Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • LGBT: সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি অভিভাবকদের

    LGBT: সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি অভিভাবকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহের (Same Sex Marriage) দাবি উঠেছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবার এই বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিলেন এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠীভুক্তদের ৪০০-রও বেশি বাবা-মা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে তাঁরা লিখেছেন, তাঁদের সন্তানরা যাতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় বিবাহের বৈধতা পায়, সেই বিষয়টি দেখে যেতে চান তাঁরা। সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এদিনের শুনানিতেও এই ধরনের বিবাহের পক্ষে সওয়াল করেছেন এই গোষ্ঠীর পক্ষের আইনজীবীরা।

    সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে শুনানি…

    সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে শুনানি। মঙ্গলবার শুনানি পড়ল চতুর্থ দিনে। এদিন দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, যদি সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনে রূপান্তরিত করতে হয়, তাহলে বহু আইন বদলাতে হবে। তার জন্য কি সুপ্রিম কোর্ট বসে রয়েছে? প্রশ্ন আদালতের। এদিন আইনজীবী গীতা লুথরা বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীর ১২টি দেশ ইতিমধ্যেই সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই ভারতেরও পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।

    প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠীভুক্তদের বাবা-মায়েরা লিখেছেন, সন্তানদের জীবন ও যৌনতার ভাবনার কথা অনুভব করে একে গ্রহণ করেছেন তাঁরা। এখন এই বিবাহের আইনি বৈধতা চাইছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, যাঁরা এই ধরনের বিবাহের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কারণ এক সময় আমাদের মধ্যে অনেকে ওই পক্ষেই ছিলাম। তাঁরা লিখেছেন, কিন্তু শিক্ষা, আলোচনা আর ধৈর্যের মধ্যে দিয়ে আমরা বুঝেছি, আমাদের সন্তানদের ভাবনা ও অনুভূতি যথার্থ। আজ যাঁরা সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছেন, একদিন তাঁরাও আমাদের শরিক হবেন।

    আরও পড়ুুন: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    মোদি সরকার সমলিঙ্গ বিবাহকে অভিজাত শ্রেণির ভাবনা বলেছে। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠী পক্ষের আইনজীবী মিনাক্ষী গুরুস্বামীকে প্রশ্ন করেন, ভারতে অনেক বৈচিত্র রয়েছে। আপনারা কি এই গোষ্ঠীর সবার কথা তুলে ধরছেন? হয়তো অনেকের কথা শোনা হচ্ছে না। মিনাক্ষীর জবাব, সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞায় যাঁরা যোগ দিতে চান, তাঁরা যোগদান করবেন। যাঁরা চান না, তাঁদের এই পথে আসার প্রয়োজন নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China Meet: রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সম্পর্কের বরফ গলবে কি?

    India China Meet: রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সম্পর্কের বরফ গলবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলতে পারে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ। পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল দুই দেশের সেনার। দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তারপর এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের (Rajnath Singh) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি (India China Meet)। লাদাখের পাশাপাশি ডোকলাম ও অরুণাচল সীমান্ত নিয়েও দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    ভারত-চিন বৈঠকের (India China Meet) লক্ষ্য…

    চলতি সপ্তাহের শেষেই ভারতে হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই মুখোমুখি হতে চলেছেন রাজনাথ এবং সাংফু। রাজনাথের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুরও। পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশ এবং ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকার ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের একটি গ্রামের নামও বদলে দিয়েছে চিন। এসবের পরেও প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলানোর চেষ্টা করেছে ভারত। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। এমতাবস্থায় ফের হচ্ছে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। লক্ষ্য সেই সম্পর্কের বরফ গলানো।

    আরও পড়ুুন: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    সাংহাই কো-অপারেশন কর্পোরেশনের সদস্য দেশগুলি হল ভারত (India China Meet), চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাজাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। এ বছর বৈঠক হবে নয়াদিল্লিতে। বৈঠকে পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে যোগ দেবে বেলারুস ও ইরান। সূত্রের খবর, সাংহাই কো-অপারেশন বৈঠকে যোগ দিতে যে সব দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আসছেন, তাদের সকলের সঙ্গে আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন রাজনাথ। বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংহাই কো-অপারেশনের অধীনস্থ দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মিলিত উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করবেন।

