Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত পাঁচ বছরে কংগ্রেস সরকার এক কদমও এগোয়নি। এখানে চব্বিশ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে।” ভোটমুখী রাজস্থানে গিয়ে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের যোধপুরে সরকারি এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই হাতিয়ার করেন সে রাজ্যের কংগ্রেসের দুর্নীতিকে।

    লাল ডায়েরির প্রসঙ্গ

    তিনি বলেন, “লাল ডায়েরির কথা শুনেছেন? লোকে বলে যে ওই ডায়েরিতে কংগ্রেসের দুর্নীতির সব কথা লেখা রয়েছে। আমাকে বলুন, ডায়েরির গোপনীয়তা কি প্রকাশ্যে আসা উচিত নয়? …অসাধুদের কি শাস্তি দেওয়া উচিত নয়? …কংগ্রেস সরকার কি ডায়েরির গোপনীয়তা প্রকাশ্যে আসতে দেবে? সত্য প্রকাশ্যে আনতে গেলে আপনাদের বিজেপি সরকার গঠন করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজস্থানের উন্নয়নের জন্য তাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কিন্তু এখানকার অবস্থা বেদনাদায়ক…দুর্নীতি ও হিংসার ক্ষেত্রে কংগ্রেস রাজস্থানকে দেশের শীর্ষে নিয়ে এসেছে। নারী ও দলিতদের প্রতি অত্যাচারের ক্ষেত্রে রাজস্থানকে এক নম্বরে পরিণত করেছে। কংগ্রেস মাদক ব্যবসাকে ছাড় দিয়েছে।”

    ‘স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়’

    তিনি বলেন, “বিজেপি সরকারের কাছে আপনার স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। একদিকে আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছি এবং অন্য দিকে আমরা রেকর্ড সংখ্যায় আধুনিক হাসপাতাল তৈরি করছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের প্রতি কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই। তারা কেবল ভালবাসে ভোটব্যাঙ্ক।” তিনি বলেন, “রাজস্থানকে উন্নয়নশীল দেশের ইঞ্জিন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিজেপি। পর্যটনে রাজস্থানকে ১ নম্বর রাজ্য করার অঙ্গীকার করছে বিজেপি। বিজেপি যদি রাজস্থানে সরকার গড়ে, তাহলে পর্যটনে রাজ্যটি হবে এক নম্বর।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সরকারি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মোদির ওপর ওঁর অনেক ভরসা রয়েছে। সেজন্য ওঁর মনে হয়েছে, মোদি আসছেন, সব হয়ে যাবে। আমিও ওঁকে বলছি, আপনি বিশ্রাম করুন। এবার আমরা সামলে নেব।”

    আরও পড়ুুন: সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sikkim Disaster: আরেকটা লেক ফাটার আশঙ্কা! ‘‘সিকিমে এখন আসবেন না’’, পর্যটকদের নির্দেশ প্রশাসনের

    Sikkim Disaster: আরেকটা লেক ফাটার আশঙ্কা! ‘‘সিকিমে এখন আসবেন না’’, পর্যটকদের নির্দেশ প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর’! এক লোনক হ্রদ ফেটে সিকিমে ভয়াবহ অবস্থা (Sikkim Disaster)। তিস্তা নদীতে আসা হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে সবকিছু (Sikkim Flood Situation)। তছনছ হয়েছে ছবির মতো সুন্দর উত্তর সিকিম। হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। নিখোঁজ শতাধিক। সিকিম যখন এই বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই আরেকটি বিপর্যয়ের আশঙ্কা ঘনাচ্ছে এই পাহাড়ি-রাজ্যে। 

    সাকো চো হ্রদ ফাটার আশঙ্কা!

