Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • BSNL Corruption Case: ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    BSNL Corruption Case: ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার-সহ ২১ বিএসএনএল (BSNL Corruption Case) আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL)-এর আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার এই মামলা সংক্রান্ত ২৫টি জায়গায় তল্লাশিও চালান সিবিআই আধিকারিকরা।

    বিএসএনএলের ক্ষতি

    তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এক ঠিকাদারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে একটি কাজের জন্য বরাদ্দ টাকায় কারচুপি করেন অভিযুক্ত আধিকারিকরা। যার ফলে বিএসএনএলের (BSNL Corruption Case) প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সিবিআই-এর এফআইআরে মূলত বিএসএনএলের অসম সার্কেলের অফিসারদের নাম রয়েছে। প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার ছাড়াও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, জোড়হাট, শিবসাগর, গুয়াহাটি শাখার চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। এফআইআরে অভিযুক্ত আধিকারিকরা বাদে এক ঠিকাদারের নাম উল্লেখ রয়েছে যিনি বিসিএনএলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি

    সিবিআই মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এক জন ঠিকাদারকে অপটিক্যাল ফাইবারের কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, ওই ঠিকাদার নিজের কাজ ঠিক ভাবে করেননি। উপরন্তু তিনি বিভিন্ন অছিলায় সংস্থার কাছে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন। এই ঘটনায় ওই ২১ আধিকারিক যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এর ফলে বিএসএনএলের (BSNL Corruption Case) প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।” কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই কনট্রাক্টর টেন্ডারের অনেক নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন। এফআইআর দায়েরের পরে শুক্রবার অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং হরিয়ানায় অভিযুক্তদের অফিস এবং বাসস্থান-সহ ২৫টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। এই তল্লাশির ফলে বিভিন্ন নথি সিবিআই-এর হাতে এসেছে। এই সমস্ত তথ্য তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে দাবি, সিবিআই-এর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Terrorists Killed: জম্মুতে বড় সাফল্য বাহিনীর, এনকাউন্টারে খতম ৫ বিদেশি জঙ্গি

    Terrorists Killed: জম্মুতে বড় সাফল্য বাহিনীর, এনকাউন্টারে খতম ৫ বিদেশি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমন (Terrorists Killed) অভিযানে জম্মু কাশ্মীরে বড় সাফল্য। সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের বড়সড় ছক ভেস্তে দিল নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার সকালে জম্মু–কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি। 

    অনুপ্রবেশ করার সময় সংঘর্ষ

    জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে বাহিনীর কাছে খবর এসে পৌঁছয় যে, জুমাগুন্ড দিয়ে বিদেশি জঙ্গিদের একটি দল ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর বাহিনী সেখানে ফোর্স পাঠিয়ে দেয়। ভারতীয় সেনা ও কাশ্মীর পুলিশকে নিয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। বাহিনীকে দেখেই, আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। ভোর বেলা শুরু হওয়া এনকাউন্টারে দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে সংঘর্ষ চলার পর বাহিনীর গুলিতে ৫ বিদেশি জঙ্গি খতম (Terrorists Killed) হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান, এলাকায় আরও অনেক জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে। তাদের সন্ধানে চলছে সেনার তল্লাশি অভিযান।

    কী জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ?

    জঙ্গি নিধনের খবর নিশ্চিত করেছে কাশ্মীর জোন পুলিশ। এদিন সকালে কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ট্যুইটে জানানো হয়, ‌কুপওয়ারা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকালে কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থিত জুমাগুন্ড এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল সেনা ও পুলিশের একটি যৌথ বাহিনী। এডিজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার এনকাউন্টারে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি নিহত  (Terrorists Killed) হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    চলতি মাসে আরও সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    এর আগে, গত ১৩ জুন পাক-সীমান্ত এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুই জঙ্গি নিধন হয়েছিল। কুপওয়ারা জেলার মাচিল সেক্টরে (এলওসি) সেনা এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গিকে খতম হয়। তার আগে, ২ জুন জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন জঙ্গি খতম (Terrorists Killed) হয়। রাজৌরির কাছে দাসাল গুজরানের বনাঞ্চলে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করার পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। তার একদিন আগেই, অর্থাৎ ১ জুন, নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় দুই লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মোদির সফরের আগেই মার্কিন ঘাতক প্রিডেটর ড্রোন কেনায় সম্মতি ভারতের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ইম্ফলে জ্বলল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি, হিংসার পথেই মণিপুর