    জানা গিয়েছে, চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলবেন রাজনাথ (India China Meet)। অরুণাচল প্রদেশেও চিনা সেনার সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়েও কথা বলতে পারেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    Rahul Gandhi: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদি’ পদবী মামলায় এবার গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে। মোদি পদবী অবমাননার মামলায় সুরাটের দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার গুজরাট হাইকোর্টে (Gujarat High Court) যান কংগ্রেস নেতা। 

    কংগ্রেসের মত

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের এই মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয় বিজেপি। এরপর মন্তব্যের জন্য সুরাটের একটি আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের হয়। ঘটনার প্রায় চার বছরের মাথায় গত ২৩ মার্চ ‘মোদি’ পদবী মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরাটের ফৌজদারি আদালত। ২ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি শোনায় আদালত। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মঙ্গলবার জানান, এই ধরনের মামলায় সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবু শীর্ষ আদালত, আগে হাইকোর্টে মামলার শুনানির জন্য বলতে পারে ধরে নিয়ে রাহুলের তরফে হাইকোর্টে সাজা বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: প্রয়াত পাঞ্জাবের লৌহপুরুষ প্রকাশ সিং বাদল! ২ দিনের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা কেন্দ্রের

    উল্লেখ্য, যদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মানহানি মামলায় তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়, তাহলে তিনি ফের সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারেন। সেই উদ্দেশেই রাহুল দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুরাট কোর্টের। সেখান থেকে স্বস্তি না পেয়ে তিনি গুজরাট হাইকোর্টে যান। প্রসঙ্গত, গত মাসে সাংসদ পদ হারান রাহুল। বিধি অনুযায়ী কোনও সাংসদ যদি ২ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কারাবাসের সাজা পান, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়। গুজরাট হাইকোর্টে যদি স্বস্তি না মেলে তাহলে সেক্ষেত্রে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন রাহুল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parkash Singh Badal: প্রয়াত পাঞ্জাবের লৌহপুরুষ প্রকাশ সিং বাদল! ২ দিনের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা কেন্দ্রের

    Parkash Singh Badal: প্রয়াত পাঞ্জাবের লৌহপুরুষ প্রকাশ সিং বাদল! ২ দিনের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের রাজনীতির লৌহপুরুষ প্রকাশ সিং বাদল (Parkash Singh Badal) প্রয়াত। মঙ্গলবার রাতে মোহালির এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আকালি দলের (SAD) নেতা প্রকাশ সিং বাদল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজনাথ সিং সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁর মৃত্যুতে ভারত সরকারের তরফ থেকে ২ দিনের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল এই দু দিন সারা দেশ জুড়ে শোক দিবস পালন করা হবে। অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা।

    শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    দীর্ঘ রোগভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রকাশ সিং বাদল (Parkash Singh Badal)। এক সপ্তাহ আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদ্য তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। তিনি আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। শ্বাসজনিত সমস্যার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশ সিং বাদলের ছেলে সুখবীর সিং বাদল এবং মেয়ে পরণীত কাউর। বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। শোক প্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।

    শোকাহত প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “প্রকাশ সিং বাদলজি-র মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিলেন এবং আমাদের দেশের প্রতি তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। পাঞ্জাবের চরম সময়ে রাজ্যের অগ্রগতিতে তিনি অক্লান্তভাবে কাজ করে গিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘আমিও ‘মন কি বাত’-এর শততম পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী

    রাজস্থান সীমানা লাগোয়া পাঞ্জাবের আবুল খুরানা গ্রামে জন্মেছিলেন প্রকাশ সিং বাদল (Parkash Singh Badal)। সালটা ১৯২৭। অবিভক্ত পাঞ্জাবের লাহোরে, ফরমান ক্রিশ্চান কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে গ্রামের ‘সরপঞ্চ’ নির্বাচিত হন তরুণ প্রকাশ। এর পর ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক। সালটা ১৯৭০, ৪৩ বছর বয়সে রাজ্যে প্রশাসনিক প্রধান হলেন প্রকাশ সিং বাদল। পাঁচবার ওই পদ সামলানোর অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনী পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছিল তাঁকে। পাঞ্জাবের নবীনতম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়েন প্রকাশ। প্রায় সাত দশকের রাজনৈতিক জীবনে মাত্র দুবার নির্বাচনে হেরেছেন। একটি ১৯৬৭ সালে, দ্বিতীয়টি ২০২২ সালে। ১৯৯৫ সালে অকালি দলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২৪ এপ্রিল হল জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার বিশেষ দিন। এই দিনটির মূল বিষয় হল পরিস্রুত এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা এবং স্বচ্ছ গ্রামীণ সমাজ গঠন করা। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল। এই দিনই সাংবিধানকে সংশোধন করে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান (Panchayati Raj Institutions (PRI)) স্থাপন করা হয়। এটি কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে স্থানীয়স্তরের বিশেষ মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে।

    পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান কী?

