Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Modi Mamata Meeting: মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রোটোকল সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর

    Modi Mamata Meeting: মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রোটোকল সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বাংলায় এসে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Mamata Meeting)। শুক্রবার তিনি শহরেই থাকবেন। তাঁর সঙ্গে এদিন রাজভবনে সাক্ষাত করতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক ময়দানে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে থাকা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে মমতার সাক্ষাত নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    রাজভবনে মোদি-মমতার বৈঠকের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, মোদিজি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে একেবারে রেশন দুর্নীতি নিয়ে বলেছেন, ‘আমি একজনকেও ছাড়বো না। একজনের মধ্যে যারা যারা পড়ছেন, সবাই জানে।.. বলেছেন, আমি সব টাকা উদ্ধার করে দেব। আর টাকা উদ্ধার করলে, যাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হবে, তাঁদেরকে তো জেলে যেতেই হয়। চোর মমতা, তিনি রাজভবনে পা ধরতে যাচ্ছেন। কোনও লাভ হবে না। চোর মমতাকে বলবো, কোনও লাভ হবে না, এর নাম নরেন্দ্র মোদি। না খাব, না খেতে দেব (দুর্নীতি ইস্যুতে)।’

    মোদি-মমতা আলোচনা

    শুক্রবার আরামবাগে সভা করে বিকেলে কলকাতায় রাজভবনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর পরেই রাজভবনে মোদির সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। উল্লেখ্য, কোনও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী এলে মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে স্বাগত জানাতে যাওয়া কিংবা দেখা করা প্রোটোকলের মধ্যেই পড়ে। রাজনৈতিক সংঘাত থাকলেও এই সৌজন্য বজায় রাখেন সকলেই। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা জানান, এখনও ভোট ঘোষণা হয়নি। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি এলে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া। মমতা বলেন, ‘‘রাজভবনে এসেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। রাজ্যের কথাও বললাম। আর গল্প করলাম। রাজনীতির কথা কম, গল্পই বেশি হল।’’ 

    আরও পড়ুন: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    বকেয়া নিয়ে আলোচনা

    কেন্দ্রের কাছে ‘বকেয়া’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কোনও কথা হয়েছে কি না, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মমতা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, সে সব নিয়ে আমার যা বলার, বলে দিয়েছি।’’ এর পরেই মমতা বলেন, ‘‘আমাদের যা বলার, আমরা রাজনীতির মঞ্চে বলব। এটা আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ।’’ শুক্রবার রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গ ভবনে বিজেপির বিক্ষোভ, মমতার পদত্যাগ দাবি 

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গ ভবনে বিজেপির বিক্ষোভ, মমতার পদত্যাগ দাবি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বলছে সন্দেশখালি! জ্বলছে বাংলা! তার আঁচ গিয়ে পড়ল রাজধানী দিল্লিতে। শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গভবন অভিযান করল বিজেপি। বঙ্গভবনের সামনেই জমায়েত থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিল্লির ওই চত্বরে। 

    বঙ্গভবন অভিযান

    শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনা ও মহিলাদের উপরে অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে বিজেপি। দিল্লি বিজেপির তরফে বঙ্গভবন অভিযানের ঘোষণা করা হয়। চাণক্যপুরীর তিনমূর্তি ভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। যেহেতু দিল্লির এই অঞ্চলে একাধিক রাজ্য সরকারের ভবন, দূতাবাস ও প্রশাসনিক দফতর রয়েছে, তাই এটি হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয় না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। তবুও বিজেপি সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশি ব্যারিকেড টপকে এগোনোর চেষ্টা করে বিজেপির মিছিল। বাধা দেয় পুলিশ, শুরু হয় ধস্তাধস্তি। 

    পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    বাংলায় এসে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷ এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ একইভাবে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় দোষীকে আড়াল করা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। এদিন দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে বিজেপির প্রতিবাদের সময় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি কর্মীদের আটকাতে কয়েক ধাপে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। ব্যারিকেডের উপরে উঠে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। প্রথম ব্যারিকেড  টপকে দ্বিতীয় ব্যারিকেডও পার করার চেষ্টা করে তারা। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই চত্বরে।

    আরও পড়ুন: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • INS Jatayu: লক্ষদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে নজর রাখবে ‘জটায়ু’, চালু হচ্ছে দেশের নয়া নৌ-ঘাঁটি

