Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mumbai Murder: লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন, দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে ফোটাল প্রেমিক

    Mumbai Murder: লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন, দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে ফোটাল প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া দেখা গেল মুম্বইয়ে (Mumbai Murder)। রাগের বশে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে তাঁর দেহাংশ কেটে ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখেছিল ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়। প্রমাণ লোপাটের জন্য সঙ্গীর দেহাংশগুলিকে কুকারে সেদ্ধও করেছিল সে। মুম্বইয়ের মীরা রোডের এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। 

    শ্রদ্ধা খুনের ছায়া

    উল্লেখ্য, আফতাব শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহাংশ কুচি কুচি করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল। তবে মুম্বইয়ের (Mumbai Murder) ঘটনায় অভিযুক্ত আরও নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছেন। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে মৃতদেহটি একটি গাছ কাটার যন্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে অভিযুক্ত। সেগুলি নিয়ে প্রেসার কুকারে সেদ্ধও করে। ঘটনার বীভৎসতায় শিউরে উঠেছেন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ় মনোজ সাহানির সঙ্গে দীর্ঘ দিন একত্রে বাস করতেন ৩৬ বছর বয়সি সরস্বতী বৈদ্য। মুম্বইয়ের মীরা রোডের গঙ্গানগর অঞ্চলের আকাশদীপ নামের একটি আবাসনে ৩ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টা পর! সানফ্রান্সিসকো উড়ে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার বিকল্প বিমান

    তদন্তে পুলিশ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোরিওয়ালি এলাকায় একটি ছোট দোকান চালাতেন মনোজ। মনোজ এবং সরস্বতীর ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ আসতে থাকায় স্থানীয় থানায় খবর দেন আবাসনের অন্য বাসিন্দারা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ফ্ল্যাটের ভিতর ঢুকে এদিক ওদিক খোঁজ চালাতেই চোখে পড়ে সেদ্ধ করা সেই দেহাংশগুলি। এরপর সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। মনে করা হচ্ছে, গত তিন-চারদিন আগেই খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত বজবলে জানিয়েছেন, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছেন মনোজ। তবে ঠিক কী কারণে সরস্বতীকে খুন করা হল এবং এর পিছনে অন্য কোনও কারণে আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে মুম্বই (Mumbai Murder) পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Ekalavya: একলব্য স্কুলে ৩৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি  

    Ekalavya: একলব্য স্কুলে ৩৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য আদিবাসী জনজাতির শিক্ষার উন্নয়ন। তার জেরে গোটা দেশে কয়েকশো স্কুল চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রক। এই স্কুলের পোশাকি নাম একলব্য (Ekalavya) মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। এই স্কুলে ৩৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে কেন্দ্র। ১৯৯৭-৯৮ সালে তৈরি হয়েছিল একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। মূলত প্রান্তিক এলাকায় থাকা আদিবাসী জনজাতির উন্নয়নকল্পেই তৈরি করা হয়েছিল এই স্কুল।

    একলব্য (Ekalavya) স্কুলের উদ্দেশ্য

    কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে কাজের সুযোগ বৃদ্ধির চেষ্টাও করা হয় এই স্কুলের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে, ৩৮ হাজার ৪৮০টি টিচিং ও নন-টিচিং স্টাপ নিয়োগ করা হবে। একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল রিক্রুটমেন্ট ২০২৩ নোটিফিকেশন অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে। লিংক অ্যাকটিভ হলেই আগ্রহী প্রার্থীরা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী পদে আবেদন করতে পারবেন।

    নিয়োগ হবে এই সব পদে

    আদিবাসীদের শিক্ষার উন্নয়নে এ রাজ্যেও রয়েছে একাধিক একলব্য (Ekalavya) স্কুল। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু স্কুল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়ও রয়েছে এই ধরনের স্কুল। কেন্দ্রের এই ঘোষণায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হবে রাজ্যের ওই স্কুলগুলিতেও। যেসব পদে নিয়োগ করা হবে, সেগুলি হল, প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার কম্পিউটার সায়েন্স, ট্রেনড গ্র্যাজুয়েট টিচার, আর্ট টিচার, মিউজিক টিচার, ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার, লাইব্রেরিয়ান, স্টাফ নার্স, হস্টেল ওয়ার্ডেন, অ্যাকাউন্টটেন্ট, কেটারিং অ্যাসিন্ট্যান্ট, চৌকিদার, রাঁধুনি, কাউন্সেলর, ড্রাইভার, ইলেকট্রিসিয়ান কাম প্লাম্বার, মালি, জুনিয়র সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, মেস হেল্পার, সিনিয়র সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সুইপার।

