Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid Precautions: ‘মেডিক্যাল অক্সিজেনের নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করুন’, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Covid Precautions: ‘মেডিক্যাল অক্সিজেনের নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করুন’, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা। গত কয়েকদিন ধরেই চিন-সহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এ দেশেও। ফলে এখন থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রকে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। আবার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক শনিবার সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মেডিক্যাল অক্সিজেনের নিয়মিত সরবরাহ সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করার জন্য বলা হয়েছে (Covid Precautions)।

    অক্সিজেন নিয়ে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

    শুক্রবারই সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর পর শনিবার পাঠানো হয়েছে ওই নির্দেশিকা। রাজ্যগুলিকে পাঠানো ওই নির্দেশিকায় করোনা নিয়ে মূলত ৬টি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় গুরুত্ব দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এদিন রাজ্যগুলোকে চিঠিতে বলা হয়েছে, রোগীর যত্ন এবং কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে ঠিক মত অক্সিজেন সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম ও এখন পর্যন্ত তেমন কোনও আক্রান্তের সংখ্যা নেই। তবে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আসার আগেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে রাখার কথা জানানো হয়েছে। ফলে নিয়মিত মেডিক্যাল অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যগুলিতে চিঠি লিখেছে কেন্দ্র (Covid Precautions)। অক্সিজেনের ব্যাপারে যে সব বিষয়ে রাজ্যগুলোকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে, সেগুলো হল-

    ১) অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্ল্যান্টগুলি সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় রাখা এবং তাদের পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত মক ড্রিল করার কথা বলা হয়েছে।

    ২) লিকুইড অক্সিজেনের যেন ঘাটতি না হয় এবং রিফিল করার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

    ৩) অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত এবং রিফিলিং সিস্টেম বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।

    ৪) অক্সিজেন প্ল্যান্ট, ভেন্টিলেটর ইত্যাদির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কোভিড-১৯ হাসপাতালগুলির প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

    ৫) অক্সিজেন-সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেশ জুড়ে অক্সিজেনের যে অভাব দেখা গিয়েছিল, সেই পরিস্থিতি যাতে আবার তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এদিন চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আর তাই সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতাল গুলিতে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহে কোন সমস্যা না হয়, তা এখন থেকেই নিশ্চিত করতে হবে (Covid Precautions)।

  • Shahi Idgah Mosque: কাশীর পর মথুরা! শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ আদালতের

    Shahi Idgah Mosque: কাশীর পর মথুরা! শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের পর এবারে মথুরার ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque)। জ্ঞানবাপীর বিতর্কের মাঝেই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় এল নতুন মোড়। এবারে শাহি ইদগাহ মজসিদে (Shahi Idgah Mosque) সার্ভের নির্দেশ দিল মথুরার এক আদালত। আগামী ২ জানুয়ারি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ওই মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা করবে। ২০ জানুয়ারি ২০২৩-এর মধ্যে সার্ভের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হিন্দু সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল, ঔরঙ্গজেবের আমলে কৃষ্ণ জন্মভূমির উপর এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শনিবার সমীক্ষার নির্দেশ দিল মথুরার আদালত।

    শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ মামলা

    মথুরার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। হিন্দু সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমিতে ১৭ শতকে এই শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque) তৈরি করা হয়েছিল। এই মসজিদের অপসারণের দাবি তুলে আদালতে হিন্দু সেনার তরফে অনেকগুলি মামলা করা হয়। তার মধ্যে একটি হল, হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত ও সহ-সভাপতি সুরজিত সিং যাদবের করা আবেদন। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এই আবেদনে জানানো হয়েছে, ১৬৬৯-১৬৭০ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে কৃষ্ণ জন্মভূমিতে কেশব দেব মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জমিতে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। দিল্লির বাসিন্দা বিষ্ণু ও সুরজিত তথা হিন্দু সেনার তরফে করা ওই আবেদনে ১৯৬৮ সালে শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘ বনাম শাহি মসজিদ ইদগাহের মধ্যে করা চুক্তিকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    ফলে কৃষ্ণের জন্মভূমিতে ইদগাহ (Shahi Idgah Mosque) সরানোর দাবি তুলে মামলা হয় মথুরা আদালতে। সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই নির্মাণ নিয়ে হওয়া মামলায় বিস্তর বিতর্কও হয়। পরে অবশেষে আজ এই মসজিদে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হল মথুরা আদালতের তরফে। আদালতের আরও নির্দেশ, ওই জায়গায় সমীক্ষার পর কি তথ্য পাওয়া গেল তা আগামী ২০ জানুয়ারি আদালতে পেশ করতে হবে। এই সমীক্ষা করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।

