Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Same Sex Marriage: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন পুরুষ কিংবা একজন মহিলা বলতে ঠিক কী বোঝায়, তার সম্যক ধারণা আমাদের কাছে নেই। কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না। ব্যাপারটা আরও অনেক জটিল। সমলিঙ্গ বিয়ে (Same Sex Marriage) নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আপত্তির কথা আগেই শীর্ষ আদালতে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সাংবিধানিক বেঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের উদ্দেশ্য হল, শারীরিকভাবে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। এর জবাব দিতে গিয়েই প্রধান বিচারপতি বলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে পুরুষ ও মহিলার কথা বলা হয়েছে ঠিকই, তবে একজন পুরুষ বা একজন মহিলা বলতে কী বোঝায়, সেই ধারণা পুরোপুরি জননাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।

    আরও পড়ুন: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    সেইসঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। ওই বিষয় নিয়ে আপাতত রাজ্যের বক্তব্য শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি প্রদানের জন্য একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেইসব মামলার শুনানির বিরোধিতা করে কেন্দ্রের প্রতিনিধি তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেন, সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ। প্রধান বিচারপতি অবশ্য জানিয়ে দেন, কোন বিষয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তা আদালতকে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আদালত সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আর্জি শুনতে আগ্রহী। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের পরিধির মধ্যেই এই বিষয়টি বিচার-বিবেচনা করতে চাইছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ministry of Culture: ২০ এপ্রিল দিল্লিতে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট, ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Ministry of Culture: ২০ এপ্রিল দিল্লিতে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট, ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ এপ্রিল হবে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট। ওই অধিবেশনে উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অধিবেশন হবে দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের (Ministry of Culture) তরফে জারি করা এক বিবৃতিতেই জানা গিয়েছে এ খবর। দিল্লির অশোক হোটেলে সকাল ১০টায় ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সম্মেলন চলবে এপ্রিলের দুদিন ধরে। ২০ এপ্রিল উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সাংস্কৃতিক মন্ত্রকের সঙ্গে ইন্টার ন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশনের কোলাবরেশনে আয়োজন করা হয়েছে ওই সম্মেলনের। সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হল, রেসপন্সেস টু কনটেম্পোরারি চ্যালেঞ্জস: ফিলসফি টু প্রাক্সিস।

    গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট…

    প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সম্মেলন গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট ধম্মের নেতৃত্বকে সামিল করার একটি চেষ্টা। বুদ্ধিস্ট এবং ইউনিভার্সাল উদ্বেগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে বলবেন বিভিন্ন দেশের পণ্ডিতরা। সম্মিলিতভাবে শোনা হবে তাঁদের বক্তব্য। সম্মেলনে বুদ্ধের ধম্মের মৌলিক মূল্যবোধগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। সমসাময়িক (Ministry of Culture) সেটিংস সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করা হবে। দেওয়া হবে নির্দেশনাও। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সম্মেলনে অংশ নেবেন বিশ্বের বিভিন্ন পণ্ডিত ব্যক্তি, সংঘ নেতা এবং ধম্ম অনুশীলনকারীরা। গ্লোবাল বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। বুদ্ধের ধম্মের মূল্যবোধের বিশ্বজনীন মূল্যবোধের ভিত্তিতে আলোচনা করবেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, মূলত চারটি বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে।এই চারটি বিষয় হল, বুদ্ধ ধম্ম ও শান্তি, বুদ্ধ ধম্ম: এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইসিস, হেল্থ অ্যান্ড সাসটেনাবিলিটি, প্রিজারভেশন অফ নালন্দা বুদ্ধিস্ট ট্র্যাডিশন, বুদ্ধ ধম্ম পিলগ্রিমেজ, লিভিং হেরিটেজ অ্যান্ড বুদ্ধ রেলিক্স: এ রেসিলেন্ট ফাউন্ডেশন টু ইন্ডিয়াস সেঞ্চুরিস-ওল্ড কালচারাল লিঙ্কস টু কান্ট্রিস ইন সাউথ, সাউথ ইস্ট অ্যান্ড ইস্ট এশিয়া। ২০২০ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন অধ্যাপক রবার্ট থার্মান। বুদ্ধের (Ministry of Culture) মতাদর্শের ওপর তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য। এই সম্মেলনের মূল সুরটি বেঁধে দেবেন তিনিই। বিবৃতি থেকে আরও জানা গিয়েছে, ৩০টির বেশি দেশের ১৭০ জনেরও বেশি মাস্টার্স অংশ নেবেন এই সম্মেলনে। এখানে হবে ফটো প্রদর্শনীও। গত ১০ বছর ধরে ইন্টার ন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন কী কী কাজ করেছে, সেই ছবিও প্রদর্শিত হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atiq Ahmed: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    Atiq Ahmed: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টার-রাজনীতিক আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাইকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিন অভিযুক্ত। এদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ (VHP) কিংবা বজরং দলের (Bajrang Dal) কোনও সম্পর্কই নেই। সোমবার এমনই দাবি করা হয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে। আতিক সমাজবাদী পার্টির টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি খুন হওয়ার পরে পরেই অভিযোগের আঙুল ওঠে বজরং দলের দিকে। বজরং দলের দিকে ওঠা এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বিশ্বহিন্দু পরিষদের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার বলেন, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দল আইন এবং সংবিধান মেনে কাজ করে।

    আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) খুনে…

    তিনি বলেন, আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করেছি। আতিক ও তাঁর ভাই খুনে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ কিংবা বজরং দলের কোনও সম্পর্কই নেই। যা রটানো হচ্ছে, তা নিতান্তই মিথ্যে। অলোক কুমার বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়ার কথা আমরা কখনওই চিন্তা করি না। আমরা বিশ্বাস করি, তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে খুন হন আতিক (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাই আশরাফ। আতিকের শরীরে ৯টি গুলি বিঁধেছে বলে জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সাংবাদিক সেজে তাঁদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে ঢুকে পড়ে জনৈক লাভলেশ তিওয়ারি, সানি এবং অরুণ মৌর্য। খুব কাছ থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।

    আরও পড়ুুন: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    বছর ষাটের আতিকের গায়ে ৯টি গুলি লাগলেও, আশরাফের গায়ে লাগে পাঁচটি বুলেট। ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় তিন আততায়ীকেই। পুলিশের দাবি, জেরায় তারা জানিয়েছে যে, আতিক (Atiq Ahmed) ও আশরাফকে খুন করে নিজেরা গ্যাংস্টার হওয়ার আশায়ই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। এর পরেই খুনের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় বজরং দলের ঘাড়ে। যদিও সেই অভিযোগ যে মিথ্যা, তা জানিয়ে দেওয়া হয় বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    Khalistan: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১৯ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান খালিস্তানপন্থী (Khalistan) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। দূতাবাস থেকে খুলে ফেলা হয় ভারতীয় তিরঙ্গা পতাকা খুলে ফেলার। সেই ঘটনার তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। ভারতের কাউন্টার টেররিজম এবং কাউন্টার রেডিকালাইজেশন ডিভিশনের তরফে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। প্রথমে দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ সেল এই ঘটনার তদন্ত করছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলতেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে।

    খালিস্তানপন্থী (Khalistan) বিচ্ছিন্নতাবাদ…

    সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথাচাড়া দিয়েছেন খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খালিস্তানের দাবিতে ভারতীয়দের ওপর হামলা চালাচ্ছেন তাঁরা। কখনও কোনও মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে, কখনও আবার মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হচ্ছে ভারত বিরোধী স্লোগান। মন্দিরে আসা ভক্তদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। তবে সব চেয়ে বড় ঘটনাটি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা (Khalistan) ঘটান ১৯ মার্চ। ওই দিন লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খুলে নেন ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা।

