Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • S400: এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম-এর তৃতীয় স্কোয়াড্রন দ্রুত আসতে চলেছে ভারতে! জানালেন রাশিয়ার দূত

    S400: এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম-এর তৃতীয় স্কোয়াড্রন দ্রুত আসতে চলেছে ভারতে! জানালেন রাশিয়ার দূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৫ টি এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার চুক্তি সই করেছিল ভারত। তার তৃতীয় স্কোয়াড্রন দ্রুত ভারতে আসতে চলেছে। এটি প্রায় প্রস্তুত বলে জানালেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপোভ। এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম রাশিয়ার সবথেকে আধুনিক শক্তিশালী দূরপাল্লার মিসাইল সিস্টেম হিসেবে পরিচিত। 

    অত্যাধুনিক সক্ষমতা

    ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভারতকে (india) এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের তৃতীয় স্কোয়াড্রন সরবরাহ করবে রাশিয়া। প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন আগেই ভারতে এসেছে। সেগুলি যথাক্রমে উত্তর ও পূর্ব সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্টে আঘাত হানতে পারবে এই মিসাইল। ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে উড়ে যাওয়া মানুষবিহীন আকাশযানের উপরও আঘাত হানতে সক্ষম এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া থেকে আনায়, ভারতের ওপর না খুশি ছিল আমেরিকা। তবে তা পরে মেনে নেয় মার্কিন কংগ্রেস। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে কোনও কিছুর সঙ্গেই আপোস করতে রাজি ছিল না ভারত।

    আরও পড়ুন: ‘বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরুন’, বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    গেম-চেঞ্জার

    প্রসঙ্গত, ভারত এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করে। এস-৪০০-কে একটি গেম চেঞ্জার বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে চিন অন্যদিকে, পাকিস্তানকে রুখতে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা অনেকটাই সহায়ক হবে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মত। চিন এবং ভারত উভয়েই তাদের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর মোতায়েন করেছে। তবে চিনের তুলনায় ভারতীয় সিস্টেমের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে লালফৌজের অনুপ্রবেশের তৎপরতা ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বছরে এস-৪০০ এর তৃতীয় স্কোয়াড্রন আসার খবর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Union Budget: ‘বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরুন’, বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    Union Budget: ‘বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরুন’, বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেট পেশ করার পর অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিজেপি সংসদীয় বৈঠক। বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠক থেকেই দলকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি, যা সাধারণ মানুষের জন্য কার্যকরী, তা জনগণের দরবারে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বাজেটে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা জরুরি বলে দলীয় সাংসদদের বোঝান প্রধানমন্ত্রী। সংসদীয় বৈঠকে তিনি বলেন, “বাজেটটি জনগণের পক্ষে এবং সকলের জন্য, ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের জন্য। যদিও এটি লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট, তবে কেউ এটিকে ‘ চুনাভি’ বাজেট বলছে না। এমনকি বিরোধীরাও এর প্রশংসা করেছে।”

    বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট ঘোষণার পর প্রথম তিনি বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে ভাষণ দেন। বৈঠকে যোগ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই বাজেটকে ভোটমুখী বলা যায় না। কারণ তাঁরা ভোটের দিকে চেয়ে বাজেট করেননি, বাজেট করা হয়েছে জনতার দিকে চেয়ে। তাই এই বাজেট জনমুখী। বাজেট ২০২৩-এ একাধিক এমন বিষয় রয়েছে, যেখানে ‘সকলের জন্য’ কিছু না কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সেই সুবিধার ভালো দিকগুলিকে মানুষের কাছে যেন বিজেপি নেতা কর্মীরা প্রচার করেন। দলীয় সংসদ সদস্যদের তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিশেষত মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির কাছে গিয়ে যাতে এই বাজেট নিয়ে জোরালো প্রচার হয়, তার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। বাজেট থেকে মধ্যবিত্তরা কোন কোন উপকার পেতে চলেছেন, তার বিস্তারিত যেন জানানো হয় সাধারণ মানুষকে, সেই নির্দেশ দেন নরেন্দ্র মোদি।

    তিনি বলেছেন, “বর্তমানে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে এই বাজেট আনা হয়েছে। এই বাজেটে সব স্তরের মানুষের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।” বিশেষত যুবসমাজের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছোনর জন্য খেলাধুলো ও প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানের উপরও জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের পাশেও যে সরকার আছে তা প্রচারের ক্ষেত্রেও জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

