Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Economic Forum: ‘বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মাঝে ভারত একমাত্র উজ্জ্বল স্থান’, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লস শোয়াব

    World Economic Forum: ‘বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মাঝে ভারত একমাত্র উজ্জ্বল স্থান’, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লস শোয়াব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মাঝে একমাত্র ভারতই একটি উজ্জ্বল স্থান। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই তা সম্ভব হয়েছে। এমনটাই বলতে দেখা গেল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াবকে। গতকাল, বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০২৩-এর বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লস শোয়াব।

    ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ক্লস শোয়াব

    কোভিড মহামারীর ফলে যখন বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কট দেখা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত একের পর এক বিপর্যয়ের মধ্যেও ভারত যেভাবে অবস্থান নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ফলে ভারতের এই সকল ইতিবাচক সূচক দেখে, ভবিষ্যতে যে ভারতই সারা বিশ্বের নেতা হতে চলেছে, তা বলার আর অপেক্ষা থাকে না।

    ফোরামের পক্ষ থেকে এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াব এক বিশেষ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, “আমি ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল এবং সেই দেশের বহু শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। জলবায়ুর ক্ষেত্রে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য পদক্ষেপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে অবদান, মহিলা-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের জন্য একটি অর্থনৈতিক মডেল তৈরি এবং ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো তৈরিতে এই দেশের নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। বৈশ্বিক ভূ-অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ভারত একটি উজ্জ্বল স্থান হিসেবে রয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    ‘এই বিশ্বে মোদির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ’ বললেন ক্লস শোয়াব

    গতকাল ভারতের কথা বলতে গিয়ে ক্লস শোয়াব আরও বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব ভারত একেবারে সঠিক সময়ে পেয়েছে। কারণ, বর্তমান বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এমন প্রশংসা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ (G 20) সম্মেলন। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতিসূচক আলোচনা চক্র শুরু হয়েছে দেশে। আগের বছরের জি-২০ শিখর বৈঠকের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে আগামী সভাপতি বেছে নেওয়া হয় ভারতকে। এক বছর এই দায়িত্ব পালন করবে ভারত। ভারতেই বসবে আগামী জি-২০ বৈঠক। সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতের লক্ষ্য হবে, জি-২০ দেশগুলোর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়া। আগামী সম্মেলনের থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ বা এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। আর তা করতে ভারতের হাতিয়ার হবে ডিজিটাল প্রযুক্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Air India Pee-Gate: প্রস্রাবকাণ্ডের জের, এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লক্ষ জরিমানা, সাসপেন্ড পাইলটও

    Air India Pee-Gate: প্রস্রাবকাণ্ডের জের, এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লক্ষ জরিমানা, সাসপেন্ড পাইলটও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই মাঝ আকাশে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব (Air India Pee-Gate) করার অভিযোগ ওঠে এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রীর বিরুদ্ধে! অভিযোগ সামনে আসার পরও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এয়ার ইন্ডিয়া। বিমান সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, উল্টে পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল ডিরেক্টরেট জেরানেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। এয়ার ক্রাফ্টের ১৪১ নম্বর আইন লঙ্ঘনের অপরাধে ওই উড়ানের পাইলটের লাইসেন্সও তিন মাসের জন্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই উড়ানের বাকি কর্মীদের ডিরেক্টরকে সঠিকভাবে কাজ না করার অভিযোগে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

     


    অভিযোগ? 

    ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে শঙ্কর মিশ্র মত্ত অবস্থায় তাঁর সামনে যৌনাঙ্গ (Air India Pee-Gate) প্রদর্শন করেন ও তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ করেন ৭০ বছর বয়সি এক মহিলা। টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে সরাসরি চিঠিও লেখেন তিনি। সেই চিঠিতেই গোটা ঘটনা বর্ণনা করেন অভিযোগকারিণী। সেই চিঠি প্রকাশ পাওয়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। 

