Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Tirupati temple: তিরুপতি মন্দিরের সম্পত্তির পরিমান কত? জানলে অবাক হয়ে যাবেন

    Tirupati temple: তিরুপতি মন্দিরের সম্পত্তির পরিমান কত? জানলে অবাক হয়ে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ শ্বেতপত্রের মাধ্যমে তাদের বিপুল সম্পত্তির কথা ঘোষণা করেছেন। মন্দিরের ট্রাস্ট শ্বেতপত্রে জানিয়েছেন, দশ টনের বেশি সোনা এবং নগদ ১৫ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা সম্পত্তি রয়েছে মন্দিরের। সোনাটির বাজার মূল্য প্রায় ৫ হাজার তিনশো কোটি টাকা। তিরুপতি মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমান প্রায় ২.২৬ লক্ষ কোটি টাকা।
    মন্দিরের অন্যতম ট্রাস্টি সদস্য এভি ধর্ম রেড্ডি বলেছেন, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিটে ২০১৯ সাল পর্যন্তও টাকার পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এখন তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। শুধুমাত্র গত তিন বছরেই দান বেড়েছে ২৯০০ কোটি টাকা।
    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, তিরুপতি মন্দিরের মোট ৯৬০টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। যার মোট পরিমাণ ৭,১২৩ একর।

     

    গত কয়েকদিন ধরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি করছিলেন, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমসের চেয়ারম্যান এবং বোর্ডের পক্ষ থেকে মন্দিরের উদ্বৃত্ত তহবিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের নিরাপত্তা বিভাগে লগ্নি করা হয়েছে। শ্বেতপত্রে সেই দাবি খারিজ করেছে ট্রাস্ট বোর্ড। ট্রাস্ট জানিয়েছে উদ্বৃত্ত তহবিল নির্ধারিত ব্যাঙ্কেই লগ্নি করা হয়। ভক্তদের এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রাস্ট। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ট্রাস্ট যে নগদ এবং সোনা লগ্নি করেছে, তা অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এই মন্দিরের বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন হয় পুরোটাই ভক্তদের দানধ্যানের মাধ্যমে। অনেক ব্যবসায়ী এবং প্রতিষ্ঠানও এই মন্দিরের জন্য দান করেন।

    মন্দিরটি অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চিত্তুর জেলার অন্তর্গত তিরুপতির তিরুমালা শৈলশহরে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রধান বিষ্ণু মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান উপাস্য দেবতা হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অবতার ভেঙ্কটেশ্বর।এই মন্দিরটি অনেক নামে প্রসিদ্ধ যেমন তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির, তিরুপতি মন্দির, তিরুমালা মন্দির ও তিরুপতি বালাজি মন্দির ইত্যাদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • JJ Hospital: ১৩২ বছর পুরনো টানেল মিলল মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে

    JJ Hospital: ১৩২ বছর পুরনো টানেল মিলল মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বাইয়ের সরকারি হাসপাতালে (JJ Hospital) 132 বছরের পুরনো একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে। মুম্বাইয়ের এই জেজে হাসপাতাল (JJ Hospital) ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল, একটি মেডিকেল ওয়ার্ডের ভবনের নীচে ২০০ মিটারের দীর্ঘ একটি টানেলটি পাওয়া গেছে।জে জে হাসপাতালের একটি পুরনো ভবনের কোনও এক অংশ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ছিল। সেই নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হতেই সুড়ঙ্গটির হদিস পাওয়া যায়।

    হাসপাতালের ডিন পল্লবী সাপ্লের বক্তব্য, এর মধ্যেই মুম্বইয়ের কালেক্টর এবং মহারাষ্ট্রের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (JJ Hospital) এবার সেখানে হেরিটেজ ওয়াকের পরিকল্পনা করছেন। সুড়ঙ্গটির খুঁটিনাটি প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সাড়ে চার ফুট মতো উচ্চতা র‍্য়েছে স্তম্ভটির, ইটের গাঁথনি দিয়ে তৈরী একাধিক স্তম্ভ ধরে রেখেছে সুড়ঙ্গটিকে।একেবারে মুখে রয়েছে একটি পাথরের দেওয়াল।

     

    কিছু প্রাক্তন হাসপাতালের কর্মচারীদের মতে, এই বিল্ডিংয়ের পিছনে অবস্থিত আরেকটি ব্রিটিশ আমলের বিল্ডিংয়ের নীচে অনুরূপ কাঠামো রয়েছে, তবে এটি এখনও যাচাই করা হয়নি।

