Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Note Exchange: আজ থেকে শুরু ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া! জেনে নিন নানা নিয়ম

    Note Exchange: আজ থেকে শুরু ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া! জেনে নিন নানা নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল ২০০০ টাকার নোট বদলের (Note Exchange) প্রক্রিয়া। আজ, মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চে বদলে দেওয়া হবে ২০০০ টাকার নোট। কোনও ফর্ম পূরণ করতে হবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্পষ্টভাবে বলেছে যে ২ হাজার টাকার নোট বিনিময়ের জন্য ব্যাঙ্কে কোনও ফর্ম পূরণ করতে হবে না বা কোনও পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে না। আপনি একবারে ২ হাজার টাকার ১০টি নোট পরিবর্তন করতে পারেন। 

    নোট বদল করতেই হবে

    ২০০০ টাকার নোট বাতিলের (Note Exchange) ঘোষণা করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আরবিআই জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে ২ হাজার টাকার নোটটি সরিয়ে নেওয়া হবে। আরবিআই গভর্নর জনসাধারণকে তাড়াহুড়ো করতে বারণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এবার প্রায় ৪ মাস সময় আছে মানুষের হাতে তাই কোনও চিন্তা করার দরকার নেই।

    কীভাবে নোট বদল 

    আজ অর্থাৎ ২৩ মে থেকে ২০০০ টাকার নোট (Note Exchange) ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করা যাবে। তার বদলে অন্য টাকা নেওয়া যাবে। গ্রাহকরা তাঁদের নিকটতম ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় যেতে পারেন। সেখানে নিজের অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ দিয়ে ২০০০ টাকার নোট জমা কিংবা বদল করে নিতে পারেন। ব্যাঙ্কগুলি আপনাকে একটি রিক্যুইজিশন স্লিপ দিতে পারে। সেগুলি গ্রাহককে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। সেই স্লিপে নাম, কত টাকা বদল করতে চান, কতগুলি নোট রয়েছে ইত্যাদি উল্লেখ করতে হতে পারে। এছাড়া, গ্রাহকদের বিনিময়ের স্থান এবং তারিখও উল্লেখ করতে হবে। তারপরে গ্রাহকরা তাঁদের ২০০০ টাকার নোট সহ ব্যাঙ্কের দেওয়া ফর্মটিতে সই করে তা জমা দেবেন।

    বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভিন্ন নিয়ম

    বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মোট ৯০০০ শাখা এবং আরবিআই-এর আঞ্চলিক শাখায় ২০০০ টাকার নোট বদলানো (Note Exchange) যাবে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় নোট বদলের জন্য কোনও পরিচয়পত্র লাগবে না। অন্যান্য যেকোনও ব্যাঙ্কের শাখাতেও নোট বদলের জন্য কোনও নথির প্রয়োজন নেই বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    প্রয়োজনে আলাদা কাউন্টার

    আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, প্রয়োজনে ২০০০ টাকার নোট বদলের (Note Exchange) জন্য পৃথক কাউন্টার খোলা যেতে পারে। তবে তা প্রয়োজনের ভিত্তিতেই খোলা হবে। যদি কোনও শাখা মনে করে যে তাদের এখানে ২০০০ টাকার নোট বদলের জন্য সেভাবে ভিড় হচ্ছে না, তাহলে সাধারণ কাউন্টারেই সেই লেনদেন হতে পারে। এদিকে কোনও ব্যাঙ্কের শাখায় আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকলেও সেখান থেকে ২০০০ টাকার নোট বদল করতে পারবেন আপনি। এদিকে যদি ২০০০ টাকার নোট বদল না করে তা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে চান, তাহলে তার ওপর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করতে নয়া বিল আনছে কেন্দ্র, সুবিধা কী জানেন?

    Amit Shah: জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করতে নয়া বিল আনছে কেন্দ্র, সুবিধা কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করতে নয়া বিল আনছে কেন্দ্র (Centre)। এর মাধ্যমে নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করা হবে জাতীয় তালিকায়। ভোটার তালিকা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হবে এই তথ্য। সোমবার রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ও সেনসাস কমিশনারের নয়া সদর দফতর জনগণ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বাদল অধিবেশনেই বিলটি আনা হবে বলে জানান শাহ। প্রস্তাবিত বিলটি পাশ হলে, তা রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাজের সহায়ক হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি। 

