Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Army: সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা! পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করবে ভারতীয় সেনা

    Indian Army: সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা! পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করবে ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার পুঞ্ছে সেনার এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন নর্দান কম্যান্ডের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ পেলেই তা কার্যকর করা হবে।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, পাকিস্তান পিছনে ছুরি মেরেছে। জোর করে কাশ্মীর দখল করেছে। আর সেখানকার বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার করছে। ভারত প্রয়োজন বোধ করলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করতে দ্বিধা করবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করাই ভারতের লক্ষ্য। ১৯৯৪ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি সংসদেও সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। জম্মু-কাশ্মীরে মঙ্গলবার রুটিন সাংবাদিক সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী কেন্দ্র থেকে নির্দেশ পেলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি।” একই সঙ্গে  তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান অস্ত্র-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেন কোনওভাবেই ভারতকে দুর্বল না ভাবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা রীতিমতো সমস্যায় রয়েছে, বলে জানান জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে অর্ধেকের বয়স ২৫ বছর। সেনাবাহিনীতে তাদের নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাকিস্তান পাঠালে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

    আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এক পাকিস্তানির! গুলি করে মারল বিএসএফ, ধৃত আরও ১

    সক্রিয় জঙ্গিরা

    জম্মু-কাশ্মীরে এই মুহূর্তে প্রায় ৩০০ জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে বলে দাবি করেন লেফট্যানেন্ট উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি লঞ্চ প্যাড রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সুযোগ পেলেই জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করে হামলা চালাতে পারে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, সব দিক বিবেচনা করে সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে। জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টহলদারি ও তল্লাশি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • UP Police: উত্তরপ্রদেশের প্রথম মহিলা পুলিশ কমিশনার হলেন আইপিএস লক্ষ্মী সিং

    UP Police: উত্তরপ্রদেশের প্রথম মহিলা পুলিশ কমিশনার হলেন আইপিএস লক্ষ্মী সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে এই প্রথমবার মহিলা পুলিশ কমিশনার (UP Police)। উত্তরপ্রদেশ সরকার আইপিএস অফিসার লক্ষ্মী সিংকে নয়ডা পুলিশ প্রধান হিসাবে নিয়োগ করেছে। বুধবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নিয়েছেন ২০০০ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার। ইউপি সরকার সোমবার গভীর রাতে বারাণসী, আগ্রা এবং প্রয়াগরাজের নতুন কমিশনারেট সহ রাজ্যের ১৬ জন আইপিএস অফিসারের বদলির তালিকা জারি করেছে। যোগী রাজ্যে বর্তমানে ৭টি পুলিশ কমিশনারেট রয়েছে।   

    কে এই লক্ষ্মী সিং? 

    এর আগে লখনউ (UP Police) রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন লক্ষ্মী সিং। ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম মহিলা আইপিএস টপার ছিলেন তিনি। সামগ্রিকভাবে ৩৩ তম স্থান অধিকার করেন। সরকারি রেকর্ড অনুসারে হায়দ্রাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ন্যাশনাল পুলিশ অ্যাকাডেমিতে সেরা পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হন। প্রশিক্ষণের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সিলভার বাশন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিস্তলও পেয়েছেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক ডিগ্রি রয়েছে। ২০০৪ সালে সিনিয়র পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম পোস্টিং পান তিনি। ২০১৩ সালে, তিনি ডেপুটি আইজি হিসেবে উন্নীত হন এবং ২০১৮ সালে তিনি আইজি পদের দায়িত্ব পান।

    আরও পড়ুন: এইমস সাইবার হানা, ৩ কোটি মানুষের তথ্য এখনও বিপদে, ২০০ কোটির দাবি হ্যাকারদের  

    লক্ষ্মী এর আগে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত গৌতম বুদ্ধ নগরে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আইজি/ ডিআইজি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০  সালের ২৬ মে পর্যন্ত মিরাটের পুলিশ (UP Police) ট্রেনিং স্কুলের আইজি ছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে আইজি রেঞ্জ লখনউ হিসাবে স্থানান্তরিত করা হয়।

    নয়ডার এই নতুন পুলিশ (UP Police) প্রধান লখনউয়ের সরোজিনী নগর আসনের বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন ইডি অফিসার রাজেশ্বর সিংকে বিয়ে করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করা একজন সিনিয়র আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, যে তিনি তার এখতিয়ারে সংঘটিত অপরাধমূলক ঘটনার একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি রাখেন।

