Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বাজার গরম করতে রাজঘাটে ধরনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান কর্মসূচির কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না, তাই ধরনার মাঝপথেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। আর এতেই বেআইনি জমায়েত ছত্রভঙ্গ হল তৃণমূলীদের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তৃণমূল কর্মীদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করে, তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ

    তৃণমূল দাবি করছে যে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার আগেই জোর করে গাড়িতে তুলে রাজঘাট থেকে নাকি বের করে দিয়েছে তাঁকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। শাসকদলের নেতৃত্বের এহেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড দিন কমান্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (Delhi Police) এসে আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলে। অনুমতি ছাড়া যে রাজঘাট এভাবে অবরোধ করে রাখা যায়না, তা কি জানেনা রাজ্যের শাসক দল! প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে থাকে যে রাজঘাটে এভাবে ধরনায় বসার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তাতেও কর্ণপাত না করাতে এই সক্রিয় হয় প্রশাসন।

    শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ

    কলকাতাতে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিকরা তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের জবাব, ‘‘বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Agitation: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

    TMC Agitation: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একপ্রস্ত নাটক দিল্লিতে! ঘাসফুলের ব্যানারে এ (কু)নাট্যরঙ্গের কুশীলব অবশ্যই তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সোমবার শুরু হওয়া এই নাট্যানুষ্ঠান (TMC Agitation) চলবে দু দিন ধরে। তৃণমূলের দাবি, একশো দিনের কাজে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। প্রশ্ন হল, কেন দিচ্ছে না? এক কথায় এর পাল্টা উত্তর পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বলা হয়েছে, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ কর্মসূচি পালন করলেই মিলবে টাকা!

    টাকা পাওয়ার শর্ত

    একশো দিনের প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা দেওয়ার আগে একটি শর্ত দিয়েছিল। সেটি হল, একশো দিনের যে টাকা পাঠানো হচ্ছে, তার প্রতিটি পাই-পয়সা জনগণের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা তো হচ্ছেই না, অথচ নেপোয় মারছে দই। এই নেপোদের ধরে ধরে জেলে ভরতে বলা হয়েছিল। অভিযোগ, কেন্দ্রের সেই শর্ত না মেনে দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিয়ে দিল্লি অভিযানে গিয়েছে তৃণমূল। দলীয় কর্মীদের এই ঝাঁকের কইয়ের মাঝে রয়েছেন সেই কালপ্রিটরাও, যাঁরা জনগণের অর্থ ভোগ করছেন নির্লজ্জের মতো। সোমবার তৃণমূলের কর্মসূচির পাল্টা জবাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

    কী অভিযোগ বিজেপির?

    বিজেপির অভিযোগ, গত বছর সেন্ট্রাল টিমের ভিজিটে (TMC Agitation) যে দুর্নীতিগুলো উঠে এসেছিল, তার রিকভারি অ্যামাউন্ট তারা ঠিক করে দিয়েছিল। কোনও পঞ্চায়েত এখনও সেই অর্থ জমা করেনি। আর্থমুভার দিয়ে পুকুর কাটিয়ে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করে টাকা তোলা হয়েছে একশো দিনের কাজে। দলের পেটোয়া কর্মীদের নামে বানানো ওই মাস্টাররোল থেকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। নামেই একশো দিনের কাজ। অভিযোগ, জবকার্ড হোল্ডারদের সিংহভাগই কাজ পেয়েছেন, কেউ ১০ দিন, কেউবা ২০ দিন, কেউ আবার ৩০ দিন। হাতে গোণা দলীয় কর্মীদের মধ্যে যাঁরা একশো দিনই কাজ পেয়েছেন, তাঁদের থেকেও জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে একটা মোটা অঙ্কের টাকা। আধার জবকার্ড সিডিং হওয়ার আগে একই শ্রমিককে বিভিন্ন জব কার্ডে ঢুকিয়েও অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    একশো দিনের কাজ প্রকল্পে একটি পরিবারের একটি মাত্র জব কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ দেখা যাচ্ছে, একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে জবকার্ড তৈরি করে লুটে নেওয়া কাঁড়ি কাঁড়ি হয়েছে টাকা। যেখানে কাজ (TMC Agitation) হয়েছে, সেখানে স্থায়ী ডিসপ্লে বোর্ড নেই। সেন্ট্রাল টিম রাজ্যে এলেই তড়িঘড়ি লাগানো হচ্ছে ডিসপ্লে বোর্ড। চাষযোগ্য জমিকে পুকুরে পরিণত করা হয়েছে একশো দিনের কাজে। যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জমির চরিত্র বদল করা হয়নি। একশো দিনের আইবিএস স্কিমগুলি কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভায় আলোচনা কিংবা বেনিফিশিয়ারি কমিটি তৈরি না করেই দলীয় কর্মীদের জায়গায় স্কিমগুলি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    শুধু তাই নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতে যে কনট্রাকচুয়াল ওয়ার্কাররা কাজ করেন, তাঁদের কন্ট্রাক্ট পরের বছর পুনর্নবিকরণ না করার ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রের বিভিন্ন স্কিমে দুর্নীতি করতে বাধ্য করা হয়। সর্বোপরি, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ডেভেলপমেন্ট মিটিংয়ে সরকারি আধিকারিকরা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের অপমান, মাইনে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি, চোখ রাঙানি ইত্যাদি হাতিয়ার ব্যবহার করে তৈরি করতে বলেছেন শ্রম দিবস। এঁদের দিয়েই ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে এবং কর্মদিবস সৃষ্টি করে লুটে নেওয়া হয়েছে সরকারি অর্থ।