    সত্তরের কোঠায় বয়স ওই মহিলার। এয়ার ইন্ডিয়ার নিউইয়র্ক (Air India Pee-Gate) থেকে দিল্লিগামী বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। কিন্তু এই বিলাসবহুল যাত্রাপথেও তাঁর সঙ্গে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গিয়েছে এখনও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে ওই মহিলার অভিযোগ, এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার পর পরই তিনি বিষয়টি বিমানকর্মীদেরও জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁরা তাঁর পরনের কাপড়ের বদলে একটি পোশাক সরবরাহ করেই দায় সেরে নেন। এমনকি, সহযাত্রীর মূত্রে ভেজা আসনের উপরে একটি কাপড় বিছিয়ে সেখানেই বৃদ্ধাকে বসতে অনুরোধ করেন। বিমান সংস্থার তরফে তাঁকে জানানো হয়, তাঁকে অতিরিক্ত আসন দেওয়া পরিস্থিতি নেই গোটা বিমানে। আদালতে শঙ্করের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, যৌন উদ্দেশ্য নিয়ে বিমানে প্যান্ট খোলেননি শঙ্কর। বরং মত্ত অবস্থায় তাঁর মক্কেলের কোনও হুঁশ ছিল না।

    আরও পড়ুন: এবার জানা যাবে জ্ঞানবাপীর ‘শিবলিঙ্গের’ বয়স? পুরাতত্ত্ববিদদের আট সপ্তাহ সময় আদালতের 

    বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করেও এমন অভব্য আচরণ করেন, কে এই ব্যক্তি? ব্যক্তির পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন। তিনি যে সে লোক নন। নাম শঙ্কর মিশ্র (Air India Pee-Gate)। তিনি একটি বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদে কর্মরত। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তিনি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। এর আগে শঙ্করকে ৩০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বিমান যাত্রায়। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এই ঘটনার জেরেই চাকরি খুইয়েছেন ওই ব্যক্তি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  •  Union Budget 2023: কমবে মধ্যবিত্তের বোঝা! আসন্ন বাজেটে বদল হবে কি কর-কাঠামোর?

     Union Budget 2023: কমবে মধ্যবিত্তের বোঝা! আসন্ন বাজেটে বদল হবে কি কর-কাঠামোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করের (Tax) কাঠামোর বদল হতে পারে আসন্ন বাজেটে (Union Budget 2023)। আর্থিক বৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে কয়েক বছর আগে কর্পোরেট সংস্থাগুলির কর কমিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। আসন্ন বাজেটেও ব্যক্তিগত আয়করও কিছুটা কমতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। চলতি বছর হওয়ার কথা ১০ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবারই শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে নরেন্দ্র মোদির সরকার। আগামী বছর যেহেতু দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন, তাই সেবার পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তাই এবার বাড়ানো হতে পারে করমুক্ত আয়ের সীমা। বিভিন্ন ধারার অধীনে করছাড়ের মাত্রা বাড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আয়করের হার…

    এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়করের হার কমানোর বিষয়ে ভাবছে সরকার। তবে এ ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেবারই শেষবারের মতো আয়করের স্ল্যাবে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তখনই আয়কর মকুবের সর্বোচ্চ সীমা ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। তাই এবার পুরানো কর কাঠামোয় (Union Budget 2023) পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছেন আয়করদাতারা।

    আরও পড়ুুন: বিদেশি চর! তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার অর্থমন্ত্রকের অস্থায়ী কর্মী

