Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi News: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

    PM Modi News: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এটা আপনারা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে।’’ আমেদাবাদে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করে এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ‘‘বিগত ১০ বছরে মোদি সরকার একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩৭০ ধারা সরানো, দেশকে অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে নিয়ে যাওয়া, রাম মন্দির নির্মাণ সমেত সর্বশেষ সংযোজন সিএএ লাগু করা। এর বাইরেও তাঁর অনেক কিছু করা বাকি আছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সেটাই মঙ্গলবার গুজরাটে বোঝাতে চাইলেন তিনি।’’

    ‘‘আমাদের কাছে উন্নয়ন মানে দেশ গঠন’’

    গুজরাটে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণার মধ্যে ছিল রেলওয়ে, পেট্রোকেমিক্যাল সংক্রান্ত নানা প্রজেক্ট। এদিনই নরেন্দ্র মোদি দশটি আরও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, দেশে বন্দে ভারতের সংখ্যা বর্তমানে ১০০-তে পৌঁছে গেল। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘আমাদের কাছে উন্নয়ন বলতে আবার একবার সরকার গঠন নয়, আমাদের কাছে উন্নয়ন মানে দেশগঠন।’’ এদিন প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi News) বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আগামী পাঁচ বছরে যুবকরা দেখবে, ভারতীয় রেলের কীভাবে পরিবর্তন হচ্ছে। যেটা তাঁরা কল্পনাও করতে পারবেন না। যুবকরা সিদ্ধান্ত নেবেন, কেমন ধরনের দেশ তাঁরা চান। এটা আপনারা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে।’’ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ঘোষণার মধ্যে ছিল ২০ হাজার কোটি টাকার ‘পেট্রোন্যাট এলএনজি’র উদ্বোধনও। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘‘এই প্রকল্পগুলি ভারতের যুবসমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকেই গ্যারান্টি দিচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে প্রত্যেকটি সরকারই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিকে প্রাধান্য দিত এবং এর প্রভাব পড়তো ভারতের রেলের উপরে।’’

    মারুতি-সুজুকি গাড়ি কারখানার ভিতর পর্যন্ত রেল লাইন

    গুজরাটের হনসলপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্পেরও এদিন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi News)। ওই প্রকল্পে মারুতি-সুজুকি গাড়ি কারখানার ভিতর পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ করা হবে। মূল রেললাইন থেকে আলাদা হয়ে এই লাইন চলে যাবে। সেই লাইন দিয়ে কেবলমাত্র সংস্থার গাড়ি মালগাড়িতে তোলার কাজই হবে। আবার গাড়ি তোলা হয়ে গেলে, ওই লাইন দিয়ে গিয়ে মূল লাইনে যুক্ত হয়ে মালগাড়ি বিভিন্ন দিকে বেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাবে। দেশের প্রথম কোনও গাড়ি কারখানায় এমন ডেডিকেটেড ‘ইন প্ল্যান্ট রেলওয়ে সাইডিং’ প্রকল্প হল। রাস্তা দিয়ে ট্রাকে চাপিয়ে গাড়ি পাঠানোর ফলে যে জ্বালানি লাগত, তা প্রয়োজন হবে না। এরফলে কার্বন নিঃসরণ কমবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। সড়কে যানজট কমবে। মোট ৯৭৬ কোটি টাকার এই রেল প্রকল্পের মধ্যে মারুতি-সুজুকি বিনিয়োগ করছে ৩৫৯ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ফের পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, জানেন কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ?

