Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Manipur: শাহি দাওয়াই! হিংসাদীর্ণ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে শান্তিরক্ষক কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    Manipur: শাহি দাওয়াই! হিংসাদীর্ণ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে শান্তিরক্ষক কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে (Manipur) শান্তি ফেরাতে বিশেষ শান্তিরক্ষক কমিটি (Peace Committee) গঠন করল কেন্দ্র। রাজ্যপালের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহকেও। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন রাজ্যের সব সাংসদ এবং বিধায়করা। রাখা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও।

    মণিপুরে (Manipur) শান্তিরক্ষক কমিটি

    কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, সমাজকর্মী ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের। বিবদমান জনগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে রফাসূত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে এই কমিটি। মণিপুরে হিংসার তদন্তে এর আগে ডিআইজি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট গঠন করেছিল সিবিআই। সিটের সদস্য সংখ্যা ১০। এই সিটই রিপোর্ট দেবে সিবিআইকে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার গঠন করা হল শান্তিরক্ষক কমিটি।

    পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ

    হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই (Manipur) জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনী। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাসাধিককাল কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

    আরও পড়ুুন: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর (Manipur) হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়ায়। এরই বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। সূত্রের খবর, রাজ্যে এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১০০ জন। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।

    প্রসঙ্গত, হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১ জুন মণিপুরে (Manipur) গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে শান্তি কমিটি গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। তাঁর ওই সফরের পরপরই তোড়জোড় শুরু হয় কমিটি গঠনের। শেষমেশ গঠিত হল কমিটি। বিবদমান জনগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করাই মূল কাজ হবে ওই কমিটির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • IS Module in Gujarat: সুরাটে মিলল আইএস মডিউলের সন্ধান! ধৃত ১ মহিলা-সহ ৪

    IS Module in Gujarat: সুরাটে মিলল আইএস মডিউলের সন্ধান! ধৃত ১ মহিলা-সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের সুরাটে মিলল আইএস (ISIS) মডিউলের সন্ধান! এক মহিলা-সহ চার অভিযুক্তকে পোরবন্দর থেকে গ্রেফতার করল গুজরাট (GUjarat) পুলিশের সন্ত্রাস-বিরোধী স্কোয়াড এটিএস। অভিযুক্তদের মধ্যে ওই মহিলা ছাড়া বাকিরা নাবালক। অভিযুক্তদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আইএসের গোপন নথি ও পতাকা।

    আফগানিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা

    সূত্রের খবর, এনআইএ-এর থেকে তথ্য পেয়ে এটিএস আইজি-র নেতৃত্বে একটি দল সুরাট সংলগ্ন পোরবন্দরে যায়। সেখান থেকেই সুমেরা নামে ওই মহিলাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত তিন নাবালক শ্রীনগরের বাসিন্দা। মহিলা এসেছিল সুরাট থেকে। তারা পোরবন্দর থেকে বোট ভাড়া করে আফগানিস্তানে যাওয়ার মতলব কষছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। এও জানা যাচ্ছে, সেখানে গিয়ে আইএস-খোরাসানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাদের।

    এটিএস সূত্রে খবর, টানা ৬ ঘণ্টা ওই মহিলাকে জেরা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের থেকে আইএসের নথি ও পতাকা ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে ভিডিও ও অডিও ক্লিপ। সেখানে সন্ত্রাসের উসকানিমূলক ভাষণ দিতে দেখা যাচ্ছে কাশ্মীরের তরুণদের উদ্দেশে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    সূত্রের খবর ওই মহিলা বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান রয়েছে। তার স্বামী দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। আড়াই বছর আগে ওই মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তরা মাছধরার বোটে ক্যাপ্টেন ও জিপিএস কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্বে কাজ করত। গত এক বছর ধরেই আইএসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিল তারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    Manipur: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ নিভু নিভু। তবে আগুন এখনও নেভেনি। যে কোনও মুহূর্তেই তুষের আগুন জ্বলতে পারে দাউ দাউ করে। তাই আপাতত মণিপুরে (Manipur) সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্তই নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৩ মে কুকি-মেইতেই সংর্ঘষের জেরে আক্ষরিক অর্থেই আগুন জ্বলেছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। তার পর থেকে অশান্তির আগুন জ্বলছে কখনও ধিকি ধিকি করে, কখনও আবার দাউ দাউ করে। হিংসার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি মোতায়েন করা হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনী। ঠিক ছিল, বাহিনী মোতায়েন থাকবে ১০ জুন পর্যন্ত। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গোটা জুন মাসই বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মণিপুরে মোট ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। এর মধ্যে ৫২ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ৪৩ কোম্পানি বিএসএফ। চলতি সপ্তাহেই আরও ৩০ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, বাহিনী পরিচালনা করার জন্য ডেপুটি কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ২০ জন আধিকারিককে মণিপুরে রাখা হয়েছে।