    আরও পড়ুুন: অশান্ত মণিপুর, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার জেরে অস্ত্র সমর্পণে না রাজ্যবাসীর

    প্রিন্সিপাল পদে আবেদন করতে হলে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে মাস্টার ডিগ্রি করতে হবে প্রার্থীকে। সঙ্গে থাকতে হবে বিএড ডিগ্রি। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হতে হবে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার কম্পিউটার সায়েন্স পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে কম্পিউটার সায়েন্স কিংবা আইটিতে এমএসসি করতে হবে। স্বীকৃত কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমসিএ করা প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে একলব্য (Ekalavya) মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল রিক্রুটমেন্ট ২০২৩ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার জেরে অস্ত্র সমর্পণে না রাজ্যবাসীর

    Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার জেরে অস্ত্র সমর্পণে না রাজ্যবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur Violence) শান্ত করতে রাজ্যবাসীকে অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করতে শুরুও করেছিলেন মণিপুরবাসী। পরে ফের বন্ধ হয়ে যায় অস্ত্র সমর্পণের প্রক্রিয়া। কারণ গত কয়েকদিনে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। হামলায় এক বিএসএফ জওয়ান সহ কয়েকজন ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। জখমও হয়েছেন অনেকে। বহু বাড়িতে নতুন করে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। তার পরেই অস্ত্র সমর্পণ করতে বেঁকে বসেন মণিপুরবাসীর একাংশ। তাঁরা যে আপাতত অস্ত্র সমর্পণ করবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন শাহকে।

    অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)

    এদিকে, ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মণিপুরের সাম্প্রদায়িক হিংসা। রবিবার সন্ধ্যায় ইম্ফলের ইরোইসেম্বা এলাকায় বছর সাতেকের এক শিশু, তার মা এবং তাঁদের প্রতিবেশী এক মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। অসম রাইফেলস বাহিনীর এক ক্যাম্পে বুলেটের স্প্লিন্টার লেগেছিল বছর সাতেকের টংসিং হ্যাংসিংয়ের মাথায়। টংসিংয়ের মা মীনা হ্যাংসিংয়ের হাতেও লেগেছিল গুলির টুকরো। অ্যাম্বুলেন্সে করে টংসিং ও তাঁর মাকে (Manipur Violence) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন তাঁদের এক প্রতিবেশীও। পথে একদল উন্মত্ত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় অ্যাম্বুলেন্সটিতে। ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই শিশু সহ তিনজনের। পুলিশের তিনটি গাড়িও ধ্বংস করে দেয় জনতা। হিংসার কবলে পড়ে জখম হন পুলিশের দুই কমান্ডো। অন্য একটি গাড়িতে করে কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন এসপি।

    কুকিদের বিক্ষোভ

    এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান কুকি জনগোষ্ঠীর লোকজন। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে চারজনকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন শাহ। বাকিদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় যন্তরমন্তরে।

    আরও পড়ুুন: হিসাব না দেওয়াতেই ১০০ দিনের টাকা বন্ধ, রাজ্যে এসে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    এদিকে, মঙ্গলবারও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মণিপুর। সেই হিংসার (Manipur Violence) বলি হন বাংলার ছেলে রঞ্জিত যাদব। তিনি বিএসএফে কর্মরত ছিলেন। এদিন হিংসার জেরে গুলিবিদ্ধ হন রঞ্জিত। তার পরেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। ভাটপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুগিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: পড়ুয়াদের ‘প্রেরণা’ দিতে নিয়ে যাওয়া হবে মোদির শৈশবের স্কুলে, কারা পাবে সুযোগ?

