Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Haryana Violence: হরিয়ানায় হিন্দুদের শোভাযাত্রায়  হামলা, নিহত ৩, জ্বলল গাড়ি, বন্ধ ইন্টারনেট

    Haryana Violence: হরিয়ানায় হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা, নিহত ৩, জ্বলল গাড়ি, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানায় (Haryana Violence) হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা চালানো হলো। একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী হিংসা ছড়াল হরিয়ানা নুহ্‌ (মেওয়াট) জেলায়। শ্রাবণ মাসের সোমবার উপলক্ষে ওই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। অভিযোগ, মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু ক্ষিপ্ত মানুষ এই হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় শিব মন্দিরে আশ্রয় নেন বহু মানুষ। সোমবার সকালে থেকে শুরু হওয়া ওই ঘটনায় শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।  তাদের মধ্যে দুজন হোমগার্ড। জখম হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন। গুজব ঠেকাতে ওই অঞ্চলে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সংঘর্ষ রুখতে গুরুগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

    ধর্মীয় শোভাযাত্রা ঘিরে সংঘর্ষ

    সোমবার সকালে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Haryana Violence) উদ্যোগে ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা শুরু হয়েছিল। তখনই গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে এই যাত্রা থামান কয়েকজন। এরপরই শোভাযাত্রাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি গাড়িকে লক্ষ্য পাথর ছোড়া হয়। সেই সময় শিবমন্দির চত্বরে আশ্রয় নেন প্রায় ২৫০০ মানুষ।

    সন্ধ্যার দিকে গুরুগ্রাম সোহনা হাইওয়েতে হিংসা ছড়াতে থাকে। একাধিক গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকান, যানবাহনে আগুন ধরানো হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও চলে ইট বৃষ্টি। ঘটনায় দুজন হোমগার্ড সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দুই হোমগার্ডকে গুলি করে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ৪৫ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। আহত হয়েছেন ২০ পুলিশ কর্মীও। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করে।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

    হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, ‘‘গুজব এবং প্ররোচনা ঠেকাতে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।’’ হরিয়ানার (Haryana Violence) মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর ট্যুইট করে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, ‘‘দোষীদের কোনও মূল্যে ছাড় দেওয়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

    খেডলা মোডের পুলিশের আধিকারিক হুকুম সিং বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় রুট মার্চ করেছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। ঘটনার জেরে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’’  পুলিশ সূত্রে খবর, ৫জনের বেশি জড়ো হলে, অস্ত্র সহ জমায়েত, রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্তে আকাশসীমাকে সুরক্ষা করতে আরও জোরদার প্রস্তুতি নিল ভারত। সম্প্রতি, পাক-সীমান্ত লাগোয়া জম্মু কাশ্মীরের আকাশে দেখা গিয়েছে দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) মহড়া। 

    বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর ও লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে যুদ্ধবিমানগুলিকে অবগত করাতেই নাকি এই বিশেষ মহড়া চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা কর্তারা বলেছেন, উপত্যকায় উড়ানের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এলসিএ-র একটি ফ্লিটকে ফরোয়ার্ড বেসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পর্বতাঞ্চলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এই বিশেষ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, সেনার উদ্দেশ্য তেজসকে এই অঞ্চলে যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা।

    মিগ-২১ বাইসন আউট, তেজস ইন!

    বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাক সীমান্তের সুরক্ষার দায়িত্ব ছিল মিগ-২১ বাইসনের হাতে। এখন, ধীরে ধীরে রুশ নির্মিত এই যুদ্ধবিমানকে পাকাপাকিভাবে অবসরে পাঠাতে তৎপর কেন্দ্র। তার জায়গায় তেজস যুদ্ধবিমানকে অন্তর্ভুক্ত করাই লক্ষ্য। অর্থাৎ, নিকট ভবিষ্যতে, পাক সীমান্তের আকাশসীমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তেজস ও রাফাল। রাফালের একটি স্কোয়াড্রন আম্বালায় রয়েছে। মূলত, ভারত-পাক সীমান্তের কথা বিবেচনা করেই তাদের এই জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। এবার তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব ভাগ করে নেবে তেজস (Tejas Fighter Jet)।

