Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Modi-Putin Talk: মোদিকে ফোন পুতিনের, কি আলোচনা হল জানেন?

    Modi-Putin Talk: মোদিকে ফোন পুতিনের, কি আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিপুণ দক্ষতায় ওয়াগনার (Wagner) বিদ্রোহে জল ঢেলে দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Modi-Putin Talk)। রুশ প্রেসিডেন্টের এহেন পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে ক্রেমলিন প্রকাশিত বিবৃতিতে। তাতে বলা হয়েছে, “২৪ জুন রাশিয়ায় যা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে রুশ নেতৃত্বের নির্দিষ্ট পদক্ষেপে যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা ও রুশ নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করা গিয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মোদি।”

    মোদি-পুতিন কথা

    শুক্রবার সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন পুতিন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আলোচনায় উঠে এসেছিল দিন কয়েক আগে ঘটে যাওয়া ওয়াগনার বিদ্রোহের প্রসঙ্গও। রাশিয়ার দাবি, যেভাবে ওই বিদ্রোহ দমন করেছেন পুতিন, তার প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই রাষ্ট্র প্রধানের (Modi-Putin Talk) টেলিফোনিক ওই বৈঠক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও স্থানীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে রাশিয়া ও ভারতের রাষ্ট্র প্রধানের। ওয়াগনার বিদ্রোহের পর রাশিয়ার বর্তমান অবস্থার বিষয়ে মোদিকে অবহিত করেছেন পুতিন। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির বিষয়েও কথা বলেছেন মোদি-পুতিন। জি-২০ সম্মেলন এবং এসসিও সম্মেলনে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও ফোনে আলোচনা হয়েছে পুতিন ও মোদির।

    আরও পড়ুুন: “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ভারত-রাশিয়া এনএসএ কথা

    শুক্রবার মোদি-পুতিন (Modi-Putin Talk) টেলিফোনিক বৈঠকের ঠিক আগের দিন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোন করেছিলেন রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ। ওয়াগনার বিদ্রোহের পর দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠককে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক জল্পনার। রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব যে ডোভালকে ফোন করেছিলেন, তা স্বীকার করেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে দু দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্যই ডোভালকে ফোন করেছিলেন পাত্রুশেভ।

    প্রসঙ্গত, গত শনিবার ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনী ওয়াগনার প্রধান মস্কো দখল অভিযানের কথা ঘোষণা (Modi-Putin Talk) করেন। এর পরেই রাশিয়ার তরফে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিন সহ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। একদা ঘনিষ্ঠ প্রিগোঝিনকে বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করেন পুতিন। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এর পরেই রণে ভঙ্গ দেন ওয়াগনার প্রধান। ইতি পড়ে বিদ্রোহে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মানতে হল মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহকে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ২০ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে ইম্ফলে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে বীরেনকে।

    ছেঁড়া হল ইস্তফাপত্র

    একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজের বাসভবনে ফিরে যান তিনি। এর পর বেরিয়ে আসেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্রটি নিয়ে পড়তে শুরু করেন তিনি। সেই সময়ই কিছু মহিলা সমর্থক মন্ত্রীর হাত থেকে ইস্তফাপত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। সংবাদ মাধ্যমকে ওই মহিলারা বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর (Manipur) পদত্যাগের ঘোরতর বিরোধী। তিনি পদত্যাগ করলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর ছেঁড়া সেই ইস্তফাপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন বীরেনই

    মণিপুর সরকারের অন্যতম মুখপাত্র সাপাম রঞ্জন সিংহ জানান, সমর্থকদের চাপের মুখে কিছু মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। পরে ওই মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বেরিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। রবিবারই আলোচনার জন্য বীরেনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন (Manipur) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে ট্যুইট-বার্তায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে আমরা যেন আমাদের কাজকে আরও শক্তিশালী করি।”

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মাস দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। লাগাতার হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরেও বিক্ষিপ্ত (Manipur) অশান্তি চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ঘটনার সূত্রপাত ৩ মে। মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা, সেই বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের জনজাতি বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিল বের করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপর। তার পর থেকে রাজ্যে বিরাম নেই হিংসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    Yogi Adityanath: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন গ্যাংস্টার। পরে হয়ে যান রাজনীতিক। তারও পরে বিধায়ক, সাংসদ। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এহেন গ্যাংস্টার কাম রাজনীতিক আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মামলা ছিল ১০০-রও বেশি। ফুলপুরের সাংসদ এবং প্রয়াগরাজের বিধায়ক থাকার সময় তিনি প্রয়াগরাজের লুকারগঞ্জ এলকায় বেশ কিছু জমি দখল করেছিলেন বলে অভিযোগ।