    যোগী সরকার, গত সপ্তাহে গাজিয়াবাদ, আগ্রা এবং প্রয়াগরাজ তিনটি জেলায় তিনটি নতুন পুলিশ (UP Police) কমিশনারেটের ঘোষণা করেছে। লখনউ, গৌতম বুদ্ধ নগর (নয়ডা), বারাণসী এবং কানপুরে এই চারটি কমিশনারেট আগে থেকেই ছিল।  

    লখনউ এবং গৌতম বুদ্ধ নগরে কমিশনারেটগুলি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বারাণসী এবং কানপুরে কমিশনারেট স্থাপন করা হয়। কর্মজীবনে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একাধিক পুরষ্কার পেয়েছেন লক্ষ্মী। ২০১৬ সালে পুলিশ পদক, ২০২০ এবং ২০২১ সালে ইউপি (UP Police) ডিজিপির রূপা এবং সোনার পদক পেয়েছেন। গত বছর তিনি ইউপি মুখ্যমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্ব সেবা পদক সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Narco Test: আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হল, এই টেস্টে কী হয়?

    Narco Test: আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হল, এই টেস্টে কী হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট (Narco Test) করা হয়েছে। আজও চলবে পরীক্ষা। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব তদন্তে সহযোগিতা করছে না, এমনই অভিযোগ ছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয় শ্রদ্ধাকে। তারপর দেহ লোপাটের জন্য ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় আফতাব। হত্যার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করে সে। খুন সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে নার্কো টেস্টের (Narco Test) আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।সেই মতো গতকাল নার্কো টেস্ট করানো হয় আফতাবের।

    আরও পড়ুন: দেশে ফের একপ্রস্ত কমল বেকারত্বের হার, কত হল জানেন?

    কী এই নার্কো টেস্ট (Narco Test)?

    নার্কো টেস্টের (Narco Test) সাহায্যে যে কোনও ব্যক্তিকে সত্য কথা বলানো যায় বলে মনে করা হয়। তবে এই ধারণা ১০০ শতাংশ সঠিক নয়। আজ অবধি প্রমাণও হয়নি। নার্কো টেস্টের সময় ব্যক্তির শরীরে sodium pentothal  এর ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এই ইঞ্জেকশন ‘truth serum’ নামে পরিচিত। এই ইঞ্জেকশনের প্রভাবে ব্যক্তির চেতনা কমে যায়। অভ্যাস অনুযায়ী ব্যক্তি কথা বলতে পারেনা। চেতনার এই স্তরকে বলা হয় hypnotic state, পরীক্ষকদের মতে এই সময় ব্যক্তিকে যে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, সে বিষয়েই সত্য কথা বলতে থাকে। নার্কো টেস্ট (Narco Test) সম্পন্ন হয় একজন করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ,সাইক্রিয়াটিস্ট এবং তদন্তকারী অফিসারের উপস্থিতিতে।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    নার্কো টেস্টের(Narco Test) আগে ব্যক্তির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। প্রেশার, সুগার, পালস রেট সব কিছু স্বাভাবিক আছে  কী না দেখা হয়। বয়স, লিঙ্গ অনুযায়ী ইঞ্জেকশনের  ডোজ আলাদা হয়।

    আরও পড়ুন:বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জাকির নায়েককে, ভারতকে জানিয়ে দিল কাতার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cruelty Against Animals: দিল্লিতে অন্তঃসত্ত্বা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৪ কলেজ ছাত্র

    Cruelty Against Animals: দিল্লিতে অন্তঃসত্ত্বা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৪ কলেজ ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তঃসত্ত্বা একটি কুকুরকে লাঠি হাতে মারছে চার যুবক(Cruelty Against Animals)। একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে এমনই অমানবিক দৃশ্য দেখল পুরো দেশ। গুরুতর ভাবে আহত ঐ সারমেয়টির মৃত্যু হয়েছে। খোদ রাজধানী দিল্লির বুকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা দেখে স্তম্ভিত সভ্য সমাজ। প্রায় ২৫ জন মিলে এই কুকুরটির উপর হামলা চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর(Cruelty Against Animals)। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পশুপ্রেমীরা।নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে,কুকুরটি দিনরাত চিৎকার করত,এতে নাকি তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছিল। ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে,বেসবলের ব্যাট,লাঠি,লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে কুকুরটিকে আঘাত করছে অভিযুক্তরা। 

