Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Maoism: মোদি সরকারের আমলে মাওবাদ মোকাবিলায় মিলেছে ব্যাপক সাফল্য, বলছে রিপোর্ট

    Maoism: মোদি সরকারের আমলে মাওবাদ মোকাবিলায় মিলেছে ব্যাপক সাফল্য, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের আমলে দেশে মাওবাদী (Maoism) সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হচ্ছে যে গত ১০ বছরে মাওবাদী হিংসা ৫৫ শতাংশ কমেছে এবং মাওবাদীদের (Maoism) হাতে সাধারণ মানুষের হত্যা ৬৩ শতাংশ কমেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ২০১৩ সালে ১০টি রাজ্যের ৭৬টি জেলার ৩৩০ টি থানাতে মাওবাদীদের প্রভাব ছিল এবং ২০২১ সালে দেখা যাচ্ছে যে মাওবাদীদের (Maoism) প্রভাব  রয়েছে ৮টি রাজ্যের ৪৬টি জেলায় এবং ১৯১টি থানাতে।

    তিন দশকের মাওবাদী (Maoism) ঘাঁটিগুলি আজ ধ্বংসের মুখে

    ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত এলাকা মাওবাদীদের (Maoism) শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল বিগত তিন দশক ধরে। এই অঞ্চলকে বুধা পাহাদ বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে মাওবাদীদের (Maoism) বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স পলিসি প্রয়োগ করেছে এখানে এবং তাতেই মিলেছে এই সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। বিহার এবং ছত্তিশগড়ের সীমান্তবর্তী জঙ্গল এলাকাগুলিতে মাওবাদীরা মাটির নিচে মাইল পুঁতে রাখত যার ফলে সেনাবাহিনীর সেখানে প্রবেশ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছিল, ঠিক এই পদ্ধতিই তারা দণ্ডকারণ্যে প্রয়োগ করছে এখনও। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া পদক্ষেপের কারণে দণ্ডকারণ্য ধীরে ধীরে মাওবাদীদের প্রভাব মুক্ত হচ্ছে।

    ২০০৪ সাল থেকে নতুন ভাবে পথচলা শুরু করেছিল মাওবাদীরা (Maoism)

    ২০০৪ সাল পিপলস ওয়ার গ্রুপ এবং মাওয়িস্ট কমিউনিস্ট সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (এমসিসিআই) এই দুটো সংগঠন এক হয়ে যায়। তৈরি হয় নতুন সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওয়িস্ট)। এই সময়ে তারা ভারতের খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ এলাকাগুলিতে একটি রেড করিডর তৈরি করার কথা চিন্তাভাবনা করে। রিপোর্ট অনুযায়ী তৎকালীন ৬৪০ টি জেলার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ জেলাই মাওবাদীদের (Maoism) প্রভাবে চলে যায়।

    বেশিরভাগ মাওবাদী (Maoism) নেতা গ্রেফতার হয়েছে গত ১০ বছরে

    গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ঝাড়খন্ড পুলিশ গ্রেপ্তার করে কিশান দা ওরফে প্রশান্ত বোস নামের মাওবাদী (Maoism) নেতাকে যার মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে মাওবাদীদের (Maoism) অনেক নেতাকে দেশের সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ফোর্স গত এক দশকে গ্রেফতার করেছে অথবা এনকাউন্টারে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বর্তমানে ২৪ জন রয়েছেন। জানা যাচ্ছে এরমধ্যে ১৫ জনেরই বয়স ৬০ পেরিয়েছে। সারাদেশে ইতিমধ্যে মাওবাদীদের ১০,০০০ ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পরিসংখ্যান বলছে। জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে মাওবাদীরা (Maoism) নিজেদের ক্যাডার নিয়োগ করতে পারছে না কারণ তাদেরকে চারিদিক থেকে অবরুদ্ধ করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করা মাওবাদীদের কাছে একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে কিছু পরিমাণে যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং অস্ত্রপাতি তারা আনছে পাঞ্জাব থেকে। খালিস্তানি সমর্থকরা তাদের এই কাজে সাহায্য করছে বলে সূত্রের খবর। অস্ত্র আসছে মূলত ড্রোন এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মাধ্যমে।