    মঙ্গলবার গভীর রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদের হিমবাহ বিস্ফোরিত হয়ে বানভাসী হয়ে যায় চুংথামের বিস্তীর্ণ এলাকা। এর পর বুধবার ভোরে তিস্তা নদীর জল বেড়ে বানভাসী হয় সংলগ্ন এলাকা। প্রায় দোতলা বাড়ি সমান জল উঠে যায়। ভয়াল তিস্তার গ্রাসে তলিয়ে যান শতাধিক মানুষ (Sikkim Disaster)। এরই মধ্যে উত্তর সিকিমে আরেকটি হ্রদ ফাটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, সিকিমের মানগান জেলায় রয়েছে সাকো চো হ্রদ। সেই হ্রদ ফেটে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছাঙ্গু উপত্যকা থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই হ্রদের দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৩ কিলোমিটার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আশঙ্কা সত্যি হলে সিকিমের বুকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

    আরও পড়ুন: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    সরানো হচ্ছে স্থানীয়দের

    জানা গিয়েছে, এই হ্রদটিও হিমাবহের জল থেকে তৈরি। গত কয়েক দিনে এই হ্রদেরও জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, বৃদ্ধি পেয়েছে জলের তাপমাত্রাও। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে আগে থেকেই এই এলাকার বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন (Sikkim Flood Situation)। মাইকিং করে বাসিন্দাদের সরানোর হচ্ছে। গ্যাংটক জেলার সিংটামের গোলিতার এলাকা, মানগন জেলার ডিকচু এলাকা, রংপো আইবিএম এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ স্কুল-কলেজ

    এই মুহূর্তে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) মধ্যে দিয়ে চলছে সিকিম। মেঘভাঙা বৃষ্টি-হ্রদ ফাটা-হড়পা বান— এই সব মিলিয়ে এখন বিধ্বস্ত এই পার্বত্য রাজ্য। তার ওপর, এখনও কয়েকদিনে সিকিমে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে, এখনই যে নিস্তার মিলছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে, যে কোনও প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে বিশেষ সতর্ক সিকিম প্রশাসন। বন্য-বিধ্বস্ত চার জেলায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করল সিকিমের শিক্ষা দফতর। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিয়োং, গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গন জেলার সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    পর্যটকদের আসতে মানা সিকিম প্রশাসনের

    সিকিমের মূল আয়ের উৎস হল পর্যটন। ছবির মতো সুন্দর সিকিমে বছরভর পর্যটকদের যাতায়াত। বিশেষ করে, ছুটি বা পুজোর মরশুমে সিকিমে উপচে পড়ে ভিড়। সিকিমজুড়ে থাকে পর্যটকদের ঢল। কিন্তু, বর্তমান সিকিমের পরিস্থিতি (Sikkim Flood Situation) একেবারে উল্টো। পুরো লন্ডভন্ড। তছনছ। বিধ্বস্ত। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সিকিমের পর্যটন দফতরের তরফে পর্যটকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, এখন যাঁরা সিকিমে বেড়াতে আসার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা যেন তা বাতিল করেন। পর্যটকদের জন্য এখন অনুকূল পরিস্থিতি নেই। ছাঙ্গু এবং নাথু লা যাওয়ার উপরেও অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে (Sikkim Disaster)।

    এখনও সাত হাজার পর্যটক আটকে সিকিমে!

    এদিকে, সিকিমে এখনও আটকে রয়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক (Sikkim Flood Situation)। সূত্রে খবর, সিকিমে এখনও মোট সাত হাজার পর্যটক রয়েছেন যার মধ্যে ২ হাজার পর্যটক বাংলার। যোগাযোগের মূল রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ তিস্তার করালগ্রাসে তলিয়ে যাওয়ায় ফিরতে বিস্তর সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকরা। অনেকে এখন গ্যাংটক থেকে রানিপুল, পেডং, লাভা, গোরুবাথান হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। তার ওপর উত্তর সিকিমে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। যোগাযোগের ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং সহ এলাকায় আটকে পড়া পর্যটকদের কপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারের কাজ শুরু হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে সেনা পৌঁছে গেছে (Sikkim Disaster)। 

    আরও পড়ুন: সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ল পাহাড়ের পর্যটনেও! হু হু করে বাতিল হচ্ছে বুকিং

