Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Maldives Row: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    India Maldives Row: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল সাসপেন্ড করলেই হবে না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে। সোমবার ভারতে নিযুক্ত মলদ্বীপের (India Maldives Row) রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে সাফ জানিয়ে দিল ভারত।

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

    এদিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তলব করা হয় ভারতে নিযুক্ত মলদ্বীপের হাইকমিশনারকে। তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের করা মন্তব্যের প্রভাব পড়েছে ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। এর জন্য দায়ী মলদ্বীপই। এই সম্পর্ক মেরামত করার দায় মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজুর। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এও বলা হয়, জুনিয়র ওই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করলেই হবে না, তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে।

    এঁরা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টেরই প্রতিনিধি!

    সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল (India Maldives Row) হয়। অভিযোগ, মলদ্বীপের ওই মন্ত্রীরা এরকমই কয়েকটি ছবিতে মোদিকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এরই প্রেক্ষিতেই সাসপেন্ড করা হয় তিন মন্ত্রীকে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজনই মহিলা। এঁরা মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    আরও পড়ুুন: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ভারতপন্থী। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুইজু চিনপন্থী। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ইব্রাহিমকে হারিয়েই ক্ষমতায় আসেন চিনপন্থী শাসক হিসেবে পরিচিত মুইজু। তাই মুইজু ক্ষমতায় আসার পর যে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি ঘটবে, তার একটা ইঙ্গিত ছিলই। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মুইজু সরকারের তিন মন্ত্রীর মন্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। কিছু দিনের মধ্যেই চিন সফরে যাচ্ছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে ফান্ড নিয়ে দরবার করবেন। তার আগে মন্ত্রীদের দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এহেন কুরুচিকর মন্তব্য করানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের।

    ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার মলদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিদেশের নেতা এবং পদস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে যেসব অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়, সে সম্পর্কে মলদ্বীপ সরকার সচেতন। এই জাতীয় মন্তব্য ব্যক্তিগত এবং তা মলদ্বীপ সরকারের (India Maldives Row) দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচায়ক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bilkis Bano Case: দোষীদের ফিরতে হবে জেলেই, বিলকিস বানো মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Bilkis Bano Case: দোষীদের ফিরতে হবে জেলেই, বিলকিস বানো মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ধর্ষকদের। মুক্তি পাওয়া ওই ১১ জন ধর্ষককে ফিরে যেতে হবে জেলে। বিলকিস বানো মামলায় (Bilkis Bano Case) গুজরাট সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা এক্তিয়ার বহির্ভুত বলেও জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, এই মামলার শুনানি চলবে।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

    সোমবার বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই গুজরাট সরকারের ছিল না। কারণ এই মামলার শুনানি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তাই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে মহারাষ্ট্র সরকারই। ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর হিংসার ঘটনা ঘটে গুজরাটে। এই সময় দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে (Bilkis Bano Case) গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর বছর তিনেকের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা।

    মুক্তি দেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসে

    বিলকিসের মেয়ের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের আরও সাত সদস্যকেও খুন করা হয়। মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে দোষীদের কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় সিবিআইয়ের ওই আদালত। বছর দুয়েক আগে মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানায় দোষীরা। এ ব্যাপারে গুজরাট সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলে আদালত। সরকার ১১ জন ধর্ষকের মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। ছাড়পত্র মেলে সুপ্রিম কোর্টেও। তার পরেই ২০২২ সালের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মেয়াদ শেষের আগেই ধর্ষকরা ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় হইচই পড়ে যায়। ধর্ষকদের মুক্তিতে শুরু হয় বির্তকও। যদিও গুজরাট সরকার জানিয়েছিল, সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন ভালো আচরণ করায় মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের। এদিন রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ধর্ষকদের মুক্তির নির্দেশ বা অব্যাহতির আদেশ যথাযোগ্য নয়। তাই বিলকিস বানোর (Bilkis Bano Case) ধর্ষকদের মুক্তি বাতিল করছে শীর্ষ আদালত। আদালত এও জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তদের আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: প্রধানমন্ত্রী মোদির অপমানে ক্ষুব্ধ অক্ষয়-সলমনরা, দেশের দ্বীপগুলিতে যাওয়ার আর্জি সচিনের