    দিন কয়েক আগে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত মিলেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কথায়ও। তিনি বলেছিলেন, আমি নিজে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাই মধ্যবিত্তের সমস্যাগুলি বুঝি। মোদি সরকার নতুন করে এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর কোনও কর আরোপ করেনি। তিনি বলেছিলেন, এখনও ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় দিয়ে রেখেছে সরকার। মধ্যবিত্তরা গণপরিবহণ সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করে। তাই আমরা ২৭টি জায়গায় মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক নিয়ে এসেছি। অনেক মধ্যবিত্ত মানুষ চাকরির সন্ধানে শহরে চলে যাচ্ছে। যার জন্য আমরাও স্মার্ট সিটির লক্ষ্যে ফোকাস করছি। মধ্যবিত্তের উন্নয়নে আমরা এই কাজ চালিয়ে যাব। প্রসঙ্গত, পুরানো কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা না হলেও, ২০২০ সালে নয়া কর কাঠামো (Union Budget 2023) চালু করেছিল কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছিল, কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নীচে হলে তাঁকে আয়কর দিতে হবে না। ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার কম পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ৫ শতাংশ। আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে কর বাবদ নেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Burqa: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    Burqa: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজে রয়েছে ড্রেস কোড (Dress Code)। তা লঙ্ঘন করেই বোরখা (Burqa) পরে কলেজে এসেছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ছাত্রী। স্বাভাবিকভাবেই কলেজে ঢুকতে বাধা পান ওই পড়ুয়ারা। কলেজ গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁদের বাধা দেন। উত্তর প্রদেশের মোরদাবাদের (Moradabad) হিন্দু কলেজের ঘটনা। বোরখা পরিহিত ওই ছাত্রীদের অভিযোগ, বোরখা পরে আসার কারণে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। কলেজের গেটেই বোরখা খুলতে বাধ্য করা হয় তাঁদের। এনিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমাজবাদী ছাত্রসভার কর্মীদের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ড্রেস কোড পরে কলেজে আসার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনড় থাকেন। ওই কলেজের অধ্যাপক এপি সিং বলেন, কলেজের পড়ুয়াদের জন্য ড্রেস কোড চালু হয়েছে। সেই ড্রেস কোড কেউ না মানলে তাকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে সমাজবাদী ছাত্র সভার তরফে কলেজ কর্তৃপক্ষকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ড্রেস কোডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বোরখাকেও (Burqa)।

    হিজাব বিতর্ক…

    ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল কর্নাটকে। উদুপির একটি সরকারি মহিলা কলেজে হিজাব (Hijab) পরে এসেছিলেন কয়েকজন ছাত্রী। তাঁদেরও ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। যদিও সেক্ষেত্রেও হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের কাছে নতি স্বীকার করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরে পরেই বিজয়পুরার একটি কলেজে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আসেন কয়েকজন পড়ুয়া। একইভাবে তাঁদেরও কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পড়ুয়াদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কলেজে আসতে হবে ড্রেস কোড মেনেই। এর পরেই ওই রাজ্যের প্রি-ইউনিভার্সিটি এডুকেশন বোর্ড রীতিমতো সার্কুলার জারি করে জানিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট ড্রেস কোড পরেই আসতে হবে স্কুল-কলেজে।

    আরও পড়ুুন: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় আচরণও করা যাবে না। বিতর্কের রেশ গড়ায় কর্নাটক হাইকোর্ট পর্যন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয় একাধিক পিটিশন। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। হিজাব কখনও বাধ্যতামূলক নয়। কোরানে উল্লেখ থাকলেই যে সেই প্রথা জরুরি হবে এমন নয়। ইসলামিক দেশগুলিতেই হিজাব পরা নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মেয়েরা। ইরানের রাজপথে হিজাব না পরার পক্ষে সওয়াল করেছেন সেখানকার স্বাধীনচেতা মেয়েরা। সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে সওয়াল করে একথাই জানিয়েছিলেন আইনজীবী তুষার মেহতা। ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, দেশে হিজাব-বিতর্ক তৈরি করা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার চক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Delhi: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে কথা হত জাহাঙ্গিরপুরী থেকে ধৃত ২ সন্ত্রাসীর! দাবি দিল্লি পুলিশের

    Delhi: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে কথা হত জাহাঙ্গিরপুরী থেকে ধৃত ২ সন্ত্রাসীর! দাবি দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে সন্ত্রাসী ধরা পড়ার ঘটনায় এল নয়া মোড়। জাহাঙ্গিরপুরী থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে দিল্লি পুলিশের কাছে। ধৃত ওই দুই জঙ্গি নওশাদ আলি ও জগজিৎ সিংকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তারা পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছিল ও সেখানকার জঙ্গিদের সঙ্গে রীতিমত যোগাযোগও ছিল তাদের। এদিন তারা দিল্লি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, তারা দুবার নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা দু’বারই ব্যর্থ হয়। এছাড়াও নওশাদ পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বড় কিছু করাjই পরিকল্পনা ছিল তাদের। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদ ও জগজিৎকে।