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ২০১৪ থেকে মাওবাদী (Maoism) সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হতে থাকে তার কারণ মোদি সরকারে উন্নয়ন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা মাওবাদী প্রভাবযুক্ত অঞ্চলগুলিতে ব্যাপকভাবে পৌঁছাতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কারনে ওই অঞ্চলগুলির তরুণ সমাজ মাওবাদের পথকে বেছে নেয়নি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: বিবিসির একপেশে ডকুমেন্টারি বিতর্কের মাঝে, ঐক্যের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: বিবিসির একপেশে ডকুমেন্টারি বিতর্কের মাঝে, ঐক্যের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের ক্যারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে ছিল ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের (এনসিসি) সমাবেশ , এখানেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিনের বক্তব্যে তিনি বলেন,  “দেশে বিভেদের বীজ বপন এবং বিভাজন তৈরির  প্রচেষ্টা করছে এক শ্রেণির মানুষ। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, তবে এটাও জানা দরকার তাদের এই অশুভ প্রয়াস কখনই সফল হবে না। ঐক্যের মন্ত্রেই আমাদের দেশ বিশ্বাস রাখে। ভারতের জনগণের মধ্যে কখনও বিভেদ হবে না, হতে পারেনা”।

    আরও পড়ুন: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    বিবিসির বিতর্কিত ডকুমেন্টারির মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের গুজরাট হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে বিবিসি একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে এই ডকুমেন্টারি নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ একপেশে এই ডকুমেন্টারি প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বানানো হয়েছে। এমন আবহাওয়াতে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

    আরও পড়ুন: সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, সাফ জানালেন যোগী আদিত্যনাথ 

    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “দেশের তরুণদের জন্যই সারা বিশ্ব আজ ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল, স্টার্ট-আপ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করেছে যা দেশের তরুণ সমাজের উপকার করছে”।

    সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে এদিন  জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীতে গত আট বছরে নারীর সংখ্যা আগের থেকে দ্বিগুণ । তিনটি সশস্ত্র সেনাবাহিনীতেই উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে নারীদের সংখ্যা। নারীরা এখন নৌবাহিনীতে নাবিক হিসেবেও নিয়োগ পাচ্ছেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য তাঁরা প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, পুনের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে মহিলা ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে”।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Ramcharitmanas: সমাজবাদী পার্টি নেতার মুণ্ডচ্ছেদ করার ফতোয়া জারি, কে দিলেন এই ফতোয়া

    Ramcharitmanas: সমাজবাদী পার্টি নেতার মুণ্ডচ্ছেদ করার ফতোয়া জারি, কে দিলেন এই ফতোয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্যের মুণ্ডচ্ছেদ যে করতে পারবে তাকে ২১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে, এমনই ফতোয়া জারি করলেন অযোধ্যার এক পুরোহিত। জানা যাচ্ছে সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে যে তুলসীদাস রচিত রামচরিত মানসকে (Ramcharitmanas) তিনি অবমাননা করেছেন এবং এতে সমাজের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। সমাজবাদী পার্টির নেতার, ২১ লক্ষ টাকার মাথার দাম ঘোষণা করেছেন অযোধ্যার হনুমান গড়ি মন্দিরের মহন্ত রাজু দাস।

    এর আগেও ফতোয়া জারি হয়েছে স্বামী প্রসাদ মৌর্যের বিরুদ্ধে

    তবে সমাজবাদী পার্টির নেতার বিরুদ্ধে এই ফতোয়া নতুন কিছু নয় এর আগেও পরমহংস দাস নামে অপর এক পুরোহিত বলেছিলেন যে সমাজবাদী পার্টির এই নেতার জিভ কেটে আনলে পাওয়া যাবে ৫০০ টাকা।