    Maldives: প্রধানমন্ত্রী মোদির অপমানে ক্ষুব্ধ অক্ষয়-সলমনরা, দেশের দ্বীপগুলিতে যাওয়ার আর্জি সচিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপ নাকি লাক্ষাদ্বীপ— পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে কোনটা সেরা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর ও সেখানের পর্যটনের প্রচার নিয়েই আপত্তি মলদ্বীপের (India Maldives Relations)। সে দেশের তিন মন্ত্রীর অপমানজনক মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলেছে। দেশের পাশে দাঁড়িয়ে সুর চড়িয়েছেন বলিউডের অভিনেতা থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। সকলেই বিদেশের বদলে দেশের এই মনমুগ্ধকর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। সকলেই আওয়াজ তুলেছেন, বিদেশের বদলে দেশের দ্বীপগুলিতে যান। অক্ষয় কুমার থেকে সলমন খান, জন আব্রাহাম থেকে শ্রদ্ধা কপূর, কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর সকলেরই দাবি—বয়কট করা হোক মলদ্বীপকে (India Maldives Relations)।

    লাক্ষাদ্বীপই হোক গন্তব্য

    বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, “মলদ্বীপের বিশিষ্টজনেদের কথায় আমি স্তম্ভিত। ভারতই সবচেয়ে বেশি পর্যটক পাঠায় মলদ্বীপে। আর ভারতই তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। তাহলে এই ঘৃণা আমরা সহ্য করব না। দেশের মর্যাদা রাখতে দেশের দ্বীপগুলিতেই যাওয়া উচিত আমাদের।”

    জন আব্রাহাম ও শ্রদ্ধা কাপুরও একই কথা বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, দেশকে যেখানে অপমান করা হয়, সেখানে না যাওয়াই শ্রেয়। লাক্ষাদ্বীপের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। 

    শ্রদ্ধা কাপুর তো বলেছেন, লাক্ষাদ্বীপের সৌন্দর্য দেখে এখনই ছুটি নিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে।

    অভিনেতা সলমন খান প্রধানমন্ত্রীর ভিডিওর প্রসঙ্গ টেনেই বলেন, “কী দারুণ লাগছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রভাই মোদিকে লাক্ষাদ্বীপের সুন্দর, পরিষ্কার সৈকতে ঘুরতে দেখে। আর সবথেকে ভাল বিষয় হল এটা আমাদের দেশেই রয়েছে।”

    প্রাক্তন কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেণ্ডুলকর লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে পোস্ট না করলেও, ‘অতিথি দেব ভব’-র দর্শন ও মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গের সৌন্দর্য্য নিয়ে লম্বা এক পোস্ট লেখেন।

     

    আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে ৩ মন্ত্রীকে সাসপেন্ড মলদ্বীপের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relations: মোদির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে ৩ মন্ত্রীকে সাসপেন্ড মলদ্বীপের

    India Maldives Relations: মোদির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে ৩ মন্ত্রীকে সাসপেন্ড মলদ্বীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করল মলদ্বীপ (India Maldives Relations) সরকার। প্রধানমন্ত্রী লাক্ষদ্বীপ সফরের ছবি আপলোড করার পর ওই তিন মন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননারকর মন্তব্য করেন।

    প্রধানমন্ত্রীকে অপমানের তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

    বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশে সেখানকার ভারতীয় হাইকমিশন, প্রধানমন্ত্রীকে অপমানের বিষয়টি মালে প্রশাসনের কাছে তুলে ধরে এবং এর তীব্র নিন্দা করে৷ ভারত যে মালে সরকারের মন্ত্রী এবং তাদের আধিকারিকদের আচরণে ক্ষুব্ধ তা বুঝিয়ে দেওয়া হয় ৷ এমনকী, মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ মালদ্বীপের রাজনীতিকদের অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা করেন৷ এর পরেই নড়েচড়ে বসে সে দেশের প্রশাসন৷ যুব ক্ষমতায়ন-তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উপমন্ত্রী মালশা শরিফ, যুব ক্ষমতায়ন, তথ্য ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী মারিয়ম সিউনা এবং পরিবহণ ও অসামরিকর বিমান চলাচল উপমন্ত্রী হাসান জিহানকে মন্ত্রিসভা থেকে সাসপেন্ড করে মলদ্বীপের মহম্মদ মুইজুর সরকার।

    ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ে মলদ্বীপ সরকার

    দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ‘মন্ত্রী মারিয়ম সিউনা বা অন্যান্যরা মোদির বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তা তাঁদের ব্যক্তিগত। এতে প্রশাসনের কোনও যোগ নেই। মলদ্বীপ সরকারে মোটেও তাতে মদত নেই।’ মলদ্বীপের (India Maldives Relations) বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যে কখনওই প্রশাসনের মদত নেই। যেসব মন্ত্রীরা এই অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তাঁদের নিজ নিজ পদ থেকে সাসপেন্ড করা হল।’ 

    মলদ্বীপের বর্তমান প্রশাসকের চিন ঘনিষ্ঠতা

    সাম্প্রতিককালে চোখে পড়ছে মলদ্বীপের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। মলদ্বীপের আগের সরকার ছিল ভারত ঘেঁষা। সোলি-সরকারকে হারিয়েই মহম্মদ মুইজু সরকার গঠন করে। এরপরই মলদ্বীপ এবং ভারতের সম্পর্কে বদলের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পরে ভারতের সেনাকে মলদ্বীপ থেকে সরে যেতে বলেন প্রেসিডেন্ট মুইজু। বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে উত্থাপন করে ভারত। ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কে তিক্ততা প্রকাশ্যে আসে তখনই৷ এখন মোদিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের মধ্যেই ফের একবার প্রকাশ পেল মলদ্বীপ প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ মনোভাব।

    আরও পড়ুন: “আমরা ভাগ্যবান যে ভারতের মতো বন্ধুরাষ্ট্র পেয়েছি”, ভোটের দিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হাসিনার

    মলদ্বীপের পর্যটন ভারতের ওপর নির্ভরশীল

    উল্লেখ্য মলদ্বীপের (India Maldives Relations) পর্যটন শিল্প অনেকটাই নির্ভরশীল ভারতের উপর। সাম্প্রতিককালে চোখে পড়ছে মলদ্বীপের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তারপর নেটিজেনদের অনেকেই লাক্ষাদ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁদের মতে, বিদেশের সমুদ্রসৈকতে না গিয়ে লাক্ষাদ্বীপেই ছুটি কাটাতে পারেন দেশবাসী। এর পরই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মলদ্বীপের মন্ত্রীরা। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই তড়িঘড়ি সেই ট্যুইট মুছেও দেন তাঁরা। কিন্তু, ক্ষতি যা হওয়ার হয়েই গিয়েছিল।

    মলদ্বীপ ট্যুর বাতিল ভারতীয় ভ্রমণ সংস্থার

    মলদ্বীপের সরকারি কর্তাদের মোদি-বিরোধী মন্তব্যের জেরে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মলদ্বীপ বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন। মলদ্বীপকে বয়কটের ডাক ট্রেন্ডিং করতে শুরু করে সোশ্যাল সাইটে। ইতিমধ্যেই ভারতের জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ সংস্থা মলদ্বীপ যাওয়ার সমস্ত বিমানের বুকিংও বাতিল করে দিয়েছে। ওই সংস্থার মালিক জানিয়েছেন, দেশের প্রতি আনুগত্য এবং সহানুভূতি থেকে এই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিয়েছেন। ওই ট্যুর সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে মলদ্বীপ যাওয়ার সমস্ত বিমানের বুকিং স্থগিত দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rajnath Singh: ২২ বছর পরে ভারতের প্রথম কোনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ব্রিটেন সফরে

    Rajnath Singh: ২২ বছর পরে ভারতের প্রথম কোনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ব্রিটেন সফরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) তিন দিনের ব্রিটেন সফর শুরু করছেন আগামী সোমবার থেকে। ২২ বছর পরে প্রথম কোনও ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এই সফর করছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয় গত ২০২২ সালের জুন মাসেও ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ব্রিটেন সফর চূড়ান্ত হয় কিন্তু কিছু প্রটোকলের কারণে তা শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়। পরবর্তীকালে, আবার ৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে এই সফর। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ড শাপস  জানিয়েছেন যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এর এই সফরে তাঁকে গার্ড অফ অনারও দেওয়া হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এই সফরে মহাত্মা গান্ধী এবং ডঃ বি আর আম্বেদকরের স্মৃতিসৌধতেও যাবেন লন্ডনে।