    আতিকের বেআইনি জমি

    আতিকের সেই জমি ও একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। আতিকের দখল করা সেই জমিতেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গড়ে তোলা হয় বহুতল। লটারির মাধ্যমে সেই ফ্ল্যাট বিলিয়ে দেওয়া হল আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে পরিবারগুলিকে। শুক্রবার সুবিধাভোগীদের হাতে চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং।

    ফ্ল্যাট পেতে লটারি

    আতিকের দখল করা যে জমিতে বহুতল গড়ে তুলেছে যোগী সরকার, তার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৭৩১ স্কোয়ার মিটার। ২০২১ সালে ওই জমিতে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath)। দুই ব্লকের আবাসনে রয়েছে ৪১ বর্গমিটারের দু কামরার ওই ফ্ল্যাটগুলি। রয়েছে একটি রান্নাঘর এবং একটি টয়লেটও। ফ্ল্যাট পেতে প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে আবেদন করেছিল হাজার ছয়েক পরিবার। তার মধ্যে থেকে ফ্ল্যাট পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন ১ হাজার ৫৯০ জন আবেদনকারী। লটারির মাধ্যমে এঁদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয় ৭৬টি পরিবারকে।

    আরও পড়ুুন: কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের আরও কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই

    সুবিধাভোগীদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই রাজ্যেই ২০১৭ সালের আগে মাফিয়ারা গরিব, ব্যবসায়ীদের এমনকি সরকারি জমিও দখল করে নিত। অসহায়েরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেন। আর এখন আমরা গরিবদের জন্য বাড়ি বানাচ্ছি। মাফিয়াদের দখল করে নেওয়া জমি আমরা গরিবদের বিলি করছি। এটা একটা বড় কৃতিত্ব।”

    প্রসঙ্গত, জনৈক রাজু পাল ও উমেশ পাল খুনে নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ভাই আশরফের। এপ্রিল মাসে গুজরাটের জেল থেকে উত্তর প্রদেশে নিয়ে আসা (Yogi Adityanath) হয়েছিল দুই ভাইকে। ১৫ এপ্রিল রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল প্রয়াগরাজ হাসপাতালে। পথে তিন বন্দুকবাজের হামলায় নিহত হন আতিক ও তাঁর ভাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • El Nino Effect: ‘এল নিনো’-র দাপট! জুলাইয়ের শুরুতেই কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ

    El Nino Effect: ‘এল নিনো’-র দাপট! জুলাইয়ের শুরুতেই কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই দেশের বেশিরভাগ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। চলতি বছর স্বাভাবিক হবে বর্ষা, আশাবাদী মৌসম ভবন। যদিও ‘এল নিনো’- র (El Nino Effect) প্রভাব উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে। এর প্রভাবে জুলাইয়ে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে, বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

    কেমন হবে বৃষ্টি

    আগামী কয়েকদিন দেশের একাধিক অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই জানানো হয়েছে মৌসম ভবন। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গার জন্য ইতিমধ্যেই হলুদ এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আগামী চার থেকে পাঁচ দিনে আরও সক্রিয় হয়ে যাবে মৌসুমী বায়ু। তবে, তার মধ্যে রয়েছে এল নিনোর প্রভাব নিয়ে আশঙ্কায় আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের ব্যাখ্যা এল নিনো শুধুমাত্র শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য দায়ী, এমনটা নয়। এল নিনোর (El Nino Effect) প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতও হতে পারে।

