Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • CBI: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

    CBI: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা মাইনের লোভ দেখিয়ে ভারতীয় তরুণদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাশিয়ায়। পরে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, ক্ষেপণাস্ত্রের খাদ্য হতে। এ ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যের আসার পর শুক্রবার সাত সকালে দেশের ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনকে এভাবে পাচার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। এখনও কত তরুণ না জেনেই জড়িয়ে গিয়েছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, তা জানতে জোর কদমে চলছে তল্লাশি।

    দেশজুড়ে সিবিআই তল্লাশি (CBI)

    এদিন দিল্লি, মুম্বই, তিরুবনন্তপূরম, অম্বালা, চণ্ডীগড়, মাদুরাই এবং চেন্নাইয়ে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই নগদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা, সন্দেহজনক নথিপত্র, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মোবাইল ফোন এবং সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) দাবি, মানব পাচারকারীদের একটি সুসংহত চক্র কাজ করছে একাধিক রাজ্যজুড়ে।

    চাকরির টোপ দিয়ে ধরা হচ্ছে ‘ছেলে’

    ইউটিউব চ্যানেল ও সমাজমাধ্যমে যেমন রাশিয়ায় চাকরির টোপ দেওয়া হচ্ছে, তেমনি স্থানীয় এজেন্টরাও সক্রিয় ‘ছেলে’ ধরতে। টোপ গিলে নেওয়ার পর ওই তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন রণক্ষেত্রে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করছেন ভারতীয় তরুণরা। রণাঙ্গনে গিয়ে জখমও হয়েছেন অনেকে। চাকরির টোপ গিলে সমরভূমে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হায়দরাবাদের মহম্মদ আফসান বা সুরাটের হামিল মাঙ্গুকিয়ার মতো তরুণরা। রাশিয়ায় বেড়াতে যাওয়া সাত ভারতীয়কেও জোর করে বহাল করা হয়েছে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে।

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে চার যুবক দাবি করেছেন, চাকরি দেওয়ার নামে তাঁদের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। পরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের রণাঙ্গনে। ভাইরাল হওয়া ১৫০ সেকেন্ডের আরও একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, একটি ছোট্ট ঘরের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন যুবক। তাঁদেরও অভিযোগ, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে যোগ দেওয়ানো হয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে।

    তদন্ত করতে গিয়ে জনৈক ফয়সল খানের নাম জানতে পেরেছেন সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, জোর করে রাশিয়া পাঠানোর যে অভিযোগ বিভিন্ন পরিবার করছে, তারা প্রত্যেকেই পুলিশকে জানিয়েছে ফয়সলের কথা। এই ব্যক্তিই সিকিউরিটি গার্ড বা শ্রমিকের চাকরি দেওয়ার নামে অনেক যুবককে রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

    Amit Shah: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগামী ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন নরেন্দ্র মোদি।” বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবেন মোদি। চতুর্থবারেও তিনিই বসবেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে।

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “আমি বলে দিতে পারি, আগামী ১০ বছর একমাত্র মোদিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।” তিনি বলেন, “আমরা যদি ভালো কাজ করতে পারি, তবেই ক্ষমতায় টিকে থাকব। আর যদি নিজেদের ভুল শুধরে নিতে না পারি, তাহলে আমরা জিততে পারব না।” মোদির সেনাপতি বলেন, “মোদিজি ২০৪৭ সালে ভারত কোথায় পৌঁছবে তার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন তিনিই দেখিয়েছেন।” তিনি বলেন, “খুব তাড়াতাড়িই লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে।”

    তোষণকেন্দ্রিক রায়!

