Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Earthquake Delhi: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    Earthquake Delhi: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল। বুধবার দুপুরে আচমকাই কেঁপে ওঠে রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। জানা গিয়েছে এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ নেপালে একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিমি।

    রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি ভূমিকম্পের অভিঘাত অনুভূত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এদিন দুপুর দেড়টায় উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়েও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৪। পিথোরাগড় থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ১০ কিলোমিটারের মধ্যে।

    ভূমিকম্প অনুভূত মধ্যপ্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারতে

    এর আগে রবিবার অর্থাৎ, ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের মালওয়া এলাকায় ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র) ট্যুইট করে জানিয়েছে যে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর সদর দফতর থেকে ১৫১ কিলোমিটার দূরে ধার জেলায় রবিবার দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ভুপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার নিচে ৩.০ তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ধার জেলার গুজরাট ও মহারাষ্ট্র সীমান্তে। মৃদু এই ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ধার ছাড়াও বারওয়ানি ও আলিরাজপুরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। 

    রবিবার শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশ নয়, অরুণাচল প্রদেশেও ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৮। জাতীয় ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুসারে, ওই দিন সকাল ৬টা বেজে ২৬ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মেঘালয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৬ কিলোমিটার গভীরে। শুধু মেঘালয় নয়, অসম ও গুয়াহাটির বেশ কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছিল।

    রবিবার সকাল ৭টা ৩ মিনিটে ভারত মহাসাগরে রিখটার স্কেলে ৪.৭ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পনের উৎসস্থল ছিল আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ক্যাম্পবেল সৈকত থেকে ৬২৩ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমদ্রতলে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৬ কিলোমিটার গভীরে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোর্খারা বহিরাগত…’, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    ভয়াবহ ভূমিকম্পের শঙ্কা

    ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এইসব রাজ্যের বাসিন্দারা। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। সাম্প্রতিক তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অতটা না থাকায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, ভারতেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিমত ভূ-বিজ্ঞানীদের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে ভারতীয় টেকটনিক প্লেট। হায়দরাবাদের ন্যাশন্যাল জিও ফিজিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান আবহবিদ এবং ভূবিজ্ঞানী ডঃ এন পূর্ণ চন্দ্র রাও জানান, পৃথিবীর ভূত্বকে বহু রকমের প্লেট রয়েছে। যেগুলি প্রতিনিয়ত চলমান। ভারতীয় প্লেট প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে। যার ফলে চাপ বাড়ছে হিমালয় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। এর ফলে সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে ভূমিকম্পের।

    ন্যাশন্যাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানা গেছে সোমবার উত্তরাখন্ডের ধর্মশালা থেকে ৫৬ কিমি উত্তরে ৩.৬ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যার কেন্দ্রস্থল ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ১০ কিমি গভীরে। এছাড়া ফ্রেবরুয়ারির ১৯ তারিখেও অন্ধ্রপ্রদেশের  এনটিআর জেলার নন্দিগামা এলাকা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী?’, কংগ্রেসকে নিশানা জয়শঙ্করের   

    S Jaishankar: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী?’, কংগ্রেসকে নিশানা জয়শঙ্করের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)?  মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কংগ্রেসের নেতা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। চিন যখন সেনা মোতায়েন করেছিল, তখন পাল্টা ভারতও সেনা মোতায়েন করেছিল সীমান্তে। তিনি বলেন, ১৯৬২ সালে কী হয়েছিল, সেটা বিরোধীরা মনে করে দেখুন। জয়শঙ্কর জানান, সীমান্তে উন্নত পরিকাঠামো গড়তে মোদি সরকার বাজেট বরাদ্দ পাঁচ গুণ বাড়িয়েছে।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    গত বছর প্যাংগং লেকের ওপর ব্রিজ তৈরির চেষ্টা করেছিল চিন। এ নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ১৯৬২ সালের যুদ্ধ থেকেই ওই জায়গাটি চিন জোর করে দখল করে রেখেছে। জয়শঙ্কর বলেন, কখন ওই জায়গাটি চিনের নিয়ন্ত্রণে এল? আসলে ‘সি’ দিয়ে কোনও শব্দ শুরু হলে, বুঝতে সমস্যা হয় কংগ্রেসের। আমার মনে হচ্ছে, তারা বার বার বিষয়টির অপব্যাখ্যা করে। চিনারা প্রথমে ওই জায়গায় এসেছিল ১৯৫৮ সালে। এর পর ’৬২ সালের অক্টোবর মাসে তারা জায়গাটি দখল করে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোর্খারা বহিরাগত…’, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    তিনি বলেন, আর এখন ২০২৩ সালে আপনি মোদি সরকারকে ব্রিজ নিয়ে দুষছেন? বিদেশমন্ত্রী বলেন, ১৯৬২ সালেই ওই জায়গাটি দখল করেছিল ওরা। এখন আপনাদের সেটা স্বীকার করার মতো সততাও নেই। জয়শঙ্কর বলেন, রাজীব গান্ধী ১৯৮৮ সালে বেজিং গিয়েছিলেন। ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালে তিনি চুক্তি সই করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি এটা মনে করছি না যে সেই চুক্তি ভুল ছিল। এটা কোনও রাজনৈতিক দিক নয়। সেই সময় এটা করা হয়েছিল সীমান্তে স্থিতাবস্থা আনার জন্য। এর পরেই রাহুলকে নিশানা করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, কে সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন? রাহুল গান্ধী পাঠাননি। সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রচুর ব্যয় করে আমরা সেখানে সেনা মোতায়েন করে রাখি। তিনি বলেন, আমরা সীমান্তে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করেছি বাজেটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Online Payment: এবার দেশের বাইরেও ইউপিআই! শুরু ভারত-সিঙ্গাপুর ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা

    Online Payment: এবার দেশের বাইরেও ইউপিআই! শুরু ভারত-সিঙ্গাপুর ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রচনা হল নয়া ইতিহাস! দেশের বাইরে পৌঁছে গেল ইউপিআই (UPI)। সিঙ্গাপুরে (Singapore) এক সঙ্গে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে কাজ করবে ইউপিআই এবং পে নাও। মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং এই ডিজিটাল পেমেন্টের (Online Payment) চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এদিন সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এর সূচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে এদিন থেকেই সিঙ্গাপুরের বাসিন্দারা ভারতের ইউপিআই ব্যবহার করে ভারতে অর্থ স্থানান্তর করতে পারবেন। যার ফলে কম খরচে, তাৎক্ষণিক এবং সব সময় তহবিল স্থানান্তর সক্ষম করতে দুই দেশের মধ্যে রিয়েল-টাইম পেমেন্ট সিস্টেম লিঙ্কেজ থাকবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ও মনিটারি অথরিটি অফ সিঙ্গাপুরের ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর রবি মেনন এই সুবিধা চালু করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন…

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ভারত ও সিঙ্গাপুরের জনগণকে এই চুক্তির জন্য অভিনন্দন জানাই। এই চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। এর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী ভারতীয়রা সহজে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে ভারতে অর্থ পাঠাতে সক্ষম হবেন। ভারতে ডিজিটাল পেমেন্টের (Online Payment) ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক সময়। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দুই দেশের নাগরিকরা তাঁদের মোবাইলে দেশের মানুষের কাছে অর্থ পাঠাতে ও গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন। এতে শিক্ষার্থী, প্রফেশনাল ও সাধারণ নাগরিকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। সিঙ্গাপুরের তরফে সাইমন ওং বলেন, ভারতের প্রথম ক্রস বর্ডার রিয়েল টাইম পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে এই উদ্যোগটি উভয় দেশের মধ্যে গভীর আস্থা প্রমাণ করে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমরা ভারতের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রার অংশ হতে উন্মুখ।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি সচিব অখিলেশ কুমার শর্মা বলেন, ১০টি দেশের প্রবাসীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই ইউপিআই পরিষেবা। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, হংকং, আমেরিকা, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সিঙ্গাপুরের প্রবাসী ভারতীয়রা এই পরিষেবা পাবেন। সিঙ্গাপুরের পে নাও সিস্টেমের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ইউপিআই। শীঘ্রই এক সঙ্গে কাজ করবে এই পেমেন্ট (Online Payment) পরিষেবা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় ধরণের অভিযানে নামল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি। এবারে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের পর্দা ফাঁস করল এনআইএ। গোপন সূত্রে খবর পেতেই দেশের একাধিক জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান সহ দেশের ৭২টি জায়গায় মঙ্গলবার একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা।

    আটটি রাজ্যে এনআইএ অভিযান

    এনআইএ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে তল্লাশির সময় একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি পাকিস্তান থেকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং নীরজ বাওয়ানা গ্যাংয়ের বেশ কয়েক জন সদস্যকে দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর তাঁদের জেরা করেই দেশের বেশ কয়েকটি জায়গার হদিশ পেয়েছিল এনআইএ। আর তার পরই আজ, মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