    তেজসের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোই লক্ষ্য

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) ওপর ধীরে ধীরে আস্থা ও নির্ভরতা বাড়াতে উদ্যোগী মোদি সরকার। প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধবিমানগুলিকে আরও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করার কাজ চলছে। বাড়ানো হচ্ছে তেজস-এর ধার-ভার ও অস্ত্রবহনের ক্ষমতা। কেন্দ্রের লক্ষ্য, আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে পুরনো, ধুঁকতে থাকা মিগ যুদ্ধবিমানকে একেবারে সরিয়ে নতুন প্রযুক্তির তেজসকে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে, জম্মু কাশ্মীরের মতো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে কী ভাবে লড়াই করতে হয়, সময় থাকতে থাকতে সেই কৌশল শিখে নেওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। 

    চিন-পাকিস্তানের জেএফ-১৭ বনাম ভারতের তেজস

    ইতিমধ্যে তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) দুটি স্কোয়াড্রনকে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা ইনিশিয়াল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স ও ফাইনাল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স পেয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এই দুটি স্কোয়াড্রন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এই যুদ্ধবিমানগুলি মার্ক-১ শ্রেণিভুক্ত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের তৈরি বিমানগুলি চিন ও পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি সমর্থ ও কার্যকরী। পাকিস্তান ও চিনের তৈরী জেএফ-১৭ বিমানের থেকে অনেকটাই ভালো মানের। আগামী দিনে এই লাইট ওয়েট যুদ্ধবিমানে আরও উন্নত প্রযুক্তি যোগ করা যেতে পারে। সেই নিয়ে ডিআরডিও বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করছেন বলেই সূত্রের খবর। এছাড়া, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ শ্রেণির বিমান বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে। এগুলি আরও অন্নত। মার্ক-২ শ্রেণির তেজস নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একইসঙ্গে গবেষণা চলছে অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (অ্যামকা) নিয়েও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Yogi Adityanath : ‘‘তাহলে মসজিদের ভিতর ত্রিশূল কেন?’’ জ্ঞানবাপী নিয়ে প্রশ্ন যোগীর

    Yogi Adityanath : ‘‘তাহলে মসজিদের ভিতর ত্রিশূল কেন?’’ জ্ঞানবাপী নিয়ে প্রশ্ন যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বলা ঠিক নয়। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলার মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath controversial comment on Gyanvapi)। সোমবার তিনি বলেন, ‘জ্ঞানবাপী আদৌ কোনও মসজিদ নয়। মসজিদে কি ত্রিশূল থাকে, দেবতার মূর্তি থাকে? জ্ঞানবাপীতে সেগুলি কোথা থেকে এল? নিশ্চয়ই হিন্দুরা সেগুলি রাখেনি।’ তাঁর কথায়, ‘জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বলাতেই যত বিবাদ।’

    যোগী আদিত্যনাথের দাবি

    জ্ঞানবাপীর কার্বন ডেটিং নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে যোগী বলেন, এটাকে মসজিদ বললে ভুল হবে। যদি মসজিদই হয়, তবে তার মধ্যে ত্রিশূল এবং শিবলিঙ্গ কী করে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যোগী বলেন, জ্ঞানবাপীর দেওয়ালে রয়েছে হিন্দু দেবদেবীর ছবি। মসজিদের দাবি থেকে মুসলিম সম্প্রদায়কে পিছিয়ে আসার পরামর্শ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘বিবাদ মীমাংসায় সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে তার আগে মুসলিমপক্ষকে ঐতিহাসিক ভুলের কথা স্বীকার করতে হবে।’

    আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    ৩ অগাস্ট রায়দান

    প্রসঙ্গত, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙে ঔরঙ্গজেব জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, বলে অভিযোগ বহু দিনের। ঘটনার নতুন মাত্রা পায় ২০২১ সালের অগস্ট মাসে। মসজিদ চত্বরে হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব এবং পুজো অর্চনার দাবি করে বারাণসী জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ মহিলা। সেই সময় মসজিদের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের নির্দেশ দেয় আদালত। আর তার রিপোর্টে মসজিদ চত্বরে একটি অংশে শিবলিঙ্গ আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপর মসজিদের কার্বন ডেটিংয়ের দাবি করে বারাণসী আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দু সংগঠনগুলি। এএসআই-কে দিয়ে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সমীক্ষার সময় মসজিদের পরিকাঠামো ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করে মসজিদ কমিটি। সমীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। শুনানি শেষ হলেও, আগামী ৩ অগাস্ট রায়দান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহাভারতে’ ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) ছিল বলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা। তাঁর এই মন্তব্যে বিস্তর হইচই হয় রাজ্যে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভূপেনকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এফআইআর দায়ের হয় ভূপেনের বিরুদ্ধে। এর পরেই সুর নরম করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চান নিঃশর্ত ক্ষমাও। ক্ষমা প্রার্থনা করে ভূপেন বলেন, “আমার এই মন্তব্যের জন্য কোনও সম্প্রদায় যদি আঘাত পেয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত। ধর্মকে আঘাত করার মতো কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না।” মন্তব্যের জন্য শ্রীকৃষ্ণের কাছেও ক্ষমা চাইবেন বলে জানান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগও তোলেন ভূপেন।

    ‘লাভ জিহাদ’

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন হিন্দু স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ ওঠে জনৈক নাজিবুর রহমান বোরার বিরুদ্ধে। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে ‘লাভ জিহাদে’র (Love Jihad) তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দাবি করেছিলেন, মহাভারতেও ‘লাভ জিহাদ’ ছিল। এ ব্যাপারে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিনীর বিয়ের উদাহরণ দেন।

    ভূপেনের আলটপকা মন্তব্য

    তাঁর দাবি, মহাভারতের এই চরিত্রদের বিয়েও ছিল ‘লাভ জিহাদ’। ভূপেনের আলটপকা মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। ঘরে-বাইরে বিপাকে পড়ে যায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সরব হয় হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন আলটপকা মন্তব্যে বিপাকে পড়তে পারে দল। বিজেপি ভূপেনের এই বিতর্কিত মন্তব্যকেই (Love Jihad) হাতিয়ার করতে পারে। সূত্রের খবর, এসব চিন্তা করেই ভূপেনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভূপেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: মহারাষ্ট্রে লাভ জিহাদ! প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, গ্রেফতার ৪

    Love Jihad: মহারাষ্ট্রে লাভ জিহাদ! প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, গ্রেফতার ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদ (Love Jihad) এবং ধর্মান্তকরণের ঘটনা মহারাষ্ট্রে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন দাবি তুলেছে যে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের (Love Jihad) বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা হোক। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলা থেকে অভিযোগ এসেছে যে একটি নাবালিকাকে ৮ জন মিলে ষড়যন্ত্র করে তাকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে এবং পরবর্তীকালে তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে প্ররোচনা দেওয়া হয়। এই প্রত্যেক অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গেছে। ৮ অভিযুক্ত হল, আভেজ নিশার শেখ, কাইফ শেখ, সোহেল শেখ, হিনা শেখ, আলিসা শেখ, সালিম পাঠান, আলতাব শেখ, সাকির সাহেব। জানা গিয়েছে আটজন অভিযুক্তের মধ্যে পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। যাদের মধ্যে দুজন মহিলা আছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪(৩), ৩৫৪ (ডি) ১০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। পাশাপাশি পক্সো আইনের ৮ এবং ১২ নম্বর ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযুক্ত শিক্ষিকা হিনা হিন্দু মেয়েদের বোরখা পরতে বলতো  

