Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cash For Query Case: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের চাপ! মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন মহুয়া, কী প্রতিক্রিয়া নিশিকান্তের?

    Cash For Query Case: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের চাপ! মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন মহুয়া, কী প্রতিক্রিয়া নিশিকান্তের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের (Cash For Query Case) মুখে পড়ে জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের মাঝ পথে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা বাংলার সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে ২ নভেম্বর তাঁকে তলব করেছিল এথিক্স কমিটি। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন তিনি। প্রথম দফায় মহুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে। কিছুক্ষণের বিরতির পর ফের শুরু হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব।

    দুটি প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, মহুয়ার কাছে মূলত দুটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করা হয়। এক, ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে তিনি সংসদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন কিনা, আর দুই, বিদেশ থেকে মোট ৪৭ বার ওই আইডি-পাশওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করা হয়েছে কিনা। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবসায়ী হীরানন্দানির কাছে টাকা ও দামি দামি উপহার নিয়ে (Cash For Query Case) সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, মহুয়া তাঁর সংসদের আইডি দিয়েছিলেন হীরানন্দানিকে। এ প্রসঙ্গে এথিক্স কমিটির প্রধান বিনোদ সোনকর বলেন, “সংসদের লগ-ইন আইডি সাংসদ বাদ দিয়ে অন্য কারও ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ। যে অভিযোগ উঠেছে, সংসদের ইতিহাসে তা নজিরবিহীন।”

    ২ লাখি ব্যাগ মহুয়ার

    এদিন লাল শাড়ি, চোখে দামি সানগ্লাস এবং তিনটি ব্যাগ নিয়ে এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন মহুয়া। এগুলির মধ্যে একটি ছিল ‘লুই ভ্যুতো’র মতো নামী ব্র্যান্ডের ব্যাগ। একটি ল্যাপটপ ব্যাগও ছিল। ‘লুই ভ্যুতো’র এই হাতব্যাগটির দাম ভারতীয় টাকায় ২ লক্ষেরও বেশি। এই ব্যাগটি নিয়ে একবার সংসদেও এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। একবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যখন সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলেরই কাকলি ঘোষদস্তিদার, তখন দামী ওই হাতব্যাগটি লুকিয়ে ফেলেছিলেন মহুয়া। বিজেপির দাবি, সেদিন নামী ব্র্যান্ডের মূল্যবান ওই ব্যাগটি লজ্জায় লুকিয়ে ফেলেছিলেন সাংসদ।

    এদিকে, এথিক্স কমিটি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের (Cash For Query Case) দ্বিতীয়ার্ধে চেয়ারম্যানের প্রশ্নের মুখে পড়ে বেরিয়ে চলে যান মহুয়া। পড়ে যান সাংবাদিকদের সামনে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারান কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এভাবে এথিক্স কমিটির বৈঠকে ছেড়ে বেরিয়ে আসার ঘটনা নজিরবিহীন বলেও ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রি করেছে দল’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা

    নিশিকান্ত বলেন, “দর্শন হীরানন্দানি তাঁর হলফনামায় যে অভিযোগ এনেছেন, লোকসভার এথিক্স কমিটিকে তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই হত মহুয়াকে। অভিযোগের সব প্রমাণ আমি দিয়েছি। কোনও শক্তিই মহুয়াকে রক্ষা করতে পারবে না।” বৈঠক ছেড়ে মহুয়ার বেরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একজন অনগ্রসর নেতা এথিক্স কমিটির নেতৃত্ব দেওয়ায় বিরোধী সাংসদরা অসন্তুষ্ট। তাই এমনটা করেছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Antony Blinken: নয়াদিল্লি আসছেন দুই মার্কিন কর্তা, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে আমেরিকা?

