Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে মামলা, সুপ্রিম কোর্ট শেষ হল শুনানি-পর্ব, রায়দান স্থগিত

    Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে মামলা, সুপ্রিম কোর্ট শেষ হল শুনানি-পর্ব, রায়দান স্থগিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। এই ধারার বিলোপ সাধনের পর থেকেই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল একাধিক আবেদন। প্রত্যেকটি আবেদনেই পুনরায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার দাবি রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছিল শুনানি। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট ৩৭০ ধারার বিলোপের (Article 370) বিরুদ্ধে আবেদনগুলির রায়দান স্থগিত রাখল। মামলাকারীরা জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনকেও চ্যালেঞ্জ করে। কারণ ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ সাধনের পরেই ২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়। ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।

    পাকিস্তান জিন্দাবাদ দেওয়া সাংসদ ছিলেন এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী 

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় (Article 370) অন্যতম আবেদনকারী ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ মহাম্মদ আকবর লোন। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগ রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় পাকিস্তান স্লোগান দেওয়ার। ১৬ দিন ধরে সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানি (Article 370) চলছিল। এই মামলার শুনানি করছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না,  বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত। অন্যদিকে সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ মোহাম্মদ আকবর লোনকে একটি হলফনামা দাখিল করতে বলে। ভারতের সংবিধান তথা জম্মু-কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই বিশ্বাসের প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া সংসদ হলফনামা দাখিল করেন সোমবার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অবশ্য বলেন যে এটা প্রহসন।

    ৩ বছর ধরে ঝুলে থাকার পরে শুরু হয়েছিল শুনানি (Article 370)

    ৩ বছর ধরে ঝুলে ছিল এই মামলা। জানা গিয়েছে পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ২ অগাস্ট থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল (Article 370) করার আগে পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে মানুষ এক দ্বন্দ্বে ভুগতেন। ভারত না জম্মু-কাশ্মীর, কোথাকার নাগরিক তাঁরা এই প্রশ্ন তাঁদের মনে থাকতো (Article 370)। অনুচ্ছেদগুলি বাতিলের পরে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। রাজ্যের মানুষের প্রতি বৈষম্যের মনোভাব ছিল বলেই পূর্বতন সরকার এই অনুচ্ছেদ (Article 370) বাতিল করেনি বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Name Change: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    India Name Change: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম বদলাতে (India Name Change) চলেছে বলে খবর। ‘ইন্ডিয়া’র বদলে এবার দেশের নাম হতে চলেছে ‘ভারত’। এ নিয়ে চটে লাল বিরোধীদের একাংশ। এহেন আবহে মঙ্গলবার ইন্ধন জোগাল অমিতাভ বচ্চনের একটি ট্যুইট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারতমাতা কী জয়।” অমিতাভের এহেন পোস্টের জেরে চড়ছে জল্পনার পারদ। নেটিজেনদের একাংশের মতে, দেশের নাম নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা নিয়েই অমিতাভের এই পোস্ট। দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষেই মত দিয়েছেন তিনি।

    ‘ইন্ডিয়া’র দাবি

    বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’। এই সংগঠনের সদস্য একাধিক রাজনৈতিক দলের দাবি, তাঁদের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ হওয়ায় দেশের নাম বদলের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, “বিজেপি-বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া বলেই কি দেশের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে?”  দেশের নাম বদলের (India Name Change) প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    আরও পড়ুুন: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    তিনি বলেন, “আজ তো ইন্ডিয়ার নাম চেঞ্জ করে দিচ্ছে বলে আমি শুনলাম। মাননীয় রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড হয়েছে, জি২০-এর লাঞ্চে না ডিনারে, তাতে লেখা আছে ভারত বলে। আরে ভারত তো আমরা বলি। এতে নতুনত্ব কী আছে?” প্রসঙ্গত, অমিতাভ-পত্নী জয়া বচ্চন ‘ইন্ডিয়া’র নেত্রী। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এহেন আবহে অমিতাভের পোস্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    সহবাগের ট্যুইট 