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “আমাদের দেশে যে গণতন্ত্র চলছে সেটা কাজের ওপর নির্ভর করে। সাফল্যের রাজনীতিতে মানুষ কাজ দেখে ভোট দেয়।” তিনি বলেন, “আগে জাত-পাত, ধর্মের ওপর ও তোষণকেন্দ্রিক রায় দিত দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদিই সেটা বদলে সাফল্যকেন্দ্রিক রাজনীতির আবহ তৈরি করেছেন। কে কী কাজ করেছেন তার ওপরই নির্ভর করে দেশ ক্ষমতায় থাকবে। কাজ করার যোগ্যতা মানুষ ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দেবে।”

    আরও পড়ুুন: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর পরিবার নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন শাহ। বলেন, “যাঁরা বোকা বোকা কথা বলে দেশের রাজনীতির মান নামিয়ে দিচ্ছেন, মানুষ প্রত্যেকবার তাঁদের যোগ্য জবাব দিচ্ছেন। আমি মোদিজিকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজও করেছি। একটা দিক থেকে লালুজি ঠিকই বলেছেন যে মোদিজির কোনও পরিবার নেই। কারণ যাঁদের পরিবার রয়েছে, তাঁরা চাইবেন তাঁদের ছেলেমেয়েদের প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত ৪০ বছর ধরে মোদিজি কাজ করেই চলেছেন দেশের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২৩ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরেও। আমি তাঁকে ছুটি নিতে দেখিনি। সকাল ৫টা থেকে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছি। রাতেও কাজ করতে দেখেছি।” প্রধানমন্ত্রীর গায়ে দুর্নীতির কালির ছিটেফোঁটাও লাগেনি বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Ujjwala Yojana: নারী দিবসে মোদি সরকারের উপহার, উজ্জ্বলা প্রকল্পে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি আরও ১ বছর

    PM Ujjwala Yojana: নারী দিবসে মোদি সরকারের উপহার, উজ্জ্বলা প্রকল্পে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি আরও ১ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার (PM Ujjwala Yojana) আওতায় ভর্তুকি পাওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরেও এই ভর্তুকির সুবিধা পাবেন উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা মহিলারা।  বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে সোশ্যাল সাইটে জানান, নারীদিবসে নারীশক্তিকে উপহার। 

    নারীশক্তিকে উপহার

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারে (PM Ujjwala Yojana) প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় যাঁরা ৩০০ টাকা ভর্তুকি পাচ্ছিলেন, তাঁরা আগামী বছর পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন। প্রসঙ্গত, ২৯ অগাস্ট উজ্জ্বলা প্রকল্পে ২০০ টাকা ভর্তুকি বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। ৪ অক্টোবর উজ্জ্বলার সিলিন্ডার পিছু আরও ১০০ টাকা করে ভর্তুকি বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এবার  সেই দামই আগামী এক বছর জারি রাখল কেন্দ্র। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ভর্তুকি পাওয়া যাবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি কোষাগার থেকে ১২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    কারা, কতদিন পাবে এই সুবিধা

    এই সংযোগ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত দেয় সরকার। যেমন আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে (শুধুমাত্র মহিলা), সেইসঙ্গে একই পরিবারে অন্য কোনও এলপিজি সংযোগ থাকলে সেই পরিবার এই কানেকশন পাবে না। উজ্জ্বলা প্রকল্পের অধীনে সরকার দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ দিয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালের ১ মে উজ্জ্বলা যোজনা (PM Ujjwala Yojana) চালু করেছিলেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এই প্রকল্পের অধীনে এখনও পর্যন্ত ৯.৬ কোটিরও বেশি এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরেই ট্যুইট করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও। তিনি জানান, পিএম উজ্জ্বলা যোজনার সঙ্গে যুক্ত থাকা ১০ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগী ১৪.২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি পাবেন।        

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Houthi Attacks In Red Sea: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    Houthi Attacks In Red Sea: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে ফের ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় নৌসেনা। বুধবার বার্বাডোজের পতাকা লাগানো একটি জাহাজে হামলা চালায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি (Houthi Attacks In Red Sea)। ইরান সমর্থিত ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাণিজ্যিক ওই জাহাজটি লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে। ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন, জখমও হন বেশ কয়েকজন। এই জাহাজটি থেকেই এক ভারতীয়-সহ মোট ২১জন কর্মীকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা।