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এই প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা রামচরিত মানস সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। রামচরিত মানসের (Ramcharitmanas) বিভিন্ন শ্লোক সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
     

    কী বললেন মহন্ত পরমহংস দাস

    জিভ কেটে নেওয়ার ফতোয়া জারি করেছিলেন পরমহংস দাস, তিনি স্বামী প্রসাদ মৌর্যের পাশাপাশি সমালোচনা করেছেন সমাজবাদী পার্টিরও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন “রামচরিত মানস (Ramcharitmanas) সম্পর্কে এমন অপমানজনক মন্তব্যের পরেও সমাজবাদী পার্টি কোন ব্যবস্থা স্বামী প্রসাদ মৌর্যের বিরুদ্ধে নেয়নি উল্টে তাকে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও দিয়েছে। এটা লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক”।

    স্বামী প্রসাদ মৌর্য কী বললেন

    কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সেই স্বামী প্রসাদ মৌর্য কী বলছেন? তিনি বলেন  “আমার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার মোকাবিলা আমি করে যাব, দলিতদের, বিভিন্ন উপজাতিদের এবং পিছিয়ে পড়া সমাজকে ধর্মের নামে দীর্ঘদিন ধরে শোষণ করা যাবে না। হাতি চলে বাজার তো কুত্তে ভোকে হাজার, কুকুরের জন্য হাতি কখনও তার রাস্তা বদল করে না আমিও একই ভাবে দলিতদের জন্য তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করব এবং আমার পথ কখনও বদলাবো না”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Hindu: ভারতে জন্মগ্রহনকারী প্রত্যেকেই হিন্দু: কেরলের রাজ্যপাল

    Hindu: ভারতে জন্মগ্রহনকারী প্রত্যেকেই হিন্দু: কেরলের রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান শনিবার বলেন যে ভারতে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছে তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু (Hindu)। এবং তিনি নিজেও তাই। এদিন উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী কেরলের হিন্দুরা একটি হিন্দু (Hindu) সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, তিরুবনন্তপুরমে এই সম্মেলনের  উদ্বোধনী ভাষণে একথা বলতে শোনা যায় রাজ্যপালকে।

    স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের প্রসঙ্গও টেনে আনেন রাজ্যপাল

    আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের নামও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন কেরলের রাজ্যপাল। তিনি বলেন, সৈয়দ আহমেদ খানও নিজেকে হিন্দু (Hindu) বলতেন। শুধু তাই নয় আর্যসমাজের সদস্যদের তিনি (স্যার সৈয়দ আহমেদ খান) বলতেন, “আপনারা আমাকে হিন্দু (Hindu) বলেন না কেন? এদেশের জল এবং খাবারে যারা পুষ্ট তারা সবাই হিন্দু। হিন্দু (Hindu) হল ভৌগোলিক শব্দ। তাই আপনারা আমাকে অবশ্যই হিন্দু বলবেন”।

    প্রসঙ্গত, কেরালা হিন্দুস (Hindu) অফ নর্থ আমেরিকা (KHNA) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সম্মেলনের সমাপ্ত ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরালীধরন। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী সমস্ত মানুষদের এক ছাদের তলায় একত্রিত হওয়ার সময় এসেছে এবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Lachit Barphukan: প্রজাতন্ত্র দিবসে অসমের ট্যাবলোতে লাচিত বরফুকন, জানেন কে ছিলেন তিনি?

