Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bihar Protest: বিধানসভা অভিযানে লাঠিচার্জ পুলিশের, বিজেপি নেতা সহ মৃত ২

    Bihar Protest: বিধানসভা অভিযানে লাঠিচার্জ পুলিশের, বিজেপি নেতা সহ মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ থামাতে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। তার জেরে প্রাণ হারালেন বিজেপির (BJP) এক নেতা সহ মোট দুজন। ঘটনার জেরে উত্তাল বিহার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ (Bihar Protest) কর্মসূচি পালন করে গেরুয়া শিবির। নীতীশের ইস্তফার দাবিতে সোচ্চারও হন তাঁরা। বিধানসভার ভিতরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি।

    বিধানসভা অভিযান

    বৃহস্পতিবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। দলের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন পাটনা শহরে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ। তারপরেও হটে না গিয়ে কর্মসূচি জারি রেখেছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এর পরেই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পাটনা পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিজেপির এক মহিলা কর্মীর। জখম (Bihar Protest) হন বেশ কয়েকজন। এঁদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির জেহানাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সিংহও। পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন বিজয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।

    বেপরোয়া পুলিশ

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিহারে আন্দোলন করছে বিজেপি। গেরুয়া কুর্তি, শাড়ি পরে এদিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা আওয়াজ তোলেন, নীতীশ-তেজস্বী ইস্তফা দাও। বিজেপি নেতাদের কয়েকজনকে দেখা যায় প্রচার রথে উঠে স্লোগান দিতে। বিক্ষোভকারীদের রুখতে পাটনার ডাকবাংলো মোড়ের কাছে ব্যারিকেড করে পুলিশ। পাটনার পুলিশের সিনিয়র সুপারিনডেন্ট রাজীব মিশ্র বলেন, আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে জলকামান ছোড়ে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।

    বিজয়ের মৃত্যুতে শোক (Bihar Protest) প্রকাশ করেছেন বিহার বিজেপির নেতা সুশীল কুমার মোদি। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে আমাদের এক কর্মীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করব। এসবের জন্যই দায়ী নীতীশ কুমার। ট্যুইট-বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। তিনি লিখেছেন, বিহার সরকার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানছে, যাতে তারা দুর্নীতির অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারে। 

    এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভায়ও বিক্ষোভ দেখান পদ্ম শিবিরের বিধায়করা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পিকার অওয়ধ বিহারী চৌধুরী মার্শাল ডেকে বিক্ষোভকারী বিধায়কদের সভার বাইরে বের করে দেন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিও হয় বিধায়কদের।

    আরও পড়ুুন: “আক্রান্তদের অপরাধ, তাঁরা মোদিকে ভালবাসেন”, ‘শান্তিকক্ষ’ থেকে বেরিয়ে বললেন রবিশঙ্কর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assam: ১৩ বছরের নাতনিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ! গ্রেফতার ৭৩ বছরের সুকুর আলি

    Assam: ১৩ বছরের নাতনিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ! গ্রেফতার ৭৩ বছরের সুকুর আলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ৭৩ বছর বয়সী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অসমে (Assam)। জানা গিয়েছে হাইলাকান্দির বাসিন্দা সুকুর আলির তার সম্পর্কে এক নাতনিকে গত জুন মাসে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। 

    ২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজত সুকুরের

    গুরুতর এই অভিযোগে ১১ জুলাই মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুকুরকে। পাশাপাশি শিশু সুরক্ষা কমিশনও তার বিরুদ্ধে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায়। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুকুর আলিকে কোর্টে তোলা হলে বিচারক আপাতত তাকে ২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

    অসমের (Assam) হাইলাকান্দিতে হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন

    অন্যদিকে হাইলাকান্দিতে ধর্ষণ ও খুনের আসামি জুবের আহমেদ এখনও পলাতক। জুবেরের গ্রেফতারির দাবিতে ১০ জুলাই হাইলাকান্দিতে বজরঙ দল এবং অন্যান্য সংগঠন এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে। দিন সাতেক আগে জুবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ১৩ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণের, পরে মেয়েটি হাসপাতালে মারা যায়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র হাইলাকান্দি। দোষীর গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন সংগঠন। জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই জুবের তার দুই সহযোগী জাবির এবং আনসারকে সঙ্গে নিয়ে ২ জন হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে। এরপর অভিযোগ কাছাড়ের এক চা বাগানে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা এক নাবালিকাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। ওই নাবালিকাকে পরে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এরপর মেয়েটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে এবং তাকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই সে মারা যায়। মৃত্যুর আগের জবানবন্দিতে নাবালিকা বলে, জুবের তার পরিচয় একজন হিন্দু হিসেবে দিয়েছিল এবং নিজের নাম বলেছিল রাহুল। জানা গিয়েছে জুবের বেঙ্গালুরুতে একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জুবেরের ফোনের লোকেশন মিজোরামে পাওয়া গিয়েছে। অসম (Assam) পুলিশ মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছে। ৬ জুলাই থেকে জুবেরের গোটা পরিবারের খোঁজ মিলছেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tesla: ভারতেই ‘টেসলা’ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত ‘মোদি ভক্ত’ ইলনের! দাম কত হবে?

    Tesla: ভারতেই ‘টেসলা’ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত ‘মোদি ভক্ত’ ইলনের! দাম কত হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভারতে গাড়ি উৎপাদন করবে টেসলা (Tesla)। সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় টেসলা (গাড়ি নির্মাতা সংস্থা) প্রধান ইলন মাস্কের। বৈঠক এতটাই ফলপ্রসূ হয় যে নিজেকে ‘মোদি ভক্ত’ হিসাবেও দাবি করেন পৃথিবীর এই ধনকুবের। জানা গিয়েছে ভারতে উৎপাদিত গাড়ির দামও থাকবে নাগালের মধ্যেই। ইতিমধ্যে নতুন কারখানা খুলতে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে মার্কিন সংস্থার আধিকারিকরা। টেসলার এই পরিকল্পনার ফলে আগামী দিনে ভারতের গাড়ি বাজার মজবুত হবে বলেই ধারনা অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি এর ফলে তৈরি হবে কর্মসংস্থানও। 

    ২০২১ থেকেই জল্পনা চলছিল ভারতে গাড়ি উৎপাদন করবে টেসলা (Tesla) 

    ট্যুইটারের মালিক সম্প্রতি জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব ভারতে প্রথম কারখানা খুলতে চায় টেসলা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকেই ভারতে টেসলা আসা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। ওই বছরেই কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে একটি কোম্পানির নামও নথিভুক্ত করে টেসলা। তবে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী সেসময় সাফ জানিয়ে দেন, চিনে গাড়ি বানিয়ে ভারতে বিক্রি করা যাবে না। ভারতে গাড়ি উৎপাদন করার ক্ষেত্রে খুবই আগ্রহী টেসলা (Tesla)। শোনা যাচ্ছে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির কারখানা খুলবে এই মার্কিন সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে আলাপ-আলোচনাও শুরু করেছে টেসলার প্রতিনিধিরা, এমনটাই সূত্রের খবর রয়েছে।

    গাড়িগুলির দাম কতো হবে?

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতে প্রতি বছর ৫ লাখ গাড়ি উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এই সংস্থা। ভারতীয় গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে ঠিক করা হয়েছে দামও। জানা গিয়েছে, এই সকল গাড়ির দাম রাখা হবে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে, টেসলার সবথেকে সস্তা যে গাড়ি বিক্রি হয় সেটি হল Tesla Model 3 – যার দাম ৬০ লাখ থেকে ৭০ লাখ টাকা। টেসলার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ভারতীয় গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে এই দাম প্রায় ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ কমাতে চলেছে টেসলা (Tesla)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, টেসলার এই পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের পাশাপাশি বাইরের দেশে, বিশেষ করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গাড়ি রফতানির জন্য ভারতকে কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে এই সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মোদি জমানার কথা”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মোদি জমানার কথা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যখন দারিদ্র দূরীকরণ ও কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন নিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা হবে, সেখানে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে মোদি সরকার জমানার কথা।” বুধবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন নাবার্ডের (NABARD) ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    স্বনির্ভর হচ্ছে গ্রাম

    শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কেবল শহর নয়, গ্রামগুলোও আজ স্বনির্ভর হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতির আত্মা যে কৃষি, সেই কৃষি ক্ষেত্রেও দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “কৃষি-অর্থনীতিতে কো-অপারেটিভ ক্ষেত্রগুলোকে এমনভাবে সংযোগ করা হয়েছে যে, সেগুলোকে আলাদা করা যাবে না। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা পালন করছে নাবার্ড। সেই জন্যই আজ গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন। বিশেষত মা-বোনেরা স্বনির্ভর হচ্ছেন। সমাজে তাঁরা শ্রদ্ধাও অর্জন করছেন।”

    নাবার্ডের অবদান 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারতের ৬৫ শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন। নাবার্ড ছাড়া তাঁদের কথা ভাবাই যায় না। গত চার দশক ধরে গ্রামীণ অর্থনীতি, পরিকাঠামো, কৃষি, কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠান এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেরুদণ্ডই হল নাবার্ড।” মূলধন গঠন এবং জমার ক্ষেত্রে গত ৪২ বছর ধরে নাবার্ড বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। শাহের দাবি, নাবার্ডের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৮ লক্ষ কোটি টাকা গিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।

    আরও পড়ুুন: ভারতের একাধিক শহরে বিস্ফোরণের ছক! চার সন্ত্রাসবাদীকে কারাদণ্ড দিল এনআইএ-র আদালত

    মন্ত্রী (Amit Shah) আরও জানান, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত গ্রামীণ অর্থনীতিতে ২০ লক্ষ কোটি টাকা রিফাইনান্স করেছে নাবার্ড। বৃদ্ধির নিরিখে যার পরিমাণ ১৪ শতাংশ। তিনি বলেন, “এই প্রাপ্তি ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি এবং তার বিকাশ কল্পনাই করা যেত না। তাই আমাদের এমন লক্ষ্য তৈরি করা উচিত, যাতে করে মানুষ কাজ করতে উৎসাহিত হন, এবং অন্যকে কাজ করতে উৎসাহিত করেন।” শাহ জানান, ১৯৮২ সালে কৃষি অর্থনীতিতে স্বল্প মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ৮৯৬ কোটি টাকা। আর আজ নাবার্ড নিয়েছে ১.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা। ওই বছর কৃষিক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। নাবার্ডের মাধ্যমে আজ সেটাই বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Chandrayaan 3 Launch: শুরু কাউন্টডাউন! অপেক্ষার আর ২৪-ঘণ্টা, শুক্রবার চাঁদে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3 Launch: শুরু কাউন্টডাউন! অপেক্ষার আর ২৪-ঘণ্টা, শুক্রবার চাঁদে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর একটা রাতের অপেক্ষা। শুক্রবার দুপুরে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3 Launch)। প্রথামাফিক ২৫ ঘণ্টা আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় শুরু হলো চূড়ান্ত কাউন্টডাউন। তার আগে, এদিন সকালে লে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসেন ইসরোর চেয়ারম্যান বিজ্ঞানী এস সোমনাথ, সচিব শান্তনু ভাতওয়াদেকর-সহ অন্যান্য বিজ্ঞানী। পরে, সোমনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘চন্দ্রযান ৩ কাল যাত্রা শুরু করবে৷ আমরা আশা করছি, সব কিছু ঠিকঠাক হবে৷’’

    শুরু হলো কাউন্টডাউন

    ইসরোর ঘোষণা অনুযায়ী, আগামিকাল দুপুর ২.৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভি মার্ক-৩ (অধুনা এলভিএম-৩) রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3 Launch)। রকেটের পেলোডে থাকবে চন্দ্রযান মডিউল। যাতে থাকবে প্রপালশন, ল্যান্ডার এবং রোভার। আগের মিশনে পাঠানো অরবিটরটি এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। তাই এ বারের অভিযানে ইসরো আর কোনও অরবিটার পাঠাচ্ছে না চাঁদের কক্ষপথে। ইসরো জানিয়েছে, সব ঠিকঠাক চললে আগামী ২৩ বা ২৪ অগাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণ (বিজ্ঞানের পরিভাষায় সফট-ল্যান্ডিং) করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। 

    কতটা পথ পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩?

