Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bihar Bridge Collapse: জলে গেল ১৭১০ কোটি! বিহারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ নদী-সেতু

    Bihar Bridge Collapse: জলে গেল ১৭১০ কোটি! বিহারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ নদী-সেতু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক যেন তাসের ঘর! বিহারের ভাগলপুরে একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গঙ্গার ওপর একটি নির্মীয়মাণ সেতু (Bihar Bridge Collapse)। ঘটনাটি রবিবার ঘটেছে ভাগলপুরে। ঘটনার সময় নদীর তীরে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন স্থানীয়। তাঁরা পুরো দৃশ্যটি মোবাইলবন্দি করেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

    প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি

    সুলতানগঞ্জ-আগুয়ানিঘাট সেতুটি ভাগলপুরকে জোড়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছিল। তবে, ওই সময় কোনও নির্মাণের কাজ চলছিল না। ফলে, ছিলেন না কোনও নির্মাণ-কর্মীও। যে কারণে, কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে সেতুটির ৩২৮ ফুট উঁচু অংশ সম্পূর্ণ গঙ্গায় মিশে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে তিনটি পিলার। ভাগলপুরের এসডিও ধনঞ্জয় কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ আচমকাই সেতুটির ৩টি স্তম্ভ ভেঙে পড়ে। যার জেরে মুহূর্তের মধ্যে গোটা সেতুটিই গঙ্গার জলে ধসে পড়ে। 

    একই সেতু ভাঙল দু-বার!

    এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এই নিয়ে এই সেতুটি দ্বিতীয়বার ভেঙে পড়ল (Bihar Bridge Collapse)। এর আগে, গত বছর এপ্রিল মাসে ভেঙে পড়েছিল সেতুটি। এর পর গত নভেম্বর মাসে রিভিউ বৈঠকে সেতু ভেঙে পড়ার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রথমবার সেতু ভেঙে পড়ার পরই আইআইটি রুরকির রিপোর্টে সেতুর কিছু অংশ পুনরায় তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই সরকার সেতুর নকশায় বদল এনেছিল। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবেন মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    প্রশ্নের মুখে নীতীশ প্রশাসন

    কিন্তু, সেই ঘটনার পর ১৪ মাস কাটতে না কাটতেই গতকাল যেভাবে সেতুর একাংশ ভেঙে (Bihar Bridge Collapse) পড়ল, তাতে প্রশ্নের মুখে নীতীশ কুমার প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সেতুর নির্মাণের জন্য ১৭১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। নির্মাণকাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। চলতি বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বর নাগাদ সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এদিনের ঘটনার পর, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জানান, সেতু ভেঙে পড়ার আসল কারণ জানতে তদন্ত করা হবে। আইআইটি মুম্বই, আইআইটি রুরকি ও এনআইআইটি-র অধ্যাপকরা এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘আইন আইনের পথে চলবে’’! কুস্তিগিরদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘আইন আইনের পথে চলবে’’! কুস্তিগিরদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিদ্বারের গঙ্গায় সব মেডেল ভাসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের অনুরোধে সেই পথ থেকে বিরত হন তাঁরা। এদিকে তাঁদের অরাজনৈতিক মঞ্চে চলতে থাকে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা। এতে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। পরে সরকারকে পাঁচ দিন সময় দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ‘ডেডলাইন’ শেষ হয় রবিবার। শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। এমনই দাবি করা হচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংস্থার রিপোর্টে। উল্লেখ্য, কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে পুলিশি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বজরং, সাক্ষীরা।

    কী আলোচনা হল অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে

    সূত্রের খবর, শনিবার রাত ১১টার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় কুস্তিগিরদের। বজরং, সাক্ষী-সহ চার জন কুস্তিগির শাহের বাসভবনে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের পুরো বক্তব্য শুনেছেন। তদন্তের গতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাক্ষীরা। কুস্তিগিরদের আশ্বস্ত করে শাহ বলেছেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’ এর আগে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আশ্বাস দিয়ে বজরং, সাক্ষীদের বলেছিলেন, ‘‘সব অভিযোগের তদন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে।’’ যদিও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনওভাবেই মুখ খুলতে চাননি বৈঠকে থাকা কুস্তিগিররা। 