    এল নিনো কী

    ২০১৫ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা পাওয়া গিয়েছিল এল নিনোর (El Nino Effect)। ২০২৩ সালে ফের একবার তা প্রত্যাবর্তন করেছে বলে দাবি গবেষকদের একাংশের। এল নিনো একটি উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত যাঁর প্রভাব পড়ে একাধিক দেশের আবহাওয়ার উপর। এল নিনো একটি স্প্যানিশ শব্দ, এর অর্থ হল ছোট ছেলে। চলতি বছর বর্ষার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এল নিনো। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আবহাওয়ার মতি-গতি প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। বিশ্ব জল চক্রের বদলের বড় প্রভাব ভারতের জলবায়ুর উপর পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে ত্রিপুরা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এল নিনোর (El Nino Effect) প্রভাব প্রত্যক্ষ করা যাবে। তবে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। পূর্ব ও উত্তর পশ্চিম ভারতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাত হবে। চলতি বর্ষাকালের শেষ পর্যন্ত এল নিনোর প্রভাব থাকবে। আর এল নিনোর প্রভাবে যে শুধু খরা পরস্থিতি হতে পারে তা নয়, এর প্রভাবে এক প্রান্তে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে যার ফলে তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railway: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    Indian Railway: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাতৃভাষা বাংলা এমন দুটি অঙ্গরাজ্য রয়েছে আমাদের দেশে। একটি পশ্চিমবঙ্গ, অপরটি ত্রিপুরা। অথচ কলকাতা থেকে আগরতলা ট্রেনপথে যেতে সময় লাগে ৩১ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনেরও বেশি। কারণ, বর্তমান ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বগামী সব ট্রেনকে উত্তরবঙ্গ হয়ে, অসম হয়ে যেতে হয়। তবে, অদূর ভবিষ্যতে এই চিত্র পাল্টাতে চলেছে। ভারতীয় রেলের উদ্যোগে, শীঘ্রই কলকাতা ও আগরতলার রেলযাত্রার সময় ১০ ঘণ্টায় নেমে আসতে চলেছে। হ্যাঁ, মাত্র ১০-ঘণ্টায় কলকাতা থেকে সরাসরি আগরতলা যাওয়া সম্ভব। কারণ, এবার নতুন উদ্যোগ অনুযায়ী, ভারতীয় রেলপথ সোজা বাংলাদেশ হয়ে সোজা পৌঁছে যাবে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। 

    কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    কোন রুটে এই ট্রেন চলাচল করবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমান কলকাতা-ঢাকা রুটকেই বাড়িয়ে আখাউড়া করিডর হয়ে ত্রিপুরায় ট্রেন প্রবেশ করবে। বর্তমানে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস রয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা-আগরতলা রুটও ভায়া ঢাকা হবে। অর্থাৎ, কলকাতা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা। সেখান থেকে সীমান্তের আখাউড়া হয়ে আগরতলা। জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই বা আগামী বছরের শুরুতে ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশন থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া জংশন পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চাইছে রেল। এই কারণে ত্রিপুরা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ দ্রুত শেষ করতে আরও টাকা বরাদ্দ করল রেল (Indian Railway)। রেলসূত্রে খবর, এই প্রকল্পে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    এই প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে

    জানা গিয়েছে, দুই দেশের মধ্য রেলপথ নির্মাণের এই প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে। ১৫ কিমি এই রেল প্রকল্পে দুই দেশ স্বাক্ষর করে ২০১৩ সালে। প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয় ২০১৬ সালে। এই বিশেষ প্রকল্পের ১৫ কিমি সংযোগের মধ্যে ৫.০৫ কিমি ভারতে ও বাকি ১০.০১৪ কিমি বাংলাদেশে রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রকল্পটি ২০২০ সালের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনার কারণে কাজ পিছিয়ে যায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ভারতীয় অংশের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশের দিকে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি” এর অংশ বলে জানা গিয়েছে। এই অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। উত্তর-পূর্ব ভারত এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কী বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা?

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘এই কাজ শেষ হলে এবং ওই রুটে ট্রেন (Indian Railway) চলাচল শুরু হলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও দৃঢ় হবে। একই সঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রে আরও গতি আসবে।’’ এই আন্তর্জাতিক স্টেশনটি যাত্রী ও পণ্য বিনিময় উভয়ের জন্য একটি ডুয়েল গেজ স্টেশন হিসাবে কাজ করবে।

    কী বলছেন রেলের আধিকারিকরা?

    রেলের আধিকারিকরা বলেন, ‘‘এই রেলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে জিনিসপত্র আমদানি এবং রফতানি আরও সহজ হবে। ফলে সেখানের এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছেন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    Uniform Civil Code: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল। গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে এমনই জল্পনা। সম্প্রতি সেই জল্পনা গতি পেয়েছে। কারণ সংসদের স্থায়ী কমিটির (Parliamentary Panel) তরফে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন ও আইন মন্ত্রকের। ৩ জুলাই, সোমবার বিজেপির সাংসদ সুশীল মোদির নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে আইন বিভাগ, সংসদীয় বিভাগ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে গঠিত আইন কমিশনের কর্তাদের মতামত শুনবে। ব্যক্তিগত আইনগুলির পর্যালোচনাও করবে সংসদীয় কমিটি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    বর্তমানে দেশে বিবাহ, বিচ্ছেদ এবং দত্তক গ্রহণের মতো ব্যক্তিগত বিষয়গুলির জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ব্যক্তিগত আইন রয়েছে। যেমন মুসলিম ল’, হিন্দু পার্সোনাল ল’। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু হয়ে গেলে অবসান ঘটবে এই সব ব্যক্তিগত আইনের। গত ১৪ জুন কেন্দ্র নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাড়ে ৮ লক্ষ ব্যক্তি ও সংগঠন।

