Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NIA Raids:  ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    NIA Raids:  ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ১৩। শনিবার সকাল থেকে কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের ৪০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে, এনআইএ (NIA Raids)। 

    দুই রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের ঠাণে গ্রামীণ এ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে পুণে এবং মীরা ভায়ান্দরেও। দুই জায়গার এই সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ১৩ জনকে। জানা গিয়েছে, ঠাণের গ্রামীণ এলাকার ৩১টি জায়গায় হানা দিয়েছে এনআইএ। ঠাণে সিটির ৯টি জায়গায়ও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে আইএস কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আকিফ আতিক নাচান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাকে জেরা করে ধরা হয় আরও পাঁচজনকে।

    জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার 

    নভেম্বরে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাবিশ নাসের সিদ্দিকি নামের আরও একজনকে। জুবেইর নুর মহম্মদ শেখ ও আদনান সরকারকে গ্রেফতার করা হয় পুণে থেকে। ঠাণে থেকে গ্রেফতার করা হয় শরজিল শেখ ও জুলফিকার আলিকে। এদিকে, গত মাসেই একটি ষড়যন্ত্র মামলায় আইসিসের পুণে মডিউলের ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করেছিল এনআইএ (NIA Raids)। আইসিসের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলার ছক কষতে অর্থ সংগ্রহ করছিল অভিযুক্তেরা।

    এই সাতজনের কাছ থেকে আইইডি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ নানা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এনআইএ-র দাবি, ওই সাতজন নানা জায়গায় শিবির করে তরুণদের আইসিসে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করত। এর পাশাপাশি জঙ্গিদের গা ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করত এই সাতজন।

    আরও পড়ুুন: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যখের ধন’!

    এনআইএ সূত্রে খবর, সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ইউএপিএ, এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট, আর্মস অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হয়েছে। অক্টোবর মাসে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল জঙ্গি শাহনওয়াজ আলমকে। সে পুণে আইসিস মডিউল সংক্রান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এনআইএ-র খাতায় দীর্ঘদিন ধরেই ওয়ান্টেড ছিল এই (NIA Raids) জঙ্গি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যকের ধন’!

    Congress: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যকের ধন’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার পর এবার ঝাড়খণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ডের সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা আয়কর দফতরের। উদ্ধার নগদ ২৫০ কোটি টাকা। ঘটনায় জড়িয়েছে কংগ্রেসের নাম। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে জিতে রাজ্যসভায় গিয়েছেন কংগ্রেসের ধীরাজ প্রসাদ সাহু।

    উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা

    এই ডিস্টিলারি সংস্থাটি তাঁরই। ওড়িশার বলঙ্গির জেলায় একটি অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২০০ কোটি টাকা। ওড়িশার সম্বলপুর, সুন্দরগড়, ঝাড়খণ্ডের বোকারো এবং রাঁচিতে অবস্থিত ধীরাজের বাড়ি ও সংস্থার বিভিন্ন অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েক কোটি টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, আলমারি ও একাধিক বাক্সে থরে থরে সাজানো ছিল টাকা। সব মিলিয়ে ঠিক কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। 

     প্রসঙ্গত, গত বছর এ রাজ্যেও উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর নগদ টাকা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। অভিযোগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছি অযোগ্যদের। এই টাকা সেই ‘চাকরি বিক্রি’র টাকা, যা গচ্ছিত রাখা হয়েছিল অর্পিতার বাড়িতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পার্থ।

    কে এই ধীরাজ?

    ধীরাজের বাড়ি ও সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুণতে ৩৬টি মেশিন আনা হয়েছিল বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর। তার মধ্যে কয়েকটি আবার নোট গুণতে গুণতে বিকল হয়ে যায়। প্রশ্ন হল, কে এই ধীরাজ? ১৯৫৫ সালের নভেম্বরে জন্ম ধীরাজের। তাঁর বাবা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। বলদেব সাহু ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে বৌধ ডিস্টিলারিজের। এর সঙ্গেই যুক্ত ধীরাজ। রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন ধীরাজ। তার পরেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।  

    ১৯৭৭ সালে রাজনীতিতে আসেন। লাহরডাগা জেলা যুব কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর ভাই শিবপ্রসাদ কংগ্রেসের টিকিটে জিতে দু’ বার লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন। ২০১০ সাল থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ। ২০১৮ সালে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার সময় ধীরাজ জানিয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪.৮৩ কোটি টাকা। তাঁর ২.৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন (Congress) ধীরাজ।

     

    আরও পড়ুুন: আশাতীত বৃদ্ধি জিডিপি-র, মোদি জমানাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃত্ততম অর্থনীতি হচ্ছে ভারত!