    হেল্পলাইন নম্বর চালু পুলিশ-সেনার

    উত্তর সিকিম এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। সেখানে জল বা বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। চরম অসহায় অবস্থায় হোটেলে আটকে রয়েছেন পর্যটকরা। মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকায় তাঁরা যোগাযোগও করতে পারছেন না। আটকে পড়া পর্যটকদের পরিবার-পরিজনদের জন্য হেল্পলাইন চাল করল সিকিম সরকার (Sikkim Disaster)। সিকিম পুলিশের হেল্পলাইনগুলো হল, ০৩৫৯২-২০২৮৯২, ০৩৫৯২-২২১১৫২ এবং ৮০০১৭৬৩৩৮৩। এছাড়াও ০৩৫৯২-২০২০৪২ নম্বরে ফোন করেও সাহায্য পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে হেল্পলাইন চালু করেছে সেনাও। উত্তর সিকিমের বাসিন্দাদের জন্য এই হেল্পলাইন নম্বর হল ৮৭৫০৮৮৭৭৭৪ এবং পূর্ব সিকিমের জন্য হেল্পলাইন নম্বর হল ৮৭৫৬৯৯১৮৯৫।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান। সংগঠনের কাজে এসেছিলেন কলকাতায়। ছিলেন আরএসএসের দফতর কেশব ভবনে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্বের হেনস্থার প্রতিবাদে রাত ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখানো হয় কেশব ভবনের সামনে। এখানেই তখন ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকে।

    কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ

    সোম ও মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্না দেয় তৃণমূল। সেখানে অভিষেক সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জিনগর থানায়। তার জেরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় কেশব ভবনের সামনেও। মোহন ভাগবত (যে ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ ছিল না) যেখানে রয়েছেন, সেই কেশব ভবনে বিক্ষোভের খবর পৌঁছায় কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে। দ্রুত রিপোর্ট তলব করে অমিত শাহের মন্ত্রক।

    দ্রুত রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই নির্দেশে বলা হয়, ওই রাতেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নির্দেশ পেয়ে রাতেই গোয়েন্দা আধিকারিকদের কয়েকজন চলে যান কেশব ভবনে। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। কেশব ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা যেমন কথা বলেন, তেমনি কথা বলেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও। রাতেই দিল্লিতে পাঠানো হয় বিস্তারিত রিপোর্ট। উল্লেখ্য, হাতে গোণা য়ে কয়েকজন ভিভিআইপির নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদা সতর্ক থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তাঁদেরই একজন হলেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই রাতে ভাগবতের নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাতেই তলব করা হয়েছিল রিপোর্ট। 

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালকে ‘পর্যটক’ খোঁচা তৃণমূলের, পাল্টা খেললেন আনন্দ বোস, কী বললেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন ভাগবত। তা সত্ত্বেও কীভাবে মধ্য রাতে কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিক্ষোভ অথবা হামলা হলে আমরা প্রতিরোধ করব। কোনও বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় তৃণমূলের। রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা কিংবা বিক্ষোভ প্রদর্শন রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LPG Cylinder Subsidy: পুজোর আগে ফের সস্তা গ্যাস! উজ্জ্বলা যোজনায় ভর্তুকি বাড়াল কেন্দ্র

    LPG Cylinder Subsidy: পুজোর আগে ফের সস্তা গ্যাস! উজ্জ্বলা যোজনায় ভর্তুকি বাড়াল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবে উপহার স্বরূপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি ১০০ টাকা বাড়াল। আগে যেখানে ২০০ টাকা ভর্তুকি ছিল, তা এখন বেড়ে হচ্ছে ৩০০ টাকা। তবে এই সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা সাধারণ মানুষ। তাঁদের এলপিজি সিলিন্ডার পিছু দিতে হবে মাত্র ৬০০ টাকা। বুধবার উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের জন্য নতুন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। 

    গ্যাসের দাম কত কমল

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) জানান, সামনেই দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, দেশজুড়ে উৎসবের মরশুম। বাজারে এখন ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৯০৩ টাকা। উজ্জ্বলার উপভোক্তাদের সেই সিলিন্ডার কিনতে হত ৭০৩ টাকায়। বুধবারের সিদ্ধান্তের পর তাঁদের সিলিন্ডার প্রতি ৬০৩ টাকা দিতে হবে। তবে মেট্রো শহর ভেদে দামের হেরফের হবে। যেমন, দিল্লিতে যে সিলিন্ডার ৬০৩ টাকায় পাওয়া যাবে, ওই একই সিলিন্ডারের জন্য কলকাতায় গুনতে হবে ৬২৯ টাকা। আবার মুম্বই এবং চেন্নাইতে তার দাম হবে যথাক্রমে ৬০২.৫০ টাকা এবং ৬১৮ টাকা।

    আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    কত টাকা ভর্তুকি

    রাখির সময় গৃহস্থের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০০ টাকা কমানোর পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ৭৫ লক্ষ নতুন গরিব পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। গত মাসেই তার জন্য ১৬৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিল মন্ত্রিসভা। বুধবার অনুরাগ জানান, ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও ৭৬৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    কারা পেতেন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালের ১ মে উজ্জ্বলা যোজনা’ চালু করেছিলেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এই প্রকল্পের অধীনে এখনও পর্যন্ত ৯.৬ কোটিরও বেশি এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সংযোগ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে (শুধুমাত্র মহিলা), সেইসঙ্গে একই পরিবারে অন্য কোনও এলপিজি সংযোগ থাকলে সেই পরিবার এই কানেকশন পাবে না। এই সংযোগ পেতে বিপিএল কার্ডধারক পরিবারের যেকোনও মহিলা আবেদন করতে পারবেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teesta River Sikkim: সিকিমে আটকে দু’হাজার বাঙালি পর্যটক! তিস্তার জল ছাপিয়ে রাস্তায় 

    Teesta River Sikkim: সিকিমে আটকে দু’হাজার বাঙালি পর্যটক! তিস্তার জল ছাপিয়ে রাস্তায় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা। নদীর তাণ্ডবে আশপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। নিখোঁজ ২৩ জওয়ান। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। জলের তোড়ে ভেঙেছে এনএইচ ১০। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিকিম থেকে দার্জিলিং-শিলিগুড়ির যাতায়াতের রাস্তা। অপরদিকে, সিকিমের চুংথাংয়ের লোনার লেকের প্রাচীর ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। শুধু তিস্তা নয়, রংফু নদীর জলস্তরও বেড়েছে। ধসের কারণে আনুমানিক দু হাজার বাঙালি পর্যটক সিকিমে আটকে রয়েছে, বলে খবর। 

    তিস্তার জলে প্লাবিত সিকিম

    তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। ভেসে গিয়েছে বহু সেতু। জলমগ্ন বাড়িঘর। কিছু জায়গায় জলের তোড়ে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে বড় বড় বিল্ডিং। কাদাস্রোতের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে বহু বসতি, রাস্তাঘাট, সেনাছাউনি। স্বভাবতই তিস্তার ধ্বংসলীলায় কত প্রাণহানি হয়েছে, সেই প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তর সিকিমের বিকচুতে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পরিস্থিতি জরিপ করে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গনের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে একাধিক জরুরি পরিষেবার নম্বর। তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তিস্তায় জল বাড়ার প্রভাব গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে পড়ার আশঙ্কা। তিস্তা জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন অংশ দিয়েও বয়ে চলে যায়। সে কারণে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও জলের স্রোত বাড়লে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় কলকাতা, আর মেয়র ধর্না দিচ্ছেন দিল্লিতে!

    ১০ নং জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত

    পুজোয় বাকি আর হাতে গোনা মাত্র ১৬ দিন। এরই মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় উত্তর সিকিমে। পুজোর সময় সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে বহু মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বেড়েছে পর্যটকদের। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলার অন্তত দু’হাজার পর্যটক সিকিমে আটকে পড়েছেন। জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। ফলে আপাতত অবরুদ্ধ ফেরার পথও। রাজ্য প্রশাসনের তরফে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সিকিমের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ১০ নং জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কালিম্পঙ যাওয়ার জন্য লাভা, গোরুবাথান হয়ে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। সেই পথের অবস্থাও ভাল নয়। আটক পর্যটকদের পক্ষ থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, আটকে পড়া পর্যটকদের এয়ারলিফ্‌টিং করে উদ্ধার করার। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Singh Arrested: দিল্লি আবগারি মামলায় আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করল ইডি

    Sanjay Singh Arrested: দিল্লি আবগারি মামলায় আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভাবনা ছিল, হলও তাই। দিল্লি আবগারি মামলায় (Delhi Excise Policy) আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার (Sanjay Singh Arrested) করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বুধবার সকালে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের এই নেতার বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশি চলে আপ রাজ্যসভার সাংসদের বাড়িতে। এর পর বিকেলে, সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। 

    তদন্ত শুরু করে ইডি এবং সিবিআই

    বিগত কয়েক বছর ধরে আবগারি মামলায় (Delhi Excise Policy) বেকায়দায় পড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। ২০২১ সালে আবগারি নীতিতে বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানকে অর্থের বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দিল্লির শাসকদলের বিরুদ্ধে (Sanjay Singh Arrested)। তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশেই এই মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডি এবং সিবিআই। এর পরে ইডি  (Enforcement Directorate) পিএমএলএ-এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করে।