    দলের সংসদীয় বৈঠকে উপস্থিত বিজেপির একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বাজেটের সেরা স্কিমগুলি সম্পর্কে কথাটি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি দল গঠন করেছি এবং এখন  রাজ্যের জন্য ব্যয় চেক করতে এবং সেগুলি মন্ডল স্তরে প্রচার করতে নাড্ডা প্রতিটি রাজ্যের সাংসদকে তাঁদের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে।”

  • Maharashtra: মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি লিখে পদ ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের সিএলপি নেতা বালাসাহেব থোরাট

    Maharashtra: মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি লিখে পদ ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের সিএলপি নেতা বালাসাহেব থোরাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস। ভাঙন ধরল মহারাষ্ট্র কংগ্রেস জোটে। পদ ছাড়তে চেয়ে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি লিখলেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেস লেজিসলেটিভ পার্টির নেতা বালাসাহেব থোরাট। কিছুদিন আগেই থোরাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানিয়েছিলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে থোরাট জানিয়েছেন, তিনি মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান নানা পাটোলের সঙ্গে কাজ করতে পারছেন না। তাঁর উপর পাটোলের রাগ আছে বলে জানিয়েছিলেন থোরাট। খাড়গেকে লেখা চিঠিতে থোরাট জানিয়েছেন, তিনি অপমানিত বোধ করছেন এবং পাটোলে তাঁর বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যাতে মনে হয় তিনি বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখছেন

    একই অভিযোগ করেছিলেন তাম্বে

    থোরাট এবং পাটোলের মতো রাজ্য কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের নির্বাচনের সময়। থোরাটের শ্যালক সত্যজিৎ তাম্বে এর আগে অভিযোগ করেন, তাঁকে নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়নি। রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ৪০ হাজারেরও বেশি পদে কর্মী নিয়োগ করবে ভারতীয় ডাক বিভাগ, জানুন বিস্তারিত 

    তাম্বের জায়গায় টিকিট দেওয়া হয়েছিল তাঁর বাবাকে। নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ে নাসিক টিচার কেন্দ্র থেকে মহা বিকাশ আঘাড়ি প্রার্থী শুভাঙ্গি পাতিলকে হারান তাম্বে। রাজ্য নেতৃত্ব নিয়ে তার ক্ষোভকে সে সময় চাপা দিয়েছিলেন বালাসাহেব থোরাট। বাবা-ছেলে তাম্বেদের প্রতি তাঁর সমর্থন নীরব সমর্থন হিসেবেই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। পরে সত্যজিৎ এবং তাঁর বাবা সুধীর তাম্বেকে বরখাস্ত করে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস। 

    এর আগে সত্যজিৎ তাম্বে সরাসরি অভিযোগ করে বলেছিলেন, কিছু কংগ্রেস নেতা এবং নানা পাটোলে তাঁকে ভুল ফর্ম পাঠিয়েছিলেন। সে কারণেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হয় তাঁকে। তিনি এও অভিযোগ করেন, থোরাটকে নিশানা করে নিয়েছেন পাটোলে এবং দলের কিছু নেতা এমন করছেন, যেন যা খুশি করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু তা চলতে দেওয়া যায় না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

  • Mohan Bhagwat: “জাতিপ্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি”, দাবি আরএসএস প্রধানের

    Mohan Bhagwat: “জাতিপ্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি”, দাবি আরএসএস প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাস্ত্রে উঁচুনিচু জাত বলে কিছু হয় না। ঈশ্বরের সামনে সব মানুষই সমান। এমনই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “জাতিভেদ প্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি।”

    কী বললেন মোহন ভগবত? 

    এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শাস্ত্র নিয়ে যারা ব্যবসা করেন, তাদের একহাত নেন মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ঈশ্বরের কাছে সকলেই সমান। সেখানে জাতি কিংবা শ্রেণির ভিত্তিতে কোনও ভেদাভেদ নেই। শাস্ত্রের নামে অনেক পণ্ডিত যা বলেন, তা আসলে মিথ্যা। জাতির মধ্যে উঁচু নিচু ভেদাভেদ করার কথা শাস্ত্রে বলা হয়নি, তা আসলে পুরোহিত শ্রেণির তৈরি করা।”

    আরও পড়ুন: নারীর যৌনসুখ কমাতে যৌনাঙ্গচ্ছেদন! ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন