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • GDP Growth: আশাতীত বৃদ্ধি জিডিপি-র, মোদি জমানাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হচ্ছে ভারত!

    GDP Growth: আশাতীত বৃদ্ধি জিডিপি-র, মোদি জমানাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হচ্ছে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় রকেট গতিতে উত্থান হচ্ছে জিডিপির হার (GDP Growth)। চলতি অর্থবর্ষের শেষে এই হার আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সংক্ষেপে আরবিআই। অর্থনীতির কারবারিদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে আগামী তিন বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।

    কী বলছেন আরবিআইয়ের গভর্নর

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারত। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে সরিয়ে এই জায়গাটা দখল করেছে ভারত। ইংল্যান্ড গিয়েছে পিছিয়ে। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “চলতি অর্থবর্ষের শেষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে অনুমান করা হয়েছিল এটি ৬.৫ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে।” বুধবার থেকে টানা তিনদিন দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনায় বসে আরবিআইয়ের মুদ্রা নীতি কমিটি। সেখানে জিডিপি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

    বজায় থাকবে অর্থনীতির ভারসাম্য

    এই বৈঠক শেষে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে আশার আলোর কথা শোনান আরবিআইয়ের গভর্নর। তিনি বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির (GDP Growth) হার পৌঁছতে পারে ৭ শতাংশে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এটা ৬.৫ শতাংশ ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬ শতাংশ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার পৌঁছবে ৬.৭ শতাংশে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে যথাক্রমে ৬.৫ ও ৬.৪ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে জিডিপি বৃদ্ধার হার। ফলে অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় থাকবে। ঝুঁকিও তেমন থাকবে না।

    আরও পড়ুুন: বাইডেন-সুনক নয়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা মোদি, বলছে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, এ মাসেরই প্রথম দিকে মার্কিন সংস্থা এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার পৌঁছবে ৭ শতাংশে। আরবিআইয়ের অনুমান ঠিক হলে, তার ঢের আগেই ভারতের জিডিপি ছুঁয়ে ফেলবে ৭ শতাংশের মাইলস্টোন। এদিকে, এদিন ফের একবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই। মুদ্রানীতি বিবৃতিতে (GDP Growth) আরবিআই জানিয়েছে, রেপো রেট (বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া ঋণের সুদ) ৬.৫ শতাংশই থাকছে। তাই যাঁরা ইএমআই দেন, তাঁদের এই ইএমআইয়ের পরিমাণ বাড়ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chinese Items Banned: গত এক বছরে ৪৫% ভারতীয় কেনেননি চিনা পণ্য! কী বলছে সমীক্ষা?

    Chinese Items Banned: গত এক বছরে ৪৫% ভারতীয় কেনেননি চিনা পণ্য! কী বলছে সমীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চিন (China) থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্য বর্জন করার ডাক দেওয়া হয়েছে। চিনের পণ্যের (Chinese Items Banned In India) উপর নির্ভরতা কমাতে কেন্দ্রের মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির উপর জোর দিয়েছে। সীমান্তে চিনের বিদ্বেষী মনোভাব ভারতীয় বাজারে প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি লোকাল সার্কেলস (LocalCircles) নামক একটি সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে- ৪৫% ভারতীয়রা গত ১২ মাসে চিনা পণ্য কেনা ছেড়ে দিয়েছেন যদিও এখনও  ৫৫% মানুষ লেছেন যে তারা চিনের তৈরি পণ্যগুলি এখনও  গ্রহণ করেছেন।