    এর আগে অনেকটা একইভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের ক্ষেত্রেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেখানে ওই মসজিদের ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসী আদালত। ফলে এখানেও বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মতই সমীক্ষা (Survey) করা হবে।

    উল্লেখ্য, হিন্দু সেনার এই আবেদন আগে খারিজ করে দিয়েছিল মথুরার জেলা আদালত। কারণ শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque) ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থান আইনের আওতায় আসে। ওই আইন যেকোনও উপাসনালয়ের স্থানান্তরকে নিষিদ্ধ করা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তৈরি হয়। তবে উপাসনালয়টি ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট থেকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় থাকতে হবে। তাহলেই ওই আইন কার্যকর হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Heeraben Modi: দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর মা, হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন জানেন?  

    Heeraben Modi: দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর মা, হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মা হীরাবেন মোদি (Heeraben Modi)। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও গুজরাট সরকার সূত্রে খবর, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর শতায়ু মা। ক্রমশ তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। নতুন করে কোনও সমস্যা দেখা না দিলে দু এক দিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে হাসপাতাল (Hospital) থেকে।

    হীরাবেন…

    মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আহমেদাবাদের ইউএন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি করা হয় প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেনকে। সেদিন হাসপাতালের তরফে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানানো হয়নি। বুধবার জানানো হয়েছিল, হীরাবেনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বৃহস্পতিবার জারি করা এক বিবৃতিতে গুজরাট সরকার জানায়, প্রধানমন্ত্রীর মায়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। তাঁকে দু তিন দিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হতে পারে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, হীরাবেনের স্বাস্থ্য এখন ভাল। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। দু একদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। সরকারের তরফে এও জানানো হয়েছে, বুধবার রাতেই স্বাভাবিক খাবার খেতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন (Heeraben Modi)।

    আরও পড়ুন: কালই শহরে মোদি! জেনে নিন প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির পরিবর্তিত সময়

    প্রসঙ্গত, মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে দিল্লি থেকে গুজরাটে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। মায়ের কাছে ঘণ্টাখানেক কাটিয়ে ফের উড়ান ধরেন দিল্লির। তার আগে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন, তাঁর মায়ের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছোট ভাই পঙ্কজ মোদির সঙ্গেই থাকেন হীরাবেন। গান্ধীনগরের কাছে রায়সান গ্রামে তাঁদের বাড়ি। সেই বাড়িতেই ছোট ছেলের সঙ্গে থাকেন হীরাবেন (Heeraben Modi)।  এদিন আবেগঘন ট্যুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দেন পাশে থাকার আশ্বাস। 


    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশজুড়ে চলছে পুজোআচ্চা। কাশীতে চলছে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ। বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হবনও। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরাও। চলতি বছরের জুন মাসে ৯৯ পূর্ণ করে ১০০ বছরে পা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করেন গুজরাট বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রীও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতাদেরও নির্মূল করতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ  

    Amit Shah: সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতাদেরও নির্মূল করতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা সন্ত্রাসবাদী-বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করছে, মদত দিচ্ছে এবং টিকিয়ে রাখতে চাইছে, তাদের নির্মূল করতে হবে। সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) নিয়ে ওই বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই ওই কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে ভোট (Election) হতে পারে শীতের পরে পরেই। তাই সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা ছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, আধা সামরিক বাহিনীর কর্তারা এবং জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। জম্মু-কাশ্মীরের পদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।