    এদিন সকালে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে এনআইএ অভিযান শুরু করে। পাঞ্জাবের অন্তত ৩০ টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবের গিদ্দারবাহায় তল্লাশি চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা।

    উল্লেখ্য, আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগসাজশের মামলায় এই নিয়ে চতুর্থ বার অভিযানে নামল এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থাটির এক সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই ধৃত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও ওই সূত্রের দাবি।

    এর আগেও গত বছরের অক্টোবর মাসে সন্ত্রাসী, গ্যাংস্টার এবং মাদক পাচারকারীদের যোগসাজশ লক্ষ্য করে দেশের পাঁচটি রাজ্যের ৫০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। এনআইএর তরফে তখনই জানানো হয়েছিল যে, এই নেটওয়ার্ক যত দিন না ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

  • Giriraj Singh: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    Giriraj Singh: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে খয়রাতির কাজে খরচ করা হচ্ছে বলে নানা সময় অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার প্রায় একই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকার অপব্যবহার করছে রাজ্য সরকার। বেআইনিভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

    গিরিরাজের দাবি…

    গিরিরাজের দাবি, আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ, সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বচ্ছতা না থাকলে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ এলে তদন্ত করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে বাংলার সরকার, যা আইনত অন্যায়। মন্ত্রী (Giriraj Singh) বলেন, যাঁর তিনতলা বাড়ি রয়েছে, তাঁকেও আবাস যোজনায় টাকা দেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা যেভাবে লুঠ হয়েছে, তা সীমাহীন। তিনি বলেন, মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে।

    কেন্দ্র প্রাপ্য বঞ্চনা থেকে বঞ্চিত করছে বলে নানা সময় অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁরও জবাব দিলেন বেগুসরাইয়ের সাংসদ গিরিরাজ। তিনি বলেন, আমি শুধু স্বচ্ছতা চাই। এখনও পর্যন্ত বাংলার সরকারকে ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রের উদ্দেশ্য যদি খারাপই হয়ে থাকে, তা হলে টাকা কেন দেবে? রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। সে প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, অভিযোগ এলে তদন্ত করতে হয়। বাংলার মন্ত্রীরা এসে ভাল কথা বলে গেলেন। অথচ রাজ্যে গিয়ে তাঁদের পরিবর্তন হয়ে যায়। ফের লুঠ শুরু হয়। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা লুঠের জন্য নয়, গরিবের জন্য।

    আরও পড়ুুন: পনির ছাড়াই, বাটার মশালা! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইকে তোপ আদালতের

    গিরিরাজ (Giriraj Singh) বলেন, আপনাদের বলছি, গরিবের টাকা দিতে চাই। কিন্তু বাংলার লুঠের সরকারকে কাজ দেখাতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্য রয়েছে তার মধ্যে মমতাজির রাজ্য অন্যতম যেখানে কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহার হয়েছে। উনি শুরু থেকেই বেআইনিভাবে ভারত সরকারের সব প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার অর্থ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। গিরিরাজ বলেন, দুর্নীতি সব ক্ষেত্রেই সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

    Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর, নিক্কি যাদবের ঘটনার আঁচ নিভতে না নিভতেই ফের এক নারকীয় খুনের ঘটনা সামনে এল। খুনের ধরণও সেই একরকমের। এবারে স্বামী, শাশুড়িকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হল অসমের এক মহিলা। শুধু টুকরো টুকরো করে খুনই করেনি, স্বামী এবং শাশুড়ির দেহাংশ পরে মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার যা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কথা সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।

    কী ঘটেছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনা ঘটে গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায়। ধৃত মহিলার নাম বন্দনা কলিতা। এছাড়াও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বয়ফ্রেন্ড ধনজিৎ ডেকা এবং তাঁর বন্ধু অরূপ দাসকে। জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহিলার, তার জেরেই খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই স্বামী অমরজ্যোতি দে এবং শাশুড়ি শঙ্করীকে খুন করেছে বন্দনা কলিতা। এর পর সেই দেহাংশ তিনদিন ফ্রিজে রেখে দেয়। তারপর গাড়িতে করে পার্শ্বর্বর্তী রাজ্য মেঘালয়ের দুটি জায়গায় দেহাংশ ফেলে দেয় বন্দনারা।