    Manipur Violence: ইম্ফলে জ্বলল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি, হিংসার পথেই মণিপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা থামার নাম নেই মণিপুরে (Manipur Violence)। শুক্রবার ভোরে ফের নতুন করে আগুন জ্বলে উঠল মণিপুরে। সূত্রের খবর, এদিন ভোরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় ইম্ফলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিং-এর বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, ঘটনার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি এখন দিল্লিতে।

    ভস্মীভূত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি

    জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে শুক্রবার ভোর রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১০০০ জন মিলে মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। এই হামলার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজের বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। তিনি নিরাপদ স্থানেই আছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাসেও মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়ছিল। তবে এবারে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুরো ভস্মীভূত করে দেওয়া হল। বুধবার রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী নেমচা কিপগেনের বাংলোতেও।

    আরও পড়ুন: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ল বিপর্যয়! ১লক্ষ মানুষকে স্থানান্তর

    হিংসা রুখতে ইম্ফলে (Manipur Violence) জারি করা হয়েছে কার্ফু। তবে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এদিন ইম্ফলের কোংবায় প্রায় ১২০০ লোক মন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। ঘটনার সময় মন্ত্রীর বাসভবনে নয়জন সিকিওরিটি এসকর্ট কর্মী, পাঁচজন সিকিওরিটি গার্ড এবং আটজন অতিরিক্ত গার্ড উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তা কর্মী জানিয়েছেন, হামলার সময় জনতা চারদিক থেকে বাড়িটি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে। তিনি বলেছেন, “অপ্রতিরোধ্য জনতাকে আমরা আটকাতে পারিনি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। বিল্ডিংয়ের পিছনের বাই লেন, সামনের প্রবেশদ্বার – চারদিক থেকে ওরা পেট্রোল বোমা ছুড়েছে। তাই আমরা জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।” 

    মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

    যতই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং মণিপুরে (Manipur Violence) দ্রুত শান্তি ফেরানোর আশ্বাস দিন না কেন, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হিংসা পর্ব মিটতেই চাইছে না। বৃহস্পতিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে সরকার একাধিক স্তরে আলোচনা করছে। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, বিগত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Biparjoy: রাতভর গুজরাটে তাণ্ডব চালিয়ে এবার রাজস্থানে ‘বিপর্যয়’

    Cyclone Biparjoy: রাতভর গুজরাটে তাণ্ডব চালিয়ে এবার রাজস্থানে ‘বিপর্যয়’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে এবার রাজস্থানের দিকে এগিয়ে চলল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy)। 

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে গুজরাটের সৌরাষ্ট্রে ল্যান্ডফল করে ‘বিপর্যয়’। সেই সময় তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০-১১৫ কিমি। ঝোড়ো হাওয়ার গতি ছিল ঘণ্টাপ্রতি প্রায় ১২০ কিমির কাছাকাছি। সারা রাত ধরে গুজরাটে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ‘বিপর্যয়’। ভাবনগরে মারা গেছেন অন্তত ২ জন। আহতের সংখ্যা কম করে ২২। মারা গিয়েছে ২৩টি পশুও। 