    পাকিস্তানি জঙ্গি ও সন্ত্রাস সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ নওশাদের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নওশাদ ও জগজিৎ হরকাত-উল আনসার সংগঠন এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে দেখা করেছিল। এই দুই সংগঠনকে ভারত থেকে জঙ্গি সংগঠন বলে মনোনীত করা হয়েছে। এমনকী পাকিস্তানি সন্ত্রাসী তথা লস্কর জঙ্গি আসফাক ওরফে আরিফের সঙ্গেও নওশাদের যোগাযোগ ছিল। এই আসফাক ও সুহেল নামক জঙ্গির থেকেই নির্দেশ পেত নওশাদ। সূত্রের খবর, “আরিফই নওশাদকে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সুহেলের সঙ্গে দেখা করতে বলেছিল। সুহেলও সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটি-এর সদস্য, বর্তমানে সে পাকিস্তান থেকে কাজ করছে।” সূত্রের খবর, সুহেল পাঞ্জাবের কিছু বড় নেতাকে টার্গেট করার পরিকল্পনা করেছিল।

    জেলে থাকাকালীন নওশাদ সন্ত্রাসী নাদিমের সঙ্গে দেখা করেন

    নওশাদ তদন্তের সময় প্রকাশ করেছে যে, সে যখন জেলে ছিল, তখনই নাদিমের সঙ্গে দেখা করেছিল, সে সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাত-উল-আনসারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সূত্রের খবর, “জেল থেকে প্যারোলে বেরিয়ে আসার পর, জিহাদের জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য নাদিম নওশাদকে হরকাত-উল-আনসার সংগঠনে যুক্ত করেছিল।” 

    আরও পড়ুন: মায়াপুরে ইস্কনের মন্দিরে পুজো দিয়ে নদিয়ায় সভা! বাংলায় প্রচারে জেপি নাড্ডা

    ২০১৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পায় নওশাদ

    নওশাদ আরও জানিয়েছে, হত্যার দায়ে সে ২৫ বছর জেলে বন্দি ছিল ও ২০১৮ সালে মুক্তি পায় ও তার পরেই নাদিমের সঙ্গে কাজ শুরু করে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও দুবারই তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। যে নেপালি কর্মকর্তার মাধ্যমে সে তার নেপালি পাসপোর্ট তৈরি করছিল তাকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। নওশাদ প্রায় ২৭ বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ছিল এবং সেই সময়ে সে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠনের জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করত,  তারপরে সে তাদের হয়ে কাজ শুরু করে।

    দিল্লি পুলিশের দাবি

    এর আগে, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, দুই ধৃত সন্ত্রাসী কমপক্ষে চারজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছিল যাদের পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাত-উল আনসার এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই তথ্যগুলি দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের কয়েকদিন পাওয়া গিয়েছে, ফলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ জানতে পেরেছে যে এই দুজন সুনীল রাঠি, নীরজ বাওয়ানা, ইরফান চেনু, হাশিম বাবা, ইবাল হাসান এবং ইমরান পেহলওয়ানের মত কয়েকজন গ্যাংস্টারেরও সংস্পর্শে ছিল। দিল্লি পুলিশ বলেছিল যে, গ্রেফতার হওয়া দুই সন্ত্রাসীকে “ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের” লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assembly Elections 2023: ফেব্রুয়ারিতেই তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা কমিশনের

    Assembly Elections 2023: ফেব্রুয়ারিতেই তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে উত্তর-পূর্ব ভারতে ভোটের ঘণ্টা বেজে গেল। ঘোষণা করা হল ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ড-মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের দিন। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। নাগাল্যান্ড-মেঘালয়ে ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ভোটগণনা করা হবে ২ মার্চ। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করা হবে ৪ মার্চের মধ্যে। আজ, বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এই তিন রাজ্যের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন।

    বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা

    ত্রিপুরায় ভোট হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। ২১ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু, শেষ দিন ৩০ জানুয়ারি। মনোনয়ন পরীক্ষা করা হবে ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৭ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি করা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১০ ফেব্রুয়ারি। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ। তিন রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মার্চ। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করা হবে ৪ মার্চ, শনিবারের মধ্যেই।

    সাংবাদিক বৈঠকে কী কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশন?

