Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Coronavirus: দেশে ফের কোভিড-হানার আশঙ্কা, রুখতে তৎপর কেন্দ্র, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মোদি

    Coronavirus: দেশে ফের কোভিড-হানার আশঙ্কা, রুখতে তৎপর কেন্দ্র, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। প্রতিবেশী দেশ চিনে ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে এই মারণ রোগ। আর তাতে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে ভারত। কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। করোনার ঊর্ধ্বগতি থেকে বাঁচতে কী কী করনীয় সে নীতি নির্ধারণ করতে ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এবার আরও এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে যাতে কোনও ভাবেই ওমিক্রন বিএফ.৭-এর বাড়বাড়ন্তনা হয় তার জন্যেই এই তৎপরতা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর ডাকা বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বি কে পল-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেতে চলেছে ‘বিকিনি কিলার’, জন্মসূত্রে ভারতীয় চার্লস শোভরাজ

    তৎপরতার কারণ  

    করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের (Coronavirus) ইতিমধ্যেই খোঁজ মিলেছে ভারতে। ওড়িশা এবং গুজরাটে মোট ৪ জনের দেহে ওমিক্রন বিএফ.৭-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওমিক্রনের আগের রূপের মতোই এটিও তীব্র সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পর্যালোচনা বৈঠকে মূলত বুস্টার টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ দু’টি টিকা নিলেও এখনও পর্যন্ত তৃতীয় টিকা বা বুস্টার নিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ।  

    স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, করোনায় (Coronavirus) মৃত্যুর হার কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে ভীতি চলে গিয়েছে। আর তাতেই মানুষ আর বুস্টার ডোজে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু চিনে মৃত্যুর হার আবার ভয় ধরাচ্ছে। সংক্রমণ বাড়ছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার অন্যান্য দেশেও। এই আবহে বি কে পাল বলেন, “বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক, যাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি— তাঁদের অবশ্যই বুস্টার নিয়ে ফেলা উচিত।”

    ভারতে ওমিক্রন বিএফ.৭ -এর (Coronavirus) প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে অক্টোবর মাসে। গুজরাটের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে ধরা পড়ে ওই ভ্যারিয়েন্ট। এর পরে মোদির রাজ্যেই আরও এক আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এ ছাড়া, ওড়িশায় ২ জনের দেহে ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি। এদিকে বিভিন্ন মহলে বুস্টার ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার দাবিও উঠছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এখনই তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kirti Azad: ‘না নর, না নারী…’, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ!

    Kirti Azad: ‘না নর, না নারী…’, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘না নর, না নারী, তিনি কেবল ফ্যাশনের পূজারি!’ ঠিক এই ভাষায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) আক্রমণ করে বিতর্কে তৃণমূল (TMC) নেতা তথা প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। মেঘালয়ের শিলংয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানকার ট্র্যাডিশনাল খাসি পোশাক পরেছিলেন মোদি। সেই ছবি পোস্টও করেছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতা কীর্তি আজাদ সেই ছবির পাশে অনলাইনে বিক্রি হওয়া একই রকম পোশাক পরিহিত এক মহিলার ছবি পোস্ট করেছেন। তার পরেই লিখেছেন ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা। তার জেরে বিজেপির নিশানায় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক।

    কীর্তির ‘কীর্তি’…

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয়ের সংস্কৃতির অসম্মান করেছে। এদিকে বিজেপি আদিবাসী মোর্চার তরফেও তৃণমূলের সমালোচনা করা হয়েছে। কীর্তির (Kirti Azad) ‘কীর্তি’ ট্যুইটকে রিটুইট করে হিমন্ত লিখেছেন, এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে কীর্তি আজাদ মেঘালয়ের সংস্কৃতির অসম্মান করছেন এবং আমাদের আদিবাসী পোশাকের মজা ওড়াচ্ছেন। তৃণমূলের তরফে এনিয়ে কিছুই বলা হয়নি। যার অর্থ, তারা এই মন্তব্যকে সমর্থন করছে। মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমা করবে না। যদিও কীর্তি আজাদের দাবি, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পোশাকের অসম্মান করছিলেন না। বরং তিনি মোদির ফ্যাশনের বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। বিতর্ক সত্ত্বেও তিনি অবশ্য সেই ট্যুইট ডিলিট করেননি।

