Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Waqf Amendment Bill: “দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল,” বললেন জগদম্বিকা

    Waqf Amendment Bill: “দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল,” বললেন জগদম্বিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল’টি (Waqf Amendment Bill) দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে।” বুধবার কথাগুলি বললেন ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল (Jagdambika Pal)। তিনি বলেন, “এদিন যে বিলটি সংসদে পাশ করাতে পেশ করা হচ্ছে, তা দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে।”

    “ঐতিহাসিক দিন” (Waqf Amendment Bill)

    এই দিনটিকে “ঐতিহাসিক দিন” বলে অভিহিত করে জগদম্বিকা বলেন, “যৌথ সংসদীয় কমিটির কঠোর পরিশ্রম, যারা বিভিন্ন রাজ্যের স্টেকহোল্ডারদের আস্থা নিয়েছিল, তারা সফল হয়েছে।” তিনি বলেন, “জেপিসি সভাগুলিতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে বিরোধীদের বক্তব্য শোনা হয়েছিল।” যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের কঠোর পরিশ্রম সফল হয়েছে। সরকার আজ সংশোধিত রূপে বিলটি নিয়ে আসছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ এই বিল পাশ হওয়ার মাধ্যমে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলিমরা উপকৃত হবেন। আমরা গত ছ’মাস ধরে জেপিসি সভাগুলি পরিচালনা করেছি। প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে তাদের (বিরোধী পক্ষের) কথা শুনেছি।”

    জগদম্বিকার নিশানা

    বিলটির বিরোধিতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জগদম্বিকা নিশানা করেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে। তাদের বিরুদ্ধে বিষয়টির গায়ে রাজনীতির রং লাগানোর অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, “রমজানের নমাজের সময় মসজিদে কালো ব্যান্ড পরার জন্য আমাদের বিরোধী দল বা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আবেদনেই স্পষ্ট, তারা এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।” এদিকে, ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করার প্রস্তুতি নেওয়ায় এদিন বিজেপি নেতা মোহসিন রাজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইনে এই সংশোধনী পাশ হলে তা প্রান্তিক মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ‘ইদি’ (উপহার) হবে।”

    সবচেয়ে বড় ‘ইদি’

    সংবাদ মাধ্যমে (Waqf Amendment Bill) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেশের সব সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মুসলিম ভাই-বোনেদের পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এটি পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় ‘ইদি’ হবে।” বিলটির বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। সাংসদ কিরণ কুমার চামালা বলেন, “এই বিল যদি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করে, তবে আমরা এর বিরোধিতা করব।” তিনি বলেন, “বর্তমান বাজেট অধিবেশনের মধ্যেও সরকার আজ লোকসভায় আট ঘণ্টার বিতর্ক করতে রাজি হয়েছে।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পেশ

    এদিনই লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিলটি পেশ হতেই ব্যাপক হইচই শুরু করে দেন বিরোধীরা। তার পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করে রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফের হাতে সংসদ ভবনের অধিগ্রহণ আটকেছেন। ইউপিএ সরকার সংসদ ও বিমানবন্দরের জমি ওয়াকফের হাতে তুলে দিয়েছিল।” তার আগে অবশ্য রিজিজু আলোচনা ও সকলের মতামত নেওয়ার জন্য জেপিসিকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, “আমি জেপিসির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২৮৪টি প্রতিনিধি দল, ২৫টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Amendment Bill) এই বিষয়ে জেপিসির কাছে নিজেদের মতামত জানিয়েছে।” বিল পেশের ঠিক আগেই কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী বলেন, “আজ ঐতিহাসিক দিন। আজ ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল লোকসভা পেশ করা হবে। দেশের স্বার্থেই এই বিল পেশ করা হচ্ছে।”

    ওয়াকফ সম্পত্তি

    প্রসঙ্গত, বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণার অধিকার এতদিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই (Jagdambika Pal)। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বারবার বহু গরিব মুসলমানের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নয়া সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কিনা, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সরকারের যুক্তি হল, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তি কোনওভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না। নয়া বিলে যে সুযোগও রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডে দুজন অমুসলিম সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আপত্তি উঠেছে। একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব (Waqf Amendment Bill)।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে প্রথম পাশ হয় ওয়াকফ আইন। ১৯৯৫ সালে ওই আইনে সংশোধনী এনে ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল ওয়াকফ বোর্ডের। তারপর থেকেই বিজেপির তরফে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। বিজেপির দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তির সমস্ত সুবিধা ভোগ করছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী। বঞ্চিত হচ্ছেন (Jagdambika Pal) সাধারণ মুসলমানরা। নয়া আইন কার্যকর হলে উপকৃত হবেন সাধারণ মুসলমানরা (Waqf Amendment Bill)।

  • National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় পতাকার (National Flag) রং হওয়ার কথা ছিল গেরুয়া। জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসও এটি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু একজনের তীব্র বিরোধিতায় বদলে যায় ভারতের জাতীয় পতাকার রং (Mohandas Karamchand Gandhi)। যাঁর জন্য জাতীয় পতাকার রং গেরুয়া না হয়ে তেরঙা হল, তিনি হলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। এহেন বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। লেখক সচিন নন্দা।

    কী লিখেছেন নন্দা? (Mohandas Karamchand Gandhi)