    PM Modi: পড়ুয়াদের ‘প্রেরণা’ দিতে নিয়ে যাওয়া হবে মোদির শৈশবের স্কুলে, কারা পাবে সুযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তবে তিনিও প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিয়েছিলেন দেশের অতি সাধারণ একটি প্রাইমারি স্কুলে। নামীদামি কোনও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে না পড়েও আজ বিশ্ববন্দিত তিনি। তিনি নরেন্দ্র মোদি। এবার তাঁর শৈশবের স্কুলই হতে চলেছে দর্শনীয় স্থান। দেশের শিশু-কিশোরদের প্রেরণা দিতেই এই ‘তীর্থে’ নিয়ে যাওয়া হবে তাদের। সম্প্রতি এই মর্মে একটি প্রকল্প ঘোষণাও করেছে কেন্দ্র। নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রেরণা’।

    মোদির স্কুলে (PM Modi) স্টাডি ট্যুর

    আগামী এক বছর ধরে দেশের প্রতিটি জেলার দুজন করে শিশুকে নিয়ে যাওয়া হবে গুজরাটের মেহসানা জেলার ভাদনগর প্রাইমারি স্কুলে (PM Modi)। স্টাডি ট্যুরের অংশ হিসেবেই এই স্কুল দর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে শিশু শিক্ষার্থীদের। দেওয়া হবে দেশভক্তি এবং নৈতিকতার পাঠও। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলটিকে প্রেরণা হিসেবে তুলে ধরা হবে খুদে দর্শনার্থীদের কাছে। গুজরাট সরকার ও কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে তাদের শেখানো হবে কীভাবে গতিশীল জীবন যাপন করতে হয়। ঊনিশ শতকের এই স্কুলটিকে নতুন করে গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগকে।

    নৈতিকতার পাঠ 

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের প্রকল্প প্রেরণার অধীনেই দেশের প্রতিটি জেলার ২ জন করে পড়ুয়াকে নৈতিকতার পাঠ দেওয়া হবে এই স্কুলে। শিক্ষাদান হবে একাধিক পর্বে। প্রতি পর্বে বেছে নেওয়া হবে ৩০ জন পড়ুয়াকে। প্রকল্পটি চলবে ৫০ সপ্তাহ ধরে। দেশের ৭৫০টি জেলার দেড় হাজার ছেলেমেয়েকে নিয়ে যাওয়া হবে ওই শিক্ষামূলক ভ্রমণে। ১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ভাডনগর প্রাইমারি স্কুলের। ২০১৮ সাল পর্যন্ত পঠন-পাঠন (PM Modi) হয়েছিল। এই স্কুলেই প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিয়েছিলেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে প্রধানমন্ত্রীর শৈশবের এই স্কুল দর্শনে ছাড়পত্র পাওয়ার মানদণ্ড কী হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

    আরও পড়ুুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    প্রসঙ্গত, ভাডনগর এক সময় যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী নগর ছিল। বৌদ্ধ শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানও ছিল গুজরাটের এই এলাকা। ২০১৪ সালে প্রথম ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ এখানকার গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগুলিকে প্রচারের আলোয় আনে। গুজরাট সরকারও এখানে একটি আর্কিওলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্টাল মিউজিয়াম গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AIP Submarine: চুক্তি স্বাক্ষর আজই! যৌথ উদ্যোগে ভারতের জন্য ৬টি সাবমেরিন তৈরি করবে জার্মানি

    AIP Submarine: চুক্তি স্বাক্ষর আজই! যৌথ উদ্যোগে ভারতের জন্য ৬টি সাবমেরিন তৈরি করবে জার্মানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের ৬টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন (AIP Submarine) তৈরি করতে চলেছে জার্মানি। সব ঠিকঠাক চললে, বুধবারই এই মর্মে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে দুই দেশের। জানা গিয়েছে, এই ৬টি সাবমেরিন তৈরি করতে খরচ পড়বে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ভারত সফরে এসেছেন জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্তোরিয়াস। সূত্রের খবর, আজ পিস্তোরিয়াস মুম্বই যাচ্ছেন। সেখানেই তাঁর উপস্থিতিতে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হবে। এর আগে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এই চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করেন পিস্তোরিয়াস।

    ‘প্রোজেক্ট ৭৫ আই’ ঠিক কী?