    প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও আলাপচারিতায় সামিল হবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

    এর পাশাপাশি প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও আলাপচারিতায় সামিল হবেন রাজনাথ সিং, সূত্রের খবর এমনটাই মিলেছে। লন্ডনের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস’-এর তরফ থেকে রাহুল রায় চৌধুরী জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ ২২ বছর পরে কোনও ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Rajnath Singh) পুনরায় ব্রিটেনের সফর করছেন। শেষবারের মতো সফর করেছিলেন এনডিএ জমানার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ। ২০০২ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে এসেছিলেন।

    আরও পড়ুন: “গোয়া নয়, মানুষজন ঘুরতে আসছেন অযোধ্যায়”, উচ্ছ্বসিত রামনগরীর হোটেল ব্যবসায়ী

    ভারত-ব্রিটেন কূটনৈতিক সম্পর্কের বেশ উন্নতি ঘটাবে এই সফর

    প্রতিরক্ষা বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাহুল রায়চৌধুরীর মত হল, ‘‘রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)-এর এই সফর ভারত এবং ব্রিটেনের কূটনৈতিক সম্পর্কে যথেষ্ট উন্নতি ঘটাবে। ভারত-ব্রিটেনের সম্পর্ক বেশ ভালো। কারণ ইতিপূর্বে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক গত বছরের সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতে এসেছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, খালিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভে দিন কয়েক আগেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় লন্ডনে। তারপরেই হতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই সফর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় প্রতিদিন চলছে সরযূ বন্দনা, পঞ্চপ্রদীপ, বৈদিক শ্লোকে এ যেন সত্যিই দেবভূমি

    Ram Mandir: অযোধ্যায় প্রতিদিন চলছে সরযূ বন্দনা, পঞ্চপ্রদীপ, বৈদিক শ্লোকে এ যেন সত্যিই দেবভূমি

    রামনগরী অযোধ্যা-পাঁচ

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: বারাণসীর গঙ্গা-আরতির প্রসিদ্ধি দেশজুড়ে রয়েছে। দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গা-আরতির সময় তিল ধারণের জায়গাটুকুও থাকে না। কপালে তিলক এঁকে ভক্তরা সমবেত হন গঙ্গার ঘাটে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতেই অযোধ্যার সরযূ নদীর আরতিও বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ অযোধ্যায় (Ram Mandir) পৌঁছাতেই তা বোঝা গেল। সরযূ অবশ্য অযোধ্যাবাসীর কাছে শুধু নদী নয়, সরযূকে মাতা সম্বোধন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, অযোধ্যায় কোনও নদী না থাকার কারণে বশিষ্ঠর প্রার্থনায় ব্রহ্মা সরযূ নদীকে সৃষ্টি করেন। সরযূর ধারে যখন পৌঁছালাম সূর্য তখন সবেমাত্র অস্তমিত হয়েছে। ভক্ত ও সাধুসন্তদের ভিড়ে সরযূর ধারে তখন পা রাখারও জায়গা নেই। প্রশাসনের ব্যস্ততাও তুঙ্গে। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান ঘাট। তবে সেখানে শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরই যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। সরযূ নদীর ওই ঘাটের ওপরেই সম্পন্ন হয় আরতি। পঞ্চপ্রদীপের আলোর প্রতিফলন সরযূর (Ram Mandir) জলে। সঙ্গে বৈদিক শ্লোক উচ্চারণ। সন্ধ্যার আলো-আঁধারি পরিবেশে মনে হচ্ছিল, এ যেন সত্যিই দেবভূমি। রাম মন্দিরের পাশাপাশি সরযূ নদীর আরতিও যে ভক্তদের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