    উৎক্ষেপণের সময় রকেটের ওজন প্রায় ৬৪২ টন থাকবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র জ্বালানির পরিমাণ ৫৫৩ টনের বেশি। উৎক্ষেপণের পর ১৬ মিনিটেই চন্দ্রযান ৩ মডিউলকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭৯ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে দেবে রকেট। সেখানে পেলোড ছেড়ে দেওয়া হবে। এর পরের ধাপে, চাঁদের উদ্দেশে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারের পথ পাড়ি দেওয়া শুরু করবে চন্দ্রযান ৩ মডিউল। মডিউলে থাকা তিনটি উপাদানের মধ্যে প্রোপালশন মডিউলের ওজন ২,১৪৮ কেজি, ল্যান্ডারটি ১,৭২৩ কেজি ও রোভারের ওজন ২৬ কেজি। 

    চাঁদে কী কী গবেষণা চালাবে চন্দ্রযান ৩?

    সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-কে (ISRO Chandrayaan 3) পৃথিবী থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে নিয়ে যাবে এলভিএম-৩ রকেট। এর পর, চাঁদের কক্ষপথের ১০০ কিমির মধ্যে চন্দ্রযান ৩-কে পৌঁছে দেবে এই চন্দ্রযান প্রোপালশন মডিউল। চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশের পর প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এই চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3 Launch)। শেষ পর্যায়ে, সেখান থেকে চূড়ান্ত অবতরণ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রম। ল্যান্ডিংয়ের পর চাঁদের রেগোলিথ, চন্দ্র ভূকম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা বায়ুমণ্ডল এবং মৌলিক গঠনের তাপ পদার্থগত বৈশিষ্ট্যগুলি পরীক্ষা করার জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করবে চন্দ্রযান ৩-এ থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’।

    ল্যান্ডিংয়ে বিশেষ গুরুত্ব

    চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3 Launch) আদপে হল চন্দ্রযান ২-এর একটি ফলো-আপ মিশন। ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বরে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান ২। কিন্তু, অবতরণের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, ল্যান্ডারটি চাঁদের বুকে ক্র্যাশ ল্যান্ড করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রোভার।  সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, জানিয়েছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। এবারের চন্দ্রযানে (ISRO Chandrayaan 3) মোট ১৩টি ‘থ্রাস্টার’ রয়েছে, যা সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করবে। এই রোভারের আয়ু এক চন্দ্র-দিবস, বা ১৪ দিন।

    আরও পড়ুন: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভারতের একাধিক শহরে বিস্ফোরণের ছক! চার সন্ত্রাসবাদীকে কারাদণ্ড দিল এনআইএ-র আদালত

    NIA: ভারতের একাধিক শহরে বিস্ফোরণের ছক! চার সন্ত্রাসবাদীকে কারাদণ্ড দিল এনআইএ-র আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় গণতন্ত্র ও সংবিধানকে অন্তর থেকে কুর্নিশ” করেন বলে বুধবারই জানিয়েছিলেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ প্রধান মহম্মদ বিন আবদুল করিম আল লাসা। এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই উঠে পড়ে লেগেছে একদল মানুষ। এদিন এমনই চার সন্ত্রাসবাদীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) বিশেষ আদালত।