    INS Jatayu: লক্ষদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে নজর রাখবে ‘জটায়ু’, চালু হচ্ছে দেশের নয়া নৌ-ঘাঁটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরে চিন ও মলদ্বীপ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের শক্তি আরও এক ধাপ বাড়াতে এবার নতুন নৌ-ঘাঁটি চালু করতে চলেছে ভারত। আগামী সপ্তাহে, এই নতুন ঘাঁটিকে ‘কমিশন’ বা অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। লক্ষদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে উঠে আসা নতুন এই নৌ-ঘাঁটির (নেভাল স্টেশন) নাম রাখা হয়েছে ‘আইএনএস জটায়ু’ (INS Jatayu)। 

    দেশের নতুন নৌ-ঘাঁটি ‘আইএনএস জটায়ু’

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী ৪ মার্চ নতুন নৌ-ঘাঁটিকে দেশের উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেদিনের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই অঞ্চলে মোতায়েন থাকবে নৌসেনার উভয় বিমানবাহী রণতরী— আইএনএস বিক্রান্ত ও আইএনএস বিক্রমাদিত্য। জানা গিয়েছে, ওইদিন একটি রণতরী থেকে উড়ে আরেকটি রণতরীতে অবতরণ করবে নৌসেনার প্রধান যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে। এছাড়া, দুই বিমানবাহী রণতরীর ‘ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ’-এর অঙ্গ হিসেবে ওই এলাকায় উপস্থিত থাকবে নৌসেনার আরও একাধিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন।

    নজরে চিন-মলদ্বীপ আঁতাঁত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে সীমিত সংখ্যক অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে চালু করা হবে ‘আইএনএস জটায়ু’ (INS Jatayu)। এর পর ধীরে ধীরে আড়েবহরে তা প্রসারিত করা হবে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের এই অঞ্চলে নিজেদের গতিবিধি বাড়িয়েছে চিন। সাম্প্রতিককালে তাকে সঙ্গে দিচ্ছে একদা ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত মলদ্বীপ। সেদেশের তখতে বর্তমানে রয়েছে চিন-ঘেঁষা প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি আসার পর থেকেই মলদ্বীপের আচরণ ও কর্মকাণ্ড ভারত-বিরোধী হয়ে উঠেছে। যা, ভালো চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ‘আইএনএস জটায়ু’

    এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, জলসীমার এই অঞ্চলে নিরন্তর নজরদারি চালানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগেই, মলদ্বীপে এসেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ফলে, সামগ্রিক দিক দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং সীমানাকে সুরক্ষিত রাখতে এই নৌ-ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ঘাঁটি (INS Jatayu) থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যাবতীয় বাণিজ্যিক ও সামরিক গতিবিধির ওপর নজর রাখা সহজ হবে। আর লক্ষদ্বীপের অবস্থান মলদ্বীপের ৫০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে হওয়ায় ওই রাষ্ট্রের গতিবিধির ওপরও নজর রাখবে ভারত। মন্ত্রক সূত্রে খবর, ঠিক যেমন বঙ্গোপসাগরে দিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নৌ-ঘাঁটি ‘আইএনএস বাজ’ থেকে ওই অঞ্চলের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা হয়, ঠিক সেভাবেই লক্ষদ্বীপের এই নয়া নৌ-ঘাঁটি থেকে দেশের পশ্চিম পাড়ে নজর রাখা হবে। 

    ‘এমএইচ-৩০ রোমিও’ মাল্টিরোল হেলিকপ্টার

    নয়া নৌ-ঘাঁটি (INS Jatayu) চালুর পাশাপাশি, একই দিনে ‘এমএইচ-৩০ রোমিও’ মাল্টিরোল হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভারতীয় নৌসেনায়। এই অনুষ্ঠানটি হবে কোচিতে। প্রথম পর্যায়ে চারটি চপার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই হেলিকপ্টারগুলিকে সরাসরি দুই সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তি মারফৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনেছে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাজ্যে এসে ৭২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: রাজ্যে এসে ৭২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যে এসে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই মঞ্চে ছিলেন।