    শাহ উবাচ…

    এদিনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শাহ। বৈঠক হয় দিল্লিতে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদের একটা ইকো-সিস্টেম চলছে। এতে সাহায্য করছে, মদত দিচ্ছে এবং টিকিয়ে রাখতে চাইছে সন্ত্রাসবাদী-বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এদের নির্মূল করতে হবে। এদিনের বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে কেন্দ্র, তার যেন অন্যথা না হয়। জিরো টলারেন্স নীতি সফল করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরে পরিকাঠামোগত যেসব উন্নয়ন হচ্ছে, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন শাহ। সমস্ত প্রকল্প যাতে সময়ের মধ্যেই শেষ হয়, সে ব্যাপারও জোর দেন তিনি। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে কেবল যোগ্য প্রাপকরাই পান, সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন শাহ। উন্নয়নের সুফল যাতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ পান, সেই দিকটিও দেখার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

    আরও পড়ুন: আজ না হয় কাল, জম্মু ও কাশ্মীর ফের রাজ্যের তকমা পাবে! ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীরের ১৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। যেসব সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বেছে বেছে সংখ্যালঘু এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের টার্গেট করছে, তাদের খোঁজেই হানা দিয়েছিল এনআইএ। চলতি সপ্তাহে নিরাপত্তা রক্ষীরা সির্দা এলাকায় নিকেশ করেছেন চার সন্ত্রাসবাদীকে। একটি ট্রাকে করে এই সন্ত্রাসবাদীরা উপত্যকায় ঢোকার চেষ্টা করেছিল। মৃত সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়ান্ত্র এবং গোলাবারুদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NIA: কেরলে পিএফআইয়ের ৫৬টি গোপন ডেরায় হানা এনআইএ-র, কেন জানেন?

    NIA: কেরলে পিএফআইয়ের ৫৬টি গোপন ডেরায় হানা এনআইএ-র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। এই পিএফআইয়ের ষড়যন্ত্র মামলায় তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার কেরলের (Kerala) ৫৬টি স্থানে অভিযান চালাচ্ছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। এদিন ভোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে চলছে অভিযান। এনআইএর এক পদস্থ কর্তা বলেন, পিএফআই নেতারা অন্য কোনও নামে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    পিএফআই…

    এদিন অভিযান চালানোর সময় এনআইয়ের সঙ্গে ছিল রাজ্য পুলিশও। তারা বেছে বেছে পিএফআইয়ের সেই সব নেতাদের ডেরায় হানা দেয়, যাঁরা সন্ত্রাসবাদী নানা কাজকর্মে জড়িত এবং যাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেরলের সঞ্জিথ, তামিলনাড়ুর ভি রামলিঙ্গম, কেরলের নান্ডু, কেরলের অভিমন্যু, কেরলেরই বিপিন, কামাটকের সারাথ, কামাটকের আর রুদ্রেশ, কর্নাটকের পারভিন পুয়ারি এবং তামিলনাড়ুর শশী কুমার। বিদেশ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, ক্রিমিনাল কাজ এবং নৃশংস খুনের ঘটনায় পিএফআই ক্যাডাররা জড়িত। শান্তি নষ্ট করে আমজনতার মনে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতেই পিএফআই নেতারা একের পর এক খুন করেছে।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হওয়া এনআইএর (NIA) অভিযান চলেছে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও। কেরলের এর্নাকুলামের ৪টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে অভিযান চলছে তরুবনন্তপুরমের ৬টি জায়গায়ও। এছাড়াও এনআই তল্লাশি চালাচ্ছে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া পিএফআইয়ের নেতাদের বাড়ি ও অফিসে।

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে কেরলে জন্ম হয় পিএফআইয়ের। ২০০৯ সালে এরাই গঠন করেছিল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি। কেরলে প্রতিষ্ঠিত এই মৌলবাদী সংগঠন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় পিএফআই এবং তার শাখা সংগঠনগুলিকে। তার আগেই হাজার হাজার মানুষ এই সংগঠনে যোগ দিয়ে দেশবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। নভেম্বর মাসে কেরলেই পিএফআইয়ের তিনটি গোপন ডেরায় অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)। পিএফআইয়ের সঙ্গে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Year Ender 2022: ফিরে দেখা সাল ২০২২! মহিলাদের স্বার্থে দেওয়া যুগান্তকারী কয়েকটি রায় শীর্ষ আদালতের

