Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Uniform Civil Code: মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ইউসিসি-র দিকে এগোচ্ছে অসম?

    Uniform Civil Code: মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ইউসিসি-র দিকে এগোচ্ছে অসম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্সের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৩৫ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি শাসিত অসম। মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যে নাবালিকা বিয়ের প্রথা রয়েছে, তা বন্ধেই এই আইন আনছে সরকার। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত (Uniform Civil Code) করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, “২৩.০২.২৩ তারিখে অমমের মন্ত্রিসভা একটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তটি হল বহু পুরানো অসম মুসলিম ম্যারেজস অ্যান্ড ডিভোর্সেস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট বাতিল করা।” তিনি জানান, আইনটি চালু হলে মেয়েদের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের বয়স ২১ না হলে বিয়ে করা যাবে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই আইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অসম সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালুর দিকে একধাপ এগোল।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আমরা অপেক্ষা করছি উত্তরাখণ্ড বিলের দিকে। কয়েকটি অতিরিক্ত ধারা যোগ করে অসম এটি অনুসরণ করবে।” তিনি বলেন, “আমরা উত্তরাখণ্ডের বিলটি খুঁটিয়ে দেখব। জনগণের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলব। কথা বলব বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও। তার পরেই বিলটিকে নিজেদের মতো করে ফ্রেম করব।”

    অসমের মন্ত্রী জয়ন্ত মল্লবরুয়া বলেন, “দ্য অসম মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৩৫ এর অধীনে ৯৪ জন মুসলিম রেজিস্ট্রার এখনও বিয়ে দিচ্ছেন। আজই তাঁদের বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় আইনটির মৃত্যু হয়েছে। এই আইনে আর কোনও মুসলমানের বিয়ে কিংবা ডিভোর্স নথিভুক্ত হবে না। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টি স্থির করা হবে।” যে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারদের বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে এককালীন দু’লাখ করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    আরও পড়ুুন: জায়গা হয়নি নিরাপত্তা পরিষদে, অনুদানে রাশ টানল ভারত

    ‘এক দেশ, এক আইনে’র ধুয়ো তুলেছিল বিজেপি। সেই মতো তারা দেশজুড়ে লাগু করতে চায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কেন্দ্র এ ব্যাপারে এখনও সেভাবে উদ্যোগী না হলেও, বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই এই আইন লাগু করতে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, অসমেও এই আইন চালু হতে খুব বেশি দিন বাকি নেই। যার প্রথম ধাপটি হল, অসম মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্সের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৩৫ বাতিল করার সিদ্ধান্ত (Uniform Civil Code)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Baal Aadhaar: শিশুর জন্যও আধার পরিচিতি! জানুন কীভাবে তৈরি করবেন ‘বাল আধার’?

    Baal Aadhaar: শিশুর জন্যও আধার পরিচিতি! জানুন কীভাবে তৈরি করবেন ‘বাল আধার’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নাগরিকদের পরিচয়পত্র এখন আধার কার্ড (Baal Aadhaar), কারণ আধার কার্ডে নাগরিকের পুরো নাম, স্থায়ী ঠিকানা, জন্মতারিখ সহ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকে। তবে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই নয়, শিশুদেরও আধার কার্ড হয়। এটি বাল আধার নামে পরিচিত। ভারতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য এই আধার কার্ড তৈরি করা হয়।

    বাল আধার কার্ড কী

    আধারের নিয়ামক সংস্থা ইউআইডিএআই (UIDAI)-র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাল আধার (Baal Aadhaar) হল শিশুদের আধার কার্ড। নীল রঙের এই নথি শিশুদের পরিচয়পত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পাঁচ বছর অবধি এই নথি আধার কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পরে সন্তানের পাঁচ বছর হলে, বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করা হয়। আধার আইন ২০১৬-র ৩(১) ধারা অনুযায়ী, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আধার নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। শিশুরাও এর ব্য়তিক্রম নয়। যেহেতু পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করা সম্ভব নয়, তাই বাল আধার তৈরি করা হয়। 