    উদাহরণ গোয়া

    সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দেশে অভিন্ন দেওয়ানি (Uniform Civil Code) বিধি চালু করতে উদ্যোগী হতে হবে রাষ্ট্রকে। সুপ্রিম কোর্টও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়নে চাপ দেয় বলে দাবি কেন্দ্রের। সম্প্রতি গোয়ার এক সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত মামলায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ টেনেছিল শীর্ষ আদালত। গোয়াকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আদর্শ উদাহরণ বলে অভিহিত করেছিল আদালতও। এহেন আবহে আসন্ন অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল আনা হতে পারে সংসদে। এমন ইঙ্গিত মিলেছিল মঙ্গলবারও।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে হুমকি দেওয়া যাবে না’, চিনকে সাফ জানালেন বিক্রমসিংহে

    সেদিন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তাহলে কি সেই সংসার চালানো যায়?” তিনি বলেন, “দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের (Uniform Civil Code) কথা বলা আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manipur Violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! এক পুলিশ কনস্টেবল সহ তিনজনের মৃত্যু

    Manipur Violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! এক পুলিশ কনস্টেবল সহ তিনজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। শুক্রবার সকাল অবধিও অশান্তির খবর মেলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার উপর কাঁদানে গ্যাস (Tear Gas) প্রয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারের অশান্তিতে এক পুলিশ কন্সটেবল সহ তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ কাংপোকপি ও ইম্ফলে অশান্তি-উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা

    বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনার ট্যুইটার হ্যান্ডল ‘স্পিয়ার কোর’-এর তরফে জানানো হয়, মণিপুরের হারাওথেল গ্রামে টহল দেওয়ার সময়ে হঠাৎই ভোরের দিকে সেনা আধিকারিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি’ এড়াতে পাল্টা গুলি চালায় তারাও। সেনার তরফে এ-ও জানানো হয়, বিপুল সংখ্যক উন্মত্ত জনতা ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। প্রায় রাত আটটা অবধি গুলি চলে। পরে সন্ধ্যার দিকে উন্মত্ত জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা।

    অন্যদিকে, রাতে ইম্ফলের খাওয়াইকানবন্দ বাজারে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত করে এবং কফিন নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখায়। জানা গিয়েছে, গতকাল এক নৌসেনা কর্তার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে ইম্ফলে জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অবধিও মিছিল করার হুমকি দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ও র‌্যাফ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ক্ষিপ্ত জনতার কাছ থেকে দেহ উদ্ধার করে জওহরলাল নেহেরু ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপির একটি কার্যালয়েও হামলা চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    মণিপুরে রাহুল

    এদিকে গতকালই দুদিনের সফরে মণিপুরে (Manipur) গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শান্তির (Peace) বার্তা নিয়ে তাঁর এই মণিপুর যাত্রা। রাহুলের সফর মণিপুরে শান্তি ফেরানোর পথে সহায়তা করবে না বলে মন্তব্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। তিনি বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক নেতারই হিংসা থেকে ফয়দা তোলার চেষ্টা করা উচিত নয়। সাধারণত প্রচারে থাকার জন্যই এমন সফর হয়।’’

    আরও পড়ুন: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী-র

    রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা মুখ্যমন্ত্রীর!