    চিন থেকে এখনও কী কী কেনা হচ্ছে

    সমীক্ষায় জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ভোক্তারা গত ১২ মাসে মেড ইন চায়না পণ্যের বিভিন্ন বিভাগ থেকে কি কি  কিনেছেন? উত্তরে ৭০২২ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫৬% স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, পাওয়ার ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক বা মোবাইল আনুষাঙ্গিক ক্রয়ের কথা বলেছে, ৪৯% জানিয়েছে তারা ” উত্সবের আলো, বাতি, মোমবাতি এবং জলের বন্দুক”, ৩৩% খেলনা এবং স্টেশনারি, ২৯% “উপহার সামগ্রী” কিনেছেন, ২৬% “ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স এবং যন্ত্রপাতি (টেলিভিশন, এয়ার পিউরিফায়ার, কেটলি), ২৬% কিনেছেন “আলোর মতো ঘরোয়া পণ্য” এবং আসবাবপত্র” এবং ১৫% বলেছেন ফ্যাশন পণ্য যেমন পোশাক, ব্যাগ এবং আনুষাঙ্গিক।

    কেন চিনা পণ্য বয়কট

    ইতিমধ্যে দেশে ২০ শতাংশ চিনা দ্রব্য বিক্রি কমে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে রাজস্থানে চিনা দ্রব্য বিক্রি কমে গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সমীক্ষায় উঠে এসেছে চিনা সরঞ্জাম বর্জনের কারণও। ১২৩৫০ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬৩% বলেছেন যে তারা “ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়াতে ভারতে তৈরি পণ্য বেশি কিনেছেন”; ১৬% ইঙ্গিত করেছে যে তাদের কাছে  চিনা পণ্যের থেকে ভারতীয় বিকল্প ছিল ভাল মূল্য ও ভাল মানের সমন্বয়, তাই তারা সেই হিসাবে পরিবর্তন করেছে; ১৬% বলেছেন যে মেড ইন ইন্ডিয়া পণ্যগুলির সঙ্গে আরও ভাল গ্রাহক পরিষেবাও পাওয়া গেছে, ১৩% বলেছেন “একটি বিকল্প অ-চিনা কিন্তু বিদেশী (অ-ভারতীয়) পণ্য উপলব্ধ ছিল যার দাম, গুণমান এবং গ্রাহক পরিষেবার সমন্বয় রয়েছে”,৭ % বলেছেন যে তারা “বাজারে বা স্টোর বা অনলাইনে চিনে তৈরি পণ্যগুলি খুঁজে পাননি”।

    আরও পড়ুন: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    সরকারের সঙ্গে সহমত

    ভারতের ৩৩৪টি জেলায় এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশীয় পণ্য কেনার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন বহু ভারতীয়। গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারতীয়দের মধ্যে চিন বিরোধী মনোভাব বেড়েছে। চিনা দ্রব্য বর্জন করার জন্য রীতিমতো প্রচার চালানো হয়েছে। দেশীয় পণ্য কেনার উপর জোর দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রতিদিন পথে-ঘটে চিনা দ্রব্য বর্জনের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বয়কট করা হোক চিনা দ্রব্য, এই আবেগকে ভিত্তি করেই চলছে প্রচার৷ পাশাপাশি, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে চিনা দ্রব্য বর্জনের কথা প্রচার করা হচ্ছে৷ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে আয়কর হানা, ‘‘লুটের টাকা ফেরত দিতেই হবে’’, ট্যুইটবাণ মোদির

    PM Modi: ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে আয়কর হানা, ‘‘লুটের টাকা ফেরত দিতেই হবে’’, ট্যুইটবাণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের ২৫ জায়গায় হানা দিয়ে আয়কর দফতর উদ্ধার করেছে ২০০ কোটিরও বেশি টাকা। বেআইনিভাবে দেশি মদ বিক্রির এই কারখানার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের রাজ্য় সভার সাংসদ ধীরজ শাহুর। এনিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়েছে তল্লাশির সময়। দেশের মানুষের টাকার ওই বান্ডিল দেখা উচিত এবং তারপর ওই দলের নেতাদের সততার ভাষণটাও শোনা উচিত। জনগণের কাছ থেকে যা লুট করা হচ্ছে, তার প্রত্যেকটি পয়সা ফেরত দিতে হবে। এটাই মোদির (PM Modi) গ্যারান্টি।’’