    কীভাবে করবেন বাল আধার

    সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আধার কেন্দ্রে যেতে হবে। সঙ্গে নিতে হবে আধার কার্ড, ঠিকানার প্রমাণ এবং সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি। এরপর আধার (Baal Aadhaar) কেন্দ্র থেকে একটি ফর্ম দেবে, সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। অভিভাবকের আধার নম্বরের বিশদ বিবরণ দিতে হবে, কারণ আধার নম্বরটি সন্তানের ইউআইডি-এর সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে। এরপর অভিভাবকের ফোন নম্বর দিতে হবে যার আওতায় সন্তানের নীল আধার কার্ড জারি করা হবে। আগেই বলা হয়েছে, এই আধারে কোনও বায়োমেট্রিকের প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র আধার কেন্দ্রের আধিকারিকরা একটি ছবি তুলবেন। এরপর ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের পর অভিভাবকের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ আসবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নীল আধার কার্ড জারি করা হবে। বিশেষ বিষয় হল, এর জন্য কোনও চার্জ নেওয়া হবে না।

    আরও পড়ুন: গর্ভদান আইনে পরিবর্তন আনল কেন্দ্র, কী বলা হয়েছে নতুন নিয়মে?

    বাড়িতে বসে বাল আধার

    প্রথমেই ইউআইডিএআই-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://uidai.gov.in/ -এ ক্লিক করতে হবে। এরপর মাই আধার (Baal Aadhaar) সেকশনে যান। সেখানে বুক অ্যান অ্যাপয়নমেন্ট সেকশনে ক্লিক করুন। এবার চাইল্ড আধার অপশনে ক্লিক করুন। নিউ আধার অপশনে ক্লিক করে নিজের মোবাইল নম্বর ও ক্যাপচা বসান। ‘রিলেশনশিপ উইথ হেড অব ফ্যামিলি’ অপশনে গিয়ে চাইল্ড (০-৫ বছর) -এটি সিলেক্ট করুন। এবার শিশুর নাম, জন্মতারিখ ও ঠিকানা আপলোড করুন। শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট ও নিজের আধার কার্ড আপলোড করুন। এবার অ্যাপয়ন্টমেন্ট বুক করুন। এরপরে নির্দিষ্ট তারিখে অভিভাবককে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আধার কেন্দ্রে যেতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অধরা, রাষ্ট্রসংঘকে দেওয়া অনুদান অর্ধেক করল ভারত

    India: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অধরা, রাষ্ট্রসংঘকে দেওয়া অনুদান অর্ধেক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘকে পাঠানো অনুদান কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত (India)। কেবল রাষ্ট্রসংঘ নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায়ও অনুদান কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। ন্যাশনাল সিকিউরিটি এস্টাবলিশমেন্টের এক প্রবীণ সদস্য একথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, রাষ্ট্রসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন থেকেও নিজেদের সরিয়ে রাখা উচিত ভারতের।

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দরবার করে আসছে নয়াদিল্লি। গ্লোবাল স্যাস জায়ান্ট জোহো কো-অপারেশনের এক্সিকিউটিভ অফিসার শ্রীধর ভেম্বু ট্যুইট-বার্তায় বলেন, “রাষ্ট্রসংঘে ফান্ডিং কমাতে পদক্ষেপ করছে ভারত। শান্তি রক্ষা মিশন অংশগ্রহণ করা থেকেও সরে যাওয়া উচিত ভারতের।” তিনি জানান, ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা অর্থ এবং সময় নষ্ট করতে চায় না। কারণ বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রসংঘ ভারতকে (India) স্থায়ী সদস্য পদ দেয়নি।