    এত অভিযোগ সত্ত্বেও (TMC Agitation) দলীয় কর্মীদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ধর্নায় বসিয়ে ভোটের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োনোর ফিকির কতটা কাজে দেবে, তা বলবে সময়। তবে দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর যে ফন্দি তৃণমূল কর্তারা এঁটেছেন, তাতে চমক আছে বইকি!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISIS Terrorist Arrested: মাথার দাম ৩ লক্ষ! দিল্লিতে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আইএস জঙ্গি

    ISIS Terrorist Arrested: মাথার দাম ৩ লক্ষ! দিল্লিতে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ঘাপটি বেঁধে রয়েছে তিন ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি। এমন চাঞ্চল্যকর খবর ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র কাছে। সেইমতোই, রাজধানী জুড়ে গত কয়েকদিন ধরে চলছিল চিরুনি-তল্লাশি। ঘোষণা করা হয়েছিল মোটা অঙ্কের পুরস্কারের। আর তাতেই মিলল বড়সড় সাফল্য। সোমবার সকালে দিল্লি থেকে গ্রেফতার (ISIS Terrorist Arrested) করা হয়েছে তিনজনের মধ্যে একজনকে।

    জালে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আইএস জঙ্গি

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিকে ধরল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। এদিন যে জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম মহম্মদ শাহনওয়াজ ওরফে সফিউজ্জামা আলম ওরফে আবদুল্লা। দিল্লির একটি গোপন ডেরা থেকে তাকে আটক করে (ISIS Terrorist Arrested) দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। মূলত, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার এই তদন্তে এনআইএ-র সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। জানা গিয়েছে, শফির মাথার দাম ৩ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল এনআইএ। পুণে আইএস মডিউলের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে যুক্ত ছিল এই বলে নিশ্চিত তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

    মোট ন’লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা

    এনআইএ যে তিন জঙ্গির তল্লাশি করছিল, তাদেরই একজন হল এই শাহনাওয়াজ (ISIS Terrorist Arrested)। বাকি দু়জন হল রিজওয়ান আব্দুল হাজি আলি ও আবদুল্লা ফৈয়াজ শেখ। গত অগাস্ট মাসেই এই তিনজনের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এনআইএ-র হাতে আসে। গোয়েন্দারা আরও জানতে পারেন যে, এই তিন জনই দিল্লিতে এসে গা ঢাকা দিয়েছে। এর পরই দিল্লির আনাচে-কানাচে এদের খোঁজ চালাচ্ছে গোয়েন্দাদের টিম। এই দলে যেমন রয়েছে এনআইএ। তেমনই রয়েছে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) বিশেষ সেল সহ একাধিক নিরাপত্তা সংস্থা। কিছুদিন আগেই, এই তিন জনের সন্ধান দিতে পারলে মাথাপিছু তিন লক্ষ করে মোট ন’লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দেশ পাচ্ছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তেলঙ্গনায় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: দেশ পাচ্ছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তেলঙ্গনায় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ পেতে চলেছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার ভোটমুখী তেলঙ্গনার মহবুব নগরে একথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ‘সম্মক্কা সরাক্কা সেন্ট্রাল ট্রাইবাল ইউনির্ভাসিটি’। উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পরম শ্রদ্ধার দেবী সম্মাক্কা ও সরাক্কা। তাঁদের নামেই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে উঠবে মুলুগু জেলায়।

