Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bill Gates: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ বিল গেটসের, গেলেন সংসদ ভবনেও

    Bill Gates: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ বিল গেটসের, গেলেন সংসদ ভবনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরেই নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিলেন মাইক্রোসফ্টের কর্ণধার বিল গেটস (Bill Gates)। নতুন বছর পড়তেই ফের একবার ভারত সফরে এসেছেন এই ধনকুবের। গত তিন বছরে এই নিয়ে টানা তিন বার এদেশে সফরে এলেন তিনি।

    মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে পোস্ট সমাজমাধ্যমে

    নয়াদিল্লিতে গেটস ফাউন্ডেশনের ২৫তম বর্ষপূর্তি চলছে। সেই উপলক্ষেই এদেশে এসেছেন বিল গেটস। গতকাল বুধবার তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গেও। এই বৈঠক প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন মাইক্রোসফ্টের কর্ণধার। নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘স্বাস্থ্য, কৃষি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব ক্ষেত্রে ভারতের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে অনেকটা সময় আলোচনা করলাম।’’

    দেখা করেন সাংসদ ও মন্ত্রীদের সঙ্গেও

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরই বিল গেটস (Bill Gates) সরাসরি চলে যান দেশের সংসদে। সেখানে গিয়ে সাংসদদের সঙ্গে আলাপচারিতা করতেও দেখা যায় তাঁকে। এর পাশাপাশি, তিনি সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও কেন্দ্রীয় রাসায়নিক মন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গেও। জানা গিয়েছে, বিল গেটস অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গেও বৈঠক করেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং কর্মসংস্থান প্রভৃতি নানা বিষয় উঠে আসে আলোচনায়। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বিল গেটসের বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কৃষিতে এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।

    ভারতের বন্ধু বলেই পরিচিত বিল গেটস (Bill Gates)

    প্রসঙ্গত, বরাবরই ভারতের বন্ধু হিসেবেই আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি রয়েছে বিল গেটসের (Bill Gates)। এবারের সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভারত এমন একটি জায়গা, যেখানে যেমন বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে, তেমনি মানুষের মনের মধ্যে রয়েছে বড় উচ্চাকাঙ্খাও।’’ মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমি যখনই ভারতে আসি, তখনই দেখি এখানকার স্বাস্থ্য, কৃষি এবং প্রযুক্তিতে বড় কোনও উন্নতি করে ফেলেছে সরকার।’’

  • Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। শশী বলছেন, যুদ্ধের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরপেক্ষ অবস্থানের বিরোধিতা করে চরম ভুল করেছিলেন তিনি। সেকথা মনে পড়লে মাথা নত হয়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi-Sashi Tharoor) নীতি একেবারে সঠিক বলে মনে করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। শশী সম্প্রতি ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামে একটি আলোচনা সভায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ থাকার মোদির সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেন।

    রাইসিনা ডায়লগে শশী

    রাইসিনা ডায়ালগে একটি প্যানেল আলোচনায় শশী থারুর (Shashi Tharoor) স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, এই অবস্থান ভারতকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, যে দুটি দেশ ২০২২ সাল থেকে যুদ্ধে লিপ্ত। শশী বলেন, “যুদ্ধ শুরুর সময় আমিই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হানাদারি নিয়ে ভারতের নিরপেক্ষ ভূমিকার সমালোচনা করেছিলাম। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক গতিপ্রকৃতি দেখে নিজেই লজ্জিত বোধ করি সেদিনের আচরণের জন্য। সেদিন বিরোধিতার জন্য নিজেকেই ঢোঁক গিলে নিতে হচ্ছে।” শশী থারুরের এই মন্তব্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, এটা দেখে ভালো লাগছে যে, কংগ্রেসের নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে মান্যতা দিচ্ছেন। স্বীকার করে নিচ্ছেন। কেন্দ্রের বিদেশনীতিকে প্রশংসা করার জন্য শশী থারুরের বিরুদ্ধে তাঁর দল কোনও ব্যবস্থা নেবে না বলেও আশা বিজেপি নেতাদের।

    মোদি-নীতির প্রশংসা

    বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বুধবার বলেছেন, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor) রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির “স্বাভাবিক প্রকাশ”। দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিবেদী মোদির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন, যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মোদি দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাক্ষাৎ করেছেন। ত্রিবেদী বলেন, “শশী থারুর আজ রাইসিনা ডায়ালগে যা বলেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের অসাধারণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক নীতির স্বাভাবিক ফল। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যে কেউ এটি বুঝতে পারবেন। মোদি একমাত্র নেতা যিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি উভয়ের সঙ্গে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কথা বলেছেন এবং উভয়ের কাছ থেকে সমান গুরুত্ব পেয়েছেন।” ত্রিবেদী আরও বলেন, “শশী থারুরের মন্তব্য মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ।” থারুরের মন্তব্যকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে দেখছে, বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মোদির কূটনীতি ভারতকে বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় করে তুলেছে। মোদির নীতির ফলেই বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্ষমতা ও প্রভাব বেড়েছ। থারুরের মন্তব্য ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রতিপত্তির ইঙ্গিত দেয়।