    আজ, শুক্রবারই রাজ্যপাল অনসূয়া উইকির সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। মণিপুরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের খবর, জাতি দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবশেষে সরতে হতে পারে বীরেনকে। তবে একটি মহলের বক্তব্য, পদত্যাগ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আসলে রাজ্যপালের নেতৃত্বে গঠিত শান্তি কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে রাজভবন যাবেন। সেখানে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলাদা করে কথা বলবেন রাজ্যপালের সঙ্গে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PhonePe CM: কিউআর কোডে শিবরাজের ছবি! বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি ফোন পে-র

    PhonePe CM: কিউআর কোডে শিবরাজের ছবি! বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি ফোন পে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফোন পে-র (PhonePe CM) পোস্টারে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের (Shivraj Singh Chouhan) ছবি! গোয়ালিয়র রেল স্টেশনের ওই ঘটনায় শোরগোল দেশজুড়ে। ফোন পে-র পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পোস্ট করে কংগ্রেস চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগও। এই ঘটনায় কংগ্রেসকে তাদের নাম ও লোগো ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছেন ফোন পে কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেসকে দ্রুত পোস্টারগুলি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফোন পে কর্তৃপক্ষ।

    কংগ্রেসের (অপ) প্রচার!

    দোরগোড়ায় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। পদ্মকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কংগ্রেস। অথচ রাজ্যে সেভাবে মজবুত নয় সংগঠন। রয়েছে উপদলীয় কোন্দলও। অভিযোগ, সেই কারণেই বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, গ্বালিয়র রেল স্টেশনের কাছে কয়েকটি পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মুখের সঙ্গে একটি কিউআর কোড (PhonePe CM) রয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আপনার কাজ করার জন্য ৫০ শতাংশ কমিশন দিন’। এই পোস্টারগুলির ছবি এবং ভিডিও নিজেদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব।

    ‘নোংরা রাজনীতির উদাহরণ’ 

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কেবল গ্বালিয়র রেল স্টেশনই নয়, ভোপাল, ইন্দোর, বুধনি, উজ্জ্বয়িনী এবং সেহোরের মতো একাধিক শহরে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে কংগ্রেস। মনে রাখতে হবে, এই বুধনি বিধানসভা কেন্দ্রেরই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তাঁর কটাক্ষ, এটি নোংরা রাজনীতির উদাহরণ।

    কংগ্রেসের এহেন প্রচারে ক্ষুব্ধ ফোন পে (PhonePe CM) কর্তৃপক্ষও। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক অথবা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষ অনুমতি ছাড়া তাঁদের ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করতে পারে না। পোস্টারগুলি অবিলম্বে সরানো না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বিরুদ্ধেও এমন নঞর্থক প্রচার করেছিল কংগ্রেস। তাঁর সরকারকে ‘৪০ পারসেন্ট সরকার’ বলে ব্যাপক প্রচার করেছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। তার জেরে কর্নাটকে পতন হয়েছিল বিজেপি সরকারের। এবার ক্ষমতায় ফিরতে মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস একই খেলা খেলছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Allahabad HC: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    Allahabad HC: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কের অন্ত নেই ‘আদিপুরুষ’ (Adipurush) নিয়ে। ছবির ট্রেলর প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। যা চলছে এখনও। এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad HC) ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন আদিপুরুষ নির্মাতারা। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের প্রশ্ন ছিল, কেন তাদের দিয়ে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের সহনশীলতার মাত্রা পরীক্ষা করানো হচ্ছে? বুধবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, “এই উদ্বেগ কোনও একটি ধর্মের বিষয়ে নয়, সকল ধর্মের বিষয়েই আদালত সমান উদ্বিগ্ন।”

    আদালতের ধর্ম 

    মামলার শুনানি হচ্ছে বিচারপতি রাজেশ সিংহ চৌহান ও বিচারপতি শ্রী প্রকাশ সিংহের বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি চৌহান বলেন, “কোরান, বাইবেল এবং অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থে আপনাদের হাত দেওয়াই উচিত নয়। এটি কোনও একটি ধর্মের বিষয় নয়। কোনও ধর্মকেই খারাপভাবে দেখানো উচিত নয়। আদালতের কোনও ধর্ম নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বজায় থাকে, সেটাই আমাদের একমাত্র উদ্বেগের বিষয়।” তিনি বলেন, “কোরানের ওপর একটি ছোট তথ্যচিত্র বানানোর সময়ও যদি ভুল জিনিস দেখান, তাহলে দেখবেন কী হয়। তবে আমি আবারও স্পষ্ট করে বলছি, এটি কোনও ধর্মের বিষয় নয়। দৈবক্রমে এই ক্ষেত্রে সমস্যাটি রামায়ণের সঙ্গে সম্পর্কিত। আদালতের কাছে সব ধর্ম সমান।”

    সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা!