    Lachit Barphukan: প্রজাতন্ত্র দিবসে অসমের ট্যাবলোতে লাচিত বরফুকন, জানেন কে ছিলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) বিভিন্ন কার্যকলাপের ট্যাবলো দেখা গেল। গত বছরে লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) ৪০০ তম জন্মদিনে নতুন দিল্লিতে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যেগুলিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাজির ছিলেন।
    অসমের এই ট্যাবলোতে দেখা যাচ্ছে ১৬৭১ সালের বিখ্যাত সরাইঘাটের যুদ্ধের বিভিন্ন থিম। যেখানে লাচিত বরফুকনকে (Lachit Barphukan) দেখা যাচ্ছে তাঁর সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিতে। একটি নৌকার উপরে চড়ে আছেন তিনি, সঙ্গে রয়েছে তাঁর বাহিনী। অসমের ট্যাবলোতে এবার অবশ্য কামাখ্যা মন্দিরও উছে এসেছে।

    আরও পড়ুন: কালনাতে ব্যাপক জনপ্রিয় সরস্বতী পুজো, এবছর কোন ক্লাব কী থিম করল জানেন?

    আসামের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এর ডিরেক্টর মীনাক্ষী দাস নাথ বলেন এই ট্যাবলোতে কামাখ্যা মন্দিরকেও রেখেছি  আমরা। কামাখ্যা মন্দির হল নারী শক্তির অন্যতম প্রতীক।

    কে ছিলেন লাচিত বরফুকন (Lachit Barphukan)

    আহোম সাম্রাজ্যের সাহসী ও পরাক্রমী সেনাপতি ছিলেন লাচিত বরফুকন
    । ১৬৭১ সালে সরাইঘাটের যুদ্ধে তিনি বিশাল মোঘল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে মোঘল সাম্রাজ্যকে চিরকালের জন্য অসম থেকে দূর করেছিলেন বলে জানা যায়। লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) বীরত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর ২৪ নভেম্বর তারিখ অসমে লাচিত দিবস পালন করা হয়।

    শোনা যায়, সরাইঘাট যুদ্ধের সময় লাচিত বরফুকন (Lachit Barphukan) মোঘলদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আহোম সেনাদের একটি দেওয়াল নির্মাণ করার আদেশ দিয়েছিলেন। লাচিতের নিজের মামা এই দেওয়াল নির্মাণের দ্বায়িত্বে ছিলেন কিন্তু অলসতার কারণে পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে দেওয়াল নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। এই অপরাধে লাচিত তাঁর নিজের মামার শিরশ্ছেদ করেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, মামার শিরশ্ছেদ করার সময় লাচিতের (Lachit Barphukan) উক্তি ছিল “দেশতকৈ মোমাই ডাঙর নহয়” যার বাংলা মানে জন্মভূমি থেকে মামার স্থান বড় নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Narendra Modi: কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ভারত মিশরের মধ্যে

    Narendra Modi: কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ভারত মিশরের মধ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি হয়ে মিশরীয় প্রেসিডেন্ট ভারতবর্ষে এসেছেন। আজকে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মিশরীয় প্রেসিডেন্ট। মিশরীয় সেনাবাহিনীর ছোট্ট একটি দলও এদিন কুচকাওয়াজে অংশ নেবে বলে জানা গেছে। গতকালই মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাগত জানিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সমেত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীর।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মিশরীয় প্রেসিডেন্টের মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। 
    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিশর হল আফ্রিকা মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। শুধুমাত্র তাই নয় বিভিন্ন আরব দেশগুলির সঙ্গে মিশরের সম্পর্কও বেশ ভাল। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কূটনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    ২০১৫ সালে ইন্ডিয়া-আফ্রিকা সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল নয়া দিল্লিতে। তখন বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের রাষ্টপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। 

     ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সম্প্রতি পরিসংখ্যান বলছে ভারত এবং মিশরের মধ্যে ব্যবসা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ২০২১-২০২২ আর্থিক বছরে এই ব্যবসা দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি, ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরের থেকে ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
    মিশরের কাছে ভারতের আর্থিক বাজার হল একটা বড় ব্যবসার ক্ষেত্র। জানা যাচ্ছে যে মিশর যে সমস্ত দেশগুলিতে পণ্য রপ্তানি করে সেই দেশগুলির মধ্যে ভারতের স্থান তৃতীয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাড়বে দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনার ভিত্তিতে।
    মিশরের অন্যতম সুবিধা হল এর ভৌগোলিক অবস্থান। ঠিক এই দেশের পাশেই সুয়েজ ক্যানাল। পরিসংখ্যান বলছে যে পৃথিবীর মোট যা বাণিজ্যিক পণ্য তার ১২ শতাংশই সুয়েজ ক্যানেলের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। সরলভাবে বললে ৭০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা সুয়েজ ক্যানেল এর উপর দিয়ে হয় প্রতি বছর। যার মধ্যে ১০ শতাংশ হল তেল এবং ৮% হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। ভারতের বিভিন্ন রকমের রপ্তানি সুয়েজ ক্যানেলের উপর দিয়ে হয়। যেগুলি ইউরোপ মহাদেশের বাজারে বিক্রি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিশরীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

     

    প্রতিরক্ষা

    আরব দেশগুলির মধ্যে মিশরীয় সেনাবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী বলেই মনে করে বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত মিশরের সম্পর্ক ১৯৬০ এর দশক থেকেই চলছে বলে জানা যাচ্ছে , সেসময় HA-300 aircraft তৈরি করতে দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা ছিল।
    ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা যাচ্ছে যে মিশরে এই মুহূর্তে কর্মসূত্রে থাকেন ৩২০০ ভারতীয়। প্রযুক্তিও দুই দেশের আলোচনার অন্যতম বিষয়। তার মধ্যে বায়োটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Abdel Fattah El-Sisi: রাষ্ট্রপতি ভবনে মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানালেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী

    Abdel Fattah El-Sisi: রাষ্ট্রপতি ভবনে মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানালেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এবারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি (Abdel Fattah El-Sisi)। গতকালই তিনি ভারতে এসে পৌঁছেছেন। জানা যাচ্ছে প্রথম কোনও প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। ভারতে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইটও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মিশরের প্রেসিডেন্ট ফতেহ আল-সিসিকে (Abdel Fattah El-Sisi) স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটে লিখেছেন, “ভারতে স্বাগত জানাই প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসিকে (Abdel Fattah El-Sisi)। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে ভারতে আপনার ঐতিহাসিক সফর দেশবাসীর জন্য খুবই খুশির বিষয়। আগামী কাল আপনার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রইলাম”।

    কোন কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি

    কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি, চারদিনের জন্য ভারত সফরে এসেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি (Abdel Fattah El-Sisi)। গতকাল সন্ধ্যায় নতুন দিল্লিতে তিনি পা রাখেন। তাঁকে ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবদেল ফতেহ আল-সিসিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর আজকে(বুধবার) রাজঘাটে গিয়ে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আবদেল ফতেহ আল-সিসির একান্তে বৈঠক হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় মিশরের প্রেসিডেন্টের ভারতে আগমন উপলক্ষ্যে বিশেষ আতিথেয়তার আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন।

    আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আবদেল ফতেহ এল-সিসি। মিশরের প্রেসিডেন্ট তো থাকবেনই, তাঁর সঙ্গে মিশরীয় সেনাবাহিনীর একটি  ছোট দলও প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

    আরও জানা গেছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি। এছাড়া ওই দিন ভারতের বেশ কিছু শিল্পপতির সঙ্গেও তাঁর একটি বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। এরপর তাঁর কায়রো ফিরে যাওয়ার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Netaji: নেতাজী জয়ন্তীতে জানুন তাঁর কিছু স্মরণীয় উক্তি 

    Netaji: নেতাজী জয়ন্তীতে জানুন তাঁর কিছু স্মরণীয় উক্তি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ নেতাজী (Netaji) জয়ন্তী। ১৮৯৭ সালে আজকের দিনেই তিনি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইতিমধ্যে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji) জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের উৎসব নেতাজী সুভাষ বসুর (Netaji) জন্মদিন থেকেই আয়োজন করা হয়েছিল এবং পরপর তিনদিন তা চলেছিল।

    আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিনটি পালিত হয় পরাক্রম দিবস হিসেবে, কেন জানেন?