    তরুণ-তরুণীদের ঘোরার জায়গা সরযূর পাড়

    স্মার্ট ফোন হাতে তরুণ-তরুণীদের সন্ধ্যার আড্ডারস্থলও হয়ে উঠেছে সরযূর ধার। যুব প্রজন্ম এখন কপালে দীর্ঘ হলুদ টিকা লাগিয়ে সামিল হচ্ছে সরযূর বন্দনায়। ভারতের প্রাচীন শাশ্বত সংস্কৃতিতেই যে আস্থা রয়েছে তরুণ প্রজন্মের তা বোঝা যায় সরযূর ধারে। হোটেল ব্যবসায়ী ধর্মেন্দ্র মিশ্র তাই কথায় কথায় জানালেন, ‘‘গোয়া নয়, মানুষজন এখন অযোধ্যাতেই আসছেন ঘুরতে।’’ সরযূ নদীর আরতির পরে দীর্ঘক্ষণ আমাদের সঙ্গে আলাপচারিতা করলেন আরতির মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ত শশীকান্ত দাস। স্থানীয় একটি আশ্রমের মহন্তের দায়িত্বও রয়েছে তাঁর ওপরে। তিনিই জানালেন, অযোধ্যা বদলে যাচ্ছে। আমাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘‘আগে আপনারা অযোধ্যায় এসেছেন কখনও?’’ আমরা তিনজন ছিলাম। প্রত্যেকেই সমবেতভাবে উত্তর দিলাম ‘না’।

    কী বলছেন সরযূ নদীর আরতি কমিটির প্রধান?

    শশীকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে ঝামেলা অশান্তির ভয়ে কেউই সেভাবে অযোধ্যা আসতে চাইতেন না। অপপ্রচারও চলত, অযোধ্যা (Ram Mandir) এলেই অশান্তি হতে পারে। রামনগরী তাই হয়ে উঠেছিল উদাসী। কিন্তু এখন আপনাদের মতো লাখো মানুষ আসছেন অযোধ্যায়। মন্দির উদ্বোধনের পরে এই সংখ্যা কততে গিয়ে ঠেকবে তা বলা যাচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে বদলে গিয়েছে অযোধ্যার চিত্র। ’’শশীকান্ত দাসের কথায় ঝরে পড়ল নরেন্দ্র মোদি ও যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসাও। তাঁর মতে, ‘‘অযোধ্যাকে বদলে দেওয়ার কারিগর নরেন্দ্র মোদি। তিনি ছিলেন বলেই রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হল অযোধ্যায়। বদলে গেল অযোধ্যার চিত্র। তার সঙ্গে নগরীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও।’’ সরযূর ঠিক পাশেই বিশালাকার পার্ক। সেখানে প্রত্যহ সন্ধ্যায় আরতির পরে লেজার শো-এর মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে সম্পূর্ণ রামায়ণ। রাম মন্দির থেকে সরযূ যাওয়ার সড়ক রামপথ নামে পরিচিত। মন্দির-সড়ক-নদী সবই যেন রামচন্দ্রময় হয়ে উঠেছে অযোধ্যায়। শুধু তীর্থকেন্দ্র নয়, পর্যটনস্থল হিসেবেও ঘুরে আসা যেতেই পারে অযোধ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিল ৪৫০ কেজি ওজনের একটি ধামসা এবং ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড। যাত্রার সূচনা করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই সামগ্রী নিবেদন করা হয়েছে। এই বিরাট ধামসা এবং ধ্বজ দণ্ড স্থাপনা করা হবে রাম মন্দিরে।

    উল্লেখ্য, আগেও নানান সামগ্রী মন্দিরের উদ্দেশে পাঠানোর কথা জানা গিয়েছে। যেমন বিরাট মাপের ঘণ্টা, বিরাট মাপের তালা-চাবি, বিরাট মাপের ধুপকাঠি, এবং বাংলা থেকে বিরাট ফাইবারের রামের মূর্তি পাঠানোর কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এছাড়াও সীতার বাপের বাড়ি নেপাল থেকে আসবে শ্রীরাম লালার অভিষেকের গয়না, অলঙ্কার, সাজ এবং ভোগের সামগ্রী। রামনগরীতে এখন সাজো সাজো রব। মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই মন্দিরের উদ্বোধন।

