোট সরকারই বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে নাগাল্যান্ডে। আবারও তাঁরা ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এবারে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডারা। এখানে নাগা পিপলস পার্টি (এনপিপি) ২২টি আসনে লড়াই করছে। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ২৩টি আসনে।

    ভোটগ্রহণ চলার সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠল নাগাল্যান্ডের একটি ভোটকেন্দ্র। অভিযোগ, বুথের ভিতরেই এনপিপি সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক এনপিএফ সমর্থক। ওই বুথে ভোটগ্রহণ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।

    আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    মেঘালয়ে কড়া নিরাপত্তা

    মেঘালয়ে ৬০ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী কানরাড সাংমার দল এনপিপি। মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে তৎপর দুই রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। ভোটে অশান্তি এড়াতে দুই রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আবার মেঘালয়ের ৯০০টি বুথ স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই ওই বুথগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এফ আর খারকোনগোর ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sidhu Moosewala: জেলের মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! মৃত্যু হল মুসেওয়ালা খুনে ধৃত ২ দুষ্কৃতীর, আহত ১

    Sidhu Moosewala: জেলের মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! মৃত্যু হল মুসেওয়ালা খুনে ধৃত ২ দুষ্কৃতীর, আহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলের মধ্যেই হাতাহাতি করে মৃত্যু হল সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনে দুই অভিযুক্তের। পাঞ্জাবের গোইন্দওয়াল সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিল সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলার অভিযুক্তরা। আজ, রবিবার হঠাৎ বিকেলে জেলের ভেতরে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তিন অভিযুক্ত। সংঘর্ষে দুই গ্যাংস্টারের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মনদীপ সিং ওরফে তুফান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে অপর অভিযুক্ত মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরেক অভিযুক্ত কেশব। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৯ মে গুলিবিদ্ধ হন পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, পাঞ্জাবের তারন তারান জেলার গোইন্দওয়াল সাহেব সেন্ট্রাল জেলের ভিতরে হঠাৎই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। জেলের রক্ষীরা থামাতে যাওয়ার আগেই আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় দুরান মনদীপ সিং ওরফে তুফানের। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করে পাঞ্জাব পুলিশ। তারপর থেকেই জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল মনদীপকে। এই সংঘর্ষে অপর অভিযুক্ত মনমোহন সিং গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মনমোহনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত বছর জুন মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল মনমোহনের। পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মুসেওয়ালার (Sidhu Moosewala) গতিবিধির উপর নজর রাখত সে। এই অভিযোগেই গ্রেফতার হয়েছিল মনমোহন। আবার এই ঘটনায় গুরুতর আহত কেশবকে অমৃতসরের গুরু নানক দেব হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। যেখানে তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, কেশবের মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে।

    মুসেওয়ালার মৃত্যু

    মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) গত বছর কংগ্রেসের টিকিটে পাঞ্জাব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পাঞ্জাবের মানসা জেলায় গতবছর ২৯ মে হামলাকারীদের গুলিতে মারা যান তিনি। গ্যাংওয়ারের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। হাজতে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে মুসেওয়ালা খুনের অপরাধের মূলচক্রী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৮৫০ পাতার চার্জশিটে ৩৬ জনের নাম রয়েছে। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দাবি করে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-র দলের সদস্য গোল্ডি ব্রার সিধুর হাত। চলতি বছরে গোল্ডি ব্রারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

    প্রশ্নের মুখে আপ সরকার

    জেলের মধ্যেই কী করে এহেন প্রাণঘাতী হামলায় জড়িয়ে পড়ল বন্দিরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার জেরে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে আম আদমি পার্টি বা আপ পরিচালিত পাঞ্জাবের ভগবন্ত মানের সরকার। জেলের মধ্যে কী ভাবে গ্যাংওয়ারে জড়িয়ে পড়ল মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনে তিন অভিযুক্ত? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেলের সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনার নেপথ্যে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • G20: যুদ্ধ শব্দে আপত্তি রাশিয়া ও চিনের! জি-২০ তে যৌথ বিবৃতি দেওয়া গেলনা