    আরও পড়ুন: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় আপ নেতা সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    অর্থের বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ

    আপ সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মদ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স প্রদানের জন্য ২০২১-২২ সালে দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি নিয়ম পাল্টে কার্টেলাইজেশনের অনুমতি দিয়েছিল৷ এক্ষেত্রে কিছু ডিলারদের সঙ্গে পক্ষপাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ৷ এর জন্য সংশ্লিষ্ট ডিলারদের থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছিল বলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অভিযোগ করা হয়৷

    এই নিয়ে গ্রেফতার ৩ আপ নেতা

    প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত আম আদমি পার্টির তিন নেতাকে এই দুর্নীতি মামলায় (Delhi Excise Policy) গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় আগে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। গ্রেফতার হন সত্যেন্দ্র জৈন। এবার গ্রেফতার হলেন সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh Arrested)। এছাড়া, এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tripura: ইউএপিএ আইনে ত্রিপুরার দুই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা কেন্দ্রের

    Tripura: ইউএপিএ আইনে ত্রিপুরার দুই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার (Tripura) দুই জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি এবং এটিটিএফকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সহযোগী এবং শাখা সংগঠনগুলিকেও। মঙ্গলবার ইউএপিএ আইন প্রয়োগ করে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এদিন থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।

    কেন্দ্রের নির্দেশিকা 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুই জঙ্গি গোষ্ঠী কিংবা তাদের সহযোগী ও শাখা সংগঠনের সঙ্গে সংস্রবের অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ও সার্বভৌম তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে সক্রিয় এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠী। ১৯৯৬ সালে বাম আমলে ত্রিপুরায় (Tripura) জন্ম হয় এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর। গণহত্যা, অপহরণ, চোরাচালান সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। এটিটিএফ নেতৃত্বের একাংশ বাম ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ উঠেছে নানা সময়।

    অভিযোগ রাশি রাশি 

    জানা গিয়েছে, এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তর-পূর্বের (Tripura) একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে। হিংসামূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকা, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর, নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র রাখার লক্ষ্যে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছে সদ্য নিষিদ্ধ এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: শুধু সবরীমালা নয়, অযোধ্যার রামমন্দির ওড়ানোর ছকও কষেছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা!

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হয় ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে সুর চড়িয়েছিল তিপ্রা মথা। দলের প্রধান ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মা জানান, তিপ্রাল্যান্ডের সাংবিধানিক সমাধান না করলে কোনও দলকেই সমর্থন করবেন না তাঁরা। দলের কেউ যোগ দেবেন না সরকারেও। তিপ্রা মথার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করতে গিয়ে প্রদ্যোতকিশোর বলেছিলেন, “প্রয়োজনে আমরা বিরোধী আসনে বসব। কিন্তু কয়েকটা মন্ত্রিপদ পাওয়ার লোভে আমরা আমাদের মূল দাবি থেকে সরে আসব না।” তবে তাঁরা যে ত্রিপুরাকে (Tripura) ভাঙতে চান না, তাও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে অবশ্য সশস্ত্র আন্দোলন করছিল জঙ্গি গোষ্ঠী এনএলএফটি এবং এটিটিএফ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ISIS Terrorists: শুধু শবরীমালা নয়, অযোধ্যার রামমন্দির ওড়ানোর ছকও কষেছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা!

    ISIS Terrorists: শুধু শবরীমালা নয়, অযোধ্যার রামমন্দির ওড়ানোর ছকও কষেছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে উদ্বোধন হওয়ার কথা অযোধ্যার রামমন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। বিস্ফোরণে এই মন্দিরই উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ধৃত আইএসআইএস জঙ্গি (ISIS Terrorists) মহম্মদ শাহনওয়াজ সহ তিনজন। নাশকতার ছক কষা হয়েছিল পাকিস্তানে বসে।