    সন্ত শিরোমণি রোহিদাস-এর ৬৪৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মুম্বইয়ের রবীন্দ্র নাট্য মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat)। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা যায় এই উদারনীতির কথা। এর আগে সাধারণত আরএসএসের নেতাদের মুখে কট্টরনীতির কথাই শোনা গিয়েছে বার বার। কিন্তু এবারের আরএসএস প্রধানেফ মুখে শোনা গেল অন্যরকম সুর। জাতপাতের ভেদাভেদকে সরিয়ে রেখে মানবতার কথা বললেন সংঘ প্রধান। তুলসীদাস, কবীর, সুরদাসের মতো ধর্মপ্রচারকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই মনিষীদের মতোই সাধারণ মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছিলেন সন্ত শিরোমণি রোহিদাস। শুনিয়েছিলেন সত্য, সংবেদন, পবিত্রতা এবং নিরন্তর কঠোর পরিশ্রমের মন্ত্র। শাস্ত্রের বিচারে ব্রাহ্মণদের হারানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ঈশ্বরের অভিমুখী করে তুলতে পেরেছিলেন তিনি।”

    এরপরেই পুরোহিতদের (Mohan Bhagwat) একাংশকে নিশানা করে তিনি বলেন, “আমরা যে যাই কাজ করি না কেন, সবকিছুই সমাজের উপকার করে। আর সেই বিচারে কোনও কাজের ছোট বড় হয় না। তাহলে মানুষের মধ্যেই বা বৈষম্য থাকবে কেন?

    যদিও শাস্ত্রব্যবসায়ীদের বিঁধলেও হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তাঁর মত, “কোনও পরিস্থিতিতেই নিজের ধর্ম ত্যাগ করা উচিত নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     
  • Khatna: নারীর যৌনসুখ কমাতে যৌনাঙ্গচ্ছেদন! ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন

    Khatna: নারীর যৌনসুখ কমাতে যৌনাঙ্গচ্ছেদন! ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের (Khatna) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল, নারীর যৌন অঙ্গচ্ছেদের এই নির্মম প্রথা একেবারে নির্মূল করা। আজও পৃথিবীর অনেক দেশেই এই বর্বর প্রথা রয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বেশি দেখা যায় এই প্রথা। ভারতে এই প্রথার না ‘খৎনা’। 

    আসুন জেনে নেওয়া যাক, ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন কী এবং নারী যৌন অঙ্গচ্ছেদের জন্য আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবসের ইতিহাস। 

    আরও পড়ুন: জেইই মেইন সেশন ১ – এর ফল প্রকাশিত হল, কী করে দেখবেন? 

    নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দিবস কবে?

    ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের (Khatna) বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন ছিল গত সোমবার। নারীদের প্রতি এমন নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৬ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের লক্ষ্য হল, ২০৩০ সালের মধ্যে এই কুপ্রথা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। 

    এই দিনটির ইতিহাস

    এই দিবসটি চালু করেন নাইজেরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্টেলা ওবাসাঞ্জো (Khatna)। তিনি নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ক্যাম্পেইনের মুখ ছিলেন। ২০০৩ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম এই দিনটি পালনের ঘোষণা করেন তিনি। পরবর্তীতে জাতিসংঘও এই দিনটিকে স্বীকৃতি দেয়।  

    জাতিসংঘ ২০০৭ সালে মহিলাদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান (Khatna) শুরু করে। ২০১২ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৬ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

    ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন কী?

    ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ (Khatna) বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত এক প্রথা। যে প্রথা অনুযায়ী নারীর যৌনাঙ্গের বাহ্যিক অংশ, ক্লিটোরিস সাধারণত ব্লেড দিয়ে কেটে  ফেলা হয়। নারীর সতীত্ব রক্ষার দোহাই দিয়ে এই কাজ করা হয়। আসলে নারীর যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থেই পুরষতান্ত্রিক সমাজ এই প্রথার প্রচলন করে। সাধারণত ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ক্লিটোরিস বা যৌন সুখানুভূতির প্রত্যঙ্গটি কেটে দেওয়া হয়! যুগ যুগ ধরে কন্যা শিশুদের উপর এই অত্যাচার চলে আসছে সামাজিক নিয়মের নাম করে।