    টানেলটির নকশা করেছিলেন স্থপতি জন অ্যাডামস।তৎকালীন বোম্বের গভর্নর লর্ড রে, ১৮৯০ সালের ২৭ শে জানুয়ারী এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং তা ১৫ই মার্চ ১৮৯২ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকারও বেশি। সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলায় অনেকের মনে করছেন এই হেরিটেজ প্রপার্টিতে গুপ্তধন থাকতেই পারে।স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে উৎসাহের জোয়ার বেড়ে গিয়েছে। এখন সকলেই নতুন এই সুড়ঙ্গ থেকে আর নতুন কি কি তথ্য পাওয়া যায় তা জানতে মুখিয়ে রয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Earthquake Himalayas: হিমালয়ে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি,ভয়ংকর খবর শোনালেন বিশেষজ্ঞরা

    Earthquake Himalayas: হিমালয়ে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি,ভয়ংকর খবর শোনালেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের নেপালের (Nepal) সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের(Earthquake) স্মৃতি নিশ্চয়ই সকলেরই মনে আছে। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল ভারতেও। সেই স্মৃতি ফের উসকে দিয়েছে মঙ্গলবার নেপালের ভূমিকম্পে।

    রিখটার স্কেলে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ৬.৩

    রিখটার স্কেলে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। আবারও এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল ভারতেও। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য রাত দুটো নাগাদ পরপর দুইবার কেঁপে ওঠে। বুধবার মধ্য রাতেও ভূমিকম্প হয় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। একের পর এক ভূমিকম্প হওয়ার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। নেপালের মতো পরিস্থিতি যাতে ভারতেও না হয়, তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।হিমালয়ে পরবর্তীতে বড়সড় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

    ইউরেশীয়ান প্লেটের (Eurasian plate) চাপের কারণেই ভূমিকম্প হয়

    এই প্রসঙ্গে ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজির সিনিয়র জিওগ্রাফিসিস্ট অজয় পাল সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, ভারতীয় ও ইউরেশীয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই হিমালয়ের উৎপত্তি হয়েছিল। ভূপৃষ্টের নীচে থাকা ভারতীয় প্লেটের উপরে ক্রমাগত ইউরেশীয়ান প্লেটের চাপের কারণেই ভূমিকম্প হয়। হিমালয়ের নীচে দুই পাতের সংঘর্ষে এই ভূমিকম্প অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। গোটা হিমালয় অঞ্চলটিই ভূমিকম্প প্রবণ। ওই অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনাও সর্বদাই থাকে।

    রিখটার স্কেল (Richter scale) কম্পনের মাত্রা হতে পারে ৭ বা তার বেশী 

    পরবর্তী সময়ে যদি হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়, তবে তা অত্যন্ত শক্তিশালী হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

    ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়

    সিনিয়র জিওগ্রাফিসিস্ট অজয় পাল আরও জানান, যেহেতু ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়, ভূমিকম্প আগামী মাস বা ১০০ বছর পরেও হতে পারে। তাই আগে থেকে নিজেদের প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। এতে বড় ক্ষয়ক্ষতি যেমন এড়ানো যায়, তেমনই ভূমিকম্পও দক্ষ হাতে মোকাবিলা করা যাবে।

    জাপানের (Japan) পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত

    পরামর্শ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে বাড়ি এমনভাবে বানানো উচিত, যা ভূমিকম্পেও বিশেষ প্রভাবিত হবে না। জাপানেও (Japan) এই পদ্ধতিতেই বাড়ি বানানো হয়। সেই কারণেই বারবার ছোট-বড় ভূমিকম্প হলেও, জাপানে প্রাণহানি বা সম্পত্তির বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয় না। প্রত্যেক বছরই অন্তত একবার মক ড্রিল করা উচিত। যদি এই কাজগুলি করা যায়, তবে ভূমিকম্পের প্রভাব ৯৯.৯৯ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব।

    প্রসঙ্গত,বিগত ১৫০ বছরে মোট চারটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে হিমালয়ে। ১৮৯৭ সালে শিলংয়ে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এরপরে ১৯০৫ সালে কাঙ্গরায়, ১৯৩৪ সালে বিহার-নেপাল সীমান্তে ও ১৯৫০ সালে অসমে কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া ১৯৯১ সালে উত্তরকাশীতে, ১৯৯৯ সালে চামোলি ও ২০১৫ সালে নেপালেও ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • The Kerala Story: ফিল্ম টিজারে কেরলের সাথে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সূত্র জুড়ে দেওয়ায় চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর কেরল পুলিশের