    কোন কোন প্রকল্পের উদ্বোধন 

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এদিনের সরকারি কর্মসূচির তালিকায় ছিল সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস ভরার প্রকল্প (এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট), কলকাতা বন্দরের নতুন বেশ কয়েকটি প্রকল্প, কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের আধুনিকীকরণের প্রকল্প। এদিন রাজ্যের তিনটি রেল প্রকল্পেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করার পরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘বাংলায় রেলের উন্নয়ন এমন হওয়া দরকার, যেমনটা দেশের অন্য রাজ্যে হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিকশিত ভারত গড়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে গরিব, মহিলা এবং যুবদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকবে। দেশের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিকাশের জন্য সাত হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। এর ফলে রেল, পেট্রল এবং জলশক্তির উন্নতি হবে।’’

    বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হবে বাংলায়

    পশ্চিম মেদিনীপুরে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট চালু হলে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। হাওড়া, হুগলি, কামারহাটি, বরানগর প্রভৃতি এলাকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে কেন্দ্রের উদ্যোগে চালু হতে চলা প্রকল্পগুলিতে। এমনটাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের উন্নয়ন সম্পর্কে মোদি বলেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ অতীতের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। বাংলায় ১০০ স্টেশনকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।’’ পশ্চিমবঙ্গ পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে বলেও নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সহযোগিতায় বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্য পূর্ণ হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পিউটার অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর চিপ তৈরিতে এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এই সমস্ত দেশগুলির একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। তবে মোদি সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া (Make in India) কর্মসূচিতে এবার সফ্টওয়ারের পাশাপাশি হার্ডওয়ারেও দিশা দেখাবে ভারত। এবার দেশেই তৈরি হবে চিপ। গতকাল বৃহস্পতিবারই ৩টি সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্ল্যান্টের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মোদি সরকার।

    ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি চিপ ফ্যাবরিকেশন প্লান্ট

    জানা গিয়েছে, এই ৩টি প্ল্যান্ট “ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টরস অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া”-র অধীনে অনুমোদিত হয়েছে। তিনটি প্ল্যান্টের মধ্যে দু’টি হবে পশ্চিম ভারতের গুজরাটে এবং অপরটি উত্তর পূর্ব ভারতের ১টি অসমে। ৩টি চিপ প্ল্যান্টের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই চিপ প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান ১ লাখ মানুষের হবে বলেই জানা গিয়েছে (Make in India)। এনিয়ে ট্যুইট সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তিনি এটিকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতা বলে উল্লেখ করেছেন।

    গুজরাটে ২টি প্ল্যান্ট কোথায় কোথায় হবে?

    জানা গিয়েছে, টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং তাইওয়ানের পাওয়ার চিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ৯১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গুজরাটের ধলেরাতে (Make in India) একটি চিপ ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে। টাটা গ্রুপ ছাড়াও, সিজি পাওয়ার, জাপানের রেনেসাস ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন এবং থাইল্যান্ডের স্টার মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের যৌথ উদ্যোগে গুজরাটের সানন্দ অপর প্ল্যান্টটি তৈরি হবে। সানন্দের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টটি ৭,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    অসমের মরিগাঁওয়ে হবে প্ল্যান্ট

    এছাড়াও টাটা গ্রুপের অধীনে থাকা টাটা সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট প্রাইভেট লিমিটেড অসমের (Make in India) মরিগাঁওয়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। এটির প্রতিদিন ৪.৮ কোটি চিপ উৎপাদন করবে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম বাণিজ্যিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবরিকেশন প্ল্যান্টটি টাটা এবং পাওয়ারচিপ-তাইওয়ানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হবে। যার কারখানা হবে গুজরাটের ধলেরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার দেশে তিনটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে তাদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের সঙ্গে সহযোগিতায় গুজরাটে একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। যেটি হবে ধলেরায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার সর্বকালের সেরা ৮.৪ শতাংশ,  উচ্ছ্বসিত পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার সর্বকালের সেরা ৮.৪ শতাংশ, উচ্ছ্বসিত পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। আর্থিক বৃদ্ধির হারে ক্রমশ উন্নতি করছে ভারত। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (এনএসও) তরফে বৃহস্পতিবার যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই এক্স হ্যান্ডেলে উচ্ছ্বসিত পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পোস্টের মধ্য দিয়েই জিডিপির শ্রীবৃদ্ধির জন্য দেশবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার দেখে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাজ মাধ্যমে তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘‘২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধি আদপে ভারতের অর্থনীতির শক্তি ও ক্ষমতারই প্রতিফলন। আরও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য আমাদের সর্বক্ষণের চেষ্টা চলছে। আমাদের চেষ্টা চলছে বিকশিত ভারতের হাত ধরে ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে আরও উন্নত জীবন উপহার দেওযার। সেই লক্ষ্যে আমরা আরও দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতির চেষ্টা করব।’’ কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ভারত শীঘ্রই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। ২০২৭ সালের মধ্যে দেশকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করার লক্ষ্যমাত্রাও নিয়ে ফেলেছে ভারত সরকার। দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার তারই প্রমাণ বলে মনে করছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    ভারতীয় অর্থনীতির বিজয়রথ অব্যাহত

    অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অনিশ্চিত হয়ে পড়া বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত যে ব্যতিক্রমী, দু’বছর আগেই সে কথা জানিয়েছিল, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ, ব্লুমবার্গ ইকনমিক্স-সহ বিভিন্ন আর্থিক ও পরামর্শদাতা সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছুঁতে পারবে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের মে মাসে প্রকাশিত সরকারি রিপোর্ট জানায়, জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ। এ বার তা আরও বাড়তে চলেছে। ভরতীয় অর্থনীতির বিজয়রথ যে শীঘ্রই নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে চলেছে সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আর্থিক উপদেষ্টা মরগান স্ট্যানলির একটি রিপোর্টও। মরগান স্ট্যানলি তাদের ‘দ্য ইন্ডিয়া অপর্চুনিটি’ রিপোর্টে বলেছে, ২০২২ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ২৪০০ ডলার। যা আগামী ১০ বছরে ৩৬০০ ডলারে পরিণত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    Lok Sabha Election 2024: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে, শুক্রবারভোর ৩টে পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বৈঠকে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং। বাংলায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বৈঠকে বসলেও এখানে বাংলার জন্য কোনও প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি বলেই খবর। প্রাথমিকভাবে ২০টি রাজ্যের প্রার্থীতালিকা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক সেরেছেন বলে খবর। মিলেছে তাঁর সবুজ সংকেতও। ফলে পদ্ম শিবিরের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

    বৈঠকে পর্যালোচনা

    প্রাথমিক ভাবে এদিন গোটা কুড়ি রাজ্যের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় সবুজ সঙ্কেত দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। সূত্রের মতে, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশো আসনে প্রার্থী ঘোষণার কাজ সেরে ফেলতে চান বিজেপি নেতৃত্ব। রাত ১১টা নাগাদ বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, এদিন যে আসনগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বারাণসী। যেখান থেকে লড়বেন নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া অমিত শাহ (গান্ধীনগর), রাজনাথ সিং (লখনউ)-দের মতো হেভিওয়েটদের আসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডি’র উপরে চাপ তৈরি করবে বিজেপি। এছাড়া, প্রার্থী ঘোষণা হলে প্রচারের ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে থাকবেন গেরুয়া প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় দেড়শোর মতো আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি।

    বৈঠকে কারা কারা

    বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত-সহ আরও অনেকে। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে এনডিএ শরিকদের ৬টি আসন ছাড়তে চলেছে বিজেপি। ২টি আসন বরাদ্দ করা হবে রাষ্ট্রীয় লোকদল বা আরএলডি-কে। মির্জাপুর এবং রবার্টসগঞ্জ আসনদুটি ছাড়া হবে আপনা দল (এস)-কে। আর ঘোসি এবং সন্ত কবির নগর আসনদুটি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে যথাক্রমে সুভাষা এবং নিষাদ পার্টি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Koustav Bagchi Joins BJP: বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ, জানালেন কেন ছাড়লেন কংগ্রেস? 