    নির্বাচন কমিশনের কাজ হবে অনায়াস

    বিশ্বের যে কোনও দেশেই জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা হয়। এতে সরকারের পক্ষে জনগণের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করার কাজ হয় সহজতর। তাছাড়া, ভুয়ো ভোটার ধরতেও প্রয়োজন হয় জন্ম-মৃত্যুর সঠিক হিসেব রাখা। ভোটার তালিকার সঙ্গে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য যুক্ত করার ভাবনা নতুন নয়। রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে ভোটার তালিকা থেকে প্রয়াত ভোটারদের নাম বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশন এটা করে প্রশাসনিক নির্দেশে। আইন তৈরি হয়ে গেলে কমিশন সরাসরি এই কাজ করতে পারবে।

    নয়া আইনের সুবিধা

    বিলটি পাশ হয়ে আইনে পরিণত হল নতুন ভোটারদেরও সুবিধা হবে। তাঁদের আর আলাদা করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে না। ১৮ বছর বয়স হলেই নাম উঠে যাবে তালিকায়। মৃত ভোটারদের নামও বাদ যাবে একইভাবে। জানা গিয়েছে, ১৯৬৯ সালের জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তিকরণ আইন কিছুটা (Amit Shah) সংশোধন করে প্রস্তুত করা হচ্ছে নয়া বিলটি। এর মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান জাতীয় তালিকায় নথিভুক্ত করা হবে, তা ব্যবহার করা হবে ভোটার তালিকা তৈরিতে। কেন্দ্রীয় জনসংখ্যার তালিকা ও সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগী নাগরিকদের তালিকা প্রস্তুত করতেও কাজে লাগবে এই পরিসংখ্যান। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র বিলের খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যগুলিতে।

    আরও পড়ুুন: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এর মাধ্যমে জাতীয় তালিকায় জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনবরত নিজে থেকেই নথিভুক্ত হতে থাকবে। প্রত্যাশিতভাবেই সহজতর হবে সরকারি কর্মীদের কাজ। তিনি (Amit Shah) জানান, আইন চালুর পর জন্ম সংক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের সিস্টেমে ওঠা মাত্রই তা নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit 2023: শ্রীনগরে শুরু জি-২০ সম্মেলন, কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানেন?

    G20 Summit 2023: শ্রীনগরে শুরু জি-২০ সম্মেলন, কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit 2023) আয়োজক দেশ ভারত (India)। ২২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক চলবে। চিন জানিয়ে দিয়েছে, এবারের সম্মেলনে কাশ্মীরে হওয়ায় তারা যোগ দেবে না। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন কাশ্মীরে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে।

    জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit 2023) আলোচ্যসূচি

    পর্যটন দফতরের সেক্রেটারি অরবিন্দ সিংহ জানান, এই সম্মেলনে মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল পর্যটনের মাধ্যমে কীভাবে উন্নয়ন করা যায় এবং জি-২০ ট্যুরিজম (G20 Summit 2023) মিনিস্টার্স ঘোষণা। পর্যটনের জন্য গোয়া রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা হবে। অরবিন্দ জানান, সম্মেলন চলাকালীন জি-২০র সদস্য দেশ, আমন্ত্রিত দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবেন প্রস্তাবিত আলোচ্যসূচির ওপর। চতুর্থ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচনা হবে ওই আলোচ্যসূচি নিয়েই।

    ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপ মূলতঃ পাঁচটি বিষয়ের ওপর আলোচনায় প্রাধান্য দেবে। এগুলি হল, গ্রিন ট্যুরিজম, ডিজিটাইজেশন, স্কিলস, এমএসএমইএস এবং ডেস্টিনেশন। ২২ এবং ২৩ মে অনুষ্ঠিত হবে ফিল্ম ট্যুরিজম ফর ইকনোমিক গ্রোথ অ্যান্ড কালচারাল প্রিজারভেশন। এই অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করবেন জি-২০র সদস্য দেশ, আমন্ত্রিত দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উদ্যোগপতিরা।