    রাহুলকে আক্রমণ

    বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দূরদৃষ্টি বিরোধী দলের নেতারাও প্রশংসা করছেন, স্বীকার করছেন। রাহুল গান্ধী, চিদম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতা ও রঘুরাম রাজনের মতো লোকেরাও এখন তাঁদের কথা নিজেরাই গিলে নিচ্ছেন। অর্থনীতি, ইউপিআই, উৎপাদন শিল্প এবং আরও বহু কিছুতে দেশের অবস্থান নিয়ে তাঁরা অতীতের মন্তব্য নিয়ে নিজেরাই লজ্জিত। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “থারুরের একের পর এক মন্তব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, কংগ্রেসের ভিতরে বিদ্রোহের ছুরির ফলা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। যা দেখে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। কংগ্রেস এবার হয়তো দলীয়ভাবে জানাবে শশী থারুর যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। দলের অবস্থান নয়। যদিও সংসদে এই বিষয়ক আলোচনায় থারুরকেই দল দায়িত্ব দিয়েছিল।”

  • Disha Salian Death: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধব পুত্রের যোগ! দাবি দিশার বাবার

    Disha Salian Death: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধব পুত্রের যোগ! দাবি দিশার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) ও তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের রহস্যময় মৃত্যুর (Disha Salian Death) বিষয়ে ফের আলোচনা তুঙ্গে। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের (Disha Salian)। তবে সময় যত এগিয়েছে, ততই এই তদন্ত ধামাচাপা পড়তে থাকে। তবে এবার ফের এই মামলা নিয়ে শুরু হচ্ছে তদন্ত। দিশার বাবা সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে এই মামলায় সরাসরি যোগ রয়েছে আদিত্যর। তাঁকে অবিলম্বে তলব করা উচিত। এই প্রসঙ্গে এবার দিশার বাবার হয়ে সমর্থন দেখালেন বিজেপি বিধায়ক তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নিতিশ রানে।

    আদিত্য ঠাকরেকে আক্রমণ নিতিশের

    এদিন নিতিশ বলেন, “আমি প্রথম থেকেই দাবি করেছিলাম দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর (Disha Salian Death) পিছনে আদিত্য ঠাকরে জড়িত রয়েছেন। ফলে এটা নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। এর পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে। আমি রাজ্য় সরকারের কাছে দাবি করছি, যাতে এই ঘটনায় প্রথম থেকে যাঁদের নাম জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের আবারও জেরা করা হোক। ঘটনার দিন আদিত্য কোথায় ছিলেন, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা, আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীদের আবারও জেরা করা হোক। তাহলেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে।”

    দিশা ও সুশান্তের মৃত্যু

    ২০২০-র ১৪ জুন, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে (Sushant Singh Rajput) নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কয়েক দিন আগে, ৮ জুন, অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানকে মৃত (Disha Salian Death) অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছিল, দিশা মালাডের একটা বহুতল থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী দল অর্থাৎ বর্তমানের শাসক দল বিজেপি সেই সময় বারংবার এই ঘটনাকে খুন বলেই দাবি করে আসছিল। কিন্তু তৎকালীন শাসক দলের চাপে পুলিশ এই ঘটনা চাপা দিয়ে দেয়। পরবর্তীকালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে আবারও এই মামলার তদন্ত শুরু করার কথা হয়। ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও আসল সত্যি সামনে আসেনি। সুশান্তের বাবা কে কে সিং বারবার দাবি করেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। সুবিচারের আশায় এখনও দিন গুনছে দিশা ও সুশান্তের পরিবার।

  • Nagpur: ‘ছাভা’ সিনেমার কারণেই নাকি নাগপুর অশান্তি! অপরাধীদের আড়াল করতে আজব তত্ত্ব বামপন্থীদের

    Nagpur: ‘ছাভা’ সিনেমার কারণেই নাকি নাগপুর অশান্তি! অপরাধীদের আড়াল করতে আজব তত্ত্ব বামপন্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাচারী ইসলামিক শাসকদের গৌরবান্বিত করা হোক অথবা মৌলবাদী আক্রমণের সময় আসল অপরাধীদের আড়াল করা, এই দুটো কাজই এদেশের বামপন্থী বুদ্ধিজীবী (Leftists) মহল খুব উৎসাহের সঙ্গে করে থাকেন। এমনটাই অন্তত বলছে ওয়াকিবহাল মহল। বামপন্থীরা এমন মিথ্যাচার করতে পেশ করে বেশ কিছু বিকৃত তত্ত্ব ও তথ্য। ভারতবর্ষে যেকোন স্থানেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে এমনটা করে থাকেন বামপন্থীরা। উগ্র মৌলবাদীদের অপরাধীদের আড়াল করার প্রচেষ্টা করেন তাঁরা। তাদের লক্ষ্য একটাই, যে কোনও মূল্যে মৌলবাদীদের নির্দোষ প্রমাণ করা। ২০২০ সালের দিল্লি হিংসা হোক অথবা সাম্প্রতিক নাগপুর (Nagpur) হিংসা-দুই ক্ষেত্রেই বামপন্থীরা নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে। মৌলবাদী ও অপরাধীদের আড়াল করা। প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ আন্দোলন নিয়ে উত্তাল মহারাষ্ট্র। অত্যাচারী ও হিন্দু বিরোধী শাসক ছিলেন ঔরঙ্গজেব-একথা ঐতিহাসিক সত্য। এই আবহে চলতি সপ্তাহে নাগপুরে হিংসা ছড়ায়। এই হিংসার দায় বামপন্থীরা চাপিয়েছে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ভিকি কৌশল অভিনীত ছবি ‘ছাভা’র ওপরে।

    ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করে বামপন্থীরা

    বামপন্থীদের দাবি, এই ছবি নাকি বিশেষ ধর্মের মানুষজনদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। প্রসঙ্গত, ছত্রপতি সম্ভাজী মহারাজের জীবনীর ওপর নির্মিত এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে ঔরঙ্গজেবের নৃশংসতা। তিনি কীভাবে হিন্দু মন্দিরগুলোকে ধ্বংস করতেন এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ চালাতেন। সেই সমস্ত ঐতিহাসিত দৃশ্যপটগুলিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সিনেমায়। এতেই আপত্তি বামপন্থীদের। ভিকি কৌশল অভিনীত ওই ছবি সারা দেশেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। বেশ কিছু রাজ্য এই ছবিকে করমুক্ত করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই ছবির প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বামপন্থীদের দাবি, এই ছবির কারণেই নাকি সংঘটিত হয়েছে নাগপুর হিংসা। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, ইতিহাসকে অস্বীকার করেই এমন বিবৃতি দিচ্ছেন বামপন্থীরা। অত্যাচারী মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমর্থনে কথা বলতে শুরু করেছে বামপন্থীরা। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করে মৌলবাদীদের হিংসাকে আড়াল করার যে ষড়যন্ত্র বামপন্থীরা করে আসছে, নাগপুরেও (Nagpur) তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    কেবল নাগপুর (Nagpur) নয়, দিল্লির ক্ষেত্রেও বামেরা আড়াল করেছিল মৌলবাদীদের

    ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই উত্তপ্ত হয়েছিল হরিয়ানার নুহ এলাকা। সেখানেও বামপন্থীরা একইভাবে মৌলবাদীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। অন্যদিকে, ২০২০ সালে দিল্লিতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নামে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। সেখানে বামপন্থী মদতে চলা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং বুদ্ধিজীবী মহল তথ্য বিকৃত করতে শুরু করে। সামনে আনে মিথ্যা তত্ত্ব। শারজিল ইমাম, ওমর খালিদ-এই সমস্ত বামপন্থী নেতারা গোটা দিল্লির হিংসার জন্য দায়ী করে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রকে। কিন্তু সে সময়ে মৌলবাদীদের বিভিন্ন হামলা সামনে আসে। পেট্রোল বোমা ছোড়া থেকে সম্পত্তি ভাঙচুর-এই সবকিছুকেই আড়াল করতে থাকে বামপন্থীরা। এগুলোর কোনও জবাব বামপন্থীরা সে সময় দিতে পারেনি।

    নাগপুরের (Nagpur) ঘটনায় গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড

    অন্যদিকে নাগপুরের (Nagpur) সংঘর্ষের ঘটনায় এক মাস্টারমাইন্ডকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভিড়কে উস্কানি দেওয়া, জমায়েত করা, হামলা চালানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই হামলাগুলিতে একাধিক পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ফাহিম খান। তাঁকে ২১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নাগপুরের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় ৫১ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ফাহিম খান পড়াশোনা করেছে দশম শ্রেণী পর্যন্ত। তাঁর বর্তমান বয়স ৩৮ বছর। হিংসার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাঁর নাম উঠে আসে।

    আগে থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করে ফাহিম

    এরপরেই ফাহিম খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকে পাঠায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত সোমবার অর্থাৎ ঘটনার দিন ৩০ থেকে ৪০ জনকে তিনি জড়ো করেছিলেন সকাল ১১টা নাগাদ। অর্থাৎ ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ আন্দোলনের ঘোষিত বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগেই ফাহিম খান এই জমায়েত করেছিলেন বলে জেনেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ফাহিম একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্তও রয়েছেন। তার নাম হল মাইনোরিটিস ডেমোক্রেটিক পার্টি। এই দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন ফাহিম। কিন্তু হেরে যান।

  • Farmers Protest Punjab: কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, নামল বুলডোজার-ক্রেন! কেন এই পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের?

    Farmers Protest Punjab: কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, নামল বুলডোজার-ক্রেন! কেন এই পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়াল পাঞ্জাবে। আন্দোলনে (Farmers Protest Punjab) নেতৃত্ব দেওয়া কৃষক নেতাদের আটক করল পুলিশ। মাঝরাতে নামানো হল বুলডোজারও। যে অস্থায়ী শিবিরে রাত কাটছিল কৃষকদের, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়াতেই নতুন করে আন্দোলনের পথ বেছে নেন কৃষকরা। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন গায়ের জোরে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে পাঞ্জাবের আপ সরকারের বিরুদ্ধে।