    Antony Blinken: নয়াদিল্লি আসছেন দুই মার্কিন কর্তা, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলছে গত পাঁচিশ দিন ধরে। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত, আমেরিকা সহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ। এমতাবস্থায় ইজারায়েল গেলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। সেখান থেকে ফিরে ভারত সফরে আসবেন তিনি। ব্লিঙ্কেনের সফরসঙ্গী হিসেবে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনও। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। আবার হামাসের ডেরা প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে সাহায্য পাঠিয়েছে দুর্গতদের জন্যও। এমতাবস্থায় দুই মার্কিন কর্তার ভারত সফরের সিদ্ধান্তে চড়ছে জল্পনার পারদ।

    ব্লিঙ্কেন ও অস্টিন

    মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ব্লিঙ্কেন ও অস্টিন এ দেশে এসে দুটি বৈঠক করবেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে বৈঠক হবে অস্টিনের। বাইডেন প্রশাসনের এই দুই কর্তা গিয়েছেন ইসরায়েলে। সেখান থেকে জর্ডন হয়ে তাঁরা আসবেন ভারতে। তবে ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর এবং অস্টিন-রাজনাথ বৈঠক কবে হবে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। আমেরিকার বিদেশ দফতর জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর ও অস্টিন-রাজনাথের বৈঠকে। আলোচনায় ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও উঠতে পারে।

    মোদি জমানায় ভারতের গুরুত্ব 

    নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমেই বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করছে নয়াদিল্লি। এতদিন ভারতকে বিশ্ব নেতৃত্ব সেভাবে গুরুত্ব না দিলেও, মোদি জমানায় দিচ্ছে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষিতে গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে ভারতের। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালেও, হামাসের গায়েও জঙ্গি তকমা সেঁটে দেয়নি ভারত। যদিও মুসলিম এই সংগঠনকে জঙ্গি বলে দেগে দিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। এমতাবস্থায় হামাস দখলীকৃত প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে সাহায্য পাঠিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: “বজরঙ্গবলীর গদাই হল তালিবানের দাওয়াই”, কেন বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

    নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ায় ভারতকেই পালন করতে হতে পারে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা। এতদিন এই ভূমিকাটা পালন করত কাতার। সেই কাতারকে পিছনে ফেলেই এগিয়ে যেতে চাইছে ভারত। এর একটা কারণ যদি ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবাধকতা হয়, তবে অন্য কারণটা অবশ্যই বিশ্বে নয়া ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার বাসনা। সে স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরে লালন করছে (Antony Blinken) মোদি সরকার।

    সেই কারণেই কি ভারতে আসছেন বাইডেন প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তা?  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Enforcement Directorate: হাওয়ালা যোগে দলের মন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডি-র, কেজরিওয়াল ব্যস্ত ভোট-প্রচারে

    Enforcement Directorate: হাওয়ালা যোগে দলের মন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডি-র, কেজরিওয়াল ব্যস্ত ভোট-প্রচারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বিতর্কে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) নেতৃত্বাধীন দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার। এবার নতুন অভিযোগকে কেন্দ্র করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) নিশানায় কেজরি সরকারের আরেক মন্ত্রী। 

    ইডির রেডারে কেজরি মন্ত্রিসভার সদস্য

    বৃহস্পতিবার সকালে, কেজরি মন্ত্রিসভার শ্রমমন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়ি, দফতর-সহ বিভিন্ন ঠিকানায় শুরু করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের দাবি, বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে রাজকুমারের বিরুদ্ধে। হাওয়ালার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে রাজ কুমার আনন্দের। অভিযোগ, এই আপ নেতা নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে কাজে লাগিয়ে আবগারি দুর্নীতির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে অন্যত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজকুমারের সিভিল লাইন্‌স এলাকার সরকারি আবাসন-সহ মোট ন’টি ঠিকানায় হানা দেয় ইডি (Enforcement Directorate)।

    ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না কেজরিওয়াল

    এদিকে, দিল্লি আবগারি মামলায় এদিন ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। কিন্তু, আপ সুপ্রিমো যাননি। এদিন সকালেই বিবৃতি জারি করে তিনি সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোট প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আজ সিংরালিতে থাকবেন আপ প্রধান। সেখানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সঙ্গে এক রোড শোয়ে অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এই মামলায় ইডি-র (Enforcement Directorate) চার্জশিটে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম রয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে। অন্যদিকে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্র জৈনকে। 

    তৃণমূল ও আপ-কে আক্রমণ বিজেপির

    এদিন রাজ কুমার আনন্দের ডেরায় ইডি (Enforcement Directorate) হানা নিয়ে কেজরিওয়ালকে নিশানা করে বিজেপি। তৃণমূল ও আম আদমি পার্টিকে একাসনে বসিয়ে তোপ দাগেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, মহুয়া এবং কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দুজনেরই হাজিরা ২ তারিখে। দুজনেই দু’নম্বরি। এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রর সংসদীয় অ্যাকাউন্ট দুবাই থেকে ৪৯ বার খোলা হয়েছে। সেই সব অভিযোগ নিয়েই লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে আজ হাজিরা দিতে চলেছেন মহুয়া।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “বজরঙ্গবলীর গদাই হল তালিবানের দাওয়াই”, কেন বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