    বইটির ১২তম অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা ২৩১), নান্ধা লিখেছেন, “ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস একটি ৭-সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। এদের কাজই ছিল জাতীয় পতাকার রং কেমন হবে, তা নিয়ে জনগণের মতামত নেওয়া। ১৯৩১ সালে কমিটি জানায়, জনগণ চায় অশোক চক্রযুক্ত একটি কেসরি (গেরুয়া) রঙের জাতীয় পতাকা। ‘রিপোর্ট অফ দ্য ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কমিটি’র একটি অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। সেখানে লেখা হয়েছে, “এই মত একমতভাবে গৃহীত হয়েছে যে আমাদের জাতীয় পতাকার ডিভাইসের রং ছাড়া বাকি অংশ এক রংয়ের হওয়া উচিত। যদি এমন একটি রং থাকে যা সমগ্র ভারতীয়ের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য, আবার অন্যান্য রংয়ের তুলনায় বেশি স্বতন্ত্র, যে রং দীর্ঘ ঐতিহ্য দ্বারা এই প্রাচীন দেশের সঙ্গে যুক্ত – তা হল কেসরী (গেরুয়া) বা জাফরান রং। সেই মতো এই ধারণা হয়েছে যে ডিভাইসের রং ছাড়া পতাকার রং কেসরী হওয়া উচিত। আর ডিভাইস হিসেবে চরকা ব্যবহার করা হবে এ নিয়েও সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া গিয়েছে।”

    বাগড়া দিয়েছিলেন গান্ধী!

    কমিটির এই রিপোর্ট মেনে নিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং আবুল কালাম আজাদের মতো ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা এতে স্বাক্ষরও করেছিলেন। আরএসএস গেরুয়া রংকেই ‘রাষ্ট্র ধ্বজ’ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে দেয় (National Flag)। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তটি মহাত্মা গান্ধীর (Mohandas Karamchand Gandhi) কারণে বাতিল হয়ে যায়। তাঁর সাফ কথা, জাতীয় পতাকার রং শুধু ‘তিরঙ্গা’ হওয়াই উচিত। গান্ধীর এই ভেটোর কারণে জনগণমনের আবেগ ও সভ্যতার পরিচয় উপেক্ষিত হয়। মান্যতা পায় গান্ধীর ইচ্ছা। গেরুয়া নয়, জাতীয় পতাকার রং হয় তেরঙা। বস্তুত, গান্ধীর জন্যই গেরুয়া ধ্বজা আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারেনি। নন্দা লিখেছেন, “ভারত আজও সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁচে আছে, এবং যদিও এটি (ভারত) এ নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছে, আধুনিক ভারতের কোটি কোটি মানুষ কিন্তু মনে করেন যে তাঁদের দেশের জাতীয় পতাকাটির রং ভুল (Mohandas Karamchand Gandhi)।”

    নন্ধার সাফ কথা

    সম্প্রতি সাংবাদিক বরখা দত্তকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন নন্দা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “দু’বছর শেষে এই কমিটি কংগ্রেসকে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তারা বলে, রিপোর্টে যা পাওয়া গিয়েছে, তা হল মানুষ এমন একটি পতাকা চান যা তাঁদের সাংস্কৃতিক সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে, যেই নামেই ডাকুন না কেন, তা হতে হবে কেসরী রংয়ের যার কোণের কোনও এক জায়গায় একটি চক্র থাকবে। কমিটির এই রিপোর্টে নেহরু স্বাক্ষর করেছিলেন। আবুল কালাম আজাদ এবং কমিটির অন্যান্য ছ’জন সদস্যও এটি অনুমোদন করেছিলেন। এটি গান্ধীর কাছে গেল এবং গান্ধী এটিতে ভেটো দিলেন। তিনি কমিটিকে সরিয়ে দিয়ে বললেন, আমি এটা মানব না (National Flag)। এটা তেরঙা পতাকা হতে হবে।” জানা গিয়েছে, গান্ধী (Mohandas Karamchand Gandhi) ভারতের জাতীয় পতাকায় ইউনিয়ন জ্যাক রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, যদি চরকার জায়গায় অশোক চক্র বসানো হয়, তবে তিনি একে কুর্নিস করবেন না।

    জাতীয় পতাকার রং বদল

    প্রসঙ্গত, ১১৭ বছরে ভারতের জাতীয় পতাকা পরিবর্তিত হয়েছে মোট ৬ বার। প্রত্যেকবারই এই রাষ্ট্র ধ্বজা আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে বিভিন্ন রূপে। স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া আজকের তেরঙা পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই সংবিধান কমিটির সভায় এই পতাকাটি স্বাধীন ভারতের পতাকা হিসাবে গৃহীত হয়। তিনি খুব চিন্তাভাবনা করেই রংগুলি যুক্ত করেছিলেন। তেরঙার ওপরে রয়েছে গেরুয়া রং। এটি বীরত্ব ও ত্যাগের প্রতীক। মাঝে রয়েছে সাদা রং। এটি শান্তির প্রতীক। নীচের সবুজ রং সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর মাঝখানে থাকা অশোক চক্রটি সারনাথের অশোক স্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি কর্তব্যের প্রতীক। ১৯০৬ সালে প্রথম ভারতীয় জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়। যদিও তা বর্তমান পতাকার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল (Mohandas Karamchand Gandhi)।

  • Waqf Bill 2025: নতুন ওয়াকফ আইন কেন আনা দরকার? মুসলমানদের জন্য কতটা প্রয়োজন এই সংশোধনী?