    নতুন বছরে হতে চলেছে মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে এ রাজ্যে পায়ের নীচের মাটি বেশ খানিকটা শক্ত করে ফেলেছে তৃণমূল। কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা অর্জন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই আবহে কীর্তির (Kirti Azad) এহেন মন্তব্য বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছে নয়া অস্ত্র। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তৃণমূল আসলে মেঘালয়ের সংস্কৃতিকে অসম্মান করেছে। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির সমীর ওরাঁও বলেন, যদি তৃণমূলের ওই নেতার (কীর্তি আজাদ) কোনও জ্ঞান না থাকে, তাহলে তাঁর আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে প্রধানমন্ত্রী যা পরেছিলেন, সেটা আদতে উপজাতিদের পোশাক। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন?

    অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডু ট্যুইটারে কীর্তির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি লেখেন, আপনার ভাষা নারীত্বের অবমাননা। আপনি মেঘালয়ের ঐতিহ্যকেও অপমান করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Omicron BF.7: চিনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ‘BF.7’ কোভিড ভ্যারিয়েন্টর হদিশ এদেশেও! বিপদ কতটা?

    Omicron BF.7: চিনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ‘BF.7’ কোভিড ভ্যারিয়েন্টর হদিশ এদেশেও! বিপদ কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Covid 19) করাল গ্রাসে চিন (China)! প্রতিদিন মৃত্যুর কবলে ঢলে পড়ছেন বহু মানুষ। শ্মশানঘাটগুলিতে লাশের পাহাড়। যদিও শি জিনপিং সরকারের দাবি, দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে কেবল চিন নয়, বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও চোখ রাঙাচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Omicron BF.7)।

    জিনোম সিকোয়েন্সিং…

    ঘটনার জেরে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতেও (India)। বুধবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন বিকেলে জানা গিয়েছে, করোনার যে ভ্যারিয়েন্টের কারণে চিনে সংক্রমণের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী, তার খোঁজ মিলেছে ভারতেও। করোনা সংক্রমিত রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, আচমকা সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে করোনার সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ. ৭ (Omicron BF.7)। চিনে সংক্রমিত সিংহভাগ মানুষের দেহেই মিলেছে করোনার এই সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ। কেবল চিন নয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক সহ বিভিন্ন দেশেও এই সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার (Covid 19) অন্যতম শক্তিশালী রূপ ওমিক্রনেরই সাব ভ্যারিয়েন্ট হল বিএফ. ৭। ওমিক্রনের বিএ.৫ থেকে সাব ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে এই ভাইরাসের।

    আরও পড়ুন: দেশে মিলল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    বিএফ. ৭ (Omicron BF.7) সাব ভ্যারিয়েন্টের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এটি অত্যন্ত সংক্রমণশীল। শরীরে এই ভাইরাসের স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে অনেকখানি কম। ফলে দ্রুত যেমন সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তেমনই সংক্রমিত হল, দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা শরীরে। জানা গিয়েছে, করোনার এই সাব ভ্যারিয়েন্ট এতই শক্তিশালী যে যাঁরা টিকাপ্রাপ্ত, তাঁরাও যে কোনও সময় করোনা সংক্রমিত হতে পারেন। তবে এই সংক্রমণ প্রাণঘাতী রূপ নিতে পারে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

    এদিকে, দেশে করোনার (Covid 19) বাড়বাড়ন্ত রুখতে বুধবার জরুরি বৈঠকে বসে কেন্দ্র। এমতাবস্থায় জনবহুল স্থানে মাস্ক পরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। সরকারের তরফে এও জানানো হয়েছে, অযথা ভীত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এদিন বৈঠক শেষে ট্যুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, কোভিড এখনও অতীত হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট সব মহলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিচ্ছি। আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan Drone: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা

    Pakistan Drone: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ডে পাকিস্তানি ড্রোনের (Pakistan Drone) ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন। আজ ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে একটি পাক ড্রোন। সেই ড্রোনকে গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, একটি পাক ড্রোন মঙ্গলবার সন্ধে ৭টা নাগাদ পঞ্জাবের অমৃতসর জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। ড্রোনটিকে আবার বুধবার সকালে ওই জায়গায় দেখা যায়। বিএসএফের তরফে তড়িঘড়ি গুলি করে নামানো হয় ড্রোনটিকে।

    কী জানা গিয়েছে? 

    এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, ড্রোনটি বেশ কিছুক্ষণ ধরে একটা নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে উড়ছিল। সেনার তরফে একটি ড্রোন দিয়ে ওই ড্রোনটির (Pakistan Drone) উপর নজর রাখা শুরু হয়। তার পরই গুলি করে নামানো হয় ড্রোনটিকে। এই ঘটনার পরেই পাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি আরও জোরদার করেছে ভারতীয় সেনা।    

    সেনার তরফে জানানো হয়েছে চলতি বছর ভারতে পাক ড্রোনের (Pakistan Drone) আনাগোনা বেড়েছে। এই বছর এই অবধি ২৩০টি ড্রোনকে পাকিস্তানের বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০৪। ২০২০ সালে ছিল ৭৭। ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত শুধু পাঞ্জাবেই ২৯৭টি ড্রোন পাকিস্তান থেকে উড়ে এসেছে। পাঞ্জাব ছাড়াও গুজরাট, জম্মু, রাজস্থানে পাক ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতীয় সেনা দাবি করেছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই ড্রোনগুলির মাধ্যমে অস্ত্র এবং মাদক পাচার করে থাকে। 

    আরও পড়ুন: ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পরই পরামর্শ কেন্দ্রের

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোর রাতে পাক সীমান্তে নজরে আসে আরও এক সন্দেহজনক পাক ড্রোন (Pakistan Drone)। ড্রোন থেকে ফেলা ২৫ প্যাকেট মাদক এপারে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার ত‍ৎপরতায় পাক সীমান্তের কাছে ভেঙে পড়ে ড্রোনটি। সেখান থেকে ড্রোনটি নিয়ে যায় পাক সেনা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     

     

     

     

  • RBI Governor: বিপদের নাম ক্রিপ্টোকারেন্সি! সতর্ক করলেন শক্তিকান্ত দাস  

    RBI Governor: বিপদের নাম ক্রিপ্টোকারেন্সি! সতর্ক করলেন শক্তিকান্ত দাস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইভেট ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrencies) জন্যই পরবর্তী অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে। অন্তত এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (RBI Governor)। এদিন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বিএফএসআই ইনসাইট সামিটে ভাষণ দিচ্ছিলেন শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। তখনই তিনি জানান, এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোর কোনও মূল্য নেই। এটা বরং ঝুঁকির কারণ হতে পারে মাইক্রোইকনমিক ও ফাইনান্সিয়াল স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে।

    আরবিআইয়ের গভর্নর বলেন…

    আরবিআইয়ের গভর্নর বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে অনেক ঝুঁকি লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের মাইক্রো ইকনিমিক ও ফাইনান্সিয়াল স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে। এবং আমরা এগুলিকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আর বিশেষ কিছু বলার আমাদের থাকতে পারে না। শক্তিকান্ত দাস বলেন, অন্যান্য সম্পদ কিংবা উৎপাদিত বস্তুর ক্ষেত্রে আমাদের মূল উদ্বেগ থাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে। কারণ এর কোনও মূল্যই নেই। তিনি বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি গোটা সিস্টেমটাকেই ভেঙে দেয়। কারণ তারা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের মুদ্রা কিংবা তারা যে অর্থনৈতিক বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেটা মানে না। প্রসঙ্গত, নিউজ এজেন্সি ব্লুমবার্গের এক সমীক্ষায় ৭০ শতাংশ অর্থনীতিবিদ আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দার আভাসের কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক মন্দা আসতে পারে।

    শক্তিকান্ত দাস (RBI Governor) বলেন, ডিজিটাল মুদ্রা হবে ভবিষ্যতের মুদ্রা। সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ডিজিটাল মুদ্রার প্রচার করবে। এর পরেই তিনি বলেন, ক্রিপ্টো কারেন্সি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণও হয়ে উঠতে পারে। কারণ ক্রিপ্টো কারেন্সি সম্পূর্ণরূপে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে হয়। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে অনেক এক্সচেঞ্জ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ বছর অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সির দর ৬০-৯০ শতাংশ কমেছে। মার্চে বিটকয়েন ৩০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছিল। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এটি নেমে এসেছে ১৪ হাজার ডলারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI Governor) বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ এর বাড়বাড়ন্ত হলে, পরবর্তী অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেবে। এবং সেটা হবে ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্যই।