    প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত মহিলা হিনা শেখ টিউশিন পড়াত। আসল উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু নাবালিকাদের সে প্ররোচনা দেওয়া মুসলিম ধর্মের অনুসরণ করার জন্য। জানা গিয়েছে, আহমেদনগর জেলার রাহুরির উম্রে গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এবং নির্যাতিতা নাবালিকা ইতিমধ্যে অভিযোগও দায়ের করেছে। ওই নাবালিকার মতে, সে দশম শ্রেণিতে পড়তো এবং টিউশন নিত অভিযুক্ত হিনার কাছে।  ২০২১ সাল থেকে ওই নাবালিকা হিনার কাছে পড়তো বলে জানা গেছে।  হিনার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে যে মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকদেরকে তিনি ক্লাসে ডেকে আনতেন এবং হিন্দু মেয়েদের সঙ্গেই তাদেরকে বসাতেন।  আরও মারাত্মক অভিযোগ, হিনা শেখের কাছে যে মুসলিম যুবকরা আসত, তারা পড়তে আসতো না। বরং শুধু বসে থাকার জন্যই আসতো এবং হিনাও হিন্দু মেয়েদের মুসলিম ধর্ম মেনে চলার পরামর্শ দিত। শুধু তাই নয়, বোরখা পরার পরামর্শ দেওয়া হতো তাদেরকে।  কপালে টিপ পরারও বিপক্ষে ছিলেন হিনা। অভিযোগ হিন্দু মেয়েদের লাভ জিহাদের (Love Jihad) ফাঁদে ফেলে তাদেরকে ধর্মান্তকরণ করে ইসলামে নিয়ে আসা হিনার মূল উদ্দেশ্য ছিল।

    হিন্দু নাবালিকার দাবি

    ওই নাবালিকার দাবি, একদিন সে যখন বাড়ি যাচ্ছিল তখন আভেজ তার পথ আটকায় এবং তাকে বলে যে সে তাকে ভালোবাসে (Love Jihad)। এবং পরবর্তীকালে সে ওই নাবালিকার ভাইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে এবং তার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এই সময়ের মধ্যে এসে আভেজ নিশার শেখ আবারও বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এবং পরবর্তীকালে হোয়াটসঅ্যাপে লাগাতার মেসেজও পাঠাতে থাকে অভিযুক্ত আভেজ। একদিন ওই নাবালিকাকে আভেজ পরামর্শ দেয় যে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করতে এবং তার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে (Love Jihad) করতে। সে আরও বলে যে গ্রামের অনেকেই তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে গেছে এবং তার সম্প্রদায়ের অনেকেই টাকা দিয়ে তাকে সাহায্য করতে চায়। পরবর্তীকালে ওই নাবালিকা আভেজের সঙ্গে সমস্ত রকমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু এর পরেও আভেজ তাকে ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করতে থাকে। কিন্তু সে আর কোনও উত্তর দেয় না।  এই ঘটনা ২০২১ সালের। পরবর্তীকালে চলতি বছরের ২৬ জুলাই ওই একই টিউশন অপর একটি হিন্দু নাবালিকা আভেজের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। এই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয় যে আভেজ এবং তার বোন আলিশা জোরপূর্বক তাকে বোরখা পরাতে চায় এবং মুসলিমদের মতো থাকতে বলে। শুধু তাই নয় ওই টিউশন থেকে আরও তিন থেকে চার জন হিন্দু নাবালিকা আভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে তাদেরকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে সে ধর্মান্তকরণ করতে চেয়েছে। এবং এই কাজে সম্পূর্ণভাবে জড়িত তাদের শিক্ষিকা।  এই ঘটনাযটি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রসাদ লাড বিধানসভায় উত্থাপন করেছেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Chandrayaan 3: আজ মধ্যরাতে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    Chandrayaan 3: আজ মধ্যরাতে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চন্দ্র মিশনে (ISRO Moon Mission) আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ মধ্যরাতে ঘটতে চলছে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সব ঠিকঠাক চললে, আজ রাত থেকে চাঁদের দিকে সরাসরি এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    এখন ঠিক কোথায় আছে ‘চন্দ্রযান ৩’?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছে এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। তবে, ঘোরার ফাঁকে নিজের গতিও বাড়িয়ে চলেছে। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার, তার মাধ্যমে কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়িয়ে নিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বর্তমানে পৃথিবীকে শেষবার প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযানটি। যাকে বলা হচ্ছে ফাইনাল আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার। এখন সেটি রয়েছে পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবী থেকে দূরে) x ২৩৬ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবী থেকে নিকট) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে। 

    আজ মধ্যরাতে কী ঘটতে চলেছে?