    Waqf Bill 2025: নতুন ওয়াকফ আইন কেন আনা দরকার? মুসলমানদের জন্য কতটা প্রয়োজন এই সংশোধনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫ (Waqf Bill 2025)। রাজ্যসভায় পেশ হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিল। বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সম পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সরকারের যুক্তি, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তিতে কোনও ভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না সরকারের। নতুন বিলে তার বন্দোবস্ত রয়েছে।

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী

    ওয়াকফ (Waqf Bill 2025) হল মুসলিম আইন দ্বারা স্বীকৃত ধর্মীয়, ধার্মিক বা দাতব্য উদ্দেশ্যে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির স্থায়ী উৎসর্গ। ওয়াকফ সম্পত্তি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা দান করা হয় এবং বোর্ডের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতিটি রাজ্যের একটি ওয়াকফ বোর্ড আছে। এটি একটি আইনি সংগঠন যা সম্পত্তি অর্জন, ধারণ এবং হস্তান্তর করতে পারে। ওয়াকফ সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বিক্রি বা লিজ দেওয়া যাবে না।

    ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের জমির পরিমাণ

    ওয়াকফ বোর্ড দেশ জুড়ে ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তির ৯.৪ লক্ষ একর জমি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। যার আনুমানিক মূল্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলে ওয়াকফ বোর্ড ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং ভারতীয় রেলের ঠিক পরেই। দেশজুড়ে ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। প্রধানত, কৃষিজমি, ভবন, দরগা/মাজার, কবরস্থান, ঈদগাহ, খানকাহ, মাদ্রাসা, মসজিদ, প্লট, পুকুর, স্কুল, দোকান এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়াকফ সম্পত্তি হতে পারে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে ৪০,৯৫১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওয়াকফ ট্রাইব্যুনাল ওয়াকফ বা ওয়াকফ সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা। যার মধ্যে ৯,৯৪২টি মামলা মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক ওয়াকফ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।

    ভারতে ওয়াকফ আইন

    ভারতে ওয়াকফগুলি (Waqf Bill 2025) ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। একজন সার্ভে কমিশনার স্থানীয় তদন্ত পরিচালনা করে, সাক্ষীদের তলব করে এবং নথিপত্র সংগ্রহ করে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষিত সমস্ত সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করেন। ওয়াকফটি একজন মুতাওয়াল্লি দ্বারা পরিচালিত হয়, যিনি একজন তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নানা ধরণের আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে ওয়াকফ বোর্ডকে। কখনও সম্পত্তি সংক্রান্ত, কখনও মহিলা প্রতিনিধি সংক্রান্ত বিষয়ে। ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাওয়ার বিধান রয়েছে। হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত পাল্টে দিতে পারে।

    কেন ওয়াকফ আইনে সংশোধনী

    ওয়াকফ আইনের (Waqf Bill 2025) ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার এত দিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বার বার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সম পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। এর পাশাপাশি ওয়াকফ বোর্ডে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। নতুন বিল অনুসারে, একজন অমুসলিমও বোর্ডের শীর্ষপদে বসতে পারবেন। কমপক্ষে দু’জন সদস্য অমুসলিম হওয়ার কথাও বলা রয়েছে সংশোধনীতে।

    নতুন ওয়াকফ বিলের মূল বৈশিষ্ট্য

    নতুন ওয়াকফ বিলটি অনেক দিক থেকে সংস্কারমূলক এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য লাভজনক হতে পারে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

    ১. ওয়াকফ সম্পত্তির উন্নত ব্যবস্থাপনা:

    নতুন বিলটি ওয়াকফ সম্পত্তির জন্য একটি স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কাঠামো তৈরি করবে। এতে ওয়াকফ বোর্ডের কার্যক্রম ডিজিটালাইজড হবে, যা সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণকে আরও সহজ এবং দক্ষ করবে। এতে করে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় জটিলতা কমবে এবং আরও সঠিকভাবে তা ব্যবহৃত হবে।

    ২. মুসলিমদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা:

    নতুন বিলে ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় করা অর্থ মুসলিমদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। এই আয় থেকে মুসলিম শিশুদের শিক্ষার জন্য স্কুল ও কলেজ চালানো, দরিদ্রদের সহায়তা করা, এবং মসজিদ-মাদ্রাসা সংস্করণে সহায়তা প্রদান করা হবে। এটি মুসলমানদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    ৩. ওয়াকফ বোর্ডের শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ:

    নতুন বিলে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক ওয়াকফ বোর্ড কার্যক্রমে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে থাকে। এই নতুন আইনে ওয়াকফ বোর্ডকে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ এবং কার্যকরী করে তোলা হবে।

    ৪. অপ্রাপ্ত বয়সী ও নারীদের জন্য সুবিধা:

    মুসলিম নারীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা থাকবে। তারা ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের উন্নতির জন্য সহায়তা পাবে। নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অন্যান্য সাহায্য পাওয়া সম্ভব হবে।

    ৫. সমাজে ওয়াকফের গুরুত্ব বৃদ্ধি:

    নতুন বিলে মুসলিম সমাজে ওয়াকফের গুরুত্ব আরও বাড়ানো হবে। ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এছাড়া, এই বিলটি সমাজে মুসলিমদের প্রতি সরকারি সহানুভূতির পরিমাণও বৃদ্ধি করবে।

    মুসলমানদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    ওয়াকফ (Waqf Bill 2025) ব্যবস্থাপনার সঠিক এবং স্বচ্ছ পদ্ধতি মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘকাল ধরে, অনেক ওয়াকফ সম্পত্তি অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে পড়েছে, এবং এর সুবিধা মুসলিম সমাজে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি। নতুন ওয়াকফ বিলটি এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। এতে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় সম্পত্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্য সেবায় আরো বেশি সুবিধা পাবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় একটি বৃহৎ জনগণ, এবং তাদের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। নতুন ওয়াকফ বিলটি এদের জন্য সেই সহযোগিতার একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। এটি মুসলিমদের শিক্ষার মান উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবে। নতুন ওয়াকফ বিলটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয়, শিক্ষা, ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হবে। আশা করা যায়, এই বিলটি মুসলিমদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং একটি সুখী, সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

  • Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। অনুঘটক হিসেবে তাদের কভারিং ফায়ার দিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালাল পাকিস্তান সেনা। তবে, প্রস্তুত ছিল ভারতও। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি (Krishna Ghati) সেক্টরে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এই গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তান সেনার একাধিক সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর, অন্তত পাঁচ পাক জওয়ান নিহত হয়েছেন। সীমান্তে একাধিক পাক বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ।

    কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিং (Jammu-Kashmir) 

    ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলওসি-তে (Line of Control) একটি মাইন বিস্ফোরণের পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গোলাগুলি বিনিময় হয়। পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের দিকে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, পাকিস্তানি বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখায় (Jammu-Kashmir) কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালিয়েছে। এর জবাব দিয়েছেন নাঙ্গি টেকরি ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। মঙ্গলবারের ঘটনায় পাকিস্তানের সেনার একাধিক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    পাকিস্তানের প্রয়াস ব্যর্থ করল ভারত 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সীমান্তরেখা এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ওই গুলির লড়াইয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) এলাকায়, ৪-৫ জন পাক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দিন ভর সেখানে গুলির লড়াই চলে। ওই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ পীর পঞ্জাল এলাকায়, সীমান্তরেখায় ক্রশ-ফায়ারিংয়ের (Pakistan Violates Ceasefire) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকায় সেনা এবং জঙ্গিদের লড়াইও হচ্ছে। শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় সেনার রাইজিং স্টার কোর-র প্রত্যাঘাতে নিহত হয় দুই জঙ্গি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করে বাহিনী।

  • Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ হিন্দুর আস্থা জড়িয়ে রয়েছে কুপওয়াড়ার শারদা মন্দিরের সঙ্গে। ৩৬ বছর পরে কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার শারদা মাতার (Maa Sharda) মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল। এ এক ঐতিহাসিক জয়। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে উপেক্ষা, আক্রমণ এবং দশকের পর দশক ধরে সাংস্কৃতিকভাবে হিন্দুদেরকে দমন করার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে বড় জয় পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। একটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর্ব সম্পন্ন হয় শারদা পীঠে। এই সময়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গর্ভগৃহে এই সময়ে প্রার্থনা চলে। অনেকে বলছেন দীর্ঘ চার দশক ধরে হিন্দুদের প্রতি বঞ্চনার জবাব অবশেষে দেওয়া গেল।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ কুপওয়াড়ার শারদা পীঠ (Maa Sharda)?

    ঠিক ২ বছর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসেই জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার টিটওয়াল গ্রামে দেবী শারদার এই মন্দির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাধীনতার পরে সেই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখার গা-ঘেঁষে কোনও মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক সময়ে শারদা পীঠের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা শুরু হত কুপওয়ারার টিটওয়াল গ্রাম থেকেই। কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার ঠিক পরেই পাক হানাদারদের আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় টিটওয়ালের শারদা মন্দির (Maa Sharda) ও গুরুদ্বার। দেশভাগের পর থেকেই ওই এলাকায় ওই মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল পন্ডিত সমাজ। অবশেষে ২০২৩ সালের মার্চে হয় মন্দির উদ্বোধন। এবার হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা।

    ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন মন্দির

    প্রসঙ্গত, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফ্‌রাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় অবস্থান করছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের একটি শারদা পীঠ ও শারদা (Maa Sharda) বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে বারোশো শতকের মাঝে ভারতীয় উপমহাদেশে এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির বিশ্ববিদ্যালয়। নালন্দা-তক্ষশীলার (Jammu and Kashmir) থেকেও প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে হামলা করে ভেঙে দেয় বিদেশী আক্রমণকারীরা। ঐতিহাসিকরা জানাচ্ছেন, ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা শারদী পীঠকে। পরবর্তীকালে ১৯ শতকে মহারাজা গুলাব সিং মন্দিরকে আবার সংস্কার করেন। একদা এই মন্দির ছিল জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, ষষ্ঠ ও দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে, ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়টি বিশিষ্ট মন্দিরকেন্দ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তারমধ্যে অন্যতম ছিল এই শারদা পীঠ। জানা যায়, এর গ্রন্থাগার ছিল খুবই বিশ্ব বিখ্যাত।

    ১৯৪৮ সালে পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই মন্দিরে

    এই গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য বহুদূর থেকে পণ্ডিতরা এখানে আসতেন বলে জানা যায়। জানা যায়, উত্তর ভারতে শারদা লিপির বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই মন্দিরের। বর্তমানে অধিকৃত কাশ্মীরে একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মন্দিরটি। হিন্দুদের বিশ্বাস, এখানেই সতীর ডান হাত পড়েছিল। তবে ১৯৪৮ সালের পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই তাঁদের তীর্থস্থলে।প্রসঙ্গত, সারদা পীঠে ভারতীয় দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে ২০০৪ সাল থেকেই সরব ‘সেভ সারদা কমিটি’।

