Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India China Peace: সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল

    India China Peace: সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ ডিসেম্বর অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনাদের মুখোমুখি সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনার আহত হওয়ার খবরও সামনে আসে। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গেছে, সেদিন প্রায় ৩০০ জন চিনা সেনা অতর্কিত ভাবে প্রথম হামলা চালায়। ভারতীয় সেনাও যে প্রস্তুত ছিল এটা চিনা সেনা বুঝতে পারেনি, তাই পাল্টা জবাবে পিছু হটে চিন। এই ঘটনার পর থেকে এই প্রথম বৈঠকে বসল দুই দেশের আধিকারিকরা। 

    ভারত-চিন (India China Peace) সেনা স্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    ১৭তম রাউন্ডের Corps Commander Level Meeting অনুষ্ঠিত হল চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার। চিনের দিকের চুশুল-মোলডো সীমান্তে এই মিটিং (India China Peace) অনুষ্ঠিত হয় এদিন। প্রসঙ্গত, এর আগে এই ধরনের মিটিং (India China Peace) হয়েছিল চলতি বছরের ১৭ জুলাই। তারপর এই মিটিং (India China Peace) যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, দুই দেশের পশ্চিম সীমান্তের বিভিন্ন ইস্যু নিয়েই এদিন আলোচনা হয়। মূলত, Line of Actual Control (LAC) নিয়েই খোলামেলা মত বিনিময় করেন দুই দেশের আধিকারিকরা। আগামীদিনে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত কীভাবে মজবুত হবে সে নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গেছে। দুই দেশের সীমান্তে শান্তির (India China Peace) পরিবেশ বজায় রাখতেও উভয় দেশ সচেষ্ট থাকবে বলেই এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীদিনে দুই দেশের সম্পর্ককে কীভাবে  এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সে নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। দুই দেশের পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তার বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। বিগতদিনে যে সমস্ত ঘটনাগুলি ঘটেছে সেগুলি নিয়ে আগামীদিনে সেনা স্তরে আলোচনা চলবে উভয়দেশের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Interfaith Marriages: ভিন ধর্মের বিয়ে চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন মহারাষ্ট্র সরকারের

    Interfaith Marriages: ভিন ধর্মের বিয়ে চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন মহারাষ্ট্র সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডের জেরে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল দেশ। তারপর গ্রেফতার হয়েছে শ্রদ্ধার প্রেমিক তথা লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধা ধর্মে হিন্দু হলেও, যাঁর সঙ্গে তিনি এক ছাদের তলায় থাকতেন, সেই আফতাব মুসলমান। ওই ঘটনার পরে ভিন ধর্মে বিয়ের (Interfaith Marriages) ঘটনা নথিভুক্ত করে রাখতে চলেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একনাথ শিন্ডের  সরকার।

    ভিন ধর্মে বিয়ে…

    ভিন ধর্মের বিয়ে ট্র্যাক করতে বৃহস্পতিবার উদ্যোগী হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এদিন ১৩ সদস্যের একটি কো-অর্ডিনেশেন কমিটি গড়েছে শিন্ডের সরকার। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন একজন মন্ত্রী। গোটা মহারাষ্ট্রে কতজন ভিন ধর্মে বিয়ে করেছেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করবে। তথ্য সংগ্রহ করা হবে তাঁদের  পরিবারেরও। মহারাষ্ট্র সরকার গঠিত ওই কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ইন্টারফেইত ম্যারেজ ফ্যামিলি কো-অর্ডিনেশন কমিটি। কমিটির মাথায় রয়েছেন মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রী মঙ্গল প্রভাত লোধা।