    ‘বিপর্যয়’-এ লন্ডভন্ড গুজরাট

    প্রশাসন পুরোদমে প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল। প্রায় এক লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ দূরত্বে। তাই হতাহতের সংখ্যা অনেকটাই আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, প্রকৃতির বিস্তর ক্ষতি করেছে ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy)। ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দ্বারকা, সৌরাষ্ট্র, পোরবন্দর, কচ্ছ উপকূল চত্বর। গুজরাটে ৫২৪টিরও বেশি গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। ৯৪০টি গ্রাম এখন বিদ্যুৎহীন। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। কচ্ছ এবং মাণ্ডভি উপকূলেও এখনও প্রবল বৃষ্টি চলেছে। সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে কচ্ছ উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল বৃষ্টি এবং ঝড়ের দাপটে জামনগরে একের পর এক গাছ উপড়োতে শুরু করে। সেই সঙ্গে জামনগরে প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ল বিপর্যয়! ১লক্ষ মানুষকে স্থানান্তর

    রাজস্থানের পথে ‘বিপর্যয়’

    তবে, গতকাল রাতে ল্যান্ডফলের পর কিছুটা শক্তি হারিয়ে বর্তমানে অতি প্রবল থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেলে আরও শক্তিক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy)। ঝড়ের গতিবেগ নেমে আসবে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ফলে, রাজস্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার এবং শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে যোধপুর এবং উদয়পুরেও।

    ভারী বৃষ্টির সতর্কতা 

    শুক্রবার জয়সলমের, বারমের, জালোর এবং যোধপুরে এবং শনিবার যোধপুর, উদয়পুর এবং আজমেরে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে শক্তিশালী ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয়’-এর (Cyclone Biparjoy) মোকাবিলা করার জন্য তৈরি রাজস্থান।

    বাতিল প্রায় ১০০ ট্রেন

    এদিকে, রেল সূত্রে খবর, যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হল ৯৯টা ট্রেন। এছাড়াও ৩৯টি ট্রেনের রাস্তা ঘুরিয়ে ও ছোট করে দেওয়া হয়েছে, নতুনভাবে যাত্রাপথ তৈরি করা হয়েছে ৩৮টি ট্রেনের। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MQ-9 Predator Drone: মোদির সফরের আগেই মার্কিন ঘাতক প্রিডেটর ড্রোন কেনায় সম্মতি ভারতের

    MQ-9 Predator Drone: মোদির সফরের আগেই মার্কিন ঘাতক প্রিডেটর ড্রোন কেনায় সম্মতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই প্রথমবার সরকারি আমন্ত্রণে মার্কিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। আমেরিকা থেকে ঘাতক ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) কেনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 

    অপেক্ষা শুধু সিসিএস-এর চূড়ান্ত অনুমোদনের

    সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি) বা প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় পর্ষদ, যারা সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমকিউ-৯ রিপার সিরিজের ‘প্রিডেটর’ ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। এরপর বিষয়টি ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির (সিসিএস) সামনে পেশ করা হবে। তারা চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেই নির্মাতাদের কাছে বরাত পেশ করতে পারবে ভারত।

    ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকেও লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত

    সূত্রের খবর, ভারত যে ড্রোনটি কিনতে চলেছে, তা হল এই প্রিডেটর সিরিজের এমকিউ-৯বি ‘সি-গার্ডিয়ান’ ড্রোন (MQ-9B Sea Guardian)। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, ৩০টি ড্রোন কেনা হবে, যার মধ্যে ১৫টি নেবে নৌসেনা। হতে পারে পরবর্তীকালে, প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়ানো হবে। আত্যাধুনিক এই ড্রোন কিনতে খরচ হবে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই ড্রোন তৈরি করেছে মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটোমিক্স। হানাদার এই ড্রোনগুলি ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। টানা ৩০ ঘণ্টা এটি উড়তে পারে। বহন ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১৭৪৬ কেজি। ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে উড়ে পারে এই ড্রোনটি।