    ২০২৩ সালে কুপওয়াড়ার মন্দির উদ্বোধন করে কী বলেছিলেন শাহ

    ২০২৩ সালে মন্দির উদ্বোধনের পরে অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বলেন, ‘‘৩৭০ প্রত্যাহারের পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে শান্ত হয়েছে, তা সীমান্ত এলাকায় ওই মন্দির নির্মাণ থেকেই স্পষ্ট। কেবল হিন্দু মন্দিরই নয়, জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে যে সুফি তীর্থস্থানগুলি ভেঙে দিয়েছে, সেগুলিও পুনরুদ্ধার করবে মোদী সরকার।’’ কর্তারপুরের ধাঁচেই সীমান্তের ও-পারে থাকা মূল শারদা মন্দির পর্যন্ত হিন্দুদের যাত্রার ব্যবস্থার দাবিও উঠেছে বারবার।কর্তারপুর করিডরটি ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই স্থানে আছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ শিখ উপাসনালয়। প্রথমটি হল পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিব এবং আরেকটি হল পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক। এই সংযোগস্থল হল তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে তাদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। সারদা পিঠ করিডোর  এর ক্ষেত্রেও সরকারের একই চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের।

  • Ayodhya: রামনবমীর আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা, ৫০ লাখ ভিড় হতে পারে, অনুমান প্রশাসনের

    Ayodhya: রামনবমীর আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা, ৫০ লাখ ভিড় হতে পারে, অনুমান প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরেই অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দিরে প্রবেশ করেছেন রামলালা। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। তারপর থেকে এটা দ্বিতীয় বর্ষ। মন্দিরে প্রবেশের পরে দ্বিতীয়বার রামনবমী অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সরযূ নদীর ধারে অযোধ্যায়। রামনগরীতে একেবারে সাজো সাজো রব এনিয়ে। প্রভু রামের জন্মোৎসব পালন কোনও রকমের ত্রুটিই রাখতে চাইছে না অযোধ্যা। ভক্তি আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়ার রামনগরী যেন তপক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ভক্তদের মনস্কামনা পূরণের ভূমি হয়ে উঠেছে অযোধ্যা। ইতিমধ্যে গোটা মন্দির চত্বর সেজে উঠেছে রংবেরঙের ফুলে এবং তোরণে। সন্ধ্যা নামতেই আলোর মালায় রামমন্দির চত্বরকে আরও মায়াবি লাগছে। প্রশাসনের অনুমান, চলতি বছরে পঞ্চাশ লাখেরও বেশি ভক্ত হাজির হতে পারেন রামনবমীর (Ram Mandir) অনুষ্ঠানে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে অযোধ্যায়। সেসময় রামলালার দর্শনের সময়সীমাও বদল করা হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলা শেষ হতেই ফের আগের সময়সীমা চালু করা হয়। আগামী ৬ এপ্রিল রয়েছে রামনবমী। তার আগে উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে সরযূ নদীর ধারে।

    সেজে উঠেছে রামমন্দিরের প্রধান দ্বার (Ayodhya)

    অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে ঢোকার মুখে যে প্রধান দ্বার, সেটিকে সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বত্র যেন ভক্তির ছোঁয়া। ফুলের তোড়া সমেত অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে সাজানো এই দ্বার স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রামভক্তদের। অযোধ্যার (Ayodhya) এমন সাজ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঠিক কতটা জাঁকজমক করে পালন হতে যাচ্ছে রামনবমী। মন্দিরের গর্ভগৃহে যেখানে ভগবান রামলালার মূর্তি রয়েছে তাও সাজানো হয়েছে। গর্ভগৃহে যে সিংহাসনের ওপর রামলালা বিরাজমান রয়েছেন, সেটিকেও খুব সুন্দরভাবে এবং নানা সামগ্রী ও উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানেই প্রতিফলিত হচ্ছে ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতা।

    অযোধ্যায় ১০০-রও বেশি বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে

    এর পাশাপাশি, অযোধ্যার (Ayodhya) প্রতিটি রাস্তাতেই দেখা যাচ্ছে তৈরি করা হয়েছে ফটক। অনেক জায়গাতে তোরণও নজরে পড়ছে। সমগ্র অযোধ্যাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রাস্তাঘাটে কোথাও আবর্জনার দেখা নেই। সারাদিন ও রাতে ভক্তদের ঢল এখন থেকেই নামতে দেখা যাচ্ছে। রামমন্দির থেকে দেড় কিমি দূরে সরযূ নদী। সেই নদীর ধারেও ভক্তরা ভিড় জমাচ্ছেন। নদীর পাড়ও পরিষ্কার করা হয়েছে। রাম কি পৈদাই বলে পরিচিত ঘাটে মোমবাতি এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনও করা হচ্ছে। ভক্তরা সেখানে নিজেদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে প্রার্থনা করছেন। সমগ্র অযোধ্যার মন্দিরে আকাশে-বাতাসে বর্তমানে ভজন এবং কীর্তন শোনা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ধর্মীয় গানও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে রাস্তায় এবং মন্দির চত্বরে। সমগ্র অযোধ্যায় ১০০-রও বেশি বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। এগুলো থেকেই রামলালার দর্শন এবং রামনবমীর উদযাপন দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রামনবমীতে ৫০ লাখ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর আবহে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ দ্বিতীয় বছরের রামনবমীতে ৫০ লাখ মানুষ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে অযোধ্যায়। এনিয়েই ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন বৈঠক চলছে প্রশাসনের মধ্যে। অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হচ্ছে অযোধ্যায় (Ayodhya)। তৈরি করা হয়েছে ক্যাম্প।

    ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে সিসি ক্যামেরা

    রামনগরীর প্রতিটি রাস্তায় নজরে পড়ছে ব্যারিকেড। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখার জন্য সিসি ক্যামেরাও সেখানে রাখা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের আরাম এবং অন্যান্য সুবিধার কথা ভেবে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে, গরমে বা অন্য কোনও কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশেষ মেডিক্যাল টিমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া, দমকল সমেত অন্যান্য এমারর্জেন্সি সার্ভিসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    স্থানীয় অর্থনীতিও ব্যাপক চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, রামনবমীতে একটি বড় করে আরতি হবে রাম জন্মভূমিতে। এই আরতি দর্শনেও জমবে ব্যাপক ভিড়। সেখানে সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও পালিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে দেখানো হবে ভগবান রামের জীবনী এবং তাঁর শিক্ষা। শুধুমাত্র তাই নয়, রামনবমীর মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিও ব্যাপক চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হোটেল, গেস্ট হাউস এবং ধর্মশালাগুলিও সম্পূর্ণভাবে বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধর্মীয় সামগ্রীও বিক্রি করছেন। ফুল-প্রসাদ ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।

  • Waqf Bill: চলতি অধিবেশনেই নয়া আইন পাশ করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র, বুধেই সংসদে পেশ ওয়াকফ বিল?

    Waqf Bill: চলতি অধিবেশনেই নয়া আইন পাশ করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র, বুধেই সংসদে পেশ ওয়াকফ বিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পাশ করাতে উদ্যোগী মোদি সরকার। মঙ্গলে বৈঠকের পর, বুধে সংসদে পেশ হতে পারে ওয়াকফ বিল। দ্বিতীয় পর্বের বাজেট অধিবেশন শেষ হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। তার আগেই সংসদে এই নতুন বিল পাশ করাতে চাইছে কেন্দ্র। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারেই ওয়াকফ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে সরকার।

    মঙ্গলে বিশেষ বৈঠক

    গত বাদল অধিবেশনেই ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) সংসদে পেশ করে শাসক গোষ্ঠী। কিন্তু তা পেশ করতেই উত্তাল হয় পরিস্থিতি। বিল নিয়ে আলোচনার জন্য একটি জেপিসি বা যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। কিছু সংশোধনের পর, জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বে এই কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এবারের বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিল লোকসভায় জমা দেওয়া হয়েছে জেপিসির তরফে। তবে তা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। চলতি অধিবেশনে সেই কাজটা শেষ করতে চায় শাসক দল বিজেপি। জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারেই ওয়াকফ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি, দুপুরে এই নিয়ে একটি বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির (Business Advisory Committee) বৈঠকও ডেকেছেন লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সংসদ সূত্রে খবর, মঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে কোন কক্ষ হয়ে বিল পাশ করানো হবে সেই নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই কাজ মিটলেই আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ বিল নিয়ে শুরু হতে পারে আলোচনা। কেন্দ্রের প্রত্যাশা, এই অধিবেশন শেষের আগেই সংসদ থেকে পাশ করানো হবে ওয়াকফ বিল।

    ১০০ শতাংশ উপস্থিতি প্রয়োজন

    সূত্রের খবর, বিল (Waqf Bill) পাশ করাতে ইতিমধ্যেই দলীয় সংসদদের ১০০ শতাংশ হাজিরা নিশ্চিত করতে তিন লাইনের হুইপও জারি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই প্রসঙ্গে সংসদের পরিষদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানাচ্ছেন, ‘সাংসদদের কাছে এটা আমার বিশেষ অনুরোধ, যখন আমরা বিল আনার পরিকল্পনা কষছি, সেই সময় আলোচনার জন্য তাদেরও ১০০ শতাংশ উপস্থিতি প্রয়োজন।’

  • India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারত-বিরোধী মন্তব্যে বিতর্ক উসকে দিলেন বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus )। চিন সফরে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ইউনূস। তাঁর দাবি, ‘‘উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের অভিভাবক। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।’’ ইউনূসের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শর্মা এই মন্তব্যকে “অপমানজনক এবং কঠোরভাবে নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেছেন।

    ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অস্থির করার প্রয়াস

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মন্তব্য ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে করা হয়েছে এবং এটি “চিকেন’স নেক” করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ভঙ্গুরতা প্রদর্শন করছে। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের মন্তব্য উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ এটি পূর্বে কিছু শক্তির দ্বারা ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াসের পুনরাবৃত্তি। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে এমন কিছু সংগঠন রয়েছে যারা এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরটি বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতকে অস্থির করে তুলবে।’’ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তিনি বিশেষভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রের কাছে এই অঞ্চলে রেলপথ এবং সড়ক যোগাযোগে উন্নতি আনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পথ এবং চিকেন’স নেক করিডর বাইপাস করার জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন হলেও, সঠিক সংকল্প এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে এই কাজ সম্ভব বলে দাবি করেন হিমন্ত।