    মূল চালিকা শক্তি হল পর্যটন

    জি-২০র শেরপা অমিতাভ কান্ত বলেন, শ্রীনগরে আয়োজিত জি-২০ ট্যুরিজম (G20 Summit 2023) ওয়ার্কিং গ্রুপ মিটিং গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে শান্তি, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির বার্তা। যার মূল চালিকা শক্তি হল পর্যটন, বিশেষত সংস্কৃতি এবং ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে। এই সম্মেলনের ফলে কাশ্মীরে আরও বেশি করে কর্মসংস্থান হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ফিল্ম ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভূস্বর্গে এটা কীভাবে আরও প্রসারিত করা যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করছে সরকার। পর্যটনের উন্নতি হলে হসপিটালিটি শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে একটি বড় পরিকল্পনা করছি। এদিন সম্মেলনের সূচনা পর্বে ‘নাটু নাটু’ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচেন অভিনেতা রামচরণ। তিনি বলেন, আমার বাবা গুলমার্গ ও সোনমার্গে বহুবার শ্যুটিং করেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে আমিও আসছি। এই অডিটোরিয়ামেও আমি শ্যুটিং করেছি। কাশ্মীরে এলে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়।

    আরও পড়ুুন: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gujrat ATS: গুজরাট এটিএস-এর জালে আল কায়েদার চার বাংলাদেশি সদস্য

    Gujrat ATS: গুজরাট এটিএস-এর জালে আল কায়েদার চার বাংলাদেশি সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) এর জালে আল-কায়েদার মডিউল ধরা পড়ল। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন বাংলাদেশিকে। জানা গেছে, তারা অবৈধভাবে আমেদাবাদে থাকছিল। এটিএস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই মডিউলের সদস্যদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত করা হয়। পরে তাদেরকে ভারতে পাঠানো হয়। ধৃতদের জেরা করে সন্ত্রাস দমন শাখা জানতে পেরেছে যে তাদের কাজ ছিল আল-কায়েদার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, স্থানীয় যুবকদের মধ্যে উগ্র মৌলবাদ প্রচার করা এবং তাদেরকে সন্ত্রাসের কাজে লাগানো। 

    কী বললেন সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিক (Gujrat ATS)

    গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখার (Gujrat ATS) ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দীপান ভদ্রন বলেন, ‘‘ধৃতদের আমেদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮,৩৯ এবং ৪০ ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

    ধৃতদের পরিচয়

    গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) সূত্রে খবর, আল-কায়েদার মডিউলের এই সদস্যরা হল, মহম্মদ সজীব, মুন্না খালিদ আনসারি, আজহারুল ইসলাম আনসারী এবং মমিনুল আনসারি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন অভিযানে নামে গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখা। প্রথমে গ্রেফতার হয় সজীবকে। জানা গেছে, আমেদাবাদের রাখিয়াল অঞ্চলে থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাত সে। এরপর সজীবকে জেরা করে আরও তিন সদস্যের সন্ধান পায় এটিএস। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে বসে শরিফুল ইসলাম এই আল কায়েদা মডিউল কন্ট্রোল করতে বলে জানা গেছে। জানা গেছে সজীবকে জেরা করেই এটিএস হানা দেয় এবং গ্রেপ্তার করে আজহারুল এবং মমিনুলকে। আমেদাবাদের নাড়োল অঞ্চলে স্থানীয় একটি কারখানাতে তারা কাজ করত বলে জানা গেছে। 

    কী কী বাজেয়াপ্ত হল জঙ্গিদের কাছ থেকে?

    এদিন সন্ত্রাস দমন শাখা তাদের কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড সমেত বেশ কিছু লিফলেট পেয়েছে। এই লিফলেটগুলোর সাহায্যে উগ্র মৌলবাদের প্রচার করা হত বলে জানা গেছে।  এখন সন্ত্রাসদমন শাখা জানার চেষ্টা করছে যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পার হতে তাদেরকে কারা সাহায্য করেছে এবং কোন রাজ্য হয়ে তারা ঢুকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরে (Manipur)। রাজধানী ইম্ফলের চেকন অঞ্চলে সোমবার ফের সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর। অশান্তি রুখতে তলব করা হয়েছে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীকে। ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। অশান্তি এড়াতে আবারও পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    মণিপুরে (Manipur) হিংসার কারণ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে চেকন বাজারে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্যের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এর পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এলাকার কয়েকটি দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। 

