Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: “২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়”, মন কি বাতের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়”, মন কি বাতের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত গণতন্ত্রের মাতৃভূমি। আমরা কিছুতেই ২৫ জুনের কথা ভুলব না। ওই দিন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। ভারতের ইতিহাসে তা এক কালো অধ্যায়।” রবিবার ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ফি মাসের শেষ রবিবার দেশবাসীর উদ্দেশে মনের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের নাম ‘মন কি বাত’।

    ‘মন কি বাত’ পেরিয়েছে ১০০-র চৌকাঠ

    ইতিমধ্যেই এই অনুষ্ঠান পেরিয়ে গিয়েছে ১০০ পর্বের চৌকাঠ। চলতি মাসে আমেরিকা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এ মাসে ‘মন কি বাতে’র অনুষ্ঠান হয়ে গেল এক সপ্তাহ আগে, ১৮ জুন। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত গণতন্ত্রের মাতৃভূমি। আমরা কিছুতেই ২৫ জুনের কথা ভুলব না। ওই দিন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। ভারতের ইতিহাসে তা এক কালো অধ্যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই জরুরি অবস্থার প্রতিবাদ করেছিলেন। গণতন্ত্রের সমর্থকদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছিল, তা এখনও মনকে কাঁদিয়ে তোলে। আজ আমরা আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি। নবীন প্রজন্মকে গণতন্ত্রের মাহাত্ম্য বোঝাচ্ছে এই সময়কাল।”

    যোগা ফর বসুধৈব কুটুম্বকম

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এদিনের অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এ বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম হল ‘যোগা ফর বসুধৈব কুটুম্বকম’। এটি যোগের উদ্দীপনা প্রকাশ করে এবং আমাদের একত্রিত করে।” মন কি বাতে এসেছে শিবাজির প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন ম্যানেজমেন্টের প্রসঙ্গ ওঠে তখন আমাদের ছত্রপতি শিবাজির দিকে ফিরে তাকানো উচিত। সাহসিকতার পাশাপাশি তাঁর রাজ্য পরিচালনা থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তাঁর ম্যানেজমেন্ট বিশেষ করে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং নৌবাহিনী ভারতের গর্বের বিষয়।”

    আরও পড়ুুন: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে টিবি মুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি (PM Modi) বলেন, “টিবিমুক্ত ভারত গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে দেশের তরুণরা।” প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের প্রশংসাও। ভারতের পুরুষ ও মহিলা দলের জুনিয়র এশিয়া কাপ জয়ের প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Landslide: হড়পা বান ও ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সিকিম, উদ্ধার ৩৫০০ পর্যটক

    Landslide: হড়পা বান ও ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সিকিম, উদ্ধার ৩৫০০ পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বান ও ধসের (Landslide) জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের (Sikim) বিস্তীর্ণ এলাকা। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক আটকে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিমের মাঙ্গান থেকে চুংথা পর্যন্ত রাস্তা। এই রাস্তা ধরেই পেগং হয়ে লাচুং ও লাচেন পর্যন্ত যেতে হয় পর্যটকদের।

    চলছে উদ্ধার কাজ

    এসব জায়গায় বেড়াতে গিয়েছেন বহু পর্যটক। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালিও রয়েছেন। হোটেলে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বাংলাদেশি, ১০ জন আমেরিকান এবং তিনজন সিঙ্গাপুরের। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। তবে প্রকৃতি বিরূপ হওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করেছেন সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। উত্তর সিকিমে ধস (Landslide) এবং রাস্তা বন্ধের জেরে আটকে পড়েছিলেন এঁরা।

