Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Scrap Selling: আবর্জনা বেচেই ১,১৬৩ কোটি! মোদি সরকারের নয়া রেকর্ড 

    Scrap Selling: আবর্জনা বেচেই ১,১৬৩ কোটি! মোদি সরকারের নয়া রেকর্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র কাগজের ফাইল, খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা (Scrap Selling) বিক্রি করেই ১,১৬৩ কোটি টাকা আয় করল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এইসব আবর্জনা বিক্রি করে সরকার আয় করেছে ১,১৬৩ কোটি টাকা। ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযান ভারতের কাছে ২০০৩ সালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই অভিযানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। আর আবর্জনা বিক্রি করেই তার দ্বিগুণ টাকা তুলে ফেলল মোদি সরকার (Modi Government)। যা এক নয়া রেকর্ড।

    রেকর্ড আয়

    ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র দৌলতে গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি তথ্য এখন কম্পিউটারেই নথিবদ্ধ করা হয়। সেই কারণে কাগজে লেখার চল আর তেমন নেই বললেই চলে। ফলে ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর সাফাই অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৯৬ লক্ষ কাগজের নথিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অফিসগুলিতে প্রায় ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে। শুধুমাত্র চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই আয় হয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা। প্রায় ২৪ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল হয়েছে চলতি বছরেই। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভেন্স বিভাগের সচিব, ভি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ওই এক মাসে, ভারতে এবং বিদেশের ২,৫৮,৬৭৩টি অফিসে স্বচ্ছতা অভিযান (Scrap Selling) চলেছে।

    আরও পড়ুন: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি

    কোন মন্ত্রকের কত আয়

    আবর্জনা বিক্রির (Scrap Selling) ৫৫৭ কোটি টাকার মধ্যে মোদি সরকারের (Modi Government) সিংহভাগ এসেছে রেল মন্ত্রক থেকে। তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এর পর রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, আয় ১৬৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। আয় ৫৬ কোটি টাকা। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে কয়লা মন্ত্রক, আয় ৩৪ কোটি টাকা। তবে, তারা আবার অফিসের জায়গা খালি করার দিক থেকে সবার আগে আছে। কয়লা মন্ত্রক খালি করেছে ৬৬ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। এরপর রয়েছে ভারী শিল্প মন্ত্রক, ২১ লক্ষ বর্গফুট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খালি করেছে, ১৯ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস। বিদেশ মন্ত্রক চলতি বছরে প্রায় ৩.৯ লক্ষ ফাইল বাতিল করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi Visit  Ayodhya: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি

    PM Modi Visit  Ayodhya: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যা ধাম’-এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কার্যত আজ, শনিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র বোধন। আজ, ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা ধাম জংশন স্টেশন ও মহর্ষি বাল্মিকীর নামাঙ্কিত নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Visit  Ayodhya)। তার আগে অযোধ্যাজুড়ে সাজো সাজো রব। রেলস্টেশন, এয়ারপোর্ট সহ অযোধ্য়ার অলিতে গলিতে তুমুল ব্য়স্ততা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। 

    বিমানবন্দরের উদ্বোধন

    শনিবার অত্যাধুনিক বিমানবন্দর উদ্বোধনের পাশাপাশি ১৫ কিলোমিটার পথে রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর। আগে অযোধ্যা বিমানবন্দরের নাম ছিল ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম অযোধ্যা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট’। উদ্বোধনের দিন থেকেই এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ঢেলে সাজানো হচ্ছে গোটা অযোধ্যা নগরী। পুরোনো মন্দিরগুলো সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তাও। আগামী ২২ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অস্থায়ী মন্দির থেকে ৫ বছরের রামলালার মূর্তি কোলে নেবেন ও তা নতুন রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করবেন। এর জন্য তিনটি ৫১ ইঞ্চির মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। তিনটি মূর্তিরই ডিজাইন সম্পূর্ণ আলাদা। তিন জন আলাদা শিল্পী এই মূর্তিগুলি তৈরি করছেন। রামমন্দির ট্রাস্টের সদস্যদের ভোটে বেছে নেওয়া হবে যে কোনও একটিকে। সেটাই প্রতিষ্ঠা করা হবে জানুয়ারিতে।