    ভারতের প্রধান অন্তরায় চিন

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। এগুলি হল— আমেরিকা, চিন, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স। এই পাঁচ দেশের হাতেই রয়েছে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা। অস্থায়ী সদস্য দেশ ১০টি। প্রতিটি দেশ নির্বাচিত হয় দু’বছরের জন্য। ভারতকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করতে আগ্রহী চিন বাদে বাকি চারটি দেশই। এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও বেশ ভালো। তবে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে ভারতের প্রধান অন্তরায় চিন। প্রতিবারই ভেটো প্রয়োগ করায় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারছে না নয়াদিল্লি।

    ৫৪ শতাংশ হ্রাস রাষ্ট্রসংঘের অনুদানে

    চলতি মাসের ১ ফেব্রুয়ারি ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করে ভারত। সেখানে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের জন্য অনুদান। গত বারেরতুলনায় এবার তা কমানো হয়েছে ৩৫.১৬ শতাংশ (India)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে দেওয়া ভারতের মোট অনুদান ছিল ৮৬৬.৭০ কোটি টাকা। অর্তর্বর্তীকালীন বাজেটে সেই টাকা কমে করা হয়েছে ৫৫৮.১২ কোটি টাকা। সবচেয়ে বড় কোপ পড়েছে রাষ্ট্রসংঘকে দেওয়া অনুদানে। একেবারে, ৫৪ শতাংশের বেশি কমানো হয়েছে পরিমাণ। গত বার যেখান দেওয়া হয়েছিল ৩৮২.৫ কোটি টাকা, এবার সেখানে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭৫ কোটি।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Surrogacy Rules: গর্ভদান আইনে পরিবর্তন আনল কেন্দ্র, কী বলা হয়েছে নতুন নিয়মে?

    Surrogacy Rules: গর্ভদান আইনে পরিবর্তন আনল কেন্দ্র, কী বলা হয়েছে নতুন নিয়মে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারোগেসি বা গর্ভদান আইনে (Surrogacy Rules) পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন আইনে বলা হয়েছে যে, বিবাহিত দম্পতির যদি শারীরিক সমস্যা থাকে, স্ত্রী বা স্বামীর কোনও একজনের জননকোষ ব্যবহার করেই গর্ভদাত্রী মায়ের সাহায্যে সন্তানের জন্ম দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে সংশোধিত ‘গর্ভদান আইন, ২০২২’ অনুযায়ী জেলা মেডিক্যাল বোর্ডের সংশাপত্র লাগবে, যাতে উল্লেখ থাকবে, স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কোনও একজনের শারীরিক সমস্যা রয়েছে এবং জননকোষ দাতার প্রয়োজন রয়েছে।

    কী বলা হয়েছে নতুন আইনে

    পুরনো গর্ভদান আইনে (Surrogacy Rules) দম্পতির দু’জনেরই জননকোষ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক ছিল। নির্দিষ্ট করে এই বিষয়টি বদল করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রক। নয়া নিয়মে স্ত্রী বা স্বামীর কোনও একজনের জননকোষ ব্যবহার করেই গর্ভদাত্রী মায়ের সাহায্যে সন্তানের জন্ম দেওয়া যাবে। তবে দু’জনেরই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে চলবে না। সিঙ্গল মাদার বা একা-মহিলারা (বিধবা বা বিবাহবিচ্ছিন্না) নিজেদের ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু-দাতার সাহায্যে গর্ভদান প্রক্রিয়ায় সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও মহিলাকে নিজের ডিম্বাণু ব্যবহার করতে হবে। ডিম্বাণু-দাতার সাহায্য নেওয়া যাবে না।

    কেন নয়া নিয়ম

    সুপ্রিম কোর্ট সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের থেকে জননকোষ দান নিয়ে আবেদন পায়। তাঁরা জানান, কোনও বিরল যৌন-সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা। সেই কারণেই তারা গর্ভধারণ করতে পারছেন না। কিন্তু ডিম্বাণু-দানে অনুমতি না থাকায় গর্ভদান প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়েও মা হতে পারছেন না তাঁরা। এর পরেই আইন সংশোধনের কথা ভাবা শুরু হয়।

    আরও পড়ুুন: নেপালে ফের জোরালো হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দাবিসনদ পেশ জনতার