    আজ রাতে ইসরোর মিশন কন্ট্রোল থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হবে। এর ফলে, ফের একবার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। তবে তফাতের মধ্যে, এবার আর পৃথিবীর কক্ষপথে সীমাবদ্ধ থাকবে না ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আজকের এই বিশেষ প্রক্রিয়ার ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এক লাফে প্রতিস্থাপিত হবে চাঁদের কক্ষপথের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি’। ইসরো সূত্রে খবর, এই বিশেষ প্রক্রিয়াটি হতে চলেছে রাত ১২টা থেকে রাত দেড়টার মধ্যে। 

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    এটা সকলেই জানেন যে, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে পৃথিবী। এই কক্ষপথকে বলা হয় আর্থ অরবিট। ঠিক একইভাবে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আর চাঁদ সেই প্রদক্ষিণ করে চলে তার নিজস্ব কক্ষপথ ধরেই। যাকে বলা হয় লুনার অরবিট। আবার চাঁদ একইধারে পৃথিবীর সঙ্গেই সূর্যের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো কর্তাদের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, আজ ‘চন্দ্রযান ৩’-কে এক কথায় নিক্ষেপ করা হবে বা ঠেলে দেওয়া হবে চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন’। 

    আজই কি চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’?

    আজকের বিশেষ প্রক্রিয়ার ফলে চাঁদের কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এরপর প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এগিয়ে যাবে চাঁদের দিকে। জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লুনার অরবিট ইনসার্টশন’। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে পাঁচবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। শেষ ধাপে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    কোথায় অবতরণ করবে?

    ইসরোর (ISRO Moon Mission) তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখানে গবেষণা চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এখনও পর্যন্ত যে তিনটি দেশ চাঁদে পা রেখেছে, তাদের কেউই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে অবতরণ করেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RPF Jawan: মহারাষ্ট্রে চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি গুলি আরপিএফ জওয়ানের! নিহত অফিসার সহ ৪

    RPF Jawan: মহারাষ্ট্রে চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি গুলি আরপিএফ জওয়ানের! নিহত অফিসার সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে তাঁদের ওপর। সেই রক্ষকই হয়ে উঠল ভক্ষক। রেল সুরক্ষা পুলিশ (RPF Jawan)-এর এক কর্মীর আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে প্রাণ গেল চলন্ত ট্রেনে চার যাত্রীর। নিহত চার জনের মধ্যে রেল পুলিশের (RPF Jawan) এক সাব-ইনস্পেক্টরও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ট্রেনটির প্যান্ট্রি কারের এক কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে গুলি চালনার ঘটনায়। সোমবার সকালেই এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের জয়পুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল জয়পুর এক্সপ্রেস। তখনই ঘটে এই গুলি চালনার ঘটনা। ট্রেনের গায়ে, জানলার কাচে গুলির দাগ রয়েছে।

    ঘটনার বিস্তৃত ব্যাখা

    ভারতীয় রেল আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছে এই ঘটনায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার জয়পুর এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে পালঘর স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময়ই হঠাৎই নিজের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন আরপিএফের ওই জওয়ান। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই রেল পুলিশ (RPF Jawan) কর্মীর নাম চেতন সিং। জানা গিয়েছে, জয়পুর এক্সপ্রেসের বি ফাইভ কোচে ডিউটি করছিলেন চেতন সিং। গুলি চালনার ঘটনায় মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা জয়পুর এক্সপ্রেসে। গুলি করে চার জনকে হত্যা করার পরেই ট্রেনের চেন টেনে নামার চেষ্টা করেন ওই রেল পুলিশ কর্মী। জানা গিয়েছে, পালঘরের পরের স্টেশন দাহিসারে তিনি ঝাঁপ দিয়ে নামার চেষ্টা করতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র।

    কেন গুলি চালাল চেতন?