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ফের পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, জানেন কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) শান্তি ফেরাতে তৎপর কেন্দ্র। উপত্যকাকে বিচ্ছিন্নভাবে না রেখে মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে মোদি সরকার। এর জন্যই লোকসভা ভোটের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন করে ‘তৎপরতা’ শুরু করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মন্ত্রকের তরফে ‘বেআইনি কার্যকলাপে’ জড়়িত থাকার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্ট (Jammu Kashmir National Front) নামে একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ

    নঈম আহমেদ খানের নেতৃত্বাধীন জেকেএনএফ-কে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ভারত-বিরোধী জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার কারণেই ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ) অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। উপত্যকায় (Jammu Kashmir) আপাতত, জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রণ্ট (JKNF)-কে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই সংগঠন বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। যা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য অনুকূল নয়। 

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ‘মোদি সরকার আজ জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (Jammu Kashmir National Front) বেআইনি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই দল জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করতে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, জাতির সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। আমরা ভারতের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাস বাহিনীকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নেই বাংলার কোনও আসন

    Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নেই বাংলার কোনও আসন

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ৮ মার্চ কংগ্রেস প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। ১২ মার্চ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিল কংগ্রেস। দ্বিতীয় দফায় ৪৩টি আসনের প্রার্থী তালিকা (Congress Candidate List) প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম দফার মতো এবারেও বাংলার কোনও আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি (Lok Sabha Election 2024)। যে রাজ্যগুলির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল কংগ্রেস সেগুলি হল- অসম, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড এবং দমন ও দিউ। বাংলার আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে কেন দেরি করছে কংগ্রেস? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিধান ভবনে।

    পরিবারতন্ত্রের প্রতিফলন প্রার্থী তালিকায়

    তবে এই দ্বিতীয় দফার তালিকাতেও (Lok Sabha Election 2024) দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের পরিবারবাদী রাজনীতির ছাপ। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমলনাথ ও তাঁর পুত্র বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এমন জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেল, এবারের লোকসভা ভোটে সেই কমলনাথের ছেলে নকুলনাথকে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে প্রার্থী করছে কংগ্রেস (Congress Candidate List)। অন্যদিকে রাজস্থানেরও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্র বৈভব গেহলটও টিকিট পেয়েছেন। রাজস্থানের জালোর থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের পুত্র গৌরব গগৈকে সেরাজ্যের জোরহাট থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।

    রাজস্থানেরই ১০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ৪৩ জন প্রার্থীর (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে ১৩ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের। যেখানে, ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন তফশিলি জাতির এবং ৯ জন প্রার্থী তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের রয়েছেন। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় রাহুল গান্ধী, শশী থারুর-সহ ৩৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় তালিকায় (Congress Candidate List) ৪৩ জনের প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই রাজস্থানের ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা চাইতে পারে না, দাবি লোকসভার সচিবালয়ের

    Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা চাইতে পারে না, দাবি লোকসভার সচিবালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অপরাধে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ করা নিয়ে মামলা চলছে শীর্ষ আদালতে। এ প্রসঙ্গে লোকসভার সচিবালয়কে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই লোকসভার সচিবালয়ের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে এই বিষয়টি নিয়ে আদালত কোনও ব্যাখ্যা চাইতে পারে না। কারণ ১২২ নম্বর ধারা অনুসারে সংবিধান নির্দিষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে যে সংসদ তাদের অভ্যন্তরীন কাজকর্মে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে আদালতের কোনও হস্তক্ষেপ চলবে না।

    লোকসভার সচিবালয়ের যুক্তি

    ঘুষ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকসভা থেকে মহুয়ার (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের বরখাস্ত তৃণমূল সাংসদ। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই মামলা শুনছিলেন। আগামী ৬ মে ফের এই মামলার দিন পড়েছে। তার আগেই লোকসভার সচিবালয়ের তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে,‘‘ভারতীয় সংবিধানে আইনসভা এবং বিচারবিভাগের ক্ষমতা এবং এক্তিয়ারের সুস্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। তাই সংসদের কার্যপদ্ধতি (এবং সিদ্ধান্ত) সংক্রান্ত পদ্ধতির কোনও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে না শীর্ষ আদালত। হাউস (এ ক্ষেত্রে লোকসভা) নিজেই এর বৈধতার একমাত্র বিচারক।’’