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট পুরনো আইনটির (Surrogacy Rules) যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শীর্ষ আদালত জানায়, ‘‘গর্ভদানের যে আসল লক্ষ্য, তা এই আইনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।’’ গর্ভদান আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন ১৪টিরও বেশি দম্পতিকে ডিম্বাণু-দাতার সাহায্য নেওয়ায় অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বছর জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন করে, এত মহিলা ক্ষোভ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন, কেন সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে না? তারপরই কেন্দ্র সারোগেসি আইন নিয়ে নয়া নিয়ম আনার কথা ভাবে। আনা হয় নয়া নিয়ম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bird Flu: বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি, অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু ১০ হাজার মুরগির

    Bird Flu: বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি, অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু ১০ হাজার মুরগির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্তের হাওয়ায় বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি! ইতিমধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে বার্ড ফ্লু (Bird Flu)। তার জেরে উদ্বেগে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে, নেল্লোর-সহ অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এইচ৫এনওয়ান ভাইরাস। ঘটনায় মুরগি পালনে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ওই রাজ্যের পশুপালন দফতর।

    ১০ হাজার মুরগির মৃত্যু

    জানা গিয়েছে, নেল্লোর জেলার পুধালাকুরু, কোভুরু ও মাইদাপুরম এলাকায় গত তিন মাসে বার্ড ফ্লুয়ে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ হাজার মুরগির। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওই দুই গ্রামের বাইরেরও ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা। জনবসতির ১ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আগামী তিন মাস মুরগির মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে পুলিশ-প্রশাসন। নেল্লোরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। আশপাশের জেলাগুলিতেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। যেহেতু পোল্ট্রিগুলিতেই বেড়েছে সংক্রমণ, তাই আগামী ১৫ দিন পোল্ট্রিগুলি থেকে অন্য কোথাও মুরগি পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ড্রপলেট থেকে রোগ ছড়ায় 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য ফ্লুয়ের (Bird Flu) মতো বার্ড ফ্লুও ছড়ায় নাক-মুখ থেকে নিঃসৃত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জলকণা বা ড্রপলেট থেকে। এই ড্রপলেট অন্য পাখির শ্বাসনালীতে ঢুকে গেলে ওই পাখিটিও সংক্রমিত হতে পারে ফ্লুয়ে। জানা গিয়েছে, যাঁরা মূলত পোল্ট্রির কাজেই যুক্ত, তাঁরাই সাধারণত সংক্রমিত হন। বসন্তের বাংলায় এইচ৫এনওয়ান ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদি মুরগি থেকে মানুষে সংক্রমণ ছড়ায় এবং সংক্রমিত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই এ রাজ্যে আসেন, সে ক্ষেত্রে ছড়াতে পারে সংক্রমণ।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘জাতপাতের নামে দেশকে বিভাজিত করছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা’’, তীব্র আক্রমণ মোদির

    জানা গিয়েছে, মূলত পোল্ট্রি ফার্মের মাধ্যমেই বেশি ছড়ায় বার্ড ফ্লু। তবে হাঁস-মুরগি খেলে যে এই বার্ড ফ্লু হবে, এমন কোনও কথা নেই। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ডিম আসে এ রাজ্যে। সেই ডিম খেলেও বার্ড ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ যে তাপমাত্রায় মাংস কিংবা ডিম রান্না করা হয়, তাতে ফ্লুয়ের ভাইরাস মারা যায়। একই কথা প্রযোজ্য ওমলেটের ক্ষেত্রেও (Bird Flu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi In Varanasi: ‘‘জাতপাতের নামে দেশকে বিভাজিত করছেন ইন্ডি জোটের নেতারা’’, তীব্র আক্রমণ মোদির