    কী বলছে দিল্লি পুলিশ

    উল্লেখ্য, কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন বজরং, সাক্ষীরা। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগই খারিজ করেছেন ব্রিজভূষণ। এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় দিল্লি পুলিশে। যদিও দিল্লি পুলিশ জানায়, গ্রেফতার করার মতো অপরাধ করেননি ব্রিজভূষণ। যে ধারা দেওয়া হয়েছে, তাতে সাত বছরেরও কম সাজা হওয়ার কথা, যদি তা প্রমাণ হয়। অন্যদিকে তথ্যপ্রমাণ লোপাট অথবা সাক্ষীদের ভয় দেখানোর মতো কোনও কাজও করেননি ব্রিজভূষণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    Odisha Train Accident: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Odisha Train Accident) কেড়েছে ২৭৫টি প্রাণ। আর কোনওদিনও বাড়িতে ফিরবেন না তাঁরা। একদিকে প্রিয়জনকে হারানোর শোক, তার ওপর নিহতদের অনেকেই ছিলেন পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। ফলে, সব মিলিয়ে আতান্তরে নিহতদের পরিবারবর্গ। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমরাও। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৮০০ পার করেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের জখম গুরুতর। অনেকে জীবনভর কিছু করার ক্ষমতা হারিয়েছেন। বহু যাত্রীর অঙ্গহানি ঘটেছে। কারও কাটা পড়েছে হাত, কারও বা পা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতে কিছুটা মলমের প্রলেপ এনে দিতে পারে ক্ষতিপূরণের টাকা। 

    কীভাবে মিলবে ক্ষতিপূরণ?

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পরই রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। প্রতি মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুত্ব আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা জানিয়েছিল রেল। কিন্তু, কীভাবে মিলবে ক্ষতিপূরণের টাকা? অনেকের কাছে এই পদ্ধতি জানা নেই। তার ওপর, প্রিয়জনের দেহ এখনও অনেকে পাননি। যে পরিবার দেহ পেয়েছে, তাদের মানসিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক নয়। সকলে শোকে বিহ্বল। বাড়িতে শোকের ছায়া। অনেক পরিববার বুঝেই উঠতে পারছে না, এই সময়ে ঠিক কী করণীয়। 

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    মানতে হবে কিছু নিয়ম

    এমন অবস্থায়, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল রেল। ক্ষতিপূরণের (Odisha Train Accident) অর্থ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা কী ভাবে চাইতে হবে, সেই পদ্ধতিও জানানো হল। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল ক্ষতিপূরণ দাবি করার প্রক্রিয়াটি জানিয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিপূরণ পেতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের পরিবারের সদস্যরা কিংবা আহতরা বালাসোর স্টেশন কিংবা হাসপাতালে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। সঙ্গে ক্ষতিপূরণের সমস্যা এবং তার সমাধানের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল ৯৪৩৯৯ ৮১৯৯৯, ৭৯৭৮৪ ১৮৩২২ এবং ৮২৪৯৫ ৯১৫৫৯। এছাড়া ৬৪৮১০ নম্বরে ফোন করে ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নথিপত্র রেলকে দেখিয়ে পরিচয়ের প্রমাণ দিতে হবে।

    টিকিট না কাটলেও মিলবে ক্ষতিপূরণ

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮৫ জন যাত্রীকে মোট ৩.২২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ও ৫০ জন গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেলের তরফে আপাতত সাতটি জায়গা থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এগুলি হল-সোরো, খড়্গপুর, বালাসোর, খন্তপারা, ভদ্রক, কটক ও ভুবনেশ্বর। রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানিয়েছেন, কার টিকিট ছিল অথবা টিকিট ছিল না এই ঘটনা নির্বিশেষে সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা হবে।

