Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mallikarjun Kharge: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    Mallikarjun Kharge: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আব কি বার ৪০০ পার হো রহা।” বিজেপির এই স্লোগানই শোনা গেল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) গলায়। যা শুনে হাসির রোল ওঠে রাজ্যসভায়। বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে খাড়্গের এহেন বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বিব্রত কংগ্রেসের পাশাপাশি ইন্ডি জোটের সাংসদরাও।

    বিজেপির স্লোগান!

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের চেয়েও বেশি কেন্দ্রে জিতে এবার দিল্লির তখতে ফিরতে চাইছে বিজেপি। মাস দুয়েক আগে দিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “এবার চারশোর বেশি আসন নিয়ে কেন্দ্রে ফিরতে হবে।” এর পরেই বিজেপির তরফে স্লোগান বাঁধা হয়, “আব কি বার ৪০০ পার”। বিজেপিকে খোঁচা দিতে গিয়ে পদ্ম শিবিরের সেই স্লোগানকে হাতিয়ার করতে গিয়ে দলকেই অস্বস্তিতে ফেললেন খাড়্গে।

    বেফাঁস খাড়্গে

    রাজ্যসভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “আপনাদের এত প্রতিনিধি, আগে ৩০০-৩৩৪ ছিল, এখন তো ৪০০ পার হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “তাদের (বিজেপিকে) প্রথম স্থান নিতে দিন। যাঁরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কৃপা রয়েছে।” খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) এহেন মন্তব্যে হাসির রোল ওঠে সংসদে। হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। হাসতে থাকেন ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা। হেসে ফেলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ও।

    আরও পড়ুুন: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    পীযূষ গয়াল বলেন, “আজ, খাড়্গেজি অবশেষে সত্যি কথাটা বললেন। ধনখড়ও বলেন, আমার মনে হয়, বিরোধী নেতার আগে কখনও এত প্রশংসা করা হয়নি। এটা একটা রেকর্ড। আপনার (মল্লিকার্জুন খাড়্গে) বক্তব্যের প্রশংসা করছে সবাই।” অপ্রস্তুত অবস্থা কাটাতে খাড়্গে বলেন, “আমি জানি কেন প্রশংসা করা হচ্ছে। ওরা (বিজেপি) নিজের ঢাক নিজেই বাজাচ্ছে, বলছে যে বিজেপি ৪০০ থেকে ৫০০ আসনে জয়ী হবে। বিজেপি ১০০ আসনও পার করবে না। ইন্ডি-জোট যথেষ্ট শক্তিশালী।”

    খাড়্গের বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। বক্তব্যটি (Mallikarjun Kharge) পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ভাবছেন— আমার নতুন নিন্দুকের প্রয়োজন, পুরানোরা আমার ফ্যান হয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LK Advani Bharat Ratna: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    LK Advani Bharat Ratna: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতরত্ন পাচ্ছেন প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী (LK Advani)। শনিবার ঘোষণাটি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে আডবাণীর দুটি ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে যোঘণা করছি যে শ্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীজিকে ভারতরত্ন প্রদান করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছি আমি। ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রনায়ক। ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তা অভাবনীয়। তৃণমূল স্তরে কাজ করার মাধ্যমে তাঁর জীবন শুরু করেছিলেন। সেই তিনিই উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের দেশের সেবা করেছেন। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে উনি (LK Advani) নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তিনি লিখেছেন, “ওঁকে ভারতরত্ন প্রদান করতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত আবেগের একটি মুহূর্ত। আমি যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার এবং তাঁর কাছ থেকে শেখার অশেষ সুযোগ পেয়েছি, তার জন্য আমি সর্বদাই এটিকে আমার সাফল্য বলে মনে করব।” ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন। সেই সম্মানেই ভূষিত হতে চলেছেন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আডবাণী (LK Advani Bharat Ratna)। তিনি ছিলেন দেশের সপ্তম উপ-প্রধানমন্ত্রী। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