    The Kerala Story: ফিল্ম টিজারে কেরলের সাথে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সূত্র জুড়ে দেওয়ায় চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর কেরল পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি'(The Kerala Story) নামক এক বলিউড সিনেমার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সিনেমার টিজারে দক্ষিনের এই রাজ্যটিকে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের কেন্দ্র হিসেবে দেখানোর পর থেকে ভারতের এই দক্ষিণী রাজ্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

    সিনেমাটির ট্রেলারে (The Kerala Story Trailer) কি দেখানো হয়েছে?

    সিনেমাটির ট্রেলারে দেখানো হয়েছে রাজ্যের প্রায় ৩২ হাজার নারীকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করানোর পর বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীতে নিয়োগ করা হয়েছে।

    ট্রেলারের এক ভিডিওতে দেখানো হয়, একজন বোরখা পরিহিত এক মহিলা (বলিউডের এক হিন্দু নায়িকা) বলেন আমি ধর্মান্তকরণের শিকার হয়েছি। সে বলে,”আমি একজন নার্স হতে চেয়েছিলাম এবং মানবতার সেবা করতে চেয়েছিলাম। সে আরও বলে, এখন আমি ফাতিমা, আফগানিস্তানের একটি জেলে বন্দিনী আইসিস সন্ত্রাসী, তবে আমি একা নই। ছবির ট্রেলারে বোরখা পরিহিত মেয়েটি আরও দাবি করে যে “আমার মতো ৩২ হাজার মেয়ে আছে যাদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে এবং সিরিয়া ও ইয়েমেনের মরুভূমিতে সমাহিত করা হয়েছে। কেরলের সাধারণ মেয়েদের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীতে রূপান্তরিত করার জন্য একটি মারাত্মক খেলা চালানো হচ্ছে … কেউ কি তাদের বাধা দেবে না?”

    ছবিটির নির্মাতারা দাবী করেন যে, চলচ্চিত্রটি বাস্তব তথ্য এবং ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু তাদের দাবির সমর্থনে তারা কোনো প্রমাণ বা অফিসিয়াল রিপোর্ট পেশ করেনি।

    সিনেমাটির ট্রেলারটির রিলিজের পর প্রতিক্রিয়া (Reaction on The Kerala Story Trailer)

    ট্রেলারটির প্রকাশের পরই ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ুর সাংবাদিক বিআর অরবিন্দদক্ষন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এবং কেরল পুলিশের কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন। পিটিশনে তিনি অভিযোগ করেন যে এই ফিল্মটি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছে এবং এর বিষয়বস্তু সমাজে অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। তিনি অবিলম্বে পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি সিনেমাটি রিলিজ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। 

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যের পুলিশকে অভিযোগটি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পরেই ট্রেলারের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেরলের তিরুবনন্তপুরম জেলার পুলিশ ভুল তথ্য এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে সিনেমা নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

    রাজ্যের বিরোধীদল নেতা ভিডি সতীসান বলেছেন যে ছবিটি তথ্যের দিক থেকে ভুলে ভরা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ। তিনি এই সিনেমাটিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

    পুলিশ চলচ্চিত্রের ঘটনাগুলি কেরলের চারজন মহিলার দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে মনে করছে। যারা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তাদের স্বামীদের সাথে ২০১৬ এবং ২০১৮ সালের মধ্যে খোরাসান প্রদেশে আইএসএ যোগ দিতে আফগানিস্তানে গিয়েছিল। তাদের স্বামীরা নিহত হবার পর ২০১৯ সালে তারা আত্মসমর্পণ করার পরে এখনও তারা আফগান জেলে রয়েছে। ভারত সরকার তাদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে।

    ফিল্মটির দাবী মতো কেরলের এমন হাজার হাজার মেয়েরা এখন যুদ্ধবন্দী, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

    কেরলে বিজেপির সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা (BJP is trying to expand its organization in Kerala)

    ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত ও প্রগতিশীল রাজ্য কেরলে বিজেপি এখনো তাদের প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বিজেপি নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই কেরল রাজ্যে ধর্মান্তকরণ বা ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। রাজ্যে বাম সরকার ও ধর্ম নিরপেক্ষ দলের উপস্থিতি থাকায় বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার অস্ত্রকে ব্যবহার করে কেরল দখল করতে মরিয়া বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

    কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটির প্রভাব (Influence of the movie Kashmir Files)

    বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটি সম্প্রতি বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাশ্মীর ফাইলস এর  অনুকরণে করা হয়েছে। কাশ্মীর ফাইলসেও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে সংখ্যালঘু কাশ্মীরি পন্ডিতেরা কিভাবে অত্যাচারিত হয়েছিল, তা দেখানো হয়। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হলেও বক্স অফিসে বিপুল মুনাফা লাভ করে দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kuno National Park:আফ্রিকা থেকে আনা ৮ টি চিতার মধ্যে দুটিকে ছাড়া হল কুনোর জঙ্গলে

    Kuno National Park:আফ্রিকা থেকে আনা ৮ টি চিতার মধ্যে দুটিকে ছাড়া হল কুনোর জঙ্গলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিন আফ্রিকা থেকে আনা ৮ টি চিতাবাঘের মধ্যে ২ টি চিতা বাঘকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কের বড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হল। কুনোর পার্কের তারে ঘেরা মুক্ত প্রান্তরে প্রথমে এই চিতাবাঘ গুলিকে রাখা হয়েছিল। কতৃপক্ষ জানিয়েছে, সরাসরি কুনোর জঙ্গলে ছাড়ার আগে জঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে আরও ভাল করে মানিয়ে নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 
    এই প্রেক্ষিতে রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
    ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “দারুণ খবর। বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইনের পর দুটি চিতাকে আরও বড়ো এনক্লোজারে ছাড়া হয়েছে। বাকি চিতাগুলিকেও দ্রুত সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে। আমি এটা জেনে খুশি হয়েছি যে সবকটি চিতাই সুস্থ রয়েছে। তারা সক্রিয় রয়েছে এবং তারা পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিচ্ছে।”

     

    কুনো জাতীয় উদ্যানের শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভিনদেশ থেকে আনা চিতাগুলিকে জঙ্গলে ছাড়ার আগে যাবতীয় সতর্কতা পালন করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চিতাগুলিকে দেখভালের জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। নতুন যে স্থানে চিতা বাঘগুলিকে ছাড়া হচ্ছে সেটির আয়তন প্রায় ৫ বর্গ কিলোমিটার।

     

    আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, বন্য প্রাণীদের অন্য দেশে স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে এক মাসের বিশেষ এই কোয়ারেন্টাইনে রাখা বাধ্যতামূলক। এই সময়ের মধ্যেই দেখা হয় নতুন পরিবেশে প্রাণীটি মানিয়ে নিতে পারছে কি না।
    তবে, এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী বিজয় শাহ। সূত্রের খবর, বনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রবিবার এই চিতাগুলিকে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু, বনবিভাগের আধিকারিকরা এক দিন আগেই চিতাগুলিকে বড় এলাকায় ছেড়ে দেন। সূত্রের খবর, এলাকার পরিবেশ এবং চিতাগুলির স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করার পর শনিবার চিতা দু’টিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ছত্তিশগড়ে ভারতে শেষ চিতা মারা গিয়েছিল এবং ১৯৫২ সালে চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ অল্পবয়স্ক চিতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India’s First Voter Died: স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার ১০৬ বছর বয়সে মারা গেলেন

    India’s First Voter Died: স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার ১০৬ বছর বয়সে মারা গেলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার শ্যাম শরণ নেগি (Shyam Saran Negi) শনিবার হিমাচলপ্রদেশের কালপাতে নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।১০৫ বছরের দীর্ঘ যাত্রার যবনিকা পতন হল। ২ নভেম্বর হিমাচলের বিধানসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছিলেন শ্যাম শরণ। যা তাঁর জীবনের শেষ ভোট হয়ে থাকল। আগামী ১২ নভেম্বর হিমাচলে ভোট, ৮ ডিসেম্বর ফলপ্রকাশ।১৯১৭ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন নেগি। কল্পায় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫২ সালে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু, হিমাচল প্রদেশের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ১৯৫১ সালে অক্টোবর মাসে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনের প্রথম ভোটদানকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

    তাঁর মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশনের তরফেও শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, তিনি গণতন্ত্রে ভরসা রাখতেন।নির্বাচন কমিশনের তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে তিনি ভোট দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি।