    নয়া ট্রেনের যাত্রা

    এদিন মোদি ‘অমৃত ভারত’ ট্রেনের উদ্বোধন করবেন অযোধ্যা থেকে। তার একটি চলাচল করবে বিহারের দারভাঙ্গা থেকে নয়াদিল্লির আনন্দ বিহার রুটে। যেটি অযোধ্যায় থামবে। আর একটি রুট বাংলার মালদা টাউন থেকে বেঙ্গালুরু। তার উদ্বোধনও আজ অযোধ্যা থেকেই করবেন তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, অযোধ্যার উন্নয়নের জন্য শনিবারই ১৫,৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার মধ্যে রয়েছে রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চান মোদি। 

    আরও পড়ুন: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    আজ অযোধ্যায় সারাদিন

    ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকাল ১০.৪৫ মিনিটে অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর রোড শো রয়েছে। তারপর সকাল ১১.১৫ মিনিটে অযোধ্যা ধাম জংশনের উদ্বোধন। সকাল ১১.৩০ টায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস-সহ বেশ কিছু ট্রেনের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২.১৫ মিনিটে মহর্ষি বাল্মিকী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন মোদি। দুপুর ১টায় জনসভায় প্রায় ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেবন তিনি। দুপুর ২.৪০ মিনিটে দিল্লি থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা হবে প্রথম বিমান। বিকেল ৪টে অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরে প্রথম বিমান অবতরণ করার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    Ram Mandir: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Ram Mandir Inauguration)। মন্দির উদ্বোধনের দিন আনা হবে বিশেষ গোলাপী রঙের গোলাপ, যার প্রতিটি পাপড়িতে থাকবে শ্রী রামের ছবি। গোলাপের পাপড়িতে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মুখও। বিশেষ এই গোলাপে লেখা থাকবে জয় শ্রী রাম।

    কেমনভাবে প্রস্তুত এই বিশেষ গোলাপ

    বছর ঘুরলেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Ram Mandir Inauguration)। আপাতত গর্ভগৃহেরই উদ্বোধন করা হবে। এখানেই প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন আনা হবে বিশেষ গোলাপী রঙের গোলাপ, যার প্রতিটি পাপড়িতে শ্রী রামের (Sree Ram) ছবি থাকবে। এই বিশেষ ফুল তৈরির জন্য গুজরাট থেকে একজন ফ্লোরিস্টকে আনা হচ্ছে। অশোক বনসলী নামক ওই ফুল বিক্রেতা জানান, তিনি এক বিশেষ প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যেখানে ফুলের পাপড়িতে ছবি ছাপানো সম্ভব। চার বছর সময় লেগেছে এই প্রযুক্তি তৈরি করতে। একগুচ্ছ গোলাপ ফুল তুলেও দেখান ওই ফ্লোরিস্ট, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রামলালার নাম লেখা রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র যে ডাক দিয়েছিলেন, তা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই আধুনিক প্রিন্টিং টেকনোলজি তৈরি করেছেন অশোক বনসলী। রাম মন্দির সাজানোর জন্য ব্যবহৃত ফুল ও গাছের পাতায় রামলালার নাম লেখা থাকবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ৩ থেকে ৪ হাজার ফুলে এই ছবিগুলি ছাপানো থাকবে। এর আগে, ২০২০ সালে রাম মন্দিরের ভূমি পুজার দিনও তিনি এইরকমের ৫০০ ফুল তৈরি করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ULFA Peace Deal: উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের স্বাক্ষর হল ত্রিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি

    ULFA Peace Deal: উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের স্বাক্ষর হল ত্রিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষিদ্ধ ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম বা উলফা (ইউএলএফএ) সংগঠনের সঙ্গে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে অসম সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক স্থায়ী শান্তিচুক্তি (ULFA Peace Deal) স্বাক্ষরিত হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, “এই চুক্তির ফলে উত্তরপূর্ব সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হবে উলফা (ইউএলএফএ)।”

    কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ULFA Peace deal)?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে উলফা নেতৃত্বদের আশ্বস্ত করতে চাই। ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির (ULFA Peace Deal) প্রক্রিয়াকে সফল করবার জন্য তাঁদের আহ্বান জানাবো। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। উত্তর-পূর্বের অনেক এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর আইন এএফএসপিএ অপসারণই প্রমাণ করে দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদ বর্তমানে সমাপ্তির পথে।”

    চুক্তি স্বাক্ষরে ২৯ জনের প্রতিনিধি

    সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপূর্ব ভারতের অসমে বিচ্ছিন্নতাবাদের উপর একটি অতি সক্রিয় সংগঠন ছিল উলফা। এদিন উলফার মোট ২৯ জনের একটি প্রতিনিধির দল দিল্লিতে চুক্তি স্বাক্ষর করতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন সংগঠনের সদস্য এবং বাকি ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ছিলেন। এই চুক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ চুক্তি কারণ, এই নিষিদ্ধ সংগঠন উলফার বিচ্ছিন্নতাবাদ অসম রাজ্যে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিদ্রোহী সংগঠনকে প্রশমন করতেই উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের সাথে চুক্তিতে (ULFA Peace Deal) স্বাক্ষর হল। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শুধু আসাম নয়, গোটা উত্তরপূর্বের জন্য এই চুক্তি শান্তির বাতাবরণ তৈরি করবে।

    উলফা ১৯৭৯ সাল থেকেই সক্রিয়

    এই নিষিদ্ধ সংগঠন উলফা, অসমে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। এরপর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ লড়াইকে অব্যহতি দিয়ে অসম রাজ্য সরকারের সাথে নিঃশর্ত আলোচনায় সম্মত হয়। এরপর থেকে এই উলফা দুই দলে ভাগ হয়ে যায়। একটি দলের নেতা ছিলেন পরেশ বড়ুয়া, অনুপ চেটিয়া। তাঁরা নিজেদের ভাবনায় স্থির থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিপক্ষে মত দেন। অপরদিকে যে দলটি আলোচনা চেয়েছেন, তাঁরা অসমের মূলনিবাসীদের পরিচয় এবং তাঁদের সম্পদের সুরক্ষায় রাজ্যের কাছে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক সংস্কার চেয়ে জমির অধিকার দাবি করেন। কেন্দ্র সরকার এই চুক্তির বিষয়ে গত এপ্রিল মাসে একটি চুক্তি (ULFA Peace Deal) প্রস্তাবের খসড়া পাঠিয়েছিল। এরপরে গত দুই সপ্তাহ আগে দিল্লিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। ২৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে উলফার প্রতিনিধি দল আসার পর কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক পর্বে আলোচনা হয়েছিল। উত্তরপূর্বে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নাবাদকে প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছরে আসামের বিদ্রোহী বড়ো, ডিমাসা, কার্বি এবং বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনগুলির সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Abu Dhabi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করবেন মোদি, আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Abu Dhabi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করবেন মোদি, আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ার আরব আমিরশাহির রাজধানী আবু ধাবিতে (PM Modi in Abu Dhabi) বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থার উদ্যোগে নির্মিত হিন্দু মন্দির উদ্বোধন (Abu Dhabi Temple Inauguration) করার আমন্ত্রণপত্র এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। মন্দির কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এসে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। মোদির হাতে দেশে রাম মন্দির এবং বিদেশে হিন্দু মন্দির উদ্বোধনের ঘটনায় দেশজুড়ে খুশির আবহ।

    ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হবে মন্দির

    মধ্যপ্রাচ্যের ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশের শহর আবু ধাবি। সেখানে বিগত কয়েক বছর ধরেই চলছিল মন্দির নির্মাণের কাজ। এমনকী, ২০১৮ সালে আমিরাশাহি সফরে গিয়ে এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নিজের হাতে করে এসেছিলেন মোদি (PM Modi in Abu Dhabi) । মন্দির কমিটি সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ (Abu Dhabi Temple Inauguration) করতে এদিন উপস্থিত হন ঈশ্বরচরণ স্বামীজি, গুরুবর্য মহন্ত এবং ব্রহ্মহারী স্বামীজি। আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হবে এই মন্দির। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা করে এই প্রতিনিধিদল। আলোচনায় উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সম্পর্কে সাংস্কৃতিক ভাবনা এবং দর্শন চর্চা। এছাড়াও বিষয় ছিল বিশ্বের কাছে সৌহার্দ্য, হিন্দু সমাজের মাহাত্ম্য, বিশ্বের মঞ্চে ভারতের নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়।

    কেমন হবে মন্দির?

    জানা গিয়েছে, এটিই হতে চলেছে আবু ধাবিতে (PM Modi in Abu Dhabi) প্রথম স্থাপিত হিন্দু মন্দির। শহরের আল বাকবা নামে একটি জায়গায় ২০ হাজার বর্গমিটার জমির মধ্যেই এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরের স্থাপত্য এবং শিল্পকলায় যেমন আধুনিক চিত্রকলা থাকবে ঠিক একই ভাবে প্রাচীন চিত্রকলার নিদর্শনও থাকবে (Abu Dhabi Temple Inauguration)। মধ্যেপ্রাচ্যে এই মন্দির ভারতের ধর্ম এবং সংস্কৃতির একটি প্রধানকেন্দ্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • iPhone Hacking Alert: আইফোন হ্যাকিং নিয়ে মার্কিন সংবাদপত্রের খবর ‘আষাঢ়ে গল্প’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    iPhone Hacking Alert: আইফোন হ্যাকিং নিয়ে মার্কিন সংবাদপত্রের খবর ‘আষাঢ়ে গল্প’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন সংবাদপকত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত ভারতে আইফোন হ্যাকিং (iPhone Hacking Alert) সংক্রান্ত খবরকে ‘ভয়ানক ও বিরক্তিকর’ বলে উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। 

    ‘‘অর্ধেক সত্য, অলঙ্কৃত’’

    ওয়াশিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়— হ্যাকাররা তাঁদের আইফোন টার্গেট করতে পারে বলে ভারতের কয়েকজন সাংবাদিক ও বিরোধী নেতাকে অ্যাপল সতর্কবার্তা (iPhone Hacking Alert) পাঠানোর পর নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয় নির্মাণকারী সংস্থাকে। এপ্রসঙ্গে, এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। সেখানেই মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরকে খারিজ করেন। তিনি লেখেন, ‘‘ওয়াশিংটন পোস্টের এই ভয়ানক গল্প খারিজ করতেও বিরক্তি লাগছে। কিন্তু, কাউকে তো করতেই হবে। এই গল্পটি অর্ধেক সত্য, সম্পূর্ণরূপে অলঙ্কৃত।’’

    ৩১ অক্টোবর এসেছিল কোন অ্যালার্ট

    গত ৩১ অক্টোবর, ভারতের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকদের আইফোনে বার্তা পাঠিয়ে অ্যাপলের তরফে জানানো হয়েছিল, যে তাঁদের ফোনকে টার্গেট করতে পারে হ্যাকাররা (iPhone Hacking Alert)। গতকাল ওয়াশিংটন পোস্ট-এ এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে দাবি করা হয়, এই সতর্কবার্তার পরে, বিদেশ থেকে অ্যাপলের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞকে ডেকে পাঠায় ভারতীয় সরকারি কর্তারা। প্রতিবেদনে দাবি, অ্যাপলের ওই বিশেষজ্ঞের ওপর নাকি চাপসৃষ্টি করা হয়।

    অ্যাপলের বিজ্ঞপ্তিতে কী ছিল?