    জানা গিয়েছে, জার্মানির থিসেনক্রুপ মেরিন সিস্টেমস সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘প্রোজেক্ট ৭৫ আই’-এর অন্তর্গত এই ৬টি স্টেলথ কনভেনশনাল (প্রচলিত শক্তিচালিত) সাবমেরিন (AIP Submarine) তৈরি হবে ভারতের মাঝগাও ডকইয়ার্ডে। চুক্তি স্বাক্ষর হবে থিসেনক্রুপ ও মাঝগাও ডকইয়ার্ড লিমিটেডের মধ্যে। বরিসের সঙ্গেই ভারতে এসেছে জার্মান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থার শীর্ষ কর্তারা। বুধবার, দুই প্রতিনিধিদলের মধ্যে এই মউ স্বাক্ষরিত হবে। চুক্তির আওতায়, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই ৬টি ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন নির্মাণ করা হবে।

    এর আগে ফরাসি সংস্থা ডিসিএনএস-এর সঙ্গে যৌথ ও প্রযুক্তিগত হস্তান্তরের ভিত্তিতে ৬টি কলভরি গোত্রের স্টেলথ স্করপিন সাবমেরিন নির্মাণ শুরু করেছিল ভারত। প্রকল্পের নাম ছিল ‘প্রজেক্ট ৭৫’। ওই প্রকল্পের প্রথম ডুবোজাহাজ ‘আইএনএস কলভরী’কে ২০১৫ সালের অক্টোবরে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। ২০২০-র নভেম্বরে এই গোত্রের শেষ ডুবোজাহাজটি হাতে পেয়েছিল নৌসেনা। 

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    কী এই ‘এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রোপালশন সিস্টেম’?

    এবার ‘প্রোজেক্ট ৭৫ আই’-এর জন্যও প্রথমে ফরাসি সংস্থাকেই বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু, ভারতের একটি শর্তেই পিছিয়ে যায় ফরাসি সংস্থা। নতুন সাবমেরিনগুলির জন্য যে যোগ্যতা বা মাপকাঠি নির্ধারণ করেছিল ভারত, তার অন্যতম ছিল ‘এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রোপালশন সিস্টেম’ (AIP Submarine) বা সংক্ষেপে এআইপি। এই প্রযুক্তি থাকলে, যে কোনও সাবমেরিন দীর্ঘ সময়ের জন্য জলের নিচে থাকতে পারে। সাধারণত, অ-পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনকে অক্সিজেন নিতে ও ব্যাটারি চার্জ করতে প্রতি ২-৩ দিন অন্তর জলের ওপরে আসতে হয়।

    কেন বাছা হল জার্মান সংস্থাকে?

    অন্যদিকে, এআইপি প্রযুক্তির থাকলে টানা ৫-৬ দিন জলের নিচে থাকতে কোনও সমস্যা হয় না সাবমেরিনের। ফলত, সাবমেরিনের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। দীর্ঘ জায়গা ও সময় ধরে নজরদারির কাজ করতে সক্ষম হয় সাবমেরিনগুলি। ফ্রান্সের সংস্থা জানিয়ে দিয়েছিল, তারা এই প্রযুক্তি দিতে অপারগ। অন্যদিকে, জার্মানির থিসেনক্রুপ হল বিশ্বের এমন দুটি সংস্থার একটি যারা এই প্রযুক্তি (AIP Submarine) ব্যবহার করে থাকে। চুক্তির আওতায় যেমন এআইপি সিস্টেম থাকবে, তেমনই থাকছে কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রাংশের সরবরাহ, সামরাস্ত্র ও সেন্সর।

    দীর্ঘদিন আগে জার্মানি থেকে শিশুমার শ্রেণির ৪টি ডিজেল-বিদ্যুৎ ডুবোজাহাজ কিনেছিল ভারতীয় নৌসেনা। এবার এই চুক্তি স্বাক্ষর হলে, ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রচলিত সাবমেরিনের ক্ষেত্রে নতুন দিশা যুক্ত হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর ফাঁদে মহিলা পুলিশ কর্মী, অভিযুক্ত আইপিএল খেলা ক্রিকেটারও!

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর ফাঁদে মহিলা পুলিশ কর্মী, অভিযুক্ত আইপিএল খেলা ক্রিকেটারও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad) কাহিনি। এবার ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজ। শিবকুতি থানার এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের তির আইপিএল ক্রিকেট খেলোয়াড় মহসিন খানের ভাই ইমরান খানের দিকে। অভিযোগে ওই মহিলা পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, ইমরান তাঁকে বিয়ে করেছেন নিজেকে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী পরিচয় দিয়ে। বিয়ের পরে পরেই তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। কেবল তাই নয়, ইমরান তাঁকে তাঁর বাবা মুলতান ও ভাই মহসিনের সঙ্গে সহবাস করতেও বাধ্য করেন।