    তার আগে দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখান খালিস্তানপন্থীরা। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়। ভারতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয় দূতাবাসের সামনের নিরাপত্তা নিয়ে। পাল্টা হিসেবে দিল্লিতে ব্রিটিশ দফতর থেকেও তুলে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। এর পরেই দিল্লি পুলিশকে লিগ্যাল অ্যাকশন নিতে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মামলা দায়ের করে শুরু হয় তদন্ত। ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকেও তলব করে কেন্দ্র। চাওয়া হয় ব্যাখ্যা।

    আরও পড়ুুন: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। ঘটনাটি অসম্মানজনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংহের হাতেই বর্তমানে রয়েছে খালিস্তানপন্থী (Khalistan) আন্দোলনের রাশ। তাঁর খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এখনও ছোঁওয়া যায়নি তাঁর টিকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Same Sex Marriage: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    Same Sex Marriage: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহকে (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি দিলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বলে মনে করে কেন্দ্র সরকার। সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, শহুরে অভিজাত শ্রেণির কিছু মানুষ সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পেতে সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। 

    কেন্দ্রের অভিমত

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামায় আরও জানানো হয়েছে যে, বিয়ে এমন একটা বিষয় যে তার সঙ্গে গ্রামীণ, আধা গ্রামীন এবং শহরের মানসিকতা ভিন্ন ভিন্ন। দেশে বিয়ে নিয়ে ভিন্ন ধর্মের ভিন্ন আইনও রয়েছে। সেখানে এই ধরনের বিয়ের কোনও স্থান ও স্বীকৃতি নেই। আদালত এই বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিলে প্রচলিত আইনগুলি ধাক্কা খাবে। গোটা বিষয়টি দেশের ক্ষতিসাধন করবে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ তাঁরা যেন এই বিষয়টি সংসদের হাতেই ছেড়ে দেয়। আদালত এই নিয়ে যেন কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। সমলিঙ্গের (Same Sex Marriage) মানুষদের অধিকার, সম্পর্কের স্বীকৃতি, সেই স্বীকৃতির আইনি অধিকার এই সব কিছু দেখা ও তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র দেশের সংসদের। সংবিধানের সপ্তম তপশিলের ৩ নম্বর তালিকার পঞ্চম স্থানে এই বিষয়ে সংসদকে পূর্ণ অধিকার দেওয়া আছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই ধারাও লঙ্ঘণ করছে। সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা বা স্বীকৃতির দাবি কখনওই মৌলিক অধিকার হতে পারে না, বলে মত কেন্দ্রের।

    বিবাহ একটি ‘অসমকামী প্রতিষ্ঠান’

    বিবাহকে চরিত্রগত দিক থেকে একটি ‘অসমকামী প্রতিষ্ঠান’ বলেও উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। তাদের যুক্তি ভিন্ন দুই লিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিবাহই এ দেশ সামাজিক ভাবে স্বীকৃত। এর অন্যথা কাম্য নয়। সুপ্রিম কোর্টে আসা সমলিঙ্গের বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে একাধিক পিটিশনের নিরিখে বিরোধিতার রাস্তায় হেঁটে নিজের অবস্থান জানিয়েছে জমিয়ত- উলেমা-ই-হিন্দ-ও। একটি ইন্টারভেনশন আর্জিতে এই ধর্মীয় সংগঠন জানিয়েছে, সমলিঙ্গের বিবাহ পরিবারের ব্যবস্থাপনাকে হামলা করে। এটি পশ্চিমী সংস্কৃতির আমদানি বলেও উল্লেখ করে সংগঠন।

    সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান

    প্রসঙ্গত, এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট, ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছে দেশে সমলিঙ্গের সম্পর্ক বৈধ। সেই সূত্র ধরেই এই বিবাহ যাতে মান্যতা পায়, সেই নিরিখেই আর্জি জমা পড়েছে। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি জানানোর দাবিতে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সব মামলাগুলিকে একত্র করে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে মতামত জানাতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে আগেই নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। সোমবারও তারা জানায়, এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আইনবিভাগের, বিচারবিভাগের নয়। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব! অভিষেককে নোটিস পাঠাল সিবিআই