    জঙ্গিদের টার্গেটে ছিল মন্দির, জনবহুল এলাকা 

    ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, কেরলের শবরীমালা মন্দিরের পাশাপাশি অযোধ্যার রামমন্দিরও ছিল তাদের টার্গেট। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার কয়েকজন নেতাকে খুনের ছকও কষেছিল জঙ্গিরা। ধৃতদের (ISIS Terrorists) জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, শবরীমালা মন্দির, রামমন্দির ছাড়াও জঙ্গিদের নিশানায় ছিল দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির, জনাকীর্ণ বাজার এবং জনবহুল রেলস্টেশন। এর পাশাপাশি জঙ্গিদের নিশানায় ছিল আরএসএস এবং বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতাও।

    রামমন্দিরে নাশকতার ছকের মাস্টারমাইন্ড

    এনআইএ-র এক আধিকারিক বলেন, “ধৃত জঙ্গির মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ শাহনওয়াজ। সে এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল।” ধৃত এই তিন জঙ্গির তথ্য দিলে ৩ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিল এনআইএ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যার রামমন্দিরে নাশকতার ছকের মাস্টারমাইন্ড হল জঙ্গি ফারহাতুল্লাহ গোরি। পাকিস্তানে বসে এই ছক কষেছে সে। এজন্য শাহনওয়াজ সহ তিনজনকে প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। ভারত থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে আসা জঙ্গি ফারহাতুল্লাহ নাশকতার জন্য অনলাইনে কাশ্মীরি যুবকদের একাংশকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা।

    পুলিশ জানিয়েছে, শাহনওয়াজ পুণের আইএসআইএস মডিউলের সদস্য। দিন কয়েক আগে পুণের পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে। তার সঙ্গে ধৃত আরও দুই জঙ্গিও পুণে মডিউলের সদস্য। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে পাকিস্তানের কয়েকটি পুস্তিকা, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, বোমা তৈরির উপকরণ। জানা গিয়েছে, ধৃত তিন জঙ্গিই বি-টেক পাশ। বোমা তৈরিতেও প্রশিক্ষিত। শাহনওয়াজ দিল্লিতে একটি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

    এনআইএ-র দাবি, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে বড় হামলার ছক কষেছিল শাহনওয়াজরা। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার চেয়েও বড় হামলার ছক কষেছিল এই জঙ্গিরা (ISIS Terrorists)। চলতি সপ্তাহেই নয়াদিল্লিতে হবে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশেষ সম্মেলন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’ দিন ধরে চলবে সম্মেলন। সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এই সম্মেলনের আগে আগেই ধৃত তিন জঙ্গির নাশকতার ছক প্রকাশ্যে আসায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liquor Policy Scam: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় আপ নেতা সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    Liquor Policy Scam: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় আপ নেতা সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে (Liquor Policy Scam) আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসৌদিয়া। ওই একই অভিযোগে বুধবার সাত সকালে আপ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের দিল্লির বাসভবনে হানা দিল ইডি। আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতে নাম রয়েছে সঞ্জয়ের। এর আগে সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে জেরা করা হয়। তার পর এদিন সকালে সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা।

    বিপুল অর্থ হাতবদল!

    দিল্লির আবগারি নীতিতে ২০২১ সালে বদল আনে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির সরকার। পরে অবশ্য বাতিল করা হয় সেই নীতি (Liquor Policy Scam)। সিবিআইয়ের দাবি, ২০২১-২২ সালে নয়া ওই নীতিতে আপ সরকার কয়েকজন মদ ব্যবসায়ীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এজন্য হাতবদল হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এনিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিকে সাক্সেনা। তার পরেই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত শুরু করে ইডিও। জমা দেওয়া হয় চার্জশিট। যে চার্জশিটে নাম রয়েছে সঞ্জয়ের।

    কেজরি-অরোরা বৈঠক

    ইডির চার্জশিট অনুযায়ী, আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি (Liquor Policy Scam) মামলায় অভিযুক্ত দিল্লির ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেছিলেন। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন সঞ্জয়ও। জেরায় দীনেশ ইডিকে জানিয়েছেন, একটি অনুষ্ঠানে সঞ্জয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় মনীশের। মনীশ তখন উপমুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি সামলাতেন আবগারি দফতরও। ওই ঘটনায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে টানা ন’ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় মনীশকে।

    আপের জাতীয় মুখপাত্র রীনা গুপ্তা বলেন, “যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আদানিকে নিয়ে সঞ্জয় সিংহ নিরন্তর প্রশ্ন তুলে চলেছেন, তাই তাঁর বাড়িতে চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযান। এর আগেও একবার হানা দিয়েছিল ইডি। কিছুই পায়নি। আজও কিছু পাবে না। গতকাল কয়েকজন সাংবাদিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। আজ তল্লাশি অভিযান চালানো হল সঞ্জয়ের বাড়িতে।”