    চলছে হিংসা

    হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই (Manipur) জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনী। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাসাধিককাল কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর (Manipur) হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়ায়। এরই বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। সূত্রের খবর, রাজ্যে এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১০০ জন। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই কারণেই পরিস্থিতি যাতে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে না ওঠে, তাই পুরো জুন মাস সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Catholic Church:  সন্ন্যাসিনী ও হিন্দু মহিলাদের ‘নষ্ট’ করছেন খ্রিস্টান যাজকরা?

    Catholic Church:  সন্ন্যাসিনী ও হিন্দু মহিলাদের ‘নষ্ট’ করছেন খ্রিস্টান যাজকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পোপ ফ্রান্সিসের একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা। বম্বের কার্ডিনাল আর্চবিশপও। সন্ন্যাসিনী ও হিন্দু শিক্ষিকাদের সঙ্গে কয়েকজন যাজকের নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। অসওয়াল্ড গ্রেসিয়াস নামের ওই আর্চ বিশপের (Catholic Church) হাতে এই ছবি তুলে দিয়েছিলেন প্রবীণ ভারতীয় প্রিস্টরা। এই খুল্লামখুল্লা ছবি ১৪ এপ্রিল তাঁকে উপহার দেওয়া হয় অ্যাসোশিয়েসন অফ কনসার্নড ক্যাথলিকদের তরফে। অ্যাসোশিয়েসনের তরফে তাঁকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে, যদি ঘটনায় জড়িত যাজকদের তাঁদের পদ থেকে সরানো না হয়, তাহলে ওই ছবি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হবে।

    গ্রেসিয়াসকে মেইল

    সংগঠনের তরফে ২৯ এপ্রিল ই-মেইল করা হয় গ্রেসিয়াস এবং ৯১ জন প্রাপককে। এঁদের মধ্যে গোয়ার কার্ডিনাল (Catholic Church) আর্চবিশপ ফিলিপ নেরি ফেরোও রয়েছেন। মেইলে বলা হয়, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে নগ্ন সন্ন্যাসিনীদের ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে।

    হিন্দু মহিলাদের টার্গেট?

    ৯ মে সংগঠনের এক আধিকারিক ফের ই-মেল করেন গ্রেসিয়াসকে। তাতে তিনি লিখেছেন, আমার কাছে যথেষ্ঠ সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে যে হিন্দু মহিলাদের টার্গেট করা হচ্ছে, তাঁদের নগ্ন ছবিও আমার কাছে রয়েছে। বললে, আমি সেগুলি আপনাকে শেয়ারও করতে পারি। ব্যবস্থা না নিলে আমি বাধ্য হব তদন্তের জন্য ছবিগুলি জাতীয় মহিলা কমিশনের হাতে তুলে দিতে। চার্চ মিলিট্যান্টদের তরফে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, খ্রিস্টান যাজকরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে হিন্দু শিক্ষিকা ও মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

    আরও পড়ুুন: ফাইল নিয়ে শাহি দরবারে শুভেন্দু, কী আলোচনা হল বৈঠকে?

    অ্যাসোশিয়েসন অফ কনসার্নড ক্যাথলিকদের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, হিন্দু মহিলাদের সঙ্গে খ্রিস্টান যাজকদের (Catholic Church) ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তদন্তের জন্য তুলে দেওয়া হবে জাতীয় মহিলা কমিশনের হাতে। দ্য লে লিডাররা বলেন, হিন্দু মহিলাদের সঙ্গে খ্রিস্টান যাজকদের সঙ্গমের ভিডিও, ছবি এবং কথপোকথন হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের মতো সংগঠনের হাতে তুলে দেবেন। অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আর্চবিশপ গ্রেসিয়াসের সেক্রেটারি। তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন মিশনারিজ অফ সেন্ট ফ্রান্সিস ডি সেলসের সুপিরিয়র জেনারেলকে। অ্যাসোশিয়েসনের আরও অভিযোগ, ফ্রান্সিস জেকব কারামাকুঝিলের কম্পিউটার থেকে নগ্ন সন্ন্যাসিনী ও দরিদ্র মহিলার ছবি সম্বলিত একাধিক ফোল্ডারের সন্ধান মিলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ফাইল নিয়ে শাহি দরবারে শুভেন্দু, কী আলোচনা হল বৈঠকে?