    এলকে আডবাণী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সদস্যও ছিলেন আডবাণী। দেশের সর্বাধিক সময় ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই সৎ রাজনীতিবিদ। রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন আডবাণী। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “আডবাণীজি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সাধারণ জনগণকে যে পরিষেবা দিয়েছেন স্বচ্ছতা ও সততা বজায় রেখে, তা রাজনীতিতে মানদণ্ড তৈরি করেছে। দেশের অখণ্ডতা ও সংস্কৃতির পুনরুত্থানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ওঁর সঙ্গে আলাপচারিতা করতে পারা ও ওঁর থেকে পাওয়া শিক্ষাকে আমি বরাবরই নিজের সৌভাগ্য (LK Advani Bharat Ratna) বলে মনে করেছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: দিল্লি পুলিশের নোটিশ কেজরিওয়ালকে, আপ অফিসের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির

    Arvind Kejriwal: দিল্লি পুলিশের নোটিশ কেজরিওয়ালকে, আপ অফিসের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার দিল্লিতে আপের পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি এবং দাবি করে যে ইডির তদন্ত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বিক্ষোভে গেরুয়া শিবিরের দাবি ছিল দিল্লি সরকারের আবগারি দুর্নীতিতে ইডির মুখোমুখি হতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তা না করে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং পাঁচবার তলব এড়িয়ে গেছেন। অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল অভিযোগ তোলে যে বিজেপি সরকার নাকি তাঁদের সাতজন এমএলএকে নগদ ২৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে চাইছে। এই অভিযোগের পরেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় দিল্লি বিজেপির নেতারা। দাবি করেন অভিযোগ প্রমাণের। এবং সেই মতো শুক্রবার রাতেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনে নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে আসেন এক পুলিশ আধিকারিক।

    মঙ্গলবারই দিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের বিজেপির

    আপ সুপ্রিমোর (Arvind Kejriwal) তোলা এই অভিযোগের তদন্তের জন্য মঙ্গলবারই দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সাচদেব, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রণবীর সিং বিধুরি, উত্তর-পূর্ব দিল্লীর সাংসদ মনোজ তিওয়ারি এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা মিলে দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় আরোরার কাছে তদন্ত চান। বিজেপির অভিযোগ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সস্তার রাজনীতি করছেন এবং কারণ তিনি বর্তমানে দিল্লিতে রাজনৈতিক জমি হারিয়েছেন। বিজেপি আরও জানিয়েছে, আপ পার্টির সুপ্রিমো তাঁর অভিযোগর কোনও প্রমাণ দিতে পারবেন না। কারণ এর পুরোটাই মিথ্যা।

    নোটিশ গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে

    দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বাড়িতে যে নোটিশ ধরানো হয়েছে সেটি হলো সিআরপিসির ৪১ নম্বর ধারা অনুযায়ী। এর ভিত্তিতে যে কোনও ব্যক্তিকে তদন্তে সমন করতে পারে পুলিশ। বিজেপির আরও দাবি, প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে সেই নোটিশ নিতে অস্বীকার করা হয়। বিজেপির থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে, ‘‘আমরা আপ পার্টির নেতাদের কাছ থেকে প্রমাণ চেয়েছি কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপীর তেহখানায় চলবে পুজো, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপীর তেহখানায় চলবে পুজো, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের তেহখানায় পুজোর অনুমতি মেলে বারাণসী আদালতের নির্দেশে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় মুসলিম পক্ষ। কিন্তু, সেখানে তাদের আর্জি খারিজ হয়ে গেল। অর্থাৎ বহাল থাকল জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তেহখানায় হিন্দুদের পুজোর অধিকার। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মর্মেই জানিয়ে দিয়েছে যে যেমন মন্দির প্রাঙ্গণে পুজো চলছে, সেভাবেই চলবে।

    আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি যাবে সুপ্রিম কোর্টে

    প্রসঙ্গত, বারাণসী আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Gyanvapi Mosque)। এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল মুসলিম পক্ষের এই আর্জিকে খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি জ্ঞানবাপী (Gyanvapi Mosque) চত্বরে আইন-শৃঙ্খলার কোনও অবনতি যাতে না হয় সেই জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি।