    জাহাজে মিসাইল হামলা (Houthi Attacks In Red Sea)

    এদিন লোহিত সাগর দিয়ে যাচ্ছিল পণ্যবাহী জাহাজ এমভি ট্রু কনফিডেন্স। জাহাজটি (Houthi Attacks In Red Sea) যে এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, সেখান থেকে ইয়েমেনের বন্দরশহর এডেনের দূরত্ব ১০১ কিলোমিটার। আচমকাই জাহাজটিতে মিসাইল ছোড়ে হুথি জঙ্গিরা। আগুন লেগে যায় জাহাজটিতে। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠান জাহাজটির ক্যাপ্টেন। বার্তাটি পৌঁছায় ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস কলকাতার কাছে। দ্রুত রওনা দেয় ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনার মুখপাত্র কমান্ডার মাধওয়াল বলেন, “হেলিকপ্টার ও নৌকোর মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজটির কর্মীদের। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”

    দায় কবুল হুথির 

    ঘটনার নেপথ্যে যে হুথিই, তার প্রমাণ মিলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলার দায় কবুল করায়। তাদের দাবি, হামলা চালানোর আগে সতর্ক করা হয়েছিল জাহাজটিকে। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করাতেই চালানো হয়েছে হামলা। গত অক্টোবরে শুরু হয় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। তার পর থেকেই লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে হুথির বিরুদ্ধে। হামলা বন্ধ না হলে ফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। তার পরেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুথি।

    ব্রিটিশ দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “অন্তত দুজন নিরপরাধ নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। এটি ছিল আন্তর্জাতিক জাহাজগুলিতে হুথিদের বেপরোয়াভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দুঃখজনক কিন্তু অনিবার্য পরিণতি। এদের অবশ্যই থামাতে হবে।” মাসখানেক আগেও লোহিত সাগরে দুটি জাহাজে হামলা চালিয়েছিল হুথিরা। তার প্রেক্ষিতে হুথির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, “মঙ্গলবার প্রথম হামলাটি হয় আমেরিকান জাহাজ স্টার নাসিয়াকে লক্ষ্য করে ও অন্যটি ব্রিটিশ জাহাজ মর্নিং টাইডকে লক্ষ্য করে (Houthi Attacks In Red Sea)।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশে চড়ছে ‘ভারত বয়কট’ সুর, পেঁয়াজ পাঠিয়ে মোক্ষম চাল মোদির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relationship: বাংলাদেশে চড়ছে ‘ভারত বয়কট’ সুর, পেঁয়াজ পাঠিয়ে মোক্ষম চাল মোদির

    India Bangladesh Relationship: বাংলাদেশে চড়ছে ‘ভারত বয়কট’ সুর, পেঁয়াজ পাঠিয়ে মোক্ষম চাল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বিরোধী প্রচার শুরু হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। এবার তার আঁচ লাগল ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশেও (India Bangladesh Relationship)। জানুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশের কুর্সিতে ফেরে আওয়ামি লিগ সরকার। ফের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তার পরেই শুরু হয়েছে ভারত বয়কট প্রচার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে যারা আওয়ামি লিগের বিরোধিতা করেছিল, ভারত বয়কট প্রচারে সুর চড়িয়েছে তারাই। সূত্রের খবর, ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক সমর্থন করেছে বিএনপি এবং সমমনস্ক ১২টি দল।

    কমেছে ভারতীয় পণ্যের বিক্রি (India Bangladesh Relationship)

    এক সময় (India Bangladesh Relationship) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পান্থপথ এলাকায় ঢালাও মিলত ভারতীয় পণ্য। গত মাসে এই এলাকার কিছু দোকান মালিক ভারতীয় পণ্য তুলতে চায়নি। ঢাকা-চট্টগ্রামের দোকানদারদের একটা বড় অংশই জানিয়েছে, সম্প্রতি কমে গিয়েছে ভারতীয় পণ্যের বিক্রিবাটা। বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে ভারতের পছন্দের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তাই ভারতীয় পণ্য বয়কটের আওয়াজ তুলেছে সরকার বিরোধীদের একাংশ। নয়াদিল্লির মতে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পাকিস্তানপন্থীরা রয়েছে এই প্রচারের নেপথ্যে। সংগঠিত কোনও শক্তির হাতও থাকতে পারে বলে ধারণা নয়াদিল্লির।

    নেপথ্যে পাকিস্তানের হাত!