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) প্রতিষ্ঠান হল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা। স্থানীয় মানুষের দ্বারাই সরকারি প্রশাসন ব্যবস্থার তিনটি স্তর নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এটি গত ২৭ বছর ধরে গ্রামীণ স্তরে সরকারের পরিষেবা নিয়ে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে চলেছে।

    পঞ্চায়েতি রাজের ইতিহাস

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার একটি বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। সংস্কৃত শব্দ ‘পঞ্চ্‌’ শব্দের মানে হল ‘পাঁচ’ এবং ‘ইয়েত’ শব্দের অর্থ হল ‘বিধান’। ঋগ্বেদে বলা হয় স্থানীয় বা আঞ্চলিক সভা, সমিতি এবং বিধা। গণতান্ত্রিক পরিসরে এই শব্দের বিশেষ ব্যবহার ছিল। ভারতের মৌর্য যুগের রাজাদের সময় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৩০০ বছর সময়পর্বে রাজ্যে ছিল স্বায়ত্তশাসন। সেই সঙ্গে এটি ছিল ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। মৌর্য যুগের পরে গুপ্ত যুগেও শাসন ব্যবস্থা একই রকম ছিল। গ্রামীণস্তরে ছিল গ্রামপতি এবং জেলাস্তরে ছিল বিষয়পতি নামযুক্ত বিশেষ পদ। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে গ্রামীণ পঞ্চায়েতের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ১৮৭০ সাল থেকেই আঞ্চলিক জনপ্রতিনিধিদের ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া হয়। পাশ হয় মেয়ো রেজলিউশন। নগর নিগম থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার বিশেষ নিয়ম চালু করে ব্রিটিশ সরকার। আধুনিক ভারতে পঞ্চায়েতি রাজ চালু হয় ১৯৫৯ সালে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর আমল থেকে। কিন্তু সেই সময় এর সাংবিধানিক মান্যতা ছিল না। ১৯৯৩ সালে ৭৩ সংবিধান সংশোধন আইনের মাধ্যমে সাংবিধানিক মান্যতা লাভ করে পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। এই সংশোধনীতে স্পষ্ট করে বলা হয়, এই পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিশেষ স্তরযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। যা হল গ্রাম, ব্লক এবং জেলা।

    কেন এই পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার ৭৩ তম সংশোধন?

    এই সংশোধনের দুটি ধারা রয়েছে। সাংবিধানিক দুটি স্তর হল ধারা-৯ যা ‘দ্য পঞ্চায়েত’ এবং ধারা ৯-এ যা ‘দ্য মিউনিসিপ্যাল’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে গণতন্ত্রের বুনিয়াদি ধাঁচা হল গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি বা পৌরসভা। এই গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি স্থানীয় এলাকার সকল প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের নিয়ে গঠিত হয়। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গ্রাম, তার উপরে রয়েছে ব্লক, তালুক, মণ্ডল এবং তার উপরে জেলাস্তর ২০ লাখ আবাদী পর্যন্ত; (Article 243B)। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ত্রিস্তর ব্যবস্থার (Panchayati Raj) সকল আসনে ভোটে জয়ী হয়ে আসতে হয়। 

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) দিবস হল তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, যা গ্রামীণ ক্ষেত্র পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি হল একটি এমন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সরকার গ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজের যোজনাগুলি বাস্তবায়িত করে থাকে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সমাজের প্রয়োজন বুঝে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে খুব সাহায্য করে এই ব্যবস্থা। তাই ২৪শে এপ্রিল দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মানুষের কাছাকাছি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ মাধ্যম হল এই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। 