    প্রিয়জনের খোঁজ পেতে হেল্পলাইন ১৩৯

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পর এখনও পর্যন্ত বালাসোর, সোরো এবং বাহানগা বাজার থেকে মোট ৭৭টি মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। সেগুলি যথাযথ নিয়ম মেনে তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের হাতে। অন্যদিকে ১৮২টি দেহ এখনও সনাক্ত করা যায়নি। এখনও মৃত পরিজনদের দেহ পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। তাদের পরিবারকে সহায়তা করতেই ১৩৯-এই হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মৃত ও আহদের পরিবার ১৩৯ নম্বরেও ফোন করতে পারেন। এই নম্বরে ফোন করলে, জোনাল রেলওয়ে ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। ২৪/৭ এই হেল্পলাইন নম্বর চালু রাখা হচ্ছে। ফোনের এ প্রান্তে থাকবেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Malviya: ‘‘মমতার জমানায় ট্রেন দুর্ঘটনা ৫৪টি, প্রাণ হারান ১৪৫১ জন’’, খোঁচা অমিত মালব্যর

    Amit Malviya: ‘‘মমতার জমানায় ট্রেন দুর্ঘটনা ৫৪টি, প্রাণ হারান ১৪৫১ জন’’, খোঁচা অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭৫। আহত ১,০০০ ছাড়িয়েছে। এই ঘটনায় রাজনীতি করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার সকালেই বালাসোরে রেল মন্ত্রককে কাঠগড়ায় তোলেন। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, কবচ না থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার তা খারিজ করে দেন রেলমন্ত্রী এবং তিনি বলেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সীমিত জ্ঞান থেকে এ ধরনের কথাবার্তা বলছেন।’’ অন্যদিকে, তাঁর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য রেলমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন মোট ট্রেন দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। বিজেপি নেতার মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ৫৪ টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং লাইনচ্যুত হয়েছে রেল, এমন ঘটনা ৮৩৯ বার ঘটেছে, প্রাণ গেছে ১,৪৫১ জনের।

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    অমিত মালব্য (Amit Malviya) কী লিখলেন ট্যুইটে?

    অমিত মালব্য (Amit Malviya) এদিন রীতিমতো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নীতিশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলের ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা তুলে ধরেন নিজের ট্যুইটে। মালব্য লেখেন, ‘‘যারা রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছে, তাদের রিপোর্ট কার্ড।’’

    ওই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নীতিশ কুমার রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে ৭৯টি। রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ১০০০ বার এবং মোট মৃতের সংখ্যা ১,৫২৭। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ৫৪টি রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে এবং রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ৮৩৯ বার। মারা গেছেন ১৪৫১ জন। অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদবের আমলে দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ৫১টি ঘটেছে, রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ৫৫০ বার এবং দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১১৫৯ জন। রবিবার বিকেলে এই ট্যুইট করেন অমিত মালব্য।

    মৃত্যু এবং ধ্বংসের রাজনীতির ওপরই দাঁড়িয়ে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    আরও একটি ট্যুইটে অমিত মালব্য লেখেন, সিঙ্গুর থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! তিনি সব সময়ই  ধ্বংস এবং মৃত্যুর রাজনীতি ওপরই দাঁড়িয়ে আছেন। উদ্ধার কাজের সময় তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন করার কোনও কথা ছিল না, কিন্তু তারপরেও তিনি ভুল তথ্য দিতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শুক্রবার বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানগা বাজার স্টেশনে সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভদ্রকের দিকে যাচ্ছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হাওড়াগামী যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসের অভিমুখ ছিল বালেশ্বরের দিকে। করমণ্ডলের বাঁ দিকের লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। সংঘর্ষে তালগোল পাকিয়ে যায় ৩টি ট্রেন। খেলনা গাড়ির মতো উল্টে যায় ট্রেনের একের পর এক কামরা। 