    বুধবার মধ্যরাতে হয় প্রথম পুজো

    প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের বুধবারই বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপীর বেসমেন্ট বা নীচের তলায় ‘ব্যস কী তহখানা’য় হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দেয়। ওই দিনই মধ্যরাতে কড়া নিরাপত্তায় পুজো হয় বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘ব্যাস কা তেহখানা’য়। প্রসঙ্গত, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে মধ্য রাতে হয় পুজো। পুজো করেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সদস্য গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। হয় মঙ্গল আরতিও। পুজোর সময় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্তারা। বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। পুজোর আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় পুজোস্থল। সরানো হয় ব্যারিকেড। তার পরেই নিয়ম মেনে হয় পুজো। পুজোর আগে রাত ১২টা নাগাদ বৈঠকে বসেন বারাণসীর জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে। কাশী বিশ্বনাথ ধামের একটা হলে হয় এই বৈঠক। তার পরেই হয় মঙ্গল আরতি, পুজোপাঠ। তারপর থেকেই চলছে পুজো।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    Hemant Soren: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এরপরেই ঝাড়খণ্ডের বিশেষ আদালত হেমন্ত সোরেনকে পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল।

    বৃহস্পতিবারই কোর্টে তোলা হয় হেমন্তকে

    বুধবার সন্ধ্যায় হেমন্তকে (Hemant Soren) গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবারই রাঁচির বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে ইডির তরফ থেকে ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয় হেমন্তকে। তবে বৃহস্পতিবার আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন জেএমএম নেতা। হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) মামলার শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সদস্য হিসেবে ছিলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। বেঞ্চ তাঁর মামলা খারিজ করায়, শুক্রবার পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত। 

    ৬০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাঁচিতে তাঁর বাসভবনে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ৭ ঘণ্টা। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। হেমন্তর গ্রেফতারির পরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তখন বিধানসভায় পরিষদীয় দলের নেতা ঠিক করে চম্পাই সোরেনকে। প্রসঙ্গত, প্রথমে দিল্লির বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানেও চলে তল্লাশি। পরবর্তীকালে তাঁর বহু মূল্যের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতারির সময় কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করে নগদ ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বহু নথিও উদ্ধার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১১ দিনে অযোধ্যা ধামে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের, দক্ষিণা প্রাপ্তি ১১ কোটি টাকা

    Ram Mandir: ১১ দিনে অযোধ্যা ধামে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের, দক্ষিণা প্রাপ্তি ১১ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। হিসাব বলছে, বিগত ১১ দিনে ২৫ লাখ ভক্তের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে এবং মোট প্রণামী সংগৃহীত হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এসেছে শুধু প্রণামী বাক্স থেকেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রণামী পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।

    প্রত্যহ সন্ধ্যায় গোনা হয় প্রণামী

    তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই গড়ে দু লাখেরও বেশি রামভক্ত (Ram Mandir) এসেছেন মন্দির দর্শনে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে চারটি বড় আকারের প্রণামী বাক্স রাখা হয়েছে। এগুলি রয়েছে দর্শন পথের সামনেই। যেখানে ভক্তরা তাঁদের দান করছেন। এর পাশাপাশি দশটি কম্পিউটারাইজ কাউন্টারও খোলা হয়েছে প্রণামীর জন্য। জানা গিয়েছে, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ইতিমধ্যে কর্মী নিয়োগও করেছে এই ডোনেশন কাউন্টারগুলির জন্য। প্রণামী থেকে প্রাপ্ত অর্থ ট্রাস্ট অফিসে জমা পড়ে প্রত্যহ সন্ধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রুটিন মাফিক প্রণামী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ গোনা হয় রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট-এর (Ram Mandir) অফিসে। এ কাজে লেগে রয়েছেন ১৪ জন। যাঁদের মধ্যে ১১ জনই হলেন ব্যাঙ্ক কর্মী এবং ৩ জন হলেন ট্রাস্ট এর সদস্য। প্রণামী গোনার কাজ সম্পন্ন হয় সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতেই।