    উদ্ধার ২ হাজার

    শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিমের লাচেন, লাচুং এবং চুংথাং উপত্যকা। তার জেরে উত্তর সিকিম জেলার সদর মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। হড়পা বানে বিধ্বস্ত এলাকায় নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে উদ্ধার করা হচ্ছে পর্যটকদের। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে গরম খাবার, থাকার জায়গা এবং চিকিৎসা সহায়তা। রবিবার সকাল থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব  ভারত ও হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধারের পাশাপাশি চলছে রাস্তা সংস্কারের কাজও। ১৫ তারিখ থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে। তার জেরেই বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস (Landslide)। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলিতে যাওয়ার পথ। ধসের কারণে ৩৪৫টি চারচাকা গাড়ি ও ১১টি মোটর সাইকেলও আটকে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে বিভিন্ন নদীর। তিস্তা, রঙ্গিত সহ একাধিক নদী রীতিমতো ফুঁসছে। পশ্চিম সিকিমের রিম্বি নদীর জলে ভেসে গিয়েছেন নবতিপর এক ব্যক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Heatwave: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    Heatwave: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা ঢুকে গিয়েছে দেশে। তবে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহারে (Bihar) এখনও দেখা নেই সজল মেঘের। বরং চলছে তাপপ্রবাহ (Heatwave)। তাপপ্রবাহের জেরে গত তিন দিনে উত্তর প্রদেশ ও বিহারে মৃত্যু হয়েছে মোট ৯৮ জনের। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে মারা গিয়েছেন ৫৪ জন, বিহারে ৪৪ জন। এই যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই বালিয়া জেলার বাসিন্দা।

    তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ

    জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে ১৫, ১৬ এবং ১৭ জুন যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে তিনদিনে এই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ৪০০-রও বেশি রোগী। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের সিংহভাগেরই বেশির বয়স ৬০ বছরের বেশি। বালিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত কুমার বলেন, “তাপপ্রবাহের কারণে রোগীরা কোনও না কোনও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

    কীভাবে মৃত্যু 

    বেশিরভাগ রোগীর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, ব্রেন স্ট্রোক এবং ডায়েরিয়ার কারণে।” গত কয়েক দিন ধরে বালিয়ার তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪০ ডিগ্রির ঘর। শুক্রবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি।

    আরও পড়ুুন: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    তাপপ্রবাহ (Heatwave) চলছে বিহারেও। তাপপ্রবাহের জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এর মধ্যে কেবল পাটনায়ই মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। বাকি ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে। রাজ্যের ১৮টি জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। জানা গিয়েছে, শনিবার রাজ্যের ১১টি জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। পাটনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ২৪ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব জেলায় স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ১৮ এবং ১৯ জুন ওরঙ্গাবাদ, রোহতাস, ভোজপুর, বক্সার, কাইমুর এবং আরওয়াল জেলায় আবহাওয়া দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে চরম তাপপ্রবাহের (Heatwave) সতর্কতা। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কমলা সতর্কতার পাশাপাশি রাজ্যের কয়েকটি জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই তিনদিনের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই সফরে তাৎপর্যপূর্ণ ফল মিলবে বলে শনিবার জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটাই প্রথমবার যে ভারতের একজন প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতা দেবেন দুবার।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের ডাকে আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে। ওই দিনই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’

    জয়শঙ্কর বলেন, “রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা সর্বোচ্চ সম্মান। সুতরাং, যে সম্মান তিনি পাবেন, এ পর্যন্ত খুব কম রাষ্ট্রপ্রধানই তা পেয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের ন’ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। অনুষ্ঠান হয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির বাদাপুর এলাকায়। সেখানেই মোদির আসন্ন মার্কিন সফর নিয়ে আশা প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে দুবার ভাষণ দেননি। তাই এটাই হবে প্রথম। তামাম বিশ্বের অল্প কিছু রাষ্ট্রপ্রধান এই সুযোগ পেয়েছেন…উইনস্টন চার্চিল, নেলসন ম্যান্ডেলা।”