    পোস্ট-এর এই খবরের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar) জানান, প্রতিবেদনে অসম্পূর্ণ খবর ছাপা হয়েছে। এই মর্মে তিনি ৩১ অক্টোবর অ্যাপলের পেশ করা বিজ্ঞপ্তির অংশও পড়ে শোনান। পরের দিন, অ্যাপল নিজে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, এই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সরকারের যোগ রয়েছে, এমনটা কখনই বলা যাবে না। কারণ, এই হ্যাকাররা অত্যন্ত আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে এবং তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের আরও উন্নত করে তোলে।

    প্রতিবেদন ‘আষাঢ়ে গল্প’

    চন্দ্রশেখর জানান, অ্যাপলের (iPhone Hacking Alert) কর্তাকে ডাকা হয়েছিল ঠিকই। তবে হুমকি দিতে নয়। উল্টে তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থা সার্ট-ইন শুরু করা তদন্তে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। প্রতিবেদনটিকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ উল্লেখ করে মন্ত্রী (Rajeev Chandrasekhar) বলেন, ‘‘ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন আদতে সৃজনশীল কল্পনা এবং সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে কর্মক্ষেত্রে টোপ ফেলা ছাড়া কিছুই নয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangla Ayodhya Train: বাংলা থেকে অযোধ্যা বিশেষ ট্রেন! বঙ্গবাসীর রাম মন্দির দর্শনে উদ্যোগ বিজেপির

    Bangla Ayodhya Train: বাংলা থেকে অযোধ্যা বিশেষ ট্রেন! বঙ্গবাসীর রাম মন্দির দর্শনে উদ্যোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ২২ জানুয়ারি থেকেই বাংলা থেকে প্রতিদিন একটি করে অযোধ্যা এক্সপ্রেস ট্রেন (Bangla Ayodhya Train) পরিষেবা চালুর ভাবনা বিজেপির। দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে এই মর্মে। বাংলার বিজেপির কর্মী সমর্থক অথবা সাধারণ মানুষ, যে কেউ যদি রামমন্দির দর্শন করতে যেতে চান তাহলে নিখরচায় যাত্রীদের নিয়ে ট্রেন পৌঁছে যাবে অযোধ্যায়। এমনই উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।

    বাংলা-অযোধ্যা রেল-যোগ

    আগামিকাল ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা রেল স্টেশনের (Bangla Ayodhya Train) উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অযোধ্যা স্টেশনের নাম বদলের কথা জানিয়ে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লাল্লু সিং। এক্স হ্যান্ডলে তিনি জানান, অযোধ্যা স্টেশনের নতুন নাম হবে ‘অযোধ্যা ধাম’। কলকাতা থেকে রেলপথে অযোধ্যা ধামের (নতুন নাম) দূরত্ব ৮৭৫ কিলোমিটার। কলকাতা স্টেশন থেকে প্রতিদিন রাতে ছাড়ে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস। পাশাপাশি, হাওড়া থেকে প্রতিদিন ছাড়ে দুন এক্সপ্রেস। রেলের বর্তমান পরিষেবায় বাংলা থেকে সরাসরি অযোধ্যা যেতে হলে এই দু’টি ট্রেনই রয়েছে। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের পরে বাংলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ যাবেন অযোধ্যায় মন্দির দর্শনে। ফলে রেলের ওই দু’টি ট্রেন তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত হবে না। সেই কারণে রেলের কাছে ইতিমধ্যেই বিজেপি বিশেষ ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, রেলও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। শুধু বাংলা নয়, সব রাজ্য থেকেই এমন ট্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।