    ‘আদিপুরুষে’ যেভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় চরিত্রদের উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে দেশবাসীর একাংশের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। তার জেরে হয়েছে মামলা। বিচারপতি চৌহান (Allahabad HC) বলেন, “যদি আজ আমরা মুখ বন্ধ করে রাখি তাহলে কী হবে জানেন? এই ঘটনাগুলো দিন দিন বেড়েই চলবে।

    একটি সিনেমায় আমি এমনও দেখেছি, ত্রিশূল হাতে নিয়ে অত্যন্ত হাস্যকরভাবে ছুটে চলেছেন ভগবান শঙ্কর। এখন এগুলো দেখতে হবে? ছবিগুলি ব্যবসাও করছে, নির্মাতারা অর্থ উপার্জন করছেন। এটা হয়েই চলেছে। সম্প্রীতি ভাঙার জন্য কিছু না কিছু করা হচ্ছে। এটা কি রসিকতা?”

    আরও পড়ুুন: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    আদালত জানিয়েছে, যাঁরা ভগবান রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানজিকে বিশ্বাস করেন, তাঁরা এই ছবি দেখতে পারবেন না। ছবির নির্মাতাদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনেরও কড়া সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট (Allahabad HC)। আদালতের কটাক্ষ, “এই ধরনের সংস্কারী লোকজন যদি এমন একটি সিনেমাকে ছাড় দেয়, তবে তারা সত্যিই ধন্য!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Amarnath Yatra 2023: হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক! ১ জুলাই শুরু অমরনাথ যাত্রা

    Amarnath Yatra 2023: হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক! ১ জুলাই শুরু অমরনাথ যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ। ১ জুলাই শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় ৩ লক্ষ তীর্থযাত্রী। থাকছে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। গতবছর অমরনাথ গুহার সামনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে বন্যা হয়েছিল। তাই প্রবল বৃষ্টিপাত, বন্যা কিংবা ভূমি ধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারেও বিশেষ জোর দেওয়া হচেছ।

    হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক

    শ্রী অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের সিইও মনদীপ কুমার ভান্ডারি জানিয়েছেন, ‘এবারের যাত্রা পথ দীর্ঘতম। তাই একাধিক বেস ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তীর্থযাত্রীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। বেশ কিছু জায়গায় ভূমিধস এবং পাথর গড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। তাই তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষার দিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। ওই অঞ্চল দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে পরতে হবে হেলমেট। এমনকী যাঁরা খচ্চর ব্যবহার করবেন, তাঁদেরও হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

    যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর জোর

    জম্মুর ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে তীর্থযাত্রীদের প্রথম দলটি ৩০ জুন উপত্যকার দিকে রওনা হবে। আসল যাত্রা শুরু ১ জুলাই। যা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ৬২ দিন ধরে এই যাত্রা চলবে। যা সবচেয়ে দীর্ঘ। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। উন্নত করা হয়েছে যাত্রা পথের দু’টি রুটও। ৭০ বছর বয়সীরা তীর্থযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য রাস্তার দু’ধারে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে রাতে কোনও তীর্থযাত্রীকে গুহা মন্দিরের কাছে থাকতে দেওয়া হবে না। থাকছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম। এছাড়া ক্যাম্পে ভিডিও ডিসপ্লে থাকবে। যার মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

    নিরাপত্তার দায়িত্বে আইটিবিপি

    গত কয়েকদশক ধরে অমরনাথ গুহা মন্দির পাহারার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। এবছর থেকে তা বদল হচ্ছ। ঐতিহ্যগতভাবে হিমালয়ের ৩,৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই তীর্ভূমিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ইন্ডো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ অর্থাৎ আইটিবিপির হাতে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার নেতৃত্বে অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে আইবি প্রধান তপন ডেকা এবং ‘র’ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাকি সব বাহিনীর প্রধানরাও। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক হয়, এবছর অমরনাথ যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব সামলাবে আইটিবিপি।

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    কেন আইটিবিপি?

    গত বছর অমরনাথ গুহার সামনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে বন্যা হয়েছিল। তখন আইটিবিপি জওয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এক কোম্পানি আইটিবিপি বাহিনী মোতায়েন থাকায় তাঁরা অনেকের প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও তারা মাউন্টেন ফোর্স নামে পরিচিত। এই বাহিনী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাছাড়া, অশান্ত মণিপুরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েক কোম্পানি সিআরপিএফ সেখানে মোতায়েন রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন বাহিনী গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যা আইটিবিপির হাতে নিরাপত্তা তুলে দেওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share