    লোধা ছাড়াও বাকি যে সদস্যরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের ডেপুটি কমিশনার। তিনি এই প্যানেলের মেম্বার সেক্রেটারি। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, একটি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হবে। যাঁরা ভিন ধর্মে বিয়ে (Interfaith Marriages) করেছেন, সেই সব দম্পতি যাতে সহজে এই কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, তাই দেওয়া হচ্ছে এই হেল্পলাইন নম্বর। সরকারি ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যাঁরা পালিয়ে গিয়ে ভিন ধর্মে বিয়ে করছেন কিংবা কোনও ধর্মস্থানে গিয়ে বিয়ে করছেন অথবা রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করছেন বা সামাজিক বিয়ে করছেন তাঁদের প্রত্যেকের নথি সংগ্রহ করা হবে। যেসব মহিলা ভিন ধর্মে বিয়ে করেছেন, তাঁদের প্রয়োজনে কাউন্সেলিংও করানো হবে।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    এদিকে, গত শুক্রবার শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবা বিকাশ ওয়াকার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে দেখা করেন। মেয়ের হত্যাকারী আফতাব পুন্নাওয়ালার মৃত্যদণ্ডও দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক আফতাবের (Aftab Amin Poonawalla) বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিকভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Panini: ২৫০০ বছরের প্রাচীন পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীর জটিল নিয়মের সূত্র বের করলেন কেমব্রিজের ছাত্র ঋষি 

    Panini: ২৫০০ বছরের প্রাচীন পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীর জটিল নিয়মের সূত্র বের করলেন কেমব্রিজের ছাত্র ঋষি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাণিনির (Panini) অষ্টাধ্যায়ী সংস্কৃত সাহিত্যের একটি অতি মূল্যবান গ্রন্থ। এই বইতে রয়েছে সংস্কৃত ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম, সংস্কৃত শব্দের বিশ্লেষণ ইত্যাদি। সংস্কৃত ব্যাকরণের এই গ্রন্থে বিভিন্ন ব্যাকরণগত সমস্যার সমাধান করলেন এক ভারতীয় গবেষক। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেন্ট জনস কলেজের এশিয়ান এবং মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের পিএইচডি স্কলার ওই ছাত্রের নাম ঋষি অতুল রাজপোপাট।
    পাণিনির (Panini) অষ্টাধ্যায়ীতে ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। মূল শব্দ থেকে কীভাবে নতুন শব্দ উৎপন্ন হবে তারও ব্যাখ্যা আছে ওই গ্রন্থে। যত গোলযোগ এখানেই । ব্যাখা নিয়ে দ্বন্দের শেষ নেই। এক এক পন্ডিতের এক এক রকমের মত রয়েছে। পাণিনি নিজেও তাঁর গ্রন্থে কিছু মেটারুল লিখে গেছেন, দুটি নিয়মের মধ্যে দ্বন্দ হলে কোনটিকে গ্রহণ করতে হবে। তবে সেটা নিয়েও ধোঁয়াশার মধ্যে এতদিন থাকতেন বিভিন্ন পন্ডিতরা। এবার এমনই কিছু দ্বন্দের শেষ করলেন ঋষি অতুল। ব্যাখা করলেন যুক্তি দিয়ে।
    ঋষি অতুলের আগে অষ্টাধ্যায়ী নিয়ে গবেষণা করে গেছেন,মহর্ষি পতঞ্জলি, বামন, কাত্যায়নের মতো বিখ্যাত প্রাচীন ভারতীয় ঋষিরা। তাঁরাও তাঁদের মতামত রেখেছেন দুটি নিয়মের মধ্যে দ্বন্দ হলে কী করতে হবে। এবিষয়ে ঋষি অতুল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ” মহর্ষি পতঞ্জলি এবং কাত্যায়ন  দুজনেই ব্যাকরণের বিভিন্ন জটিল বিষয় নিয়ে তাঁদের নিজস্ব ব্যাখা দিয়েছেন,আমি গবেষণা করতে এসে দেখলাম,তাঁদের যুক্তির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে আমার ব্যাখার মিল রয়েছে”।