    গুলি চালনার কারণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, নিহত আরপিএফ অফিসার তাঁর পূর্বপরিচিত ছিলেন। তবে নিহতের সঙ্গে বিবাদ ছিল না অভিযুক্তের (RPF Jawan)। পুলিশ অবশ্য প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি (RPF Jawan)। তার অসুস্থতার কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইছিলেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শও দিয়েছিলেন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে অবশ্য চেতন নিজেই জানান, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি। তারপরেই এই পরিণতি। জয়পুর এক্সপ্রেসকে এরপর বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখানে দেহগুলিকে নামানো হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের দেহগুলি স্থানীয় বাবাসাহেব অম্বেদকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিভালি স্টেশনে হাজির হয়েছেন জিআরপির আধিকারিক রবীন্দ্র শিসভে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi meets Bengal MPs: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি! আজ সন্ধ্যায় মোদির ক্লাসে সুকান্ত–দিলীপরা

    Modi meets Bengal MPs: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি! আজ সন্ধ্যায় মোদির ক্লাসে সুকান্ত–দিলীপরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Poll)। তারই প্রস্তুতি হিসেবে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi meets Bengal MPs)। আজ, সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় সংসদের অ্যানেক্স ভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ৩১ জুলাই থেকে ১১ অগাস্টের মধ্যে মোট ১১ দফায় মোদি এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আর তাতে প্রথম দিনেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, ব্রজ এবং কানপুর-বুন্দেলখণ্ড এবং বাংলার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদে অধিবেশন চলার মধ্যেই দফায় দফায় এই বৈঠকগুলি সারবেন মোদি। এই ধারাবাহিক বৈঠকের প্রথম দিনে যোগ দেওয়ার জন্য সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ–সহ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন সাংসদ আমন্ত্রণ পেয়েছেন। 

    কেন এই সমন্বয় বৈঠক

    লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Poll) আগে এনডিএ শিবিরে সমন্বয় গড়ে তোলার জন্য সাংসদদের নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১১টি দলে এনডিএ’‌র ৪৩০ জন সাংসদকে ভাগ করেছে বিজেপি। পৃথক পৃথক দলে এঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকগুলিতে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই জিতেছিল ৩০১টি আসন। অন্য শরিক দলের শক্তি মিলিয়ে লোকসভায় এনডিএ সাংসদের সংখ্যা ৩৩১। এই সব জেতা আসন ধরে রাখার পাশাপাশি হেরে যাওয়া আসনেও শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। সব রাজ্যকে ইতিমধ্যেই লক্ষ্য বলে দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়। সেই কাজ কতদূর হয়েছে জানার পাশাপাশি পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরির জন্যই সাংসদদের সঙ্গে বসে বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনাই এই বৈঠকের লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    বাংলার সাংসদদের নিয়ে কী আলোচনা

    সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে পরপর দু’দফা বৈঠক হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। এবার বাংলার বিজেপি (Modi meets Bengal MPs) সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সংসদ ভবনে বাংলার নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলায় এসে অমিত শাহ বলে গিয়েছিলেন, ৩৫টি আসনের কথা। সেখানে এই বৈঠকে সব বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। কতগুলি আসন বাংলা থেকে আসতে পারে তাও উঠবে বৈঠকে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ বাংলায় কতদূর হয়েছে, সে বিষয়ে সাংসদদের থেকে হিসেব নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সাংসদ তহবিল থেকেই বা তাঁরা কী কাজ করেছেন, তারও খতিয়ান নিতে পারেন মোদি। উত্তরপ্রদেশের ৮০ আসনের মধ্যে এখন বিজেপির দখলে রয়েছে ৬৪ জন সাংসদ। শরিক আপনা দলের হাতে দু’টি। বাকি ১৪টি লোকসভা এলাকাতেও কী ভাবে জয়ের পথ তৈরি করা যায়, তার পরিকল্পনা এই বৈঠকে হওয়ার কথা। এরপরে ২ অগাস্ট অওয়ধ, কাশী এবং গোরক্ষপুর এলাকার সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছেন মোদি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kerala Murder: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল, ‘সরি, ডটার’, বলছে পুলিশ

    Kerala Murder: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল, ‘সরি, ডটার’, বলছে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পাঁচেকের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের (Kerala Murder) ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল। রবিবার শিশুটির দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার স্কুলে। শেষযাত্রায় পা মেলান কয়েকশো মানুষ। স্কুলে নিয়ে যাওয়া হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সহপাঠী এবং শিক্ষকরা। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর এর্নাকুলাম জেলার আলুভা শহরের কাছে কিঝমাড কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে। দোষী ব্যক্তির কড়া শাস্তিও দাবি করেন শেষযাত্রায় পা মেলানো মানুষ।

