Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kargil Vijay Diwas: শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর, দেশজুড়ে পালিত কার্গিল বিজয় দিবস

    Kargil Vijay Diwas: শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর, দেশজুড়ে পালিত কার্গিল বিজয় দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধজয়ের ২৩ তম বর্ষপূর্তি হিসেবে দেশজুড়ে মহাধুমধামের সঙ্গে পালিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas)। ১৯৯৯ সালে আজকের দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্গিল যুদ্ধে জয়ী (Victory Over Pakistan) ঘোষিত হয়েছিল ভারতীয় সেনা। ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই, অপারেশন বিজয়ের সাফল্য ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। প্রায় ২ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ভারতের অনেক বীর সন্তান দেশের জন্য প্রাণের বলিদান দিয়েছেন। প্রতি বছর এই দিনে ভারতের সেই যোদ্ধাদের বীরত্বকে স্মরণ, সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশজুড়ে পালিত হয় কার্গিল বিজয় দিবস। 

    কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    এদিন কার্গিল যুদ্ধজয়ের ২৩ তম বর্ষপূর্তিতে ভারতীয় সেনাকে শ্রদ্ধঘা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেনাবাহিনীর তরফেও। এদিন ট্যুইট করে দ্রৌপদী মুর্মু লেখেন, ‘‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ বীরত্ব, পরাক্রম ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক এই কার্গিল দিবস৷ ভারত মাতার রক্ষার জন্য প্রাণ বলিদান দেওয়া সব বীর সৈনিককে আমি প্রণাম জানাই৷ সব দেশবাসী, তাঁদের পরিবারের প্রতি সর্বদা ঋণী থাকবে৷ জয় হিন্দ!’’

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস মা ভারতীর গৌরবের প্রতীক৷ মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য পরাক্রম দেখানো দেশের সাহসী সুপুত্রদের আমার শত শত প্রণাম৷ জয় হিন্দ!’’ 

    তিনি আরও লেখেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) ভারতের সেই অসাধারণ সাহসীদের বীরগাথাকে স্মরণে আনে, যাঁরা সর্বদা দেশবাসীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। এই বিশেষ দিনে, আমি তাঁদের প্রতি আমার হৃদয়ের গভীর থেকে প্রণাম এবং অভিবাদন জানাচ্ছি। জয় হিন্দ!”

    অমিত শাহের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

    কার্গিল দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে বলেছেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস কোটি কোটি দেশবাসীর কাছে সম্মানের এক মুহূর্ত। আমি কার্গিলের দুর্গম পাহাড়ে তেরঙ্গা উত্তোলন করে দেশের অখণ্ডতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আপনার উৎসর্গকে সালাম জানাই।’’

    দ্রাসে কার্গিল যুদ্ধসৌধে শ্রদ্ধা রাজনাথের

    জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রাস সেক্টরের কার্গিলে হওয়া এই যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন ৫২৭ জন ভারতীয় জওয়ান। আহত হয়েছিলেন ১৩৬৩ জন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। এদিন লাদাখের দ্রাসে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে (Kargil Vijay Diwas) পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    রাজনাথ বলেন, ‘‘১৯৯৯ সালে ইসলামবাদ পিছন থেকে ভারতের পিঠে ছুরি মেরেছিল। ভারতের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়। যুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানরা যে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন, তাকে কুর্ণিশ।’’ একইসঙ্গে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে রাখেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার বেআইনি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না।

    সংসদেও কার্গিল দিবস পালন

    ২৪ বছর আগে ওই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদরা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বুধবার লখনউতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে কার্গিল যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বুধবার তিনি ট্যুইটে লেখেন, “কার্গিল বিজয় দিবসে রাজ্যের সমস্ত মানুষকে আন্তরিক অভিনন্দন। ভারত মাতার সমস্ত অমর পুত্রদের প্রতি শত শত প্রণাম যাঁরা দেশের সেবায় তাঁদের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছেন!”