    দেশের নাম বদলে ‘ভারত’ হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার বীরেন্দ্র সহবাগও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের দেশের (India Name Change) আসল নাম ভারত। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নাম ফিরিয়ে আনার সময় এসে গিয়েছে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, দেশের নাম এমন হওয়া উচিত, যা আমাদের গর্বিত করবে। আমরা ভারতীয়। ইন্ডিয়া নাম ব্রিটিশদের দেওয়া। আমাদের আসল নাম ভারত। আমি বিসিসিআই এবং জয় শাহকে অনুরোধ করছি যাতে আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতীয় খেলোয়াড়দের জার্সিতে ভারত লেখা থাকে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন। মঙ্গলবার রাজস্থানের এক জনসভায় তাঁকে নিশানা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (BJP)। তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনা করে।” উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অশোক গেহলটরা চুপ কেন সে প্রশ্নও তোলেন রাজনাথ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। রাজনাথ বলেন, “ক্ষমা না চাইলে দেশ তাঁদের ক্ষমা করবে না।”

    ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা শাহের

    উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “গত দু দিন ধরে ইন্ডিয়া জোট সনাতন ধর্মকে অপমান করছে। রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্যই কংগ্রেস এবং ডিএমকে নেতারা এসব বলছেন। এর আগে মনমোহন সিং বলেছিলেন বাজেটের প্রথম অধিকার সংখ্যালঘুদের। কিন্তু আমরা (BJP) বলছি, বাজেটের প্রথম অধিকার গরিব, উপজাতি, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের। কংগ্রেস বলছে মোদি যদি জেতেন, তাহলে সনাতন দেশ শাসন করবে। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, লস্কর-ই-তৈবার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।” 

    এদিকে, উদয়নিধির শিরচ্ছেদ করতে পারলে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন অযোধ্যার তপস্বী ছাউনি মন্দিরের মহন্ত পরমহংস দাস। তিনি জানান, সনাতন ধর্ম সম্পর্কে কু-মন্তব্য করা উদয়নিধি স্ট্যালিনের শিরচ্ছেদ যে করতে পারবে, তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

    বিহারে দায়ের মামলা 

    অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ও তাঁর ছেলে উদয়নিধির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল বিহারের মুজফ্ফরপুর সিভিল কোর্টে। সোমবার সুনীল কুমার ঝা নামে এক আইনজীবী ওই মামলা করে। আদালতে দায়ের করা মামলায় সুনীল লিখেছেন, উদয়নিধির ওই মন্তব্যের ফলে হিন্দু ও সনাতন ধর্মকে যাঁরা মানেন এমন কোটি কোটি মানুষের (BJP) ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। রাজনৈতিক লাভের আশায় তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ১৪ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে এই মামলার।

     

  • Republic of Bharat: সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম, ইন্ডিয়া হবে ভারত?

    Republic of Bharat: সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম, ইন্ডিয়া হবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গা থেকে মুছে যেতে চলেছে ঔপনিবেশিকতার তকমা! সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম (Republic of Bharat)! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই একথা জানা গিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলে হচ্ছে ‘ভারত’। ইংরেজ শাসনের আগে দেশের নাম ছিল ভারতবর্ষ। নয়া নাম হতে চলেছে ভারত। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেখানেই দেশের নাম বদলে যাচ্ছে বলে দাবি সূত্রের।

    জি২০ সম্মেলন

    ৮ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে দু’ দিনের জি২০ সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিলি করা হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। তাতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (Republic of Bharat)। এ ব্যাপারে একটি পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

    তিনি লিখেছেন, “তাহলে খবরটা সত্যি ছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জি২০ সম্মেলনের নৈশভোজের একটি নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। যেখানে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া লেখা নেই। যা সাধারণভাবে থাকার কথা। বদলে লেখা রয়েছে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত (Republic of Bharat)। বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “সংসদের ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ভারত অর্থাৎ ইন্ডিয়া হল ইউনিয়ন অফ স্টেটস । কিন্তু, এবার এই ইউনিয়ন অফ স্টেটস ধ্বংসের মুখে।”

    বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস

    পাল্টা পোস্ট করে কংগ্রেসের জবাব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি লিখেছেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার প্রবর্তকরা কেন ভারত মাতা কি জয় নিয়ে আপত্তি করেন? কংগ্রেসের না দেশের প্রতি সম্মান রয়েছে, না এরা সংসদকে সম্মান করে। না সংসদের ধারাগুলি মেনে চলে। একটি পরিবারের প্রশংসা করেই এদের দিন কেটে যায়। গোটা দেশে এখন এই পরিবার ও এই দলের দেশদ্রোহী এবং সংসদ বিরোধী কার্যকলাপ সকলের সামনে চলে এসেছে।”

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ট্যুইটারে (অধুনা এক্স  হ্যান্ডেল) লিখেছেন “রিপাবলিক অফ ভারত (Republic of Bharat)। আমাদের সভ্যতা সাহসের সঙ্গে অমৃতকালের দিকে এগোচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • One Nation One Election: প্রধানমন্ত্রীর ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর সুরে গলা মেলালেন পিকেও, এ কীসের ইঙ্গিত?