    Year Ender 2022: ফিরে দেখা সাল ২০২২! মহিলাদের স্বার্থে দেওয়া যুগান্তকারী কয়েকটি রায় শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটা দিন, শেষ হতে চলল সাল ২০২২। ঘটনাবহুল এই বছরে ভারতীয় মহিলাদের স্বার্থে যুগান্তকারী বেশ কয়েকটি রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। নারীর অধিকার সুরক্ষিত রাখতে  সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়গুলির একঝলক:

    বৈবাহিক ধর্ষণ

    ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ও ‘ধর্ষণ’ বলে মন্তব্য করেছে আদালত। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বিবাহিত মহিলারও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। বিনা সম্মতিতে স্বামীর আচরণে এক জন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন। প্রসঙ্গত, এ দেশে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে আইনি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেই নিরিখে শীর্ষ আদালতের এ হেন পর্যবেক্ষণ উল্লেখযোগ্য। স্বামীও ধর্ষক হতে পারেন এমন একাধিক অভিযোগ থানায় জমা হলেও সেগুলি অপরাধের সামিল বলে মনে করা হত না। চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রম কোর্ট জানিয়েছে বিবাহের সম্পর্কে ধর্ষণও আইনত দণ্ডনীয়। অর্থাৎ এখন থেকে কোনও স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য। এত দিন পর্যন্ত একে কোনও অপরাধ বলেই ধরা হত না।

    গর্ভপাতের অধিকার

    দেশের সব নারীই নিরাপদে গর্ভপাত করাতে পারবেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত এক মামলায় এমনই যুগান্তকারী রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গর্ভপাতের ক্ষেত্রে বিবাহিত ও অবিবাহিত মহিলার ফারাক করা অসাংবিধানিক বলেও উল্লেখ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে অবিবাহিত মহিলারাও গর্ভপাত করাতে পারবেন। ২০০৩ সালে গর্ভপাতের আইনে সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। সেই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি জেপি পড়িওয়াল। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সঠিকভাবে নষ্ট করা হয় না মেডিক্যাল বর্জ্য, অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে 

    মায়ের পদবী ব্যবহার করতে পারবে সন্তান

    জন্মের পর নিজের বাবার পদবীই পায় সন্তান,বহুকাল ধরেই এই নিয়ম চলে আসছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই চিরাচরিত প্রথা ভেঙে নজিরবিহীন রায় দিয়ে জানায়,সন্তানের পদবী কি হবে তা নির্ধারণ করার অধিকার একমাত্র মায়ের। সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার লালন পালনেও মায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সেই সঙ্গে একা অনেক মা তাঁদের সন্তানকে বড় করে তোলেন। সেক্ষত্রে পদবীর ব্যবহার নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় স্কুলে-কলেজে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারীর বেঞ্চ একটি মামলার প্রেক্ষিতে জানিয়েছে সন্তান কোন পদবী ব্যবহার করবে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা মায়েরও রয়েছে।

    টু-ফিঙ্গার টেস্ট

    ধর্ষণের একটি মামলায় গত ৩১ অক্টোবর গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষিতার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বা ‘দুই আঙুলের পরীক্ষা’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ। বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, এরপর কোনও ধর্ষণ মামলায় ‘টু ফিঙ্গার টেস্টের’ নির্দেশ দেওয়া হলে, তাদের অভব্য আচারণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হবে। নিম্ন আদালতে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির সাজা বহাল রেখেছিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হলে, সেই মামলার শুনানির শেষে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় আদালত। 

    বাড়ি তৈরির টাকা পণ নেওয়ার সামিল

    বাড়ি তৈরির জন্য টাকা চাওয়া পণ নেওয়ার সামিল সুপ্রিম কোর্ট আরও একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে এই বছর। কোনও মেয়ের বাড়ির কাছে যদি বাড়ি তৈরির জন্য টাকা নেওয়া হয় সেটা পণ নেওয়ার সামিল অর্থাৎ পণ নেওয়ার মতই দণ্ডনীয় অপরাধ বলেই বিবেচিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এএস বোপান্না এই রায় দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: লে-লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক! কী উপদেশ দেবেন অমিত শাহ?