    Suvendu Adhikari: ফাইল নিয়ে শাহি দরবারে শুভেন্দু, কী আলোচনা হল বৈঠকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি-সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার বেজেছে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডংকাও। এহেন আবহে শুক্রবার ভোরে দিল্লি পৌঁছলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নর্থ ব্লকে শাহের দফতরে মিনিট পঁয়তাল্লিশেক ধরে দুজনের বৈঠক হয়েছে বলেও খবর। তবে ঠিক কী বিষয় নিয়ে দু পক্ষে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

    ঘটনার ঘনঘটা

    বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। আবার এদিনই কয়লা পাচার মামলায় সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ঘণ্টা চারেক ধরে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ১৩ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে খোদ অভিষেককে। এসব ঘটনার ঘনঘটার আবহেই দিন কয়েক আগে ইডি গ্রেফতার করেছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এহেন আবহে দিল্লিতে শুভেন্দু-শাহ বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) তলব শাহের

    এদিন বেশ কিছু ফাইল নিয়ে শাহি দরবারে হাজির হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পৌনে এক ঘণ্টা ধরে বৈঠকের পর ফাইল নিয়েই বেরিয়ে যান তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিনই কলকাতায় ফিরবেন শুভেন্দু। তবে কেনই বা শুভেন্দুকে জরুরি তলব করলেন শাহ, আলোচনাই বা কী হল, তা জানা যায়নি।

    নির্বাচনের দিণক্ষণ ঘোষণা হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। রাজ্য, ব্লক, জেলাস্তরে একটিও সর্বদলীয় বৈঠক না করে কীভাবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যটা খুব পরিষ্কার। হঠাৎ করে এভাবে ভোট ঘোষণা থেকে এটা খুব পরিষ্কার কমিশন তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে’। এরই মধ্যে শুভেন্দুর শাহি সাক্ষাতে দানা বাঁধছে নানা জল্পনা।

    আরও পড়ুুন: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: ভাটপাড়ার রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ‘স্নাইপার’-এর হামলায়? আশঙ্কা বিএসএফ-এর

    Manipur Violence: ভাটপাড়ার রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ‘স্নাইপার’-এর হামলায়? আশঙ্কা বিএসএফ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) গত মঙ্গলবার শহিদ হন বিএসএফ জওয়ান রঞ্জিত যাদব। ভাটপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুকিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত পেশার তাগিদে মণিপুরে শান্তি রক্ষায় গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার হিংসায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। কাকচিং জেলার সুগনুতে মোতায়েন ছিলেন রঞ্জিত। সেখানে বিএসএফ ও অসম রাইফেলসের যোথ বাহিনী একটি চিরুনি-তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছিল। সেরু প্র্যাকটিকাল হাইস্কুলের কাছে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় বাহিনীর। সেখানেই জঙ্গিদের ছোড়া একটি গুলি আচমকা এসে লাগে রঞ্জিতের ঘাড়ে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। 

    হামলায় ব্যবহার হয়েছে ‘স্নাইপার’?

    রঞ্জিত একা নন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের ঠিক আগে মোরে জেলায় গত ২৮ মে গুলিতে আরেক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল (Manipur Violence) । বিএসএফ জানিয়েছে, এই দুই মৃত্যুর ধরন ও ভঙ্গি অনেকটাই এক। যা দেখে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর সন্দেহ, উভয় ক্ষেত্রেই দূর থেকে গুলি চালানো হয়েছে। বিএসএফ-এর অনুমান, দুই জওয়ানকে গুলি করে হত্যা করায় সম্ভবত কোনও ‘স্নাইপার’-কে ব্যবহার করা হয়েছে। 

    গুলি লাগে রঞ্জিতের ঘাড়ে

    যে অভিযানে (Manipur Violence) গিয়ে রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছিল, সেই একই অভিযানে গিয়ে গুলিতে জখম হন অসম রাইফেলসের ২ জওয়ানও। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ডিউটি করছিলেন রঞ্জিত। তাঁর শরীরে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ছিল। মাথায় ছিল হেলমেট। কিন্তু, গুলি এসে লাগে তাঁর ঘাড়ে। বিএসএফ সূত্রে খবর, গুলি করা হয় সম্ভবত কাছের পাহাড় থেকে। এটা কোনও অপ্রশিক্ষিত হাতের কাজ হতে পারে না বলে নিশ্চিত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    উঁকি মারছে একাধিক প্রশ্ন