    বিস্ফোরণের ছক

    পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গিরা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই চার অভিযুক্ত দেশের একাধিক শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে রেকি করেছিল। এই শহরগুলির মধ্যে ছিল দিল্লি এবং হায়দরাবাদও। বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে তারা বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্রও মজুত করেছিল। জানা গিয়েছে, এই চার অভিযুক্তের সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এদের মধ্যে পাকিস্তান ভিত্তিক মূল অভিযুক্ত রিয়াজ ভাটকল এবং ভারত ভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী (NIA) ইয়াসিন ভাটকলও রয়েছে।

    চার ষড়যন্ত্রী

    যে চার অভিযুক্তকে এদিন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তারা হল বিহারের দ্বারভাঙার দীনেশ আনসারি, পূর্ণিয়ার আফতাব আলম, মহারাষ্ট্রের নানডেডের ইমরান খান এবং তেলঙ্গনার হায়দরাবাদের ওবেইদ উর রহমান। ৭ জুলাই তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এদিন ঘোষণা করা হয় সাজা। ২০১৩ সালের জানুয়ারি এবং মার্চের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এই চার দোষী ব্যক্তিকে। কেবল কারাদণ্ড নয়, বিশেষ আদালতের বিচারক দীনেশের ২ হাজার এবং আফতাবের ১০ টাকা জরিমানাও করেছেন।

    আরও পড়ুুন: “ভারতীয় গণতন্ত্রকে আমি অন্তর থেকে কুর্নিস করি,” বললেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ কর্তা

    মার্চ মাসের ৩১ তারিখে দিল্লি আদালত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের ১১ জন সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা (NIA) দেয়। ভারতের বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ বাঁধানোর ষড়যন্ত্র করছিল বলে অভিযোগ। এই ১১ জনের মধ্যে প্রমাণের অভাবে আদালত ছেড়ে দেয় ৩ জনকে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের চাঁইরা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচুর নতুন সদস্য নিয়োগ করছিল। ভারতের বিভিন্ন শহরে বিশেষত, দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটাতে পাকিস্তান-ভিত্তিক নানা সংগঠনের পাশাপাশি স্লিপার সেলও ওই জঙ্গিদের মদত দিচ্ছিল। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২২ জুন নিষিদ্ধ করা হয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অন্যতম সংগঠক ইয়াসিন ভাটকলই তরুণ মুসলমান যুবকদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে দিল্লিবাসী (Delhi Flood)। অতি বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে যমুনা নদী। দিল্লিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল যমুনার জলস্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয় ২০৮.৪৬ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। ওই সময় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার চিঠিতে বলেছেন-হাথনিকুন্ড থেকে সীমিত পরিমাণে জল ছাড়তে হবে, যাতে যমুনার জলস্তর আরও না বাড়ে। 

    বিপদের মুখে রাজধানী

    আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ (Delhi Flood) এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বড় বিপদের মুখে রাজধানী। বিপদ বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য় হরিয়ানা। সে রাজ্য় থেকে জল ছাড়তেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে যমুনা নদী। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে নদীর জল রাস্তায় উঠে এসেছে। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় শহরের ভিতরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য বড় বড় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

    ভাসছে নীচু এলাকা

    জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে তাই দিল্লিতে বন্যা (Delhi Flood) হলে তা বিশ্বের কাছে ভালো বার্তা যাবে না, বলে মনে করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কোজরিওয়াল। বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন যে যমুনা নদীর পাড়ে নীচু এলাকাগুলিতে যারা বসবাস করেন, তারা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেই সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেন কেজরিওয়াল। জমা জলের কারণে ব্য়াপক যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে দিল্লির রাজপথে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফুঁসছে মন্দাকিনী ও অলকানন্দা, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Democracy: “ভারতীয় গণতন্ত্রকে আমি অন্তর থেকে কুর্নিস করি,” বললেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ কর্তা