    পুলিশের এফআইআর কী বলছে

    পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, প্রায় ২৫ জন মিলে একটি গর্ভবতী কুকুরের উপর অত্যাচার চালিয়েছে(Cruelty Against Animals)। তারা সকলে দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির ডন বস্কো টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের পড়ুয়া ও কর্মী বলেই জানা গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে একটি টিনের শেড দেওয়া ঘর রয়েছে। সেখানে ওই ভীত, সন্ত্রস্ত গর্ভবতী কুকুরটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক ছাত্র রড হাতে ওই টিনের ঘরে ঢোকে। বাকিরা বাইরে থেকেই উল্লাস করছিল। সেখানে এক ব্যক্তিকে এও বলতে শোনা যায়, ‘মারো ওকে’(Cruelty Against Animals)।

    সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিক্রিয়া

    তবে কুকুরটিকে মেরেই শান্ত হয়নি ওই ২৫ জনের দল। মৃত, রক্তাক্ত কুকুরের দেহ টেনে হেঁচড়াতে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে(Cruelty Against Animals)। এই গোটা ঘটনার ১৫ মিনিটের একটি  ভিডিয়ো শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।  সমাজকর্মীরা এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপের জন্য সরব হন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সব পড়ুয়াদের বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষজন। শুধু তাই নয়। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের পাশাপাশি কর্মীরাও জড়িত থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

  • Jamaat E Islami: জামাতের ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন

    Jamaat E Islami: জামাতের ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির (Jamaat E Islami) ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ওই সব সম্পত্তি। প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবারই ওই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসকের অর্ডার পেয়ে স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সির অনুমোদন পাওয়ার পর দক্ষিণ কাশ্মীরের জেলায় জামাত-ই-ইসলামির ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সি…

    স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সিই (SIA) প্রথম আবিষ্কার করে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, আজ অনন্তনাগ জেলার এগারোটি জায়গায় ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে। এদিন যেসব সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বসত বাড়ি, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, ফলের বাগান এবং জমি। প্রশাসন সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন রোধে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জামাত-ই-ইসলামির এই সব সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat E Islami) সংগঠনের ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এবং এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত অনেকের সম্পত্তি সিল করে দিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীরের অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়ে দু ডজনেরও বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। মাস কয়েক আগে ভূস্বর্গে জামাত-ই-ইসলামির (Jamat-e-Islami) সঙ্গে সম্পর্কিত ফালাহ-ই-আম (Falah-e-Aam) ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত সব স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

    জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল শিক্ষা বিভাগের মুখ্য সচিব বি কে সিং বলেছিলেন, ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে সমস্ত শিক্ষাক্রম অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। সরকারের তরফে তখন জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছিল, এই নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পাঠরত সব শিক্ষার্থীকে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য কাছাকাছি সরকারি কোনও স্কুলে ভর্তি হতে হবে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১২টি স্কুল ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। এসব ছাড়াও আরও ডজনখানেক প্রাথমিক ও মধ্যমস্তরের স্কুল ছিল তাদের। সব মিলিয়ে প্রায় ১১,০০০ ছাত্রছাত্রী ওই স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DY Chandrachud: ‘… আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন একথা, জানেন?  

    DY Chandrachud: ‘… আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন একথা, জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার জুডিসিয়াল অফিসাররা সাব-অর্ডিনেট জাজ নন। সোমবার এমনই জানালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি সম্পর্কে আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি।

    এটা আমাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন…

    দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দিন কয়েক শপথ নেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। তাঁর আগে এই পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত (UU Lalit)। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিতই সুপারিশ করে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম। পরে রাষ্ট্রপতির সিলমোহর মেলায় প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সোমবার, ১৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে। ওই অনুষ্ঠানেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, জেলার জুডিসিয়াল অফিসাররা সাব-অর্ডিনেট জাজ নন। ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি সম্পর্কে আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন। হাইকোর্টের জাজরা উপস্থিত থাকলে সাধারণত জেলা কোর্টের জাজরা দাঁড়িয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এই রীতিই চলে আসছে। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা আমাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন।  

    সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের ওই অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, আমি মনে করি আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি সাব-অর্ডিনেশনের সংস্কৃতি লালন পালন করে আসছি। আমরা আমাদের ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারিকে সাব-অর্ডিনেট জুডিসিয়ারি বলে উল্লেখ করি। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করছি জেলা জাজদের আর আমরা সাব-অর্ডিনেট জাজ বলে ডাকব না। কারণ তাঁরা সাব-অর্ডিনেট নন। তাঁরা আসেন ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি থেকে।

