Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • G20 Meeting: দূর্গে পরিণত ভূস্বর্গ! আজ শ্রীনগরে শুরু বিশেষ জি২০ বৈঠক

    G20 Meeting: দূর্গে পরিণত ভূস্বর্গ! আজ শ্রীনগরে শুরু বিশেষ জি২০ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার থেকে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে শুরু হচ্ছে জি২০ (G20 Meeting) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির তৃতীয় ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। বিলোপ পায় জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। তার পর এই প্রথম উপত্যকায় কোনও আন্তর্জাতিক কর্মসূচি করতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ভারতের সভাপতিত্বে বৈঠক

    শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সন্টারকে জি২০ বৈঠকের (G20 Meeting) কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এবারের জি২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব পেয়েছে ভারত। এখনও অবধি দেশে মোট ১৮টি জি২০ বৈঠক হয়েছে। এরমধ্যে শ্রীনগরের বৈঠকেই সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করবেন। জি২০ সদস্য দেশগুলি থেকে প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি আসবেন। তবে, এই বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ার কথা জানিয়েছে তুরস্ক ও সৌদি আরব। বেজিংয়ের দাবি, কাশ্মীর ‘বিতর্কিত স্থান’ হওয়ায় তারা এই জায়গার বিরোধিতা করছে এবং বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরই, চিনকে কড়া জবাব দিয়ে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের কোথায় বৈঠক হবে, তা ভারতই সিদ্ধান্ত নেবে। সার্বভৌম ভারতের যে কোনও জায়গায় বৈঠক করার অধিকার রয়েছে সরকারের।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বৈঠক, তাই জি২০-তে অংশ নেবে না চিন! কড়া জবাব ভারতের

    বৈঠককে টার্গেট করছে জঙ্গিরা

    এদিকে, বিশ্ব দরবারে ভারতের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দিতে এই বৈঠককে (G20 Meeting) টার্গেট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। রবিবারই এনআইএ-র জালে ধরা পড়েছে জইশ চর। জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা থেকে সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত সন্দেহভাজন জইশ ই মহম্মদ কমান্ডারের কাছে স্পর্শকাতর তথ্য পাঠাচ্ছিল। ধৃতের নাম মহম্মদ উবাইদ মালিক। ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের জইশ ই মহম্মদ কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।

    বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় মোতায়েন

    নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে, ভূস্বর্গতে কার্যত দূর্গে পরিণত করা হয়েছে। আগত বিদেশি অতিথি সহ গোটা অনুষ্ঠানের (G20 Meeting) জন্য বহুস্তরীয় সুরক্ষা বলয় কার্যকর করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌসেনার বিশেষ ‘মার্কোস’ কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)। এছাড়া, বিএসএফ, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, সশস্ত্র সীমা বল ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাজার হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জঙ্গি হামলা রুখতে। পাশাপাশি, ড্রোন হামলা রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ল গাছ, মাঝপথে আটকে গেল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    Vande Bharat: প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ল গাছ, মাঝপথে আটকে গেল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল ঝড়ে বিপত্তির মুখে পড়ল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গিয়েছে, কালবৈশাখীর প্রবল ঝড়ের দাপটে একটি বড় গাছ এসে পড়ে ট্রেনের উপরে। তার জেরে ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইঞ্জিনের কাচেও নানা জায়গায় চিড় ধরে যায়। কয়েকটি কামরায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রেল জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে মেরামতের কাজ চলছে। তা সম্পন্ন হলেই ট্রেন ছাড়বে। তবে গোটা কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিক জানিয়েছেন, ভদ্রকের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময় দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে পুরী স্টেশন থেকে ছেড়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ওড়িশায় ট্রেনটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ঝড়ের গতিবেগ এতটাই তীব্র ছিল যে একটি গাছ উড়ে এসে ট্রেনের ওপর পড়ে। তাতেই বিপর্যয় ঘটে।