    তিনি আজ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পাশাপাশি জানান যে, তিনটি রাজ্যেই ৬০ টি বিধানসভা আসন আছে। আবার তিনি এদিন এই তিন রাজ্যের ভোটারদের সংখ্যা নিয়েও বিশদে বলেন। তিনি বলেন, “নাগাল্যান্ড, মেঘালয় এবং ত্রিপুরা মিলে মোট ৬২.৮  লক্ষেরও বেশি ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ৩১.৪৭  লক্ষ রয়েছেন মহিলা ভোটার, ৯৭০০০ ভোটার ৮০-এর বেশি বয়সী ভোটার  আর ৩১,৭০০ জন প্রতিবন্ধী ভোটার। আবার ৭৬ লক্ষেরও বেশি ভোটার প্রথমবারের মত ভোট দিতে চলেছেন।” তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন, কিছু ভোটকেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে প্রতিবন্ধী এবং মহিলা কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হবে। নাগাল্যান্ড, মেঘালয় এবং ত্রিপুরা জুড়ে মোট ৩৭৬ টি পোলিং বুথে মহিলারাই কমান্ডে থাকবেন।

    মুখ্যনির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ১১-১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনটি রাজ্যেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা পরিদর্শন করেছেন। সমস্ত জেলা কালেক্টর, এসপি, ডিজি এবং সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, এমন কয়েকটি রাজ্য রয়েছে যেখানে নির্বাচনের আগে ও পরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। তবে সম্প্রতি দু-তিনটি রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে, যেখানে নির্বাচনের সময় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই।

    নির্বাচনের দিন ঘোষণার পাশাপাশি এদিন থেকেই লাগু হয়ে গেল আদর্শ আচরণবিধি। ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ৬৯ সাধারণ পর্যবেক্ষক থাকবেন। থাকবেন ৩৩ জন পুলিশ পর্যবেক্ষকও।

  • SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও সংগঠন যারা ভারতে (India) ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। সেই সংক্রান্ত মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।

    সিমি…

    এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। এরা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক ইসলামি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের যে লক্ষ্য, তা আমাদের দেশের আইনের পরিপন্থী। বিশেষত, তাদের মূল লক্ষ্য হল ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ২০০১ সালেই এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিমিকে (SIMI)। কারণ ওই সংগঠন আইনবিরুদ্ধ নানা কার্যকলাপ করছিল। এ দেশে তাদের ৩৬টিরও বেশি শাখা সংগঠন রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে তারা তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, ৩৬টিরও বেশি ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে এদেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিমি। এই ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনগুলো নানাভাবে সিমিকে সাহায্য করছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থ সংগ্রহ, পুস্তিকার মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, ক্যাডারদের সংগঠিত করা ইত্যাদি। সিমি বিভিন্ন রকম বেআইনি কাজকর্মও করছিল। এই সব কাজ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ঙ্কর হুমকি স্বরূপ।

    আরও পড়ুুন: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    বুধবার কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামা নিয়ে শুনানি হবে বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের এজলাসে। সুপ্রিম কোর্টেই সিমির (SIMI) এক প্রাক্তন সদস্য পিটিশন দাখিল করেছিল। ২০১৯ সালে ইউএপিএ ধারায় সিমিকে যে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাখিল করা হয় ওই পিটিশন। এদিন কেন্দ্রের তরফে দাখিল করা হলফনামায় এও বলা হয়েছে, সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও বিভিন্ন সংগঠনের নামে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এর প্রতি যারা সহানুভূতিশীল, তারা। এই সব সংগঠন মুসলিম তরুণদের মনে জেহাদির ধারণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তাদের ব্রেইন ওয়াশ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Narendra Modi: ভোটের আশা না করেই মুসলিমদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ান! বিজেপি কর্মীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: ভোটের আশা না করেই মুসলিমদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ান! বিজেপি কর্মীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ম নয়, উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ২০২৪ লোকসভা ভোটে জিতে আসতে হবে। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের কর্মীদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর ৪০০ দিন। এই আবহে ভোটের আশা না করেই বিজেপি কর্মীদের মুসলিমদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিজেপি এখন আর শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটি একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। অমৃত কালকে কর্তব্য কালে রূপান্তরিত করার জন্য সমাজের সকল মানুষকে এক সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।”