    এই বছরের থিম 

    এই বছর এক সপ্তাহ ধরে দিনটি (Panchayati Raj) পালন করা হবে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্যকর পরিমণ্ডল, পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা, এবং পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ সবুজ পঞ্চায়েত সম্পর্কিত জাতীয় সম্মেলন আয়োজিত হবে সারা দেশ ব্যাপী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘আমিও ‘মন কি বাত’-এর শততম পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘আমিও ‘মন কি বাত’-এর শততম পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনাদের মতো আমিও ‘মন কি বাতে’র শততম পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৩০ এপ্রিল রবিরার মন কি বাতের শততম পর্ব সম্প্রচারিত হবে। এদিন দাদরা নগর হাভেলি জেলায় বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর মিলেট বর্ষ হিসেবে পালিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে মিলেটের জনপ্রিয়তা ক্রমশই বাড়ছে। তা সে রাগি কুকিস হোক কিংবা ইডলি। সেগুলি হটকেকের মতো বিকোচ্ছে। সেই কারণে বাড়ছে কৃষকের আয়ও।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন কি বাতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি একাধিকবার মিলেটের কথা বলেছি। আপনারা জানেন, আগামী রবিবার মন কি বাতের শততম পর্ব সম্প্রচারিত হবে। তিনি বলেন, কৃতী ভারতবাসীর কথা তুলে ধরতে এবং দেশের বিভিন্ন গৌরবোজ্জল অধ্যায় তুলে ধরতে মন কি বাত ক্রমেই একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্মে পরিণত হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মন কি বাত অনুষ্ঠান শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ অন্তত একবার শুনেছেন মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান। ২৩ কোটি মানুষ নিয়মিত হয় শোনেন নয় দেখেন প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান। আইআইএম রোহতেকের করা একটি সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। ১০ হাজার তিনজন মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। সমীক্ষক সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চল থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি জোন থেকে রেসপন্স মিলেছে প্রায় ২,৫০০ জনের।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট

    সমীক্ষা থেকে এও জানা গিয়েছে, ৪১ কোটি মানুষ রয়েছেন, যাঁরা আংশিক সময়ের শ্রোতা থেকে পূর্ণ সময়ের শ্রোতা হয়েছেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। নানা প্রকল্প এবং সরকারি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন ওই অনুষ্ঠানে। তাই ৭৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন ভারত সরকার সঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, শ্রোতাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ দেশ গড়ার কাজে অংশ নেওয়ার কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। ৫৫ শতাংশ শ্রোতা দেশের দায়িত্ববান নাগরিক হওয়ার বিষয়ে এগিয়ে আসার কথা বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, তদন্তে লন্ডনে যাচ্ছে এনআইএ

    NIA: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, তদন্তে লন্ডনে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে যাবে এনআইএ (NIA)। গত মাসে লন্ডনে (London) ভারতীয় দূতাবাসের সামনে তাণ্ডব চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা (Pro Khalistan)। সেই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার ব্রিটেন যাচ্ছেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, লন্ডনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁদের সেই বিবৃতি করা হবে রেকর্ডও। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এনআইএ তদন্তের ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলেছে। তার পরেই রাজার দেশে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    তদন্তে এনআইএ (NIA)…

    সম্প্রতি খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু তথা ওয়ারিশ পঞ্জাব দে-র নেতা অমৃতপাল সিংহ। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর প্রায় ৩৬ দিন পরে গ্রেফতার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ওই নেতাকে। অমৃতপালের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান শুরু হতেই লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান খালিস্তানপন্থীরা। সেই সময় ভারতীয় দূতাবাসে ভাঙচুরও চালানো হয়। খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে টাঙানো জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। দ্রুত সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই ছবি। তার পরেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেয় ভারত (NIA)। ঘটনার পরে পরেই ব্রিটেনের কাছে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিসকে তলব করে বিদেশ মন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: কোচির রাস্তায় মোদি-ম্যাজিক! আজ কেরলে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    খালিস্তানপন্থীদের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন অ্যালেক্স। ঘটনাটিকে মর্যাদাহানিকর ও সম্পূর্ণ অবাঞ্ছনীয় বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর ঘটনায় ইউএপিএ আইনের ধারা সহ একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তার পরেই এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই তদন্ত করতেই লন্ডনে যাচ্ছেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    লন্ডনের ওই ঘটনার পরে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে বেনজির হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাকে লঘু করে দেখছে না ভারত। শুধুমাত্র পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে কাজ হবে না। অপরাধীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তিও দিতে হবে। দূতাবাসের (NIA) নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে ব্রিটিশ প্রশাসনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: টোল ফ্রি ১১২ নম্বর থেকে যোগী আদিত্যনাথকে প্রাণনাশের হুমকি! চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে

    Yogi Adityanath: টোল ফ্রি ১১২ নম্বর থেকে যোগী আদিত্যনাথকে প্রাণনাশের হুমকি! চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণনাশের হুমকি পেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (UP CM Yogi Adityanath)। আচমকাই উত্তরপ্রদেশে টোল ফ্রি ১১২ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে একটি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মেসেজ আসে। যেখানে হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশে। যোগী আদিত্যনাথকে হুমকির পরপরই রিহান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে  দায়ের করা হয় এফআইআর। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের এটিএসকেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে খবর।

    মাফিয়া-মুক্ত উত্তরপ্রদেশ

    সম্প্রতি মাফিয়া আতিক আহমেদের খুনের পর থেকে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায়। আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরফ আহমেদের হত্যার পর উত্তরপ্রদেশে আর কোনও মাফিয়া নিজেদের খাতা খুলতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। উত্তর প্রদেশকে মাফিয়া মুক্ত করতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।  তিনি বলেছিলেন, “আগে উত্তর প্রদেশের একাধিক জেলায় অপরাধ ছিল নিত্যদিনের রুটিন। এতে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। কিন্তু এখন ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই।” এমনকী আতিক আহমেদের পর তার স্ত্রী শায়েস্তা পারভিনকেও গ্রেফতার করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। তার মধ্যেই এই হুমকি। 

    এই প্রথম নয়

    জানা গিয়েছে, গত ২৩ এপ্রিল মধ্যরাতে ১১২ নম্বরে এই হুমকি মেসেজটি আসে। মেসেজটি রিসিভ করেন জনসংযোগ আধিকারিক শিখা অবস্তি। যেখানে যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। ওই আধিকারিক মেসেজটির একটি স্ক্রিনশট করেন। ৫০৬, ৫০৭ এবং ৬৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী এক অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে উত্তরপ্রদেশের সুশান্ত গলফ সিটি থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS)। কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা।

    আরও পড়ুন: কোচির রাস্তায় মোদি-ম্যাজিক! আজ কেরলে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রথমবার নয়। এর আগেও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে সেই হুমকি এসেছিল। বাগপত এলাকার বাসিন্দা অমন রাজার প্রোফাইল থেকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • African Cheetah:  গত একমাসে দ্বিতীয়বার! কুনোতে ফের মৃত্যু চিতার, কারণ জানালেন চিকিৎসকরা

    African Cheetah: গত একমাসে দ্বিতীয়বার! কুনোতে ফের মৃত্যু চিতার, কারণ জানালেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৬ বছর বয়সেই চলে গেল কুনো জাতীয় উদ্যানের চিতা উদয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এক মারাত্মক অসুখ বাসা বেঁধেছিল আফ্রিকার নামিবিয়া (African Cheetah) থেকে ভারতে নিয়ে আসা চিতাটির শরীরে। গত এক মাসে পরপর দুই চিতার মৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছে বন দফতরকে। ইতিমধ্যে চিতা উদয়ের ময়নাতদন্ত ও নেক্রোপসির রিপোর্ট সামনে এসেছে যা রীতিমতো চিন্তা বাড়িয়েছে বনকর্মীদের।

    কী জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    উদয়ের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে তৈরি করা হয়েছিল ৫ সদস্যের চিকিৎসকের দল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কুনোর এই দ্বিতীয় চিতার মৃত্যুর কারণ, কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর। প্রধান বন্যপ্রাণ সংরক্ষক জেএস চৌহান বলেছেন, ‘পশু চিকিৎসকেরা চিতাটির (African Cheetah) মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে দেখেছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর। কিন্তু এই কার্ডিয়াক ফেলিওরের কারণ কী? সেই রিপোর্টও হাতে পেয়েছেন বন আধিকারিকরা।

    পশু চিকিৎসকরা বলছেন, চিতা (African Cheetah) উদয় মারাত্মক বটুলিজম অসুখে ভুগছিল। একধরনের স্নায়ুর রোগ যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়। শরীরে টক্সিন ঢোকে এবং তার থেকেই ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বিকল হতে শুরু করে। রোগটি লক্ষণ দুর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টি, ক্লান্তি এবং কথায় জড়তা দিয়ে শুরু হয়। এরপরে হাত, বুকের পেশী এবং পা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। বমি বমি ভাব, পেট ফুলে যাওয়া এবং ডায়রিয়াও হতে পারে।

    চিতা উদয়ের মধ্যেও একই উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। হাঁটাচলা করতে কষ্ট হচ্ছিল তার। প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল। ঝাপসা হয়েছিল দৃষ্টি। খেতেও পারছিল না উদয়। তাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অন্য এনক্লোজারে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