    হিংসায় ক্ষতির খতিয়ান

    দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জনজাতির মর্যাদা চেয়ে আসছেন মেইতেইরা (Manipur)। সম্প্রতি মণিপুর হাইকোর্ট তাঁদের জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। এর বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের অন্য জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তার জেরে ৩ মে প্রথম অশান্তির আগুন জ্বলে মণিপুরে। সেনা নামিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করে নেভানো হয় সেই অশান্তির আগুন। যদিও ততক্ষণে সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন শ’তিনেক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭০০র বেশি বাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছিলেন ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    প্রথম দফায় যখন অশান্তি ছড়িয়েছিল, তখন চেকন (Manipur) এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়ি। এদিনও সেখানে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। তিনি জানান, রাজধানীতে যাতে বাইরে আটকে থাকা গাড়ি ঢুকতে পারে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধের আকাল দেখা না দেয়, সেজন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা ও অসম রাইফেলস বিভিন্ন এলাকায় টহলও দিচ্ছে। চেকান (Manipur) এলাকায় দোকান বন্ধ করে দেয় সেনা ও নিরাপত্তারক্ষীরা। এলাকায় ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • 2000 Bank Notes: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে?

    2000 Bank Notes: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটে সেদেশের মুদ্রা, অর্থাৎ মার্কিন ডলার নিয়ে একটি পৃথক পেজ রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে সাতটি ভিন্ন মূল্যের নোট পাওয়া যায়, সর্বোচ্চ ১০০ ডলার। আরও বলা হয়েছে, ১০ হাজার মার্কিন ডলারের নোট বর্তমানে লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈধ থাকলেও, দীর্ঘদিন আগে তা ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও, বর্তমানে কেউ তা ব্যবহার করেন না।

    নোটবন্দির সঙ্গে তুলনা একেবারেই ভুল

    গত ১৯ মে, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) প্রত্যাহার করার ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জনসাধারণের উদ্দেশে জানিয়ে দেয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে। যদিও, স্পষ্টভাবে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এও জানিয়েছে, সময়সীমার পরেও বৈধ থাকবে ২০০০ টাকার নোট। অর্থাৎ, সেপ্টেম্বরের পরেও ২০০০ টাকার নোটে লেনদেন করা হলে, তা সমান প্রযোজ্য হবে। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণার পর থেকেই অনেকে এই নির্দেশিকার সঙ্গে ২০১৮ সালের নোটবন্দির তুলনা টেনে আনছেন। যা, একেবারেই ভুল। কারণ, নোটবন্দির সময় পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার বৈধতাও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু, ২০০০ টাকার ক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রকাশিত নির্দেশিকায় একাধিকবার উল্লেখ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এখনই ২০০০ টাকার নোটের বৈধতা খারিজ করা হচ্ছে না।

    তাহলে কেন এই ঘোষণা? এই নির্দেশিকার অর্থ কী?

    নির্দেশিকার অর্থ, জনমানসকে সচেতন করা বা অনুরোধ করা, যাতে তারা ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) দিয়ে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকেন। একইসঙ্গে জনসাধারণকে পরামর্শ, তারা যেন ব্যাঙ্কে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট জমা দিয়ে তার বদলে সম অর্থের অন্য মূল্যের নোট নিয়ে নেন। শীর্ষ ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, তারা ‘ক্লিন নোট পলিসি’ বা পরিষ্কার নোট নীতি অবলম্বন করেছেন। ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, একটি নোটের পরিচ্ছন্নতার মেয়াদ চার থেকে পাঁচ বছর। ২০১৮-১৯ সালের পর থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যার অর্থ, বাজারে চালু নোটগুলো ৪-৫ বছরের পুরনো। অর্থাৎ, নোটগুলো তাদের কার্য মেয়াদের শেষ সীমায় উপস্থিত হয়েছে। সাধারণত ‘সয়েলড নোট’ বা অপরিষ্কার বা মলিন নোট হলে, তা আরবিআই ফেরত নিয়ে নেয়। বদলে একই মূল্যের নতুন নোট বাজারে ছেড়ে দেয়। তবে, এক্ষেত্রে তফাত একটাই। ২০০০ টাকা আরবিআইয়ের কাছে গেলে, তার বদলে নতুন ২০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে না। এটাই প্রত্যাহার। 