    G20: যুদ্ধ শব্দে আপত্তি রাশিয়া ও চিনের! জি-২০ তে যৌথ বিবৃতি দেওয়া গেলনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ২০টি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত জি-২০ (G20) দেশগুলির অর্থমন্ত্রীরা শনিবার যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হল। এদিন বেঙ্গালুরুতে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই ধরনের বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার নিয়ম থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে তা হল না। কারণ যৌথ বিবৃতিতে অধিকাংশ দেশই ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করার পক্ষে সায় দেয়। তবে রাশিয়া ও চিন এর বিরোধিতা করে। এই আবহে শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে কোনও যৌথ বিবৃতি প্রকাশই করা গেল না। অবশেষে বৈঠকের সভাপতিত্ব করা ভারত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে  বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    গত বছর ইন্দোনেশিয়াতেও জটিলতা তৈরি হয় যৌথ বিবৃতি নিয়ে

    উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ (G20)  শীর্ষ সম্মেলনেও যৌথ বিবৃতি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সেখানেও বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ নিয়ে আপত্তি ছিল রাশিয়ার। পরবর্তীতে ভারতের মধ্যস্থতায় বিবৃতির ‘ভাষায়’ বদল আনা হয়। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতে সায় দিয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের বৈঠকের পর কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি যৌথ বিবৃতি জটিলতা সংক্রান্ত। পাশাপাশি এর থেকে প্রকাশ্যে চলে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এই গোষ্ঠীর ২০টি দেশের মতভেদের বিষয়টি।

    অর্থমন্ত্রী কী বলছেন

    এই আবহে অর্থমন্ত্রী জানান, এই বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দু’টি অনুচ্ছেদ ছিল। ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ সম্মেলনে যে ভাষায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, এই ক্ষেত্রেও তাই ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী জানান, সেই যৌথ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি ছিল চিন ও রাশিয়ার। তিনি বলেন, ‘তারা (চিন ও রাশিয়া) চায়নি যে ওই দুই অনুচ্ছেদ যৌথ বিবৃতিতে থাকুক। তাঁদের বক্তব্য ছিল, অর্থমন্ত্রীদের কাজ অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। বিশ্ব রাজনীতির মধ্যে না ঢোকাই উচিত।’ 
    সূত্র মারফত জানা গেছে, যৌথ বিবৃতি নিয়ে আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করেছিল রাশিয়া। তাদের দাবি ছিল, পশ্চিমা বিশ্ব তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তার সমালোচনা করতে হবে। অর্থ মন্ত্রকের সচিব অজয় শেঠ এই বিষয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র যুদ্ধ শব্দটিকে বাদ দিতে বলা হয়নি রাশিয়া ও চিনের তরফে। ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত পুরো দুটো প্যারাগ্রাফ সরাতে বলে তারা। এদিকে গোষ্ঠীর বাকি ১৮টি দেশেরই মনে হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়েছে। তো যৌথ বিবৃতিতে যুদ্ধের উল্লেখ থাকা উচিত।’

     জি-২০ (G20)  এর সভাপতি হিসেবে ভারতের বিবৃতিতে কী বলা হল

    ‘বেশিরভাগ সদস্যই ইউক্রেনের যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রায় সকল সদস্যই জোর দিয়ে বলেছেন যে এই যুদ্ধের কারণে বিপুল দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আম জনতাকে। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে তুলেছে এই যুদ্ধ। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করেছে এই যুদ্ধ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যুদ্ধ। তাছাড়া সকল দেশেই আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি বেড়েছে এর কারণে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Sukma: ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদী হামলা, নিহত ৩ জওয়ান

    Sukma: ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদী হামলা, নিহত ৩ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা চলছেই। শনিবার রাজ্যের সুকমায় (Sukma) মাওবাদীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে শহীদ হলেন ৩ ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ পুলিশ গার্ড। পাশাপাশি শহীদ হয়েছেন ১ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরও। জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে জাগরগুন্ডা থানা এলাকার মধ্যে। ৩ জন শহীদের নাম কুঞ্জম যোগা, সৈনিক ভাঞ্জম ভীমা, রামুরাম নাগ। জানা গেছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন অপারেশনে নেমেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ওপর হামলা চালায় মাওবাদীরা।