    মোদির সফরসূচি

    জানা গিয়েছে, ২০ জুন আমেরিকা পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। পরের দিন রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে নেতৃত্ব দেবেন নবম ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে-র অনুষ্ঠানের। পরে তিনি যাবেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। সেখানে ২২ তারিখ তাঁকে স্বাগত জানাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি। ২৪ তারিখ পর্যন্ত আমেরিকায়ই থাকবেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে গ্রিন কার্ড বিলির নিয়ম শিথিল করল বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকায় যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের গ্রিন কার্ড হোল্ডার হতে হয়। এতদিন এই নিয়ম যথেষ্ট কঠোর ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই শিথিল করা হল তা। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় পাকাপাকিভাবে থাকতে গেলেও গ্রিনকার্ডের প্রয়োজন হয়। ভারতের বহু নাগরিক হন্যে হচ্ছেন গ্রিনকার্ডের জন্য। নিয়ম শিথিল হওয়ায় এবার আর দীর্ঘদিন তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে না গ্রিনকার্ডের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    Amit Shah: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) ওপর আছড়ে পড়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Biparjoy)। তারপর দুদিন কেটে গেলেও ছন্দে ফেরেনি গুজরাট। প্রাণহানির কোনও ঘটনা অবশ্য ঘটেনি। শনিবারও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিপর্যয়-ধ্বস্ত গুজরাটবাসীর অবস্থা চাক্ষুষ করতে এদিন গুজরাটে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে। 

    শাহি সফর

    ঝড়ে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র। এদিন ওই দুই এলাকা ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। ঘুরে দেখে জাখাউ বন্দরও। মান্ডভি জেলার খাতদা গ্রামে গিয়ে কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। শাহের সঙ্গে বিপর্যয়-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিক। ত্রাণ ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজখবরও নেন। পরে ভুজে কালেক্টরেট অফিসে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত? জানতে চাইলেন শাহ

    উপকূলবর্তী কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেন তিনি। কীভাবে অতি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, আলোচনা করেন সে ব্যাপারেও। এদিকে, ঝড়ের দাপট কমলেও, নাগাড়ে হয়ে চলেছে বৃষ্টি। শনিবারও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হওয়ায় রবিবার থেকে কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র উপকূল এলাকায় কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “বিপর্যয় যখন আছড়ে পড়ে, সেই ক্ষণ থেকেই আমি একটি সমীক্ষা করেছিলাম। ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ কিমি বেগে আছড়ে পড়েছিল। তৃতীয় দিনে আমরা দেখলাম, ঝড়ে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। অর্থাৎ আমরা সফলভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পেরেছি। প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, আহত হয়েছেন ৪৭ জন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Godhra: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব, গোধরাকাণ্ডে বেকসুর খালাস পেলেন ৩৫ জন

    Godhra: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব, গোধরাকাণ্ডে বেকসুর খালাস পেলেন ৩৫ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই ২০০২ সালের গুজরাট (Godhra) হিংসায় বেকসুর খালাস পেলেন অভিযুক্ত ৩৫ জন। গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার হালোল শহরের এক নিম্ন আদালত তাঁদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ঘটনার ২১ বছর পর এবার গরাদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গুজরাট হিংসায় অভিযুক্ত ছিলেন ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে বিচার চলাকালীন মারা যান ১৭ জন। বাকিরা পেলেন মুক্তির স্বাদ। আদালত এও বলেছে, “এই হিংসা স্বতঃস্ফূর্ত, পরিকল্পনামাফিক নয়।” নিম্ন আদালতের বিচারক হর্ষ ত্রিবেদীর পর্যবেক্ষণ, “ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষ কিছু গণমাধ্যম আর রাজনীতিবিদ যাঁরা এই হিংসার ঘটনাকে পরিকল্পনামাফিক বলেছিলেন, তাঁরা আসলে হিংসার ক্ষতে নুনের ছিটে দিয়েছেন।”

    আদালতের বক্তব্য

    গোধরা (Godhra)-উত্তর কালে খুন করা, প্ররোচনা দেওয়া ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে। চলছিল তদন্তও। তদন্তে বয়ান নেওয়া হয় ১৩০ জন সাক্ষীর। বিচারক হর্ষ ত্রিবেদী বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা বহু নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনও নিরপরাধ মানুষ যাতে সাজা ভোগ না করেন, তা দেখা আদালতের কাজ।”