    Koustav Bagchi Joins BJP: বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ, জানালেন কেন ছাড়লেন কংগ্রেস? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী (Koustav Bagchi)। বৃহস্পতিবার বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে পদ্মপতাকা হাতে নেন তিনি। একদিন আগেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন কৌস্তভ। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে হাতে তুলে নিলেন পদ্ম-পতাকা। 

    কেন বিজেপিতে

    বিজেপিতে যোগ দিয়েই কৌস্তভ বাগচী বলেন, “মানুষের চাহিদা পূরণ না করলে তো রাজনীতি করার কোনও অর্থ নেই। যেখানে প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্ব নেই। সেখানে সে দলের সঙ্গে থাকার কোনও অর্থ নেই। সন্দেশখালি নিয়ে কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব চুপ। আমার মনে হচ্ছে দিনের পর দিন কংগ্রেস যেভাবে তৃণমূল নিয়ে নরম মনোভাব দেখাচ্ছে, সেখানে আত্ম মর্যাদা নিয়ে সেই দলে থাকা যায় না।” কৌস্তভের বক্তব্য, “সন্দেশখালিকাণ্ডে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অথচ কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দলের মধ্যেও এ নিয়ে অসন্তোষের জায়গা আছে। কেউ বলছে কেউ বলছে না। আমার মনে হয় এখানে থাকাটা নিজের আত্মমর্যাদার সঙ্গে সমঝোতা করা। এই তৃণমূলের প্রতি নরম অবস্থান নিয়ে রাজ্যে তৃণমূলকে উৎখাত করা যাবে না।” সেই লড়াই লড়তেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন বলে জানান।

    কংগ্রেস ছাড়লেন কেন

    কৌস্তভ বলেন, “কংগ্রেস কেউই ছাড়ে না, ছাড়তে বাধ্য করা হয়। কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে রাজ্য তৃণমূলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও গুরুত্ব নেই। কংগ্রেস তার রাজনৈতিক সত্তা হারিয়েছে। সেই কারণেই পদত্যাগ বলে দাবি করেছেন কৌস্তভ। অনেক দিন ধরেই দলে কিছু জিনিস ঠিক চলছিল না। বার বার সেগুলি তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু দল যে কোনও পরামর্শ চায় না, তা স্পষ্ট হয়ে যায়।” কৌস্তভের প্রশংসা করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “গত দু’আড়াই বছরে জ্বলন্ত ইস্যুগুলির ক্ষেত্রে, দলের বাইরে গিয়ে, বাংলার মানুষের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। সশরীরে বিভিন্ন এলাকাতেও গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে, অনেক আইনি লড়াইও করতে হয় তাঁকে। মোদিজি-কে ৪০০-র বেশি আসন দিয়ে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করব আমরা। গৃহমন্ত্রী যে ৩৫ আসনের লক্ষ্য দিয়েছেন বাংলা থেকে, বাংলার একটা বড় অবদান থাকবে। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে, দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে কাজ করব আমরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Avtar Saini: মহারাষ্ট্রে পথ দুর্ঘটনায় নিহত অবতার সাইনি, তিনি কে ছিলেন জানেন?

    Avtar Saini: মহারাষ্ট্রে পথ দুর্ঘটনায় নিহত অবতার সাইনি, তিনি কে ছিলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের নভি মুম্বইয়ে ক্যাবের ধাক্কায় নিহত অবতার সাইনি (Avtar Saini)। মুম্বই শহরতলির চেম্বুরের বাসিন্দা অবতার সাইনি ইন্টেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন অবতার। সেই সময় একটি দ্রুত গতিতে আসা ট্যাক্সির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন ইন্টেল ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রধান অবতার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তাঁর ছেলে এবং মেয়েকে এই মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যে ভারতে আসছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কে ছিলেন অবতার সাইনি?

    ইন্টেল সংস্থার পেন্টিয়াম ৩৮৬ এবং ৪৮৬ মাইক্রোপ্রসেসরের ওপর কাজ করেছেন অবতার। পাশাপাশি, প্রসেসরের ডিজাইনেও নেতৃত্ব দেন অবতার সাইনি (Avtar Saini)। ৬৮ বছর বয়সী এই প্রবাসী ভারতীয় একজন উৎসাহী সাইকেল আরোহী ছিলেন তিনি। কয়েক বছর আগে অসুস্থতার কারণে তাঁর স্ত্রীবিয়োগ ঘটেছিল এবং তারপর থেকে মুম্বইতে এসে চেম্বুরে একাই থাকতেন। তিনি একটি সাইক্লিং গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি ট্রেকিং বা সাইকেল চালানোর সময় সর্বদা নিরাপত্তা এবং সাবধানতা অবলম্বন করতেন। তিনি ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে ইন্টেল ছেড়ে দেন। তার পর মন্টালভো সিস্টেমের মতো বেশ কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তির কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছিলেন। যেখানে তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ভারতে ওই সংস্থার শীর্ষতম কর্তা ছিলেন।