    ১২ সদস্যের আয়কর দল হানা দেয় ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায়

    ১২ সদস্যের একটি দল, কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান চালায়। বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল) এস শিব গঙ্গা অ্যান্ড কোম্পানি, এবং রানিসাটি প্যাডি প্রসেসিং প্রাইভেট লিমিটেড-এর অফিসে চলে এই হানা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পরে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্টেট ব্যাঙ্কের বুলাঙ্গীর শাখায়  নিয়ে আসেন একটি ট্রাকে করে।

    কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদের যোগ

    জানা গিয়েছে, মোট ১৫০ কোটি টাকায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল) এর বিভিন্ন শাখা থেকে। এই বিডিপিএল-ই হল দেশের মধ্যে সবথেকে বড় মদ তৈরির কারখানা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে ওড়িশার বাইরেও এই সংস্থা দেশি মদ বিক্রি করছে কোনও রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল)-এর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ শাহুর সঙ্গে।

    টাকা গুনতে নাস্তানাবুদ আয়কর আধিকারিকরা

    গত তিনদিন ধরে আয়করের এই তল্লাশি চলছে। এত বিপুল পরিমাণ টাকা, যে গুনতেই হিমসিম অবস্থা আয়কর আধিকারিকদের। ৩৬টি টাকা গোনার মেশিন এনেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্য়েই, শনিবার আরও টাকা উদ্ধার হওয়ার খবর মিলেছে। মদের কারখানার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে ১৯ ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, আয়কর আধিকারিকরা অনুমান করছেন এই টাকার পরিমাণ প্রায় ২০-২৫ কোটি হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ৩ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে বিজেপি নিয়োগ করল ৯ পর্যবেক্ষক, কে কোথায় দায়িত্ব পেলেন?

    BJP: ৩ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে বিজেপি নিয়োগ করল ৯ পর্যবেক্ষক, কে কোথায় দায়িত্ব পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই বিপুল জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। গত ৩ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় রাজস্থান এবং ছত্তিসগড়কে কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেও বেড়েছে জয়ের ব্যবধান। চলছে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই পর্ব। শুক্রবারই তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, তিন রাজ্যে মোট ৯ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি।

    কোন রাজ্যের কে পর্যবেক্ষক হলেন?

    রাজস্থানের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওরে এবং রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ পান্ডে। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই তাঁরা রাজস্থানে গিয়ে বিধায়ক দলের সঙ্গে কথা বলবেন। অন্যদিকে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, বিজেপির ওবিসি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি কে লক্ষণ এবং বিজেপির জাতীয় সম্পাদক আশা লাখরাকে মধ্যপ্রদেশের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আশা লাখরা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে, বিজেপিরও সহ পর্যবেক্ষক রয়েছেন। ছত্তিসগড়ের পর্যবেক্ষক হিসেবে নাম রয়েছে কৃষি ও আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত কুমার গৌতমের। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর পর্যবেক্ষকরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যে গিয়ে বিধায়ক দলের সঙ্গে কথা বলার রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম সুপারিশ করবেন তারা। এরপরেই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    কোন রাজ্যে কে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে?

    মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে শিবরাজ সিং চৌহ্বান মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তো রয়েছেন। এর পাশাপাশি সেখানে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও নরেন্দ্র সিং তোমরের। ছত্তিসগড় রাজ্যের ক্ষেত্রে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের নাম যেমন রয়েছে তেমনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি অরুন কুমার সাউ, বিরোধী দলনেতা ধর্মলাল কৌশিক, প্রাক্তন আইএএস অফিসার ওপি চৌধুরীর নামও সেখানে রয়েছে। অন্যদিকে, রাজস্থানের ক্ষেত্রে দৌড়ে রয়েছেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। এর পাশাপাশি সাংসদ দিয়া কুমারী, সাংসদ মহন্ত বালকনাথ যোগী, রাজ্যবন্ধন সিং রাঠোরও দৌড়ে রয়েছেন। তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অশ্বিনী বৈষ্ণব, অর্জুন রাম মেঘওয়ালের নামও উঠে আসছে। এর পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নামও রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cash For Query Scam: খারিজ হল মহুয়ার সাংসদ পদ, ধ্বনিভোটে পাশ বহিষ্কারের প্রস্তাব