    ইতিমধ্যেই এই মামলা শুনতে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই বেঞ্চে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এসকে কউল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমহা। আগামী কাল, মঙ্গলবার মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatinda Military Station Firing: চার সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা! ভাটিন্ডা সেনা ছাউনি কাণ্ডে গ্রেফতার জওয়ান

    Bhatinda Military Station Firing: চার সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা! ভাটিন্ডা সেনা ছাউনি কাণ্ডে গ্রেফতার জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ১২ তারিখ পঞ্জাবের ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে (Bhatinda Military Station Firing) গোলন্দাজ বাহিনীর মেসে গুলি চলে। সেই ঘটনায় প্রাণ হারায় ৪ জওয়ান। ওই গুলিকাণ্ডে এক জওয়ানকে গ্রেফতার করল পঞ্জাব পুলিশ। প্রসঙ্গত, ১২ তারিখ ঘটনার পর সেনার তরফে মেজর পদমর্যাদার এক অফিসার স্থানীয় থানায় FIR দায়ের করেন। FIR-এ দু’জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

    ধৃত সেনা জওয়ানের নাম মোহন দেশাই

    পঞ্জাব পুলিশ সোমবার সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করার পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভাটিন্ডার SSP গুলনীত সিং খুরানা। ধৃত সেনা জওয়ানের নাম মোহন দেশাই। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে এই খুন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। উল্লেখ্য, অভিযুক্তের হদিশ পেতে রবিবার ছাউনির চার জওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    গুলি কাণ্ডের পূর্ণ বিবরণ 

    ওই মেসে গুলি চলার পর সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি মুখে মাস্ক বাঁধা অবস্থায় কুর্তা-পাজামা পরে সেনা ছাউনি (Bhatinda Military Station Firing) থেকে বেরিয়ে যান। এমনটাই দাবি সেনা অফিসারদের। দু’জনের মধ্যে একজনের কাছে একটি INSAS অ্যাসল্ট রাইফেল ও একটি কুড়ুল ছিল বলেও পুলিশকে জানায় ফৌজ। সেনার তরফে দায়ের করা FIR-এ আরও বলা হয়, ঘটনার পর সন্দেহভাজন ওই দু’জনকে ছাউনি সংলগ্ন জঙ্গলের দিকে চলে যেতে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকেই ভাটিন্ডা জুড়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ১২ তারিখের ঘটনায় সাগর বান্নে, যোগেশ কুমার জে, সন্তোষ এম নগরাল ও কমলেশ আর নামের চার জওয়ানের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে সাগর ও সন্তোষের বয়স ২৫। বাকি দু’জন ২৪ বছর বয়সী বলে জানিয়েছে সেনা। প্রাথমিক তদন্তে সেনার দাবি, ঘুমন্ত অবস্থায় এই চার জওয়ানের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। একটি ঘরে সাগর ও যোগেশ এবং অপর ঘরে সন্তোষ ও কমলেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিষমদের জেরে বিহারে (Bihar) মৃত্যু মিছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে মতিহারি জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এই জেলার লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর ও হরিসিদ্ধির মতো গ্রামগুলিতে অনেকে বিষ মদ পান করেন বলে অভিযোগ। বিষমদ খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৮। মদ নিষিদ্ধ রাজ্যে এই ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নীতীশ কুমারের জোট সরকার।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    বিহার (Bihar) সরকার ২০১৬ থেকে ওই রাজ্য়ে মদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারপরেও এভাবে বিষাক্ত মদ খেয়ে এতজনের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করে ইতিমধ্যেই তির ছুঁড়তে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন সম্প্রতি বিহারের সরন জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ঘটনা। 