    আটক চালক

    অবতার সাইনি (Avtar Saini) মৃত্যু প্রসঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ওই ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে মুম্বই পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে ২৭৯, ৩৩৭ এবং ৩০৪ নম্বর ধারা। একই ভাবে মোটরযান আইনে চালককে গ্রেফতার করে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Reliance-Disney: রিলায়েন্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ডিজনি, যৌথভাবে ৭০,৪৭২ কোটির বিনোদন ব্যবসা

    Reliance-Disney: রিলায়েন্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ডিজনি, যৌথভাবে ৭০,৪৭২ কোটির বিনোদন ব্যবসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিলায়েন্সের সঙ্গে এবার গাঁটছড়া বাঁধছে ডিজনি (Reliance-Disney)। ৭০,৪৭২ কোটি টাকার বিনোদন ব্যবসা এবার এক সঙ্গে হবে। মুকেশ আম্বানির অংশই এই যৌথ ব্যবসায়ী সংস্থার মধ্যে বেশি পরিমাণে থাকবে। তাঁদের শেয়ার ৬৩ শতাংশ। একই ভাবে ডিজনির ভাগ থাকবে ৩৭ শতাংশ। এই প্রসঙ্গে মুকেশ আম্বানি বলেন, “দেশের বিনোদন জগতের জন্য এই চুক্তি ইতিহাস তৈরি করবে। ডিজনিকে রিলায়েন্স সব সময় সম্মান দিয়েছে এবং আশা করি আগামী দিনে আমরা সঙ্গে আরও কাজ করতে পারব।”

    ওটিটি প্লাটফর্ম আরও বেশি শক্তপোক্ত (Reliance-Disney)

    এবার দেশের ওটিটি প্লাটফর্ম আরও বেশি শক্তপোক্ত হল। ভারতে (Reliance-Disney) ব্যবসা করতে গেলে এবার থেকে আর ডিজনিকে কাঠখড় পোড়াতে হবে না। বিনোদনের ব্যবসায় বিগত কয়েক বছরে খুব একটা লাভ করতে পারেনি ডিজনি। সরাসরি ক্রিকেট সম্প্রচার দেখানোর স্বত্ব কেনার ক্ষেত্রেও ডিজনিকে বেগ পেতে হয়েছিল। বিশেষ করে ওটিটির ব্যবসায় মার খাচ্ছিল ডিজনি। তবে ওয়াকিবহল মহল মনে করছেন, এশিয়ার মধ্যে সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় ডিজনির পক্ষে অনেকটাই ভালো কাজ হয়েছে। তাঁদের শেয়ার কম হলেও ব্যবসায় ব্যাপক লাভ হবে।

    শীর্ষে থাকবেন মুকেশের স্ত্রী নীতা আম্বানি

    এই গাঁটছড়া বাঁধার কথা ডিজনি (Reliance-Disney) এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ দুই সংস্থার পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে। দুই সংস্থা যৌথভাবে নতুন যে সংস্থা তৈরি করবে তার মাথায় থাকবেন মুকেশের স্ত্রী নীতা আম্বানি। এই গাঁটছড়ার মোট আর্থিক ব্যবসা প্রায় ৭০ হাজার ৪৭২ কোটি টাকার। মুকেশ আম্বানির সংস্থা এখন ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করবে। তবে ডিজনি কত টাকা খরচ কড়া হবে সেই কথা এখনও  প্রকাশ করেনি তারা। তবে দুই কোম্পানির এক সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ফলে ১২০টি টিভি চ্যানেল এবং দুটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এক সঙ্গে কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। এই ব্যবসায়িক চুক্তির কথা ঘোষণা করে একসঙ্গে বিবৃতি দেয় ডিজনি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। উভয় পক্ষের তরফ থেকে বলা হয়, ‘‘ভারতে বিনোদন ও খেলার সবচেয়ে বড় ওটিটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠবে এই সংস্থা।’’ 

            

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share