    অতীতে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছে আইএসআই। হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে সেসব অবশ্য বন্ধ হয়েছে। তবে সম্প্রতি মলদ্বীপকাণ্ডের পর বাংলাদেশে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সেই অশুভ শক্তি। যার জেরে উঠেছে ভারত বিরোধী আওয়াজ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারও বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে বাংলাদেশের ভারত-বিরোধী শক্তিকে। তবে বাংলাদেশে পণ্য বয়কটের প্রভাব অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বাংলাদেশে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ২.৬ শতাংশ। তবে ভারত বিরোধী প্রচারের জেরে ছাপ পড়তে পারে দুই দেশের সম্পর্কে।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরায় কিস্তিমাত! বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ তিপ্রা মথার

    সেই ছাপ যাতে না পড়ে তাই রমজান ও ইদের আগেই বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠিয়েছে ভারত। অথচ দেশের বাজারে পেঁয়াজের জোগানে সঙ্কট ও তার জেরে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় গত বছরই পেঁয়াজ রফতানিতে রাশ টেনেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বাংলাদেশের পাশাপাশি আর এক বন্ধু দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। তবে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী সুর চড়তেই পেঁয়াজ পাঠিয়ে ইদের তোফা দিয়ে নয়াদিল্লি মোক্ষম চাল দিলেন বলেই ধারণা (India Bangladesh Relationship) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ত্রিপুরায় কিস্তিমাত! বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ তিপ্রা মথার

    Lok Sabha Election 2024: ত্রিপুরায় কিস্তিমাত! বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ তিপ্রা মথার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রাক্কালে ত্রিপুরায় কিস্তিমাত বিজেপির! রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল শরিক হল বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের। মন্ত্রী হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মণ। মন্ত্রগুপ্তির পাঠ পড়লেন তিপ্রা মথারই বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মণও। বৃহস্পতিবার রাজভবনে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, তিপ্র মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ প্রমুখ।

    তিপ্রাল্যান্ডের দাবি (Lok Sabha Election 2024)

    ত্রিপুরার জনজাতি অধ্যুষিত অংশকে আলাদা (Lok Sabha Election 2024) তিপ্রাল্যান্ড বলে ঘোষণার দাবি জানিয়ে ২০২১ সালে আত্মপ্রকাশ করে তিপ্রা মথা। দলের প্রধান হন ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোত। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে মথা জনজাতিদের সমস্যার সাংবিধানিক সমাধানের দাবি জানায় প্রদ্যোতের দল। দাবিপূরণ না হলে কোনও দলের সঙ্গেই হাত মেলাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিপ্রা মথার প্রধান।

    জোট সরকারের নেতৃত্ব দেয় বিজেপি

    তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় ৩২টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি জেতে একটি আসন। তিপ্রা মথার ১৩ জন প্রার্থী জয়ী হন। ওই নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিল ১১টি আসন, কংগ্রেস ৩টি। প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় তিপ্রা মথা। বিরোধী দলনেতা হন অনিমেষ। ত্রিপুরায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে অবশ্য এখনও কারও নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কেঁদে ফেললেন শাহজাহান

    রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, পূর্ব ত্রিপুরা আসনটি জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এই আসনটি তিপ্রা মথাকে ছেড়ে দিতে পারে বিজেপি। অন্য অংশের মতে, রাজ্যের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে তিপ্রা মথার দুই বিধায়ককে। তার বিনিময়ে পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারে তিপ্রা মথা। পদ্ম চিহ্নে রাজবাড়িরই কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর।