    ব্যাঙ্ক নোট ও মুদ্রাস্ফীতি

    ব্যাঙ্ক নোট (2000 Bank Notes) ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে একটা সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নগদ চালু হলে, তার জেরে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে। মুদ্রাস্ফীতির একটা বড় কারণ হল, বেশি পরিমাণে নগদ মজুত। একটা সময় ছিল, যখন ভারতে বিপুল জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছিল। একটা সময় ছিল, যখন ভারতে বেশি মূল্যের নোটের জালনোট ছড়িয়ে দিতে পাকিস্তানের অশুভ পরিকল্পনা সফল হয়েছিল। যার জেরে ভারতে হু-হু করে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। কারণ, নোট আসল না নকল — সাধারণ মানুষের পক্ষে পরখ বা যাচাই করার ক্ষমতা সীমিত। ফলত, আরবিআইয়ের হিসেবের বাইরে বাজারে প্রচুর নোট ছড়িয়ে গিয়েছিল। তাতে, সকলের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় টাকা বেশি চলে এসেছিল। এর ফলে, জনমানসে পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা অযাচিতভাবে বৃদ্ধি পায়। টাকার মূল্য হ্রাস পায়। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি। বর্তমান সরকার শক্ত হাতে জালনোট সমস্যার মোকাবিলা করেছে ও করে চলেছে। শত্রুরা এখনও দেশে জালনোট ঢোকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, বর্তমান শাসক দলের কঠোর নীতি ও দিশার জেরে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।

    মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময়ে-সময়ে ব্যাঙ্ক রেট বৃদ্ধির পথে হাঁটতে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। এর ফলে, ব্যাঙ্ক-ঋণ আরও মহার্ঘ হয়ে পড়ে। কারণ, সুদ বেশি দিতে হয়। ফলত, মানুষের চাহিদা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও, এর আরেকটা ক্ষতির দিকও রয়েছে। সুদের হার বাড়লে, ক্ষতি হয় ব্যবসাতেও। আর ব্যবসা মন্দা গেলে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে অর্থনীতির ওপর। আর অর্থনীতির চাকা ধীর গতিতে গড়ালে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ধাক্কা খায়। এখন ব্যাঙ্ক রেটের হার বৃদ্ধি না করেও কি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সম্ভব। সেক্ষেত্রে, বাজার থেকে অতিরিক্ত নগদ প্রত্যাহার করলে তা আখেরে ফল দিতে পারে। তাঁদের মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এই প্রয়াসের লক্ষ্যে হতে পারে।

  • 2000 Notes: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজারের নোট না বদলালে কী হবে? বড় ঘোষণা শক্তিকান্ত দাসের

    2000 Notes: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজারের নোট না বদলালে কী হবে? বড় ঘোষণা শক্তিকান্ত দাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্তের কথা গত শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে। ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা বা বদল করা যাবে বলেও জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর এই ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরতে থাকে নানা মুনির নানা মত। অনেকেরই প্রশ্ন, ‘‘তবে কি ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেই ২০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ধরে নেওয়া হবে?’’ সোমবার জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, নোট বদলের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ২০০০ টাকার নোট অবৈধ হবে না। অন্যদিকে, রবিবার স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) জমা দিতে হলে বা বদলাতে গেলে কাউকে কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। নির্দিষ্টভাবে কোনও ফর্মও পূরণ করতে হবে না। একসঙ্গে ব্যাঙ্কে ১০ টি ২০০০ টাকার নোট অথবা ২০ হাজার টাকার নোট বদলানো যাবে অথবা জমা করা যাবে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।

    কী বললেন শক্তিকান্ত দাস?

    সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে আরবিআই গভর্নর বলেন, “এই সময় ব্যাঙ্কে ভিড় করার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনার কাছে নোট বদলের জন্য চার মাস সময় আছে।” এই সময়ই তিনি বলেন, ‘‘৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও ২০০০ টাকার নোট ‘অবৈধ’ হয়ে যাবে না।’’ তবে নোট বদলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, ‘‘জনগণ যাতে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখে, তার জন্যই এমনটা বলা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বদলের বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই নানা ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের নোটবাতিলের সঙ্গে এর তুলনা টানতে শুরু করে কেউ কেউ। ২০০০ টাকার নোট যে বাতিল বা বেআইনি কোনওটাই হয়নি এদিন আরবিআই গভর্নরের কথায় তা অনেকটাই স্পষ্ট হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০০০ টাকার নোট কি ফিরছে?

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ২ হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হলেও নতুন করে হাজার টাকার নোট চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই। প্রসঙ্গত, ৭ বছর আগে দেশে হাজার টাকার নোট চালু ছিল। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে মোদি সরকার। নতুন নোটের চাহিদা সামাল দিতে তার পরেই বাজারে আসে ২ হাজার টাকার নোট (2000 Notes)। এই আবহে দেশে আবার হাজার টাকার নোট চালু করা হবে কি না, এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও আপাতত এমন কোনও ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক?