    সাধারণত বাড়ির বয়স্ক মহিলারাই বাড়ির সম্ভ্রম রক্ষার জন্যে কন্যা সন্তানদের যৌন আনন্দকে দমিয়ে রাখতে এই প্রথা পালন করে থাকেন। তাদের বিশ্বাস মেয়েদের যৌনাঙ্গ ছেদ করলে  তা তাদের শুদ্ধ করে তোলে। বেশিরভাগ সময়ই এই কাজের সময় মেয়েদের অজ্ঞান করা হয় না। ফলে নারীরা তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     
     

     

     

      

  • Ethanol: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো পেট্রোলের সরবরাহ ১১টি রাজ্যে

    Ethanol: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো পেট্রোলের সরবরাহ ১১টি রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর সঙ্গেই ২০ শতাংশ ইথানল যুক্ত পেট্রোল (ফুয়েল E20) চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল দেশের ১১ টি রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে ইথানল মিশ্রণে বড় সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। ঠিক ছিল, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ২০ শতাংশ করে ইথানল মেশানো হবে পেট্রোলে। কিন্তু তার আগেই ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে এই উদ্যোগ শুরু করা হল। 

    ইন্ডিয়া এনার্জি উইক ২০২৩

    কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইক ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনের সময় মোদির সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও রাজ্যপাল ঠাওয়ার চাঁদ গেহলট। সোমবার এই এনার্জি উইকের সূচনা হয়। দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। আর এই দিনেই ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের সরবরাহের কথা বলা হয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে, পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত হয় (১০শতাংশ ইথানল, ৯০ শতাংশ পেট্রোল) এবং সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে এই পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চাইছে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা পেট্রোলে ইথানলের মিশ্রণ ১.৫ শতাংশ (২০১৪ সালে) থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছি এবং এখন ২০ শতাংশ মিশ্রণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।” আরও জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে, ১৫টি শহরকে কভার করা হবে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি সারা দেশে সম্প্রসারিত হবে।

    ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলে কী কী সুবিধা হবে?

    প্রথমত, এতে কার্বন নিঃসরণ কমবে, যা পরিবেশের পক্ষে ভালো। গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব কমবে। দ্বিতীয়ত, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। ভারতের কৃষকদেরও খুবই উপকার হবে। এর ফলে ভারতের কৃষকদের ৪০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার উপকার হবে। পেট্রোলের দাম বৃদ্ধিতে রাশ টানতেও কার্যকর হতে পারে ইথানলের মিশ্রণ৷ পেট্রোলের সঙ্গে ইথানল মিশ্রণের ফলে ক্রুড অয়েল আমদানির ওপর ভারত যে আরব ডলার খরচ করে, তা অনেকটাই বেঁচে যাবে। কারণ প্রতি বছর ভারত অনেক টাকার ক্রুড অয়েল আমদানি করে বিভিন্ন দেশের থেকে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ সালে ৫% ইথানল মিশ্রিত করা হয়েছিল পেট্রোলে। অন্যদিকে, ২০১৩-১৪ সালে ভারতে পেট্রোলে মাত্র ১.৫৩ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত করা হয়েছিল। বর্তমানে ভারত সরকার পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। এর ফলে প্রায় ১০০০ কোটি লিটার ইথানলের প্রয়োজন হবে। ইথানলের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা তেল আমদানি করার প্রক্রিয়া কম হয়ে যাবে।

  • Delhi Mayor Election: ফের ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন, এই নিয়ে  তৃতীয়বার

    Delhi Mayor Election: ফের ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন, এই নিয়ে তৃতীয়বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারও ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র, ডেপুটি মেয়র নির্বাচন (Delhi Mayor Election)। এই নিয়ে তিনবার এমনটা ঘটল। মেয়র নির্বাচনের জন্য ফের পরবর্তী দিন ঘোষণা করবেন দিল্লির উপ রাজ্যপাল। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু হয় দিল্লির পুর অধিবেশন। প্রথমে ঘোষণা মতো মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার সত্য শর্মা।

    কী জানা গেল? 