    তিপ্রা ল্যান্ড আন্দোলনের কী হবে?  এ প্রশ্নের উত্তরে তিপ্র মথার তরফে নয়া মন্ত্রী বৃষকেতু বলেন, “বৃহত্তর তিপ্রা ল্যান্ড আমাদের পার্টির অ্যাজেন্ডা। এখন কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে, এটি কখন হবে? দেখুন, পাঁচশো বছরের সংগ্রামের পর তৈরি হল রাম মন্দির। আমাদের আন্দোলন তো শুরু হয়েছে মাত্র তিন বছর আগে (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: নৌসেনার হাতে এল সাবমেরিন ‘শিকারী’ কপ্টার এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’

    Indian Navy: নৌসেনার হাতে এল সাবমেরিন ‘শিকারী’ কপ্টার এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক নিরাপত্তার দিক দিয়ে আরও শক্তিশালী হল ভারত। দেশের জলসীমাকে নিশ্ছিদ্র করতে নৌসেনার অস্ত্রাগারে অন্তর্ভুক্ত হলো নতুন অস্ত্র। বুধবার, শিকারী হেলিকপ্টার ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter) মাল্টি-রোল হেলিকপ্টারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোচিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা (Indian Navy) প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। 

    কেন এই হেলিকপ্টার গুরুত্বপূর্ণ?

    আধুনিক যুগের যুদ্ধক্ষেত্রে ও রণকৌশলে সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাবমেরিনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, একে কেউ দেখতে পায় না। জলের ওপর ভাসমান জাহাজকে সকলে দেখতে পেলেও, ডুবোজাহাজ থেকে যায় আড়ালেই। ফলে, ডুবোজাহাজ থেকে গোপনে শত্রু কখন কোথায় কীভাবে হামলা করে দেবে, তার আগে সেই অদৃশ্য সাবমেরিন কোথায় আছে, তা চিহ্নিত করা ভীষণই জরুরি। বর্তমানে, আধুনিক ও অত্যাধুনিক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়ে থাকে, এমন সব গোপন অস্ত্রের খোঁজ চালানোর জন্য। ঠিক তেমন ভাবেই, সমুদ্রের অতলে শত্রুর সাবমেরিন ঠিক কোথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে, সেই কাজে সিদ্ধহস্ত ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter)।

    পোশাকি নাম ‘সি হক’ (Indian Navy)

    এই হেলিকপ্টারের পোশাকি নাম ‘সি হক’। অর্থ— সমুদ্রের বাজ। নামের মতোই কাজ এই কপ্টারের। জলের নীচে বহু গভীর পর্যন্ত যেতে পারে এর ‘দৃষ্টি’। এতটাই শক্তিশালী এর সেন্সর। আর শুধু নজর নয়। এই কপ্টারে মোতায়েন করা যায় টর্পিডো। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। একবার শত্রুর সাবমেরিন চিহ্নিত হলে, আকাশে উড়তে উড়তেই নির্ভুল লক্ষ্যে টর্পিডো দেগে তাকে গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ নৌসেনার নতুন ‘রোমিও’। বুধবার কেরলের কোচিতে নৌসেনার ঘাঁটি আইএনএস গরুড়-এ আনুষ্ঠানিক ভাবে মার্কিন সংস্থা সিকরস্কির তৈরি কপ্টারটির প্রথম স্কোয়াড্রন ‘কমিশন’ পেয়েছে। এখন থেকে এই কপ্টারগুলি নৌসেনার (Indian Navy) নবগঠিত ৩৩৪ নম্বর এভিয়েশন স্কোয়াড্রনে মোতায়েন থাকবে।