    ঋষি অতুলের গবেষণার একটি ছোট্ট উদাহরণ

    ঋষি অতুলের গবেষণা এবার আমরা একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব। ধরা যাক একটি সংস্কৃত বাক্য “jñānaṁ dīyate guruṇā” অর্থাৎ গুরু জ্ঞান দেয়। এবার নিয়মের দ্বন্দ শুরু হয় guruṇā শব্দের গঠন নিয়ে। যার অর্থ হল গুরুর দ্বারা । guru + ā এই দুটি নিয়ে guruṇā শব্দ তৈরি হচ্ছে। শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে পাণিনির নিয়ম সবসময় ডানদিকের শব্দের ক্ষেত্রে কাজ করে। এটাই হল ঋষির মূল ব্যাখা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pak Based OTT: পাকিস্তানের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্লক করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Pak Based OTT: পাকিস্তানের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্লক করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক পাকিস্তানের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের (Pak Based OTT) ওয়েবসাইট, দুটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, চারটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং একটি স্মার্ট টিভি অ্যাপ ব্লক করার জন্য নির্দেশ জারি করেছে। এমন ঘটনা এই প্রথম। অভিযোগ এই সমস্ত প্লাটফর্মগুলি (Pak Based OTT) থেকে ভারত বিরোধী বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ সম্প্রচারিত করা হত যা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতির জন্য ক্ষতিকর। পাকিস্তানের  Vidly TV 26/11-এর মুম্বই হামলার উপর “সেবক: দ্য কনফেশনস” নামের একটি ওয়েব সিরিজ আনে। এই ওয়েবসিরিজে উস্কানিমূলক এমন কিছু দেখানো হয় যা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার জন্য একেবারেই ক্ষতিকারক। 
    এই ওয়েব সিরিজের তিনটি পর্ব আজ অবধি সম্প্রচারিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শুক্রবার শহরে আসছেন অমিত শাহ! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক কী বলছে ?

    এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক পাকিস্তানের সমস্ত ইউটিউব চ্যানেলগুলিকেও (Pak Based OTT) ব্লক করার নির্দেশ জারি করেছে।
    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা এদিন ট্যুইট করেন, ” পাকিস্তানের Vidly TV-এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ফেক এবং উস্কানিমূলক তথ্য পরিবেশন করার জন্য। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার ওপর তৈরি হয়েছিল এই ওয়েবসিরিজ”।

    আরও পড়ুন: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির? 

    ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই ওয়েব সিরিজগুলিতে। অপারেশন ব্লু স্টার এবং এর প্রভাব, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস, মালেগাঁও বিস্ফোরণ, সমঝোতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে  ভারত-বিরোধী  চিত্র ফুটে উঠেছে এই ওয়েব সিরিজগুলিতে।

    আরও পড়ুন: ‘২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান’, বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির 

    তথ্য ও সম্প্রচারক মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, এই ওয়েব সিরিজগুলিতে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রচার করা হয়েছে। শিখ সমাজকে বদলা নিতে বলা হয়েছে অপারেশন ব্লু স্টারের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Himachal Pradesh Election: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য একাধিক দাবিদার, অস্বস্তিতে হাত শিবির

    Himachal Pradesh Election: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য একাধিক দাবিদার, অস্বস্তিতে হাত শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে ভরাডুবির মাঝেও হিমাচল প্রদেশে মুখ বাঁচিয়ে রাখতে পারল হাত শিবির। ৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে ৪০ টি আসন। অর্থাৎ এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি জিতেছে ২৫ টি আসনে। কিন্তু জয়ী হয়েও শান্তি নেই হাত শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রীর পদে কাকে দেখা যাবে, এই নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে। ফলে এক পদের জন্য একাধিক দাবিদার।

    হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য একাধিক নাম

    জয় আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য দাবিদার হিসাবে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর স্ত্রী প্রতিভা সিং। তিনি বলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্রের মুখ চেয়েই ভোট দিয়েছেন রাজ্যবাসী।” ফলে তিনি সরাসরি না বললেও তিনি যে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু পরে তিনি জানিয়েছেন, বিধায়কদের মতামত এবং হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য উপযুক্ত কাউকে নির্বাচন করা হবে।

    শুধু প্রতিভা নন, এই পদের জন্য নাম উঠে এসেছে, ৩ বারের বিধায়ক সুখবিন্দর সিংহ সুখু। এ বারের নির্বাচনে তিনি নাদৌন থেকে লড়েছেন তিনি। আবার মুকেশ অগ্নিহোত্রীর নামও উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকেশের সঙ্গে বীরভদ্রের পরিবারের সম্পর্ক ভাল। কিন্তু সুখুর সঙ্গে বীরভদ্রের পরিবারের তেমন ভালো সম্পর্ক নেই। আবার এই পদের জন্য লড়াইয়ে নাম উঠে এসেছে ঠাকুর কল সিং-এর। তিনি হিমাচল কংগ্রেসের প্রবীণতম নেতা। দারাং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮ বারের বিধায়ক।

    আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে নেই আশা কুমারীও। ৬ বারের ডালহৌসির বিধায়ক আশা কুমারীকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়েছে দল। এছাড়াও হর্ষবর্ধন চৌহান এবং রাজেশ ধর্মানির নামও উঠে আসছে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য। হর্ষবর্ধন আবার রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

    মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে একাধিক মুখ। শেষপর্যন্ত এই দৌড়ে কে এগিয়ে আসতে পারে ও মুখ্যমন্ত্রীর পদে কে বসতে পারে, তারই অপেক্ষায় হিমাচলবাসী। কংগ্রেসের জয়ের পরেও সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ এটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। ফলে এতে দলের অস্বস্তি বেড়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক দল। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে কংগ্রেসের অন্দরে। 

    কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বার্তা

    অন্যদিকে, এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে হিমাচল প্রদেশের সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা হিমাচল প্রদেশ নির্বাচনে জিতেছি। আমি হিমাচলের জনগণসহ আমাদের সমস্ত কর্মী ও নেতাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তাঁদের প্রচেষ্টার কারণে এই ফলাফল এসেছে। আমি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাও এতে আমাদের সাহায্য করেছে। সোনিয়া গান্ধীর আশীর্বাদও আছে আমাদের সঙ্গে। আমাদের পর্যবেক্ষকরা এবং ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস সম্পাদকরা হিমাচল প্রদেশ যাচ্ছেন এবং তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন কখন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন এবং বিজয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ডাকবেন।

  • Gujarat Election: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    Gujarat Election: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ১৮২। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ১৫৭টি আসনে (Gujarat Election) এগিয়ে পদ্ম প্রার্থীরা। এ থেকে স্পষ্ট এবারও গুজরাটের রশি যেতে চলেছে বিজেপির (BJP) হাতে। গতবার ১২৭টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি।

    রেকর্ড…

    এতদিন রেকর্ড ছিল ১৪৭টি আসনে জয়ের। ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের (Congress) মাধব সিং সোলাঙ্কির নেতৃত্বে কংগ্রেস পেয়েছিল ওই সংখ্যক আসন। এতদিন সেটাই ছিল গুজরাটের সর্বকালীন রেকর্ড। এবার সে সব রেকর্ড ছাপিয়ে নয়া রেকর্ড গড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৫৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে পদ্ম-শিবির।

    শুধু তাই নয়। এই নিয়ে টানা সাতবার ক্ষমতা দখল করল গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে টানা গুজরাটের কুর্সিতে রয়েছে বিজেপি। তার আগে ১৯৯৫ সালে ক্ষমতায় এসেছিল পদ্ম শিবির। তবে সেবার সরকার টিকিয়ে রাখতে পারেনি। ১৯৯৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি পদ্ম শিবিরকে। সপ্তমবারের জন্য গুজরাটের তখতে যে বিজেপিই ফিরছে, সে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। একাধিক একজিট পোলেই সেই ইঙ্গিত ছিল। দিনের শেষে তা উৎসবে পরিণত হয়।

    উৎসবের মেজাজ বিজেপি সদর দফতরে

    এদিন সকালে গণনা শুরু হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। বেলা যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে গেরুয়া-ঝড়ের গতি। রাজধানীতে বিজেপির সদর দফতরে উৎসবের মেজাজ। দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে সন্ধে আটটায় বার্তা দেবেন নরেন্দ্র মোদি। আর তার আগে সাজো সাজো রব দিল্লিতে বিজেপি অফিসের বাইরে। নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। গেরুয়া পতাকা, গান-বাজনা সবই চলছে। সব মিলিয়ে যেন এক উৎসবের মেজাজ তৈরি হয়েছে দিল্লিতে বিজেপির সদর অফিসের সামনে।

    ত্রিমুখী লড়াই

    গুজরাটে (Gujarat Election) এবার লড়াই হয়েছে ত্রিমুখী। বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে হাজির ছিল কংগ্রেসের পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টিও। দিল্লি পুরভোটে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে আপ। তবে দিল্লিতে ছাপ ফেলতে পারলেও, গুজরাটে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী হতে হয়েছে কেজরির দলকে। এদিন বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ১৮২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টিতে এগিয়ে রয়েছে কেজরির দল। 

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Election) হয়েছে দু দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১ ডিসেম্বর। পরের দফার ভোট হয়েছে ৫ তারিখে। প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৩.১৪ শতাংশ। আর দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.১১ শতাংশ। গুজরাটে ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এ রাজ্যেই দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ক্ষমতায় বসেছেন বিজেপির বিভিন্ন নেতা। তা সত্ত্বেও ভূমিপুত্র প্রধানমন্ত্রীর পাশ থেকে সরে যাননি গুজরাটবাসী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যার ফসল এখনও ঘরে তুলছে গুজরাট বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gold ATM: বের হবে স্বর্ণমুদ্রা! চালু হল দেশের প্রথম সোনার এটিএম, জানেন কোথায়?