    আর এই বিষয়টি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বিএসএফ সূত্রের খবর, অতীতে কুকি জঙ্গিদের (Manipur Violence) স্নাইপার ব্যবহারের কোনও ইতিহাস নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নাইপার-রাইফেলের ধরন আর পাঁচটা সাধারণ রাইফেলের মতো নয়। এর গোত্র আলাদা। একে চালানোর জন্য বিশেষ দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন উঠছে, কী করে জঙ্গিরা স্নাইপার-অস্ত্র জোগাড় করল? কে তাদের এধরনের অস্ত্র সরবরাহ করল? এবং কোথা থেকেই বা তারা এই অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিল?

    আরও পড়ুন: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    নেপথ্যে বিদেশি হাত?

    মণিপুরবাসীদের একাংশের দাবি, রাজ্যের বহমান হিংসাত্মক ঘটনায় ‘বিদেশি হাত’ রয়েছে। তাঁদের মতে, কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে মায়ানমারের জঙ্গিদের একটা যোগসূত্র রয়েছে। বহু জঙ্গি মায়ানমার থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছে। তার ওপর, এই হিংসার আবহে, বহু বিদেশি জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করে এখানে স্থানীয় জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিচ্ছে। লক্ষ্য, শান্তি বিঘ্নিত করে অস্থিরতার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

    বিএসএফ-এর সঙ্গে দ্বিমত সেনার

    যদিও, বিএসএফ-এর এই স্নাইপার তত্ত্বে সিলমোহর দিতে নারাজ সেনা। এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, যে হামলাগুলি হয়েছে, সেগুলি মূলত ৩০০ থেকে ৪০০ গজের মধ্যে। ফলত, এক্ষেত্রে এসএলআর বা অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়েই এধরনের হামলা করা সম্ভব। স্নাইপার সাধারণত ব্যবহার হয় দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে, যা মূলত ১০০০ গজ দূরত্বের আশপাশে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    Manipur: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসাধিককাল ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে বিদেশিদের হাত। অন্তত এমনই আশঙ্কা মণিপুরের আদিবাসীদের সংগঠনের। অশান্তির ফোকর গলে অনুপ্রবেশও চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের (India) এই রাজ্যে। যার জেরে বদলে যাচ্ছে এ রাজ্যের জনসংখ্যার গ্রাফ। আদিবাসীদের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে

    মণিপুরে আদিবাসীদের সংগঠনের নাম নর্থ-ইস্ট ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম। সম্প্রতি অসমের গুয়াহাটির ভগবতী প্রসাদ বরুয়া ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন এই সংগঠনের জনা তিরিশেক সদস্য। সেখানেই অশান্তির নেপথ্যে থাকা বিদেশি শক্তির অদৃশ্য হাতের (যদি থাকে) ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি তোলেন তাঁরা। সংগঠনের দাবি, অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মণিপুরে। তাই নিত্য বাড়ছে সমস্যা। বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যার গ্রাফ। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। অশান্তির (Manipur) নেপথ্যে কোন শক্তি, তাও তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্র।

    আদিবাসী সংগঠনের আবেদন

    রাজ্যে বাইরে থেকে কেউ আসছে কি না, সে ব্যাপারে নজরদারি চালানোর জন্যও সংগঠন আবেদন করেছে মণিপুরবাসীর কাছে। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরামের চেয়ারম্যান অনুট চেটিয়া বলেন, “মণিপুরের এই সঙ্কটের পিছনে বিদেশিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার জন্য আমরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করছি। যদি বিদেশিদের কোনও ইন্ধন থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুুন: ‘সর্বদল বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা’! রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    সংগঠনের দাবি, মণিপুরে বসবাসকারী সব কুকি মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী নয়। গত কয়েক বছরে এ রাজ্যে এসেছে কুকি-চিন জাতির লোকজন। দখল করেছে মণিপুরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। তাই মণিপুরে (Manipur) এখন কুকি-চিন উপজাতির জনসংখ্যা ৩০ শতাংশের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা চূড়াচাঁদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্তচাষ করছে। এই পোস্তচাষ বন্ধেই উদ্যোগী হয়েছে সরকার। দখলিকৃত বনাঞ্চল ফেরত পেতেও চলছে অভিযান। সংগঠনের অনুমান, সেই কারণেই মেইতেইদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে অনুপ্রবেশকারীরা।