    সকালেও দুর্ঘটনা

    অন্যদিকে, শনিবার রাতে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় হাওড়া-পুরী সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেন থেকে কাপলিং খুলে আলাদা হয়ে যায় ইঞ্জিন ও দুটো বগি। বেশ কিছুদূর এগিয়ে যায় ইঞ্জিন সহ বগি দুটি। জানা গেছে, সেই সময় ট্রেনের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। আচমকাই ঝাঁকুনিতে শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের আধিকারিকদের। ওই দুটি বগিকে মেরামতি না করতে পারায় নতুন করে দুটি বগি লাগানো হয় ট্রেনের সঙ্গে। যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগি লাগিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। শনিবার রাত ১.০৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনের কাছে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pak Drone: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    Pak Drone: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতের আকাশ সীমায় উড়ল পাকিস্তানি ড্রোন (Pak Drone)। ঘটনাটি নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩টি ড্রোনকে গুলি করে নামায় বিএসএফ। গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাব সীমান্তের কাছে গুলি করে নামানো হয় ড্রোনগুলিকে। শুক্রবার রাতে গুলি করে নামানো হয় ৩টি ড্রোনকে। চতুর্থটিকে গুলি করে নামানো হয় শনিবার রাতে।

    প্রথম দিনেই এল ৩ পাকিস্তানি ড্রোন (Pak Drone)

    সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, প্রথম দিন যে তিনটি পাকিস্তানি ড্রোন নামানো হয়েছিল, সেগুলি ডিজিআই ম্যাস্ট্রিস ৩০০ আরটিকে ব্ল্যাক কোয়াডকপ্টার। এর মধ্যে একটি ড্রোন (Pak Drone) শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ সীমান্ত পেরিয়ে ধারিয়াল গ্রামে ঢোকে। নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে গুলি করে নামানো হয়। তারই কিছু পরে অন্য একটি ড্রোন অমৃতসর জেলার রত্তন খুর্দ গ্রাম দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে সেটিকেও গুলি করে নামানো হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, ওই ড্রোনের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় একটি প্যাকেট। প্যাকেটটি খুলতেই দেখা যায় নিষিদ্ধ মাদক। বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই প্যাকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ কেজি ৬০০ গ্রাম হেরোইন। এই পরিমাণ হেরোইনের বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। হেরোইন ভর্তি ওই প্যাকেটের গায়ে উজ্জ্বল স্টিকার লাগানো হয়েছিল বলেও দাবি বিএসএফের।

    একটি ড্রোন আছড়ে পড়ল পাকিস্তানে

    শুক্রবার রাতেই আরও একটি ড্রোনকে (Pak Drone) লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা। তবে সেই ড্রোনটি উদ্ধার করা যায়নি। কারণ ড্রোনটি পড়েছিল পাকিস্তানের সীমানায়। বিএসএফের মুখপাত্রের দাবি, সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে ড্রোনটি মাটিতে আছড়ে পড়ার সঙ্গ সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা ড্রোনটি থেকে কিছু সংগ্রহ করছেন। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, চতুর্থ ড্রোনটি শনিবার রাতে নিয়ম ভেঙে ঢুকে পড়ে ভারতীয় আকাশ সীমায়। অমৃতসর সেক্টরে কর্তব্যরত জওয়ানরা সেটিকেও গুলি করে নামায়। একটি ড্রোন ও মাদক ভর্তি একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।

    সাম্প্রতিক অতীতে পঞ্জাব, জম্মু সহ দেশের একাধিক পাক সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে হয়েছে ড্রোন হামলা। অনেক ক্ষেত্রেই ড্রোনগুলির (Pak Drone) মাধ্যমে কখনও টাকা, কখনও আবার অস্ত্র ছড়িয়ে জঙ্গিদের রসদ জোগাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচারের চেষ্টাও চলছে। সেই কারণেই সীমান্তে রয়েছে কড়া প্রহরা। তার জেরেই গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি ড্রোন গুলি করে নামাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী’’, মত অমিত শাহের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mig 21: বারংবার দুর্ঘটনা, অসময়ে অবসর নিচ্ছে মিগ ২১, আসছে তেজস