    Modi In Varanasi: ‘‘জাতপাতের নামে দেশকে বিভাজিত করছেন ইন্ডি জোটের নেতারা’’, তীব্র আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বারাণসীতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Varanasi)। সন্ত রবিদাসের ৬৪৭তম জন্মজয়ন্তীতে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই মঞ্চ থেকে এদিন তিনি একহাত নেন ইন্ডি জোটের নেতাদেরও। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে জাতপাতের নামে দেশকে বিভাজিত করছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারপরেই সন্ত রবিদাসের মন্দিরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

    উন্নয়নের উৎসব চলছে কাশীতে

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (Modi In Varanasi) এদিন বলেন যে উন্নয়নের উৎসব শুরু হয়েছে কাশিতে। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এমন একটি সময়ের মধ্যে আমরা যাচ্ছি, যখন সারা দেশ গর্বিত।’’ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখার আগে হর হর মহাদেব ধ্বনি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এবং তিনি বলেন, ‘‘মহাদেবের আশীর্বাদ যে ভূমিতে রয়েছে তা সমৃদ্ধ। বিগত ১০ বছর ধরে কাশিতে উন্নয়নের ঢোল বাজছে। আজ আবারও কাশির একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে।’’

    ভারতের চিরন্তন চেতনা হল কাশী

    কাশীকে এদিন সর্ববিদ্যার রাজধানী বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি বলেন ‘‘গত ১০ বছরে কাশি অনেক বদলে গিয়েছে কাশী। উন্নয়নের গঙ্গা কাশীকে আশীর্বাদ করেছে। প্রধানমন্ত্রী (Modi In Varanasi) এদিন আরও বলেন যে কাশী শুধুমাত্র আমাদের একটি ধর্মীয় বিশ্বাসের কেন্দ্র নয় এটি ভারতের চিরন্তন চেতনা। একটা সময় ছিল যখন ভারতের সমৃদ্ধির গল্প সর্বত্র বলা হত। এর কারণ শুধু অর্থনৈতিক শক্তি নয়, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সমৃদ্ধিও ছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Chandrachud: “ভোরে উঠে যোগা করি, ভেগান খাই”, সুস্থ থাকার ঝাঁপি খুললেন চন্দ্রচূড়

    Justice Chandrachud: “ভোরে উঠে যোগা করি, ভেগান খাই”, সুস্থ থাকার ঝাঁপি খুললেন চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে যোগা করেন তিনি। তাতে ভালোও আছেন। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির কোনও কর্মী কিংবা সমর্থক নন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুগামীও নন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Justice Chandrachud)। বৃহস্পতিবার আয়ুশ হলিস্টিক ওয়েলনেস সেন্টারের উদ্বোধন করেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। এই অনুষ্ঠানেই তিনি তুলে ধরেন নিজের দিনলিপি।

    ‘যোগা প্র্যাকটিশ করি’

    চন্দ্রচূড় বলেন, “আমি যোগা প্র্যাকটিশ করি। এজন্য ভোর সাড়ে তিনটেয় ঘুম থেকে উঠি। গত পাঁচ মাস ধরে আমি ভেগান ডায়েট (দুধ জাতীয় দ্রব্য বাদে নিরামিষ খাবার) মেনে চলছি। আমি সম্পূর্ণভাবে একটি নিরামিষ ডায়েট অনুসরণ করেছি ও আমি এটি চালিয়ে যাব। আমি জীবনের সামগ্রিক জীবনশৈলীর দিকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করছি, যেটা আপনি যা খান, তা থেকে শুরু হয়।”

    ‘অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নিইনি’

    কোভিড-পর্বে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি (Justice Chandrachud)। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। দিয়েছিলেন আশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমার মনে হয় আপনি কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন এবং আমি আশা করি সব কিছু ঠিক আছে। আমি বুঝতে পারছি যে আপনি ভালো নেই। তবে আমরা সব কিছু করব। একজন বৈদ্য রয়েছেন, যিনি আয়ুশের সেক্রেটারিও। আমি তাঁর সঙ্গে একটি ফোনের ব্যবস্থা করব, যিনি আপনাকে ওষুধ ও সমস্ত কিছু পাঠাবেন।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমি তিনবার করোনা সংক্রমিত হয়েছিলাম। একবারও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নিইনি।”