    কেন্দ্রীয় উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয়

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুলুগু জেলায় কেন্দ্রীয় সরকার একটি কেন্দ্রীয় উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয় গড়বে। যার নাম হবে উপজাতিদের দেবী সম্মক্কা ও সরাক্কার নামে। এজন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁদের ভালবাসার জন্য তেলঙ্গনাবাসীকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।” এর পাশাপাশি নিজামাবাদে একটি ন্যাশনাল টারমারিক বোর্ড গঠনের কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আরও বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন তিনি।

    ট্রেন যাত্রার সূচনা

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একটি ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করেন। ট্রেনটি চলবে হায়দ্রাবাদ-রাইচুর-হায়দ্রাবাদ রুটে। কৃষ্ণ স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়বে। এই ট্রেনটির মাধ্যমে মহবুবনগর এবং নারায়ণপেত জেলার সংযোগ স্থাপন হবে। ট্রেনটি চালু হলে ছাত্রছাত্রী, নিত্যযাত্রী, কর্মী এবং স্থানীয় হ্যান্ডলুম ইন্ডাস্ট্রির কর্মীদের সুবিধা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোভিড অতিমারির পরে হলুদ সম্পর্কে জনসচেতনতা বেড়েছে। বিশ্ববাজারেও হলুদের চাহিদা বেড়েছে। সেই কারণে হলুদের দিকে আমাদের বেশি করে নজর দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ২০২৯ সালেই কার্যকর হবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি!

    উৎপাদন থেকে রফতানি সব দিকেই নজর দিতে হবে। হলুদ চাষিদের প্রয়োজন ও ভবিষ্যৎ সুযোগের কথা ভেবে কেন্দ্র জাতীয় হলুদ বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া ইকনমিক করিডরের শিলান্যাসও করেন। অনুষ্ঠানে মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উৎসবের ঋতু শুরু হয়ে গিয়েছে। নবরাত্রি উৎসব দোরগোড়ায়। সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করে আমরা শক্তিপূজার যাথার্থতাকেই মান্যতা দিয়েছি।” হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিল্ডিংয়েরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ২০২৯ সালেই কার্যকর হবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি!

    One Nation One Election: ২০২৯ সালেই কার্যকর হবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নীতি রূপায়ণে ফর্মুলা খুঁজতে জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে আইন কমিশন। ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই যাতে সব রাজ্যের বিধানসভাগুলির নির্বাচন করিয়ে নেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে কমিশন। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিধানসভাগুলির মেয়াদ বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র পক্ষে প্রধানমন্ত্রী

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র পক্ষে বরাবর সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে, এই নীতি কার্যকর হলে লাভ হবে একাধিক। একদিকে যেমন নির্বাচনের খরচ কমবে, তেমনি অন্যদিকে কাজ কমবে সরকারি আধিকারিকদের। নির্বাচনের জন্য যে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়, তার জেরে যে ব্যাহত হয় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম, সেসবও আর হবে না। লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন এক সঙ্গে হলে সাশ্রয় হবে জনগণের অর্থ। স্বাধীনতার পরবর্তী বেশ কয়েক বছর এক সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন (One Nation One Election)। সেই ব্যবস্থাই ফিরিয়ে আনতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র তত্ত্ব বাস্তবায়িত করতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করেছে কেন্দ্র।

    কাজ শুরু আইন কমিশনের

    আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। ২০২৯ সাল পর্যন্ত দেশ চালাবে নতুন সরকার। তার মধ্যে কোনও এক সময় বিভিন্ন নির্বাচন এক সঙ্গে করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে আইন কমিশন। কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল কমিশন। যেহেতু ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সম্পন্ন করতে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন, তাই চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে কমিশনের কিছু সময় প্রয়োজন। লোকসভা, বিধানসভার পাশাপাশি স্থানীয় স্তরের নির্বাচনগুলিও এক সঙ্গে করা যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: যৌন সম্পর্কে সম্মতির বয়স কমানো যাবে না, কেন্দ্রকে পরামর্শ ল’ কমিশনের