     

    দেশের গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর একনিষ্ঠ আস্থা থাকায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,এটি প্রশংসনীয়। এই পদক্ষেপ তরুণ ভোটারদের নির্বাচনে অংশ নিতে ও আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।

     

    তিনি আজীবন সকলকে ভোটদানে উৎসাহিত করে এসেছেন। বলিউড ছবি ‘সনম রে’(Sanam Re) –তে অতিথি শিল্পী হিসেবে তাঁর উপস্থিতি চমকে দিয়েছিল দর্শকদের।হিমাচলপ্রদেশে তিনি মাস্টার শ্যাম নামে জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর (Jairam Thakur)। এছাড়াও শ্যাম শরণের মৃত্যুতে বিজেপি, কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল শোক জ্ঞাপন করেছেন।

    মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেছেন, ‘স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার শ্যাম সরণ নেগি জির মৃত্যুর খবরে শোকাহত। তিনি নিজের দায়িত্বে অটল থেকে ২ নভেম্বর জীবনের ৩৪ তম ভোট দিয়ে গিয়েছেন। এই স্মৃতি সবসময়ই আবেগপ্রবণ।

     

    এদিকে তাঁর জেলার নির্বাচনী আধিকারিক আবিদ হাসান সাদিকও ভারতের প্রথম ভোটারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। পূর্ণ মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     
  • Delhi Air Pollution: মাত্রা ছাড়া বায়ুদূষণ দেশের রাজধানীতে, স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল

    Delhi Air Pollution: মাত্রা ছাড়া বায়ুদূষণ দেশের রাজধানীতে, স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরই বায়ুদূষণে নাজেহাল হয়ে পড়েছে দেশের রাজধানী দিল্লী। এই সময়ে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকেরা জমির খড় পোড়ানোর ফলে দিল্লী ও নয়ডার বিস্তীর্ণ অঞ্চল কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।কালই দিল্লীর বেশ কিছু অঞ্চলে এয়ার কোয়ালিটির মান ৪৫৮ ছাড়িয়েছ  যা বিশেষজ্ঞদের মতে গুরুতর বলে জানিয়েছিলে। 
    এই নিয়ে বিষয়টিতে লেগেছিল রাজনৈতিক রঙ। দিল্লীর এমন আবহাওয়া নিয়ে কেজরিওয়ালকে নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদব। তিনি ট্যুইটারে দেশের রাজধানীকে ১৯৫২ সালের লন্ডনের গ্যাস চেম্বারের সাথে তুলনা করেন। দিল্লীর বিজেপি সভাপতি আদেশ গুপ্তা কালই সরকারের কাছে স্কুল বন্ধের আর্জি জানান। এদিকে জাতীয় শিশু অধিকাররক্ষা কমিশন দিল্লি সরকারের কাছে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছিলেন স্কুল বন্ধ রাখার।

    এই সামগ্রিক দিকগুলো মাথায় রেখে আগামীকাল কাল থেকে দিল্লীর প্রাথমিক স্কুলগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিল্লী সরকার। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের আউটডোর এক্টিভিটি বন্ধ থাকবে। এছাড়াও পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানান, ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মচারীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলিকেও এই নির্দেশ মানার জন্য অনুরোধ করেন। ডিজেল চালিত মোটর সাইকেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। তিনি দিল্লীবাসীকে অনুরোধ করেছেন নিজেদের ব্যক্তিগত যানবাহনের বদলে গণপরিবহন ব্যবহার করতে। বেসরকারি কোম্পানির সহায়তায় সরকার আরও ৫০০টি সিএনজি চালিত বাস চালু করবে। দিল্লীতে যে কোনো নির্মান কাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন। এছাড়াও পরিবেশমন্ত্রী জানান দিল্লীতে যে সব স্থানে বায়ুদূষণের মাত্রা অধিক সেই সব স্থানে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্স তৈরি করা হবে।

     

    মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল জানিয়েছেন পাঞ্জাবে যেহেতু আম আদমি পার্টির সরকার রয়েছে তাই তারা পাঞ্জাব থেকে সৃষ্ট এই ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য সবরকম প্রয়াস করবেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান জানিয়েছেন, ধান কাটার ফলে খড় পোড়ানো বেড়েছে। বর্তমানে পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে খড় পোড়ানোর পরিবর্তে কৃষকদের খড় মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gold Smuggling From Dubai: প্রায় ৩ কোটির সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল দুবাই ফেরত যাত্রী