    লাভ জিহাদ-এর (Love Jihad) বিহিত চান

    মহসিন পেশায় ক্রিকেটার। উত্তর প্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন ফাস্ট বোলার হিসেবে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লখনউ সুপার জায়েন্টের হয়েও খেলেছেন। ভিডিও বার্তায় এই লাভ জিহাদ-এর (Love Jihad) বিহিত চেয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাহায্য চেয়েছেন বারাণসীর ওই মহিলা। ওই মহিলা পুলিশ কর্মীকে-এও বলতে শোনা যায়, তিনি যখন প্রথম তাঁর স্বামী ইমরানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান, তখন তাঁর অভিযোগ নিতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা।

    শেষমেশ চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয় পুলিশ। ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিকের আরও অভিযোগ, যেহেতু অভিযুক্তের ভাই একজন বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী, তাই তাঁর এবং তাঁর বাবার নাম এফআইআর থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।

    মহিলার অভিযোগ

    লাভ জিহাদ-এর শিকার ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক জানান, ২০১৬ সালে মোরদাবাদে তিনি যখন ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় ইমরানের। ইমরানও পুলিশেই ছিলেন। আলাপের পর প্রেমের ফাঁদে পড়েন ওই মহিলা। ইমরান তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছেন। ২০১৮ সালে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে তাঁকে বিয়েও করেন ইমরান। এর পরেই ইমরান তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিতে থাকেন। জোর করে তাঁর নাম বদলে করে দেওয়া হয় জায়রা বানু। তিনি বলেন, ইমরান বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন স্রেফ তাঁকে ফাঁদে (Love Jihad) ফেলার জন্য। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইমরানের গোটা পরিবার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘২ হাজারের নোটে ক্ষতিপূরণ, কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি’’, খোঁচা সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express: ২৭৫ নয়! ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ফের ২৮৮, জানাল ওড়িশা সরকার

    Coromandel Express: ২৭৫ নয়! ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ফের ২৮৮, জানাল ওড়িশা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭৫ নয় বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ২৮৮। ওড়িশা সরকার মৃত্যুর পরিসংখ্যান পুনরায় পর্যালোচনা করে এই সংখ্যা জানিয়েছে। ওড়িশা সরকারের মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, হাসপাতালে কয়েকজন আহতের মৃত্যু এবং জেলাশাসকের কাছ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হল। প্রসঙ্গত গত রবিবার রেল জানিয়েছিল যে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express) মৃতের সংখ্যা ২৮৮ জন। পরে এই তথ্য পর্যালোচনা করে সেদিনই ওড়িশা সরকার জানায়, প্রকৃত সংখ্যা ২৭৫। মঙ্গলবার ওড়িশার মুখ্য সচিব জানা বলেন, ‘‘সোমবার পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত করেছি দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার স্থল থেকে যে দেহ মিলেছে এবং হাসপাতালে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংখ্যা যোগ করে আমরা বালাসোরের জেলাশাসককে জানাতে বলেছিলাম। এই দুই সংখ্যা যোগ করে এই জেলাশাসক জানিয়েছেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮৮ টির মধ্যে ২০৫ দেহ ইতিমধ্যে শনাক্ত করে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮৩ টি দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে।

    আরও পড়ুন: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    পশ্চিমবঙ্গের মৃত কতজন?

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে ওড়িশার হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন ৯৭ জন বাংলার বাসিন্দা। সূত্রের খবর, বাংলায় ১০৩ জনের দেহ শনাক্ত করা গেছে।

    দুর্ঘটনার দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু অন্তত ৪০ জনের

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। দুর্ঘটনার তদন্তে জানা গেছে যে ৪০ জনের দেহে কোনও রকমের ক্ষতের চিহ্ন নেই। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁদের মৃত্যু ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি রেলের তরফে একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে রেলের এক আধিকারিক জানান, বগিগুলি যখন ইঞ্জিন থেকে আলাদা হয়ে ছিটকে যায়, তখনই বগির মধ্যে থাকা অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে যাত্রীদের। রেল সূত্রে খবর, মালগাড়িতে ধাক্কা খাওয়ার পর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) বগিগুলি বিক্ষিপ্তভাবে ছিটকে যায় তখন ওভার হেডের তারের সঙ্গে সংস্পর্শে চলে আসে বগিগুলি। এর ফলে বগির মধ্যে থাকা বহু যাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বলে জানা যাচ্ছে। ‌ ট্রেন দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই ১০ জন সদস্যের একটি সিবিআই প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    Odisha Train Accident: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পর থমকে গিয়েছিল যাত্রা। পাঁচদিন পর বুধবার থেকে ফের চলতে শুরু করবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। আগের মতোই নির্ধারিত সময়ে ছাড়বে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, দুপুর ৩টে ১৫ নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে ট্রেনটি। রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আগের রুটেই চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। অর্থাৎ, বাহানগা বাজার স্টেশন হয়েই যাবে ট্রেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ এই স্টেশনের কাছেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় ২৭৫ জনের। আহত হন ৯০০ জনের বেশি।

    ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা

    উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর শনিবার রাত থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করে রেল। রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রায় ১০০০ জন এই পুনরুদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন। দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) প্রায় ৫১ ঘণ্টা পরে বাহানাগা স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। রবিবার রাতে, দুটি মালগাড়ি পাঠানো হয় ক্ষতিগ্রস্ত ডাউন লাইন দিয়ে। এরপর রাত ১২টা নাগাদ, আপ লাইন দিয়ে একটি ট্রেন চালানো হয়। এরপর সোমবার সকালে ওই লাইনে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অবশ্যই, এখানে তার গতি মন্থর ছিল। এর পর যায় ফলকনামা এক্সপ্রেসও। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার এই লাইন দিয়ে মোট ৪০টির মতো ট্রেন গিয়েছে। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করে, সবকটির গতিবেগ রাখা হয়েছিল ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি।

    আরও পড়ুন: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মঙ্গল-বুধেও বাতিল বহু ট্রেন

    তবে, এই লাইন দিয়ে এখনই পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল। সোমবার এই শাখায় বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও তাই। এমনকি, বুধুবারও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেলের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাহানগা বাজারে রেললাইন (Odisha Train Accident) মেরামতির কাজের জন্য আগামী ৬ ও ৭ জুন অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল থাকবে। এই ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে- আপ ও ডাউন পুরী-বাংরিপোসি এক্সপ্রেস, ভদ্রক-বালাসোর এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-বালাসোর স্পেশাল, সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা স্পেশাল, পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস, ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন ভুবনেশ্বর-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন পুরী-জলেশ্বর এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-হাওড়া ফলকনামা এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-খুরদা রোড এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন সাঁতরাগাছি-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস, আনন্দবিহার-পুরী এক্সপ্রেস, পাটনা-পুরী এক্সপ্রেস। তবে, আগ বাতিলের ঘোষণা করা হলেও, নির্ধারিত সময় ছাড়বে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস, পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    PM Modi: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত ৯ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতের বিদেশনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সফল মোদি সরকার। মোদি জমানায় (PM Modi) বিদেশনীতির প্রাথমিক ভিত্তি হল ‘Act East’, ‘Think West’ and ‘Connect Central Asia’। প্যাসিফিক রিজিয়নে শুরু করা হয়েছে সাগর প্রকল্প ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন’। এই নীতির উদ্দেশ্য হল সমগ্র ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের সমমনস্ক সহযোগী দেশগুলিকে নিয়ে শান্তির পরিবেশ তৈরি করা। Solar Alliance (ISA), Coalition for Disaster Resilient Infrastructure (CDRI), Lifestyle for Environment (LiFE), এবং International Big Cat Alliance (IBCA) এই সব নীতির ফলেই বিশ্বের নানা দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশেই ভারতের পদচিহ্ন দেখা যাচ্ছে।