    Mig 21: বারংবার দুর্ঘটনা, অসময়ে অবসর নিচ্ছে মিগ ২১, আসছে তেজস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার ভেঙে পড়ছে মিগ ২১ (Mig 21) ফাইটার জেট (Fighter Jet)। যার জেরে প্রাণ হারান পাইলট থেকে সাধারণ মানুষ। সেই কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তৈরি এই যুদ্ধ বিমান। পর পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় শনিবার যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মিগ ২১ যুদ্ধ বিমানের জায়গায় উড়বে লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজস। চলতি বছরের ৮ মে রাজস্থানের হনুমানগড় গ্রামে ভেঙে পড়েছিল একটি মিগ ২১ ফাইটার জেট। সেটি উড়েছিল সুরাতগড় বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে। রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে এই যুদ্ধ বিমানটি। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের।

    মিগ ২১ (Mig 21) এর অবসর

    শনিবার মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, মিগ ২১ (Mig 21) যুদ্ধবিমান কেন বারংবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই বিমানগুলিকে ওড়ানো হবে না। তিনি বলেন, সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মিগ ২১ যুদ্ধবিমানের মোট তিনটি স্কোয়াড্রন রয়েছে। সব মিলিয়ে বিমান রয়েছে ৫০টি। ২০২৫ সালে অবসর নেওয়ার কথা ছিল এই বিমানগুলির। সেই সময়ের ঢের আগেই বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই যুদ্ধবিমানগুলিকে। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান নির্মাতা সংস্থা মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের নকশায় ১৯৫৫ সালে তৈরি হয় মিগ ২১ যুদ্ধ বিমান।

    ব্যবহার হয়েছে রাশিয়ার তৈরি ৮০০টি মিগ ২১

    ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে যুদ্ধে হারের পর অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের খোঁজ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তখনই নজরে পড়ে মিগ ২১ এর ওপর। এ পর্যন্ত রাশিয়ার তৈরি ৮০০টি মিগ ২১ ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় এবং পাইলটদের মৃত্যু হওয়ায় মিগ ২১ (Mig 21) এর নাম হয়ে যায় উড়ন্ত কফিন। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজস তৈরি করেছে ভারত। সূত্রের খবর, রাশিয়ার তৈরি মিগ ২১ যুদ্ধবিমানের জায়গা নিচ্ছে ভারতের তৈরি তেজস।

    আরও পড়ুুন: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jagdish Tytler: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

    Jagdish Tytler: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘টাইটলার-কাঁটা’য় অস্বস্তিতে কংগ্রেস। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআইয়ের (CBI) চার্জশিটে উঠে এল কংগ্রেস (Congress) নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) নাম। সূত্রের খবর, টাইটলারের বিরুদ্ধে নতুন করে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেই নাম রয়েছে ওই কংগ্রেস নেতার। প্রসঙ্গত, ওই দাঙ্গার তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশনের রিপোর্টেও উঠে এসেছিল টাইটলারের নাম।

    টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর শিখ বিরোধী দাঙ্গায় নয়াদিল্লির পুল বাঙ্গাশ এলাকায় মৃত্যু হয় তিনজনের। ওই হত্যকাণ্ডের নেপথ্যে টাইটলার ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের এই নেতার বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। মাসখানেক আগেই দিল্লিতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে গিয়েছিলেন টাইটলার (Jagdish Tytler)। সেখানে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সিবিআইয়ের ফরেন্সিক ল্যবরেটরি থেকে বেরিয়ে টাইটলার বলেছিলেন, শিখ দাঙ্গা সম্পর্কিত কোনও মামলায় নয়, অন্য একটি মামলার জন্য তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয়েছে।