    কড়া পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের

    ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে কৃষকদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। আন্দোলনস্থল খালি করতে গিয়ে কৃষকদের (Farmers Protest Punjab) সঙ্গে বর্বরোচিত আচরণের অভিযোগ সামনে আসছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এর পর রাতে আন্দোলনস্থলে ক্রেন, বুলডোজার নামানো হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে দেখা যায় অস্থায়ী নির্মাণগুলিকে। আন্দোলনস্থল খালি করে দেওয়া হয়। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার সংযোগস্থল, শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় (Shambhu Border Farmers Protest) আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা। সেই আবহেই বুধবার চণ্ডীগড়ে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁদের প্রতিনিধিদের। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্রেতা-গ্রাহক বিভাগের মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূস গোয়েলও। পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা এবং রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী গুরমীত সিং খুড্ডিয়াও বৈঠকে যোগ দেন।

    আটক বহু কৃষক নেতা

    ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে শিবরাজ জানান, দু’পক্ষের মধ্যে ইতিবাচক কথা হয়েছে। ৪ মে ফের একদফা আলোচনা হবে। কিন্তু এদিনই বিকেলে মোহালিতে কৃষক নেতা গুরমীত সিং মঙ্গত, সরওয়ান সিং পান্ধের, জগজিৎ ডাল্লেওয়াল-সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পাঞ্জাব পুলিশ। সেই নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় কৃষকদের। এর পর আটক করা হয় কৃষক নেতা অভিমন্যূ কোহার, কাকা সিং কোতড়াদের। প্রথমে প্রায় ২০০ কৃষককে আটক করা হয় বলে জানা যায়, পরে জানা যায় সংখ্যাটা ৫০০-৭০০। শম্ভু এবং খানাউরি সীমানায় তাঁদের যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    নিশানায় পাঞ্জাব সরকার

    এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পটিয়ালার ডিজি মনদীপ সিং সিধুর নেতৃত্বে খানাউরি সীমানায় ৩০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শম্ভু সীমানাতেও। সবমিলিয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ কৃষককে আটক করা হয়েছিল বলেও দাবি সামনে এসেছে। ডিজি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারই আন্দোলনকারীদের (Farmers Protest Punjab) সরিয়ে রাস্তা খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে। খানাউরি সীমানা এবং সংলগ্ন সাঙ্গরুর ও পটিয়ালায় ইন্টারনেট পরিষেবাো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর। পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনে পুলিশ ও প্রশাসনের বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পুলিশের এই পদক্ষেপের নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমি পাঞ্জাব সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানাই। তারা আপনাকে (আপ সরকার) ভোট দিয়েছে এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে লজ্জিত করা উচিত। তারা (আপ সরকার) চায়নি যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষকদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হোক। লুধিয়ানা পশ্চিম উপনির্বাচনে জয়লাভের জন্য আপনারা কৃষকদের আটক করেছেন। পাঞ্জাবের জনগণ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে কোনও গ্রামে প্রবেশ করতে দেবে না।”

  • RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (এবিপিএস), ২০২৫ সালের ২১ থেকে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা সংঘের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সংস্থা এবং এটি প্রতি বছর আয়োজিত হয়। এবারের এবিপিএস বেঙ্গালুরু শহরের কাছে চান্নেনাহল্লিতে অবস্থিত জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্র প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।

    সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (RSS)

    গত বছর সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (কার্যবৃত্ত) এই বৈঠকে উপস্থাপন ও আলোচনা করা হবে। এর বিশ্লেষণের পাশাপাশি, সংঘের বিভিন্ন প্রান্ত ও শাখার দ্বারা গত বছরের বিশেষ উদ্যোগগুলির প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হবে। ১৯ মার্চ, বেঙ্গালুরুতে জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে, আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানান, বৈঠকটি ২১ মার্চ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, “আরএসএসের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সংঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে গত বছরের কাজের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন, যেখানে শাখা কার্যক্রম, বিশেষ কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলির বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিরা তাদের নানা প্রান্তে হয়ে যাওয়া কাজের রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন, যার মধ্যে উদ্যোগ, বিশেষ কর্মসূচি এবং মাঠ পর্যায়ের কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে (Bengaluru)।”

    কী বললেন সুনীল অম্বেকার?

    সুনীল আম্বেকার বলেন, “২০২৫ সালে বিজয়া দশমীতে আরএসএসের একশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শাখা সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যগুলির পর্যালোচনা করা হবে। ২০২৫-২০২৬ সালটি আরএসএসের (RSS) শতবার্ষিকী বছর হিসেবে পালিত হবে। এই সভায় সেই সময়কালে আয়োজিত কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বছর, সংঘ চিন্তা ও কাজের প্রসার এবং এতে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালানো হবে।” তিনি বলেন, “পঞ্চ পরিবর্তন, সামাজিক পরিবর্তনের পাঁচটি মূল বিষয়, যথা সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন, পরিবেশ সচেতনতা, ‘স্ব’ এর ওপর জোর এবং নাগরিকদের দায়িত্বগুলিও আলোচনা করা হবে।”

    দুটি প্রস্তাব

    সুনীল আম্বেকর জানান, বিভিন্ন প্রান্তের কার্যকর্তারা জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা, অন্তর্দৃষ্টি এবং চিন্তাভাবনা শেয়ার করবেন। তিনি বলেন, এই সভায় দুটি প্রস্তাব গৃহীত হবে- প্রথম প্রস্তাবটি বাংলাদেশে ঘটে চলা উদ্বেগজনক ঘটনাবলী, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ নিয়ে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হবে আরএসএসের গত ১০০ বছরের যাত্রা, শতবর্ষ উদযাপনকালীন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। প্রতিনিধি সভায় রানি আবাক্কার ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অবদান নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