    কিন্তু এরপরেই তিনি ঘোষণা করেন, মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন অল্ডারম্যান সদস্যেরা (Delhi Mayor Election)। এই ঘোষণা আসা মাত্রই অশান্তি শুরু হয়ে যায়। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সদস্যেরা। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে আপ এবং বিজেপি। এর কিছুক্ষণ পরেই মেয়র নির্বাচন না করেই মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন।

    আপ নেতাদের দাবি, আপ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্রশ ভোটিং-এর সম্ভাবনা থাকছে। তাছাড়া, বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর,  আগামী ১০ দিনের মধ্যে মেয়র নির্বাচন সারতে এবং শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে সেই নির্বাচন করানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে আপ।

    এর আগে ৬ এবং ২৪ জানুয়ারিও মেয়র নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে (Delhi Mayor Election)। কিন্তু সে দিন অধিবেশনের শুরুতেই হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায় আপ এবং বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা মেয়র নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। কিন্তু সেই অধিবেশনও ভন্ডুল হয়ে যায়। সোমবার তৃতীয় বার নির্বাচনের জন্য দু’দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এ বারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায়, মেয়র নির্বাচন ঘিরে রাজধানীতে জট রয়েই গেল।

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত 

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নির্বাচন হয় দিল্লি পুরসভায়। নির্বাচন শেষে ২৫০ আসনের পুরনিগমের ১৩৪টিতে জয়ী হয় আপ (Delhi Mayor Election)। গত ১৫ বছর ধরে দিল্লি পুরনিগম ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কিন্তু এবার তারা পেয়েছে ১০৪টি আসনে। কংগ্রেস পায় ৯ টি আসন। সেই হিসাবে দিল্লি পুরসভার মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র প্রার্থী আপ-এরই হওয়ার কথা। দিল্লি পুরনিগম আইন, ১৯৫৭ অনুযায়ী নির্বাচনের পরই প্রথম অধিবেশনেই মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে ২মাস কেটে গেলেও মেয়র নির্বাচন করতে পারেনি পুরনিগম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • INS Vikrant: আত্মনির্ভরতার দিকে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের, আইএনএস বিক্রান্তে নামল লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট

    INS Vikrant: আত্মনির্ভরতার দিকে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের, আইএনএস বিক্রান্তে নামল লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে আরও এক পা এগোল ভারত। প্রথমবারের জন্য দেশীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রান্তে (INS Vikrant) অবতরণ করল ভারতে তৈরি ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’ বা  এলসিএ। এটি নৌবাহিনী ভার্সনের একটি প্রোটোটাইপ। আজই আইএনএস বিক্রান্ত থেকে উড়েছে এলসিএ। গত সেপ্টেম্বরই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আইএনএস বিক্রান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভু্ক্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের   

    জানা গিয়েছে, সোমবার আইএনএস বিক্রান্তে (INS Vikrant) এলসিএ ওঠানামা করার ফলে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য আরও বেশি করে স্বীকৃতি পেল। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত যে আত্মনির্ভরতার  লক্ষ্য নিয়েছে, তাও নতুন গতি পেল। এক আধিকারিক বলেন, “আজ যে কাজটা করা হল, সেটার মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো যুদ্ধবিমান নিয়ে দেশীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার তৈরি করা এবং চালানো নিয়ে ভারতের ক্ষমতা ফুটে উঠল।”

     

    অপর এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে যখন পুরোপুরিভাবে কাজ শুরু করার জন্য আইএনএস বিক্রান্তে (INS Vikrant) গুরুত্বপূর্ণ ট্রায়াল চলছে, তখনই এলসিএ ওঠানামা করল। পরীক্ষামূলকভাবে ওঠানামা করছে বিমান। যে প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছে মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান। যে যুদ্ধবিমান এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার থেকে অবতরণের জন্য স্কাই-জাম্প ব্যবহার করে। আইএনএস বিক্রান্তে মোট ১২ টি মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান মোতায়ন করা হতে পারে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Amit Shah: বিজেপির শাসনে ত্রিপুরায় আর গোলা-বারুদের শব্দ শোনা যায় না, প্রচারে গিয়ে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: বিজেপির শাসনে ত্রিপুরায় আর গোলা-বারুদের শব্দ শোনা যায় না, প্রচারে গিয়ে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর সাত দিন পরেই ত্রিপুরায় হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। এবার ময়দানে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এই মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরায় রয়েছেন তিনি। সোমবার ত্রিপুরায় একাধারে দুটি জনসভা এবং এক পদযাত্রা করলেন বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। শান্তিরবাজারে জনসভার মধ্য দিয়েই নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন। আর বক্তব্যের শুরুতেই বাম-কংগ্রেসের দিকে আক্রমণ শানালেন তিনি। সভা থেকে বাং-কংগ্রেস জোটকে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি বিজেপির উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি।

    কী বললেন শাহ?  