    তথ্য প্রমাণের অভাবেই মুক্তি

    গোধরা-পরবর্তী হিংসায় হিংসা ছড়িয়েছিল কালোল বাস স্ট্যান্ড, দেলোল গ্রাম সহ মোট চারটি জায়গায় হিংসা ছড়ানো, অগ্নিসংযোগ করা এবং তিনজনকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ওই ৫২ জনের বিরুদ্ধে। ১৭ জন প্রয়াত হওয়ায় মামলা চলছে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ যে মামলা দায়ের করে, সেখানে বলা হয় তল্লাশি চালিয়ে ওই তিনজনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনজনই নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ভুক্ত। যদিও আদালত জানিয়েছে, তথ্য প্রমাণের অভাবেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ৩৫জনকে।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    ভারতে সাম্প্রদায়িক হিংসা যে নতুন নয়, ৩৬ পৃষ্ঠার রায়ে সে কথারও (Godhra) উল্লেখ করেছেন বিচারক। রায়ে বলা হয়েছে, “ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দীর্ঘকাল ধরে অব্যাহত রয়েছে এবং সাধারণত তুচ্ছ বিবাদ এবং অসহিষ্ণুতা, ধর্মীয় শিল্পকর্মের হেরফের, উৎসবে অন্যদের অনুপ্রবেশ, বিরোধপূর্ণ প্রার্থনার সময়, উপাসনালয় নিয়ে বিবাদ, আন্তঃবিবাহ, পবিত্র স্থানের অপবিত্রতা, যৌনতা ইত্যাদির কারণে ঘটে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Puri: মঙ্গলবার রথযাত্রা, কেন পালিত হয় এই উৎসব?

    Jagannath Puri: মঙ্গলবার রথযাত্রা, কেন পালিত হয় এই উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রথযাত্রা। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন রথে করে জগন্নাথ (Jagannath Puri), বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। এই দিনেই পথে নামেন ভক্তের ভগবান। কাছ থেকে ঈশ্বর দর্শন করতে রাস্তায় নামেন ভক্তও। পথি মধ্যেই মিলন হয় ভক্তের সঙ্গে ভগবানের। জগন্নাথ হলেন ভগবান বিষ্ণুরই এক রূপ। এদিন পুরী সহ দেশের নানা প্রান্তে পালিত হয় রথযাত্রা উৎসব। রথের রশি ছুঁয়ে পূণ্যার্জন করতে ছোটেন পুণ্যলোভাতুরা। 

    কেন কাষ্ঠনির্মিত মূর্তি?

    হিন্দুদের মূর্তি সচরাচর তৈরি হয় মাটি, পাথর কিংবা ধাতু দিয়ে। কেবল জগন্নাথের মূর্তি তৈরি হয় কাঠের। (ইদানিং অবশ্য কেউ কেউ কাঠের কালীমূর্তিও তৈরি করে পুজো করছেন।) তাই জগন্নাথের আর এক নাম দারুব্রহ্ম। জগন্নাথের মূর্তি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। কারণ ভগবান বিষ্ণু নৃসিংহ অবতারে কাঠের খুঁটি থেকে বেরিয়েই বধ করেছিলেন হিরণ্যকশিপুকে। যেহেতু জগন্নাথ বিষ্ণুরই অবতার, তাই তাঁর বিগ্রহ কাষ্ঠ নির্মিত।