    Indian Democracy: “ভারতীয় গণতন্ত্রকে আমি অন্তর থেকে কুর্নিস করি,” বললেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় গণতন্ত্রকে (Indian Democracy) আমি আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে কুর্নিস করি।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি নিজেও একজন মুসলমান। বুধবার মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের সেক্রেটারি জেনারেল মহম্মদ বিন আবদুরকরিম আল-লাসা ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃতিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাঁচ দিনের সফরে সৌদি আরব-ভিত্তিক ওই সংগঠনের কর্তা এসেছেন ভারতে। ১০ জুলাই পা রেখেছেন এ দেশে।

    ‘ডায়লগ ফর হারমোনি অ্যামঙ্গ রিলিজিয়ানস’

    এদিন তিনি যোগ দিয়েছিলেন ‘ডায়লগ ফর হারমোনি অ্যামঙ্গ রিলিজিয়ানস’ শীর্ষক এক আলোচনা চক্রে। সেখানেই ভারতীয় গণতন্ত্রের জয়গান করেন আল-লাসা। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং এ দেশের বুদ্ধিজীবী ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ-পর্ব সেরেছেন। এর পরেই তিনি বলেন, “হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমি ভারতীয় গণতন্ত্রকে (Indian Democracy) স্যালুট করি। স্যালুট করি ভারতের সংবিধানকেও। ভারতীয় দর্শন এবং ঐতিহ্য যা তামাম বিশ্বকে ঐক্যের শিক্ষা দেয়, তাকেও আমি কুর্নিস করি।” ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে, তাদের সঠিক পথ দেখাতে হবে।”

    ‘ধর্মীয় দ্বন্দ্বের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’

    মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “যখনই দুজন মানুষের মধ্যে আলোচনার অভাব দেখা দেয়, তখনই ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে, সমস্যা দেখা দেয়। তাই দু পক্ষের মধ্যে আলাপচারিতার সেতুবন্ধন খুবই জরুরি। সভ্যতার সংঘর্ষ এড়াতে আমাদের প্রয়োজন শৈশব থেকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করা, গাইড করা।”

    তিনি বলেন, “ভারতে যে শান্তিপূর্ণভাবে সব ধর্মের মানুষ সহাবস্থান করছেন, যা আমি চাক্ষুষ করেছি, তা এক কথায় ইউনিক। ধর্মীয় মৌলবাদ যাতে মাথাচাড়া (Indian Democracy) দিতে না পারে তাই ধর্মীয় দ্বন্দ্বের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ভ্রান্ত ধারণা, ঘৃণা ভাষণ এবং ভুল ব্যাখ্যা মৌলবাদ থেকে সন্ত্রাসবাদের পথ প্রশস্ত করে।”

    আরও পড়ুুন: ধেয়ে আসছে ভয়াল সৌরঝড়, অকেজো হয়ে যাবে ইন্টারনেট পরিষেবা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rafale-M Fighter Jet: নৌসেনার চুক্তির ‘ডগফাইটে’ কীভাবে ‘এফ ১৮’-কে টেক্কা দিল ‘রাফাল এম’?

    Rafale-M Fighter Jet: নৌসেনার চুক্তির ‘ডগফাইটে’ কীভাবে ‘এফ ১৮’-কে টেক্কা দিল ‘রাফাল এম’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফরাসি রাফাল এম (Rafale-M Fighter Jet) নাকি মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ যুদ্ধবিমান— ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) দুই বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত-এর ডেক থেকে কে উড়বে? কয়েক বছর ধরেই সেই নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল, ছিল দাবি-পাল্টা দাবি। কেউ রাফাল-এম বিমানকেই পছন্দ করলে, তো কারও মতে সেরা বাজি ছিল এফ/এ-১৮। প্রায় তিন বছর ধরে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, ফরাসি রাফালের ওপরই ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামিকালই বাস্তিল ডে উৎসবে যোগ দিতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই সম্ভবত, এই মর্মে ঘোষণা করা হবে। জানা যাচ্ছে, ২৬টি বিমানের বরাত দেওয়া হবে ফরাসি দাসো এভিয়েশনকে। 