    বহু ক্ষেপণাস্ত্রে সমাদৃত রোমিও

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন ২৪টি ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter) মাল্টি-রোল কপ্টার কিনেছে ভারত। ২০২০ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য সি হক কেনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। খরচ হবে ২৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। শুধু টর্পিডো নয়। এই শিকারী হেলিকপ্টারটি একাধিক বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণান্ত্র বহনেও সক্ষম। ষার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্বখ্যাত ‘হেলফায়ার’ বা (নরকের আগুন) মিসাইল। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি এবং ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে নিধন করতে মার্কিন সেনা ব্যবহার করেছিল এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া, এটি ৩৮ রকমের উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রবাহী রকেট বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ থেকে শুরু করে ফ্রিগেট ও বিমানবাহী রণতরী থেকেও এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Economy: ২০৩১ সালের মধ্যেই ভারত হবে উচ্চ-মধ্যবিত্তের দেশ, বলছে সমীক্ষা

    India Economy: ২০৩১ সালের মধ্যেই ভারত হবে উচ্চ-মধ্যবিত্তের দেশ, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩১ সালের মধ্যেই ভারত হবে উচ্চ-মধ্যবিত্তের দেশ। এই সুখবর শোনাল বিশ্বের আর্থিক রেটিং সংস্থা ক্রিসিল (India Economy)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০৩১ সালের মধ্যেই উচ্চ মধ্যবিত্তের দেশে পরিণত হবে ভারত। এ দেশের মাথাপিছু আয় হবে ৪৫০০ মার্কিন ডলার।

    ক্রিসিলের রিপোর্ট (CRISIL Survey)

    সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ক্রিসিল। তারা জানিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতি (India Economy) বর্তমান স্তর থেকে দ্বিগুণ হয়ে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। তার পরেই এটি উচ্চ মধ্যবিত্তের বন্ধনীভুক্ত হবে। ভারতের এই অগ্রগতির কারণও জানিয়েছে ক্রিসিল। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত সংস্কার ও অন্যান্য পদক্ষেপগুলির কারণে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখা যাবে ভারতে। বিশ্ব রেটিং এই সংস্থার অনুমান, ২০৩১ সালের মধ্যে ভারত ঠাঁই করে নেবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকাতেও।

    ভারতের জিডিপি (India Economy)

    ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হারও যে ভালো হতে পারে, তারও ইঙ্গিত মিলেছে ক্রিসিলের ওই রিপোর্টে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে এই বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.৬ শতাংশের চেয়ে ভালো। আগামী অর্থবর্ষে এটি কিছুটা কমে হতে পারে ৬.৮ শতাংশ।

    ক্রিসিলের রিপোর্ট (India Economy) অনুযায়ী, ২০৩১ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি গড়ে ৬.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলেই ভারত পরিণত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে। আর এই সময়সীমার মধ্যে এ দেশের মাথাপিছু আয় দেশটিকে নিয়ে যাবে উচ্চ মধ্যবিত্ত আয়ের শ্রেণিতে। ২০২৫-২০৩১ এই সময়সীমায় সাতটি অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি প্রথমে পেরোবে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের চৌকাঠ। তার পর পৌঁছবে ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির কাছাকাছি।

    আরও পড়ুুন: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কি কেঁদে ফেললেন শাহজাহান?

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় বর্তমানে ভারত (India Economy) রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটির অর্থনীতির বহর ৩.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাই ওই তালিকায় ভারতের আগে রয়েছে আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানি। বিশ্বব্যাঙ্কের মতে, হাজার থেকে ৪ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়ের দেশগুলি নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের বিভাগে পড়ে। ৪ হাজার থেকে ১২ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়ের দেশগুলি পড়ে উচ্চ মধ্যবিত্ত আয়ের শ্রেণিতে। ২০৩১ সালের মধ্যে এই বন্ধনীতেই চলে আসবে ভারত। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানিয়েছিলেন, অচিরেই ভারত চলে আসবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার তিন নম্বরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lok Sabha Election 2024: নবীনের বিজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে মোদি-শাহের বিজেপি!