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি সম্পর্কে আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন বলেও জানান দেশের প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud)। তিনি বলেন, আমাদের যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে আমাদের সর্বাগ্রে পরিবর্তন করতে হবে ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি। একটা বিরাট কাজ আমাদের করতে হবে শুধু ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারির পরিকাঠামো বদলানোর শর্তে নয়, এটা আমাদের করতে হবে মনোভাব বদলের মাধ্যমে। তাঁর কথায়, এটা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি এখানে কোনও মিরাক্যাল ঘটাতে আসিনি। আমার প্রতিদিনের লক্ষ্য হল, এটাই যদি আমার জীবনের শেষ দিন হয়, তাহলে যেন বিশ্বকে একটা ভাল জায়গা উপহার দিয়ে যেতে পারি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • 7th Pay Commission: কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের জন্য সুখবর! ১৮ মাসের ডিএ দেবে মোদি সরকার

    7th Pay Commission: কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের জন্য সুখবর! ১৮ মাসের ডিএ দেবে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলীর আগে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির পর কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের জন্য সুখবর। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ও এইচ আর এ ভাতা বৃদ্ধি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    ১৮ মাস ডিএ বকেয়া (18 months DA arrears)

    কোভিডের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ মাস ডিএ বকেয়া পায়নি।দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা ডিএ বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে আসছিল। অবশেষে কেন্দ্র সরকার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিন কিস্তিতে এই ডিএ বকেয়াটি মেটাবে।

    লেভেল ৩ এবং লেভেল ১৩ ও ১৪ গ্রেড পে এর মাইনে বৃদ্ধি (Level 3,Level 13,14 Grade Pay Salary Hiked)

    বিগত দু বছর ধরে ডিএ বকেয়া ইস্যুটি মন্ত্রিসভার আলোচনা সূচিতে রয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, লেভেল ৩ গ্রেড পে কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে ১১ হাজার ৮৮০ থেকে ৩৭ হাজার ৫৫৪ হতে পারে।
    এদিকে, লেভেল ১৩ ও ১৪ গ্রেড পে কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ২২০ টাকা ও ২ লক্ষ ১৮ হাজার ২২০ টাকা হতে পারে। আলোচনা সাপেক্ষে তা বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। 

    ডিএ ৪ শতাংশ(Dearness Allowance Hike 4 Percent)

    সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ৪ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।জানুয়ারি ২০২২ এর আগে কর্মীদের ডিএ ছিল ৩১ শতাংশ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ শতাংশে।
    এই ৪% ডিএ বৃদ্ধির ফলে দেশব্যাপী প্রায় ৬১ লক্ষ অবসরপ্রাপ্তদের পাশাপাশি প্রায় ৫০ লক্ষের বেশী সরকারি কর্মচারী উপকৃত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কান্ডে ইডি তলব করল কলকাতা পুলিশের এসিপিকে 

    পরবর্তী ডিএ কবে বাড়তে পারে?(When Next DA will be increase)

    সরকারী কর্মীরা ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পরবর্তী বর্ধিত ডিএ টি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী বেতন কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্র ৩ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ বাড়াতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lal Krishna Advani: ‘জাতি তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে’, আডবাণীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বললেন মোদি

    Lal Krishna Advani: ‘জাতি তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে’, আডবাণীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৪ বছরে পা দিলেন বিজেপি (BJP) নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী (Lal Krishna Advani)। সেই উপলক্ষে এদিন তাঁর বাসভবনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মোদির সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আরও কয়েকজন প্রবীণ নেতা। তাঁরা সবাই যোগ দেন কেক কাটার অনুষ্ঠানে।

    এদিন তাঁর পার্সোনাল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে কেক কাটার সেলিব্রেশনের একটি ইমেজ শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। লেখেন, আডবাণীজিকে (Lal Krishna Advani) জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তাঁর সুস্থ ও দীর্ঘ আয়ু কামনা করি। আমাদের সাংস্কৃতিক গর্ব সমৃদ্ধ করতে ও জনগণের ক্ষমতায়ণে তাঁর নানা চেষ্টার কারণে জাতি তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে। তাঁর ক্ষুরধার বুদ্ধি ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ লক্ষ্যের জন্যও তিনি শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন। অন্য একটি ট্যুইটে লেখেন, জাতি গঠনে তাঁর অবদান প্রচুর।

    এদিনের অনুষ্ঠানের একটি ছোট ভিডিয়োও শেয়ার করা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে। বিজেপির ট্যুইটার পেজের ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে দেশের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী আডবাণীর (Lal Krishna Advani) হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে আডবাণীর সঙ্গে কেক কাটতে দেখা যায় বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।

    আরও পড়ুন: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি?