    Cash For Query Scam: খারিজ হল মহুয়ার সাংসদ পদ, ধ্বনিভোটে পাশ বহিষ্কারের প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা হওয়ার ছিল, সেটাই হল। ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্নকাণ্ডে (Cash For Query Scam) লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra Expelled)। এদিন লোকসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে খারিজ করা হয় মহুয়ার সদস্যপদ। তার আগে, আধ ঘণ্টা এই বিষয়ে আলোচনা হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। 

    সময় বরাদ্দ ৩০ মিনিট

    মহুয়া (Mahua Moitra Expelled) নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট এদিন বেলা ১২টা নাগাদ লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল (Cash For Query Scam)। রিপোর্ট পেশ করেছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকর। এথিক্স কমিটির রিপোর্টে করা সুপারিশে বলা হয়েছিল, ‘‘মহুয়া যে অবৈধ ভাবে টাকা নিয়েছেন, তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। সেটি অস্বীকার করার জায়গাই নেই। সাংসদ হিসাবে তাঁর আচরণ অনৈতিক। সেই কারণে লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কৃত করা উচিত বলে মনে করে এথিক্স কমিটি। পাশাপাশি তিনি যে অপরাধ করেছেন, সরকারের তরফে তার আইনি তদন্তও করা দরকার।’’ এদিকে, রিপোর্ট পেশ হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভার অধিবেশন। সভা জুড়ে তুমুল হই-হট্টগোল বাঁধিয়ে দেন বিরোধীরা। স্লোগান দিতে শুরু করেন। রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে তৃণমূল। চেঁচামেচির জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।  পরে, দুপুর ২টোয় অধিবেশন পুনরায় শুরু হলে এদিন মহুয়ার স্বপক্ষে কথা বলেন ইন্ডি-জোটের অন্যতম শরিক দল কংগ্রেস। অধীর দাবি করেন, এই রিপোর্ট পড়তে সময় লাগবে। ভাল করে পড়ে এটা নিয়ে চর্চা করা উচিত। রিপোর্ট পড়ার জন্য তিন-চার দিন সময় চেয়ে বসেন আরেক কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি।

    মহুয়াকে থামিয়ে দিলেন স্পিকার

    কিন্তু, স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দেন, এই ইস্যুতে (Cash For Query Scam) কক্ষে আলোচনার জন্য ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী, লোকসভায় শুরু হয় মহুয়া-চর্চা। সেই সময় কক্ষে বসেছিলেন মহুয়া। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ জানান, তৃণমূলের তরফে তিনি কথা বলবেন না। কথা বলবেন মহুয়া নিজে। মহুয়া এর পর বলার চেষ্টা করলে, স্পিকার তাঁকে থামিয়ে দেন। প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণ টেনে এদিন কৃষ্ণনগরের সাংসদের (Mahua Moitra Expelled) উদ্দেশে ওম বিড়লা জানান, মহুয়া আগে এথিক্স কমিটির সামনে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই আবার তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে না। মহুয়ার বলার প্রচেষ্টায় বাধা দেয় বিজেপিও। বিজেপি তার বিরোধিতা করে। অপরাজিতা সরঙ্গি বলেন, ‘‘মহুয়াকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সুযোগ পেলেও তখন কিছু বলেননি। ওয়াক আউট করে গিয়েছিলেন।’’ এর পরই, নিজের আসনে বসে পড়েন মহুয়া। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আলোচনার পর স্পিকার এথিক্স কমিটির সুপারিশের (Cash For Query Scam) ওপর বিজেপির আনা ভোটাভুটির প্রস্তাব পেশ করেন স্পিকার। ধ্বনিভোটে প্রস্তাব পাশ হওয়ায় লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra Expelled)। এর পর, স্পিকার সকল সদস্যের উদ্দেশে পরামর্শ দেন, সকলে যেন তাঁদের প্রশ্ন নিজেই তৈরি করেন। অন্য কাউকে প্রশ্ন তৈরি করতে যেন দেওয়া না হয়। এই নিয়ম না মানলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন স্পিকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cash For Query Scam: মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ লোকসভায়, কী আছে তাতে?