    ভুল ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা

    এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত (India Bangladesh Relation) ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার শ্রীমতি ভীনা সিক্রি মন্তব্য করেছেন, “ইউনূসের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিস্ময়কর। তাঁর এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।” তাঁর কথায়, “তিনি জানেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য আমাদের ফরমাল চুক্তি রয়েছে… এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা উচিত।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে সংযোগের অধিকার দিতে আগ্রহী না হয়, তবে তারা নদী-সংলগ্ন রাষ্ট্র হিসেবে কোনও অধিকার দাবি করতে পারে না। তাই তাদের এটি স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে কোনও ভুল ধারণা পোষণ যেন না করে বাংলাদেশ।”

    বিকল্প পথ তৈরি করেই জবাব

    ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য তথা টিপ্রা মথা দলের সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা। তিনি বলেন, ‘‘এটা ভারতের জন্য আদর্শ সময়, আমাদের উচিত আদিবাসী জনগণের সমর্থনে মহাসাগরের দিকে একটি রুট তৈরি করা, যারা একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত, যাতে আমরা আর কোনও কৃতঘ্ন শাসকের উপর নির্ভরশীল না থাকি।’’ দেববর্মা তার এক্স হ্যান্ডলে আরও লিখেছেন, ‘‘১৯৪৭ সালে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় ভুল ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের অধিকার হারানো, যদিও সেখানে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিল। ইউনূস হয়ত ভাবেন তিনি মহাসাগরের রক্ষক, তবে বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি এক অস্থায়ী নেতা।’’ টিপ্রা মথা নেতা আরও মনে করিয়ে দেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত চট্টগ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তিনি লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রিপুরা শুধু কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত।’’

    ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি

    যদিও ইউনূসের এই মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়নি ভারত (India Bangladesh Relation)। তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার করা এই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাতে পারে নয়াদিল্লি। উত্তরপূর্ব ভারতের ৬ রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য চিনের নির্দেশেই ইউনূস এই বিবৃতি দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকার মনে করছে উত্তরপূর্বের ৭ রাজ্য সমুদ্রে পৌঁছতে বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল এই তথ্য সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং এই এলাকা মোটেই স্থলবেষ্ঠিত নয়। ভারতের একটি সুবিশাল উপকূল এলাকা রয়েছে। যেখান থেকে সারা দেশকে পরিষেবা দেওয়া হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের সঙ্গে আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত।

    নির্ভয় ভারত

    চিনে বাংলাদেশের বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতকে টেনে আনার প্রসঙ্গে ইউনূসের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য সঞ্জীব স্যান্যাল। এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে চিন বিনিয়োগ করতেই পারে। কিন্তু এতে ভারতের স্থলবেষ্টিত সাত রাজ্যের কথা টেনে আনার কী তাৎপর্য? এটা সত্যিই বিরক্তিকর। এর যথাযথ ব্যাখার প্রয়োজন রয়েছে। চিনের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে জড়িয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস? তাই কি জনসমক্ষেই সেই ঘোষণা করে দিলেন ইউনূস?’’ প্রথমে পাকিস্তান, আর এবারে চিন। ভারতের বিরুদ্ধে দল ভারী করছেন বাংলাদেশের শাসক ইউনূস। তাতে অবশ্য উদ্বেগের কোনও কারণ নেই ভারতের। শিলিগুড়ি করিডর দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বের সাত রাজ্যে যোগাযোগ রয়েছে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে। বাংলাদেশের তিন দিকের সীমানার অধিকাংশই আবদ্ধ ভারত দিয়ে। আর সেই বাংলাদেশে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা ইউনূস বললেন, চিনের দিক থেকে ভারত মহাসাগরের নাগাল পাওয়ার জন্য একমাত্র উন্মুক্ত স্থান বাংলাদেশ। এ মন্তব্য হাস্যকর বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    অস্থির বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা

    উল্লেখ্য, এর আগে ক্ষমতায় আসার সময়ও ভারতকে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রত চায়, তাহলে তাদের ভোলা উচিত না, ওদেরও সেভেন সিস্টার্স আছে। এরপরে আবার ইউনূসের সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের অধীনে সেভেন সিস্টার্সকে অন্তর্গত করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে ইউনুসের সুর ‘বদল’ হয়। ইউনূস বলেন, ‘ভারতের সেভেন সিস্টারের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করব আমরা। আমাদের সমুদ্র বন্দরে ভারত পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারবে। তাতে তারাও আমাদের পণ্য আমদানি-রফতানি করবে। এই সুযোগ পেলে তারা আনন্দিত হবে। তাদের ব্যবসার সঙ্গে আমাদেরও ব্যবসা সমৃদ্ধ হবে।’ আসলে ইউনূস জানেন, চাল, পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্যে এখনও সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় বাংলাদেশকে। অপরদিকে সম্প্রতি আবার বিদ্যুতের জন্যে আদানির কাছে নতুন করে ‘আবদার’ করেছিল ঢাকা। ইউনূস আসলে জানেন যতই ভারত বিরোধিতা করুক না কেন, বাংলাদেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল। গত ৬ মাস ধরে সরকার চালালেও বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল এখনও ফেরাতে পারেননি ইউনূস। দুর্ভোগ কমেনি সেই দেশের সাধারণ মানুষের। তাই সেই দুর্ভোগ চাপা দিতে ভারতকেই বারবার আশ্রয় করে বাংলাদেশ। কখনও সাহায্য চেয়ে আবার কখনও বিরোধিতা করে।

  • Uttarakhand: দাসত্বের চিহ্ন মুছে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা, ১৫ জায়গার নাম বদল করল উত্তরাখণ্ড সরকার

    Uttarakhand: দাসত্বের চিহ্ন মুছে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা, ১৫ জায়গার নাম বদল করল উত্তরাখণ্ড সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ১৫টি জায়গার নাম বদল করল পুষ্কর সিং ধামির সরকার। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই নাম বদল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার (Uttarakhand Govt)। জানা গিয়েছে, হরিদ্বার, দেরাদুন, নৈনিতাল এবং উধম সিং নগর জেলার ১৫টি জায়গার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল সোমবারই একথা জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    কী বলছেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী?