    কীভাবে পুরো বিষয়টি সামনে এল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর অগাস্টে বন্দনা অসমের নুনমাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বন্দনা। সে দাবি করে যে স্বামী এবং শাশুড়ির খোঁজ মিলছে না। তারপর ফের একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপত্রে বন্দনা দাবি করে, শাশুড়ির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর কিছুকাল পরে অমরজ্যোতির তুতোভাইও নিখোঁজের অভিযোগ করেন৷ তার পরেই তদন্ত পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়৷ পুলিশ আন্দাজ করে, ঘটনায় বন্দনার কোনও ভূমিকা রয়েছে৷ তার পর থেকে পূর্ণমাত্রায় তদন্ত চালিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেহ উদ্ধার করা হয়৷ এর পর শুক্রবার বন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সূত্রের খবর, পুলিশ জানতে পারে যে, শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেই টাকা তুলেছিল ওই মহিলা। এটিএম কার্ড ব্যবহার করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা তুলেছে বন্দনা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বন্দনা স্বীকার করে, স্বামী এবং শাশুড়িকে খুন করেছে সে। ঘটনায় বন্দনার বয়ফ্রেন্ড এবং তার বন্ধু অরূপের নাম উঠে আসে। তারপর ধনজিৎ এবং অরূপকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবিবার তল্লাশি চালিয়ে দেহের কিছু টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমরেন্দ্র এবং তাঁর মায়ের বাকি দেহাংশগুলি উদ্ধার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

  • Chattisgarh: সাত সকালে ছত্তিশগড়ের ১৪ জায়গায় ইডি-র হানা, কেন জানেন?

    Chattisgarh: সাত সকালে ছত্তিশগড়ের ১৪ জায়গায় ইডি-র হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে ইডি-র (ED) হানা ছত্তিশগড়ে (Chattisgarh)। কয়লায় (Coal) শুল্ক সংক্রান্ত দুর্নীতিতে সোমবার রাজ্যের ১৪টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। কংগ্রেসের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও তাঁদের সচিবদের অফিসেও সকাল থেকে চলছে তল্লাশি। মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের (Congress) ভূপেশ বাঘেল ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর বাড়িতেও চলছে ইডির তল্লাশি। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ে কয়লার ওপর শুল্ক সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, রাজ্যে আমদানি করা কয়লার ওপর বেআইনিভাবে টন প্রতি ২৫ টাকা করে শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল।

    ইডি সূত্রে খবর…

    ইডি সূত্রে খবর, শুধু ২০২১ সালেই সব মিলিয়ে মোট ৫৪০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এবং আমলা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। এই মামলার তদন্তেই চলছে ইডির আভিযান। দুর্নীতির ওই টাকা কংগ্রেসের পার্টি ফান্ডে খরচ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক বিধায়ক এবং আমলাও ব্যক্তিগতভাবে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই টাকা কোথায় জমা রাখা হয়েছে কিংবা কীভাবে খরচ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

    জানা গিয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস (Chattisgarh) কমিটির কোষাধ্যক্ষ রামগোপাল আগরওয়াল, শ্রমকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি সুশীল সানি আগরওয়াল, বিধায়ক দেবেন্দ্র যাদব, বিনোদ তিওয়ারি, কংগ্রেস মিডিয়ার মুখপাত্র আরপি সিং প্রমুখের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। কংগ্রসের এই নেতাদের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও খতিয়ে দেখেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যে বেশ কয়েকবার ইডি অভিযান চালালেও, এই প্রথম সরাসরি কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে হানা দিল ইডি। গত মাসেও ছত্তিশগড়ে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেবার তল্লাশি চালানো হয় একজন আইএএস অফিসারের বাড়িতেও।

    আরও পড়ুুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেও ছত্তিশগড়ের কয়েকজন শীর্ষ নেতা, ব্যবসায়ী ও আমলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। মোট ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৪ কোটি টাকা, বিভিন্ন দামী সামগ্রী যার বাজারমূল্য কোটি টাকা এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, আজ ইডি ছত্তিশগড় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কোষাধ্যক্ষ, দলের প্রাক্তন সহ সভাপতি এবং একজন বিধায়ক সহ দলের অনেক সহকর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cyber Crime: ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হরিয়ানার মহিলা! সাইবার প্রতারণা ঠেকাতে কী কী সাবধানতা নেবেন?