    Yogi Adityanath: “বজরঙ্গবলীর গদাই হল তালিবানের দাওয়াই”, কেন বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বজরঙ্গবলীর গদাই হল তালিবানের দাওয়াই।” কথাগুলি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath)। ভোটমুখী রাজস্থানে বিজেপির এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন যোগী। সেখানেই ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “হনুমানের গদা তালিবানি মানসিকতাকে দূর করতে পারে। আপনারা নিশ্চয় দেখছেন, গাজায় কীভাবে তালিবানি মানসিকতাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। সঠিক নিশানায়, সঠিক উপায়ে মেরে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।”

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ভারতের অবস্থান

    যোগীর এই মন্তব্য ভারতের বিদেশনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। কারণ ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ভারত তেল আভিভের পাশে দাঁড়ালেও, হামাসকে জঙ্গি বলে ঘোষণা করেনি। গাজা স্ট্রিপে সাহায্যও পাঠিয়েছে। যদিও আমেরিকা সহ পশ্চিমী বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ হামাসকে জঙ্গি বলে দেগে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, হামাসকে জঙ্গি ঘোষণা না করে ভারত মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চাইছে। যে কাজটা এতদিন করে এসেছে কাতার। দেশে সন্ত্রাসবাদকে বাড়তে না দিয়েও, বিশ্বের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছে ইসলামি রাষ্ট্র কাতার। তাই যোগীর মন্তব্য কতটা ভারতের বিদেশনীতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    ইজরায়েলে হামলা হামাসের

    ৭ অক্টোবর ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে হামলা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। এই হামাসের প্রধান ডেরা ইজরায়েল সীমান্তের গাজা স্ট্রিপে। হামাসের ওই হামলায় নিহত হন ১৪০০ ইজরায়েলি। তার পরেই প্রত্যাঘাত করতে শুরু করে তেল আভিভ। গাজা স্ট্রিপে আক্রমণ তীব্রতর করতে শুরু করে ইজরায়েল। মঙ্গলবার ভোরে (Yogi Adityanath) গাজা স্ট্রিপে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ইজরায়েলি সেনা। আক্রমণ যে আরও বাড়ানো হবে, সে ইঙ্গিত মিলেছে ইজরায়েলি সেনার নির্দেশেই।

    আরও পড়ুুন: হাতে মেরুন ডায়েরি! বালুর বিরুদ্ধে ইডি-র হাতিয়ার বাকিবুর, আপ্ত সহায়কদের বয়ান?

    গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দাদের তারা শহরের দক্ষিণ দিকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইজরায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছে গাজা স্ট্রিপের বহু বাসিন্দার। এহেন আবহে এল যোগী আদিত্যনাথের এমন মন্তব্য। ইজরায়েলি সেনার ভূমিকার প্রশংসা করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, “একদম সঠিকভাবে (ইজরায়েলি সেনা) সঠিক নিশানায় খুঁজে খুঁজে শত্রুদের মারছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অদূরে চলল গুলি

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অদূরে চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর (Manipur Violence)। রাজধানী ইম্ফলের পরিস্থিতি হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বুধবার সন্ধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের দফতরের অদূরে চলল গুলি। খবর, এদিন এক দল জনতা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি থানা ঘেরাও করে নেয়। থানা ঘিরে ফেলার পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র, গুলিগোলা দাবি করতে থাকে। স্থানীয় আরামবাই তেঙ্গল গ্রুপ এই ঘেরাও করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। 

    অশান্ত ইম্ফল

    মঙ্গলবার মায়ানমার-মণিপুর (Manipur Violence) সীমান্তের টেঙ্গনৌপলে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মোরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিওপি) চিংথাম আনন্দ। আদিবাসীদের চালানো গুলিতেই ওই পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও লাভ হয়নি। এই ঘটনার পরই মণিপুরে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়। সেই বাহিনী মোরেহ শহরে পৌঁছতেই কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গেছে, মণিপুরের ইন্দো–মায়ানমার জাতীয় সড়কের উপরে দুই জায়গায় পুলিশের কনভয়ের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রথম হামলাটি চলে বংগ্যাং গ্রামে। এরপর কে সিনাম গ্রামে ফের পুলিশের কনভয়ের উপরে হামলা হয়। 

    আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    সেই ঘটনার প্রতিবাদে মেইতেই যুব সংগঠন বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করে। সেই আন্দোলন থেকেই ইম্ফলে (Manipur Violence) অশান্তি ছড়ায় রাতে। গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মাঝে মাঝেই অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার থানা লুট করার উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে থানাকে লুট হওয়া থেকে বাঁচাতে শূন্যে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। এর পর জনতাকে হঠাতে শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে ইম্ফলে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচলে চিন সীমান্তে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, বিষয়টা কী?

    Arunachal Pradesh: অরুণাচলে চিন সীমান্তে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) চিনের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে মানচিত্রের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছিল বেজিং। তবে অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে, নানা সময় চিনকে সে বার্তা দিয়েছে ভারত। এবার চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে ভারত। 

    তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’

    দিন কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেদিন তিনি তাওয়াং যুদ্ধের স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করেন। শ্রদ্ধা জানান চিন-ভারত যুদ্ধের শহিদদের। এই তাওয়াংয়েই রয়েছে লেজেন্ডারি ছুমি গিস্তে। এখানে রয়েছে ১০৮ পবিত্র জলপ্রপাতও। এটিকেই কাজে লাগাতে চাইছে অরুণাচল প্রদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী। তাদের ধারণা, জায়গাটির ভোল বদল করতে পারলে অভাব হবে না পর্যটকের। ফলে সমঝে দেওয়া যাবে চিনকেও।

    পবিত্র প্রপাত

    চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) দখলের চেষ্টার খামতি নেই। গত ডিসেম্বরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে নজরদারি কেন্দ্র গড়তে চেয়েছিল চিনের লালফৌজ। যদিও শেষমেশ আর তা দিনের আলো দেখেনি। এর পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে যাতায়াত বাড়িয়ে দেয় ভারত। লালফৌজের কার্যকলাপ যাতে নজরে পড়ে তাই এই উদ্যোগ। সেই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে এবার পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাতের কাছে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    তিব্বতি উপাখ্যানে পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাত খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই জলপ্রপাতকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। তিব্বতিদের বিশ্বাস, এই প্রপাতের জলের নানা ক্ষমতা রয়েছে। নানা রোগের উপশমে ব্যবহার করা হয় এই জল। বছরের এক বিশেষ সময়ে এখানে আসেন বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীরা। উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু মানুষও আসেন এই সময়। প্রার্থনা জানানোর পাশাপাশি তাঁরা সবাই সংগ্রহ করেন পবিত্র প্রপাতের জল। আধ্যাত্মিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে, বছরভর এখানে ঢল নামবে পর্যটকের।

    স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বিশ্বাস, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলে সারা বছরই আসতে থাকবেন পর্যটকরা। তাওয়াং শহর থেকে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন সোনম সেরিং। তিনি বলেন, “জায়গাটার ভোল ক্রমেই বদলাচ্ছে। এখানে এখন মন্দির, গুম্ফা মায় লামাদেরও দেখতে পাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাটি দেখার ইচ্ছে ছিল। শেষমেশ তা পূরণ হওয়ায় আমি খুশি।” অসমের গুয়াহাটি থেকে এসেছিলেন (Arunachal Pradesh) পর্যটক রাজু তামাং। তিনি বলেন, “এই পবিত্র প্রপাতের বিষয়ে নানা কাহিনি শুনেছিলাম। চিন সীমান্তের কাছের এই পবিত্রভূমে আসতে পেরে আমি ধন্য। পবিত্র প্রপাতের জল সংগ্রহ করেছি আমিও।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Apple iPhone Alert: ফোন হ্যাকিং কাণ্ডে অ্যাপলের কর্মকর্তাকে তলবের পথে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি?