    ১১ দিনে পর্যটকরা ব্যয় করেছেন ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি

    উত্তরপ্রদেশের স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ইতিমধ্যে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সময় থেকে ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছেন পর্যটকরা। এর মধ্যে যেমন দেশীয় পর্যটক রয়েছে, তেমনি বিদেশের পর্যটকরাও রয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রাম মন্দির যথেষ্ট সফল, তা বলাই যায়। প্রসঙ্গত আধ্যাত্মিক পর্যটনের কথা গতকাল উঠে এসেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেট ভাষণেও। তিনি বলেন যে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে দেশের আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে উন্নত করার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা হেমন্তের, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন

    Hemant Soren: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা হেমন্তের, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। এরপরেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দারস্থ হন। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলাটি ঝাড়খণ্ডের হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, হেমন্তর মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন। এই বেঞ্চের নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে। এছাড়াও ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। হেমন্তের (Hemant Soren) আইনজীবী ছিলেন কপিল সিব্বাল। তিনি এদিন সুপ্রিম কোর্টের সওয়াল করেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন হেমন্ত সোরেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই আমরা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছি।

    কী বললেন বিচারপতি?

    এ নিয়ে পাল্টা বিচারপতি খান্না বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে তো কী হয়েছে? আদালতের কাছে সবাই সমান। আজ আপনাকে কোনও সুবিধা দিলে আগামিকাল সবাইকে দিতে হবে। এটা তো হয় না। কেন আপনারা হাইকোর্টে আবেদন না করে সুপ্রিম কোর্টে আসবেন? নতুন করে আবার হাইকোর্টে আবেদন করুন।’’

    বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে হেমন্ত

    প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। হেমন্ত ছিলেন মহাগঠবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী।

    শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন

    এদিকে, হেমন্ত ইস্তফা দেওয়ায় শুক্রবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জেএমএম নেতা তথা দলের সহ সভাপতি চম্পাই সোরেন। এদিন রাঁচির রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা দলের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম এবং লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সত্যানন্দ ভোগতা। দুজনই হেমন্তের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে চম্পইকে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণণ বৃহস্পতিবারই চম্পইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মোক্ষম প্রশ্নটি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ই কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত।

    দুর্নীতির নয়া পন্থা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। তিনি বলেন, “দুর্নীতির এটি একটি নয়া পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা কেউ জানে না।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তা থেকেই বোঝা যায়, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা খরচ হয়েছে কোন খাতে, খরচই বা হয়েছে কত। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি, কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় তিন হাজার চারশো কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।

    সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি

    সুকান্তর অভিযোগ, শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন ও শিক্ষা দফতরে সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “বাংলায় যা হয়েছে, তা মাদার অব অল স্ক্যাম।” কংগ্রেসের মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে টু জি স্ক্যামের অভিযোগ উঠেছিল, তার সঙ্গেও বাংলার তুলনা করেছেন গৌরব।

    আরও পড়ুুন: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Hemant Soren: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    Hemant Soren: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) একদিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দিল স্পেশাল পিএমএলএ আদালত। বুধবারই টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে তোলা হয় আদালতে। সেখানেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি

    যদিও হেমন্তকে দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজীব রঞ্জন। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতাকে (হেমন্ত) বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টিই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে এটা একটা ষড়যন্ত্র। পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। যখন তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছিল, তখনই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এটা অবৈধ।”

    বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেল

    প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। আদালত থেকে যখন তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হেমন্ত সোরেন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। হেমন্ত ছিলেন মহাগটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হতেই হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। এদিন রাতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হায়দ্রাবাদে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুুন: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে গঠিত হয়েছিল মহাগটবন্ধন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়াও ওই জোটে রয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি এবং এনসিপি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে হেমন্তের দলের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। বাকি কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, বাম এবং আরজেডির বিধায়ক।  বিজেপি-বিরোধী শিবিরের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতেই এসব করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, যা হয়েছে, তা আইন মেনেই (Hemant Soren)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: লখনউ থেকে ৬ দিন হেঁটে অযোধ্যায় পৌঁছে রাম মন্দির দর্শন ৩৫০ মুসলিমের