    One Nation One Election: প্রধানমন্ত্রীর ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর সুরে গলা মেলালেন পিকেও, এ কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বারংবার নির্বাচনের ফলে যে বিস্তর খরচ হয়, মূলতঃ তা কমাতেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন বিরোধীরা।

    সমর্থন পিকের

    তবে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে শর্ত সাপেক্ষে সমর্থন করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। তিনি বলেন, “সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হলে এক দেশ এক নির্বাচন জাতীয় স্বার্থের অনুসারী।” এক সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলে ছিলেন পিকে। পরে তাঁর সঙ্গে মনান্তরের জেরে দল ছাড়েন। গড়েন নিজের দল জন সুরজ। পরে তৃণমূলকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য তাঁকে বাংলায় নিয়ে আসেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন তৃণমূলের সঙ্গেই।

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’

    তবে ইদানিং যেন তৃণমূল-পিকে সম্পর্কের সুতো খানিক আলগা হয়েছে। কারণ দিন কয়েক আগেই বিরোধীদের জোট গঠনের উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছিলেন পিকে। এবার সমর্থন জানালেন প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নীতিকে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতির প্রবক্তা প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি ছিল ভোট বাবদ বিস্তর খরচ কমার পাশাপাশি খাটনি কমবে সরকারি কর্মীদের। বারংবার নির্বাচন হলে একাধিকবার লাগু হবে আদর্শ আচরণ বিধি। যার জেরে থমকে যাবে উন্নয়ন-রথের গতি।  

    আরও পড়ুুন: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    প্রধানমন্ত্রীর মতো পিকেও বলেন, “এক দেশ এক নির্বাচন (One Nation One Election) নীতি কার্যকরী হলে কমবে জাতীয় ব্যয় এবং ভোটারদের ক্লান্তি। এই উদ্যোগের ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে। ভারতের মতো বড় একটি দেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট আসে। তাই যাঁরা সরকার পরিচালনা করেন, তাঁদের অনেকেই এই নির্বাচনের বৃত্তে ব্যস্ত থাকেন। এই ভোট প্রক্রিয়া যদি এক বা দু’ বারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে ভালো হবে।” তিনি বলেন, “যদি সঠিক উদ্দেশ্যে এটা করা হয়, আর একটা সময়কাল চার থেকে পাঁচ বছর, যাতে পর্যাপ্ত সময় পায়, তাহলে এটা দেশের পক্ষে ভালো হবে। এটার কারণ, এটা আগে দেশে চালু ছিল ১৭-১৮ বছর ধরে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1 Mission: দ্বিতীয় দফার কক্ষপথ বদল সফল, এখন কোথায় রয়েছে আদিত্য-এল১?

    Aditya-L1 Mission: দ্বিতীয় দফার কক্ষপথ বদল সফল, এখন কোথায় রয়েছে আদিত্য-এল১?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্যে অবিচল আদিত্য-এল১ (Aditya-L1 Mission)। ধীরে ধীরে সে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে। গন্তব্য থেকে দূরত্ব কমাচ্ছে। বর্তমানে, পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটছে ইসরোর সৌরযান (ISRO Solar Mission)। এদিন ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে তিনটে নাগাদ দ্বিতীয় বারের কক্ষপথ পরিবর্তন প্রক্রিয়া (ইসরোর পরিভাষায় ইবিএন#২) সফলভাবে সম্পন্ন করেছে আদিত্য-এল১। 

    ভারতের প্রথম সৌরাভিযান

    গত শনিবার, ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় ১ হাজার ৪৮০ কেজি ওজনের আদিত্য-এল১ (Aditya-L1 Mission)। উৎক্ষেপণের ৬৩ মিনিট পর ইসরোর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপিত করা হয়েছে আদিত্য-এল১ উপগ্রহকে। সেই সময় প্রথম কক্ষপথে স্থাপিত করা হয়েছিল আদিত্য-এল১-কে। এর পর, ৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ, রবিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ প্রথমবার কক্ষপথ পরিবর্তন করে দ্বিতীয় কক্ষপথে পৌঁছে যায় আদিত্য এল১। সেই সময় ইসরোর তরফে বলা হয়েছিল, সাফল্যের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর ইসট্র্যাক থেকে প্রথম কক্ষপথ পরিবর্তনের (ইবিএন#১) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় আদিত্যর।

    সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলো দ্বিতীয় লাফ

    এদিন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলো দ্বিতীয় লাফ। এর ফলে, মহাকাশযানটি (ISRO Solar Mission) বর্তমানে তৃতীয় কক্ষপথে পৌঁছে গেল। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ২৮২ কিমি x ৪০,২২৫ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1 Mission)। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে এদিন ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডলে জানানো হয়, বেঙ্গালুরুর ইসট্র্যাক এবং পোর্ট ব্লেয়ার ও মরিশাসের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে আদিত্য-এল১-কে ট্র্যাক করা হয়েছে। আপাতত সৌরযানের হাল হকিকত স্বাভাবিক রয়েছে। সব যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক আছে। ইসরো জানিয়েছে, এর পর তৃতীয় কক্ষপথ বদল হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটে নাগাদ।

    পাঁচবার কক্ষপথ বদল করবে আদিত্য

    ইসরো জানিয়েছে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছেড়ে বেরোয়নি ইসরোর সৌরযান (ISRO Solar Mission)। চন্দ্রযান ৩-এর মতোই পৃথিবীর চারদিকে পাঁচবার চক্কর কাটবে আদিত্য-এল১। এই করতে করতে প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চয় করে নেবে। তাতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ১৬ দিন। এর পর পঞ্চম বার কক্ষপথ বদলের মাধ্যমে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল কাটিয়ে সোজা পাড়ি দেবে সূর্যের দিকে। আদিত্য-এল১ উপগ্রহের চূড়ান্ত গন্তব্য হলো পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী ল্যাগ্রাঞ্জ-১ পয়েন্ট বা এল-১ পয়েন্ট। এটি পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরের একটি ‘হ্যালো’ পয়েন্ট। সেখানেই গিয়ে স্থায়ীভাবে থাকবে এবং সূর্যের জরিপ করবে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1 Mission)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: একটিও ছুটি না নিয়ে টানা সাড়ে ৯ বছর কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, বলছে তথ্য

    PM Modi: একটিও ছুটি না নিয়ে টানা সাড়ে ৯ বছর কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, বলছে তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নিজেকে জনগণের ‘চৌকিদার’ বলে দাবি করেন। তিনি যে সত্যিই প্রতিদিন চৌকি দিচ্ছেন, তার প্রমাণ মিলল তথ্যের অধিকার আইনে। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন ১৭ ঘণ্টা কাজ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। অর্থাৎ বছরের ৩৬৫ দিনই ১৭ ঘণ্টা কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    নিরলস প্রধানমন্ত্রী

    কেবল তাই নয়, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ২০১৪ সালে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত এই সাড়ে ন’ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের কালে একটি দিনও ছুটি নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তথ্যের অধিকার আইনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তারা জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই কাজ করেছেন মোদি। অথচ, তাঁর এই কার্যকালের মেয়াদে রবিবারের পাশাপাশি ছিল আঞ্চলিক ছুটির দিন, জাতীয় ছুটির দিনও।

    ‘বিশাল সৌভাগ্যের বিষয়’

    তামাম ভারত যখন এই ছুটির দিনগুলিতে মধ্যাহ্নভোজ সেরে দিবা নিদ্রায় মগ্ন হয়েছেন, তখনও নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুদিন আগে ব্যাঙ্ককে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “আমি মনে করি যে এই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো একজনকে পাওয়া দেশের জন্য একটি বিশাল সৌভাগ্যের বিষয়।” প্রসঙ্গত, তথ্যের অধিকার আইনে উত্তরগুলি দেওয়া হয়েছে পিএমও-র আন্ডার সেক্রেটারি পারভেশ কুমারের পক্ষ থেকে।

    আরও পড়ুুন: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদে শপথ নিয়েই মন্ত্রিসভার সদস্যদের মোদি বলেছিলেন, “মানসিকতা পাল্টান। সামনে অনেক কাজ। যে জনমত নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য শুধু কাজেই মনোনিবেশ করতে হবে।” শপথ নেওয়ার পরে সতীর্থদের মোদি এও বলেছিলেন, “স্বচ্ছ ও দক্ষ সরকারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চান তিনি। তাই পরিবারের কাউকে ব্যক্তিগত সচিব না করা, নিয়মিত সম্পত্তির হিসেব দাখিল করার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ছুটি না নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। আরটিআইয়ের ফলে জানা গেল, সনাতন ভারতের যে ‘আপনি আচরি ধর্ম’ মন্ত্রটি ছিল, তা হুবহু মেনে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Arunachal Tunnels: সেপ্টেম্বরেই জোড়া টানেলের উদ্বোধন করছে ভারত, কেন জানেন?