    Apple iPhone Alert: ফোন হ্যাকিং কাণ্ডে অ্যাপলের কর্মকর্তাকে তলবের পথে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁদের ফোনে হ্যাক-বার্তা (Apple iPhone Alert) গিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিরোধী নেতা-সাংসদের। বিষয়টি গোচরে আসার পর মঙ্গলবারই এ ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্র। যাঁদের ফোনে ওই বার্তা গিয়েছে, তাঁদের তদন্তে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই অভিযোগের গোড়ায় পৌঁছতে এবার অ্যাপলের প্রতিনিধিকে তলব করার চিন্তাভাবনা শুরু করল তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি।

    অ্যাপলের প্রতিনিধিকে তলব!

    কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের এক আধিকারিক বলেন, “সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি পরবর্তী বৈঠকে অ্যাপলের প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠানোর কথা ভাবছে। ওই বৈঠকে সাম্প্রতিক রাষ্ট্র পরিচালিত হ্যাকার হামলা নিয়ে অ্যাপলের বক্তব্য শোনা হবে।” দিন কয়েক আগে আইফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাপলের (Apple iPhone Alert) তরফে একটি সতর্কবার্তা পান কয়েকজন সাংসদ। ওই বার্তায় বলা হয়, “রাষ্ট্র পরিচালিত হ্যাকাররা আপনাকে টার্গেট করেছে। অ্যাপল আইডির সঙ্গে আপনার যে আইফোনটি যুক্ত করা আছে, সেটি হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনি কে, কী করেন – সম্ভবত এসব দেখে হ্যাকাররা নির্দিষ্ট করে আপনাকেই টার্গেট করেছে। এই রাষ্ট্রপরিচালিত হ্যাকাররা যদি আপনার আইফোনে একবার ঢুকতে পারে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, কথোপকথন এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনও ওদের হাতে চলে যাবে। তাই দয়া করে এই সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করবেন না।”

    তদন্তের আশ্বাস কেন্দ্রের

    অ্যাপলের তরফে যাঁরা এই সতর্কবার্তা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী থারুর, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। তবে বিজেপির একাংশের দাবি, বিরোধী নেতাদের ওই অভিযোগ ভুয়ো। যদিও তদন্তের আশ্বাস দেন (Apple iPhone Alert) অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “বিরোধীরা সমালোচনার অজুহাত খুঁজতে থাকেন। কেন্দ্রকে আক্রমণ করার কোনও বড় কারণ না পেয়ে এখন হ্যাকিং নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন তাঁরা।” তবে তিনি এও জানান, অ্যাপলের ওই সতর্কবার্তা শুধু ভারতে নয়, আরও অন্তত ১৫০টি দেশে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “উর্দির সম্মানরক্ষা করুন”, শুভেন্দুর দাদার মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ৫ নভেম্বর রাম জন্মভূমিতে ‘অক্ষত পুজো’, অর্ডার দেওয়া হল ১০০ কুইন্টাল চালের

    Ram Mandir: ৫ নভেম্বর রাম জন্মভূমিতে ‘অক্ষত পুজো’, অর্ডার দেওয়া হল ১০০ কুইন্টাল চালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অযোধ্যায় রামমূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে (Ram Mandir)। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের। তার আগে আগামী ৫ নভেম্বর রাম জন্মভূমিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘অক্ষত পুজো’। এই অক্ষত পুজোকে ঘিরে এখন সাজোসাজো রব অযোধ্যা জুড়ে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ১০০ কুইন্টাল চালের অর্ডারও দিয়ে ফেলেছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। অক্ষত পূজার দিন গোটা দেশে এই একশ কুইন্টাল চালের ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাই।

    কী বলছেন ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সচিব? 

    অক্ষত পুজো নিয়ে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সচিব চম্পত রাই বলেন, ‘‘ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ১০০ কুইন্টাল চালের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। অক্ষত পুজোতে এই চাল ব্যবহার করা হবে। তারপর গোটা দেশে সেই চাল রামভক্তদের মধ্যে বিলি করা হবে। এর সঙ্গেই এক কুইন্টাল হলুদ বাটা এবং দেশি ঘিও আনা হবে রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir)।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘৫ নভেম্বরের অক্ষত পুজোতে ভগবান রামলালার সামনে ওই চাল ভরা কলসিগুলি সমর্পণ করা হবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মাধ্যমে ফের রামলালার সেই ভোগ প্রসাদ সকলের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এই পুজিত অক্ষত ভোগের সঙ্গেই দু’কোটি চিঠি প্রেরকের মাধ্যমে পাঠানো হবে রামভক্তদের। যে চিঠিগুলি ছাপানো হয়েছে।’’