    এই বিষয়টি দেখার জন্যও আইন কমিশনকে বলা হতে পারে বলে কমিশনের একটি সূত্রে খবর। ২০২৯ সালে এক সঙ্গে নির্বাচন করাতে হলে বিধানসভাগুলির মেয়াদ বাড়ানো বা কমানোর সুপারিশ করা হতে পারে। ২০১৮ সালে ২১তম আইন কমিশন মোদি সরকারের ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র (One Nation One Election) প্রস্তাব সমর্থন করেছিল। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রকে একটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বচ্ছতা অভিযানে ঝাঁটা হাতে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, পথে নামলেন শাহ-যোগী-নাড্ডাও

    PM Modi: স্বচ্ছতা অভিযানে ঝাঁটা হাতে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, পথে নামলেন শাহ-যোগী-নাড্ডাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে এক ঘণ্টার স্বচ্ছতা অভিযানে অংশ নিতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। রবিবাসরীয় সকালে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নিজেই যোগ দিলেন স্বচ্ছতা অভিযানে। রাত পোহালেই গান্ধী জয়ন্তী। তার আগের দিন স্বচ্ছ ভারত অভিযানে কোমর কষে নেমে পড়েছিলেন তিনি।

    স্বচ্ছতা অভিযানে প্রধানমন্ত্রী 

    এদিন ঘণ্টাখানেক বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্টও করেছেন তিনি। ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ ভারতের লক্ষ্য স্বচ্ছতা।” ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, হাতে গ্লাভস পরে সাফাই অভিযানে নেমে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাড়ু হাতে নিয়ে ঝাঁটও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একটি বাগানে তাঁর সঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানে দেখা গিয়েছে ফিটনেস বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত বাইয়ানপুরিয়াকে।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা 

    চার মিনিট একচল্লিশ সেকেন্ডের ওই ভিডিও-র ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ যেহেতু ভারতের লক্ষ্য স্বচ্ছতা, তাই অঙ্কিত বাইয়ানপুরিয়া ও আমি একই কাজ করেছি। কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই নয়, আমরা ফিটনেস ও সুস্থতাকেও মিশ্রিত করেছি। সবটাই স্বচ্ছ ও সুস্থ ভারতের ভাবনা।” গত রবিবার মন কি বাতের অনুষ্ঠান থেকেই ১ অক্টোবর ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযান কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি জানিয়েছিলেন, মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই অভিযানে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    স্বচ্ছতায় এক ঘণ্টা শ্রম দিয়ে নিজের এলাকার নদনদী, নালা-জলাশয় পরিষ্কারের মাধ্যমে গান্ধীজিকে ‘স্বচ্ছাঞ্জলি’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার স্বচ্ছতা অভিযানে যোগ দেন তিনি। এদিনের অভিযানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদরাও শামিল হন। গুজরাটের আমেদাবাদে স্বচ্ছতা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    আরও পড়ুুন: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই কর্মসূচি পালন করেছেন দিল্লিতে। সীতাপুরে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদে আসীন হন মোদি। তার পর থেকে ফি বছর ১ অক্টোবর স্বচ্ছ অভিযান কর্মসূচি পালন করে চলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games: রবিবার ফের এল সোনা, পুরুষদের দলগত ট্র্যাপ ইভেন্টে বাজিমাত ভারতের

    Asian Games: রবিবার ফের এল সোনা, পুরুষদের দলগত ট্র্যাপ ইভেন্টে বাজিমাত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনির পর রবিবার। শনিবার এশিয়ান গেমস (Asian Games) টেবিল টেনিসে মেয়েদের ডাবলসের সেমিফাইনালে উঠে আপাতত ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। তারপর রবিবার এল সোনা। এদিন সোনা এল শ্যুটিংয়ে। পুরুষদের দলগত ট্র্যাপ ইভেন্ট থেকে দেশকে সোনা এনে দিলেন কিনান দারিয়াস, জোরাভার সিংহ সান্ধু এবং টি পৃথ্বীরাজ। এ নিয়ে এ বারের এশিয়ান গেমসে ১১তম সোনা এল ভারতের ঝুলিতে। এ নিয়ে শ্যুটিংয়ে সপ্তম সোনা পেল ভারত।