    মিগ-২৯ বিমানের ফ্লাই পাস্ট

    সেনাবাহিনীর তরফে এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) উপলক্ষে দ্রাস সেক্টরে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনির তিনটি চিতাল হেলিকপ্টার দ্রাসের কার্গিল যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ফুল বর্ষণ করা হয়। ফ্লাই পাস্ট করে নৌসেনার ৪টে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান।

     

    ফোর্ট উইলিয়ামেও কার্গিল দিবস উদযাপন

    কলকাতাতেও পালিত হলো কার্গিল দিবস (Victory Over Pakistan)। এদিন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কালিতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy  Rain: প্রবল বৃষ্টি, জলে ভাসছে দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, বন্ধ স্কুল

    Heavy  Rain: প্রবল বৃষ্টি, জলে ভাসছে দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, বন্ধ স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক বিরতির পর ফের প্রবল বর্ষণ। তার জেরে জলে ভাসার জোগাড় দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং তেলঙ্গানা। ২৮ জুলাই পর্যন্ত এভাবেই বৃষ্টি (Heavy  Rain) চলবে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। আগামী দু দিনের জন্য রাজ্যের সব স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে জল থইথই হায়দরাবাদ। স্কুল বন্ধ তেলঙ্গানায়ও। একই কারণে স্কুল বন্ধ থাকছে নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডায়ও।

    নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডা

    বুধবার সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লি ও লাগোয়া কিছু এলাকায়। দ্রুত বাড়ছে যমুনা নদীর জল। নয়ডা, গাজিয়াবাদ এলাকার কয়েকটি জায়গায় জল জমে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও জমা জলের কারণে এদিন নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন। নয়ডায় বন্যার (Heavy  Rain) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যমুনার পাশাপাশি ফুঁসছে হিন্দন নদীও। ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে শতাধিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে মহারাষ্ট্রেও। দিল্লি ও নয়ডায় জারি হয়েছে ইয়োলো অ্যালার্ট।

    হড়পা বানের আশঙ্কা

    প্রবল ধারাপাতে বিপর্যস্ত কর্নাটকও। হড়পা বানের আশঙ্কায় বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজে। নিতান্ত প্রয়োজন (Heavy  Rain) ছাড়া লোকজনকে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যের মালনাড এলাকায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণ কান্নাডা, উত্তর কান্নাডা, উদুপি, চিকমাগালুরু, কোডাগু ও শিবমোগা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি।

    নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে তেলঙ্গানায়ও। আগামী দু দিনও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামী দু দিনের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। বুধবারের জন্য রেড অ্যালার্ট (Heavy  Rain) জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের রায়গড়, পুণে, সাতারা এবং রত্নগিরি জেলায়। মুম্বই, পালঘর ও ঠানেতে জারি রয়েছে অরেঞ্জ সতর্কতা। রায়গড় সহ বিভিন্ন জেলায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজে।

    আরও পড়ুুন: মমতা ঘনিষ্ঠ হলেই ডবল চাকরি! ট্যুইটে তোপ শুভেন্দুর

    ওড়িশায়ও জারি হয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ২৭ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বৃষ্টির জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। বৃষ্টির বিরাম (Heavy  Rain) নেই হিলাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও। বুধ ও বৃহস্পতিবার বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের আট জেলায়। এদিকে, মঙ্গলবারও ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। তার জেরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে কুলু জেলায়। ক্ষতি হয়েছে চাষের জমিরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ফের উত্তপ্ত সংসদ, বিরোধীদের হাতিয়ার মণিপুর, বিজেপির অস্ত্র বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    BJP: ফের উত্তপ্ত সংসদ, বিরোধীদের হাতিয়ার মণিপুর, বিজেপির অস্ত্র বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক-বিরোধী তরজায় ফের উত্তপ্ত সংসদ। চলছে বাদল অধিবেশন। মণিপুরে দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP) বিরোধী দলগুলি। মণিপুর ইস্যুকে ঘিরে অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অধিবেশনের মূল্যবান দুটি দিন। বিরোধীরা যখন মণিপুরকেই হাতিয়ার করছে, তখন বিজেপি অস্ত্র করছে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক নারী নিগ্রহের ঘটনাকে। এদিন শাসক থেকে বিরোধী সবাই সরব হয়েছেন নারী নিগ্রহ নিয়ে।

    শাসক-বিরোধী তরজা

    এক পক্ষ যখন সরব হয়েছে মণিপুর ইস্যুতে, অন্য পক্ষ তখন সুর চড়িয়েছেন বাংলায় নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে। সোমবারও এই ইস্যুতে একাধিকবার উত্তাল হয়েছে সংসদ। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। এদিন নাম-পরিচয় সহ বিজেপি সাংসদদের প্রশ্নগুলোর উল্লেখ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। অথচ বিরোধী (BJP) দলগুলির সাংসদদের প্রশ্নগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে নাম-পরিচয় ছাড়াই। এনিয়েই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ধনখড় এবং ডেরেক। পরে ডেরেককে সতর্কও করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।

    বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    বুধবার পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সুর চড়ান মূলত বাংলার সাংসদরা। আর কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল সরকার পক্ষকে নিশানা করেছে মণিপুর-অস্ত্র প্রয়োগ করে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পাঁচলা হোক, মালদা হোক, আলিপুরদুয়ার হোক, বীরভূম হোক, গতকাল (সোমবার) রাতে নতুন একটি বিষয় এসেছে, কোচবিহারে একটি নাবালিকা মেয়ে ১৪ বছর বয়স, তাকে চার দুষ্কৃতী মিলে লাগাতার ধর্ষণ করেছে। এর জন্য কি বিজেপি দায়ী?  নাকি মুখ্যমন্ত্রী দায়ী, যে অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী শাসন ব্যবস্থাকে এমন করে দিয়েছে, যেখানে মহিলাদের সুরক্ষা পশ্চিমবঙ্গে নেই। আজকে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে, না হলে গদি ছাড়তে হবে।”

    আরও পড়ুুন: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    এদিনও লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর ইস্যুতে সরব হন বিরোধীরা (BJP)। ফলে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি করা হয় লোকসভার অধিবেশন। প্রসঙ্গত, সোমবারই বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে যে, মণিপুর নিয়ে বিতর্কের জন্য তারা প্রস্তুত। তার পরেও অধিবেশন ভেস্তে দিতে বিরোধীরা অযথা হট্টগোল করছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chandrayaan 3: সফল পঞ্চম কক্ষপথ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, শেষ বারের মতো পৃথিবীর চক্কর কাটছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: সফল পঞ্চম কক্ষপথ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, শেষ বারের মতো পৃথিবীর চক্কর কাটছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর চারদিকে চক্কর কাটার শেষ ল্যাপে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। শেষ বারের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযান। এর পর, চিরতরে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে মহাকাশযানের পঞ্চম তথা শেষ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার বা কক্ষপথ পরিধি প্রসার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    কোথায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ 

    এদিন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে একটি ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরু-স্থিত ইসরোর কমান্ড সেন্টার ‘ইসট্র্যাক’ থেকে সফলভাবে পঞ্চম আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিনের প্রক্রিয়ার ফলে, বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবীর দূরে) X ২৩৬ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবীর নিকট) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ১ অগাস্ট মধ্যরাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হতে চলেছে!

    ইসরোর (ISRO Moon Mission) তরফে জানানো হয়েছে, এর পরের ধাপ আসতে চলেছে ১ অগাস্ট। সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, ওই দিন রাত ১২টা থেকে রাত ১টার মধ্যে একটা বড় লাফ দিতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’, যাকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন। বিশেষ রকেট ফায়ার করানোর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি। এক কথায়, চাঁদের কক্ষপথের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। এটা এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সেদিনই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে চিরতরে হারিয়ে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। 

    ৫ থেকে ৬ অগাস্টে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ

    জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষপর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে বার বার রিভার্স ম্যানুভারিংয়ের মাধ্যমে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। অবশেষে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ধাপে ধাপে কক্ষপথ পরিধি প্রসারণ

    ১৪ জুলাই, অর্থাৎ, গত শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘এলভিএম-৩’ রকেট (ISRO Moon Mission)। পৃথিবীর ওপর একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বলা যেতে পারে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ আওতায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতি প্রদক্ষিণে নিজের কক্ষপথের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গে গতি বৃদ্ধিও করে চলেছে এই মহাকাশযান। এর আগে, ১৫ তারিখে প্রথম, ১৭ তারিখে দ্বিতীয়, ১৮ তারিখে তৃতীয় ও ২০ তারিখে চতুর্থ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার সম্পন্ন করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতিবার নিজের কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ জুলাই সম্পন্ন হল পঞ্চম তথা চূড়ান্ত ম্যানুভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Badrinath: বন্ধ বদ্রীনাথ! প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেল জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ

    Badrinath: বন্ধ বদ্রীনাথ! প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেল জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা ও ধসে বিধ্বস্ত উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। টানা বৃষ্টির জেরে ধুইয়ে গেল জাতীয় সড়ক। সোমবার উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলার ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে (Hrishikesh-Badrinath) ধস নেমেছে। নদীর জলের তোড়ে ধুয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়কের একাংশ। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যমুনোত্রী হাইওয়ে। ফলে বদ্রীনাথ ও যমুনোত্রী যাত্রা আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। মাঝপথে আটকে পড়েছেন বহু পুণ্যার্থী।