    সারাদেশের ৫ লাখ গ্রামে পৌঁছাবে অক্ষত ভোগ

    ১০০ কুইন্টাল চালের সঙ্গে এক কুইন্টাল ঘি এবং এক কুইন্টাল হলুদ বাটা মেশানো হবে। তারপর তা পেতলের কলসিতে ভরে রাখা হবে। সেই মাখা চাল পরে বিতরণ করা হবে। অক্ষত পুজো উপলক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাকর্মীরাও ৫ নভেম্বর অযোধ্যায় হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রতিনিধির হাতে তুলে দেওয়া হবে ৫ কেজি করে অক্ষত ভোগ। প্রতিনিধিরা এরপর ওই ভোগ নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে মন্দিরে নিবেদন করবেন (Ram Mandir)। তারপর সেই ভোগ প্রত্যেক ব্লক, জেলা কিংবা গ্রামের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের ৫ লাখ গ্রামে অক্ষত চাল বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’এর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে আগামী ২২ শে জানুয়ারি যখন রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে, সেদিন যেন প্রত্যেক রামভক্ত বাড়িতে অন্ততপক্ষে পাঁচটি করে প্রদীপ জ্বালান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woke Culture: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! কিসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত?

    Woke Culture: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! কিসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! বিশ্বের যেকোনও দেশের সমাজ ব্যবস্থায় কোনটার গুরুত্ব সর্বাধিক হওয়া উচিত? দিনকয়েক আগে তারই ব্যাখ্যা শোনা গিয়েছে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের ভাষণে। চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে নাগপুরে ভাষণ দিয়েছেন মোহন ভাগবত। সেখানেই সঙ্ঘ প্রধান নতুন একটি শব্দ প্রয়োগ করেন, ‘Woke’, যার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়, জাতিভেদ, লিঙ্গ বৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, কুসংস্কার এসব কিছুর বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে পৃথিবীর সব দেশেই ‘Woke Culture’ একটি ধ্বংসাত্মক তত্ত্ব হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সঙ্ঘ প্রধানের মতে, ‘‘এই ‘Woke Culture’ সাংস্কৃতিক মার্কসবাদের সমার্থক শব্দ। এটা একধরনের অপসংস্কৃতিও বটে। ‘Woke Culture’-এ বিশ্বাসীরা বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, বিভেদকামী হয়ে থাকেন।’’

    কর্তব্যবোধ বনাম আত্মকেন্দ্রিকতা 

    পরিবারই হল সমাজের একক, আর মানুষ সেই পরিবারের একটি অঙ্গ, যেখানে সে তার কর্তব্য পালন করে, কেবলমাত্র অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে না। অপরদিকে, মার্কসবাদ শুধুই অধিকারবোধ আর আত্মকেন্দ্রিকতার কথা বলে। সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ অথবা ‘Woke Culture’ এই দুটোই ব্যক্তি স্বার্থের কথা বলে। ব্যক্তির শরীর ও মনের যাবতীয় চাহিদা পূরণের কথা বলে। এখানেই বাধে ব্যক্তির সঙ্গে পরিবার ও সমাজের সংঘাত। ব্যক্তির মধ্যে কর্তব্যবোধ লোপ পেয়ে তখন প্রাধান্য পায় আত্মকেন্দ্রিকতা। নিজের স্বার্থ, তৃপ্তি, বাসনা, জীবন উপভোগ তখন ব্যক্তির কাছে মুখ্য হয়ে যায়, গৌণ হয় পরিবার ও সমাজের প্রতি কর্তব্যবোধ। সঙ্ঘ প্রধানের মতে, মার্কসবাদ বা ‘Woke Culture’-এ বিশ্বাসীরাই এদেশে বিভেদ, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ এবং দুর্নীতির বীজ পুঁতছে। কার্ল মার্কস যেখানে ব্যক্তি স্বার্থের পক্ষে সওয়াল করেছেন, সেখানে সঙ্ঘের দৃষ্টিতে পরিবারই হল সমাজ ব্যবস্থার একক। 