    ভারতে অনুষ্ঠিত জি ২০ সম্মেলনের থিম হল বসুধৈব কুটুম্বকম। যার অর্থ হল এক পৃথিবী এক পরিবার। এখনও পর্যন্ত ভারতে একশোর উপর জি ২০-র মিটিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১১০ টি দেশ থেকে এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার ৩০০ প্রতিনিধি এসেছেন। আমন্ত্রিত দেশের সদস্যরাও এসেছেন জি ২০ সম্মেলনে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যরাও পা রেখেছেন ভারতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে সংকটের মুহূর্তে ভারতই একমাত্র দেশ, যার সক্রিয়তা সবার আগে দেখা যায়। যেমন সাম্প্রতিক তুরস্কের ভূমিকম্পে অপারেশন দোস্ত (২০২৩), অপারেশন গঙ্গা (২০২২), অপারেশন দেবী শক্তি (২০২১), মিশন সাগর (২০২১) সমেত আরও অনেকগুলি অপারেশনে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এর পাশাপাশি জাতীয় সুরক্ষাও সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে মোদি সরকারের কাছে। দেখা গেছে, ভারতের বাইরেও অপারেশন সংগঠিত করেছে মোদি সরকার। বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক তার জীবন্ত প্রমাণ। গত ৯ বছরে দেশের ভিতরে উগ্র বামপন্থী মাওবাদীদের রমরমাও কমেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি মনে করেন, উন্নয়ন এবং জাতীয় সুরক্ষাকে পাশাপাশি চলতে হবে আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণের লক্ষ্যে। ভারতের প্রথম নিজস্ব তৈরি এয়ারক্রাফট হল আইএনএস বিক্রান্ত। হিসাব বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম বিক্রি করেছে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সুসংগঠিত এই বিদেশনীতি এবং জাতীয় সুরক্ষানীতি নতুন ভারত গঠন করেছে।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, জাতীয় সুরক্ষা এবং বিদেশনীতিতে মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য কাজগুলি

    ১) গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান থেকে অপারেশন কাবেরির মাধ্যমে তিন হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ফিরিয়েছে মোদি (PM Modi) সরকার।

    ২) ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা এবং আর্টিকল ৩৫ (এ) বিলোপ করা হয়েছে ভারতীয় সংবিধান থেকে।

    ৩) গত ৫ বছরে যুদ্ধ সরঞ্জাম বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ৩৩৪ শতাংশ।

    ৪) ২ কোটি ৯৭ লক্ষেরও বেশি যাত্রীকে বন্দে ভারত ফ্লাইট-এর আওতায় আনা হয়েছে।

    ৫) প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চার হাজার একশোর বেশি জিনিস ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

    ৬) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ২৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করেছে মোদি সরকার (PM Modi)।

    ৭) ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে অপারেশন দোস্তের মাধ্যমে ৫,৯৪৫ টন আপৎকালীন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত সরকার।

    ৮) ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ৫০০ কোটিরও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে।

    ৯) অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডগুলিকে বদলানো হয়েছে সাতটি প্রতিরক্ষা পিএসইউতে।

    ১০) ২৯.২ কোটি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনকে ৬১ রও বেশি দেশে পৌঁছানো হয়েছে ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রকল্পের মাধ্যমে।

    ১১) ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে সেভাবে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটেনি।

    ১২) ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯ সালের এয়ার স্ট্রাইকের মাধ্যমে কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে।

     

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

    আরও পড়ুন: বার্ষিক ৭ লাখ আয় করমুক্ত, কমেছে বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার! খুশি মধ্যবিত্তরা

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত সময় গড়াচ্ছে, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) জোরালো হচ্ছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। প্রকৃত সত্যের উদঘাটনে সোমবার থেকেই আসরে নেমেছে সিবিআই।

    দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির বিষয়টি রবিবারই স্বীকার করে নিয়েছে রেল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ত্রুটি কি নিছক যান্ত্রিক গোলযোগ, নাকি দায়ী কোনও মানুষ? এটা কোনও মুহূর্তের ভুল নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও পরিকল্পনা? অর্থাৎ, জোর করে কেউ এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় গোলযোগ বাঁধিয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়নি তো? সত্যিকারে গাফিলতি ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায়? নাকি কারচুপি করে তাকে অকেজো করে রাখা হয়েছিল? যার জেরে প্রাণ গেল ২৭৫ জনের!

    কীভাবে সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল?

    রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সিগন্যালিং সমস্যার জন্যই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল কি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি ষড়যন্ত্র? রেলের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেস আপ মেইন লাইনে যাওয়ার জন্য সিগন্যাল সবুজ ছিল। কিন্তু, তারপরই সিগন্যাল অফ করে দেওয়া হয়। আপের লুপলাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। আবার সেই সময়ে মেনলাইন থেকে লুপলাইনে ট্রেন ঢোকানোর জন্য আগে থেকেই পয়েন্ট সেট করা ছিল। ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে চলে যায় এবং মালগাড়িতে ধাক্কা মারে।

     মেইন লাইন ছেড়ে কেন লুপ লাইনে?