    মুসলিম ভোটে জোর

    ২০১৪ সালে প্রথম বার দিল্লির মসনদে বসেছিলেন মোদি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এ বার লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। লোকসভার আগে চলতি বছরেই তেলঙ্গনা,কর্ণাটকের মতো রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে মুসলিম ভোটাররা বড় ফ্যাক্টার। তাই মুসলিম তথা সংখ্যালঘু ভোটকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের নেতা-কর্মীদের শিক্ষিত মুসলিমদের কাছে পৌঁছনোর কথা বলেন। তাঁদের সামনে উন্নযনের লেখচিত্র তুলে ধরার নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    ঐক্যের বার্তা

    পাশাপাশি মুসলিমদের উদ্দেশ্য কোনওরকম কু কথা-আক্রমণ করা যাবে না বলেও দলীয় কর্মীদের বারবার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগী আদিত্যনাথ থেকে প্রজ্ঞা ঠাকুর,নুপুর শর্মা সহ বিজেপির নেতা,মন্ত্রী প্রকাশ্যে বারবার মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করেছেন। তাতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করেন মোদি। বিজেপির এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিজেপি কর্মীদের ভোটের আশা না করেই পাসমান্ডা মুসলিম, বোহরা সম্প্রদায়, পেশাদার এবং শিক্ষিত মুসলিমদের সঙ্গে দেখা করার আহ্বান জানান।’কর্মী-সমর্থকদের অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে মন্তব্য করতেও নিষেধ করেন মোদি। সম্প্রতি বিজেপির একাধিক নেতা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয় নিয়ে আলপটকা মন্তব্য করেছেন। তাতে আখেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। মোদির বার্তা, এই সব বিতর্কের জেরে দলের প্রচার ধাক্কা খেয়েছে। ওই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি সামনে চলে আসছে। বিজেপির উন্নয়নের প্রচার পিছনের দিকে চলে যাচ্ছে। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এই নীতির অধীনে, সমস্ত রাজ্যের একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত এবং একে অপরের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিলিত হওয়া উচিত, বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Assembly Elections 2023: কবে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরা-মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে? আজই ঘোষণা করবে কমিশন

    Assembly Elections 2023: কবে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরা-মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে? আজই ঘোষণা করবে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই উত্তর-পূর্ব ভারতে ভোটের দামামা বাজতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন আজ দুপুরেই ত্রিপুরা (Tripura), মেঘালয় (Meghalaya) ও নাগাল্যান্ডের (Nagaland) বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে চলেছে। আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে তিন রাজ্যের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে কমিশন। উল্লেখ্য, এই তিন রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের মার্চেই।

    দেশের তিন রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা আজই

    আগামী ১২ মার্চ নাগাল্যান্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেঘালয় এবং ত্রিপুরা বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে যথাক্রমে ১৫ মার্চ এবং ২২ মার্চ। ফলে উপরিউক্ত তারিখের মধ্যেই ভোট করতে হবে রাজ্যগুলিতে। সেইমতই তিন রাজ্যের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে কমিশনের ফূল বেঞ্চ সম্প্রতি নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও মেঘালয় সফর করেছে।

    এই তিন রাজ্যের নির্বাচেনর দিনক্ষণ নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। তারই মধ্যে নির্বাচন কমিশন দিয়ে দিল নির্বাচনের বার্তা। সমস্ত জল্পনার অবসান করে আজ নির্বাচন কমিশন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এই সাংবাদিক বৈঠকের কথা। তবে এখনও পর্যন্ত ভোটের তারিখ ঘোষণা করা না হলেও ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এবারে এই তিন রাজ্যের মধ্যে মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    কোন রাজ্যে কোন সরকার রয়েছে?