    চাপে বাড়বে চিন-পাকিস্তানের

    আমেরিকার তৈরি ঘাতক ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) ভারতের হাতে এলে প্রবল চাপে পড়ে যাবে পাকিস্তান ও চিন। কারণ, এর ফলে, সামুদ্রিক হোক বা পার্বত্য— যে কোনও ধরনের ভূমি ও পরিবেশে শত্রুর ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে পারবে ভারত। বর্তমানে, এই সিরিজের ২টি ড্রোন ভারতীয় নৌসেনা লিজ নিয়ে ব্যবহার করছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা জাহাজের উপস্থিতি ও তার ওপর নজর রাখার পাশাপাশি সমুদ্রে জলদস্যুদের ওপরও নজর রাখতে সাহায্য করে এই ড্রোন। 

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তৎপর আইন কমিশন

    বিশ্বে ঘাতক ‘প্রিডেটর’ হিসেবে পরিচিত এই ড্রোন

    এই ড্রোনের হামলায় খতম হয়েছিল তালিবান নেতা মোল্লা ওমর কিংবা বায়তুল্লা মেসুদ। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরিকেও হত্যার সময় এই ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সয়ম প্রিডেটর ড্রোন থেকে ‘হেলফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা খতম করা হয়েছিল জাওয়াহিরিকে। ভারতকে সেই মিসাইল আগেই দিতে রাজি হয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত নজরদারি যেমন সম্ভব হবে, তেমনি জঙ্গি ঘাঁটি ওড়াতেও ব্যবহার করা যাবে। লাদাখে চিনা আগ্রাসনের সময় এই অত্যাধুনিক ড্রোন কেনার পরিকল্পনা নিয়েছিল নয়াদিল্লি। ন্যাটোভুক্ত দেশ না হয়েও ভারতই একমাত্র দেশ, যারা এমকিউ-৯ রিপার সিরিজের ড্রোন পেতে চলেছে।

    প্রথমবার সরকারি আমন্ত্রণে মার্কিন মুলুকে মোদি

    আগামী ২১ জুন চারদিনের সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে নমোর এটি তৃতীয়বার মার্কিন সফর। এই প্রথমবার সরকারি আমন্ত্রণে মোদি মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসে তিনি সরকারি নৈশভোজে অংশ নেবেন। সম্ভবত, ক্যাপিটলে তিনি ভাষণও দেবেন। সম্প্রতি, হোয়াইট হাউসের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, মোদির এই মার্কিন সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এদিন মার্কিন ঘাতক ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের মুখে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Biparjoy: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ল বিপর্যয়! ১লক্ষ মানুষকে স্থানান্তর

    Cyclone Biparjoy: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ল বিপর্যয়! ১লক্ষ মানুষকে স্থানান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের (Cyclone Biparjoy) ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া শুরু হল। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়েছে ‘বিপর্যয়’। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ মধ্যরাত পর্যন্ত সেই ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া চলবে। ওই সময়ের মধ্যে ‘বিপর্যয়’-র গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিমি হতে পারে। অর্থাৎ আগামী কয়েক ঘণ্টা গুজরাটে তাণ্ডব চালাবে ‘বিপর্যয়’। ইতিমধ্যে এক লক্ষ মানুষকে গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

    বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি 

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Biparjoy) স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হতেই রূপেন ভান্ডার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ৭২ জনকে। গুজরাটের ওই এলাকা নীচু হওয়ায়, সেখানে জল ঢুকতে শুরু করে হু হু করে। এনডিআরএফের ৬টি দল হাজির হয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে ৭২ জনকে। যাঁদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ২৫ জন মহিলা এবং রয়েছে ১৫ শিশু। রূপেন ভান্ডার এলাকা থেকে উদ্ধার করে ওই ৭২ জনকে দ্বারকার একটি স্কুলে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে এনডিআরএফ। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যাতে কোনওরকম প্রাণহানি না হয় তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসন। 

    সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ে বিপর্যয় (Cyclone Biparjoy)। তখন ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার হতে পারে। ঝড়ের কারণে জামনগরে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই গুজরাটের একাধিক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ায় সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। যদিও এখনও কোনও হতাহতের ঘটনা নেই। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের গতিপথের দিকে কড়া নজর রয়েছে প্রশাসনের। গান্ধীনগরে রিভিউ মিটিং করেছেন গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।