    ‘রাফাল এম’ বনাম ‘এফ ১৮’ ডগফাইট

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) বরাত পাওয়ার ‘ডগফাইটে’ ঠিক কোন কোন জায়গায় প্রবল প্রতিপক্ষ এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানকে টেক্কা দিল ফরাসি রাফাল? কীভাবে বোয়িংকে মাত দিল দাসো। নেপথ্যে এক নয়, রয়েছে একাধিক কারণ ও যুক্তি—

    ভারতীয় রণতরীর বিশেষ স্কি-র‌্যাম্প (সামরিক পরিভাষায় STOBAR) ভিত্তিক ডেক থেকে ওড়ার সক্ষমতা থেকে শুরু করে মাঝ-আকাশে ক্ষিপ্রতা, বিভিন্ন ধরনের মিশনে দায়িত্ব সম্পন্ন করার দক্ষতা ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র বহনের ক্ষমতা ও বৈচিত্র্য— এই সব ক্ষেত্রেই দুই যুদ্ধবিমান প্রায় সমান-সমান। কেউ কারও থেকে পিছিয়ে ছিল না। এক কথায় টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ফারাক করা মুসকিল ছিল। 

    শুধুমাত্র তফাতের মধ্যে মার্কিন এফ/এ-১৮ এর তুলনায় রাফাল-এম (Rafale-M Fighter Jet) অনেকটাই হাল্কা বিমান। যে কারণে, রাফালকে সহজেই জাহাজের ডেকে অবরতণের করানো সম্ভব। কিন্তু, এটা একটা কারণ হলেও, বড় কারণ নয়। মার্কিন বিমানকে অন্য জায়গায় পিছনে ফেলে দিয়েছে রাফাল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত লজিস্টিক্যাল অ্যান্ড অপারেশনাল কনভিনিয়্যান্স এবং ইন্টার-অপারেবিলিটি— এই জায়গায় রাফালে-এম এর থেকে পিছিয়ে পড়ে এফ/এ-১৮। 

    ইন্টার-অপারেবিলিটির সুবিধা

    প্রথম ও প্রধান কারণ, ইন্টার-অপারেবিলিটি। ভারতীয় বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ৩৬টি যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত। ফলত, নৌসেনাতেও (Indian Navy) যদি রাফাল-এম (Rafale-M Fighter Jet) আসে, তাহলে রক্ষণাবেক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পেতে সহজ হবে। উপরন্তু, বায়ুসেনায় রাফালের যে ৮টি টুইন-সিটার ভেরিয়েন্ট রয়েছে, তাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে নৌসেনার পাইলটরাও। যদিও, নৌসেনাও সম্ভবত কয়েকটি টুইন-সিটার রাফাল-এম ভেরিয়েন্ট নিতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, সূত্রের খবর ২৬টির মধ্যে ১৮টি সিঙ্গল-সিটার ও ৮টি টুইন-সিটার হতে পারে। যৌথ অভিযানে নৌসেনার রাফাল-এম ও বায়ুসেনার রাফালের মধ্যে সমন্বয়ের কোনও সমস্যা হবে না। কারণ, এই দুই যুদ্ধবিমানের ৮৫ শতাংশ এক। অন্যদিকে, এফ/এ-১৮ ই/এফ কিনলে, গোটাটাই নতুন হবে। তার প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে কার্যপদ্ধতি, যন্ত্রপাতি, রক্ষণাবেক্ষণ। ফলে, তাতে খরচ বাড়বে।

    ভারত-ফ্রান্স প্রতিরক্ষা সম্পর্কের সুদীর্ঘ ইতিহাস

    দ্বিতীয় কারণ হল, ফরাসি নিশ্চয়তা। ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। ঠিক যেমনটা একটা দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিরক্ষা সহযোগী ছিল ভারত ও রাশিয়া। আজ থেকে নয়, বিগত কয়েক যুগ ধরে ফরাসি যুদ্ধবিমান ব্যবহার কর আসছে ভারত। উরাগন থেকে শুরু করে সিপক্যাট জাগুয়ার, মিরাজ থেকে শুরু করে এখন রাফাল— ভারতীয় বায়ুসেনায় ফরাসি যুদ্ধবিমানের ইতিহাস দীর্ঘ। ভারত যে মিরাজ-২০০০ বিমান ব্যবহার করছে, তাতে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। ২০২১ সালে, ভারত ২৪টি সেকেন্ড-হ্যান্ড মিরাজ কিনেছে। 