    Cyber Crime: ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হরিয়ানার মহিলা! সাইবার প্রতারণা ঠেকাতে কী কী সাবধানতা নেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণা। তাতেই খোয়া গেল এক মহিলার ১০ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি হরিয়ানার গুরুগ্রামের।

    ঠিক কীভাবে পাতা হয়েছিল প্রতারণার ফাঁদ (Cyber Crime)

    মহিলার অভিযোগ যে তাঁকে প্রথমে প্ররোচিত করা হয় ইউটিউবে ভিডিও দেখা এবং লাইক করার জন্য, এরপর প্রতারকরা তাঁকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করায় এবং কমসময়ে বেশি টাকা রিটার্ন পাওয়ার জন্য বিনিয়োগের আবেদন জানায়। 
    শানু প্রিয়া নামে ওই মহিলার অভিযোগ, গত ১ ফেব্রুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর মেসেজ আসে, অনলাইন ব্যবসাতে বিনিয়োগ করার আবেদন জানিয়ে। সেখানে আরও বলা হয়, বিনিয়োগ করলে কম সময়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে। এরপর তাঁকে টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করানো হয়। তখন কিছু টাকার কমিশনও দেওয়া হয় ওই মহিলাকে, এতে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বেড়ে যায় প্রতারকদের প্রতি। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি ভিআইপি মেম্বারশিপ দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ৮,০০০ টাকা নেওয়া হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি সুপার ভিআইপি মেম্বারশিপ দেওয়ার নামে আরও বেশি টাকা চাওয়া হয়। ওই মহিলা প্রতিবারই টাকা দিতে থাকেন। এইভাবে ধাপে ধাপে প্রতারকরা তাঁর কাছ থেকে ১০,৭৫,০০০ টাকা নেয়। এরপর ওই মহিলা ব্যবসার শর্ত অনুযায়ী বিনিয়োগের রিটার্ন চাইলে, তাঁকে আরও ৪ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তখন ওই মহিলা বোঝেন তিনি প্রতারণার (Cyber Crime)
     ফাঁদে পড়েছেন।

    পুলিশ কী বলছে

    ওই মহিলা স্থানীয় সাইবার (Cyber Crime) থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তকারী অফিসাররা বলছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতারকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টগুলি প্রিজ করার কাজ চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪১৯ এবং ৪২০ নং ধারা অনুসারে মামলা দায়ের হয়েছে।

    সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) ফাঁদে না পড়তে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন

    ১. বিশেষজ্ঞরা বলছেন কম সময়ে বেশি রিটার্নের কথা মানেই প্রতারণাষ মনে রাখবেন খুব সহজ উপায়ে টাকা রোজগার এত সহজ নয়।

    ২. অপরিচিত কাউকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না।

    ৩. নিজের সোশ্যাল মিডিয়া আকাউন্টে সর্বদাই প্রাইভেসি বজায় রাখবেন।

    ৪. ইন্টারনেটে টাকা লেনদেন এড়িয়ে চলুন।

    ৫. অপরিচিত ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করবেন না।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TCS: অন্যত্র চাকরি হারানো কর্মীদের খুঁজছে টিসিএস, কেন জানেন?

    TCS: অন্যত্র চাকরি হারানো কর্মীদের খুঁজছে টিসিএস, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে মন্দার প্রভাব। এরই আগে আগে গিয়েছে করোনা অতিমারি পর্ব। বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করে সামাল দিয়েছে উদ্ভূত পরিস্থিতি। তবে এই অবস্থায়ও একজন কর্মীকেও ছাঁটাই (Layoff) করেনি টিসিএস (TCS)। টাটার এই সংস্থা যে কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ভাবছেও না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোম্পানির এক শীর্ষ কর্তা। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে টিসিএসের চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মিলিন্দ লাক্কাদ বলেন, টিসিএসে থাকা কর্মীদের ছাঁটাই তো করা হবেই না, উল্টে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কাজ হারানো কর্মীদের আমরা খুঁজছি। দেশের বৃহত্তম এই আইটি প্রতিষ্ঠান ওই কর্মীদের প্রতিভাকে কাজে লাগাবে বলেও জানান তিনি। বিশ্বজুড়ে নানা অছিলায় কর্মী ছাঁটাই করছে বিভিন্ন কোম্পানি। সেখানে উল্টো পথে হাঁটছে টিসিএস।