    গ্রেফতার অভিযুক্ত

    জানা গিয়েছে, তিন ভাইবোনের সঙ্গে বেড়ে উঠছিল মেয়েটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আলুভা শহরের কাছ থকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় আসফাক আসলাম নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করে বস্তায় ভরে জঞ্জাল ফেলার জায়গায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় আসফাক। শিশুটির পরিবার বিহারের বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে এসেছিলেন কেরলে। ওই দিনই আসফাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ (Kerala Murder) সূত্রে খবর, মদ্যপ অবস্থায় থাকায় আসফাককে এদিন জেরা করা যায়নি।

    কঠোর সাজার দাবি

    শেষযাত্রায় অংশ নেওয়া এক মহিলা বলেন, “পুলিশ ওকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিক। ও যেভাবে শিশুটিকে নৃশংসভাবে মেরেছে, ওর সেভাবেই মরা উচিত। সরকার না পারলে, আমাদের হাতে তুলে দিক।” “ঘটনাটি কেবল যে নৃশংস, তাই নয়, হৃদয়বিদারকও”, বলছেন অন্য এক মহিলা। তিনি বলেন, “এটা সহ্য করা যায় না। এই ঘটনাটা শোনার পর থেকে আমি ঠিকঠাক ঘুমোতে পর্যন্ত পারিনি। আমাদের আইন আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।”

    আরও পড়ুুন: ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের তরুণ জওয়ান, গাড়িতে রক্তের দাগ কেন?

    নৃশংস এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কেরল পুলিশ। ট্যুইট-বার্তায় তারা লিখেছে, “সরি, ডটার।” ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি এবং লজ্জাবোধ করছি। সরকারের (Kerala Murder) পক্ষে হয়তো সবকিছু ঠেকানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারের কর্তব্য এ জাতীয় অপরাধীর জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা। এমন শাস্তি যে যা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের কাজ করার আগে ভয় পায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Economy: ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, বলছে সমীক্ষা

    Indian Economy: ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র দু বছরের। তার মধ্যেই ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ (Indian Economy)। বর্তমানে বৃদ্ধির যে হার রয়েছে, সেই হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত। তৃতীয় স্থান দখল করতে গিয়ে ভারত পিছনে ফেলে দেবে জাপান এবং জার্মানিকে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায়ই একথা বলা হয়েছে। এর আগে এসবিআইয়ের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে।

    মোদি জমানায় উন্নতি 

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই সময় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারত। এগোতে এগোতে বর্তমানে ভারত দখল করেছে পঞ্চম স্থান। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ব্রিটেন। ব্রিটেনকে সরিয়ে সেই জায়গা দখল করেছে মোদির ভারত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২-২০২৭ এই সময়সীমার মধ্যে বৃদ্ধির বর্তমান হার বজায় থাকবে। আশা করা যাচ্ছে, এর আকৃতি হবে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অর্থনীতি ১.৮ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের চেয়েও বেশি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই হারে প্রতি দু বছর ছাড়া ভারতীয় অর্থনীতিতে (Indian Economy) যোগ হচ্ছে ০.৭৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। এভাবে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ছুঁয়ে ফেলবে ২০ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের চৌকাঠ।

    জিডিপির হার

    শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালের মধ্যে জিডিপিতে ভারতের গ্লোবাল শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ শতাংশ। বর্তমানে জিডিপিতে ভারতের শেয়ার ৩.৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ২.৬ শতাংশ। তিন বছর পরে যা গিয়ে দাঁড়াবে ৪ শতাংশে। এসবিআইয়ের ওই রিসার্চ থেকে এও জানা গিয়েছে, অন্ততপক্ষে দেশের দুটি রাজ্য – মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে (Indian Economy) ২০২৭ সালের মধ্যে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের গণ্ডী ছাড়াবে। আর এই বছরই ভারতের ঠাঁই হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার তিন নম্বরে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালে ভারতের প্রধান রাজ্যগুলির জিডিপির আকার এশিয়া এবং ইউরোপের দেশ যথাক্রমে ভিয়েতনাম ও নরওয়ের চেয়ে বেশি হবে।

    আরও পড়ুুন: ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের তরুণ জওয়ান, গাড়িতে রক্তের দাগ কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share