    কুয়েতকে ধরাশায়ী ভারতের 

    এদিন ৩৬১ পয়েন্ট (Asian Games) তুলে সোনা জিতেছে ভারতীয় দল। দ্বিতীয় রাউন্ডের পর কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও তৃতীয় রাউন্ডে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করে ভারত। ৩৫৯ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে কুয়েত। ৩৫৪ পয়েন্ট পেয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে চিন। এর আগের বার রেকর্ড গড়েছিল কুয়েত। এবার সেই কুয়েতকেই ধরাশায়ী করে সোনা জিতলেন শ্যুটাররা। পুরুষদের ৫০ মিটার (Asian Games) ট্র্যাপ থেকে যে সোনা আসতে পারে, তা জানাই ছিল। কিনান, জোরাবর এবং পৃথ্বীরাজ যথেষ্ট ফর্মেও ছিলেন। রবিবার সেই ফর্মেরই ফসল কুড়োল ভারত। ৩৪৭ পয়েন্ট তুলেছে কুয়েত। ভারতের স্কোর ৩৬১। চিনের শ্যুটারদের স্কোর ৩৪১। টিম ইভেন্টে সোনা জয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফাইনালের ইভেন্টে উঠেছেন কিনান ও জোরাবর।

    ভারতের জয়জয়কার

    এদিন প্রথম রাউন্ড থেকেই তীব্র হয়েছে ভারত, চিন এবং কুয়েতের ত্রিদেশীয় লড়াই। প্রথম রাউন্ডে ভারতের পয়েন্ট ৭৪। কুয়েত ও চিনের পয়েন্ট যথাক্রমে কুয়েত ৭২ ও ৭৩। দ্বিতীয় রাউন্ডে ৬৯ পয়েন্ট তোলেন পৃথ্বীরাজরা। এই রাউন্ডে কুয়েত ও চিনের পয়েন্ট যথাক্রমে ৭৩ ও ৬৯। তৃতীয় রাউন্ডে ভারতের পয়েন্ট ৭২। কুয়েত ও চিনের পয়েন্ট যথাক্রমে ৭২ ও ৭০। চতুর্থ রাউন্ডে ভারতের পয়েন্ট ৭৪। কুয়েত ও চিনের পয়েন্ট যথাক্রমে ৭২ ও ৬৯।

    চতুর্থ রাউন্ডের (Asian Games) পর ছিটকে যায় চিন। পঞ্চম তথা শেষ রাউন্ডে ভারত লড়াই করে কুয়েতের সঙ্গে। ভারতের তিন প্রতিনিধি মিলে তোলে ৭২ পয়েন্ট। কুয়েতের শ্যুটাররা তোলেন ৭০ পয়েন্ট। ২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে সোনা জিতে নেয় ভারত।

    আরও পড়ুুন: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ৬ দিনে ৪ ভোটমুখী রাজ্যে ৮ সভা! ম্যারাথন নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি

    Narendra Modi: ৬ দিনে ৪ ভোটমুখী রাজ্যে ৮ সভা! ম্যারাথন নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যে আট সভা। আগামী ৬ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কর্মসূচি এমনটাই। যার শুরুটা হল শনিবার। যা চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।

    ৩০ সেপ্টেম্বর-৬ অক্টোবর ঠাসা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরের শেষে হতে চলেছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections 2023)। এই পাঁচ রাজ্য হল— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, ছত্তিসগড় ও মিজোরাম। এই নির্বাচনগুলি অনেকটা ফাইনালের আগে হওয়া সেমি ফাইনালের মতোই। অর্থাৎ, লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করে নিতে তৎপর সব পক্ষই। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে আবার প্রথম চারটিতে ভাল ফল করতে চাইছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই।