    ইন্দিরা হত্যা…

    ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরেই দেশের নানা অঞ্চলে শিখ নিধনের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসেবে, এই দাঙ্গায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা ৮ হাজারেরও বেশি। টাইটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাঙ্গেশ এলাকার বাসিন্দাদের প্ররোচিত করেছিলেন তিনি। তার জেরে উত্তেজিত জনতার হাতে মৃত্যু হয় তিন শিখ ধর্মাবলম্বীর।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতা লোকের কতটা ক্ষতি করতে পারেন, মদনের কথাই প্রমাণ’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    শিখ বিরোধী দাঙ্গার তদন্তের জন্য ২০০০ সালে বিচারপতি নানাবতীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল ভারত সরকার। কমিশনের রিপোর্ট বিবেচনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তৎকালীন সাংসদ এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় সিবিআইকে। ২০০৫ সালে আরও একটি মামলা রুজু হয়। সূত্রের খবর, তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই জানতে পারে ইন্দিরা হত্যার পরের দিন টাইটলার (Jagdish Tytler) আজাদ মার্কেটের গুরুদ্বার পুল বাঙ্গেশে বিক্ষোভকারীদের উসকানি দেন। যার জেরে তিনজনকে হত্যা করা হয়। বেশকিছু দোকানপাঠও পুড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা।

    দিন কয়েক আগেই কর্নাটকে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। চলছে নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি-পর্ব। তার ঠিক আগে আগেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম ওঠায় কংগ্রেস যে কিছুটা হলেও বিপাকে, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tungnath Temple: ক্রমশই হেলে পড়ছে রুদ্রপ্রয়াগের তুঙ্গনাথ শিবমন্দির! জানাল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ 

    Tungnath Temple: ক্রমশই হেলে পড়ছে রুদ্রপ্রয়াগের তুঙ্গনাথ শিবমন্দির! জানাল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেলতে শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দির তুঙ্গনাথ (Tungnath Temple)। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার এই স্থাপত্য বিশ্বের সর্বোচ্চ শিবমন্দির হিসেবে পরিচিত। ১২,৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মন্দির ইতিমধ্যে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মন্দিরের ছোট কাঠামোগুলি হেলেছে প্রায় ১০ ডিগ্রি। গাড়োয়াল হিমালয়ের এই স্থাপত্য নিয়ে সমীক্ষা চালায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেখানেই এই তথ্য উঠে আসে। এই অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে মন্দির, একথা ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে জানিয়েছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকারও।

    আরও পড়ুন: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    কী বলছেন ভারতের পুরাতত্ত্ব গবেষকরা (Tungnath Temple)

    দেরাদুন পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের এক আধিকারিকের মতে, ‘‘কেন তুঙ্গনাথ মন্দির (Tungnath Temple) হেলে গিয়েছে, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে যে এই ক্ষতি দ্রুত মেরামত করা যায় কিনা। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ পুরাতত্ত্ব বিভাগের অপর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকার এটিকে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বিষয়ে কারও কোন আপত্তি আছে কিনা জানতে চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।’’ জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে মন্দিরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মন্দিরটিকে যাতে সুরক্ষিত সৌধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেই আবেদনও করা হয়েছে।  

    তুঙ্গনাথ মন্দিরের (Tungnath Temple) বর্তমান স্থিতি….

    জানা গেছে ওই মন্দিরে আপাতত একটি স্কেল বসানো হয়েছে। পুরাতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে এই স্কেল প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হবে। দেখা হবে যে ওই মন্দির বসে যাচ্ছে নাকি হেলে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, তুঙ্গনাথ মন্দিরের দেখাশোনা করে বদ্রি কেদার টেম্পল কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমা শহরে শুরু হয়েছে জি৭ সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সে দেশে পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হল

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে উভয় রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় গ্লোবাল সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর বৈঠকের শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আমার কাছে শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়।’’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার ঘুরে ফিরে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তাও এদিন তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের একটি বড় ঘটনা। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, আমার কাছে এটি মানবতার বিষয়।’’ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত একটা বড় অংশের ভারতীয় ছাত্র ডাক্তারি পড়তে পছন্দের তালিকায় রাখত ইউক্রেনকে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধের যন্ত্রণা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি, আমাদের দেশের ছাত্ররা তখন তা বলেছেন।’’ জানা গেছে, যুদ্ধ থামাতে নরেন্দ্র মোদি সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ যুদ্ধ থামাতে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে।’’

    কী বললেন জেলেনস্কি?