    Gold Smuggling From Dubai: প্রায় ৩ কোটির সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল দুবাই ফেরত যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাই থেকে ভারতে সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। মঙ্গলবার দিল্লী বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে দুবাই থেকে ৭ কেজি সোনা নিয়ে ভারতে এসেছিল ওই ব্যক্তি। কাস্টমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত সেই সোনার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। সোনার পাউডার বানিয়ে তা পেস্টের মতো পদার্থে রুপান্তর করেছিল পাচারকারীরা। এই পাউডারকে পাতলা পাউচে ভরে  প্যাক করা হয়েছিল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও হাতের ব্যাগে তা লুকানো হয়েছিল। কাস্টমস গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের বডি সার্চ করার সময় মোট ২১ টি প্যাকেট উদ্ধার করে। কিছু প্যাকেট শরীরের নীচে পড়া বডি শেপারে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

    অভিযুক্তরা ২৭ অক্টোবর দুবাইয়ের শারজাহ এয়ারপোর্ট থেকে G9 463 এয়ারবাস ধরে দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্টের ৩-এ টার্মিনালে এসে পৌছানোর পরেই কাস্টমসের অফিসারেরা পূর্ব তথ্য অনুযায়ী তাদের আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে  সোনা বাজেয়াপ্ত করার পরেই কাস্টমস অফিসাররা তাদের গ্রেফতার করে। তবে এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষ দোষীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। 

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে সোনা কিনলে প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় ৬ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। তাই বিপুল মুনাফা থাকায় প্রচুর মানুষ দুবাই থেকে ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টা করে। বিশ্বের সবচেয়ে খাটি সোনা দুবাইতেই মেলে। দুবাই থেকে আনা ২২ ক্যারেট সোনা ভারতে ২৪ ক্যারেটের দামে বিক্রি হয়। কাস্টমস তরফে জানা গিয়েছিল বেশীরভাগ দুবাইয়ে কাজের জন্য যাওয়া শ্রমিকরা ভারতে আসবার সময় পাচারের চেষ্টা করে। 

    কাস্টমস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমান কলকাতা বিমানবন্দরকে সোনা পাচারের  ট্রানসিট রুট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
    চলতি বছরেরই ৯ মে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদশী এক ব্যক্তির শার্ট ও ফুল প্যান্টের মধ্যে সোনা পেস্ট করে লুকিয়ে আনতেই ধরা পড়ে কাস্টমসের হাতে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী এক ব্যক্তি অন্তর্বাসের  মধ্যে ৬০ লক্ষ টাকার সোনা পাচার করছিল, সেই সোনা ধরা পড়ে কাস্টমাসের হাতে। কখনও সোনার পেস্ট, কখনও সোনার বার, কখনও সোনার বিস্কুট শহর থেকে লাগাতার উদ্ধার হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Schools: একবছরে ভারতে বন্ধ হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি স্কুল

    India Schools: একবছরে ভারতে বন্ধ হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি তাদের একটি রিপোর্টে জানিয়েছেন শুধুমাত্র ১ বছরেই ভারতে স্কুলের সংখ্যা কমেছে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি স্কুল কমে যাওয়ায় শিক্ষকের সংখ্যা কমেছে প্রায় ১.৯৫ শতাংশ। যে স্কুল গুলিও রয়েছে তাদের পরিকাঠামো অবস্থায় ভালো নয়। কেন্দ্রের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালের মধ্যে ভারতে স্কুলের সংখ্যা ছিল ১৫.০৯ লক্ষ কিন্তু পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ ২০২১-২২ তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪.৮৯ লক্ষে। রাতারাতি প্রায় ২০ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিক্ষকের সংখ্যাও কমেছে এই এক বছরে। প্রাথমিক স্কুল গুলিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষকের শতাংশ ছিল ৩৫.৪, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪.৪ শতাংশে। উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ২১.৫ শতাংশ শিক্ষক ছিল তা ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দাঁড়িয়েছে ১৮.৯ শতাংশে। সার্বিক দিক থেকে দেখতে গেলে ২০২০-২১ সালে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ৯৭.৮৭ লক্ষ, সেখানে ২০২১-২২ সালে শিক্ষকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫.০৭ লক্ষ। অর্থাৎ একবছরে শিক্ষক সংখ্যা কমেছে ১.৯৫ শতাংশ।

     