    আরও কিছু মাওবাদী হামলার নজির চলতি মাসে

    চলতি মাসের ৫ তারিখে নীলকান্ত কাকম, বিজাপুরের আউয়াপল্লী মন্ডলের বিজেপির সভাপতিকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করে মাওবাদীরা। উনি একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন, সেখানেই ১৫০ জনের মাওবাদী দল প্রথমে গ্রামটিকে ঘিরে ধরে এবং কয়েকজন মাওবাদী ওই বিয়েবাড়িতে ঢুকে নীলকান্ত কাকমকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। তারপর থেকে এইমাসে একাধিক মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এরপরে ১০ ফেব্রুয়ারি মাওবাদীদের হাতে খুন হন বিজেপির নারায়নপুর জেলা সহসভাপতি সাগর সাহু। আবার এই ঘটনার ঠিক একদিনের মাথায় খুন হন ওই জেলারই বিজেপির প্রাক্তন প্রধান রামধর আলমি। 

    চলতি সপ্তাহের গোড়ায় ছত্তিশগড়ের এক পুলিশকর্মী নৃশংসভাবে খুন হন মাওবাদীদের হাতে। ওই হেড কনস্টেবলকে গলা কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রাজ্যের বীজাপুরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। মৃত পুলিশকর্মীর নাম পিন্ডিরাম ভেট্টি। দন্তেওয়াড়া জেলার পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন তিনি। দান্তেওয়াড়ার এএসপি আর কে বর্মন জানিয়েছেন, হেড কনস্টেবল ভেট্টির বাড়ি গুমলনার গ্রামে। সম্প্রতি বিশাখাপত্তনামে পুলিশ ট্রেনিং শেষ করে বাড়ি ফেরেন পিন্ডিরাম। ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে চারদিন ছুটি নিয়েছিলেন। কাদেনার গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। আনন্দ অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল রবিবার রাতে। তা শেষ হওয়ার পর বিশ্রাম নিচ্ছিলেন পুলিশকর্মী। তখনই মাওবাদীরা ঘিরে ধরে হত্যা করে তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Gujarat High Court: ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ নয় ’স্যর’ বলাই উচিত, বললেন গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি  

    Gujarat High Court: ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ নয় ’স্যর’ বলাই উচিত, বললেন গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থান হাইকোর্টের পথেই হাঁটার বার্তা গুজরাট হাইকোর্টের (Gujarat High Court)! পুরুষ কিংবা মহিলা বিচারপতি যিনিই হোন না কেন, তাঁকে স্যর বলে সম্বোধন করতে হবে। এই মর্মে নোটিশ জারি করেছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতিদের মাই লর্ড বা ইয়োর অনার সম্বোধনে আপত্তি জানালেন গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সোনিয়া গোকানি (Sonia Gokani)। মাত্র ৯ দিনের জন্য গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। এই কদিনের মেয়াদেই বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ প্রথা বাতিলের পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি।

    রাজস্থান হাইকোর্ট…

    চার বছর আগে রাজস্থান হাইকোর্ট একটি নোটিশ জারি করে জানিয়েছিল, বিচারপতিদের মাই লর্ড বা ইয়োর অনারের বদলে স্যর সম্বোধন করতে হবে। এদিন একটি মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি সোনিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। ওই সময় এক আইনজীবী বেঞ্চের এক বিচারপতি সন্দীপ এন ভট্টকে মাই লর্ড বলে সম্বোধন করেন। তখনই সোনিয়া বলেন, বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে মাই লর্ড বা ইয়োর অনার বলার কোনও প্রয়োজন নেই। স্যর বলাই যথেষ্ট।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    বিচারপতিদের সম্মান জানানোটা জরুরি হলেও, তাঁদের মাই লর্ড বা ইয়োর অনার বলে সম্বোধন করাটা বাধ্যতামূলক নয়। ২০১৪ সালেই সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে একথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, সোনিয়া ছিলেন গুজরাট হাইকোর্টের (Gujarat High Court) প্রথম মহিলা বিচারপতি। ৯ দিনের মেয়াদ শেষে শনিবারই অবসর নেন তিনি। ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে জেলা জজ হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন সোনিয়া। ২০১১ সালে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে গুজরাট হাইকোর্টে যোগ দেন তিনি। ৯ দিন আগে তাঁকে দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতির পদ।