    ১৯৪০ সাল পর্যন্ত ভারতের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৭ই জানুয়ারি ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে কলকাতার এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বের হন। এক কঠিন সংকল্প!যে কোনও মূল্যে মাতৃভূমির শৃঙ্খল মোচন করতেই হবে। বাইরে থেকে আঘাত করতে হবে অত্যাচারী ব্রিটিশকে। দেশের সীমানা ত্যাগ করেন ২৬ জানুয়ারি। তারপর জার্মানি সেখান থেকে সাবমেরিনে জাপান। দায়িত্ব নেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর। ১৯৪৩ সালে তৈরি করেন আজাদ হিন্দ সরকার। জাপান, জার্মানি , ইতালি সমেত মোট ৮টি দেশ স্বীকৃতি দেয় এই সরকারকে। তাঁর বাহিনীর ভারত ভূখন্ডে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে নেতাজী (Netaji) ওই দ্বীপের নতুন নাম শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপ।  
     

    নেতাজী সুভাষ বসুর (Netaji) কিছু স্মরণীয় উক্তি আজকে আমরা জানবো

     

    একজন আদর্শ সৈনিকের সামরিক প্রশিক্ষণ যেমন প্রয়োজন তেমনি আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণও প্রয়োজন।

    স্বাধীনতা কেউ কাউকে দেয় না তা ছিনিয়ে নিতে হয়।

    টাকা এবং যেকোনও সম্পদের দ্বারা কখনও স্বাধীনতা আসেনা। স্বাধীনতা আসে সাহসিকতা, শক্তি এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের মধ্য দিয়ে।

    জাতীয়তাবাদের আদর্শ হল তিনটি সত্যম, শিবম, সুন্দরম।

     রক্তমূল্য ছাড়া কখনও স্বাধীনতা আসে না, তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।

    আরও পড়ুন: ‘রিয়েল লাইফ হিরো’কে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর, ২১ দ্বীপের নামকরণ পরমবীর প্রাপকদের নামে

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Polygamy: বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করল 

    Polygamy: বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের বহুবিবাহ প্রথা (Polygamy) এবং নিকাহ হালাল কী ভারতবর্ষের সংবিধান স্বীকৃত? আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ৫ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করার কথা জানান। জানা যাচ্ছে পূর্ববর্তী ৫ সদস্যের যে বেঞ্চ ছিল তাদের মধ্যে ২ সদস্য বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত অবসর গ্রহণ করেছেন। তাই শীর্ষ আদালতে নতুন বেঞ্চ গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন বর্ষিয়ান আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। 

    গত বছরের ৩০ অগাস্ট ৫ সদস্যের এই সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা হয়। বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া।

    পিটিশন দাখিল কারা করেছিল

    এই পিটিশন দাখিল করা করেছিলেন বেশ কয়েকজন মুসলিম মহিলা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন নায়েসা হাসান, শবনম, ফারজানা, সামিনা বেগম সমেত বাকিরা। এগিয়ে এসেছিল কিছু এনজিও এবং সঙ্গে ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।