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    মহুয়ার ধাক্কা

    একের পর এক ক্ষেত্রে ধাক্কা খাচ্ছেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টেও ধাক্কা খেয়েছিলেন মহুয়া। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় দেহাদ্রাই যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ‘ভুয়ো ও মানহানিকর’ বিষয়বস্তু পোস্ট বা প্রচার না করেন সেটা থেকে বিরত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র আবেদন করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi in Pokhran: “ত্রিশক্তির এই মহড়া ঘোষণা করছে নয়া ভারতের উত্থান”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi in Pokhran: “ত্রিশক্তির এই মহড়া ঘোষণা করছে নয়া ভারতের উত্থান”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সৈন্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Pokhran)। মঙ্গলবার রাজস্থানের পোখরানে ভারতীয় সেনার (Indian Army) ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আজ যে দৃশ্য আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, ত্রিশক্তি বাহিনীর যে সাহসের সাক্ষী আমরা হলাম, তা অনন্য সাধারণ। আকাশে ভারতীয় সেনার গর্জন, স্থলভাগে ভরতীয় সেনার দুঃসাহস এবং সেনার বিজয়োল্লাস যে দিকে দিকে ধ্বনিত হচ্ছে, তা সগর্বে ঘোষণা করে নয়া ভারতের উত্থান।”

    আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান

    এদিন পোখরানে ত্রিশক্তির অনুশীলন (Exercise Bharat Shakti) প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বলেন, “আজ পোখরান আরও একবার সাক্ষী রইল আত্মনির্ভর ভারত, আত্মবিশ্বাসী ভারত এবং আত্মগর্বিত ভারতের।” সোমবারই অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran) তাকে ‘প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। অতীতে যে এই পোখরানেই ভারত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “পোখরান ভারতের আত্মনির্ভরতা, বিশ্বাস এবং আত্মগৌরবের সাক্ষী হয়ে রইল।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran)?

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের ধারণাকে মাথায় রেখেই হয়েছে এদিনের সেনা মহড়া (Exercise Bharat Shakti)। প্রদর্শিত হয়েছে ভারতের তৈরি বিশেষ যুদ্ধ সরঞ্জাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান। এদিনের মহড়ায় তেজস যুদ্ধবিমান, এএলএইচ মার্ক-৪, টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, কে-৯, আর্টিলারি গান, ইউএভি (ড্রোন), পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার, শর্ট রেঞ্জ মিসাইল অংশগ্রহণ করেছিল। অবশ্য এই প্রথম নয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় বায়ুসেনার মহড়ায়ও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উন্নত ভারতের স্বপ্নপূরণ লুকিয়ে রয়েছে আত্মনির্ভর ভারতের মধ্যেই। উন্নয়ন পেতে গেলে আমাদের অবশ্যই অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। তাই ভোজ্য তেল থেকে কাটিং এজ এয়ারক্র্যাফ্ট পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই আত্মনির্ভরতায় জোর দিচ্ছে ভারত।” প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran) বলেন, “এই যে ভারত শক্তির সেলিব্রেশন হচ্ছে, এটা কেবল রাজস্থান নয়, সাহসের এই গাথা পৌঁছে যাবে তামাম বিশ্বে।”

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাশিয়া। সেটা ২০২২ সাল। সে বছরই ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হয় প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে। মস্কো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ওই আঘাত হানতে চেয়েছিল। তবে, সময়মতো হস্তক্ষেপ করে, একটা বড় বিপর্যয় রুখে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। 

    মোদির (PM Modi) উদ্যোগের প্রশংসা

    রাশিয়া যদি ওই পারমাণবিক আঘাত হানত, তাহলে সেটা হত জাপানের হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ-উত্তর প্রথম পারমাণবিক হামলার ঘটনা। প্রায় আশি বছর আগে জাপানের ওই দুই শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল আমেরিকা। সিএনএন-এর রিপোর্টেই এই তথ্য মিলেছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করতে নিরস্ত করেছিলেন যিনি, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরও কয়েকটি দেশও রাশিয়াকে নিষেধ করেছিল ইউক্রেনে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করতে।

    শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)

    ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ সমর্থন করেনি ভারত। তাই এসসিও সামিটে উজবেকিস্তানে গিয়ে যখন পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তখনই তিনি পুতিনকে শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়, বন্ধু। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই মস্কো যে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারে উদ্বেগে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনও। সিএনএন-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে আঁচ করেই ভারত (PM Modi) সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্য চায় বাইডেন প্রশাসন।

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    এই দেশগুলি যাতে পুতিনকে বোঝায়, তিনি যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেন। প্রবীণ এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “আমরা ওই দেশগুলিকে কেবল বার্তা পাঠিয়েই ক্ষান্ত হইনি, আমরা তাদের কাছে জোরালো অনুরোধও করেছিলাম। তারা যাতে অন্য দেশগুলিকেও একই অনুরোধ করে, তাও বলেছিলাম।” সিএনএনের প্রবীণ কর্তারা স্বীকার করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য কয়েকজন এই সঙ্কট (ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ) কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের ওই বর্ষীয়ান আধিকারিক বলেন, “আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উদ্বেগ বুঝতে পারবে রাশিয়া।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এ বিষয়ে কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। অন্যান্য বহু দেশের সঙ্গে ভারতও সচেষ্ট হয়ে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র হামলা রুখে দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Haryana CM: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    Haryana CM: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী (Haryana CM) হলেন বিজেপির নায়েব সিং সাইনি। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। এদিনই সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বিজেপি নেতা মনোহর লাল খট্টর। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে তাঁকে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন খট্টর। তার পরেই বিজেপির হরিয়ানার সভাপতি সাইনিকেই বসানো হয় খট্টরের চেয়ারে।

    বিরোধীদের মাত বিজেপির (Haryana CM)

    সাইনি ওবিসি সম্প্রদায়ের। হরিয়ানায় এই সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা খুব কম নয়। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় আট শতাংশ মানুষ সাইনি সম্প্রদায়ের। কুরুক্ষেত্র, আম্বালা, যমুনানগর, রেওয়ারি এবং হিসারের মতো জেলায় সাইনি সম্প্রদায়ের বহু মানুষের বাস। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের অনুগত সৈনিক সাইনিকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়ে রাজ্যের বিরোধীদের কার্যত ছত্রখান করে দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    সাইনির উত্তরণ

    সাইনি কুরুক্ষেত্রের সাংসদ। গত বছর বিজেপির হরিয়ানা রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে জন্ম সাইনির। মুজফফরপুরের বিআর আম্বেদকর বিহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ২০১০ সালে মেরঠের চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন এলএলবি। ১৯৯৬ সাল থেকেই বিজেপির হরিয়ানা ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। সংগঠন বিস্তারে নিবেদিত প্রাণ। ২০১৬ সালে মনোহরলাল খট্টর মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছিলেন সাইনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কুরুক্ষেত্র কেন্দ্রে কংগ্রেসের নির্মল সিংকে ৩.৮৩ লক্ষ ভোটে পরাস্ত করেন সাইনি।

    ২০০২ সালে বিজেপি সাইনিকে আম্বালায় দলের যুব শাখার (Haryana CM) জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে বসায়। ২০০৫ সালে আম্বালা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি হন তিনি। হরিয়ানার বিজেপির কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন সাইনি। ২০১২ সালে আম্বালা জেলা সভাপতি পদে বসানো হয় তাঁকে। ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নারায়ণগড় কেন্দ্রে পদ্ম প্রতীকে দাঁড়িয়ে হেরে যান তিনি। ২০১৪ সালে ওই আসনেই বিপুল ভোট জয়ী হন বিজেপির এই নেতা। এদিন চণ্ডীগড়ে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন সাইনি। তার আগে পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন খট্টরকে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় লোকসভার আসন রয়েছে ১০টি। সবকটিতেই একলা চলো নীতি নিয়েছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা (Haryana CM)। 

    আরও পড়ুুন: “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের”, বললেন জামাত প্রেসিডেন্ট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • IAF Tejas Crash: জয়সলমেরের কাছে ভেঙে পড়ল তেজস প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান, সুরক্ষিত পাইলট