    এদিকে, ফের অশান্তির আশঙ্কায় এখনই অস্ত্র সমর্পণ করতে চাইছেন না মণিপুরবাসীর একাংশ। দিন কয়েক আগে অস্ত্র সমর্পণ করতে তাঁদের অনুরোধ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর শুরু হয়েছিল অস্ত্র সমর্পণের কাজ। যদিও ফের অশান্তি শুরু হওয়ায় এখনই অস্ত্র সমর্পণে রাজি নন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ট্যাবলোয় ইন্দিরা হত্যার দৃশ্য, “কানাডার জন্যও ভাল নয়”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ট্যাবলোয় ইন্দিরা হত্যার দৃশ্য, “কানাডার জন্যও ভাল নয়”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও কানাডার (Canada) সম্পর্কের জন্য এই দৃশ্য মোটেই ভাল নয়। কানাডার ঘটনায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। কানাডায় খালিস্থানপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও মুখ খোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। ৬ জুন ছিল অপারেশন ব্লু-স্টারের ৩৯তম বার্ষীকি। এই উপলক্ষে কানাডার ব্র্যাম্পটন শহরে শোভাযাত্রা বের করেছিলেন খালিস্থানপন্থীরা। শোভাযাত্রায় একটি ট্যাবলোর মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা দৃশ্য। সেই শোভাযাত্রার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কানাডায় খালিস্থানপন্থীদের বাড়বাড়ন্তের বিষয়ে মুখ খোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

    জয়শঙ্করের প্রতিক্রিয়া

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার পোশাকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে দুই শিখ জওয়ান। সাদা শাড়ি পরিহিত এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে। সেই ট্যাবলোর পিছনে খালিস্থানি পতাকা হাতে হেঁটে চলেছেন বেশ কয়েকজন। এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, আমি মনে করি এই বিষয়টির সঙ্গে আরও বড় সমস্যা জড়িত…সত্যি কথা বলতে কী, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনও কারণে কেউ এমন করতে পারে বলে আমি মনে করি না। আমার মতে, সে দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাড়বাড়ন্ত বৃহত্তর অন্তর্নিহিত সমস্যা। চরমপন্থীরা সহিংসতার পক্ষে। আমি মনে করি, এটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ভাল নয়। কানাডার জন্যও এটা ভাল নয়।

    অপারেশন ব্লু-স্টার

    প্রসঙ্গত, খালিস্থানপন্থী জঙ্গি ভিন্দ্রেওয়ালাকে খতম করতে ১৯৮৪ সালে পঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তার জেরে ওই বছরেরই ৩১ অক্টোবর শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে খালিস্থানপন্থীদের আন্দোলন। গ্রেফতার করা হয়েছে আন্দোলনের নেতা অমৃতপালকে। 

    সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে নানা সময় কানাডায় আন্দোলন করেছেন খালিস্থানপন্থীরা। সম্প্রতি যে শোভাযাত্রা হয়েছিল, সেখানেও ছিলেন তাঁরাই। সেই ঘটনার জেরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের (S Jaishankar)।

    আরও পড়ুুন: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • BSNL: বিএসএনএলকে ফের ত্রাণ প্যাকেজ দিচ্ছে কেন্দ্র, আসছে ৫জি পরিষেবাও

    BSNL: বিএসএনএলকে ফের ত্রাণ প্যাকেজ দিচ্ছে কেন্দ্র, আসছে ৫জি পরিষেবাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিএসএনএলকে (BSNL) ত্রাণ প্যাকেজ দিতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ৮৯,০৪৭ কোটি টাকার প্যাকেজ অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর আগে দুবার দেওয়া হয়েছে ত্রাণ প্যাকেজ। তৃতীয়বার দেওয়া হল কোম্পানির ৪জি (4G) ও ৫জি (5G) পরিষেবা উন্নত ও চালু করতে। কেন্দ্রের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসএনএলের অনুমোদিত মূলধন ১.৫ লাখ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.১ লাখ কোটি টাকা করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ত্রাণ প্যাকেজের ফলে বিএসএনএল একটি শক্তপোক্ত টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার হবে এবং দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা দেবে।