    প্রযুক্তি হস্তান্তরের নিশ্চয়তা

    তৃতীয়ত, ভারতের দেশে তৈরি নীতিতে ফ্রান্সের সম্মত হওয়া বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে কোনওপ্রকার নিষেধাজ্ঞা নেই মাক্রঁর দেশের। নৌসেনায় (Indian Navy) ব্যবহৃত হচ্ছে, ফরাসি স্করপিন সাবমেরিন। সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সেগুলি ভারতেই তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে মার্ক-৩ লাইট হেলিকপ্টার ইঞ্জিন তৈরিতে সাহায্য করতে ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছে ফ্রান্স। সম্প্রতি, ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে নতুন জেট ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে ফ্রান্সের সংস্থা সাফরান। এই ইঞ্জিনগুলি ভারতের ভবিষ্যতে দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের অ্যামকা যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হবে। শুধু তাই নয়, অনেকেই জানেন না, ভারতের তেজস যুদ্ধবিমান অনেকটাই ফরাসি নকশায় তৈরি। তাতে একাধিক ফরাসি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়।

    ফলত, এত কিছু কারণের জন্যই নৌসেনার জন্য ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M Fighter Jet) যুদ্ধবিমানকে বাছতে চলেছে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath Yatra: ফুঁসছে মন্দাকিনী ও অলকানন্দা, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা 

    Kedarnath Yatra: ফুঁসছে মন্দাকিনী ও অলকানন্দা, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনপ্রয়াগ এবং গৌরীকুণ্ডে এক নাগাড়ে বৃষ্টির ফলে বন্ধ করা হল কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra)। টানা বৃষ্টিতে জেরবার দেবভূমি উত্তরাখণ্ড।  এই পরিস্থিতিতে কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। বুধবার একথা জানিয়ে দেওয়া হয়। ক্রমাগত খারাপ আবহাওয়া ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জেলা প্রশাসন সোনপ্রয়াগ ও গৌরীকুন্ডে পুণ্যার্থীদের থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  ভারী বর্ষণের কারণে মন্দাকিনী ও অলকানন্দা নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে জল বইছে।

    ধসের কারণে বন্ধ রাস্তা

    বুধবার সমগ্র উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশের বিক্ষিপ্ত এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে পুণ্যার্থীদের জন্য কেদারনাথ যাত্রা নিরাপদ নয়। খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে যাত্রীদের প্রাণের আশঙ্কাও থাকতে পারে। সেই কারণে কেদারনাথ ধাম যাত্রা (Kedarnath Yatra) বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসন তাঁদের সোনপ্রয়াগ ও গৌরীকুণ্ডে আটকে দিয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেই কেদারনাথ যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু রাস্তা ধসের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নাগাড়ে বৃষ্টি, বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, মৃতের সংখ্যা শতাধিক

    জারি কমলা সতর্কতা

    প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্রমাগত ভারী বৃষ্টির কারণে অলকানন্দা এবং মন্দাকিনী নদীর জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ধসের ফলে চারটি রাজ্য সড়কের পাশাপাশি অন্যান্য দশটি সড়কে যাতায়াত করা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। যান চলাচলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। বুধবার উত্তরাখণ্ডে ভারী বর্ষণের কারণে কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের পর রাজ্য প্রশাসন যে সমস্ত রকম বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে, মঙ্গলবার সেই আশ্বাস দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছর বর্ষার সময় আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হই। ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নামে, নদীর জলস্তর ফুলেফেঁপে ওঠে। আমরা সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছি। রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সকলেই নিজেদের দায়িত্ব পূরণ করছেন। যে কোনও রকমের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত রয়েছেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share