    Arunachal Tunnels: সেপ্টেম্বরেই জোড়া টানেলের উদ্বোধন করছে ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে অব্যাহত ভারত-চিন বিবাদ। অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Tunnels) নিজের দেশের ভূখণ্ড দাবি করে নয়া মানচিত্র প্রকাশ করেছে ড্রাগনের দেশ। যদিও ভারত বরাবরই বলে আসছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

    বিশ্বের দীর্ঘতম যমজ টানেল

    অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে বেজিং যখন মানচিত্রের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করছে, ঠিক তখনই অরুণাচল প্রদেশে টানেলের উদ্বোধন করতে চলেছে ভারত। চলতি মাসেই উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই টানেলের দ্বার। অরুণাচল প্রদেশের এই টানেলটির নাম সেলা টানেল। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম যমজ টানেল। এই জোড়া ট্যানেল রয়েছে ১৩ হাজার ফিট উচ্চতায়। এই টানেলটি চালু হয়ে গেলে তাওয়াং অঞ্চলে দ্রুত সেনা এবং সমর সরঞ্জাম পাঠানো যাবে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষের দিকেই খুলে যাবে এই যমজ টানেল।

    বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন

    কিছুদিন আগেই উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে ভারত জানতে পেরেছে, সীমান্তে (Arunachal Tunnels) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন। সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এলাকায় আগেভাগেই অস্ত্র ও যুদ্ধের রসদ মজুত করে রাখার পরিকল্পনা করেছে বেজিং। যুদ্ধ শুরু হলে বেজিং যাতে কোনওভাবেই বাড়তি সুবিধা না পায়, তাই দ্রুত টানেলের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়ে মজবুত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছে নয়াদিল্লি। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এই টানেলের (Arunachal Tunnels) শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। বালিপাড়া চারদুয়ার তাওয়াং সড়কের ওপরই গড়ে উঠছে এই টানেল।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি’’, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী, কারণ কী জানেন?

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হল উত্তরপূ্র্বের নচিপুর টানেল। এই টানেলের সাহায্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের অনায়াস যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। এক আধিকারিকের মতে, পাঁচশো মিটার দীর্ঘ এই টানেল রয়েছে ৫ হাজার ৭০০ ফিট উচ্চতায়। পশ্চিম কেমাংয়ের বিসিটি সড়কের ওপর গড়ে উঠেছে এই টানেল। আগামী সপ্তাহেই উদ্বোধন হবে এই টানেলের।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের মানচিত্রের একটি নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছে চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশ ও পূর্ব লাদাখকে চিনের অংশ হিসেবে দাবি করেছে বেজিং। যার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এহেন আবহে জোড়া টানেল উদ্বোধন করে ড্রাগনের দেশকে মুখের মতো দিতে চাইছে মোদির ভারত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: ‘‘কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি’’, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী, কারণ কী জানেন?

    PM Modi: ‘‘কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি’’, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে দেশের বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। সংগঠনের নাম ‘ইন্ডিয়া’। এই জোটের তৃতীয় বৈঠকটি হয়ে গেল বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে। তবে বিরোধীরা যতই জোট বাঁধুন না কেন, তৃতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    জিতবে বিজেপি-ই

    বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই তিনি বলতে শুরু করেছেন, কেন্দ্রের কুর্সিতে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি-ই। তাঁর জমানায় যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং তার জেরে যে আমভারতবাসী বিজেপিকেই ভোট দেবেন, সে ব্যাপারেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও বিজেপি যে ক্ষমতায় ফিরছে, তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। কেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই দিল্লির তখতে বসছে, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন

    তাঁর সরকারের আমলে অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়নই তাঁদের ফের ক্ষমতায় ফেরাবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপির নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। সেই সময় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশম স্থানে ছিল ভারত। আর মোদির ন’ বছর শাসনে দেশের ঠাঁই হয়েছে ওই তালিকার পঞ্চম স্থানে। দীর্ঘদিন যে জায়গাটা ধরে রেখেছিল ইংল্যান্ড। সেই রাজার দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে মোদির ভারত।

    আরও পড়ুুন: জি২০ সম্মেলনে ভারতে আসছেন বাইডেন-মাঁক্র, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি?

    অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিরিখে যদি দেশবাসী বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরাতে মনস্থ করেন, তাহলে আরও আছে। তাঁর আমলেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে চন্দ্রযান ৩। ভারত যেদিন চন্দ্রবিজয় করেছে, তারই দিন কয়েক আগে চাঁদের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাশিয়ার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের স্বপ্ন। তাই বিশ্ববাসীর চোখে আক্ষরিক অর্থে হিরো হয়ে গিয়েছে মোদির ভারত। চাঁদমারি সফল হওয়ার পর পরই সূর্যালোকে আদিত্য এল ওয়ান পাঠিয়েছে ভারত। দূর থেকে সূর্যের হালহকিকৎ বোঝার চেষ্টা করবে ইসরো প্রেরিত এই যান।

    জি২০ সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্বও ভারত পেয়েছে মোদির (PM Modi) জমানায়। দেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সম্মান অর্জন করেছেন, সাম্প্রতিক অতীতে তা পাননি কোনও প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির আমলেই চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে জিডিপি বৃদ্ধির হার। যার জেরে কমেছে দারিদ্র। তাই ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি-ই ফের ক্ষমতায় আসছে বলে জানান মোদি। তাঁর আমলেই ভারত যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা করে নেবে, সে ব্যাপারেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

        

  • Chandrayaan 3: প্রয়াত ইসরো বিজ্ঞানী এন ভালারমতি, তাঁর কণ্ঠেই বিশ্ব শুনেছিল ভারতের চন্দ্রজয়ের কথা

    Chandrayaan 3: প্রয়াত ইসরো বিজ্ঞানী এন ভালারমতি, তাঁর কণ্ঠেই বিশ্ব শুনেছিল ভারতের চন্দ্রজয়ের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার আগে কাউন্টডাউন করেছিলেন বিজ্ঞানী এন ভালারমতি। এই বিজ্ঞানীর কণ্ঠস্বরেই সারা বিশ্ব জানতে পেরেছিল প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ভারতবর্ষ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাই-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিজ্ঞানী ভালারমতি (Chandrayaan 3)। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরোর (Chandrayaan 3) এই বিজ্ঞানী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সারাদেশে।

    এন ভালারমতির সংক্ষিপ্ত জীবন

    ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর গ্রামে জন্ম হয় বিজ্ঞানী এন ভালারমতির। জানা যায় ১৯৮৪ সাল থেকেই তিনি ইসরোর কাজের সঙ্গে যুক্ত। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম রেডার স্যাটেলাইট মহাকাশের সফলভাবে স্থাপিত হয় ২০১২ সালে। এই অভিযানের তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে ছিলেন ভালারমতি। যেকোনও বিষয়ে ইসরোতে তাঁকে ধারাভাষ্য দিতে শোনা যেত। বিজ্ঞান এবং গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তামিলনাড়ুর আব্দুল কালাম পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কটাকৃষ্ণন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখছেন, “শ্রীহরিকোটায় ইসরোর (Chandrayaan 3) পরবর্তী মিশনগুলির কাউন্টডাউন যখন চলবে, সেই সময় ভালারমতি ম্যাডামের কণ্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত। প্রণাম।”

    ফের অবতরণ ল্যান্ডার বিক্রমের, কীভাবে? 

    অন্যদিকে, ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে,  ফের একবার চাঁদের বুকে অবতরণ করানো হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমকে (Chandrayaan 3)। কিন্তু কীভাবে? আসলে এটির উপর একটি হপ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মানে বিষয়টি সরলভাবে বললে দাঁড়ায়, ইঞ্জিনগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে। এই সময় প্রত্যাশিতভাবে ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3) চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার উপরে উঠে পড়ে। এরপর সেই স্থান থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরে গিয়ে আবার সফলভাবে ল্যান্ডিং করে। এই পদ্ধতিকে কিকস্টার্টও বলা হয়ে থাকে।  এতে ভবিষ্যতে মানব মিশন পাঠানোর ব্যাপারে আরও উৎসাহ পাওয়া গেল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা (Chandrayaan 3)। সাধারণভাবে এই পদ্ধতিতে পুনরায় স্টার্ট করে ল্যান্ডারকে (Chandrayaan 3) চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করানো হয়, সংযোগ করা হয় মূল মহাকাশযানে সঙ্গে তারপর তা পৃথিবীতে ফিরে আসে। অ্যাপোলো মিশনগুলিতে এভাবেই ৪ বার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ফিরে এসেছিলেন নাসার মহাকাশচারীরা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share