    আরও পড়ুুন: মনোনয়নের শেষ দিনে ঝরল রক্ত, অগ্নিগর্ভ চোপড়ায় গুলিতে মৃত ২, জখম ১

    বিপর্যয়ের প্রভাব কেরল, মুম্বইয়েও

    বিপর্যয়ের (Cyclone Biparjoy) প্রভাব পড়তে পারে কেরল উপকূলেও। রাতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভিঝিনজাম থেকে কাসারাগোড় পর্যন্ত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে প্রবল ঢেউ। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে ৩ থেকে ৩.৩ মিটার। ঘূর্ণিঝড় বিপযর্য়ের প্রভাব পড়েছে মুম্বইয়ের সমুদ্রেও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার 

    Manipur Violence: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur Violence) মন্ত্রিসভার একমাত্র মহিলা সদস্য কাংপোকপি কেন্দ্রের বিধায়ক নেমচা কিগপেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। বুধবারের এই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মন্ত্রী। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বুধবার কাংপোকপি জেলাতে জাতিগত হিংসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১০। মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই সংলগ্ন অঞ্চলে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ এবং সেনা।

    পরপর জ্বলছে ৮ টি গ্রাম 

    মঙ্গলবার থেকে মণিপুরে (Manipur) নতুন করে শুরু হয়েছে অশান্তি (Violence)। মঙ্গলবার মধ্য রাতে ইম্ফলের পূর্বে খামেনলোক গ্রামে সাধারণ মানুষের উপরে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক মহিলা সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। খামেনলোক থেকে গোভাজাং এলাকার মাঝে ১৭ কিলোমিটার অঞ্চলে মোট ৮টি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িই পুড়িয়ে (Arson) দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। শান্তি রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পাঠানো হলেও মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। গ্রামের বয়স্ক মহিলাদের নেতৃত্বে ৬০০ জনের একটি দল রাস্তা আটকে দেয়। ফলে নিরাপত্তা বাহিনী ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ওই উত্তপ্ত অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি। চেষ্টা করেও সেনা বাহিনীর ২০০ জওয়ান ও অসম রাইফেলসের ২৫০ জওয়ান ঘটনাস্থলগুলিতে পৌঁছতে পারেননি। 

    জঙ্গলে আশ্রয়

    যে আটটি গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর মিলেছে, সেগুলি হল গোভাজাং, সংজান, জর্ডেনফাই, থাম্বল, আইগিজিয়াং, ফিনোম, খুইপুং ও চৌলোফাই। প্রাণ বাঁচাতে এই গ্রামের বাসিন্দারা আপাতত পাহাড়ের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। প্রায় শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সব মিলিয়ে।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    গত ৩ মে থেকেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে (Manipur Violence) কুকি এবং মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ এবং সংঘর্ষ চলছে। শান্তি ফেরাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হলেও এখনও সমাধানসূত্র মেলেনি। মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে বাস করা মেইতেই জনগোষ্ঠী জনজাতি তকমার দাবি জানানোর পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হয় কুকিরা। জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত কুকিদের অভিযোগ, রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাল্টা মেইতেইদের দাবি, কুকিদের জন্য তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka High Court: ‘ফেসবুক পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ভারতে’, হুঁশিয়ারি কর্নাটক হাইকোর্টের

    Karnataka High Court: ‘ফেসবুক পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ভারতে’, হুঁশিয়ারি কর্নাটক হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুক (Facebook) পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ভারতে। বুধবার এই ভাষায়ই বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপকে সতর্ক করল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। সৌদি আরবের জেলে বন্দি রয়েছেন শৈলেশ নামে এক ভারতীয়। তাঁর পরিবারের দায়ের করা মামলার তদন্তে কর্নাটক পুলিশকে ফেসবুকের তরফে যথেষ্ট সাহায্য করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতেই আদালতের এই মন্তব্য। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের এজলাসে। সেখানে আবেদন পেশ করেছিলেন ওই বন্দির স্ত্রী কবিতা।