    যদিও সরকারী সূত্রের দাবী, সরকারী স্কুলের তুলনায় বেসরকারি স্কুলগুলি বেশি বন্ধ হয়েছে। কোভিডকালে ছাত্রাভাবে স্কুলগুলি বন্ধ করতে হয়। রিপোর্ট জানা গিয়েছে সরকারী স্কুল বন্ধ হয়েছে প্রায় ০.৯ শতাংশ, সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধ হয়েছে ১.৪৫ শতাংশ এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ হয়েছে ২.৯৪ শতাংশ। রিপোর্ট আরও জানা গিয়েছে সরকার সমস্ত পরিষেবাকে ইন্টারনেট নির্ভর করার প্রতিশ্রুতি দিলেও  আদতে মাত্র ৪৪.৮৫ স্কুলে কম্পিউটার রয়েছে যার মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে।

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য মাত্র ২৭ শতাংশ স্কুলে টয়লেট রয়েছে। মূলত দেশের এখনও অনেক স্কুলেই টয়লেটের ভালো ব্যবস্থা নেই। অধিকাংশ স্কুলের লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। সরকার একদিকে স্কুল কমে যাওয়ার জন্য কোভিডের কারণ দেখালেও অপরদিকে ওই রিপোর্টেই আবার বলা হয়েছে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে প্রায়, ২৫ কোটি ৫৭ লক্ষ পড়ুয়া। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও স্কুল ও শিক্ষকের সংখ্যা কেন কমছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Delhi Schools: বায়ুদূষণে নাজেহাল দিল্লী,কেজরিওয়ালকে স্কুল বন্ধের পরামর্শ দিলেন বিজেপি

    Delhi Schools: বায়ুদূষণে নাজেহাল দিল্লী,কেজরিওয়ালকে স্কুল বন্ধের পরামর্শ দিলেন বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকবছর ধরেই দিল্লীতে বায়ু দূষণের জন্য সমস্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিবছরই এই সময় পাঞ্জাব হরিয়ানায় ক্রমাগত খড় পোড়ানোর জেরেই কালো চাদরের মতো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় রাজধানী দিল্লী ও নয়ডা।সকাল আটটায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দিল্লীর আনন্দবিহারের মান ছিল ৪৫৮ যা গুরুতর বলে গন্য করা হয়। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে আগামী দু’দিন দিল্লীর বায়ুর গুনমান আরও খারাপ হতে চলেছে।
    এই নিয়ে বিষয়টিতে লেগেছে রাজনৈতিক রঙ। দিল্লীর এই পরিস্থিতির জন্য দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির চিফ অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে (Arvind Kejriwal)  নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ ভুপেন্দ্র যাদব। দেশের রাজধানীকে ১৯৫২ সালের লন্ডনের গ্যাস চেম্বারের সাথে তুলনা করেছেন।
    গত শীত পর্যন্ত বিজেপি শাসিত হরিয়ানা ও কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবকে দূষণের জন্য দুষেছিলেন কেজরীওয়াল। কিন্তু বর্তমানে আপ নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাবে ২০২১ সালের তুলনায় আগুনে খড় পোড়ানোর ঘটনা ১৯ শতাংশ বেড়েছে। 

    [tw]


    [/tw] 

    দিল্লীর বিজেপি সভাপতি আদেশ গুপ্তা বায়ুদূষণের  জন্য দিল্লীর প্রতিটি স্কুলকে বন্ধের পাশাপাশি অনলাইনে স্কুল করার আবেদন জানিয়েছেন। এই নিয়ে তিনি দিল্লীর লেফটেন্যান্ট গর্ভনর বিনয় কুমার সাক্সেনাকে চিঠি লিখেছেন। তিনি আপ সরকারকে পাঞ্জাবে খড় পোড়ানোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। 

    [tw]


    [/tw] 
    এদিকে, দিল্লীর পরিবেশ মন্ত্রী(Delhi Environment Minister) গোপাই রাই (Gopal Rai) দিল্লীবাসীকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে মানা করেছে। তিনি সকলকে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের পরামর্শ দিয়েছেন। আর যদি বাইরে বেরতেই হয় সেক্ষেত্রে নিজস্ব গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহন ব্যবহার করার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, রাজনীতির মাধ্যমে বায়ুদূষণ রোধ সম্ভব নয়। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সমাজের এই সমস্যা গুলোর সমাধান করা উচিত।

    [tw]


    [/tw]

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share