    তদন্তে বিশেষ দল

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই এলাকার হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিহার প্রশাসনের। মতিহারির বিষমদকাণ্ডের তদন্ত করছে পাঁচ পুলিশ অফিসারের একটি বিশেষ টিম। দুইজন ডিএসপি ও তিনজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার সেই দলে রয়েছেন। অসুস্থদের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কয়েকজন মিলে এই মদের আসর বসিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    গত বছরের ডিসেম্বরে ছাপরা ও সিওয়ানে বিষ মদ পানের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ছাপরায় প্রাণ হারান ৫০ জন। অন্যদিকে সিওয়ানে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। এর পরই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ে সিট গঠন করে নীতীশ কুমারের সরকার। সম্প্রতি বিহার সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “সরকারে লালুপ্রসাদ যাদবের মতো মানুষ থাকলে সুশাসন আসা সম্ভব নয়। বিহারে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।” বিষমদ-কাণ্ডে বিহারে দাবি, নামেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা ওপেন সিক্রেট যে বাড়ির দরজায় মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, আর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: উদ্বোধন করলেন এইমসের! বিহুর আগে অসমকে ১৪,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প উপহার মোদির

    Narendra Modi: উদ্বোধন করলেন এইমসের! বিহুর আগে অসমকে ১৪,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প উপহার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘যখনই আমি গত ৯ বছরে দেশের উন্নয়নের কথা বলি, তখনই কিছু মানুষ অস্বস্তিতে পড়ে যায়। কারণ তাঁরা দেশের এই অগ্রগতির কোনও কৃতিত্ব নিতে পারে না। তাঁরা এখন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে পাশে বসিয়ে গুয়াহাটিতে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)। এদিন অসমের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব বিহুতেও অংশ নিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Narendra Modi)।  

    অসমের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা

    উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য একাধিক প্রকল্প নিতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে। শুক্রবার ফের একবার অসমের মানুষের জন্য ১৪,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। এদিন অসমের মানুষের জন্য অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অর্থাৎ AIIMS-এরও উদ্বোধন করেন তিনি। প্রসঙ্গত, গুয়াহাটি AIIMS-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল ৬ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে। জানা গেছে এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে  ১১২০ কোটি টাকা। এছাড়াও ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট তিনটি মেডিকেল কলেজেরও উদ্বোধন করেন তিনি। নলবাড়ি মেডিক্যাল কলেজ, নগাঁও মেডিক্যাল কলেজ এবং কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজ।

    আয়ুষ্মান কার্ডও বিতরণ করেন এদিন তিনি

    এদিন এক কোটি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কার্ড বিলি করেন প্রধানমন্ত্রী। এর দ্বারা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বিনামূল্যে করাতে পারবেন উপভোক্তারা।

    এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শুক্রবারই আইআইটি গুয়াহাটির উদ্যোগে অসমাই অ্যাডভান্সড হেলথ কেয়ার ইনোভেশন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পাশাপাশি এদিন তিনি গুয়াহাটি হাইকোর্টের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyber Attack: দেশের ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হানার আশঙ্কা! সতকর্তা জারি কেন্দ্রের

    Cyber Attack: দেশের ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হানার আশঙ্কা! সতকর্তা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে পাল্টাচ্ছে অপরাধেরও ধরন। সাইবার ক্রাইম, হ্যাকারদের আনাগোনাও বেড়ে চলেছে। চাঞ্চল্যকর খবর, হ্যাকারদের লক্ষ্যে ভারতের ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট! যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে রাজধানী নয়া দিল্লিতে। রাজধানীর অন্দরের খবর, কেন্দ্র সরকার এই হানার ঘটনা আঁচ করে আগেভাগেই সাইবার সিকিউরিটি অ্যালার্ট জারি করেছে।

    সাইবার অ্যাটাকের পরিকল্পনা

    কীভাবে ইন্দোনেশিয়ার একটি গ্রুপ হামলার ছক কষছে তারও আভাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে তারা ‘ডেনিয়েল অফ সার্ভিস’ (Dos) লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে। যার ফলে অনেকগুলি কম্পিউটার বা ডিভাইস থেকে একযোগে এত ডেটা পাঠাবে যাতে গোটা সিস্টেম স্তব্ধ হয়ে যায়।
    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হ্যাকারদের গ্রুপটি একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে, যেসব সরকারি ওয়েবসাইটে তারা হামলা করার ছক কষেছে। এই জন্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে সতর্কতা অবলম্বন করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেকোনও অজানা ইমেল বা লিঙ্ক যাতে কেউ ক্লিক না করেন সেটা সতর্ক করা হয়েছে। সমস্ত সফ্টওয়্যার আপ-টু-ডেট রাখতেও বলা হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি ওয়েবসাইট সুরক্ষিত রাখার নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে কীভাবে এইসব আক্রমণ (Cyber Attack) প্রতিহত করা যায় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা রয়েছে।

    কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ রয়েছে এই সাইবার হানার (Cyber Attack) পিছনে। যাদের নিশানায় রয়েছে ভারতের বিভিন্ন সরকারি ওয়েসাইট। আরও জানা গেছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আক্রমণ (Cyber Attack) করতে পারে এই দল। তাই সরকারি কর্মীদের এখন থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে।

    কী বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা

    সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের হামলার (Cyber Attack) মূল লক্ষ্য দু’টি— প্রথমত, সফ্‌টওয়্যার ভাইরাস ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, নানা ভুল তথ্য ঢুকিয়ে দিয়ে পরিষেবা ক্ষেত্রের ওয়েবসাইটগুলিকে বিকল করে দেওয়া। প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতেও দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাকে ‘ডিজিটাল হস্টেজ’ বানানোর লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল পাক এবং চিনা হ্যাকারেরা। উদ্দেশ্য ছিল, যাতে প্রয়োজনের সময়ে রোগীর চিকিৎসার তথ্য না-মেলে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ফাইল পাওয়া না-যায়। অর্থাৎ একে ভার্চুয়াল যুদ্ধ বলা যেতেই পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন’, সুনককে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন’, সুনককে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহ আগেই লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তার পর বৃহস্পতিবার ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ফোন করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সূত্রের খবর, এদিন দুই রাষ্ট্রনেতার কথোপকথনের সময় ব্রিটেনে অবস্থিত ভারতীয় কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুনককে ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও মোদি-সুনক কথোপকথনে আলোচনা হয় দুই দেশের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের অগ্রগতি, বিশেষ করে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। অর্থনৈতিক অপরাধীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কেও জানতে চান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বাংলা সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে পালিত হবে নববর্ষ। সেজন্য মোদিকে নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) উদ্বেগ…

    মাসখানেক আগে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হানা দিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। ভারতের জাতীয় পতাকা টেনে নামিয়ে দিয়েছিল তারা। দূতাবাসের ভবনের প্রথম তলের বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল খালিস্তানপন্থীদের ব্যানার। খালিস্তানপন্থী স্বঘোষিত ধর্মগুরু ওয়ারিস পঞ্জাব দি সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিংহ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে পঞ্জাব পুলিশের পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছিল তারা। বিচ্ছিন্নতাবাদী ও চরমপন্থীদের পদক্ষেপের প্রতিবাদে নয়া দিল্লির শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ কূটনীতিককে তলব করেছিল ভারত সরকার। এবার সুযোগ পেয়ে সরাসরি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পরেই ভারতীয় হাইকমিশনের হামলা ব্রিটিশ সরকার একেবারেই মেনে নেয়নি জানিয়ে ভারতীয় দূতাবাস ও দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন সুনক।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিএ দিতে পারছেন না, ৪৪০ কোটির অডিটোরিয়াম করছেন’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন টেলিফোনিক কথোপকথনের সময় ভারতের কূটনৈতিক এস্টাবলিশমেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে ইউকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারত-বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। সুনক জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনাটি ব্রিটেন ভালভাবে নেয়নি। ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তারও।

    জানা গিয়েছে, ভারত-ব্রিটেন রোডম্যাপ ২০৩০ এর অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, এই বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে দ্রুত একটি চুক্তি (PM Modi) স্বাক্ষর করা প্রয়োজন বলেও সহমত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। অর্থনৈতিক অপরাধীদের দ্রুত ভারতে ফেরানোর বিষয়েও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ব্রিটেনের জেলে বন্দি রয়েছে পলাতক ভারতীয় অর্থনৈতিক অপরাধী নীরব মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share