    এই তিন রাজ্যের মধ্যে নাগাল্যান্ডে চলছে সর্বদলীয় সরকার। সেখানে বিধানসভায় কোনও বিরোধী দল নেই। মেঘালয়ে চলছে বিজেপি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জোট সরকারের শরিক। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দুই দল আলাদা লড়াই করবে বলে ঠিক আছে। অন্যদিকে, ত্রিপুরায় বিজেপি রয়েছে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের দুই প্রধান দল কংগ্রেস ও সিপিএম জোট করে লড়াই করার পথে হাঁটছে। তবে ত্রিপুরায় ২০২৩-এও ফের গেরুয়া ঝড় উড়বে এই নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। আবার ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

    এই তিন রাজ্য সহ ২০২৩-এ মোট ৯টি রাজ্যে ভোট হবে। তার মধ্যে নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও ত্রিপুরার ভোট ঘোষণা আজ হতে চলেছে। এরপর ভোট রয়েছে কর্ণাটকে। তারপর ভোট হওয়ার কথা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মিজোরাম ও তেলেঙ্গানায়। ডিসেম্বরে ভোট হওয়ার কথা জম্মু ও কাশ্মীরেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Narendra Modi: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    Narendra Modi: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংযোগে জোর দিন। জেলায় জেলায় সমাবেশ করুন। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে যান। ঘরে ঘরে প্রচার করুন। রাজধানী দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের (BJP National Executive Party Meeting) শেষ দিনে দলীয় কর্মী ও নেতাদের এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।

    বিজেপি জোড় প্রচার

    মঙ্গলবার,  বিজেপির কার্যনির্বাহী সমিতির দুই দিনের বৈঠকের শেষদিনে, বিজেপি কর্মীদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘মোদি এলেই জিতব এই মানসিকতা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না।’’ কর্মীরা যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতিগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করুন। পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দলের সঙ্গে যুক্ত করতে ‘বিজেপি জোড়’ প্রচার শুরুর পরামর্শও দিয়েছেন মোদি। 

    যুব সম্প্রদায় লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র ৪০০ দিন বাকি আছে। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবরা এর আগের সরকারের অপশাসন দেখেনি। বর্তমান সরকারের অধীনে ভারতে কীভাবে অপশাসন সরে গিয়ে সুশাসন এসেছে, তা তারা জানে না।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বিরোধী দলগুলিকে দুর্বল মনে করলে চলবে না। সবাইকে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে। যুব সম্প্রদায়কে মোদি সরকারের কাজ নিয়ে সচেতন করতে হবে। বিজেপি কর্মীদের সমাজের সকল শ্রেণির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। শুধুমাত্র ভোটের জন্য কাজ করলে চলবে না, দেশে পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করতে হবে।’’ 

    আরও পড়ুুন: ‘লড়াই চলবে’, বঙ্গ বিজেপির প্রশংসা করে জানিয়ে দিলেন মোদি

    গ্রামীণ এলাকায় যান

    জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত করার বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সব শ্রেণির মানুষের কাছে গিয়ে বিজেপি সরকার কী কী ভাল কাজ করেছে, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন মোদি। দেশের প্রত্যেক প্রান্তের নেতাদের কাছে তাঁর আর্জি, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। বাংলায় বিজেপি কর্মীরা যেভাবে লড়াই করছেন, তার প্রশংসাও করেন তিনি। বিশেষত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে কার্যকলাপ বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলেন তিনি। প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় সমাবেশ করার কথাও বলেন। সংখ্যালঘুদের কাছে গিয়েও বিজেপি সরকারের ‘সুশাসনে’র প্রচার চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মোদির কথায়, ‘‘ভারতে সেরা সময় চলছে। এই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে আমাদের নিজেদের উৎসর্গ করা দরকার।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share