    এদিন সোনিয়া বলেন, স্যর বলাই উচিত। মাই লর্ড কিংবা ইয়োর অনার বলার চেয়ে এটা বলাই ঠিক হবে। এটা লিঙ্গ-নিরপেক্ষও হবে। এদিন তিনি মনে করিয়ে দেন পুরনো একটি ঘটনার কথা। বিচারপতিদের কীভাবে সম্বোধন করা হবে তা নিয়ে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে একটি আলোচনা চক্র হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ইয়োর লর্ড বলাটা সামন্তবাদী ধারণা। তখনই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায় বলেন, অধিকাংশ আইনজীবীই ইতিমধ্যেই স্যর বলতে শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • DRDO: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    DRDO: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ডিআরডিও (DRDO) অফিসারের বিরুদ্ধে উঠল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। পাক রমণীর সঙ্গে সম্পর্কস্থাপনের অভিযোগও উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ডিআরডিও’র সেই সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসারকে। জানা গিয়েছে, গত একবছর ধরে এক পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। মধুচক্রের ফাঁদে পড়ে শত্রুদেশের ওই মহিলাকে নিজের নগ্ন ছবি-ভিডিয়ো থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সব পাঠিয়েছেন তিনি। শনিবার বালাসোর পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। আইজি (ইস্টার্ন রেঞ্জ) হিমাংসু লাল জানিয়েছেন, ওই টেকনিক্যাল অফিসার বালাসোর জেলার চাঁদিপুরে ডিআরডিওর ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে নিযুক্ত ছিলেন। বছর খানেক আগে ওই পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। অল্প দিনেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

     

    কী জানা গেল? 

    পুলিশের তরফে (DRDO) জানানো হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া অফিসার অশ্লীল ছবি ও ভিডিওর বিনিময়ে পাকিস্তানি মহিলা এজেন্টের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোপন তথ্য শেয়ার করেছিলেন। জানা গিয়েছে, মধুচক্রটি অপারেট হত রাওয়ালপিন্ডি থেকে। সেখান থেকেই এ দেশের বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক, বিশেষ করে যারা দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের টার্গেট করা হয়। 

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গোপন তথ্য পাওয়ার জন্য এ দেশের প্রকৌশলী ও সুরক্ষা ব্যবস্থার আধিকারিকদের গুপ্তচর হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য এই ধরনের ফাঁদ পাতা হচ্ছে। এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সুন্দরী তরুণীদের। উল্লেখ্য, এটি ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে তথ্য ফাঁসের প্রথম ঘটনা নয়। অতীতেও একই অভিযোগে বেশ কয়েকজন অফিসার গ্রেফতার হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর  

    গ্রেফতার হওয়া আধিকারিকের নাম (DRDO) বাবুরাম। ডিআরডিও আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আইটিআর-এ প্রায় সমস্ত মিসাইল পরীক্ষার সময়ই উপস্থিত ছিলেন বাবুরাম। তাছাড়া ডিআরডিও কর্মী এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। মিসাইল উৎক্ষেপণে অতি স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত তথ্যও থাকত বাবুরামের কাছেই। সেই বাবুরামই এবার পুলিশের হেফাজতে। অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই মহিলা পাক চরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বাবুরামের। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ফোন। ডিআরডিও-র গোপন তথ্য কতখানি পাকিস্তানের কাছে পৌঁছেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

      

LinkedIn
Share