    Amit Shah: লে-লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক! কী উপদেশ দেবেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকা ও লে লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আজ, বুধবার বিকেলেই শাহি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। জম্মু ও কাশ্মীরে আবার হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। গোপনে ঘাঁটি গেড়ে বসছে বসতি অঞ্চলে। শীতের শুরুতেই ঠান্ডার সুযোগে সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। তাই উপত্যকায় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। 

    শাহি-বৈঠকের আগেই হামলা

    বুধবার সকালেই জম্মু ও কাশ্মীরের সিধরা এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াইয়ে ৩ জঙ্গি নিহত হয়। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতে উপত্যকা ও লাদাখ নিয়ে শাহি বৈঠকের সম্ভাবনা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে  বিশেষজ্ঞ মহল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে অগাস্ট মাসে উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ওই বেঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজ্যপাল, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (home minister amit shah) দাবি করেছিলেন, “কাশ্মীরে নাশকতার ঘটনা আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে।” পাশাপাশি দেশে অনুপ্রবেশ আটকানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর! কাশ্মীরে এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    চিনকেও কড়া বার্তা

    অমিত শাহের নির্দেশের পর সক্রিয় ছিল সেনা। কিন্তু উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে মাঝে মাঝেই বিস্ফোরক উদ্ধার ও জঙ্গি খতমের ঘটনা প্রমাণ করছে, এখনও কাশ্মীরে অশান্তি সৃষ্টির চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে সীমান্তের ওপারের জঙ্গিরা। শাহি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন করে নাশকতা রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও জানাতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া, কয়েকদিন আগে অরুণাচলে চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে। লাদাখ সীমান্তেও চিনা আগ্রাসনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। লাদাখ সংক্রান্ত বৈঠকে বেজিংয়ের প্রতিও অমিত শাহ (Amit Shah) কড়া বার্তা দিতে পারেন বলে সূত্র মারফৎ খবর। পাকিস্তান ও চিন দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চক্রান্ত কোনওভাবেই সফল হতে দেবে না ভারত। এ বিষয়ে সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীকে বিশেষ উপদেশ দিতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

     

  • Jorhat: অসমের জোরহাটে চিতাবাঘের হামলায় জখম ১৩, দেখুন ভিডিও

    Jorhat: অসমের জোরহাটে চিতাবাঘের হামলায় জখম ১৩, দেখুন ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মানুষের উপর চিতাবাঘের হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। যত দিন যাচ্ছে মানুষের বাসস্থান এবং নানা রকম কার্যকলাপের জন্য বনাঞ্চল ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বন্য জন্তুর সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই একটি ভয়ংকর ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারতের অসম রাজ্যের জোরহাট (Jorhat)। যেখানে একটি চিতাবাঘের আক্রমণে ১৩ জন মানুষ আহত হয়েছেন যার মধ্যে তিনজন বনকর্মীও আছেন।

    আরও পড়ুন: লকার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি আরবিআই- এর, ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম লাগু

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে

    চিতাবাঘের হামলার এই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে এবং সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বাঘটি একটি ছোট গাড়িকে আক্রমণ করছে। ঘটনাটি  সোমবার অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বরের বলেই জানা যাচ্ছে। প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে যে আহতরা এখন বিপদের বাইরে।

     

    নয়ডায় চিতাবাঘ আতঙ্ক 

    অপর একটি ঘটনায়, এবার দিল্লির গ্রেটার নয়ডাতেও ছড়িয়ে পড়ল চিতাবাঘের আতঙ্ক। সেখানে একটি আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দা দাবি করেন, মঙ্গলবার সকালে তাঁরা একটি চিতাবাঘকে আবাসনে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। গোটা আবাসনে হুলস্থুল বেঁধে যায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। আবাসনে তন্ন তন্ন করে চল্লাশি চালানো হচ্ছে। আবাসনের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এখন থেকে বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন নেজাল ভ্যাকসিন, দাম কত জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pralay Missile: চিন-পাকিস্তানকে জবাব দিতে সীমান্তে বসছে ‘প্রলয়’, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য জানেন?