    যান চলাচল ব্যাহত

    উত্তরাখণ্ড প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। চামোলি জেলার পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে নন্দপ্রয়াগ এবং পুরসারির মাঝে ধস নেমেছে। ওই এলাকার ধসের একটি ভিডিয়োও শেয়ার করা হয়েছে।  এই সময়ে চারধাম যাত্রা চলছে।  জাতীয় সড়কগুলির উপর বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে আসায় যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন পুণ্যার্থীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তা থেকে ওই ধস সরিয়ে যান চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। উত্তরাখণ্ডে দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টির তাণ্ডব চলছে। এর আগেও বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে এই মরসুমে একাধিক বার ধস নেমেছে। যার জেরে ব্যাহত হয়েছে বদ্রীনাথ যাত্রাও। আবার ধস নামায় এই পুণ্যযাত্রায় প্রভাব পড়েছে।

    আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

    ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    চামোলি প্রশাসন সূত্রে খবর, অবিরাম বৃষ্টির জেরে বদ্রীনাথ হাইওয়ের ৬০-৭০ মিটার ধুয়ে গিয়েছে। এছাড়া বহু বাড়ি, রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চামোলি জেলা পুলিশের আধিকারিক। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তরকাশী জেলার। উত্তরকাশীর জেলাশাসক জানান, উত্তরকাশী জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার অন্তত ৫০টি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং চাষজমি ধুইয়ে গিয়েছে। প্রায় ৪০টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লিতে যমুনা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর উপর নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তারা জানিয়েছে, ২৫ এবং ২৬ জুলাই ভারী বৃষ্টি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ করে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রসঙ্গ টানলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একই সঙ্গে তুলনা করলেন ব্রিটিশদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গেও। বাদল অধিবেশনে মঙ্গলবারই ছিল বিজেপির প্রথম সংসদীয় দলের বৈঠক। সংসদের লাইব্রেরি ভবনে এ বৈঠক হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬টি বিরোধী দলের জোটকে তীব্র আক্রমণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নিশানায় বিরোধী জোট

    বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন ভারতে এসেছিল, তখন তার নামেও ইন্ডিয়া শব্দটি ছিল। ইন্ডিয়া নাম নিলেই কিছু হয় না। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গেও ‘ইন্ডিয়া’র নাম রয়েছে। শুধু নামে ইন্ডিয়া রেখে কিছুই পাওয়া যায় না।” বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিরোধীরা ছিন্নভিন্ন এবং মরিয়া। বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আসার ইচ্ছা তাদের নেই।”

    বৈঠক শেষে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) নিয়ে গর্বিত। ২০২৪ সালে আমরাই ক্ষমতায় ফিরছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন যে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৈরি করেছেন বিদেশি। এখন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের মতো নামকরণ করছে লোকেরা। উপর উপর কোনও কিছুকে দেখা এবং ভেতরে ঢুকে তার সত্য অর্থ বোঝা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।’’

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, ‘‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস তৈরি করেছেন এও হিউম, তিনি এক জন বিদেশি নাগরিক। মুজাহিদিনরা নিজেদেরকে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বলে উল্লেখ করে। পিএফআই-এর পুরো নাম পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। যে কোনও কিছুর সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দ জুড়ে দেওয়া একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওরা (বিরোধী) শহুরে নকশাল। নিজেদের বৈধ করতে ইন্ডিয়া শব্দ জুড়ছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Meet: দিল্লিতে দিনভর বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভ, কী নিয়ে আলোচনা হল জানেন?  

    BJP Meet: দিল্লিতে দিনভর বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভ, কী নিয়ে আলোচনা হল জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে জরুরি তলব পেয়ে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার এবং অমিতাভ চক্রবর্তী। ফি বারের মতো এবারও রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে সন্ত্রাসের আবহে।

    কী নিয়ে আলোচনা? 

    রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন ৫২ জন। অবাধে হয়েছে ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল। তার পরেও ভাল ফল করেছে বিজেপি। এসব নিয়েই এদিন সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভদের সঙ্গে আলোচনা হয় বিজেপির (BJP Meet) শীর্ষ নেতৃত্বের। ছিলেন আরএসএসের নেতারাও। এর পাশাপাশি আলোচনা হয় আগামী বছর যে লোকসভা নির্বাচন হবে, তা নিয়েও। সোমবার সকাল থেকে বৈঠক চলে দিনভর। আরএসএস নেতৃত্বের সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক করেন শুভেন্দু-অমিতাভ। 

    শুভেন্দু-শাহ বৈঠক

    এদিন শুভেন্দু-সুকান্ত এবং অমিতাভর সঙ্গে প্রথমে বৈঠক হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আলোচনা হয় সংগঠন নিয়েও। রাজ্যের কোন কোন এলাকায় সংগঠন দুর্বল, তা নিয়েও আলোচনা হয়।

    এদিনই রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করেন শুভেন্দু। দু জনের মধ্যে কথা হয়েছে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে আলোচনা হয় বিজেপির (BJP Meet) এই দুই নেতার মধ্যে। মালদায় দুই মহিলাকে নগ্ন করে গণপিটুনির ঘটনাও উঠে এসেছে আলোচনায়। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির আসন কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে শাহ-শুভেন্দু বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    এদিকে, শাহি সাক্ষাতের আগে আরএসএস নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক হয় শুভেন্দুর। এই বৈঠকে ছিলেন অমিতাভও। এখানেও বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল ত্রিস্তর পঞ্চায়েত (BJP Meet) নির্বাচনের ফল। বিজেপি কোথায় কোথায় ভাল ফল করেছে, কোন কোন এলাকায় সংগঠন দুর্বল, মূলত এসব নিয়েই হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার কী হবে, প্রচারে তুলে ধরা হবে কোন কোন বিষয়গুলি, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে আরএসএসের সঙ্গে।

    প্রসঙ্গত, আরএসএস কখনওই সরাসরি বিজেপির হয়ে প্রচার করে না বা প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়ায় না। তবে নানা সংগঠনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা জাগ্রত করার চেষ্টা করে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Protest in Meghalaya: মণিপুরের পর মেঘালয়! ঘেরাওয়ে আটকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী, আহত পাঁচ

    Protest in Meghalaya: মণিপুরের পর মেঘালয়! ঘেরাওয়ে আটকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী, আহত পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের অশান্তির আঁচ এবার গিয়ে পড়ল প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়ে। জানা গিয়েছে, মেঘালয়ের (Protest in Meghalaya) মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দফতর ঘেরাও করে হামলা চালিয়েছে কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনায় অন্তত পাঁচ নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন।  মেঘালয়ের টুরাকে রাজ্যের শীতকালীন রাজধানী করতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছে গারো পাহাড়ের কয়েকটি জনগোষ্ঠী। কয়েকদিন ধরে নাগরিক সমাজের একটি সংগঠন অনশন করে চলেছে। তবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

    মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সামনে অনশন

    গারো পাহাড়ের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর অনেকদিনের দাবি, শীতকালীন রাজধানী হিসাবে টুরাকে ঘোষণা করা হোক৷ সেই দাবি নিয়েই সোমবার বিকেল থেকে পার্বত্য রাজ্যের টুরায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের (Protest in Meghalaya) সামনে অনশন শুরু করেছিলেন প্রতিবাদীরা৷ তার পরে, সোমবার সন্ধ্যার পর হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ভিড় করে আসেন তাঁরা এবং পাথর ছুড়তে শুরু করেন৷ তাতেই আহত হন পাঁচজন পুলিশকর্মী৷ তাঁদের আহত অবস্থায় ওই অফিসের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভিতরে আহতদের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী সাংমা৷ 

    আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট! গত ২ দিনে মায়ানমার থেকে ৭১৮ জনের অনুপ্রবেশ মণিপুরে

    মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, এদিন প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ভবনের ভেতরে আলোচনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনশন (Protest in Meghalaya) বন্ধ করলে আগামী মাসে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাজধানী শিলং-এ আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকের মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ ধরে তার দফতরে আটকে ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উত্তেজনা রয়েছে৷ একটি ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে৷ আমি এখনও বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ আমি সেই কারণেই ওঁদের সঙ্গে আরও আলোচনার কথা বলেছি৷’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

    Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের! রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে শীর্ষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। এনআইএ তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জানানো হয়েছিল আর্জি। মে মাসে খারিজ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের সেই আর্জি। এবার খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টের নির্দেশ বাতিলের আর্জিও। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারডিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সোমবার খারিজ করে দেন ওই আর্জি। যার জেরে রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার ঘটনায় এবার তদন্ত করতে পারবে এএনআই।