    Cash For Query Scam: মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ লোকসভায়, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে (Cash For Query Scam) তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হল লোকসভায়। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ রিপোর্ট পেশ হয়। এরপরই, সভায় হই-হট্টগোল শুরু হয়ে যাওয়ায় দুপুর ২টো পর্যন্ত সভা মুলতুবি করতে বাধ্য হন স্পিকার। আজই কি সাংসদ পদ খারিজ হচ্ছে মহুয়ার? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে বিরতির পর, ২টোর সময় সভা পুনরায় চালু হওয়ার পরই। তখনই জানা যাবে কৃষ্ণনগরের সাংসদের ভবিষ্যৎ। 

    প্যানেলের প্রথম রিপোর্ট (Cash For Query Scam) এদিন পেশ করেন বিজেপি সাংসদ তথা এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার সোনকর। সূত্রের খবর, রিপোর্টে ‘কঠোর শাস্তি’ স্বরূপ মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশই করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘… মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) যে গুরুতর অপকর্ম করেছেন, তা কঠোর শাস্তির যোগ্য। কমিটি তাই সুপারিশ করেছে যে, সাংসদ মহুয়া মৈত্র সপ্তদশ লোকসভার সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হোক।’’ রিপোর্ট পেশ হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভার অধিবেশন। সভা জুড়ে তুমুল হই-হট্টগোল বাঁধিয়ে দেন বিরোধীরা। স্লোগান দিতে শুরু করেন। রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে তৃণমূল। চেঁচামেচির জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।  দুপুর ২টোয় অধিবেশন শুরু হলে, এই রিপোর্ট দেখেই স্পিকার প্রস্তাবনা আনবেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ থাকবে কি না, তা আজই স্থির হয়ে যাবে।

    এথিক্স কমিটির রিপোর্ট (Cash For Query Scam) নিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যখন বিষয়টা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে, তখন সেটা আর পার্টির বিষয় থাকে না। এই নিয়ে কোনও রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। যে জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত (Mahua Moitra) । নাহলে দেশের ১৪০ কোটির মানুষের প্রতিনিধিত্ব যাঁরা করেন, তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এই নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক এবং কড়া পদক্ষেপ করা হোক, এটাই চাই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370 Verdict: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে সুপ্রিম রায় সোমবার 

    Article 370 Verdict: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে সুপ্রিম রায় সোমবার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370 Verdict) বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের করা হয়েছিল একাধিক জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলাগুলিকে একত্র করে দীর্ঘ শুনানির পর সোমবার, ১১ ডিসেম্বর রায় দেবে শীর্ষ আদালত। গত ২ জুলাই থেকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক শুনানি। ৫ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে রায়দান স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এ বার সেই মামলার রায় ঘোষণার চূড়ান্ত দিন ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। 

    সরকারের দাবি

    জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট। পাশাপাশি রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নিয়ে এটিকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছিল। সরকারের তরফে বলা হয়, ‘৩৭০ ধারা অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল।’ এদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিব্বলের দাবি ছিল, ‘১৯৫৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম আইন পরিষদের মেয়াদ শেষের পরই এই ধারা স্থায়ী হয়ে যায়।’ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের হলফনামায় দাবি করা হয়, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর সেখানে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। তিন দশকের অশান্তির পর এসেছে স্থিতাবস্থা। ফিরেছে শান্তি। লাগাতার বনধ, পাথর ছোড়া এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় আইনের মাধ্যমে ভূস্বর্গের মানুষকেও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। যদিও এই হলফনামা রায়দানে প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    সুপ্রিম শুনানি

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলাগুলি চলছিল। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় সরকারের আইনজীবীরা জানান, জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সেখানে ভোট হবে। ফেরানো হবে রাজ্যের মর্যাদা। শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছিল, যে সব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা লোপ করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখবে আদালত। এবার সবদিক খতিয়ে দেখে জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে দেশের শীর্ষ আদালত কী রায় দেয় তা দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করেছেন দেশবাসী। মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান— সর্বত্র আজ রাজ করছে গেরুয়া ঝান্ডা। এর মধ্যে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই দুই রাজ্যে শাসক কংগ্রেসকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিন রাজ্যে বিপুল জয়লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই জয়ের নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ্য নেতৃত্ব ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের সংগঠিত লড়াই। বিজেপি একদিকে যখন এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন যেন ‘মোদি-ঝড়ের’ গ্রাসে বিরোধী শিবির।

    একা মোদির মোকাবিলায় ২৬টি দল!