    আরএসএসের (RSS) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর জানান, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে স্বয়ংসেবকদের জন্য ৯৫টি প্রথম বর্গ ও দ্বিতীয় বর্গ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭২টি বর্গ ৪০ বছরের কম বয়সীদের জন্য এবং ২৩টি বর্গ ৪০ বছর ও তার বেশি বয়সিদের জন্য হবে। প্রতিনিধি সভায় সর সংঘচালক মোহন ভাগবতজির জাতীয় পর্যায়ের প্রবাস পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন এবং প্রতিনিধি সভায় আলোচিত বিষয়গুলি সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করবেন (Bengaluru)।

    শতবর্ষ উদযাপন

    গত কয়েক বছরের কাজ সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর বলেন, “গত চার বছর ধরে, আমাদের শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষিতে, আমাদের স্বয়ংসেবকরা দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছেছেন, শাখার সংখ্যা বাড়িয়েছেন এবং আরএসএসের কার্যক্রম প্রসারিত করেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে ‘Join RSS’ লিংকের মাধ্যমে প্রতি বছর ১.২ লক্ষ ব্যক্তি আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন।” হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শুধু বাংলাদেশে নয়, আরএসএস বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গর্ব ও নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষত যেখানে হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হয়।”

    হিংসার নিন্দা

    সুনীল আম্বেকর নাগপুরের হিংসারও নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “যে কোনও ধরনের হিংসা সমাজের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আমি মনে করি পুলিশ এই ঘটনাটি লক্ষ্য করেছে এবং বিস্তারিত তদন্ত করবে।” ঔরঙ্গজেবের প্রাসঙ্গিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (ঔরঙ্গজেব) আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক নন।” জানা গিয়েছে, আরএসএসের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সহ বাকি ছয় সহ-সরকার্যবাহ এবং নির্বাহী সমিতির সকল সদস্য এই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মোট ১,৫০০ কর্মী, মূলত প্রান্ত ও ক্ষেত্র পর্যায় থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, এই সভায় অংশগ্রহণ করবেন। ৩২টি আরএসএস প্রভাবিত সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সংগঠন সম্পাদকও উপস্থিত থাকবেন (Bengaluru)।

  • Sunita Williams: ‘‘পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল’’, সুনীতা ফিরতেই উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Sunita Williams: ‘‘পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল’’, সুনীতা ফিরতেই উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ঘরের মেয়ে গিয়েছিল মহাকাশ-জয়ে। মহাশূন্যেই আটকে পড়েছিল দীর্ঘ ৯ মাস। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাঃস। পৃথিবীতে ফিরলেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। সঙ্গে আরও ২ নভশ্চর। তাঁদের স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। লিখলেন, “ওয়েলকাম ব্যাক, ক্রু৯! পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল।” ভারতের সঙ্গে যে নাসার (NASA) মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) নিবিড় যোগ রয়েছে তা সকলের জানা। তাই দীর্ঘ ৯ মাস পর তাঁর সুরক্ষিতভাবে মহাকাশ থেকে ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত প্রত্যেক ভারতবাসীও। চলতি বছরেই ভারতে আসতে পারেন সুনীতা, এমনই খবর দিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা।

    অধ্যবসায়ের আসল অর্থ বোঝালেন সুনীতা

    বুধবার ভোর-রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ফ্লোরিডায় অবতরণ করে স্পেস এক্সের ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট। ৯ মাস পর পৃথিবীর মাটিতে পা রাখেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। তাঁদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও ক্রু৯ মহাকাশচারীরা আরও একবার দেখালেন যে অধ্যবসায়ের আসল অর্থ কী। অজানার সম্মুখীন হয়েও যে একাগ্রতা দেখিয়েছেন, তা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “মহাকাশ গবেষণা হল মানুষের সম্ভাবনার সীমাকে পার করা, স্বপ্ন দেখার সাহস দেখানো এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করা। সুনীতা উইলিয়ামস, একজন আইকন, তিনি নিজের কেরিয়ারকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরলেন। যাঁরা তাঁদের (সুনীতা ও বুচ) নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, আমরা তাঁদের উপরও গর্বিত। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, নির্ভুলতার সঙ্গে প্যাশন এবং প্রযুক্তির সঙ্গে দৃঢ়তা মিলে গেলে কী হয়।”

    সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ

    মোদি আরও বলেন, “অন্তঃরীক্ষ ভ্রমণ তাঁদের জন্যই, যাঁরা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার সাহস দেখান। সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) তাঁর কেরিয়ারে সেটাই বারবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। সুনীতাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের সকলের জন্য আমরা খুব গর্বিত। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্যে অবিচল থাকলে কতটা সাফল্য আসতে পারে।” উল্লেখ্য, এর আগে সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১ মার্চের সেই চিঠি গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। ১৪০ কোটি ভারতীয় সুনীতার কর্মকাণ্ডের জন্য গর্বিত বলে জানান মোদি। সুনীতার মা বনি পাণ্ডিয়া মেয়ের আসার অধীর অপেক্ষা করছেন বলে জানান মোদি। প্রয়াত বাবার আশীর্বাদও সুনীতার সঙ্গে সর্বদা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ঘরের মেয়ে’ সম্বোধন করে সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদি।