    কিন্তু হঠাৎ কেন এই নাম পরিবর্তন করা হল? এনিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, রাজ্যের মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই স্থানগুলির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির দাবি, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল ভারতীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণে অবদান রাখা মহান ব্যক্তিত্বদের সম্মান জানিয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা।

    কোন কোন জায়গার নাম বদল?

    উত্তরাখণ্ড রাজ্যের (Uttarakhand) সরকার জানিয়েছে, হরিদ্বারের অন্তর্গত ঔরঙ্গজেবপুরের নাম পরিবর্তন করে শিবাজিনগর, ঘাজিওয়ালির নাম পরিবর্তন করে আর্যনগর, মহম্মদপুর জাটের নাম মোহনপুর জাট, খানপুর কুরসালির নাম আম্বেদকর নগর, ইদ্রিশপুরের নাম নন্দপুর, খানপুরের নাম কৃষ্ণপুর এবং আকবরপুর ফজলপুরের নাম বিজয়পুর করা হচ্ছে। একইভাবে, দেরাদুনের অন্তর্গত মিয়াওয়ালার নাম রামজিওয়ালা, পীরওয়ালার নাম কেশরি নগর, চাঁদপুর খুর্দ-এর নাম পৃথ্বীরাজনগর এবং আবদুল্লানগরের নাম দক্ষনগর করা হয়েছে। নৈনিতালের অন্তর্গত নবাবি রোডের নাম বদলে অটল মার্গ এবং পাঁচাক্কি থেকে আইটিআই রোডের গুরু গোলওয়াকার রোড করা হচ্ছে। উধম সিং নগরে নগর পঞ্চায়েত সুলতান পট্টির নাম বদল করে কৌশল্যাপুরী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুষ্কর সিং ধামির সরকার। পুষ্কর সিং ধামি সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকেই। উত্তরাখণ্ডের বিজেপির মিডিয়া ইন-চার্জ মানবীর সিং চৌহান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত উত্তরাখণ্ডের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেই তুলে ধরবে।

  • Nagaland: আরও সহজ উত্তর-পূর্ব যাত্রা, রেল মানচিত্রে কোহিমাকে জুড়তে উদ্যোগ মোদি সরকারের

    Nagaland: আরও সহজ উত্তর-পূর্ব যাত্রা, রেল মানচিত্রে কোহিমাকে জুড়তে উদ্যোগ মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপূর্ব ভারতে ক্রমশই উন্নত হচ্ছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই আবহে নাগাল্যান্ডের (Nagaland) রাজধানী কোহিমাকে রেল মানচিত্রে জোড়ার কাজ এগোল আরও একধাপ। রেল যোগাযোগের মাধ্যমে জুড়তে চলেছে নাগাল্যান্ডের সোখুবই ও মলভম নামের দুটি জায়গা। জানা যাচ্ছে, এই ব্রডগেজ প্রকল্প খুব তাড়াতাড়ি শুরু হচ্ছে। এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত ২৭ এবং ২৮ মার্চ। প্রসঙ্গত কোহিমা পর্যন্ত রেল চালু করতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর আগে সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের জন্য ধানসিঁড়ি থেকে সোখুবই পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হয়। এর পর ফের ট্রেন মানচিত্রে নাগাল্যান্ডের রাজধানীকে (Kohima) জুড়তে পদক্ষেপ করতে দেখা গেল রেলকে।

    সর্বোচ্চ গতি থাকবে ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা

    জানা গিয়েছে, সোখুবই ও মলভম পর্যন্ত ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা রাখার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে একদল রেল আধিকারিক দুই স্থানেই পরিদর্শন করে গিয়েছেন বলে খবর। এই পরিদর্শনকালে, রেলওয়ে নিরাপত্তা আধিকারিক সুমিত সিংহলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (এনএফআর) উচ্চপদস্থ কর্তারাও হাজির ছিলেন। প্রশাসনিক আধিকারিক অঞ্জনি কুমার, আশুতোষ কুমার মিশ্র, রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ সিং প্রমুখরা।

    বড় মাইলফলক পের হবে রেল (Nagaland)

    মনে করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে একটা বড় মাইলস্টোন পেরবে ভারতীয় রেল (Nagaland)। নাগাল্যান্ডের যে প্রাকৃতিক সম্পদ তা সহজে আনা যাবে এবং ব্যবহার করা যাবে। উত্তরপূর্ব ভারতের (Kohima) সঙ্গে দেশের অন্যান্য় অংশে যোগাযোগও বাড়বে। রেল যোগাযোগের মাধ্যমে দুর্গম এলাকাগুলোতে পর্যটকদের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই ট্রেন পরিষেবা চালু হয়, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নয়নে অজস্র প্রকল্প চালু করেছে। যার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রেল যোগাযোগকে।

LinkedIn
Share