    আরও পড়ুন: পরনে হিজাব, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি! হেঁটে মুম্বই থেকে অযোধ্যা পাড়ি শবনমের

    বিশেষ ট্রেন পরিষেবা

    ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগে, বাংলা থেকে দলের নেতা-কর্মীদের অযোধ্যা পাঠাতে চায় বিজেপি। রামমন্দিরে রামলালার দর্শন সেরে ফেরার পরেই শুরু হবে নির্বাচনী লড়াই। বুধবার রাজ্য বিজেপির বর্ধিত কার্যকারিণী বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রেল গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অযোধ্যাগামী বিশেষ ট্রেন চালাবে। সেই ট্রেনে চেপেই নেতা-কর্মীদের যেতে হবে অযোধ্যায়। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়ে গেলেও অযোধ্যায় ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুণ্যার্থী আসার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এর পর প্রতিটি রাজ্যের জন্য একটি করে ট্রেনের ব্যবস্থা করছে সঙ্ঘ পরিবারও। দীর্ঘ সময় ধরে যাঁরা রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই ট্রেনে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার কথা। এর জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে বিভিন্ন রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা থেকে সেই বিশেষ ট্রেনটি ছাড়বে ৫ ফেব্রুয়ারি। সেই ট্রেনটিই অযোধ্যায় দু’দিন থাকার পরে যাত্রীদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: পরনে হিজাব, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি! হেঁটে মুম্বই থেকে অযোধ্যা পাড়ি শবনমের

    Ayodhya Ram Mandir: পরনে হিজাব, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি! হেঁটে মুম্বই থেকে অযোধ্যা পাড়ি শবনমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামের (Ayodhya Ram Mandir) উপাসনা করতে হিন্দু হওয়ার প্রয়োজন নেই। মন থেকে ভালো মানুষ হলেই রামের ভক্ত হওয়া যায়। এই বিশ্বাসকে সঙ্গে করেই মুম্বই থেকে হেঁটে অযোধ্যা চলেছেন মুসলিম তরুণী শবনম। পরনে হিজাব, সঙ্গে গেরুয়া ধ্বজ, ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টিকারীদের বার্তা দিতেই হাঁটতে শুরু করেছেন শবনম। তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তা সত্ত্বেও ভগবান রামের প্রতি তাঁর অটল ভক্তি। 

    কী বলছেন শবনম

    স্টিরিওটাইপ বিশ্বাস ভেঙে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ২২ জানুয়ারির প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে পৌঁছবেন রামভক্ত মুসলিম তরুণী শবনম। কট্টরপন্থীদের চোখরাঙানিকে ভয় না পেয়েই, শবনম গর্ব করে বলেন, ‘‘রাম পুজো করতে হিন্দু হওয়ার দরকার নেই, ভালো মানুষ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’’ বর্তমানে, শবনম প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হাঁটছেন। মুম্বই থেকে শুরু করে তিনি পৌঁছেছেন মধ্যপ্রদেশের সিন্ধভা পর্যন্ত। এই যাত্রাপথে শবনমের অপর দুই সঙ্গী রামভক্ত রমন রাজ শর্মা এবং বিনীত পাণ্ডে। শবনম বলেন, ‘‘ভগবান রাম সকলেরই। জাত বা ধর্মের ভেদাভেদ করে তাঁর ভাগ করা যায় না। রামের উপাসনা করতে গেলে সমস্ত সীমানা তুচ্ছ হয়ে যায়।’’

    আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    সংহতির বার্তা

    বর্তমানে নেটপাড়ায় ভাইরাল এই তিন পুণ্যার্থীর রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) যাত্রার খবর। যাত্রাপথে তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। খাবারের ব্যবস্থা থেকে মাথা গোঁজার ঠাঁই, সব কিছুরই বন্দোবস্ত করে দিয়েছে পুলিশ। শবনমের কথায়, দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে তাঁদের। কখনও কখনও চেপে ধরছে  ক্লান্তি। তা সত্ত্বেও রামের প্রতি তাদের ভক্তি তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে শবনমকে স্বাগত জানিয়েছেন অলি-গলির মানুষ। মুসলিম নাগরিকরাও শবনমের এই উদ্যোগে খুশি। রামমন্দিরের যাত্রাপথে এই মুসলিম তরুণী বলেছেন, ‘‘তিনি সংহতির হৃদয়গ্রাহী মুহূর্তগুলি মনের মণিকোঠায় ধরে রাখতে চান।’’ তাঁকে বহু মানুষ ‘জয় শ্রী রাম’ বলে অভিবাদন জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya airport: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    Ayodhya airport: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম জন্মভূমির সঙ্গে জড়িয়ে গেল রামায়ণের রচয়িতা, মহর্ষী বাল্মীকির নামও। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জমকালো উদ্বোধন। তার আগে, ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হবে অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরের (Ayodhya airport)। বৃহস্পতিবার এর নাম বদলে ‘মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যাধাম’ করা হল। আগামী কাল, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ওই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    বিমানবন্দরে সুবিধা

    উদ্বোধনের দিনেই অযোধ্যা বিমানবন্দরে ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Ayodhya airport) চলাচল করবে। এই দুই বিমান সংস্থা ইতিমধ্যে দিল্লি, মুম্বই এবং আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত বিমান চলাচলের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। অযোধ্যা বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকার্যে আনুমানিক ১,৪৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সাড়ে ছ’হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে সেখানে তৈরি হয়েছে নতুন টার্মিনাল ভবন। ব্যস্ত সময়ে অন্তত ৬০০ জন যাত্রী সেখানে অপেক্ষা করতে পারবেন। সারা বছরে এর যাত্রীধারণ ক্ষমতা ১০ লাখের বেশি। সূ্ত্রের খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও একটি টার্মিনাল ভবন তৈরি করা হবে অযোধ্যা বিমানবন্দরে। ৫০ হাজার বর্গমিটারের সেই ভবনে ব্যস্ত সময়ে অন্তত তিন হাজার যাত্রী থাকতে পারবেন। বছরে তার যাত্রীধারণ ক্ষমতা হবে ৬০ লক্ষ।

    আরও পড়ুন: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    বিমানবন্দরে রামায়ণের কাহিনি

    বিমানবন্দর (Ayodhya airport) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি করা হয়েছে এই নতুন বিমানবন্দরটি। রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পর, রামের প্রত্যাবর্তনের সময়, অযোধ্যাবাসী যে আনন্দ অনুভব করেছিলেন, বিমানবন্দরে আগত এবং এখান থেকে প্রস্থানকারী সকল যাত্রীরা যাতে সেই অনুভূতি পান, বিমানবন্দর নির্মাণের সময় সেটাই মাথায় রাখা হয়েছিল। টার্মিনাল ভবনের ভিতগুলি রামায়ণ মহাকাব্যের মূল ঘটনাগুলির ছবিতে সাজানো হয়েছে। কাজেই টার্মিনালের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময়ই যাত্রীরা রামের পুরো কাহিনি জেনে নিতে পারবেন। এই বিমানবন্দর উদ্বোধনের জন্য শনিবারই অযোধ্যা যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখবেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Narendra Modi: স্টেশন ও বিমানবন্দর উদ্বোধনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, অযোধ্যায় কঠোর নিরাপত্তা

    PM Narendra Modi: স্টেশন ও বিমানবন্দর উদ্বোধনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, অযোধ্যায় কঠোর নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন ও রামলালার মূর্তি স্থাপন ঘিরে সাজো সাজো রব অযোধ্যায়। তার মধ্যেই শনিবার রাম-নগরীতে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। রেল স্টেশন থেকে নতুন বিমানবন্দর, সড়ক থেকে নতুন ট্রেন উদ্বোধন সহ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে অযোধ্যায় পৌঁছাবেন তিনি (Modi Ayodhya Visit)। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এই নিয়ে এখন অযোধ্যায় চরম ব্যস্ততা। 

    নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাম-নগরী

    প্রধানমন্ত্রীর সফর (Modi Ayodhya Visit) ঘিরে রাম নগরীকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। শহর জুড়ে বসানো হচ্ছে প্রচুর সিসিটিভি। রাস্তায় বসানো হচ্ছে আন্ডার ভেহিক্যল স্ক্যানার। শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৫ হাজারের বেশি পুলিশকর্মীকে। প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) যে যে রুটে যাবেন, সেখানে মোতায়েন এনএসজি কমান্ডো বাহিনী। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে ১৭ জন পুলিশ সুপার, ৪০ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৮২ সার্কল অফিসার ও ৯০ ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা রাজকিরণ নায়ার বলেন, “পুলিশ সবদিক থেকে প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী, অতিরিক্ত পুলিশ আছে। সীমান্তে জোরদার চেকিং হচ্ছে।’’

    অযোধ্যা ধাম স্টেশনের উদ্বোধন

    জানা যাচ্ছে, শনিবার পৌনে ১১টা নাগাদ অযোধ্যায় পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী (Modi Ayodhya Visit)। ফের সওয়া ২টো নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দেবেন। সাড়ে তিন ঘণ্টার এই ঝটিকা সফরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে সকল পরিকাঠামোর উন্মোচন হতে চলেছে, তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল নতুনভাবে সংস্কার হওয়া, নতুন সাজে সেজে ওঠা অযোধ্যা স্টেশন, সম্প্রতি যার নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে অযোধ্যা ধাম জংশন রেল স্টেশন। রামের মুকুটের আদলে সেজে উঠছে অযোধ্য়া ধাম জংশন। ২৪০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে লিফট, এস্ক্যালেটর, ফুড প্লাজা, চাইল্ড কেয়ার রুম। ত্রিতল এই স্টেশনকে আধুনিক ঝা চকচকে ছোঁয়া দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই স্টেশনকে সবুজ স্টেশন ঘোষণা করা হয়েছে।

    নতুন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস, বন্দে ভারতের সূচনা

    শনিবার, প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) কর্মসূচি শুরু হবে এই স্টেশন থেকেই। নতুন রূপের অযোধ্যা ধাম স্টেশন উদ্বোধনের পাশাপাশি এই স্টেশন থেকেই এক জোড়া নতুন অমৃত ভারত ট্রেনের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। একটি ট্রেন অযোধ্যা থেকে বিহারের দ্বারভাঙা যাবে। দ্বিতীয়টি মালদা টাউন থেকে বেঙ্গালুরুর এম বিশ্বেশ্বরয়া স্টেশন যাবে। এছাড়া, এদিনই আরও নতুন তিন জোড়া বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনাও করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এই অঞ্চলের রেল পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নয়নে ২৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Modi Ayodhya Visit)। 

    নতুন বিমানবমন্দরের উন্মোচন

    শুধু রেল স্টেশন নয়, নব-নির্মিত অযোধ্যা বিমানবন্দরের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। রামায়ণের মহর্ষি বাল্মীকির নামে নাম রাখা হয়েছে নতুন বিমানবন্দরের। রামমন্দিরের রূপে সেজে উঠছে নতুন বিমানবন্দর। এছাড়া, লখনউ-অযোধ্যা জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস সহ অযোধ্যা সংলগ্ন ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা মূল্যের একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তালিকায় রয়েছে— নয়াঘাট থেকে লক্ষ্মণ ঘাটের সৌন্দর্যায়ন, দীপোৎসব প্রত্যক্ষ করার জন্য দর্শক গ্যালারি, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে হাঁটার রাস্তার নির্মাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share