    পুরীর জগন্নাথের গুরুত্ব

    পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্র (Jagannath Puri) শাক্ত, বৈষ্ণব এবং শৈবদেরও তীর্থক্ষেত্র। জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন মন্দির রয়েছে মা বিরজার। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই বিরজা সতীর অংশ বিশেষ। যেহেতু প্রতিটি সতীপীঠে ভৈরব থাকেন, তাই পুরীতে মা বিমলার ভৈরব জগন্নাথ। জগন্নাথ যেহেতু স্বয়ং বিষ্ণু, তাই এটি বৈষ্ণবদেরও তীর্থক্ষেত্র। জগন্নাথকে স্বয়ং শিব বলে মনে করেন শৈবরা। তাই শিব-ভক্তদের কাছেও পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। বৌদ্ধদের কাছেও শ্রীক্ষেত্রের গুরুত্ব কম নয়। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, শ্রীক্ষেত্রেই রয়েছে ভগবান তথাগতের দাঁত। জৈনদের কাছেও পুরীর গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁদের বিশ্বাস, জগন্নাথ তীর্থঙ্কর স্বরূপ। কারণ নাথ বলা হয় জৈন তীর্থঙ্করদের। তাছাড়া জগন্নাথ শব্দটিও এসেছে জৈন থেকে। অনেকে মনে করেন, জগন্নাথ উপজাতিদের দেবতা। শবরা গোপনে পুজো করতেন নীলমাধবের। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। প্রতিষ্ঠা করা হয় পুরীধামে। তাই তিনি উপজাতিদেরও আরাধ্য।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রথযাত্রার দিনে জগন্নাথ (Jagannath Puri), বলরাম ও সুভদ্রা এই তিন শ্রীবিগ্রহকে তোলা হয় রথে। বছরের এই একটি দিনেই ভক্তদের কোলে চড়ে রথারোহণ করেন জগতের নাথ। তাঁর সঙ্গে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রা। পুরীর এই তিন শ্রীবিগ্রহ রথে চড়ে যান দু কিলোমিটার দূরের গুন্ডিচা মন্দিরে। সাত দিন এখানেই পুজো-ভোগ নিবেদন হয় দেবতার। উল্টো রথের দিন ফের শ্রীমন্দিরে ফেরেন ভক্তের ভগবান।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগাভ্যাসের ‘পাঠ’ পড়াবেন মোদি

    Narendra Modi: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগাভ্যাসের ‘পাঠ’ পড়াবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে, নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (Yoga Day 2023) উপলক্ষে আয়োজিত, বিশেষ যোগ অধিবেশনের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  প্রতি বছর ২১ জুন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এবছর ওই দিনই চার দিনের সফরে আমেরিকা পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের আঙিনায় যোগ শিক্ষা দেবেন মোদি।

    যোগ দিবসের নানান কর্মসূচি

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২১ জুন সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত, এক ঘণ্টা রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের উত্তরের লনে এই বিশেষ যোগ অধিবেশন চলবে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি, আপনাদের সকলকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি যোগ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আন্তরিক আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।”

    প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই ঐতিহাসিক যোগ (Yoga Day 2023)  অধিবেশনে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের শীর্ষ কর্তারা। এছাড়া থাকবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিরা পাশাপাশি প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়ের বহু বিশিষ্ট সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সকল অতিথি এবং অংশগ্রহণকারীদের এই বিশেষ অধিবেশনে যোগাভ্যাসের উপযোগী পোশাক পরে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অধিবেশন তাদের ‘যোগা ম্যাট’ দেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ

    রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যোগা ম্যাটগুলি স্মারক হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের দিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে একটি ট্যুইট করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সভাপতি সাবা করোসি। প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে নিজের একটি ছবি ট্যুইট করে সাবা করোসি জানিয়েছেন, “আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের নর্থ লনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।”

    মোদির ট্যুইট বার্তা

    এই বিষয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। বিভিন্ন আসনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “যোগব্যায়াম শরীর এবং মন উভয়ের জন্যই উপকারী। শক্তি, নমনীয়তা এবং প্রশান্তি বৃদ্ধি করে। আসুন যোগকে আমাদের জীবনের একটি অংশ করে তুলি এবং জীবনে সুস্থতার পাশাপাশি শান্তি নিয়ে আসি।”

    আরও একটি ট্যুইটে তিনি সাবা করোসির ট্যুইটের জবাবও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে আপনাকে দেখতে আমিও উন্মুখ হয়ে আছি। আপনার অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। গোটা বিশ্বকে এক করে সুস্থতার দিকে নিয়ে যায় যোগ। কামনা করি, এটি বিশ্বব্যাপী আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠুক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: হিংসার আগুনে ফের জ্বলল মণিপুর, চলল গুলি, অস্ত্র লুঠের চেষ্টাও

    Manipur: হিংসার আগুনে ফের জ্বলল মণিপুর, চলল গুলি, অস্ত্র লুঠের চেষ্টাও

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur)। শুক্রবার রাত থেকে আবারও অশান্তির আগুন জ্বলেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। দফায় দফায় হয়েছে সংঘর্ষ। লাগানো হয়েছে আগুন। গুলি চালানোর খবরও মিলেছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কাওয়াকতা ও কাঙ্গভাইয়ে গুলি চলে। আজ, শনিবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি চলেছে বলে পুলিশ ও সেনা সূত্রে খবর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয়েছে ভাঙচুর, লাগানো হয়েছে আগুন।