    Ram Temple: লখনউ থেকে ৬ দিন হেঁটে অযোধ্যায় পৌঁছে রাম মন্দির দর্শন ৩৫০ মুসলিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লখনউ থেকে ৬ দিনের পদযাত্রা করে অযোধ্যায় পৌঁছে বালক রামের দর্শন করলেন ৩৫০ জন মুসলিম। তাঁরা রাম মন্দিরে (Ram Temple) পৌঁছে প্রার্থনা করলেন প্রভু রামলালার কাছে। রাষ্ট্রবাদী মুসলিম সংগঠন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের (এমআরএম) পক্ষ থেকে এই যাত্রার সূচনা করা হয়েছিল। তাঁদের কাছে এই যাত্রা ছিল দেশের সম্প্রীতি, অখণ্ডতা এবং একতার প্রতীক। একইভাবে, মুম্বই থেকে শবনম শেখ নামের এক মুসলমান ছাত্রী ১৪০০ কিমি পায়ে হেঁটে অযোধ্যায় পৌঁছান। তিনিও দেন রাম নামের বার্তা।

    কী জানাল মুসলিম সংগঠন (Ram Temple)?

    গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Temple) উদ্বোধন এবং প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গোটা দেশ এখন রাম নামে মেতে উঠেছে। হিন্দু রাম ভক্তদের পাশপাশি মুসলমান রাম ভক্তরাও বালক রামের দর্শনের জন্য অযোধ্যা যাচ্ছেন। আরএসএসের রাষ্ট্রবাদী মুসলিম সংগঠন এমআরএম-এর পক্ষ থেকে মিডিয়া ইনচার্জ শাহিদ সঈদ বলেছেন, “রাষ্ট্রবাদী মুসলমান সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩৫০ জন মুসলমান রাম ভক্ত গত জানুয়ারির ২৫ তারিখ থেকে পায়ে হেঁটে লখনউ থেকে অযোধ্যায় যাত্রা সম্পূর্ণ করেছেন। মুখে রাম নাম ‘জয় শ্রী রাম’ নিয়ে এই প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে প্রায় ১৫০ কিমি হেঁটে রাম মন্দিরে পৌঁছান তাঁরা। এই দীর্ঘ যাত্রায় প্রতি ২৫ কিমি রাস্তা অতিক্রম করার পর একবার করে বিশ্রাম নিয়েছেন তাঁরা। অত্যন্ত পরিশ্রম করে এই ভগবান রামলালার মন্দির দর্শন এক অনন্য কৃতিত্ব। মুসলমান রাম ভক্তদের এই যাত্রা ছিল সম্প্রীতির যাত্রা। কোনও ধর্ম অপর ধর্মকে হিংসার কথা বলে না। শ্রীরাম হলেন দেশের একাত্মা, একতা, সার্বভৌম এবং সৌহার্দ্য সম্পর্কের প্রতীক।” অপরদিকে মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে কটাক্ষও করেন তিনি। তাঁর মতে, মুসলিমদের মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে, তার জন্য দায়ী এই আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মতো নেতারা।

    মুসলিম মহিলা ভক্ত কী বললেন?

    ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে শবনম শেখ নামক এক মুসলমান ছাত্রীও রামলালার মন্দিরে (Ram Temple) পৌঁছান। মুম্বই থেকে তিনি প্রায় ১ মাস পদযাত্রা করে রাম মন্দিরে পৌঁছেছেন। প্রথমে হনুমানগড়িতে পুজো দেন। মুখে ছিল তাঁর ‘বন্দেমাতরম’, ‘জয় শ্রী রাম’, ‘এক হি নাড়া এক হি নাম, জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান। এরপর যান রামলালার দর্শনে। তিনি বলেন, “প্রভু রামের মন্দিরের ৩৫০ জন মুসলমানের উপস্থিতি সারা দেশের মানুষের কাছে বিশেষ বার্তা দিয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share