    এখনও পর্যন্ত মেলা খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের। আহতের সংখ্যা ৬৫০ পার করেছে। দুর্ঘটনার ফলে এখন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ওই শাখা। ফলস্বরূপ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-ভদ্রক শাখায় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া, শিয়ালদা থেকে পুরীগামী একাধিক ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। ঘুর পথে চালানো হচ্ছে আরও অনেক ট্রেন।

    এক নজরে বাতিল হওয়া ট্রেন—

    হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস
    হাওড়া-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস 
    হাওড়া-এর্নাকুলাম অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস
    হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস
    হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস
    হাওড়া-এসভিএমটি বেঙ্গালুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। 
    হাওড়া-তিরুপতি এক্সপ্রেস
    হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
    হাওড়া-চেন্নাই মেল
    হাওড়া-ভদ্রক বাঘাযতীন এক্সপ্রেস
    হাওড়া-যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    সাঁতরাগাছি-পুরী স্পেশাল
    শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস
    হায়দরাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস
    দিঘা-পুরী সমুদ্রকন্যা এক্সপ্রেস
    ত্রিবান্দ্রম-শালিমার এক্সপ্রেস
    চেন্নাই-শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস 
    শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস
    শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস
    শালিমার-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস

    এছাড়া, বাতিল হয়েছে—

    খড়গপুর-জয়পুর-কেওনঝড় রোড এক্সপ্রেস
    খড়গপুর বেলদা মেমু স্পেশাল
    খড়গপুর খুরদা রোড এক্সপ্রেস
    খড়গপুর ভদ্রক মেমু
    হাওড়া জয়সলমীর মেমু স্পেশাল
    বাংরিপোপোশি-ভুবনেশ্বর ইন্টারসিটি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস

    এছাড়াও, বেশ কয়েকটি ট্রেন টাটানগর দিয়ে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর (Odisha Train Accident)

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    Train Accident: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোর যেন ঠিক মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে। শুক্রবার বিকেল অবধি যে জায়গা স্বাভাবিক ব্যস্ত জনপদ ছিল। রাত থেকেই বদলে যায় তার চিত্র। হাহাকার, রক্তমাখা দেহ। কারও হাত আছে তো পা নেই আবার পা আছে তো হাত নেই। ভোররাতে সূর্যের অস্ফুট আলো ফুটে উঠতেই বোঝা যায় দুর্ঘটনা (train accident) কতটা ভয়ঙ্কর ছিল। রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলছেনা বদলে সারি সারি ভাবে সাদা কাপড়ে মোড়া মৃতদেহ। কামরার জানলাগুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে হাত-পা। জানা যাচ্ছেনা তারা জীবিত না মৃত। কারণ তা জানতে কামরার ভিতরে ঢুকতে হবে। কিন্তু তালগোল পাকানো কামরার ভিতরে ঢোকার প্রশিক্ষণ তো উদ্বারকারীদের জানা নেই। ভরসা এখন গ্যাস কাটার। সময় যত পেরবে ততই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা, এমনটাই জানাচ্ছেন উদ্বারকারীরা। 

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    স্থানীয়রাই প্রথম এগিয়ে আসে উদ্বারের কাজে

    উদ্বারের কাজে ত্রুটি কিছু রাখেনি সরকার। ড্রোন, স্নিপার ডগ এমনকি হেলিরকপ্টার পর্যন্ত ব্যবহার করছে এনডিআরএফের টিম। তবে সবথেকে আগে হাত বাড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই সমানতালে তাঁরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। শনিবার দুপুর অবধি খবর পাওয়া গেছে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং তা ২৬০ অতিক্রম করেছে আহত ৯০০ জনেরও বেশি। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার (train accident) সময় আমি কাছেই ছিলাম। প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আমরা উদ্ধার করেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ভিতরে চাপা পড়ে রয়েছে আরও বহু দেহ। এদিন আহতদের রক্ত দিতে বালাসোরের হাসপাতালে দেখা যায় স্থানীয়দের লম্বা লাইনও।