    Gold ATM: বের হবে স্বর্ণমুদ্রা! চালু হল দেশের প্রথম সোনার এটিএম, জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এটিএম থেকে সোনার কয়েন (Gold ATM) বের হবে। শুনতে আশ্চর্য হলেও এমনটাই সত্যি হতে চলেছে দেশের তেলঙ্গানা রাজ্যে। গোল্ডসিক্কা প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা, স্টার্টআপ ওপেনকিউব টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রযুক্তিগত সহায়তায় হায়দ্রাবাদ শহরের বেগমপেটে এই ধরনের প্রথম এটিএম চালু করেছে। সংস্থাটি শীঘ্রই হায়দ্রাবাদে আরও তিনটি সোনার এটিএম (Gold ATM) চালু করবে বলে শোনা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অরুণাচলের প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী 

    সংস্থার সিইও-এর বক্তব্য

    সংস্থার CEO, এস ওয়াই তরুজ বলেন, “গোল্ড এটিএম গ্রাহকদের সোনা কেনার ক্ষেত্রে নতুন ভাবনা দিতে পেরেছে। এই সোনার এটিএমগুলোর কার্যপ্রক্রিয়া (Gold ATM) সাধারণ এটিএম থেকে টাকা তোলার মতোই সহজ। এতে কোনও জটিলতা নেই। এই ATM-গুলি থেকে ০.৫ গ্রাম, ১ গ্রাম, ২ গ্রাম, ৫ গ্রাম, ১০ গ্রাম, ২০ গ্রাম, ৫০ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন ওজনের স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যাবে।”

    আরও পড়ুন: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    আগামী দুই বছরের মধ্যে পুরো দেশে মোট তিন হাজারের বেশি এই ধরনের এটিএম (Gold ATM) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সংস্থা। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তেলঙ্গানা মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীতা রেড্ডি।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে গ্যাংস্টার খুনে গ্রেফতার ৫, খুনের দায় স্বীকার করল কে জানেন?

    প্রতিদিন সোনার দাম ওঠানামা করে, তাই প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করতে, স্ক্রিনে প্রতিদিনের দাম যাতে গ্রাহকরা দেখতে পান, সেই ব্যবস্থাও করেছে গোল্ডসিক্কা প্রাইভেট লিমিটেড। মুদ্রাগুলি ৯৯.৯ শতাংশ বিশুদ্ধতার সঙ্গে, টেম্পার প্রুফ প্যাকে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। করিমনগর ও ওয়াড়াঙ্গলেও এই কয়েন ভেন্ডিং মেশিনগুলো (Gold ATM) বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের, একথা বলেন সংস্থার সিইও।

    আরও পড়ুন: লাভ-জিহাদ রোধে নয়া আইন! জানেন শ্রদ্ধা খুনে কী বললেন শিবরাজ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Mumbai Murder: মুম্বাইতে খাবারে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে

    Mumbai Murder: মুম্বাইতে খাবারে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে,খাবারে বিষ মিশিয়ে নিজের স্বামীকে হত্যার (Mumbai Murder) অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই-এর সান্তাক্রুজে।

    নিহতের স্ত্রী ও তার প্রেমিককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুজনকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র এবং হত্যার (Mumbai Murder) ধারা দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ব্রেন ম্যাপিং করা হতে পারে আফতাব পুনাওয়ালার, কী এই পরীক্ষা? 