    সুনীতার পৈতৃক বাড়ি গুজরাট

    প্রসঙ্গত, সুনীতার বাবা দীপক পাণ্ডিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদিরই রাজ্য অর্থাৎ গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁদের আলাপেরই একটি ছবি দিয়ে সুনীতা উইলিয়ামসকে ফের একবার পৃথিবীতে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, মাত্র ৮ দিনের মহাকাশে গিয়ে ৯ মাস ধরে আটকে ছিলেন সুনীতা এবং তাঁর সহকর্মী ব্যারি উইলমোর। শেষমেশ নাসা-স্পেস এক্সের রকেট তাঁদের উদ্ধার করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনেছে। এই প্রথমবার মহাকাশ যাননি সুনীতা বা উইলমোর কেউই। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকা, স্পেসওয়াক করার রেকর্ড রয়েছে তাঁদের। তবে, ৮ দিনের জন্য গিয়ে ৯ মাস আটকে থাকা তাঁদের দুজনের কাছেই প্রথম।

    পৈতৃক গ্রামে আনন্দোচ্ছ্বাস

    সুনীতা (Sunita Williams) পৃথিবীতেই ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা সুনীতার পৈতৃক গ্রাম ঝুলাসান। গুজরাটের এই গ্রামের সাধারণ মানুষ পথে নেমে এসেছেন উদযাপন করতে। তাঁদের দেখা গিয়েছে আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতে উঠতে। সুনীতার ভ্রাতৃবধূ ফাল্গুনী পাণ্ডিয়া বলছেন, ‘‘একদম সঠিক কোনও তারিখ বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত, অতি শিগগিরিই ও ভারতে আসবে। এই বছরের মধ্যেই।’’ আর সুনীতা গ্রামে ফিরলেই হবে সামোসা পার্টি। এত কিছু থাকতে সামোসাই কেন? ‘‘আসলে হৃদয়ে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়ায় সুনীতা সামোসার বিরাট ফ্যান। মহাকাশ স্টেশনেও তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল এই সামোস বা সিঙ্গারা। আর তাই তিনি এদেশে এলে পার্টি দেওয়া হবে সামোসারই।’’ বলছেন ফাল্গুনী।

  • Indian Railway: বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় ভারতেই, লোকসভায় বললেন রেলমন্ত্রী

    Indian Railway: বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় ভারতেই, লোকসভায় বললেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই সবচেয়ে কম খরচে করা যায় ট্রেন সফর। বিগত পাঁচ বছরে সিকে পয়সাও বাড়েনি ভাড়া। সংসদে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই জানালেন রেলমন্ত্রী (Indian Railway) অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতের লোকাল ট্রেনে চড়তে গড়ে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে খরচ হয় একজন যাত্রীর। প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় এই ভারতেই।

    সবচেয়ে ভালো রেল পরিষেবা ভারতে (Indian Railway)

    মঙ্গলবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন, ‘‘২০২০ সাল থেকে ভারতীয় রেলমন্ত্রক টিকিটের দামে কোনও পরিবর্তন আনেনি। এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি টিকিটের দর। এমনকি পড়শি দেশগুলির তুলনায় সবচেয়ে কম খরচেই একজন যাত্রীকে ভারতে রেল পরিষেবা (Indian Railway) নিয়ে থাকেন।’’

    প্রতিবেশী কোন দেশে টিকিটের দাম কত তাও বলেন রেলমন্ত্রী

    একইসঙ্গে সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রসঙ্গও টানেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railway) বলেন, ‘‘বর্তমানে ভারতীয় ট্রেনে চেপে ৩৫০ কিলোমিটার পথ যেতে খরচ হয় ১২১ টাকা। সেই একই দূরত্ব পার করে পাকিস্তান রেল যাত্রীদের থেকে নিয়ে থাকে ৪৩৬ টাকা ও বাংলাদেশ নিয়ে থাকে ৩২৩ টাকা। এমনকি, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাতেও একই দূরত্ব যেতে খরচ পড়ে ৪১৩ টাকা।’’

    বেড়েছে রেলের সময়ানুবর্তীতা

    উল্লেখ্য, দেশের ট্রেন পরিষেবা নিয়ে এদিন একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, ‘‘আগের তুলনায় বেড়েছে রেলের সময়ানুবর্তীতা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম, রিয়েল-টাইম মনিটরিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারেই আগের তুলনায় ৯০ শতাংশ সময়ানুবর্তীতা বেড়েছে ভারতীয় রেলের।’’ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় রেল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিকে বড় বড় শহরের সঙ্গে জুড়তে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে বেড়েছে ভারতের অর্থনীতি। তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। বিভিন্ন সামাজিক জনগোষ্ঠীর কাছে এর ফলে সহজ হয়েছে যাত্রা। সামাজিক একতাও গড়ে তুলতে পেরেছে ভারতীয় রেল।