    লাক্কাদ বলেন…

    সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লাক্কাদ বলেন, আমরা (TCS) এটা (ছাঁটাই) করি না। আমরা বিশ্বাস করি কর্মীর প্রতিভাকে কাজে লাগাতে। তাই আমাদের কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে না। টিসিএসের এই কর্তা বলেন, অনেক কোম্পানি ছাঁটাইয়ের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। কারণ তারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লোক নিয়োগ করে। এমতাবস্থায় সতর্ক টিসিএস বিশ্বাস করে কোনও কর্মী যদি আমাদের কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন, তাহলে কোম্পানির দায়িত্বই হল তাঁকে উৎপাদনশীল করে তোলা। লাক্কাদ বলেন, যদি দেখা যায় যে সব কর্মীর প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই, তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, শেখার জন্য আরও অনেক বেশি সময় দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি’, প্রকাশ্য সভায় জানালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    সম্প্রতি এক লপ্তে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই করে খবরের শিরোনামে চলে এসেছে গুগুল। শুধু ভারতের অফিসেই তারা ছাঁটাই করেছে ৪৫৩ জনকে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে এই সংস্থা। শিক্ষা এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও চাকরি খুইয়েছেন বহু কর্মী। চাকরি খোয়ানো এই সব দক্ষ কর্মীদেরই খুঁজছে টিসিএস। টিসিএসের (TCS) এই আধিকারিক জানান, এটা (টিসিএস) একটা বিরাট চাঁদোয়ার মতো। বিভিন্ন প্রযুক্তির নানা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি আমরা। আমি মনে করি, ওই সব জায়গায় প্রতিভার প্রয়োজন। যাঁরা আমাদের এখানে যোগ দেবেন। ওই সব কোম্পানিতে যাঁরা ভাল কাজ করতেন, অথচ চাকরি গিয়েছে, আমরা মূলত তাঁদেরই খুঁজছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shivratri: শিব মন্দিরে প্রবেশে বাধা, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম অন্তত ১৪

    Shivratri: শিব মন্দিরে প্রবেশে বাধা, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম অন্তত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবমন্দিরে (Shivratri)  প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ। জখম অন্তত ১৪ জন। শনিবার ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের (Clashes Over Caste) দক্ষিণ পশ্চিমের খারগন জেলার ছাপরা সানাওয়াড় এলাকায়। এদিন স্থানীয় এক শিব মন্দিরে প্রার্থনা করতে ভিড় করেছিলেন বহু পুণ্যার্থী। দলিত সম্প্রদায়ের কয়েকজনও জল ঢালতে ওই মন্দিরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, উচ্চবর্ণের লোকজন তাঁদের বাধা দেন। তার জেরেই বাঁধে সংঘর্ষ।

    হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি…

    রাজধানী ভোপাল থেকে অকুস্থলের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। স্থানীয়রা জানান, মন্দিরে ঢোকা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। তার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি। দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের অভিযোগ, মন্দিরে তাঁদের প্রবেশ করা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। বচসা থেকে হাতাহাতি এবং পরে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক বিনোদ দীক্ষিত জানান, দুই তরফে ইটবৃষ্টি চলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। অভিযোগ জমা পড়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    দলিত সম্প্রদায়ের দাবি, স্থানীয় গুর্জর নেতা ভাইয়ালাল পটেলের নেতৃত্বেই অশান্তির শুরু। প্রথমে দলিত মেয়েদের মন্দিরে (Shivratri) ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ১৭ জন সন্দেহভাজন ও ২৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। প্রেমলাল নামের এক দলিতের অভিযোগ, গুর্জর সম্প্রদায়ের নেতা ভাইয়ালাল পটেল দলিত যুবতীদের মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেন। এক দলিত মহিলার দাবি, শিবের মাথায় জল ঢালতে গেলে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। রবীন্দ্র রাও মারাঠা নামে এক ব্যক্তির দাবি, প্রেমলাল সহ ৩৪ জন হাতিয়ার নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হন।

    মধ্যপ্রদেশে অবশ্য এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরও খারগনের ওই শিবমন্দিরেই (Shivratri) ঢোকা নিয়ে অশান্তি হয়েছিল। সেবার খোদ মন্দিরের পুরোহিত শিবরাত্রিতে দলিত কন্যার প্রবেশে বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় ওই পুরোহিত ও আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।

    স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মন্দিরে কাউকে প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে না বলে স্থানীয়দের বুঝিয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে একটি বটগাছ কেটে ফেলা ও বিআর আম্বেদকরের মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। তিনি জানান, গুর্জরদের তরফেও দলিত সম্প্রদায়ের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share