    পুলিশের বিবৃতি

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কবিতা নামের ওই মহিলা কয়েক বছর আগে পারিবারিক অশান্তির কারণে, তার স্বামী কমলকান্তের থেকে আলাদা হয়েছিলেন, কিন্তু পরে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা বলে সান্তাক্রুজে নিজের বাড়িতে আবার ফিরে আসেন।

     কবিতার প্রেমিক হিতেশ জৈন, কমলাকান্তের ছোটবেলার বন্ধু ছিল এবং দুজনেই ব্যবসায়ী পরিবার থেকে উঠে এসেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    কয়েকমাস আগে হঠাৎ পেটের অসুখে কমলকান্তের মা মারা যান। পুলিশ এখন তদন্ত করছে যে নিহতের মাকেও বিষ দেওয়া হয়েছিল কি না। কারণ কমলকান্তের অসুস্থতার লক্ষণগুলি তার মায়ের মতোই ছিল। গত নভেম্বর মাসে কমলকান্তের পেটে ব্যথা শুরু হয় এবং স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। বম্বে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ সেপ্টেম্বর কমলকান্তের মৃত্যু  (Mumbai Murder) হয়। তার রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে উচ্চ মাত্রায় আর্সেনিক এবং থ্যালিয়াম পাওয়া গেছে। ডাক্তাররা বলছেন, মানুষের রক্তে পাওয়া এগুলি অস্বাভাবিক ধাতব পদার্থ।

    পুলিশ প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিল, কিন্তু ষড়যন্ত্রের সন্দেহে তদন্তের ভার মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ নেয়।  তখনই কবিতা এবং তার প্রেমিক হিতেশকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    পুলিশের মতে, মৃতের মেডিক্যাল রিপোর্ট, স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের বিবৃতি, সেইসঙ্গে কমলাকান্তের খাবার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এই খুনের ((Mumbai Murder) পিছনে ষড়যন্ত্রকে সামনে আনতে সাহায্য করেছে।

    তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত কবিতা এবং তার প্রেমিক হিতেশ, কমলকান্তকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন তার খাবারে বিষ মিশিয়ে দিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Murder: সম্পন্ন হল আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্ট, আর কোন সত্যি বেরিয়ে আসল?

    Delhi Murder: সম্পন্ন হল আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্ট, আর কোন সত্যি বেরিয়ে আসল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা (Delhi Murder) মামলায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্ট সম্পন্ন হল। বৃহস্পতিবার সকালে নারকো টেস্টের জন্য তিহার জেল থেকে দিল্লির আমবেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সম্প্রতি আফতাবের উপর ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বাইরে হামলার চালানো হয়। সেই ঘটনা থেকে সতর্ক হয়ে এবার নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরেই আফতাবকে জেল থেকে বের করা হয়। আমবেদকর হাসপাতালে প্রথমে তাঁর মেডিক্যাল চেক আপ করা হয়। ব্লাড প্রেসার, পালস রেট, হার্ট বিট, বডি টেম্পারেচার। শরীরের সমস্ত প্যারামিটার ঠিক আছে দেখেই শুরু হয় নারকো টেস্টের প্রক্রিয়া। একটি সম্মতিপত্রে তাকে দিয়ে এই টেস্টের জন্য স্বাক্ষরও করানো হয়েছে। পলিগ্রাফ টেস্টের পর এবার নারকো টেস্টেও কী সত্যি বেরিয়ে আসে এখন তাই দেখার পালা।

    নারকো টেস্টে কী প্রশ্ন করা হয় আফতাবকে?

    সূত্রের খবর, নারকো টেস্টে প্রথমেই আফতাবকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন সে শ্রদ্ধাকে খুন (Delhi Murder) করেছিল? এটা কি পরিকল্পনা করে খুন? শ্রদ্ধাকে খুন করার পর ধাপে ধাপে কী কী কাণ্ড ঘটিয়েছিল আফতাব? শ্রদ্ধাকে ভালোবাসা সত্ত্বেও পরবর্তীকে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হল কেন? কোনও ধারাল বস্তু দিয়ে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল কি না? কী ভাবে দেহ  লোপাট করল? কোন কোন স্থানে দেহের টুকরো অংশগুলি ফেলেছিল? এছাড়াও তার ছেলেবেলা কেমন কেটেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে আফতাব পুনাওয়ালাকে।

    উত্তরে কী বলেছে আফতাব (Delhi Murder) তা এখনও জানা যায়নি। ফরেন্সিক সাইকোলজি বিশেষজ্ঞ, ফরেন্সিক মেডিসিন চিকিৎসক এবং ছবি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে হয় এই পরীক্ষা। ১১:৪৫ নাগাদই শেষ হয়ে যায় আফতাবে নারকো টেস্ট। এরপর তাকে কড়া নিরাপত্তা বলয়েই তিহার জেলে ফিরিয়ে আনা হয়। 

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে অস্ত্র-বোমা কারখানার সন্ধান, ধৃত ২

    পলিগ্রাফ টেস্টে কী জানিয়েছিল আফতাব? 