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে দিল্লিতে আটক তৃণমূল নেতারা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sikkim Flash Flood: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তায় হড়পা বান, সিকিমে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান

    Sikkim Flash Flood: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তায় হড়পা বান, সিকিমে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের চুংথামে লোনক হ্রদ ফেটে যায়। সেই জল হু-হু করে ঢুকে যায় তিস্তা নদীতে। তাতেই বেধে যায় বিপর্যয়। আচমকা ধেয়ে আসা হড়পা বানে (Sikkim Flash Flood) ভেসে যায় সড়ক। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেনার বহু গাড়ি সহ সেনা ছাউনিও। নিখোঁজ হন ২৩ সেনা জওয়ান (Army Jawans Missing)। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

    লোনাক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে বিপত্তি

    গুয়াহাটিস্থিত সেনার জনসংযোগ আধিকারিক ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে লাচেন উপত্যকার কাছে তিস্তা নদীতে হড়পা বান (Sikkim Flash Flood) আসে। তাতে ২৩ জওয়ান নিখোঁজ (Army Jawans Missing) হয়েছেন।’’ বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসও নেমেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। এই ঘটনার জেরে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চুংথাম। গতরাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে সিকিমে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে গতরাতেই অন্তত সাতজন নিখোঁজ হন। ৬টি সেতু ধুয়ে যায়। আর আজ সকালে হড়পা বানে তলিয়ে গেল সেনার গাড়ি। 

    তলিয়ে গেছে ৪১টি ট্রাক সমেত গোটা সেনা ছাউনি!

    এদিন সকালে সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের মুখপাত্র জানান, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে পড়ে। চুংথাম বাঁধ ভেঙে বিপুল পরিমাণ জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। এর ফলে মুহূর্তে তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। সিংতমের কাছে বরদঙে নদীর ধারে একটি রাস্তায় দাঁড় করানো ছিল বেশ কয়েকটি সেনার গাড়িটি। হড়পা বান (Sikkim Flash Flood) আসায় ট্রাকগুলি তলিয়ে যায় নদীতে (Army Jawans Missing)। সেনা জানিয়েছে, অন্তত ৪১টি ট্রাক তলিয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে ছাউনির প্রায় সমস্ত কিছুই। জলের তলায় চলে গিয়েছে গাড়ি-সহ গোটা সেনা ছাউনি। এর মধ্যে আবার ধস নামতে শুরু হয়েছে। এত বড় ঘটনা সিকিমের বুকে এই প্রথম বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। 

    ভয়াবহ পরিস্থিতি সিকিমে

    প্রশাসন সূত্রে খবর, সিংথামে তিস্তার উপর একটি ফুটব্রিজ ছিল। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে সেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়াও তিস্তার দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিকিমের গোটা লাচেন উপত্যকাই। বহু বাড়ি ভেসে গিয়েছে। বহু মানুষও নিখোঁজ হয়েছেন বলে আশঙ্কা (Sikkim Flash Flood)। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ড বিপর্যয় দেখেছিল গোটা ভারত। এবার সিকিমের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে সকলে। সিকিমে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সিকিম রাজ্য প্রশাসন মানুষকে তিস্তা নদী থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। সিংথাম ও রংপোয় সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের।

    কার্যত বিচ্ছিন্ন সিকিম

    সিকিমের চুংথামে ব্যাপক জলস্ফীতি হয়েছে। সিকিমের উঁচু এলকায় ঢুকে পড়েছে নদীর জল। চুংথাম এলাকা কার্যত সিকিম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জলের তোড়ে ভেঙেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিকিম থেকে দার্জিলিং-শিলিগুড়ির যাতায়াতের রাস্তা (Sikkim Flash Flood)। সামনেই পুজো। পাহাড়ে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন অনেক পর্যটক। হোটেল বুকিংও হয়েছে। শুধু তাই নয়, বহু পর্যটক সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছেন। তাঁরা কিন্তু এই মুহূর্তে আটকে গিয়েছেন। যাঁরা পুজোয় আসবেন বলে ঠিক করেছেন, তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share