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ জানাই ভারতকে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করার জন্য। ইউক্রেনের প্রয়োজন মোবাইল হাসপাতাল। বৈঠকে সেকথাও তুলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G 20 Meeting: কাশ্মীরে বৈঠক, তাই জি২০-তে অংশ নেবে না চিন! কড়া জবাব ভারতের

    G 20 Meeting: কাশ্মীরে বৈঠক, তাই জি২০-তে অংশ নেবে না চিন! কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনের (G 20 Meeting) বৈঠকে অংশ নেবে না চিন। কাশ্মীরের (Kashmir) জমি ‘বিতর্কিত’ এমনই অভিমত পড়শি দেশের। এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল তুরস্কও। আগামী ২২ মে থেকে ২৪ মে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলল ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়ে দিল, নিজস্ব ভূখণ্ডে কোথায় তারা বৈঠক আয়োজন করবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশেরই প্রশাসন। অন্য দেশের ‘পরামর্শ’ যে, এ ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    কড়া মনোভাব ভারতের

    বিতর্কিত কাশ্মীরে (Kashmir) জি-২০ বৈঠকের (G 20 Meeting) আয়োজন কেন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিন। এদিকে, তুরস্ক ও সৌদি আরবও জি-২০ বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবারই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনলবিন বলেন, “যে কোনও বিতর্কিত এলাকায় জি-২০ বৈঠকের আয়োজনের তীব্র বিরোধিতা করছে চিন এবং আমরা এই ধরনের কোনও বৈঠকে যোগ দেব না”। অন্যদিকে, ভারতের তরফেও চিনের এই আপত্তির কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভারত নিজের জমিতে যে কোনও জায়গায় বৈঠক করতে পারে। চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা অত্যন্ত জরুরি, এই কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিনের এই অবস্থানের পিছনে পাকিস্তানের প্রভাব দেখছে নয়া দিল্লি। 

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    কাশ্মীরে জি২০ বৈঠকের শেষ পর্বের প্রস্তুতি

    জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত (G 20 Meeting) দেশগুলির পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠকটি এ বার আয়োজিত হবে কাশ্মীরে। ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত উপত্যকার এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধির যোগ দেওয়ার কথা। এই বৈঠকের জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে। সেনা বাহিনী থেকে শুরু করে মেরিন কম্যান্ডো ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। ডাল লেক সংলগ্ন শের-ই-কাশ্মীর কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠক হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্য়াহারের পর এই প্রথম উপত্যকায় এত বড় মাপের কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠক হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly Election: কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিবকুমারের

    Karnataka Assembly Election: কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিবকুমারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রফাসূত্র বার করে কর্নাটকের (Karnataka Assembly Election) কুর্সিতে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। শনিবার দুপুরে বেঙ্গালুরুতে উপচে পড়া কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। এদিন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাবরচন্দ গহলৌতের কাছে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। শপথগ্রহণের মঞ্চে সিদ্দা-শিবের হাত ধরিয়ে ঐক্যের ফ্রেম তৈরি করে দেন রাহুল গান্ধী। এই ছবি কত দিন এক ফ্রেমে থাকা তা অবশ্য সময় বলবে!

    কারা শপথ নিলেন

    সিদ্দা এবং শিবকুমারের পাশাপাশি, শনিবার শপথ নিয়েছেন একাধিক পূর্ণমন্ত্রী। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রভাবশালী দলিত নেতা জি পরমেশ্বর।  বাল্মিকী জনগোষ্ঠীর নেতা সতীশ ঝারখিয়োলিও মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। তাঁর দাদা, বিজেপির নেতা রমেশ বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। পাঁচ বারের বিধায়ক তথা প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা এমবি পাতিল, মনমোহন সিংয়ের জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেএইচ মুনিয়াপ্পা, দলের সংখ্যালঘু নেতা জামির আহমেদ খান এবং কেজে জর্জও মন্ত্রিপদে শপথ নিয়েছেন শনিবার।