    ফেসবুককে বেঞ্চের নির্দেশ

    ফেসবুককে বেঞ্চের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সহ সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। এর পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছে কর্নাটক হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, ভুয়ো মামলায় (Karnataka High Court) বন্দি ভারতীয় নাগরিকের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। ম্যাঙ্গালুরু পুলিশকেও সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ জুন। গত ২৫ বছর ধরে সৌদি আরবের একটি সংস্থায় কাজ করছিলেন শৈলেশ। সেই সুবাদে তিনি থাকেন সে দেশেই। ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাঁর স্ত্রী কবিতা থাকেন দক্ষিণ কন্নড়ের ম্যাঙ্গালুরুর কাছে বিকারনাকাট্টে নামে একটি জায়গায়।

    শৈলেশের অভিযোগ

    কবিতার অভিযোগ, ২০১৯ সালে তাঁর স্বামীর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে সেখান থেকে সৌদির রাজা ও কিছু সংবেদনশীল বিষয়ে বিতর্কিত পোস্ট করা হয়। এর আগে অবশ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির সমর্থনে কয়েকটি পোস্ট করেছিলেন শৈলেশ। তাঁর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বিতর্কিত পোস্ট দেওয়ার কথা জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাটি পরিবারকে জানান তিনি। ম্যাঙ্গালুরুতে অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশে। ইতিমধ্যেই সৌদি পুলিশ গ্রেফতার করে শৈলেশকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পঞ্চায়েতে ভোট লুটের পরিকল্পনায় তৃণমূল ও পুলিশ’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    এদিকে, ফেসবুককে চিঠি দিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে জানতে চান ম্যাঙ্গালুরু পুলিশের তদন্তকারীরা (Karnataka High Court)। পুলিশের দাবি, ফেসবুক কোনও উত্তর করেনি। তদন্তে দেরির কারণে ২০২১ সালে ফের কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কবিতা। তার প্রেক্ষিতেই বুধবার ফেসবুককে সতর্ক করে কর্নাটক হাইকোর্ট। স্বামীর বন্দিদশা যাতে দ্রুত ঘোঁচে, তাই কেন্দ্রকেও চিঠি লিখেছেন কবিতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Biparjoy: ধেয়ে আসছে ‘বিপর্যয়’! ১৩০ কিমি গতিবেগে আজ সন্ধ্যায় ল্যান্ডফল গুজরাটে

    Cyclone Biparjoy: ধেয়ে আসছে ‘বিপর্যয়’! ১৩০ কিমি গতিবেগে আজ সন্ধ্যায় ল্যান্ডফল গুজরাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের দুয়ারে ‘বিপর্যয়’! আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় ল্যান্ডফল করতে চলেছে আরব সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Biparjoy)। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে গুজরাটের কচ্ছের জাখুয়া বন্দরের কাছে আছড়ে পড়বে ‘বিপর্যয়’। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

    কোথায় তাণ্ডব চালাবে ‘বিপর্যয়’? 

    আরব সাগরের উপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Biparjoy) প্রভাবে গতকাল বিকেল থেকেই গুজরাটের কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হবে, ততই ঝড়-বৃষ্টির দাপট বৃদ্ধি পাবে। আশঙ্কা রয়েছে গুজরাটের মাণ্ডবি থেকে পাকিস্তানের করাচি পর্যন্ত ৩২৫ কিলোমিটার এলাকা তোলপাড় করতে পারে বিপর্যয়।

    সরানো হয়েছে ৭৪ হাজার মানুষকে

    সৌরাষ্ট্র, দ্বারকা ও কচ্ছ উপকূলে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। গুজরাটের ৭৫টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সৈকতে পর্যটকদের নামার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। গুজরাটের উপকূলবর্তী জেলাগুলির মধ্যে কচ্ছ, দ্বারকা, মোরবি, রাজকোট ও পোরবন্দরে ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গুজরাটের বিভিন্ন উপকূল থেকে ৭৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে কচ্ছের বিভিন্ন জায়গার আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে। অন্যদের রাখা হয়েছে জুনাগড়, জামনগর, পোরবন্দর, মোরবি, দ্বারকা ও রাজকোটের আশ্রয় শিবিরে।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’! গুজরাটে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

    ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় (Cyclone Biparjoy) তৈরি রাখা হয়েছে সেনা ও বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। গুজরাটের ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পাণ্ডে জানান, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৫টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল, রোড অ্যান্ড বিল্ডিং বিভাগের ১১৫টি দল ও রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩৩টি এনডিআরএফের দলকে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে উদ্ধারকাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই দলগুলির প্রত্যেকটিতে প্রায় ৩৫-৪০ জন কর্মী রয়েছে এবং তাঁদের কাছে গাছ এবং খুঁটি কাটার যন্ত্র, বৈদ্যুতিক করাত, লাইফবোট, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।

    অমিত শাহের সফর বাতিল

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ট্যুইট করে জানান, সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে। সেনা বাহিনী ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Biparjoy) মোকাবিলা ও উদ্ধারকাজে সবরকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত বিএসএফ-ও। আন্তর্জাতিক সীমান্তে  অন্যদিকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও ১৬৪টি উপকূলবর্তী গ্রামে উদ্ধারকাজের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। গোটা ঘটনার উপরে নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি তাঁর তেলঙ্গানা সফর বাতিল করেছেন। ১৫ জুন খাম্মামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রস্তাবিত জনসভা স্থগিত করা হয়েছে বলে তেলঙ্গানা বিজেপির সভাপতি বান্দি সঞ্জয় বুধবার ঘোষণা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তৎপর আইন কমিশন 

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তৎপর আইন কমিশন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং আমজনতার মতামত জানতে চাইল কেন্দ্র। বুধবার আইন কমিশনের (ল’কমিশন) তরফে এ সংক্রান্ত  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মতামত জানাতে হবে নাগরিক নির্বিশেষে সরকারি সিলমোহরপ্রাপ্ত ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে। 

    এক পরিবার এক আইন

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু হলে সব ধর্মের মানুষ একই রকম পারিবারিক, বিবাহ ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইন মানতে বাধ্য থাকবেন। ওই আইন কার্যকর হলে মুসলিমদের পার্সোনাল ল’বোর্ডের কার্যত কোনও ভূমিকা থাকবে না। বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তান দত্তক নেওয়া থেকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার চয়ন নিয়ে এক এক দেশে ধর্ম এবং জাতি নির্বিশেষে নিজস্ব আইন-কানুন রয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে দেশের সমস্ত নাগরিককে একই পারিবারিক আইন মেনে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    নয়ের দশক থেকেই দেশে এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালুর প্রস্তাব দিয়ে আসছে বিজেপি। এমনকি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারেও লাগাতার জায়গা পেয়ে এসেছে বিষয়টি। সামনে আসে খসড়া নীতিও। বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যেও ওই বিধি চালুর প্রস্তাব উঠতে দেখা যায়। ‘২৪-এর নির্বাচনের আগে সেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে নতুন করে তৎপর হল কেন্দ্র। জনমনে এ নিয়ে কী  ভাবনা, মতামত রয়েছে, তা জানতে তৎপর হল ২২তম আইন কমিশন। সরকারি সিলমোহর প্রাপ্ত ধর্মীয় সংগঠনগুলির মতামতও গ্রহণ করা হবে। তার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হল। বুধবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এখন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন আগ্রহী নাগরিক এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলি। তার জন্য আইন কমিশনের ওয়েবসাইট https://lawcommissionofindia.nic.in/notice/uniform-civil-code-public-notice/-এ গিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে থাকা  ‘Click Here‘ অপশন বেছে নিতে হবে। অথবা ‘membersecretary-lci@gov.in‘ আইডি-তে ইমেল করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন তালাক, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে দেশ এ বার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়ন করতে চলেছে মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share