    দক্ষিণ আফ্রিকার পশু চিকিৎসক কী বলছেন

    দক্ষিণ আফ্রিকার পশু চিকিৎসক আদ্রিয়ান টরডিফে বলছেন, বটুলিজম এমন এক রোগ যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়। এটির কারণ এন্ডোস্পোর। মাটি, জল ও খাবার থেকে শরীরে ঢুকতে পারে। অক্সিজেনের মাত্রা কম হলে বা নির্দিষ্ট কোনও তাপমাত্রায় এলে এরা বোটুলিনাম টক্সিন তৈরি করে। টক্সিনযুক্ত খাবার খেলে শরীরে ক্লোসট্রিডিয়াম বটুলিনাম ব্যাকটেরিয়ার বাড়বৃদ্ধি হয়। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পক্ষাঘাত দেখা দেয়, দুর্বল হয়ে পড়তে পারে শরীর। কার্ডিয়াক ফেলিওর হতে পারে। চিতা (African Cheetah) উদয়েরও তাই হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে অত্যধিক সার, কীটনাশক থেকে অথবা বিষাক্ত জল, খাবার থেকে পশুদের শরীরে এই রোগ হয়। জল থেকেও রোগ ছড়াতে পারে। চিতার শরীরে কীভাবে ব্যাকটেরিয়া ঢুকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: কোচির রাস্তায় মোদি-ম্যাজিক! আজ কেরলে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: কোচির রাস্তায় মোদি-ম্যাজিক! আজ কেরলে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরল না বরোদা, বোঝা দায়!প্রায় ২কিমি রাস্তা জুড়ে শুধুই মোদি ম্যাজিক। কেরলের স্টাইলে ধুতি পরে পায়ে হেঁটে কোচিতে সোমবার রোড শো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুদিনের কেরল সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  ঠিক একদিন আগে তাঁর উপর আত্মঘাতী হামলার হুমকি এসেছে। কিন্তু তারপরেও অবিচল মোদি। কেরলের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে রাস্তায় হাঁটা শুরু করেন তিনি। চারপাশে উদ্বেলিত জনতা। তার মাঝে হাত নাড়লেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরম এবং কাসারগোডের মধ্যে বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবা এবং কোচিতে ওয়াটার মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন তিনি।

    মোদিকে নিয়ে উৎসাহ

    বাম শাসিত কেরলে এদিন মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। গোটা রাস্তায় দুপাশে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। আগামী ২০২৪ এর ভোটের আগে এই রোড শো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রধানমন্ত্রী এবার কেরলে অন্তত ৩২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করবেন। দক্ষিণের যে রাজ্যে বিজেপি এখনও দাঁত ফোটাতে পারেনি তা হল কেরল। সরকারি কর্মসূচিতে সেখানে গিয়ে ভবিষ্যতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসা নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

    কেরলবাসীও বদল আনবে

    কেরল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেছেন, গোয়া এবং উত্তর-পূর্বকে অনুসরণ করবে কেরলবাসী। এই রাজ্যেও বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ। উল্লেখ্য, গোয়া এবং উত্তর-পূর্বে খ্রিস্টান জনসংখ্যা অনেকটাই বেশি। কেরলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন বিজেপি এখানে খ্রিস্টান ভোট বেশি করে পেতে চাইছে। এদিন কেরলের গির্জার প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদি। বিভিন্ন চার্চের আটজন প্রধান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা রবারের মতো পণ্যের মূল্য হ্রাসের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    এদিন প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi) বলেছেন কেন্দ্র কেরলের পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর অর্থ দিচ্ছে। যা রাজ্যে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দল চায় কেরলের যুবকরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিজিটাল ইন্ডিয়া , বিজ্ঞান এবং খেলাধূলা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিক। তিনি বলেন, আয়ুর্বেদ এবং পর্যটনের মতো ক্ষেত্রে কেরলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোদি বলেন, ‘আগে ভাবা হত, এই দেশে কিছুই বদলাতে পারে না। তবে এখন সবাই জেনে গিয়েছে, গোটা বিশ্বকে বদলে দিতে পারে এই দেশ।’ তিনি যুব সমাজের কাছে আহ্বান করেন যাতে ধর্ম, জাতি, ভাষার ভিত্তিতে দেশের জনগণের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা না হয়। মোদির কথায়, ‘আমাদের দেশ অমৃতকালের দোডরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। সবাই মিলে হাতে হাতে কাজ করতে হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share