    ক্যু অ্যাপের মাধ্যমে প্রবীণ নেতা আডবাণীকে (Lal Krishna Advani) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তিনি লিখেছেন, হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে শ্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। তিনি বিজেপির অভিভাবক। তিনি মূল্যবোধের রাজনীতির প্রতিভূ। একজন দক্ষ প্রশাসক। আমাদের সকলের গাইড। শ্রীরামের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ এবং সুখী জীবন প্রার্থনা করি। অবিভক্ত ভারতের (India) করাচিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আডবাণী। যোগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক (RSS) সংঘে। জনসংঘ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তিনি যোগ দেন জনসংঘে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Vande Mataram: জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ এর মতো জাতীয় গীত বন্দেমাতরমকেও বিশেষ সম্মান জানানোর পক্ষে সওয়াল কেন্দ্র সরকারের

    Vande Mataram: জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ এর মতো জাতীয় গীত বন্দেমাতরমকেও বিশেষ সম্মান জানানোর পক্ষে সওয়াল কেন্দ্র সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় গান বন্দেমাতরমকেও (Vande Mataram) এবার বিশেষ মর্যাদা দেবার জন্য দেশের নাগরিকদের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শনিবার দিল্লি হাইকোর্টে একটি হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র সরকার। অর্থাৎ দুটো সঙ্গীতকেই সমান মর্যাদার পক্ষে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বা গাওয়ার ক্ষেত্রে সংবিধানে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ভারতের জাতীয় গান বন্দেমাতরমের ক্ষেত্রে তেমন কোনও নিয়ম বা তা অমান্য করলে শাস্তিমূলক বিধান নেই।
    বিশিষ্ট আইনজীবী ও বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই দিল্লী হাইকোর্টে হলফনামায় এই নির্দেশিকা দেয় অমিত শাহের দপ্তর। কেন্দ্রের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালতে এই বিষয়ে একটি মামলা উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে বা রায় জানাতে অস্বীকার করে। কারণ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, আদালতে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় গানের বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। সেই কারণে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও মন্তব্য করতে পারে না। পরবর্তীকালে উচ্চ আদালতের তরফে বন্দে মাতরম গান বাজানোর নির্দেশিকার আবেদন করে একটি পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘জন গণ মন’-এর মধ্যে কোনও বিরোধ থাকতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কেন্দ্র মেনে চলে।

    প্রসঙ্গত, বন্দেমাতরম হল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাসের একটি কবিতা। ১৮৯৬ সালে প্রথমবার গানটি গাওয়া হয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গেও এই গানটি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। তবে যখন জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচনের বিষয় আসে, তখন বন্দে মাতরমের পরিবর্তে জনগণমনকেই বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় জনগণমনর মতো একই মর্যাদা দেওয়া হবে বন্দে মাতরমকেও। সেই মতো ১৯৫০-এর ২৪ জানুয়ারি জনগণমনকে (National Anthem) জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করার পাশাপাশি বন্দেমাতরমকে জাতীয় গান (National Song Of India) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    অপরদিকে,কবিগুরুর রচিত জনগণমন গানটি প্রথম গাওয়া হয়েছিল ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় আয়োজিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে। আর তার ঠিক পরের দিন দ্য বেঙ্গলি পত্রিকায় গানটির ইংরেজি অনুবাদসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯১২ সালের জানুয়ারি মাসে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ভারত-বিধাতা নামে প্রকাশিত হয় গানটি। তারও পরে গানটির ইংরেজি অনুবাদ করেন রবীন্দ্রনাথ। পরবর্তীকালে ১৯৩৭ সালে প্রথম সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose) জনগণমন-কে জাতীয় সঙ্গীত করার প্রস্তাব করেন।

    এরপর কেটে যায় আরও অনেকগুলো বছর। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনও একটি অনুষ্ঠানে বাজানোর জন্য জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় প্রতিনিধিদের থেকে জাতীয় সংগীতের একটি রেকর্ড চাওয়া হয়। তাঁরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানান এবং জনগণমন-কেই (Jana Gana Mana) বাজানোর পক্ষে মত দেন। এরপর সরকারের অনুমতি অনুসারে জাতিসংঘের অর্কেস্ট্রাবাদনের একটি রেকর্ড সেই অনুষ্ঠানে বাজানো হয়। আরও পরে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও এই গানটিকেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত করার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। যার জেরে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি জনগণমনকেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

LinkedIn
Share