    Abhishek Banerjee: রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI)-ইডির (ED) নাগাল এড়ানোর নানা চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ব্যর্থ হয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। সেখানেও মিলল না রক্ষাকবচ। তাই গ্রেফতারির আশঙ্কায় কাঁটা তৃণমূলের এই দু নম্বর নেতা। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে ওই মামলার শুনানি হয়। সেখানে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

    ‘আমাকে (Abhishek Banerjee) গ্রেফতার করা হবে’

    তিনি আদালতে জানান, “অভিষেকের আশঙ্কা পরের বার আমাকে গ্রেফতার করা হবে। আমি প্রচার করছিলাম, সেই অবস্থায় সমন জারি করে। পরের দিন সকালে জেরায় তলব করা হয়েছে। আমি জেরায় যোগ দিয়েছি। তারপরেও হেনস্থা করা হচ্ছে”। অভিষেকও বলেন, “আমাকে বারবার তলব করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার নামে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবার ন’ ঘণ্টা করে জেরা করা হচ্ছে।” অভিষেকের হয়ে এদিন আদালতে যে রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছিলেন সিংভি, সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ। শুক্রবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    সুপ্রিম কোর্টে কেন গেলেন অভিষেক?

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি দাবি করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মামলা যায় হাইকোর্টে। তখনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা”। পরে ওই একই রায় দেয় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চও। তিনিও বলেন, “কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই।’’ সেই সঙ্গে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লাখ করে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে হাজির হন অভিষেক।

    আরও পড়ুুন: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    দেশের শীর্ষ আদালতে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবী এদিন বলেন, “সিবিআই কোনও রকম সময় না দিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করছে।” তিনি বেঞ্চকে স্মরণ করিয়ে দেন, “এর আগের বার যখন অভিষেককে তলব করা হয়, তখন তিনি ছিলেন দার্জিলিংয়ে। তাড়াতাড়ি চলে আসতে বাধ্য হন। শনিবারও যখন তাঁকে তলব করা হয়, তখন তিনি নব জোয়ার কর্মসূচির জন্য বাঁকুড়ায় ছিলেন। সেই কর্মসূচি ফেলেই কলকাতায় ফিরে আসতে বাধ্য হন।” তিনি (অভিষেক) রাজ্যের বাইরে প্রচার করছিলেন বলেও দাবি করেন সিংভি। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, বর্তমানে অভিষেক প্রচার করছেন রাজ্যেই।

    গ্রেফতারি এড়াতেই কি বিভ্রান্ত করা হচ্ছে দেশের শীর্ষ আদালতকে? প্রশ্ন সেটাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭-এ মুখোমুখি মোদি-ঋষি! কথা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সমেত একাধিক ইস্যুতে

    Narendra Modi: জি৭-এ মুখোমুখি মোদি-ঋষি! কথা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সমেত একাধিক ইস্যুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমাতে বসেছিল জি৭ সম্মেলন। চলতি মাসের ১৯ তারিখ সেখানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। জানা গেছে, ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে সেপ্টেম্বরে ঋষিকে এদেশে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রবিবারই শেষ হয়েছে সম্মেলন, এরপরেই প্রধানমন্ত্রী রওনা হন পাপুয়া-নিউগিনির উদ্দেশে। সোমবার তাঁর অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে।

    কী কী আলোচনা হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে?

    ঋষি সুনকের সঙ্গে এদিনের বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমরা আলোচনা করেছি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, উদ্ভাবনী এবং বিজ্ঞান সমেত অন্যান্য ক্ষেত্রে আদানপ্রদান কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে। বৈঠক সফল।’’

    প্রসঙ্গত ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও যে ট্যুইট করা হয়েছে তাতে বলা হয়, ‘‘ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উচ্চশিক্ষা সমেত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করে তুলতে ভারত এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য নিয়েও।

    ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য হলে কী সুবিধা?

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চালু হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন দুই দেশেরই জিডিপি বাড়বে, তেমনি ব্যাপক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরি হবে। বাণিজ্য শুল্কমুক্ত হলে এক দেশের উৎপাদিত পণ্য অন্য দেশে কম দামেই মিলবে। অর্থনীতিবিদরা আরও মনে করছেন যে দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য শুরু হলে ভারতের দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির একটি মার্কেট পাওয়া যাবে ব্রিটেনে। এতে দেশের ছোট বড় উদ্যোগপতিরা খুবই লাভবান হবেন বলে মনে করছেন, অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: এবার বন্দে ভারত লোকাল ট্রেন! প্রথম ছুটবে মহারাষ্ট্রে, কী কী যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য থাকছে?