    এনআইএ তদন্তের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগও ওঠে। এর পরেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ১০ এপ্রিল শুনানির দিন কলকাতা হাইকোর্টে এনআইএ জানিয়েছিল, অশান্তির ঘটনার তদন্ত করতে তারা প্রস্তুত। ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

    মুখ পুড়ল রাজ্যের

    প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএকে হস্তান্তর করতে হবে। তার আগের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, কারা (Ram Navami) এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত এবং কারা উসকানি দিয়েছে, সেটা রাজ্য পুলিশের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত করতে হবে। পুলিশের রিপোর্টেও স্পষ্ট হিংসা হয়েছিল। ছাদ থেকে পাথর কীভাবে ছোড়া হল, ঘটনাস্থলে লাঠি, বাঁশ, অ্যাসিড কোথা থেকে এল, তা জানা দরকার। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেখানেই পুড়ল মুখ। 

    আরও পড়ুুন: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, বিস্ফোরক ব্যবহারের যে অভিযোগ রয়েছে, তা কি অস্বীকার করা যায়?  রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি বলেন, “আদালতকে দেখতে হবে এটা বিস্ফোরক কিনা, কতজন জখম হয়েছে। এগুলি স্মোগ বোমা ছিল। রাজ্যের তদন্তের ওপর আস্থা না রাখাটা দুর্ভাগ্যজনক।” তিনি বলেন, “রামনবমীর শোভাযাত্রার (Ram Navami) সময় চার দিনে ৬টি ঘটনা ঘটেছে। হাইকোর্ট একটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এনআইএ বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৬টি এফআইআর নিয়ে তদন্ত করার কথা বলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘সাংসদ পদের অবমাননা’, আপ সাংসদকে সাসপেন্ড, ধনখড় সতর্ক করলেন ডেরেককেও

    Jagdeep Dhankhar: ‘সাংসদ পদের অবমাননা’, আপ সাংসদকে সাসপেন্ড, ধনখড় সতর্ক করলেন ডেরেককেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সাংসদ পদের অবমাননা’! তাই পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য আম আদমি পার্টির (AAP) রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে সাসপেন্ড করলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে আজ, সোমবার বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও উত্তপ্ত ছিল সংসদ। এদিন রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সঞ্জয়। এর পরেই সাংসদ পদের অবমাননা করায় তাঁকে সাসপেন্ড করেন ধনখড়। ২৬৭ নম্বর ধারায় মণিপুর নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সতর্ক করে দেন সাংসদ তৃণমূলের ডেরেক ও’ ব্রায়েনকে।

    সাসপেন্ড সঞ্জয়

    এদিন মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সঞ্জয় সহ কয়েকজন সাংসদ। এজন্য সঞ্জয়কে একাধিকবার সতর্ক করে দেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তাঁকে তাঁর আসনে গিয়ে বসতেও অনুরোধ করা হয়। তার পরেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সঞ্জয়। এর পর রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়াল আপ সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় সেই প্রস্তাব। তার পরেই সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করা হয়।

    ধনখড়-ডেরেক বিতণ্ডা 

    এদিকে, এদিন ধনখড়ের সঙ্গে সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনের তুমুল বিতণ্ডা হয়। তার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। এদিন রাজ্যসভায় কী কী নোটিশ এসেছে, তার উল্লেখ করছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান (Jagdeep Dhankhar)। ১৭৬ এর অধীনে যেসব নোটিশ এসেছে, সেই নোটিশ নিয়ে বলার সময় সাংসদদের নাম বলেন ধনখড়।

    আর ২৬৭-র অধীনে যেসব নোটিশ এসেছিল, সেগুলি বলার সময় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান কেন সাংসদদের নাম উল্লেখ করলেন না, তা নিয়েই শুরু হয় বিতণ্ডা।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড়, ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ প্রধান হাইকোর্টের বিচারপতির

    এর পর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাংসদদের নাম বলতে শুরু করেন। তখন ডেরেক ফের ‘কোন দল? কোন দল?’ বলে চেঁচামেচি জুড়ে দেন।  ধনখড় তাঁকে বলেন, “আপনি বসুন। তারপর বলুন কী হয়েছে।” ডেরেক তা করতে অস্বীকার করেন। এরপরেও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে বলতে শোনা যায়, “ডেরেক ও’ ব্রায়েন আপনি দয়া করে বসুন। আপনি কিন্তু চেয়ারকে চ্যালেঞ্জ করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share