    দিল্লি পুলিশ জানায়, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব অত্যন্ত শান্ত হয়ে বসে ছিল। কোনও কোনও সময় তাকে বেপরোয়া এবং আত্মবিশ্বাসীও মনে হয়েছে পুলিশের। প্রথমদিকে সব প্রশ্নের উত্তরবাব দিলেও সন্ধ্যার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে মাঝপথেই থামিয়ে দিতে হয় পলিগ্রাফ টেস্ট। তিনদিন ধরে আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট করে দিল্লি পুলিশ। পলিগ্রাফ টেস্টে আফতাব স্বীকার করে নিয়েছে যে সেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। শ্রদ্ধা তার সঙ্গে থাকতে চান নি। আর তাতেই রেগে যায় আফতাব। রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন (Delhi Murder) করে সে। পরে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Imam Remuneration: ইমামদের ভাতা দেওয়ার সুপ্রিম-নির্দেশ ‘সংবিধান বিরোধী’, জানাল তথ্য কমিশন

    Imam Remuneration: ইমামদের ভাতা দেওয়ার সুপ্রিম-নির্দেশ ‘সংবিধান বিরোধী’, জানাল তথ্য কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯৩ সালের ১৩ মে সর্বভারতীয় ইমাম সংগঠনের পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএম সহায়ের বেঞ্চ, ওয়াকফ বোর্ডকে ইমামদের ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেয়। এবার সেই রায়কে সংবিধান বিরোধী এবং সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণ বলল জাতীয় তথ্য কমিশন।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা হত্যার পরে আফতাবের ফ্ল্যাটে যেতেন এক মহিলা চিকিৎসক

    জাতীয় তথ্য কমিশনারের মন্তব্য

    জাতীয় তথ্য কমিশনার উদয় মহুরকার এদিন বলেন, ইমামদের ভাতা প্রদান শুধুমাত্র অহিন্দু সমাজকে বঞ্চিত করছে এমন নয়, দেশের মুসলিম সমাজের মধ্যে প্যান-ইসলামিক মানসিকতা তৈরি করছে, যা ইতিমধ্যে সারাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইমাম ভাতা প্রদানের এই পদক্ষেপ দেশে ধর্মীয় ভারসাম্য নষ্ট করছে এবং দেশের একটি অংশের মানুষ গোটা মুসলিম সমাজকে অবজ্ঞার চোখে দেখছে। তথ্য জানার অধিকার আইনে, সুভাষ আগরওয়াল নামের জনৈক ব্যক্তি জানতে চেয়েছিলেন, দিল্লি সরকার এবং দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড ইমামদের কত টাকা বেতন দেয় । সেই শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় তথ্য কমিশনার। এদিন শুনানির সময় উদয় মহুরকার আরও বলেন, সংবিধানের ২৭ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এভাবে কোনও ধর্মকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায়না। জাতীয় তথ্য কমিশনার, তাঁর এই শুনানির কপি আইন মন্ত্রকে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে সংবিধানের ২৫-২৮ নং ধারা যথার্থ ভাবে বাস্ততবায়িত হয় সারা দেশে।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    এর সঙ্গে জাতীয় তথ্য কমিশন, সুভাষ আগরওয়ালকে নগদ ২৫০০০ টাকা  ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডকে। কারণ এই আরটিআই-এর কাজে, জনৈক কর্মীর যথেষ্ট সময় অপচয় হয়েছে বলেই মনে করেছে জাতীয় তথ্য কমিশনের।
    জাতীয় তথ্য কমিশনার আরও বলেন, যখনই কোন ধর্মকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয় সামনে আসে, তখনই আমাদের ইতিহাসে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন।  
    মুসলিম সম্প্রদায়কে বিশেষ সুবিধা দিতেই তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান। একটি ইসলামিক দেশ। ভারতবর্ষ আত্মপ্রকাশ করেছিল ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে। এখানে সরকার সমস্ত ধর্মের প্রতি সমান আচরণ করবে, এটাই কাম্য।
    তাঁর আরও সংযোজন, বিশেষ ধর্মকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্যই ১৯৪৭ সালে অনিবার্য হয়েছিল দেশভাগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share