    এই পরিস্থিতিতে, শনিবার থেকে ভোট প্রচারে (Assembly Elections 2023) জোরকদমে নামছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার থেকেই ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে মেগা নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি নরেন্দ্র মোদির। এই সময়ে মোদি চার রাজ্যে থাকবেন। সেগুলি হল— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা ও ছত্তিসগড়। এই ৬ দিনে আটটি র‌্যালিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রচার ঝড় তুলবেন নমো। কোথাও পরিবর্তনের ডাক তো কোথাও প্রত্যাবর্তনের আশ্বাস। পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের সূচনাও করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

    কংগ্রেস-শাসিত ছত্তিসগড় সরকারকে আক্রমণ মোদির

    এদিন ছত্তিসগড় দিয়ে বৃহৎ নির্বাচনী (Assembly Elections 2023) কর্মসূচির সূচনা করলেন মোদি (Narendra Modi)। শনিবার বিলাসপুরে বিজেপির দু’টি পরিবর্তন যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পরিবর্তন মহাসংকল্প’ সমাবেশ। পাশাপাশি, বিলাসপুরের বিজ্ঞান কলেজ মাঠে বক্তব্য পেশ করেন। এদিন বিলাসপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বাধীন রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদি। বলেন, ‘‘মদ থেকে গোবর, সবতেই দুর্নীতি করেছে এই প্রশাসন।’’ রাজ্যের শাসক শিবিরের দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি সংসদে মহিলা বিল পাশ করা এবং কংগ্রেস আমলে সেটা যে দীর্ঘদিন আটকে ছিল, তাও উত্থাপন করেন মোদি। বলেন, ‘‘আরও একটা প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি আমি। নারী শক্তি আজ বাস্তব। গত ৩০ বছর ধরে আটকে ছিল।’’

     

     

    পরপর জনসভা ও একাধিক সরকারি কর্মসূচি নরেন্দ্র মোদির

    আগামিকাল, ১ অক্টোবর তেলঙ্গনার মেহবুবনগর জেলায় যাবেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা। রেল পরিষেবারও সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি যাবেন নিজামের শহরে। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যলয়ে নতুন পাঁচটি ভবন তৈরি করা হয়েছে। ভবনগুলির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশে যাবেন মোদি। গোয়ালিয়রে দুটি জনসভা (Assembly Elections 2023) করার কথা। জবলপুর এবং জগদলপুরেও জনসভা করতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী যাবেন রাজস্থানের চিতোরগড়ে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেও সভা করবেন তিনি। ৩ অক্টোবর, তেলঙ্গানার নিজামাবাদ এবং তার পরে লাগোয়া ছত্তিসগড়ের জগদলপুরে মোদির জনসভা কর্মসূচি রয়েছে। এর পর ৬ তারিখ মোদি ফের যাবেন রাজস্থানে। সেখানে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের শহর জোধপুরে বিজেপির সমাবেশে অংশ নেবেন মোদি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Governor: মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে গেলেন মণিপুরের রাজ্যপাল, পরিবারকে সাহয্যের আশ্বাস

    Manipur Governor: মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে গেলেন মণিপুরের রাজ্যপাল, পরিবারকে সাহয্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ফের উত্তপ্ত মণিপুর। গত পরশুদিন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাসভবনে হামলার ছক করেছিল উত্তেজিত জনতা। পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবার মৃত ২ পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মণিপুরের রাজ্যপাল (Manipur Governor)। জুলাই মাসে দুই ছাত্রছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় গত বুধবার থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী ইম্ফল। উল্লেখ্য এই দুই পড়ুয়ার মৃতদেহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে। ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র শোরগোল পড়ে যায় ইম্ফলে।

    মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে রাজ্যপাল (Manipur Governor)

    শুক্রবার মণিপুরের রাজ্যপাল (Manipur Governor) আনুসুয়া উইকে সন্তান হারা দুই পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পশ্চিম ইম্ফলের জেলায় এই দুই মৃত পড়ুয়ার পরিবার থাকেন। রাজ্যপাল পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজভবন সূত্রে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “জুলাইতে অপহরণ হাওয়া পড়ুয়াদের ছবি সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার থেকেই ফের উত্তেজনা ছাড়ায়। রাজ্যপাল স্বয়ং মৃত দুই পড়ুয়ার পরিবারের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেন। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাবা-মা অনেক দিন ধরে অনশন করছিলেন, তাঁদের জল দিয়ে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।”