    পেরিয়ারের আদর্শের বিরোধ ও আম্বেদকরের ভাবনাকে প্রশংসা

    ঠিক এই কারণেই সঙ্ঘ দক্ষিণ ভারতে পেরিয়ারের আন্দোলনকে সমর্থন করেনা, কারণ তা সমাজে বিভেদ ছড়ায়। সর্বোপরি তারা পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন হিন্দু সভ্যতার বিরুদ্ধে তোপ দাগে, যা ভারতীয় পরম্পরা ও সংস্কৃতির বিরোধী। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ অনেকভাবে সমর্থন করে বিআর আম্বেদকরের চিন্তাধারাকে। কারণ তা বঞ্চিত শ্রেণির উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার অখণ্ড ঐক্যের কথাও বলে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এই ‘Woke Culture’কে প্রতিহত করতে তিনটি নীতি পালন প্রয়োজন বলে মনে করে – প্রথমত, দেশের কাজে সবসময় নিজেকে উৎসর্গ করা। দ্বিতীয়ত, দেশের মহান পূর্বসূরিদের সর্বদা স্মরণ করা। তৃতীয়ত, একটি সাধারণ সংস্কৃতি গড়ে তোলা। প্রসঙ্গত, সঙ্ঘ প্রধানের মতোই পূর্বতন ‘ট্যুইটার’ বর্তমানে ‘এক্স’-এর মালিক ইলন মাস্কও তোপ দেগেছেন সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ বা  ‘Woke Culture’ এর বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, ‘‘Woke Culture সমাজে বিভেদ ছড়ায়। এটা মানুষকে নিষ্ঠুর করে তোলে। মানুষের মনে ঘৃণার জন্মও দেয় এই ধরনের সংস্কৃতি।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: তিন প্রকল্পের উদ্বোধন মোদি-হাসিনার, এবার রেলপথে হবে দুই দেশের বাণিজ্য

    PM Modi: তিন প্রকল্পের উদ্বোধন মোদি-হাসিনার, এবার রেলপথে হবে দুই দেশের বাণিজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যৌথভাবে তিন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Modi)। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন তাঁরা। প্রকল্প তিনটি হল, আখাউড়া-আগরতলা ক্রস বর্ডার রেল লিঙ্ক, খুলনা-মংলা বন্দর রেল লাইন এবং রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিট ২। এদিনের অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সহযোগিতার আশ্বাস

    হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, “মাননীয়া আপনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সাকার করতে ভারত সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন সফল হবে।” প্রত্যুত্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করার বিষয়ে আপনার প্রতিশ্রুতির জন্য আমি কৃতজ্ঞ।” আগরতলা আখাউড়া ক্রস বর্ডার রেল সংযোগ প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা (PM Modi) ছিল ২০২০ সালে। ১৫ কিমি দীর্ঘ এই প্রকল্পের মধ্যে পাঁচ কিমি রয়েছে ভারতে, বাকিটা রয়েছে বাংলাদেশে। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে যাত্রার সময় ৩১ ঘণ্টা থেকে কমে দাঁড়াবে ১০ ঘণ্টায়। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও পর্যটন বাড়ানোর পাশাপাশি ঢাকা হয়ে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াতের সময় কমিয়ে আনা।

    ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’

    প্রসঙ্গত, এই রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র অন্তর্গত। বাংলাদেশের আখাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশনকে নিশ্চিন্তপুরের আন্তর্জাতিক স্টেশনের মাধ্যমে আগরতলার সঙ্গে যুক্ত করবে এই রেলপথ। যাত্রী ও পণ্য বিনিময় উভয়ের জন্য একটি ডুয়েল গেজ স্টেশন হিসেবে কাজ করবে নিশ্চিন্তপুরের আন্তর্জাতিক স্টেশনটি। এতে বাড়বে বাণিজ্য ও পর্যটন। এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) জানান, গত ৯ বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে তিনগুণ। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগের উদ্বোধনকে তিনি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেন। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দৃঢ় বন্ধনের কথাও মনে করিয়ে দেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: ৬ সংস্থার শেয়ারে ৫০ কোটি বিনিয়োগ! বাকিবুরের ছবির পরিচালক খাদ্য দফতরের কর্মীই?

    প্রসঙ্গত, আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ প্রকল্পটির জন্য ভারত অনুদান দিয়েছে ৩৯২.৫২ কোটি টাকা। খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটির জন্য ভারত সরকার রেয়াতি সুদে ৩৮ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশকে। আর মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের জন্য ভারত ঋণ দিয়েছে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share