    ত্রিপুরাসুন্দরীকে প্রণাম জানিয়েই বক্তব্য শুরু করেন শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “৫ বছরে ত্রিপুরায় বদল এসেছে। আগে উগ্রবাদ, ড্রাগ পাচার, মানব পাচার, ভ্রষ্টাচার, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চলত। বিজেপির দুই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দে ও মানিক সাহার তৎপরতায় এই সমস্ত বন্ধ হয়েছে। প্রতিটি ঘরে জল, বিদ্যুৎ, গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছেছে। সুরক্ষার বাতাবরণ এসেছে।” 

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, জবকার্ডে আধার সংযোগ হয়নি, কেন্দ্রের বরাদ্দ আটকানোর ভয়ে নবান্ন?

    তিনি আরও বলেন, “সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি স্থাপনে মোদী সরকার বিশেষ তৎপর হয়েছে। ত্রিপুরায় আজ গোলাগুলির বদলে রেল আর বিমানের শব্দ মেলে। ৪০ হাজার আদিবাসীকে স্থায়ী চাকরি দিয়েছি।”

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) এদিন বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৫ বছরে কখনও আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হয়নি। আমরা এক দরিদ্র আদিবাসী ঘরের মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করিয়েছি। আদিবাসীদের উন্নয়নে সারা দেশে ৩১ হাজার বাজেট বাড়িয়ে ৮৬ হাজার বরাদ্দ করেছি।”

    বাম-কংগ্রেসকে এদিন একহাত নেন শাহ (Amit Shah)। তাঁর কথায়, “সিপিএম জিততে পারবে না জেনেই কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধেছে। তিপ্রামথার সাথে গোপনে সমঝোতা করেছে।” বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতির অভিযোগ, বাম-কংগ্রেস ভোট দেওয়া মানে ত্রিপুরায় হিংসার পরিবেশ তৈরি করা।”

    তবে এদিন জনসভা থেকে তৃণমূলের নাম একবারও নেননি শাহ (Amit Shah)। ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলতে শোনা যায়নি তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের মত, ত্রিপুরায় যে তৃণমূলের কোনও প্রাসঙ্গিকতাই নেই, শাহের এদিনের বক্তৃতা থেকেই তা স্পষ্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Central DA: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    Central DA: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। মার্চ মাসের শুরুতেই ফের ডিএ (Central DA) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ৪ শতাংশ ডিএ বেড়ে হতে পারে ৪২ শতাংশ। গত বছর অক্টোবরে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেবারও বেড়েছিল ৪ শতাংশ। কার্যকর হয়েছে ওই বছরের ১ জুলাই (July) থেকে। ফের বাড়বে ৪ শতাংশ। কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি (January) থেকে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল ও ১ জুলাই ৩ ও ৪ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এ বারেরটা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়বে ১১ শতাংশ। কেন্দ্র এবার ডিএ ঘোষণা করলে নয়া ব্যবস্থায় কেন্দ্রের সঙ্গে  এ রাজ্যের ডিএ-র ফারাক বেড়ে হবে ৩৯ শতাংশ।

    ডিএ…

    অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র বলেন, ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি শিল্পক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য উপভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএ (Central DA) ৪.২৩ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে দশমিকে ডিএ বাড়ায় না সরকার। তাই ডিএ ৪ শতাংশ বেড়ে হতে পারে ৪২ শতাংশ। তিনি জানান, অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ রাজস্ব প্রভাব সহ ডিএ বাড়ানোর একটি প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে।সূত্রের খবর, কেবল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদেরই নয়, ডিএ বাড়বে পেনশনভোগীদেরও। ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় নয়া হারে ডিএ দিতে শুরু করে কেন্দ্র। তার পর রীতি মেনে ফি বছর জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু বার ডিএ বাড়াতে থাকে। সেই মতোই জুলাইয়ের পর জানুয়ারি থেকে বাড়তে চলেছে ডিএ।

    আরও পড়ুুন: ‘ঈশ্বরের কাছে জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই’, রোহিদাসের জন্মবার্ষিকীতে বার্তা ভাগবতের

    জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিএ (Central DA) বৃদ্ধি কার্যকর হবে। বর্তমানে এক কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী ৩৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। এদিকে, তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মীদের ডিএ মেটানো হয়নি। এর পর আদালত অবমাননার অভিযোগে যখন ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইউনিটি ফোরাম নামে একটি সংস্থা, তখন পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share