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    শপথ অনুষ্ঠানে কারা ছিলেন

    বেঙ্গালুরুতে কর্নাটক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে (Karnataka Assembly Election) এদিন উপস্থিত ছিলেন নীতীশ কুমার, ভূপেশ বাঘেল, অশোক গেহলটের মতো কংগ্রেসি ও অবিজেপি দলের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছিলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তথা নীতীশ মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। দূত হিসাবে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে পাঠিয়েছেন মমতা। প্রখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসানও ছিলেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। তাঁকে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাতেও দেখা গিয়েছিল। কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের পাশাপাশি, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ছিলেন। তবে শারীরিক কারণে ছিলেন না সনিয়া গান্ধী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Note: ২০০০-এর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত চন্দ্রবাবু নায়ডু, কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যমের! কেন জানেন?

    2000 Note: ২০০০-এর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত চন্দ্রবাবু নায়ডু, কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যমের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১ অক্টোবর থেকে ২ হাজার নোট (2000 Note) বাতিলের ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। এই সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের মাস্টার প্ল্যানের (Modi Govt Masterplan) অঙ্গ বলে দাবি করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ডেপুটি গর্ভনর আর গান্ধী (Former RBI Deputy Governor R Gandhi)। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। এই পদক্ষেপ কেন করা উচিত তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেশের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম।

    উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নোট বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। সে বার ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। ৭ বছরের মাথায় এ বার ২ হাজার টাকার নোট (2000 Note) তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ১৮১ কোটি ২ হাজারের নোট তুলে নেওয়া হবে। ব্যাঙ্কগুলিকেও আর ২ হাজারের নোট না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২ হাজারের নোট মিলবে না এটিএমেও। ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বদলে নেওয়া যাবে ২ হাজার টাকার নোট। 

    লক্ষ্য কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ 

    এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু জানান, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণে (curbing black money) এই সিদ্ধান্ত সরকারকে প্রচুর সাহায্য করবে। কারণ অনেক মানুষ প্রচুর পরিমাণ ২ হাজার টাকার নোট নিজেদের কাছে গচ্ছিত রেখেছেন। এবার তাঁরা যখন সেগুলি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাল্টাতে যাবেন তখনই তা আয় বর্হিভূত হলে সমস্যায় পড়বেন।

    কেন নোট বাতিল করা হচ্ছে

    কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যমের মতে, এই নোট তুলে নেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল এই নোটের ব্যবহার হ্রাস পাওয়া। ক্রমাগতই কম হতে থেকেছে এই নোটের ব্যবহার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সাধারণত লেনদেনের জন্য এত বেশি মূল্যের ব্যাঙ্কনোট জনসাধারণ ব্যবহার করে না। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, বাজারে প্রচলিত ব্যাঙ্ক নোট গুলির মধ্যে ২০০০ টাকার নোট (2000 Note) মাত্র ১০.৮ শতাংশ রয়েছে।

    আরবিআই (RBI) ‘ক্লিন নোট পলিসি’ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে ভাল গুণমানের নোটের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। নোট বন্দির পর প্রচলিত ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষেই ২০০০ টাকার নোট (2000 Note) ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে আরবিআই (RBI)। এই নোটগুলির আনুমানিক আয়ু ৪ থেকে ৫ বছর। যার অর্থ ২০১৬ সালে ছাপা নোটগুলি এখন সম্ভাব্য আয়ুর শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, সেগুলি আর ব্যবহারের উপযুক্ত নয় বলেও তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট, কবে থেকে জানেন?

    আরবিআই (RBI) জানিয়েছে, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর বাজারে মুদ্রা নোটের ব্যাপক ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। আর সেই ঘাটতি মেটাতেই ২০০০ টাকার নোটটি চালু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পালটেছে। ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার নোটগুলি এখন উপযুক্ত পরিমাণে প্রচলিত রয়েছে। আর এই নোটগুলিই সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই যে উদ্দেশে একসময় ২০০০-এর নোট (2000 Note) চালু হয়েছিল তা পূরণ হয়েছে বলেও এই নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share