    Lok Sabha Election 2024: নবীনের বিজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে মোদি-শাহের বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা অগোছালো। সেই সুযোগে ক্রমেই পক্ষ বিস্তার করছে বিজেপি। বিহারে নীতীশ কুমার ফিরে এসেছেন এনডিএ জোটে। এবার পড়শি রাজ্য ওড়িশায় নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দলের সঙ্গে জোট গড়তে চলেছে বিজেপি (Lok Sabha Election 2024)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিরোধীদের সাফ করতেই সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে জোট গড়ছে বিজেপি।

    উনিশের নির্বাচনের ফল

    ওড়িশায় লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ২১টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এর মধ্যে ১২টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ৮টি আসন গিয়েছিল কংগ্রেসের ঝুলিতে। মঙ্গলবারই ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্সের প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় জানা যায়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ওড়িশায় বিজেপির সঙ্গে বিজেডির জোর টক্কর হবে (Lok Sabha Election 2024)। রাজ্যের শাসক দল বিজেডি পেতে পারে ১১টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১০টি আসন। মঙ্গলবার ওড়িশায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, “বিজেপি চেষ্টা করছে ওড়িশাকে বিকশিত ভারত ও আত্মনির্ভর ভারতের গেটওয়ে বানানোর।”

    ওড়িশায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    জয়পুর জেলার চণ্ডীকোলে এলাকার ওই জনসভায় তিনি এও বলেছিলেন, “গত ১০ বছরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ওড়িশায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। আমরা ওড়িশাকে উন্নত ভারতের প্রবেশদ্বার বানানোর চেষ্টা করছি।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গত ১০ বছরে ওড়িশায় কেবল পেট্রোকেমিক্যাল ক্ষেত্রে লগ্নি করা হয়েছে দু’লাখ কোটি টাকার মতো। ওড়িশা দ্রুত পলিয়েস্টার ইন্ডাস্ট্রির বড় কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে। তিনি বলেছিলেন, “বেশি লগ্নি আসা মানে ওড়িশার যুবকদের আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হওয়া।” ভিড়ে ভিড়াক্কার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এই বিশাল জনসভাই বলে দিচ্ছে পূর্ব ভারতের মুড। এটা স্পষ্ট জানান দিচ্ছে, ‘আব কি বার, ৪০০ পার’ সঙ্কল্প। এই সভাই বলে দিচ্ছে, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার তিন নম্বরে উঠে আসবে।”

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে সন্দেশখালি, বসিরহাটে গিয়ে নথি সংগ্রহ করল সিবিআই

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই যে ‘আব কি বার ৪০০ পার’ সঙ্কল্প, এটা কৃষক, তরুণ, মহিলা এবং দরিদ্রদের জীবন বদলে দেবে। এক্ষেত্রে পূর্ব ভারত এবং বিশেষত ওড়িশা বিরাট ভূমিকা পালন করবে।” এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের পাশাপাশি ইন্ডিয়া ব্লককে নিশানা করলেও, রাজ্যের শাসক দল বিজেডি সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের শাসক দল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এই নীরবতাই জানান দিচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বিজেপি এবং বিজেডি (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • International Women’s Day: নারী দিবসে মহিলাদের অনন্য সম্মান, লিঙ্গভেদ দূর করতে সক্রিয় বিআরও

    International Women’s Day: নারী দিবসে মহিলাদের অনন্য সম্মান, লিঙ্গভেদ দূর করতে সক্রিয় বিআরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী, মহীয়সী, শক্তির আধার। ভারতীয় সমাজে নারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার অনুভূতি রয়েছে। নারী দিবসের প্রাক্কালে (International Women’s Day) দেশে সব স্তরে নারী শক্তির জয়গান গাওয়া হচ্ছে। পিছিয়ে নেই দেশের বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। বিআরও-এর (BRO) গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন মহিলারা। প্রায় দুই দশক আগে, কয়েকজন মহিলা কর্মকর্তা বিআরওতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ঝুঁকির কথা ভেবে তাঁদের কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেওয়া হত। এখন সেই ভাবনায় বদল এসেছে। কেন্দ্রে মোদি সরকার নারীশক্তিকে সমান অধিকার দিতে প্রস্তুত।

    নারীর শক্তিকে গুরুত্ব (International Women’s Day)