    IAF Tejas Crash: জয়সলমেরের কাছে ভেঙে পড়ল তেজস প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান, সুরক্ষিত পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশিক্ষণের সময় ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার দেশীয় তেজস যুদ্ধবিমান (IAF Tejas Crash)। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়সলমেরের কাছে। সময় মতো বেরিয়ে আসায় সুরক্ষিত রয়েছেন এক পাইলট। তবে, সঠিক সময়ে প্যারাশুট না খোলার কারণে অপর পাইলটের চোট লেগেছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বায়ুসেনা। 

    ভেঙে পড়ল তেজস-এর (IAF Tejas Crash) প্রশিক্ষণ বিমান

    সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জয়সলমেরে প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এলসিএ)’ তেজস-এর ট্রেনার ভার্সান বা প্রশিক্ষণ বিমান (IAF Tejas Crash)। ওই বিমানে ছিলেন পাইলট ও সহকারী পাইলট। জওহর নগরের একটি পরিত্যক্ত এলাকায় যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। স্থানীয় মেঘওয়াল হস্টেল ভবনের কাছে মিলেছে যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ (Tejas Aircraft)। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ২ পাইলটই বেঁচে রয়েছেন। একজনের চোট-আঘাত লেগেছে বলে খবর। তবে, তিনি কতটা আহত, তা জানা যায়নি।

    কোর্ট অফ ইনকোয়ারি গঠন

    দুর্ঘটনার (IAF Tejas Crash) খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বায়ুসেনার আধিকারিকরা। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। ভারতীয় বায়ুসেনা একটি বিবৃতিতে বলেছে, “বায়ুসেনার একটি তেজস বিমান (Tejas Aircraft) প্রশিক্ষণ চলাকালীন জয়সলমেরে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান। দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি কোর্ট অফ ইনকোয়ারি গঠন করা হয়েছে।”

    এই প্রথম দুর্ঘটনার কবলে তেজস (IAF Tejas Crash)

    এর আগে, মিগ সহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়লেও কোনওদিন তেজসের ক্ষেত্রে সেই ঘটনা ঘটেনি। ২৩ বছরে এই প্রথম বার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তেজস। ভারতীয় বায়ুসেনায় দেশীয় তেজস যুদ্ধবিমানকে (Tejas Aircraft) আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০১৬ সালে। গত অক্টোবরে তেজসের মার্ক-১ ফাইটার জেটের (IAF Tejas Crash) দু’আসন বিশিষ্ট নয়া প্রশিক্ষণ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল বায়ুসেনার হাতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের”, বললেন জামাত প্রেসিডেন্ট

    CAA: “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের”, বললেন জামাত প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএকে (CAA) স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের।” নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এই প্রতিক্রিয়াই দিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত প্রেসিডেন্ট মৌলানা শাহাবউদ্দিন রাজভি বরেলভি।

    কী বলছেন জামাত প্রেসিডেন্ট (CAA)?

    তিনি বলেন, “এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। এই আইন নিয়ে মুসলমানদের মনে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। এর সঙ্গে মুসলমানদের কোনও সম্পর্ক নেই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আগে কোনও বিধান ছিল না। সেই কারণেই এই আইন তৈরি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আগে সিএএ-র (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। তার কারণ মুসলমানদের ভুল বোঝানো হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল এই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।” তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সিএএকে স্বাগত জানানো।”

    “এই আইন আগেই করা উচিত ছিল”

    শাহাবউদ্দিন বলেন, “ভারত সরকার সিএএ (CAA) আইন লাগু করেছে। আমি এই আইনকে স্বাগত জানাই। এটা আগেই করা উচিত ছিল। কিন্তু না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হওয়া ভালো। এই আইনটি নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে।” অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারতের কোটি কোটি মুসলমানের ওপর এই আইনের কোনও প্রভাব পড়বে না। ভারতের কোনও মুসলমানের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না এই আইন। মুসলমানদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির বীজ বপন করেছেন কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।”