    ট্রেন যাত্রীর বিবরণ

    ট্রেনের এক যাত্রী তো নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছেন। তিনি বলেন, ‘‘তখন ঘুমাচ্ছিলাম ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠে দেখি প্রায় ১০-১৫ জন আমার উপরে পড়ে আছে। আমি হাত ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন আমি ট্রেন থেকে নামলাম দেখি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। একটি পা এখানে, একটি হাত সেখানে। কারও মুখ বিকৃত।’’ 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    Coromandel Express Accident: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮-ঘণ্টা। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। একদিকে প্রতি ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে, হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়। এরমধ্যেই, দুর্ঘটনার জেরে করমণ্ডল ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়ায় ফিরল বিশেষ ট্রেন। আরও ১০০০ যাত্রীকে নিয়ে পরে আরও একটি ট্রেন আসবে বলে জানা গিয়েছে। 

    হাওড়া পৌঁছল বিশেষ ট্রেন

    শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন এসে পৌঁছল হাওড়ায়। শুক্রবার রাতভর হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের আত্মীয়-পরিজন, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল চরমে। দূরপাল্লার দুই ট্রেন মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার যাত্রী ছিলেন। তাঁদের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের সারা রাত ধরে হাজির হতে দেখা গেল হাওড়ার রেল স্টেশনে। হাওড়া পৌঁছনোর খড়্গপুর স্টেশনে যাত্রীদের জল, চা এবং খাবার দেওয়া হয়। হাওড়া পৌঁছতেই স্টেশনেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান তাঁরা। রেলসূত্রে খবর, আরও যাত্রী নিয়ে হাওড়া ফিরছে স্যর এম বিশ্বেশ্বরায়-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। অন্যদিকে, একটি বিশেষ ট্রেন আটকা পড়া যাত্রীদের নিয়ে শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ভদ্রক থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    এদিকে, দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর দ্রুততার সঙ্গে একাধিক হেল্পলাইন খোলা হয়েছে রেলের তরফে। পাশাপাশি চালু হয় ২৪ ঘণ্টার হেল্প ডেস্ক। সরাসরি দুই ট্রেনের যাত্রীদের বাড়ির লোক রেলের সাহায্য নিতে পারবেন। 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে দেখা করবেন আহতদের সঙ্গে। পরিদর্শন করবেন দুর্ঘটনাস্থল (Odisha Train Derailment)। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সূত্রের খবর রেল দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজ, আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সেখানে গিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    দুপুর আড়াইটায় ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নামার কথা প্রধানমন্ত্রীর

    রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬১ এবং আহত ৯০০ এর বেশি মানুষ। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কীভাবে ঘটল এই রেল দুর্ঘটনা তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় রেল। সূত্রের খবর, আজ দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে (Odisha Train Derailment) যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জানা গেছে প্রথমে তিনি বালাসোরে যাবেন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সোজা রওনা হবেন দুর্ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে তিনি যাবেন কটক হাসপাতালে। রেল দুর্ঘটনায় আহত শতাধিক যাত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কারা ছিলেন বৈঠকে

    আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলের উদ্ধারকাজ, আহত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বাকি আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। ভারতীয় রেল এনডিআরএফ-এর আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। 

    রেলের পর প্রধানমন্ত্রীও দুর্গতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন

    নিহতদের পরিবার কিছু দশ লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমদের জন্য দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় রেল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এদিন ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: কীভাবে ঘটল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা? উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব

    Odisha Train Accident: কীভাবে ঘটল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা? উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল বালাসোর। যাকে বলা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এই শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৬৫০। রেলের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। কীভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল?

    উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব

    এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তিন-তিনটি ট্রেন— দুটি যাত্রী ও একটি মালগাড়ি একসঙ্গে এক জায়গায় চলে আসে। জট পাকিয়ে যান তিন গাড়ির কামরা। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে স্থানীয় সূত্রে একাধিক তত্ত্ব উঠে আসছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেই তত্ত্বগুলো—

    তত্ত্ব ১: প্রথমে ১২৮৬৪ ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে। সেই লাইন দিয়ে আসছিল ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কামরাগুলোতে সজোরে এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ধাক্কার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত কামরাগুলি পাশের লাইনে দাঁড়ানো মালগাড়ির ওপর গিয়ে পড়ে। মালগাড়ির ওপরে উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন। দেশলাইয়ের বাক্সের মতো উল্টে যায় একের পর এক কামরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘গোড়ায় গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, সর্বোত্তম স্বাস্থ্য সেবা’’, বালাসোরে রেলমন্ত্রী

    তত্ত্ব ২: নির্ধারিত গতিতে চলছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হঠাৎ করেই মালগাড়িটি সামনে চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রেনটি। সংঘর্ষের অভিঘাতে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা, বাকি কামরা রেল লাইনের উপরে উল্টে যায়। কিছু কামরা পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে। তাতে এসে ধাক্কা মারে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।

    তবে কি করমণ্ডল ও বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস জোড়া ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে সিগন্যাল ত্রুটি? নাকি চালকের ভুলেই ঘটে গেল ভয়াবহ ও মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা নিয়ে প্রকৃত কারণ জানতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে রেল। সেই রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে, ঠিক কী ঘটেছিল শুক্রবার সন্ধ্যায়।

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল এমার্জেন্সি(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল এনক্যোয়ারি(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

    আরও পড়ুন: আহতদের দেখতে বালাসোরে সুকান্ত! শুভেন্দু পাঠালেন ১৫ অ্যাম্বুল্যান্স

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোরে সুকান্ত! শুভেন্দু পাঠালেন ১৫ অ্যাম্বুল্যান্স

    Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোরে সুকান্ত! শুভেন্দু পাঠালেন ১৫ অ্যাম্বুল্যান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Derailment) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩ পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০০। তাঁদের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে। শুক্রবার ভোররাতেই ফকির মোহন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ২ সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে আহতেদের সঙ্গে কথাও বলেন বালুরঘাটের সাংসদ। অন্যদিকে এই বিপর্যয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠালেন দুর্ঘটনাস্থলে। নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একথা জানান শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    নিজের স্যোশাল মিডিয়াতে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘করমন্ডল এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনার (Odisha Train Derailment) খবরে আমি উদ্বিগ্ন। রেল দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস তাঁরা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কুড়িজনের মেডিকেল টিম দুর্ঘটনা স্থলে সাহায্যের জন্য রয়েছেন।’’ প্রথমে তিনি ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠান পরে আরও ৫টি।

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতি

    শুক্রবার ভোররাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বালাসোরে হাসপাতালে পৌঁছান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে জগন্নাথ লেখেন, ‘‘করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার (Odisha Train Derailment) খবর পেয়ে মাঝরাতে কলকাতা থেকে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শ্রী সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গী হই আমরাও। ভোরবেলা আমরা পৌঁছায় বালাসোর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। করমণ্ডল ছিল অ্যাম্বুলেন্স এক্সপ্রেস। বালেশ্বর হাসপাতালে হাত-পা ভাঙা, মাথায় চোট, থেঁতলে যাওয়া রোগীদের অধিকাংশই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণ ভারতে গায়ে গতরে খাটার কাজ করতে যাচ্ছিলেন। বেশিরভাগই সংখ্যালঘু। হতভাগ্য আমরা। অ্যাম্বুলেন্স এক্সপ্রেস এখন পরিযায়ী এক্সপ্রেসে পরিণত হয়েছে। মর্গের কথা আর বলছি না। কাজের খোঁজে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারানো স্বজনদের জন্য কিছু বলার ভাষা নেই। ভগবান তাঁদের সহায় হোন।’’

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    হাওড়া স্টেশনের জন্য:০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়গপুর স্টেশনের জন্য: ৮৯৭২০৭৩৯২৫,৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর স্টেশনের জন্য: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯,৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার স্টেশনের জন্য: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share