    ৭০০ কেজি ওজনের রথ

    সূত্রের খবর, সেই সঙ্গে এই বিরাট পতাকা এবং দণ্ড বহনকারী রথটির ওজন হবে ৭০০ কেজি। এগুলি অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই বিরাট নির্মাণ করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া ডাবগার সমাজ’। আগামী ২২ জানুয়ায়রি রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং অভিষেক সম্পন্ন হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে তাই প্রস্তুতি ব্যাপক তুঙ্গে। বারাণসীর পুরোহিত, লক্ষ্মী কান্ত দীক্ষিত রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের মূল আচার অনুষ্ঠান করবেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অযোধ্যায় অমৃত মহোৎসব পালন করা হবে। একটি ১০০৮ হুন্ডি মহাযজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার ভক্তকে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    হনুমানের দেশ থেকে আসবে মূর্তি

    কর্নাটকের ভাস্কর শিল্পী যোগীরাজ অরুণের খোদাই করা মূর্তিটি নির্বাচিত হয়েছে মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের জন্য। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে মূর্তিটির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সোমবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হনুমানের দেশ থেকে একজন প্রখ্যাত প্রতিমা নির্মাতার মূর্তি রাম মন্দিরে স্থাপনের স্বরূপটি সকলে দেখতে পাবেন। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Economic Growth: বিশ্ব অর্থনীতির ট্র্যাকে পয়লা নম্বরেই থাকবে ভারত! পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের

    India Economic Growth: বিশ্ব অর্থনীতির ট্র্যাকে পয়লা নম্বরেই থাকবে ভারত! পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনীতি এবং সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের তরফে জানানো হয়, ২০২৪ সালেও ভারত বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতির দেশ হবে। এর বৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ হতে পারে বলে আশা। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার আসার পর থেকেই দেশে অর্থনৈতিক পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। স্থিতিশীল সরকারের জন্য দেশীয় বাজারে বিনিয়োগও বাড়ছে।

    কী বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ

    ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস-২০২৪’ শীর্ষক রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টের পূর্বাভাস, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশে পৌঁছতে পারে। বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের বাজারে অভ্যন্তরীণ চাহিদা রয়েছে এবং উৎপাদন ও পরিষেবা খাতে শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উন্নত অর্থনীতির থেকে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগের চাহিদা থাকে বেশি। তাই দক্ষিণ এশিয়ায় এখন বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য ভারত। সরকারির পাশাপাশি প্রচুর বেসরকারি বিনিয়োগও হয়েছে দেশীয় বাজারে।

    ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ ভারতে বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু জোড়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ধাক্কা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের (এল নিনোর প্রভাব) কারণে এ বছরের পূর্বাভাসে তা সামান্য কমানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে ৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ছাপিয়ে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছিল ৮.৮ শতাংশ। এ বারও ‘প্রকৃত ফল’ পূর্বাভাসের তুলনায় ভাল হবে বলে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর। বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ভারতে বিনিয়োগের বিষয়ে দিনে দিনে আগ্রহী হয়ে উঠছে। সরকারও মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে জোর দেওয়ায় নিজেদের তৈরি পণ্য বিদেশে রফতানি করতে পারছে ভারত। আমদানি-রফতানির চলমান ধারায় দেশে অর্থনৈতিক ভিত্তিও মজবুত হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: মাঝসমুদ্রে দুর্ধর্ষ অভিযান মার্কোসের! সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ২১ জনকে উদ্ধার

    Indian Navy: মাঝসমুদ্রে দুর্ধর্ষ অভিযান মার্কোসের! সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ২১ জনকে উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) বিরাট সাফল্য। আরব সাগরে হাইজ্যাক করা এমভি লিলি নরফোক জাহাজে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনার ‘মার্কোস’। উদ্ধার অভিযানের সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে নৌবাহিনীর তরফ থেকে।

    ১৫ জন ভারতীয় উদ্ধার

    শুক্রবার আইএনএস চেন্নাইয়ের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে এই অপহৃত হওয়া জাহাজকে। জানা গিয়েছে, সোমালিয়া উপকূলের কাছে অপহরণ হওয়া এমভি লিলি নরফোক জাহাজ (Indian Navy) থেকে মোট ১৫ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করেছে ভারতের নৌসেনা। সেই সঙ্গে নৌবাহিনী আরও ৬ জন ক্রু সদস্যকে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করেছে। ফলে মোট উদ্ধার করা হয়েছে ২১ জন হলেন সদস্য। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল জানিয়েছেন, “অপহৃত হওয়া জাহাজ থেকে ১৫ জন ভারতীয় সহ মোট ২১ জন ক্রুকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য