    আরও পড়ুুন: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ হাইকোর্টের

    সুস্থ থাকতে যোগাভ্যাস যে জরুরি, তাও জানান শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, কেবল বিচারক ও তাঁদের পরিবার নয়, আদালতের সব কর্মীরও এমন জীবনশৈলী মেনে চলা উচিত। তাঁদের মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে পারি গোটা দেশে।” চন্দ্রচূড় বলেন, “এক বছর আগে আমি পঞ্চক্রম অনুশীলন করতে শুরু করি। আবারও শুরু করেছি। সুপ্রিম কোর্টে আমাদের সদস্য রয়েছেন দু হাজারেরও বেশি। আমাদের সহকর্মী এবং ৩৪ জন বিচারপতিও রয়েছে। নিত্যদিন আমাদের প্রচুর স্ট্রেসের মধ্যে কাজ করতে হয়। এই স্ট্রেস দূর করতেই নিয়মিত যোগা অভ্যাস করা জরুরি বলেও জানান দেশের প্রধান বিচারপতি (Justice Chandrachud)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Global Brokerage Firm: তিন বছরেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় তিনে আসবে ভারত, বলছে সমীক্ষা

    Global Brokerage Firm: তিন বছরেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় তিনে আসবে ভারত, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কথাটা নানা সময় বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Global Brokerage Firm), বিভিন্ন সমীক্ষায়ও উঠে এসেছে যে তথ্য, সেটাই ফের প্রকাশ্যে এল আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার সৌজন্যে। গ্লোবাল ব্রোকারেজ ফার্ম জেফেরিজ (Global Brokerage Firm) জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশের তালিকার তিন নম্বরে ঠাঁই করে নেবে ভারত।

    ১০ নম্বরে ছিল ভারত

    এই তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে আমেরিকা। তার ঠিক পরেই রয়েছে চিন। বিশ্ব বাজারে অর্থনীতির টালমাটাল দশা চললেও, মোদি জমানায় পোক্ত হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির ভিত। ২০১৪ সালে যখন কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার, তখন বিশ্ব অর্থনীতির তালিকার ১০ নম্বরে ছিল ভারত। মোদির দুই মেয়াদের জমানায় ভারতের জায়গা হয়েছে পাঁচে (Global Brokerage Firm)। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে ছ নন্বরে নামিয়ে ভারত জায়গা করে নেয় পাঁচে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদির আমলে জিডিপি বেড়েছে। তার জেরেই চাঙা হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। ওই ব্রোকারেজ ফার্মের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, জিডিপি বেড়েছে সাত শতাংশ। বর্তমানে তা পৌঁছে গিয়েছে ৩.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

    কী বলছে জেফেরিজ?

    জেফেরিজ নামের ওই ব্রোকারেজ ফার্মের অনুমান, আগামী চার বছরের মধ্যেই ভারতের জিডিপি বেড়ে হবে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আর তা হলে জাপান এবং জার্মানিকে ছিটকে দিয়ে তিন নম্বর জায়গাটি দখল করবে ভারত। জানা গিয়েছে, জাপানে বর্তমানে চলছে মন্দা। আবার জার্মানির অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে স্লো-ডাউন। যদিও ভারতের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে শক্ত ভিতের ওপর। প্রত্যাশিতভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ভারতের জায়গা হবে ওপরের দিকে। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, ভারতের এই জিডিপি বৃদ্ধির কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শ্রমিকের জোগান, তেমনি রয়েছে স্থায়ী সরকার ও সুশাসন। জেফেরিজের দাবি, তাই ভারতের দিকেই আকৃষ্ট হচ্ছেন বিশ্বের লগ্নিকারীরা। এভাবে চলতে থাকলে ভারতের জিডিপির লেখচিত্র যে ঊর্ধ্বগামী হবে, তা বলাই বাহুল্য (Global Brokerage Firm)।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: আবগারি মামলায় ফের কেজরিওয়ালকে তলব ইডির, এই নিয়ে সাতবার