    রাজ্যপালের আশ্বাস

    মৃত ২ পড়ুয়ার পরিবারকে রাজ্যপাল (Manipur Governor) আনুসুয়া উইকে বলেন, “এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” পাশাপাশি, গত মঙ্গলবারে ২ পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে যেসকল ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের মারে জখম হন, তাঁদেরকেও শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।

    রাজভবন থেকে বিশেষ বিবৃতি দিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকদের উদ্দেশ্য করে রাজ্যপাল বলেন, “অবিভাবকরা ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য পরামর্শ দিন, আইন যেন হাতে তুলে না নেন তাঁরা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আইন হাতে তুলে নিলে ছাত্রজীবনে দীর্ঘ স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে।” এদিন রাজ্যপাল লাঙ্গোলের শিজা হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আহত ছাত্র-ছাত্রীদের দেখতে যান। তাঁদের বাবা-মায়ের হাতে কিছু কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে শান্তির বার্তা দেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MS Swaminathan: ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক! কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র

    MS Swaminathan: ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক! কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে দুর্ভিক্ষ রোখার জন্য এবং কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষ দিক থেকে ভারত সরকার যে ‘সবুজ বিপ্লব’-এর সূচনা করে, তার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। ষাটের দশকে ভারতে উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কট এবং খাদ্যশস্যের জন্য বিদেশি রাষ্ট্রনির্ভরতা যে অনেকাংশে কমানো গিয়েছিল, তার পিছনে বড় অবদান ছিল প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের বাড়িতে জীবনাবসান হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। 

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    স্বামীনাথনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল সাইটে শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কৃষিতে বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডক্টর স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। বহু মানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। গবেষণার প্রতি তাঁর সঙ্কল্প বহু বিজ্ঞানী এবং গবেষককে অনুপ্রাণিত করেছিল।”

    স্বামীনাথনের বড় হওয়া

    স্বামীনাথনের জন্ম ১৯২৫ সালের ৭ অগস্ট, তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায়। ১১ বছর বয়সে হারিয়েছেন বাবাকে। জেনারেল সার্জেন এমকে সাম্বসিবনের ছেলে স্বামীনাথন ১৫ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। তাঁর উচ্চশিক্ষা শুরু হয় জুলজির হাত ধরে কেরলে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাজ, দিল্লি ও আরও পরে নেদারল্যান্ডস, ইউকে, আমেরিকা থেকে একের পর এক ডিগ্রি সঞ্চয় করেন ও উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যান।

    স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত 

    বিদেশে পড়াশোনায় একটা বড় সময় কাটালেও স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত স্বামীনাথনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ। দেশের মানুষের মুখে খাবার যোগাতে তিনি কৃষি গবেষণায় মন দেন। উন্নত বীজ, জলসেচের মাধ্যমে দেশের পশ্চিম অংশ, মূলত পাঞ্জাবে তিনি আমূল পরিবর্তন আনেন। কৃষিবিজ্ঞানী হিসাবে উচ্চফলনশীল ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। 

    স্বামীনাথনের গবেষণা

    দীর্ঘদিন কৃষি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। মূলত মিশ্র চাষ, চাষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, ফসলে শংকর প্রজাতির ব্যবহার নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন তিনি। ধানের নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের জন্য গোটা বিশ্বে স্বীকৃত স্বামীনাথন। তিনি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন যোজনা কমিশনের সঙ্গেও। প্ল্যান্ট জেনেটিক্সের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজই ভারতের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল। টেকসই কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছিল দেশে। এই সাফল্য তাঁকে এনে দিয়েছিল বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রধান পদে ছিলেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি গবেষণা এবং শিক্ষা দফতরের সচিবের দায়িত্বও সামলান।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    স্বামীনাথনকে সম্মান

    কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৭১ সালে রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় স্বামীনাথনকে। পদ্মশী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি। ২০০৭ এবং ২০১৩ সালে পর পর দু’বার রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁকে। ১৯৮৬ সালে পেয়েছেন অ্যালবার্ট আইস্টাইন অ্যাওয়ার্ড। কর্মজীবন থেকে অবসরগ্রহণের পরেও দেশ-বিদেশের একাধিক পরিবেশগত এবং কৃষি সংক্রান্ত সংস্থায় পরামর্শদাতা কিংবা সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share