    এই বিরাট উদ্ধার অভিযানের সাফল্য প্রসঙ্গে নৌসেনার মুখপাত্র বলেন, “ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার আরব সাগরে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজকে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জলপথে ওই এলাকায় পণ্যবাহী জাহাজের (Indian Navy) চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং জলদস্যুদের হামলা আটকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই স্থানে ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে চারটি যুদ্ধ জাহাজ প্রহরায় নিযুক্ত করা হয়েছে।”

    কীভাবে অপারেশন সম্পন্ন হল

    ৫ জানুয়ারি ভারতীয় নৌসেনার মেরিন কমান্ডোরা লাইবেরিয়ার পতাকা নিয়ে চলা একটি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি লিলি নরফোকে (Indian Navy) পৌঁছে অপারেশন সম্পন্ন করে। কমান্ডোরা ভারতীয় আইএনএস চেন্নাইয়ে করে নরফোক জাহাজের কাছে পৌঁছায়। অপহৃত হওয়া জাহাজ এমভি লিলি নরফোকের খোঁজ করতে পি-৮১ নজরদারি বিমানকে নিয়োগ করা হয়। এছাড়াও দূরপাল্লার প্রিডেটর এমকিউ-৯বি সশস্ত্র ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছিল।

    অপহরণের খবর কীভাবে মিলেছিল?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউকে মেরিটটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) বৃহস্পতিবার এমভি লিলি নরফোকের (Indian Navy) অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিল। সামুদ্রিক জলপথে জাহাজের চলাচল এবং গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখে এই ইউকেএমটিও। সেই খবর ভারতের কাছে পৌঁছতেই সময় নষ্ট না করে মাঝ সমুদ্র রেসকিউ অপারেশনে নামে ভারতীয় নৌসেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gautam Adani: মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার সবথেকে ধনী গৌতম আদানি

    Gautam Adani: মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার সবথেকে ধনী গৌতম আদানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমালোচনার ঝড় সামলে শীর্ষে গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এই মুহূর্তে মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। নতুন বছরে পা দিতে না দিতেই ভাগ্যবদল। ২০২৪-র প্রথম চারদিনে গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বাড়ল ১৩.৩ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১.২ লাখ কোটি টাকা। এর ফলে ফের একবার বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরদের তালিকায় উঠে এলেন গৌতম আদানি।

    আম্বানিকে টপকে শীর্ষে আদানি

    আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিবাদে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি মিলেছে। এবার এল সাফল্যের খতিয়ান। গত বছর হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে বিপুল লোকসানের মুখে পড়ে কোম্পানি। জানুয়ারিতে এক লপ্তে সামগ্রিক অর্থের ৩৪ শতাংশের বেশি খুইয়ে ফেলেন গৌতম আদানি। যদিও ফের স্বমহিমায় তিনি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি হলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। শুধু তাই নয়, গৌতম আদানি বিশ্বের বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় দ্বাদশ স্থানে পৌঁছেছেন। গৌতম আদানির মোট সম্পদও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভাগ্যর চাকা ঘুরল! নতুন বছরে দুবাই জ্যাকপটে ৪৪ কোটি পেলেন ভারতীয় গাড়িচালক

    বাড়ল আদানির সম্পত্তির পরিমাণ

    সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার আদানি (Gautam Adani) গোষ্ঠীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগে মাত্র ৭.৬৭ বিলিয়ান মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তির মালিক ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় বুধবার পর্যন্ত ১২ নম্বর স্থানে ছিলেন মুকেশ আম্বানি। গৌতম আদানির জন্য এক ধাপ নেমে যাওয়ায় বর্তমানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যানের ব়্যাঙ্কিং দাঁড়িয়েছে ১৩। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আদানির শেয়ার সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তিনি যে অচিরেই মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে দেবেন, সেই ইঙ্গিত তখনই মিলেছিল। এর আগেও একবার সম্পত্তির নিরিখে রিলায়েন্স কর্নধারকে হারিয়ে ভারতের ধনী ব্যক্তির তকমা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন গৌতম আদানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share