    Pralay Missile: চিন-পাকিস্তানকে জবাব দিতে সীমান্তে বসছে ‘প্রলয়’, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে অরুণাচলে চিনা সেনার আগ্রাসনের মোকাবিলা করেছে ভারতীয় জওয়ানরা। ফলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সেখানেও। এমনই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাকে ১২০টি ‘প্রলয়’ কোয়াসি-ব্যালিস্টিক বা আধা-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Pralay Missile) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই সব মিসাইল মোতায়েন করা হবে ভারত-চিন ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই ১২০টি ট্যাকটিকাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। তাই খুব শীঘ্রই ভূমি থেকে ভূমি আঘাতে সক্ষম প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র আসতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে।

    ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ১২০টি প্রলয় মিসাইল (Pralay Missile) কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওইসব মিসাইল ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হবে।’ সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার, অর্থাৎ, ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল এটিকে অন্য কোনও মিসাইল দিয়ে খুব সহজে ধ্বংস করা যায় না। শুধু তাই নয়, একবার উৎক্ষেপণ করার পরও এর গতিপথ পরিবর্তন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আকাশেই বদলে ফেলা যায় টার্গেট। প্রলয়কে যাতে ট্র্যাক করা না যায়, তার জন্য বিশেষ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এই মিসাইলে। ডিআরডিও নির্মিত এই প্রযুক্তির নাম ‘র‌্যাডোম’। সেনা সূত্রে খবর, ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার বেগে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে প্রলয় নামক স্বল্পপাল্লার এই কোয়াসি-ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Pralay Missile)।

    কোয়াসি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কী?

    ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে এক বা একাধিক পর্যায়ের রকেটের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর, ক্ষেপণাস্ত্রটি অর্জিত গতির ওপর ভর করে খিলানের মতো ওপর দিকে আরও কিছুটা ওঠে। তারপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দৌলতে প্রবল গতিতে অন্য একটি জায়গায় আছড়ে পড়ে। ঠিক যেমন কোনও একটি পাথরকে আড়াআড়িভাবে শূন্যে ছুড়ে দিলে, তা অন্য একটি জায়গায় গিয়ে পড়বে। অর্থাৎ, যত উঁচুতে ছোড়া হবে, পাথরটি ততদূর গিয়ে পড়বে। ঠিক একইভাবে কাজ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ফ্রি-ফল হওয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কখনই নামার সময় গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ – অগ্নি, পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্র।

    অন্যদিকে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অধিক উচ্চতায় যায় না। কিছুটা উচ্চতায় পৌঁছে তা ভূমি বা সমতল বরাবর এগোতে থাকে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানে। শব্দের চেয়ে অধিক গতিতে উড়তে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। সবচেয়ে বড় কথা, প্রয়োজন অনুযায়ী, নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। ফলত, শত্রুর কোনও কিছু বোঝার আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে সক্ষম। উদাহরণ স্বরূপ – ব্রহ্মোস।

    প্রলয় (Pralay Missile) হল কোয়াসি-ব্যালিস্টিক। অর্থাৎ, এটি পুরোপুরি ব্যালিস্টিক নয়। আবার পুরোপুরি ক্রুজ নয়। বলা যেতে পারে, এটি একটি হাইব্রিড ক্ষেপণাস্ত্র। প্রলয় কম গতিপথ বজায় রাখে। এটি ওপরে ওঠার সময় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই আচরণ করে। তবে, নীচে নামার সময় ম্যানুভার করে। অর্থাৎ, গতিপথ পরিবর্তন করতে সক্ষম।  

    রাশিয়ান ‘ইস্কান্দার’ ও চিনের ‘ডং ফেং ১২’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে মিল প্রলয়ের

    চিনের হাতে থাকা ‘ডং ফেং ১২’-র তুলনায় এর গতিবেগ কিছুটা বেশি। কিন্তু প্রলয়কে চিনের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রাশিয়ার ‘ইস্কান্দার’ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এটি চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