    Vande Bharat: এবার বন্দে ভারত লোকাল ট্রেন! প্রথম ছুটবে মহারাষ্ট্রে, কী কী যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্দে ভারত (Vande Bharat) আর শুধুমাত্র দূরপাল্লার ট্রেনই থাকছে না। এবার তা ছুটতে চলেছে লোকাল রুটেও। শহরতলির সঙ্গে শহরের যোগাযোগের এবার মাধ্যম হবে বন্দে ভারত। প্রথম প্রকল্প শুরু হতে চলেছে মহারাষ্ট্রতে। আধুনিক ব্যবস্থা সম্পন্ন, গতিময় এই দূরপাল্লার ট্রেন সারা ভারত জুড়েই চলছে। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন হাওড়া পুরী বন্দে ভারতের। বন্দে ভারত (Vande Bharat) লোকাল ট্রেনের চিন্তাভাবনা কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে এবং সেই মতো তা ঘোষণাও করেছিল মোদি সরকার। তবে তখন বলা হয়েছিল, মেট্রোর রেল পথে চলবে এই ট্রেন। এবং ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা দুটি শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে বন্দে ভারত মেট্রো। এবার ভারতীয় রেলের নির্দেশেই বন্দে ভারত আসছে লোকাল হিসেবেও।

    দেশের ব্যস্ততম রেলপথ হল মহারাষ্ট্রের মুম্বই

    পরিসংখ্যান বলছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে ৩১৯ কিলোমিটার বিস্তৃত রেলপথে প্রতিদিন ৩,১২৯ ট্রেন চলাচল করে। এতেও মেটেনা যাত্রী চাহিদা। মুম্বইয়ের লোকালগুলোর ভিড় দেখলেই তা বোঝা যায়। এবার এই সমস্যা মেটাতে ছুটবে বন্দে ভারত। পোশাকি নাম হতে চলেছে বন্দে ভারত মেট্রো সাব-আরবান পরিষেবা। বাতানুকূল এই ট্রেনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতোই অধিকাংশ সুযোগ সুবিধা থাকবে এবং যাত্রী ধারণ ক্ষমতাও হবে যে কোন লোকালের থেকে বেশি।

    কেমন হবে লোকাল বন্দে ভারতের ব্যবস্থা?

    জানা যাচ্ছে চলতি লোকালগুলোর থেকে অনেক বেশি যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য থাকবে বন্দে ভারত লোকালে। সর্বক্ষণ থাকবে সিসিটিভি নজরদারি। দুটি এসি ভেন্ডার কামরাও থাকবে যাতে মাছ বা অন্যান্য গন্ধ যাত্রীদের কোচে অস্বস্তি তৈরি না করে। ১২টি কোচের ভিতর দিয়ে যাতায়াতও করতে পারবেন যাত্রীরা। লোকাল ট্রেনের থেকে বেশি পরিমাণে যাত্রী বসার আসন থাকবে এবং কামরাগুলিতে থাকবে ডিসপ্লে। সেখানে স্টেশনের নাম দেখা যাবে। থাকছে টিভিও। অপ্রচলিত শক্তির উৎস ব্যবহার করে এই ট্রেনের সুবিধা দেওয়ার কথা ভেবেছে রেল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে, সৌর বিদ্যুৎ-এ চলবে ট্রেনের পাখা এবং আলো। ট্রেনের মাথায় লাগানো সৌর প্যানেলে ৩.৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হবে বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বলছেন রেল আধিকারিকরা?

    জানা যাচ্ছে বর্তমানে মুম্বইয়ে ১৪টি মতো এসি লোকাল ট্রেন চলে। এগুলোর তত্ত্বাবধান করে সেন্ট্রাল রেল এবং পশ্চিম রেল। এর পাশাপাশি এবার শুরু হতে চলেছে বন্দে ভারত লোকাল। রেলওয়ে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মুম্বই আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট এর আওতায় ২৩৮টি রেক কেনা হচ্ছে। এবং এ নিয়ে ইতিমধ্যে কথাও সম্পন্ন হয়েছে রেল মন্ত্রক ও মহারাষ্ট্র সরকারের মধ্যে। রেলওয়ে আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, নতুন এই লোকাল বন্দে ভারতগুলি ট্রেনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি হবে না। বরং তা মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে তৈরি হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share