    কংগ্রেস হোক বা তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি হোক বা আম আদমি পার্টি— সকলেই একমত ছিল যে, একা একা নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করা অসম্ভব, অবাস্তব। তাই, মোদির মোকাবিলা করতে ২৬টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি অ্যালায়েন্স’ (INDI Alliance)। এই জোটের মূল হোতা অবশ্যই শতাব্দী প্রাচীন পার্টি, মায় কংগ্রেস। এই জোট তৈরি হওয়া ইস্তক গত এক বছরে বেশ ক’বার জোটের সদস্য দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকও করেন। তৈরি হয় একাধিক নীল-নকশা। লক্ষ্য মোদিকে হারানো। কিন্তু, এত কিছু করে বাস্তবে কী হল?

    আরও পড়ুন: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    সেমিফাইনালে গো-হারা কংগ্রেস

    সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) আগে সেমি-ফাইনাল হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, এই পাঁচ (বিশেষ করে চারটি) রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। যা দেখা গেল, তা হল— বিজেপি-৩, কংগ্রেস-১। ফলাফলেই পরিষ্কার, খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধী শিবির (INDI Alliance)। কংগ্রেস তথা ইন্ডি-জোটের মাথার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে একেবারে লন্ডভন্ড অবস্থা বিরোধী জোটে। 

    পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপি তত্ত্ব

    বিভ্রান্ত কংগ্রেস নেতারা হারের দায় ঝেড়ে ফেলতে এবং নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপির তত্ত্ব খাড়া করেছে। যদিও, তাতে কেউ আমল দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়। ফলাফল বের হওয়া ইস্তক, জোটের মধ্যেই দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের ব্যর্থতার দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে জোট-শরিকরা। ইন্ডি-জোটের অন্যতম সদস্য তৃণমূল। মমতা জানিয়েছেন, এটা কংগ্রেসের পরাজয়। তাদের কৌশল ভুল ছিল। একই কথা প্রকাশ্যে এসেছে জেডিইউ-র থেকেও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির কারা

    বুধবার, ভোটের পর্যালোচনা ও আগামী দিনের পরিকল্পনা ও নীতি স্থির করতে দিল্লিতে ১০ রাজাজি মার্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠক (INDI Alliance) ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে যাননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, পাঠাননি কোনও প্রতিনিধিকে। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মমতা জানান, বৈঠকে সম্পর্কে তিনি নাকি কিছুই জানেন না। তাঁকে কেউ ফোন করেননি। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। যাননি জেডিইউ-র নীতীশ কুমার ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে ছিলেন না শিবসেনার উদ্ধব-গোষ্ঠী সহ আরও একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    লোকসভা ভোট পর্যন্ত ইন্ডি-জোট টিকবে তো?

    এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে, ইন্ডি-জোটের ভিতরে ঘোঁট পাকিয়ে গিয়েছে। ঘটা করে শুরু হয়েছিল ইন্ডি-জোট। ‘হানিমুন’ পর্ব শেষ। বছর পার হতে না হতেই এবার রুক্ষ বাস্তব প্রকাশ পেতেই একে একে সরে যাচ্ছে জোটের শরিকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এটা হওয়ারই ছিল। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, ইন্ডি জোটের শরিক দলগুলির নিজ নিজ স্বার্থ ঢেকে দিচ্ছে বিজেপিকে মোকাবিলা করার অভিন্ন স্বার্থকে। যে কারণে, নিজেদের মধ্যেই একে অপরকে কটাক্ষ করার এই প্রবণতা থেকে গিয়েছে। কারণ জোটের সবকটি দল স্বার্থপর। লোকসভা ভোট (2024 LS Polls) পর্যন্ত বিরোধীদের সাধের ইন্ডি-জোট (INDI Alliance) টিকবে তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share