    Arvind Kejriwal: আবগারি মামলায় ফের কেজরিওয়ালকে তলব ইডির, এই নিয়ে সাতবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফের তলব করল ইডি।  এ নিয়ে সপ্তমবার সমন জারি করা হল। আগে প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন আপ প্রধান। এবার আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দেওয়ার জন্য দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠতম সমন পাঠিয়ে গত ১৯ তারিখ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু আগের পাঁচবারের মতো সেবারও কেজরিওয়াল তলবে সাড়া দেননি। 

    আপ-এর বক্তব্য

    আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে তিনি যাতে প্রচার করতে না পারেন তার চেষ্টাই করা হচ্ছে। কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই সমন। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে পঞ্চম সমন পাঠানোর পর ইডি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। এরপর দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সশরীরে হাজিরা দিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করতে বলেছিলেন বিচারক। গত শনিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। ওই দিন আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়ে সশীরের হাজিরার জন্য অন্য এক দিন ধার্য করার আবেদন করেছিলেন অরবিন্দ। আপ সুপ্রিমোর সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। আগামী ১৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য হয়েছে। তারই মধ্যে ফের তলব করা হল কেজরিওয়ালকে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিই হোক পাখির চোখ, তাই কি বাতিল শাহি সফর?

    প্রায় দু’বছর হতে চলল দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া মদ দুর্নীতির মামলায় জেলে রয়েছেন। বিগত কয়েক মাস ধরে জেলবন্দি আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংও। ওই একই মামলায় এবার তলব খোদ কেজরিওয়ালকে। তবে, হাজিরা সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগে কীভাবে ইডি সমন জারি করে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আপ। প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রথম সমন পাঠানো হয়েছিল গত ২ নভেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিবৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy)। রণতরীতে মোতায়েন করার জন্য ২০০টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Brahmos) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন হতে চলেছে। সূত্রের খবর, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। সেখানেই এই মেগা চুক্তি অনুমোদন করা হয়। আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের মধ্যে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মস (Brahmos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগ তৈরি। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদন করা হয় এদেশই, ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের কারখানায়। ব্রহ্মসের গতি শব্দের প্রায় ৩ গুণ। এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। তার ওপর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি আকাশেই পথ পাল্টাতে সক্ষম। এমনকী, চলমান লক্ষ্যবস্তুও ধ্বংস করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, যার অর্থ শত্রু রেডার এটি ধরা পড়ে না। এটি যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে। ফলে, এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব।

    পাল্লা বেড়ে ৪৫০ কিমি

    ব্রহ্মস (Brahmos) এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র যাকে স্থল, জাহাজ, বিমান এমনকী সাবমেরিন থেকেও নিক্ষেপ করা যায়। এই মিসাইল ২০০ কেজি ওজনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। প্রথমদিকে, ব্রহ্মসের পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি। কিন্তু, আধুনিক সংস্করণের পাল্লা বেড়ে হয়েছে ৪৫০ কিমি। বর্তমানে, ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) অন্যতম প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে ব্রহ্মস। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বশেষ অধিক পাল্লার সংস্করণই কিনতে চলেছে নৌসেনা। জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ভারতীয় নৌসেনার এখন প্রথম পছন্দ ব্রহ্মস। 

    আরও পড়ুন: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস

    শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস (Brahmos)। ফিলিপিন্স কিনছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর জন্য ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি বেশ কিছুদিন আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এমনকী, মার্চ মাসেই শুরু হতে চলেছে ব্রহ্মসের লঞ্চার ও কন্ট্রোল সিস্টেম পাঠানোর প্রক্রিয়া। পরবর্তীকালে, পাঠানো হবে ক্ষেপণাস্ত্র। ফিলিপিন্স ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ এই ক্ষেপণাস্ত্রকে নিজের অস্ত্রাগারে জায়গা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share