    বিএসএনএলকে (BSNL) প্রথম ত্রাণ প্যাকেজ

    ঋণে জর্জরিত বিএসএনএলকে (BSNL) চাঙা করতে কেন্দ্র প্রথম ত্রাণ প্যাকেজ দেয় ২০১৯ সালে। সেবার ত্রাণের পরিমাণ ছিল ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২২ সালেও ফের একবার ত্রাণ প্যাকেজ দেয় কেন্দ্র। এবার দেওয়া হয় ১.৬৪ লাখ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এই দুটি ত্রাণ প্যাকেজ পেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বিএসএনএল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে অপারেটিং মুনাফা অর্জন করতে শুরু করেছে বিএসএনএল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, বিএসএনএলের মোট ঋণ ৩২ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ২২ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা।

    কী জানিয়েছিলেন মন্ত্রী? 

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, দেশের অনেক এলাকায় বিএসএনএলের (BSNL) ৪জি কভারেজ রয়েছে। বর্তমানে এটি প্রায় সারা দেশকে কভার করতে চলেছে। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, বিএসএনএল ২০০টি সাইটে ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে। আপাতত তিন মাস ধরে এর পরীক্ষা হবে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিদিন গড়ে ২০০টি সাইটে এই পরিষেবা চালু করা হবে।

    আরও পড়ুুন: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    ওই সময় মন্ত্রী বলেছিলেন, এই গতি আমরা দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাব। বিএসএনএল নেটওয়ার্ক প্রাথমিকভাবে ৪জি হবে। এটি সেই মতোই কাজ করবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের কাছাকাছি এটি ছোট সফ্টওয়্যার সমন্বয় সহ ৫জি হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ১ অক্টোবর দেশে ৫জি পরিষেবা চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জিও, এয়ারটেল ইতিমধ্যেই এই পরিষবা দিচ্ছে। এই দুই সংস্থাই বিএসএনএলের (BSNL) থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    Lok Sabha Elections: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে পারেনি জনতা দল সেকুলার (JDS)। অথচ সে রাজ্যে অন্যতম শক্তিশালী দল এইচডি দেবগৌড়ার এই দল। তার পর থেকে ক্রমেই বিজেপির (BJP) দিকে ঝুঁকছে দেবগৌড়ার দল। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections) বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে পারে জনতা দল সেকুলার।

    দেবগৌড়ার উপলব্ধি

    কর্নাটকে লোকসভার আসন রয়েছে ২৮টি। গত লোকসভা নির্বাচনে সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল দেবগৌড়ার দল। যদিও জয়ী হয়েছিল মাত্র ১টিতে। মাস কয়েক আগে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়ে জনতা দল সেকুলার। রাজ্যে বিধানসভার আসন ২২৪টি। তার মধ্যে মাত্র ১৯টিতে জয় পেয়েছে দেবগৌড়ার দল। বিজেপিকে হটিয়ে রাজ্যের ক্ষমতার রশি দখল করেছে কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে দেবগৌড়া দল। বিধানসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার উপলব্ধি, বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধতে পারলে কংগ্রেসকে পরাস্ত করা যেত। উদ্ধার করা যেত হারানো ভোটব্যাঙ্ক।

    বিজেপির সঙ্গে জোট

    বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে কর্নাটকে সরকার গড়েছিল জনতা দল সেকুলার। সেটা ২০০৬ সাল (Lok Sabha Elections)। জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবগৌড়ার ছেলে এইচডি কুমারস্বামী। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তবে এই জোট দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ নিজেদের টার্ম শেষের পর বিজেপির হাতে দেবগৌড়ার দল তুলে দেয়নি ক্ষমতার রশি। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে ফের প্রাসঙ্গিক হতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারে জনতা দল সেকুলার।

    আরও পড়ুুন: এসেছেন আরও ২০ অফিসার! রাজ্যে ফের তৎপরতা ইডির, কেন জানেন?

    দেবগৌড়ার দল যে বিজেপির দিকে ক্রমেই ঝুঁকছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে নানা সময়। সম্প্রতি ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনার পরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধীরা। এই সময় দেবগৌড়া বলেন, “যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছেন রেলমন্ত্রী। উনি ক্লান্তহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তদন্ত শেষ হতে দিন। মন্ত্রী নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। এই সময় তাঁর পদত্যাগ চাওয়াটা কোনও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।” এহ বাহ্য। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections) আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোটের সম্ভাবনা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপির সঙ্গে দেবগৌড়ার দলের হাত মেলানোটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share