    প্যালেস চত্বরে আগুন

    বৃহস্পতিবার রাতে ইম্ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংহের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তার পরে পরেই পূর্ব ইম্ফলের দখল নেয় সেনা, অসম রাইফেলস সহ বিভিন্ন বাহিনী। তা সত্ত্বেও জ্বলেছে অশান্তির আগুন। ইম্ফলের অ্যাডভান্স হাসপাতালের কাছে প্যালেস চত্বরে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। শুক্রবার বিকেল থেকে হাজারেরও বেশি জনতা ভিড় করেছিল ওই চত্বরে। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় তারাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল, রাবার বুলেট। এই বুলেটের ঘায়ে জখম হয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী।

    বিজেপির অফিসে আগুন লাগানোর চেষ্টা

    জানা গিয়েছে, এদিন মধ্য রাতে প্রায় ৩০০ বিক্ষুব্ধ জনতা সিনজেমাইয়ে (Manipur) বিজেপির অফিসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। সেনা বাহিনী গিয়ে দ্রুত সামাল দেয় পরিস্থিতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়িতেও ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা স্থানীয় বিধায়কের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। বাহিনী গিয়ে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যায়। পশ্চিম ইম্ফলের ইরিঙ্গবাম থানায়ও হামলা চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা অস্ত্রভাণ্ডার লুঠ করার চেষ্টা করে।

    আরও পড়ুুন: উত্তর সিকিমে ধস, বন্ধ যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে (Manipur) হিন্দু মেইতেই এবং খ্রিস্টান কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। শান্তি ফেরাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হলেও এখনও ফেরেনি কাঙ্খিত শান্তি। মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে বাস করা মেইতেই জনগোষ্ঠী জনজাতি মর্যাদার দাবি জানানোর পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হয় কুকিরা। জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত কুকিদের অভিযোগ, রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাল্টা মেইতেইদের দাবি, কুকিদের জন্য তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Landslide: উত্তর সিকিমে ধস, বন্ধ যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    Landslide: উত্তর সিকিমে ধস, বন্ধ যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগাড়ে চলা অতিভারী বৃষ্টির জেরে ধস (Landslide) নামল উত্তর সিকিমের (Sikkim) রাস্তায়। বৃহস্পতিবার রাতে চুংথাংয়ের কাছে পেগংয়ে ওই ধস নেমেছে। রাস্তার ওপর দিয়েই প্রবল বেগে বইছে ঝর্নার জল। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে লাচুং, লাচেন এবং ইয়ুমথাংয়ের সঙ্গে। ঘটনার জেরে উত্তর সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যানবাহন। জাতীয় সড়ক থেকে ধস সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস 

    সিকিম আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা (Landslide) গোপীনাথ রাহা বলেন, “উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকা ধসে বিপর্যন্ত। এমন বৃষ্টি হচ্ছে যে, আগামী পাঁচ দিন পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক হবে না। বিশেষ করে উত্তর সিকিমে অতিভারী বর্ষণ হবে। উত্তরবঙ্গেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন সিকিম জুড়ে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই অঞ্চলে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই অঞ্চলে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, কেন জানেন?

    হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। বিভিন্ন এলাকা ধসের কবলে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি পর্যটকদের কী পরিস্থিতি বা কোথায় কতজন পর্যটক আটকে রয়েছেন।” নাগাড়ে বৃষ্টির (Landslide) জেরে ফুঁসছে পূর্ব ও পশ্চিম সিকিমের একাধিক নদী। পশ্চিম সিকিমের রিম্বি নদীতে ভেসে গিয়েছেন এক বৃদ্ধ। নর্থ সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী।

    এদিকে, রাতভর বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে তিস্তা ও রংফু নদীর। ওই নদীগুলিতে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “তিস্তা সহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি নদীর জলস্তর কাল রাত থেকে বেড়েছে। ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে স্থানীয়দের। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share