    সংস্কৃতে এক শ্লোকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘যেখানে একজন মহিলাকে সম্মান করা হয়, সেখানে সৎকর্ম, বিশেষ গুণাবলী, শান্তি এবং সম্প্রীতির সাথে ঈশ্বরের বাসস্থান হয়ে ওঠে। যদি তা করা না হয় তাহলে সমস্ত কাজকর্ম নিষ্ফল হয়ে যায়।’ সেই কথাকে মাথায় রেখেই এগিয়ে চলেছে বিজেপি সরকার। নারীর ক্ষমতায়নের (International Women’s Day) দিকে বিআরও-এর (Border Roads Organization) বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থানের বিভিন্ন ভূমিকা, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ, সঠিক স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস, অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ, খেলাধুলা এবং সামগ্রিকভাবে বিকাশের জন্য উৎসাহ দান, কারণ তারা জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। নারীর ক্ষমতায়ন, সত্যিকার অর্থে, একটি দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তনকে সূচিত করে। 

    লিঙ্গভেদ দূরীকরণের নজর

    ২০২১ সালের ৮ মার্চ থেকেই বিআরও-তে নারী পুরুষের (International Women’s Day)  সমান পদ দেওয়ার কথা ভাবা হয়। জাতি গঠনের প্রচেষ্টায় মহিলারা সব সময়ই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এই বিশ্বাসের ভিত্তিতেই এই সংস্থাটি মহিলাদের উচ্চতর নেতৃত্বের দায়িত্ব প্রদান করেছে। প্রথম মহিলা হিসেবে জেনারেল রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার ফোর্স (জি আর ই এফ) আধিকারিক ইই (সিভিল) শ্রীমতি বৈশালী এস হাইওয়াসে ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল রাস্তা তৈরির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। যা মুন্সিয়ারি- বুকদিয়ার- মিলাম সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-চিন সড়ক পথে পড়েছে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ওই মহিলা আধিকারিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে তাঁর দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন। এই মাইলফলক অনুসরণ করে, ইই (সিভি) ওবিন টাকিকেও অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং উপত্যকার দুর্গম ভূখণ্ডে রাস্তা ও সেতু নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    মেজর আয়নার নজির

    বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (Border Roads Organization) ২০২১-এর ৩০ অগাস্ট আরও একটি ইতিহাস সৃষ্টি করে। উত্তরাখণ্ডের চামুলি জেলার পিপল কোটিতে শিবালিক প্রকল্পের দায়িত্বভার দেওয়া হয় মেজর আয়নার ওপর। এই ধরনের ইউনিটের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই প্রথম মহিলা হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেন। উল্লেখ্য, তার অধীনে থাকা তিন প্লাটুন কমান্ডারই ছিলেন মহিলা অফিসার। মেজর রানা ১৮,৪৭৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ভারতের দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ পাস মানা পাস পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে ল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছিল। তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা সেনা ইঞ্জিনিয়ার যিনি একটি রাস্তা নির্মাণ সংস্থাকে কমান্ড করেছেন। মহিলাদের নেতৃত্বে এরকম চারটি রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা হয়েছে যার দুটি উত্তর-পূর্ব এবং দুটি পশ্চিমাঞ্চলে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনেরও

    বিভিন্ন পদে মেয়েরা

    কর্নেল নবনীত দুগ্গাল, কাশ্মীর উপত্যকায় একটি ফিল্ড ওয়ার্কশপের অফিসার কমান্ডিং (OC) হিসাবে কাজ করছেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বর্তমানে কর্নেল) স্নিগ্ধা শর্মা বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) এর সদর দফতরে লিগ্যাল সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্নেল অর্চনা সুদকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অরুণাচল প্রদেশের জিরোতে একটি টাস্ক ফোর্সের কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। এভাবেকে ই বিআরও-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এখন নেতৃত্বে রয়েছেন বহু মহিলা অফিসার। যা দেশে নারীশক্তিকে ক্রমশ জাগ্রত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share