    রেলের তদন্তকারী আধিকারিকদের আরও দাবি, লুপলাইনে ঢোকার জন্য পয়েন্ট সেট করা থাকলে তার অনেক আগে থেকেই হোম সিগন্যাল হলুদ থাকার কথা। এটা রেলের একটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। নিয়ম অনুসারে, হোম সিগন্যাল হলুদ থাকলে চালককে প্রথমে ট্রেনটিকে থামাতে হয়। তারপর খুব ধীর গতিতে, মোটামুটি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিবেগে লুপলাইনে ঢোকার কথা ছিল করমণ্ডলের। কিন্তু এক্ষেত্রে লুপলাইনে পয়েন্ট সেট করা থাকলেও হোম সিগন্যাল সবুজ ছিল। যে কারণে, ট্রেন ছুটছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২৮ কিলোমিটার গতিবেগে। দ্রুত গতিতে লুপলাইনে ঢুকে পড়ে লোহাচুর বোঝাই মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Odisha Train Accident)।

    আরও পড়ুন: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    অকেজো ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা?

    রেলকর্তাদের আশঙ্কা, দুর্ঘটনার সময়ে যে কোনও কারণেই হোক ওই এলাকায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা অকেজো হয়ে ছিল। সাধারণত কোথাও সিগন্যালের মেরামতি করতে হলে এটা করা হয়ে থাকে। সিগন্যালিংয়ের এই গণ্ডগোলের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। রেলের ডিআরএম বলেন, “এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল বলেই গতকাল থেকে রিলে রুম বন্ধ করে রেখেছে। কারণ কোনও ত্রুটি হয়েছে কি না তা একমাত্র ওই রিলে রুমে থাকা হার্ডওয়্যারের মাধ্যমেই জানা যাবে। ওই ঘরে সিগনালিং এবং টেলি কমিউনিকেশনের সব কাজ হয়। তাই অন্তর্ঘাত তো কিছু না কিছু ভাবে হয়েছেই।” 

    ট্যাম্পারিং করা হয়েছিল ইন্টারলকির সিস্টেমে?

    রেল কর্তাদের দাবি, তাদের ইন্টারলকিং সিস্টেম খুবই নিরাপদ এবং এখানে ত্রুটির সুযোগ কম। একটা সিগন্যালিং ব্যবস্থা এতটাই স্পর্শকাতর হয় যে, তার ত্রুটি মেরামত করার পর অন্তত ছয় থেকে সাতবার উন্নতমানের মেশিন এনে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে এত কম সময়ে বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত ০.০১ শতাংশ। ডিআরএম জানান, এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা কিছুদিন আগেই মেরামত করা হয়েছিল। তাহলে, সেখানে এই ধরনের বিপর্যয়ের অবকাশই নেই। ফলে, প্রাথমিক তদন্তের সঙ্গে রেলকর্তারা একমত যে, ইচ্ছাকৃতভাবে বদল ঘটানো বা ট্যাম্পারিং না হলে ইন্টারলকির সিস্টেমে পরিবর্তন করা যায় না। যে কারণেই এখানে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উঠে আসছে। ইন্টারলকিং সিস্টেমে হস্তক্ষেপের পিছনে উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতেই সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত।

     অনুসন্ধানে ১০ সদস্যের সিবিআই টিম

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকাণ্ডে (Odisha Train Accident) রেলের নিজস্ব তদন্তের পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই অনুযায়ী, সোমবার থেকেই তদন্ত শুরু করে দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ১০ সদস্যের টিম পৌঁছে গিয়েছিল বালাসোরে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি, কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ দল। বালাসোর স্টেশনের প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার-সহ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যেকের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

    কী হয়েছিল সেই সময়? জানতে চায় সিবিআই

    এছাড়া, খড়্গপুর জংশন থেকেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতিবিধি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনস ম্যানেজার (এসডিওএম), ডিওএম, ট্র্যাক লোকো কন্ট্রোলার (টিএলসি), সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালকের কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া লগবুক, স্পিডোমিটার, ওয়াকিটকি, সিইউজি ফোন (কমন ইউনিফায়েড গ্রুপ), পিএমইউ (পিরিয়োডিক্যাল মেডিক্যাল একজামিনেশন মেমো), রিফ্রেশার মেমো (ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট)– এই সব সামগ্রী রেলের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Odisha Train Accident) চালক ও সহকারী চালকের সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share