    পিটিশনে কী বলা হয়েছে

    এই পিটিশন অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল’ বা শরীয়তের ২ নম্বর ধারাকে, মুসলিম পার্সোনাল ল অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট ১৯৩৭ অনুযায়ী এখানে বহুবিবাহের কথা বলা হয়েছে। অশ্বিনী উপাধ্যায় তখন দাবি জানিয়েছিলেন যে তিন তালাকের মতোই শরীয়ত আইনের ২ নম্বর ধারাকে অসংবিধানিক ঘোষণা করা হোক। কারণ এগুলি ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে। সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১ নম্বর ধারায় যথাক্রমে, সমতার অধিকার, কোনও রকম বৈষম্য না করার অধিকার এবং জীবন ও মর্যাদার অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। অশ্বিনী উপাধ্যায় আরও বলেছেন যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী এরকম বহুবিবাহ অবৈধ, ৭ বছর অবধি জেল পর্যন্ত হতে পারে এই অপরাধে। প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছিল যে তিন তালাক অসাংবিধানিক কারণ এটি মুসলিম মহিলাদের অধিকারের বিপক্ষে যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Mauni Amavasya: মৌনি অমাবস্যার পুণ্যস্নানে রেকর্ড ভিড় প্রয়াগরাজে   

    Mauni Amavasya: মৌনি অমাবস্যার পুণ্যস্নানে রেকর্ড ভিড় প্রয়াগরাজে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনি অমাবস্যায় (Mauni Amavasya) প্রয়াগরাজে রেকর্ড সংখ্যক ভক্তের ভিড় দেখা গেল শনিবার। উত্তরপ্রদেশের সরকার সূত্রে জানা গেছে এদিন প্রায় ২ কোটি পুণার্থী মোক্ষপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে প্রয়াগরাজের সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেন। এদিন তাই নিরাপত্তার ব্যবস্থা থেকে আরম্ভ করে সমস্ত খুঁটিনাটি ব্যবস্থাই করেছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।  একমাস ব্যাপী মাঘ মেলা চলে প্রয়াগরাজে। মৌনি অমাবস্যার (Mauni Amavasya) দিনে পবিত্র এই স্নান প্রতিবছরই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। পুণ্য স্নানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এদিন হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশাসন। 

    দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক কী বললেন

    মাঘ মেলার দায়িত্বে থাকা অন্যতম প্রশাসনিক আধিকারিক অরবিন্দ সিং চৌহান এদিন বলেন মৌনি অমাবস্যার (Mauni Amavasya) এই বিশেষ তিথিতে ২কোটির বেশি ভক্ত পবিত্র স্নান করেছেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে ভক্তদের উপর ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করা হয়েছে দর্শনার্থীদের ওপর। পুণ্যস্নান যাঁরা করতে এসেছিলেন তাঁদের সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসন প্রত্যেকটি ঘাটে জলের অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছিল এবং সমগ্র মেলাতেও চলছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি।

    মৌনি অমাবস্যা (Mauni Amavasya) কেন এত পবিত্র

     মৌনি অমাবস্যা (Mauni Amavasya) হিন্দু ধর্মের একটি অত্যন্ত পবিত্র দিন মানা হয়, হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এটি মাঘ মাসে পড়ে। এই দিনে মৌনব্রত পালন করে আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগ স্থাপন করতে চান ভক্তরা। তাঁদের বিশ্বাস রয়েছে এই পবিত্র দিনে নদীর জল অমৃতে পরিণত হয়। তাই ভক্তরা পুণ্যস্নান করে জীবনে অমৃতের সংস্পর্শ পেতে চান।

    হিন্দু বিভিন্ন পুরাণ অনুযায়ী এই মৌনি অমাবস্যাতে (Mauni Amavasya) ঋষি মনুর জন্ম হয়েছিল। এবং এদিন থেকেই দ্বাপর যুগের শুরু হয়েছিল। এদিন নিঃশব্দ থাকার বিধান রয়েছে হিন্দু ধর্মে এবং সারাদিন উপবাস রেখে পুণ্যস্নান করে ভক্তরা ধ্যানে বসেন। বিশ্বাসমতে, পবিত্র এই তিথিতে দান ধ্যান করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি আসে। ভক্তদের আরও বিশ্বাস রয়েছে এই দিন সমস্ত নদীসহ গঙ্গার জল বিশেষ পবিত্র হয়ে ওঠে এবং তা অমৃতসম হয়ে ওঠে। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share