    আরও পড়ুুন: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    “সিএএ (CAA) নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন”

    প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, “সিএএ লাগু হচ্ছে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।” তিনি এও বলেছিলেন, “আমাদের দেশের সংখ্যালঘুরা বিশেষত মুসলমান সম্প্রদায় প্ররোচিত হচ্ছেন। সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে না। কারণ এই আইনে এমন কোনও ব্যবস্থাই নেই। সিএএ আইন তাঁদের জন্য, যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে (হিন্দু-সহ ছটি সম্প্রদায়) বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন।”

    সোমবারই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসে সংসদে সিএএ বিল পাশ করে কেন্দ্র। পরে বিলটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। পাশও হয়ে যায় বিলটি। কিন্তু দেশবাসীর একাংশকে ভুল বুঝিয়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manohar Lal Khattar: পদত্যাগ করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, প্রার্থী হচ্ছেন লোকসভায়?

    Manohar Lal Khattar: পদত্যাগ করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, প্রার্থী হচ্ছেন লোকসভায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিজেপিরই নায়েব সাইনি অথবা সঞ্জয় ভাটিয়া। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে খট্টরকে করনাল কেন্দ্রে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। এমনটাই খবর সূত্রের।

    মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা খট্টরের (Manohar Lal Khattar)

    এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের বাসভবনে বিজেপি এবং সরকারের সমর্থক নির্দল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন খট্টর। তারপরেই ইস্তফা দেন তিনি। এদিনই জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) নেতা দুষ্মন্ত চৌটালা ১১টায় বৈঠক ডেকেছিলেন। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে হিসার এবং ভিওয়ানি-মহেন্দ্রগড় কেন্দ্রের প্রার্থী বাছাই নিয়েও আলোচনা হয় খট্টরের ডাকা বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিলে মন্ত্রিসভা ভেঙে যায়। নয়া মন্ত্রিসভায় কারা (Manohar Lal Khattar) মন্ত্রী হবেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জেজেপির পরিবর্তে নির্দলদের সমর্থনে এবার সরকার গড়তে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। 

    হরিয়ানায় সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব

    হরিয়ানা বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। এর মধ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৪১। কংগ্রেসের রয়েছেন ৩০ জন বিধায়ক। জেজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০। নির্দল রয়েছেন ৭ জন। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল ও হরিয়ানা লোকহিত পার্টির একজন করে বিধায়কও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, নায়েব সাইনি কিংবা সঞ্জয় ভাটিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হরিয়ানার রাজভবনের কনফারেন্স রুমে শপথ গ্রহণের প্রস্তুতিও চলছে।

    আরও পড়ুুন: এনডিএ শিবিরে ফিরলেন চন্দ্রবাবু, বিজেপি-টিডিপি আসন রফা চূড়ান্ত

    জেজেপিকে লোকসভা আসন ছাড়তে নারাজ বিজেপি

    হরিয়ানায় লোকসভার আসন রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে জেজেপি ২টি আসন চেয়েছিল। যা ছাড়তে রাজি হয়নি বিজেপি। জেজেপি নেতা তথা হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী (মন্ত্রিসভা ভেঙে যাওয়ায় এখন প্রাক্তন) দুষ্মন্ত চৌটালা সোমবার সাক্ষাৎ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। দিল্লিতে আয়োজিত সেই বৈঠকে নাড্ডা জেজেপি সুপ্রিমোকে সাফ জানিয়ে দেন, হরিয়ানায় একটি আসনও তারা ছাড়তে পারবে না জেজেপিকে।

    হরিয়ানায় একা লড়বে বিজেপি?

    অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, এর পরেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান জেপিপি সুপ্রিমো। সেই বৈঠকও হয়নি। দিল্লিতে যখন দুটি আসনের জন্য দরবার করে বেড়াচ্ছেন দুষ্মন্ত, তখনই এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন খট্টর (Manohar Lal Khattar)। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, এবার নির্দলদের নিয়েই সরকার গড়বে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানায় একলা লড়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মোদি-শাহের দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share