  • Electoral Fraud: ভুয়ো ভোটার নির্মূল করতে আধার-এপিক কার্ড লিংকের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের

    Electoral Fraud: ভুয়ো ভোটার নির্মূল করতে আধার-এপিক কার্ড লিংকের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুতুড়ে ভোটারদের (Electoral Fraud) নির্মূল করতে বড়সড় পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল (AADHAAR Voter Cards Link) কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-সহ অবাঞ্ছিত ভোটারদের ভোট-প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিংক করানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার (Electoral Fraud)

    এই উদ্যোগ নিতে হলে প্রযুক্তিগত ও আইনি পরিকাঠামো কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক, ইউআইডিএআই এবং অন্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও আরও দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু ও বিবেক জোশিম। সেখানে নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংবিধানের ৩২৬ নম্বর ধারার অধীনে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার সংরক্ষিত থাকলেও, আধার কার্ড কেবল পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এই দুইয়ের সংযোগ সাংবিধানিক বিধান ও আইনি নির্দেশিকা অনুসরণ করবে। এই সিদ্ধান্তের পর শীঘ্রই ইউআইডিএআই এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

    আধার-ভোটার কার্ড সংযোগ

    জানা গিয়েছে, আধার-ভোটার কার্ডের এই সংযোগ ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ২৩(৪), ২৩(৫), এবং ২৩(৬)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং ডাব্লুপি (সিভিল) নং ১৭৭/২০২৩-এ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ২৩(৬) নিশ্চিত করে যে, কোনও নির্বাচক যদি পর্যাপ্ত কারণ দেখাতে পারেন, তাহলে আধার নম্বর দেওয়া বা শেয়ার করতে না পারার কারণে তাঁকে নির্বাচনী তালিকা থেকে সরানো হবে না। এটি নিশ্চিত করে যে আধার সংযোগ শুধুমাত্র তখনই হবে যখন নির্বাচক স্বেচ্ছায় তাঁর আধার নম্বর জমা দেবেন। যাঁরা আধার বিবরণ প্রদানে বৈধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন, তাঁদের অধিকার রক্ষা করা হবে (AADHAAR Voter Cards Link)।

    স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি

    নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালের ১ অগাস্ট থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি চালু করেছে, যার মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ভোটারদের থেকে আধার নম্বর সংগ্রহ করা হবে। আধার প্রমাণীকরণের (Electoral Fraud) জন্য সম্মতি ফর্ম ৬বি-র মাধ্যমে নেওয়া হয়, এবং একবার সম্মতি দেওয়া হলে, তা প্রত্যাহারের কোনও ব্যবস্থা নেই।

    নির্বাচনী জালিয়াতি

    এই উদ্যোগটি ভারতের নির্বাচনী জালিয়াতি ও কারচুপি মোকাবিলার প্রচেষ্টায় একটি উল্লেখযোগ্য মোড় হিসাবে চিহ্নিত। আধার সিস্টেমের সুবিধা নিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি আরও নির্ভুল এবং বিশ্বস্ত ভোটার ডেটাবেস তৈরি করতে চায়। আধার-ইপিআইসি সংযোগ নকল ভোটারদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা নিশ্চিত করবে যে শুধুমাত্র যোগ্য ভোটাররাই তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সততা শক্তিশালী হবে।

    ভুতুড়ে ভোটার

    কয়েক বছর আগে কারও মৃত্যু হয়েছে, অথচ ভোটার তালিকায় দিব্যি রয়েছেন তিনি। তাঁর ভোটার কার্ড কিংবা রেশন কার্ড জমা দিয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন অন্য কেউ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নাম রয়ে যাচ্ছে ভোটার তালিকায়। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা জীবিত থাকলেও, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা গিয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের খাতায় তিনি মৃত। নানা সময় এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যের শাসক কিংবা বিরোধীরাও এনিয়ে সরব হয়েছেন। ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে মঙ্গলবার একই দিনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ

    দুপক্ষই নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ জানিয়েছিল (Electoral Fraud)। বিজেপির অভিযোগ, বাংলায় ১৩ লাখের বেশি ভুয়ো ভোটার রয়েছে তালিকায়। স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে সরব হয় পদ্ম শিবির। এনিয়ে উত্তপ্ত হয় সংসদের উভয় কক্ষই। ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ হতেই বিক্ষোভে শামিল হন দেশের বিভিন্ন দলের সাংসদরা (AADHAAR Voter Cards Link)।

    ভুতুড়ে ভোটারমুক্ত তালিকা

    এর পরেই ভোটার তালিকা ভুতুড়ে ভোটারমুক্ত করতে তৎপর হয় নির্বাচন কমিশন। ডাকা হয় বৈঠক। বর্তমানে ভোটার আইডির সঙ্গে আধার লিংক করা কারও ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে এবং নাগরিকদের আইনত আধারের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া জোরদার করতে ইসিআই রাজনৈতিক দলগুলিকে এর সঙ্গে জুড়ছে। নির্বাচন কমিশন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব (AADHAAR Voter Cards Link) জাতীয় ও রাজ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে ইআরও, ডিইও এবং সিইওদের কাছে এ সংক্রান্ত অমীমাংসিত সমস্যার কথা জানানোর কথা বলেছে (Electoral Fraud)।

  • PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ ২০২৫-এর (Maha kumbh 2025) ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই মহাকুম্ভের সাফল্যের জয়গান করেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতীয় চেতনার প্রমাণ (PM Modi)

    তিনি একে ভারতের আধ্যাত্মিক ও জাতীয় চেতনার প্রমাণ বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী এই বিশাল সমাবেশের সুন্দর ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেন, যা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু ও মানুষকে আকর্ষণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভকে বিভিন্ন “অমৃত”-এর উৎস বলে বর্ণনা করেন। এর মধ্যে “ঐক্য” হল সবচেয়ে পবিত্র। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভ হল সেই বিশেষ মুহূর্ত যখন মানুষ সারা দেশ থেকে একত্রিত হয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের জাত, ভাষা, অঞ্চল, লিঙ্গ এবং অন্যান্য পক্ষপাত ভুলে গিয়ে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছিলেন। এই ভাবনা প্রচার করেছিলেন যে এটি কখনও “আমি” এর জন্য নয়, বরং সর্বদা “আমরা” এর জন্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা মহাকুম্ভের পরিমাণ ও প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা তাঁদের উত্তর পেয়েছে দেশজুড়ে দেখা গেছে অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও আধ্যাত্মিক জাগরণের মাধ্যমে।”

    রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহ

    মহাকুম্ভে রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাকুম্ভ ২০২৫-এ জাতীয় সচেতনতার একটি অসাধারণ প্রদর্শনী দেখা গিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ প্রয়াগরাজে একত্রিত হয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্ম গভীর আবেগ নিয়ে এই অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছে, যা ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে মহাকুম্ভ আঞ্চলিক, ভাষাগত এবং সামাজিক সীমা অতিক্রম করে একটি সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের মহিমা হল ভারতের ঐক্যের ক্ষমতার প্রতিফলন, যা বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সাধারণ লক্ষ্যের দিকে কাজ করে।”

    প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর মরিশাস সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি যখন ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র জল গঙ্গা তালাবে উৎসর্গ করেছিলাম, তখন তা প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে এক গভীর ভক্তির অনুভূতি জাগিয়েছিল।” তিনি বলেন, “ভারতের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, এবং এই একত্রিত হওয়ার চেতনাকে আরও লালন করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

    মহাকুম্ভে অমৃত স্নান

    চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভে অমৃত স্নান। শেষ হয়েছিল ৪৫ দিন পরে, ২৬ ফেব্রুয়ারি। তিন পক্ষের এই মহাকুম্ভ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি। ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও ৫ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে এই পবিত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানের প্রভাব ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডকে মহাকুম্ভের গঙ্গাজল উপহার দেন। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছিলেন ৭৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, এটি এই গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক সমাবেশের বৈশ্বিক সচেতনতা প্রদর্শন করে।

    ভারতের ঐক্যের শক্তি

    বিশ্বজুড়ে চলা সংঘাতের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যের শক্তিকে প্রতিফলিত করে। বিশ্বের অনেক অংশ বিভক্ত থাকলেও, ভারত ঐক্য ও সম্মিলিত ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।” তিনি বলেন, এই ঐক্যই আমাদের আশীর্বাদ ও আমাদের শক্তি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটের সময় ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিক প্রথাগুলি ঐক্যবদ্ধকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। মহাকুম্ভ, যা বিশ্বাসীদের এক বিশাল সমাবেশ, এটি লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে ঐক্য ও বিশ্বাসের অনুভূতি পুনরায় জাগ্রত করে।” তিনি বলেন, “এই ধরনের বৃহৎ অনুষ্ঠানগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে এবং ঐতিহ্য রক্ষার পথে দেশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।”

    পরিবেশগত গুরুত্বে জোর

    প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভের পরিবেশগত গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। তিনি একটি বৃহত্তর নদী সংরক্ষণ আন্দোলনের আহ্বানও জানান। জল সংরক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ‘নদী উৎসব’ প্রসারিত করার অনুরোধও জানান। তিনি (PM Modi) বলেন, “কুম্ভমেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম টেকসই উন্নয়নে জন আন্দোলনের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।” নদী দূষিত ও শুকিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি জোর দিয়েছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলাশয় সংরক্ষণের পদ্ধতি শেখানো প্রয়োজনের ওপর। তাঁর মতে, নদী উৎসবের প্রসার ভারতের বিশাল নদী ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত ও সংরক্ষণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে (Maha kumbh 2025)।

    ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড়

    এদিন তিনি ফের বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড় বুঝতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মহাকুম্ভের মতো ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” একটি ক্রমবর্ধমান আধুনিক বিশ্বে, যেখানে অনলাইন শক্তি জীবনকে রূপান্তরিত করছে, সেখানে তিনি আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি গর্বিত হয়েছেন এই ভেবে যে যখন দেখলেন তরুণরা তাদের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে গ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মহাকুম্ভের মতো উৎসবগুলি কেবল ধর্মীয় সমাবেশই নয়, বরং ভারতের ঐতিহাসিক সহনশীলতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে এই ধরনের উৎসবগুলি যেন অক্ষুণ্ন রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

LinkedIn
Share