    সীমান্তে রকেট বাহিনী গড়ে তোলার স্বপ্ন

    ‘প্রলয়’ (Pralay Missile) ও ‘ব্রহ্মোস’ সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল নিয়ে পৃথক ‘রকেট ফোর্স’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ২০১৫ সালেই প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রজেক্ট অনুমোদন পেয়েছিল। এরপর এই মিসাইল তৈরি হলেও এটি আরও শক্তিশালী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, বিপিন রাওয়াতই প্রথম দেশের একটি কৌশলগত ‘রকেট ফোর্স’ গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘রকেট ফোর্স’-এর আওতায় থাকবে প্রথাগত ক্ষেপণাস্ত্র, যেমন প্রলয়, ব্রহ্মোস, পিনাকা ইত্যাদি। অন্যদিকে, পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো থাকবে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের অধীনে। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার প্রথম পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরেও দুবার এটির পরীক্ষা করা হয়। প্রতিবারই প্রলয় মিসাইলের নিক্ষেপ সফল হয়েছে। ফলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ঠেকানো মুশকিল হবে শত্রু সেনাদের। উল্লেখ্য, প্রলয় মিসাইল তৈরি করেছে ডিআরডিও। এটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে এটির পাল্লাও। আর এটিকে প্রথমে ভারতীয় বায়ুসেনা ও পরে তা সেনাবাহিনীকে দেওয়া হবে বলে খবর।

  • Bank Locker: লকার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি আরবিআই- এর, ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম লাগু

    Bank Locker: লকার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি আরবিআই- এর, ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম লাগু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের লকারের (Bank Locker) নিয়মে বেশ কিছু বদল এনে নতুন নির্দেশিকা জারি করল আরবিআই। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হবে। নয়া নিয়ম অনুসারে এবার থেকে ব্যাঙ্কের লকারের ক্ষেত্রে নিজেদের দিক থেকে আর সব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না ব্যাঙ্কগুলি। ইতিমধ্যে যাঁদের লকার রয়েছে, দ্রুত তাদের তা পুনর্নবীকরণের নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

    কী বলা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়? 

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নয়া নিয়ম অনুসারে, গ্রাহককে ব্যাঙ্কের সঙ্গে একটি লকার (Bank Locker) চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে হবে। ইতিমধ্যে এসবিআই, পিএনবি-র মতো ব্যাঙ্কগুলিতে নয়া চুক্তির নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। গ্রাহক ও ব্যাঙ্কের মধ্যে এই চুক্তিপত্রে সাক্ষর করতে হবে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। আরবিআইয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্যাঙ্কগুলিকে এই নতুন নিয়মের বিষয়ে গ্রহকদের অবগত করতে প্রচার চালাতে হবে। প্রসঙ্গত, আগের মতোই সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত ব্যাঙ্ক লকার চুক্তি কার্যকর থাকবে।    

    আরবিআইয়ের নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, গ্রাহক ও ব্যাঙ্কের সুরক্ষার জন্যে স্ট্রংরুমের প্রবেশ ও বাহির পথে সিসিটিভি বসাতে হবে। কম করে ১৮০ দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাঙ্কে গচ্ছিত থাকবে। গ্রাহক যদি চুরি বা লকার (Bank Locker) সংক্রান্ত অন্য কোনও অভিযোগ তোলেন, তবে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, ভল্টে সংরক্ষিত মূল্যবান জিনিস লুটপাট হলে বা আগুন ক্ষতি হলে বা ভবনটি ধসের ভেঙে ক্ষতি হলে আমানতকারীরা ব্যাঙ্ক চার্জের ১০০ গুণ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ‘আক্টস অফ গড’ – এর কারণে  লকারের ক্ষতি বা সামগ্রীর ক্ষতির হলে, তার জন্যে ব্যাঙ্ক দায়ী থাকবে না। 

    এছাড়াও এবার থেকে কোনও সরকারি সংস্থা যদি গ্রাহকের লকারের (Bank Locker) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে অথবা কোনও কারণে তা সুরক্ষিত জায়গায় সরাতে হয়, তবে ইমেল অথবা এসএমএসের মাধ্যমে তা গ্রাহককে জানাতে হবে ব্যাঙ্ককেই। আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে লকার বরাদ্দের সময় একটি মেয়াদী আমানত দাবি করে। যা লকারের তিন বছরের জন্য ভাড়া হিসাবে সংগ্রহ করা হয়। তবে লকার হোল্ডারদের জন্য এই ধরনের মেয়াদী আমানত জোর করে নেওয়া যাবে না। এমনটাও বলা হয়েছে আরবিআইয়ের নির্দেশিকায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share