     

  • EPFO: অক্টোবরে ইপিএফও অ্যাকাউন্টের ১৩ লক্ষ নতুন সাবস্ক্রাইবার, বেশিরভাগই ১৮-২১- এর মধ্যে

    EPFO: অক্টোবরে ইপিএফও অ্যাকাউন্টের ১৩ লক্ষ নতুন সাবস্ক্রাইবার, বেশিরভাগই ১৮-২১- এর মধ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর অক্টোবর মাসে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPFO) ১২.৯ লক্ষ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় ২১,০২৬ জন সদস্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক।  

    ইপিএফও-এর (EPFO) অস্থায়ী বেতনের তথ্য অনুসারে অক্টোবর মাসে মোট ১২.৯ লক্ষ গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে, প্রায় ৭.২ লক্ষ নতুন সদস্য প্রথমবারের মতো ইপিএফও-এর সামাজিক সুরক্ষা কভারের আওতায় এসেছেন। 

    কী বলছে পরিসংখ্যান? 

    নতুন সদস্যদের মধ্যে, ১৮- ২১ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি রয়েছেন। সেই সংখ্যা ২.২ লক্ষ। ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১.৯ লক্ষ সদস্য। মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন সদস্যদের মধ্য ৫৭.২%-ই ১৮-২৫ বছর বয়সী।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রায় ৫.৬ লক্ষ সদস্য ইপিএফও (EPFO) ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অনেকেই পুনরায় যোগদান করেন। পে-রোল ডেটার একটি লিঙ্গ-ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে ২০২২ সালের অক্টোবরে ২.৬ লক্ষ মহিলা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১.৯ লক্ষ মহিলা প্রথমবার ইপিএফও-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কেরল, মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে মাসিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং হরিয়ানাতেও অক্টোবর মাসে ৭.৭ লক্ষের কাছাকাছি সদস্য যুক্ত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: মৃতদেহের স্তূপ, কাজ করছেন সংক্রমিতরা, চিনের করোনা পরিস্থিতিতে তস্ত্র গোটা বিশ্ব 

    কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড, সাধারণত প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPFO) নামে পরিচিত। এটি একটি অবসর বেনিফিট স্কিম, যা সমস্ত বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য উপলব্ধ। একজন কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের অধীনে একটি ইপিএফ অ্যাকাউন্টে তাদের মূল বেতনের প্রায় ১২% পরিমাণ টাকা রাখতে পারেন। আপনার বুনিয়াদি বেতনের পুরো ১২% একটি কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। বুনিয়াদি বেতনের ১২% এর মধ্যে ৩.৬৭% একটি কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ-তে বিনিয়োগ করা হয় এবং বাকি ৮.৩৩% আপনার ইপিএস বা কর্মচারীর পেনশন প্রকল্পে ডাইভার্ট করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kirti Azad: প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ

    Kirti Azad: প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল (TMC) নেতা কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন এই ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক। তা নিয়ে দেশজুড়ে বয়ে গিয়েছিল সমালোচনার ঝড়। শেষমেশ এক প্রকার বাধ্য হয়েই ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি। ট্যুইটবার্তায় এই তৃণমূল নেতা লিখেছেন, আমি ভারতের বৈচিত্রের সংস্কৃতিকে সমর্থন করি। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছিল। যাঁদের সেন্টিমেন্টকে আমার কথা আঘাত করেছে, আমি তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

    ট্র্যাডিশনাল খাসি পোশাক…

    প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের শিলংয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানকার ট্র্যাডিশনাল খাসি পোশাক পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ছবি পোস্টও করেছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতা কীর্তি আজাদ সেই ছবির পাশে অনলাইনে বিক্রি হওয়া একই রকম পোশাক পরিহিত এক মহিলার ছবি পোস্ট করেন। তার পরেই লেখেন, ‘না নর, না নারী, তিনি কেবল ফ্যাশনের পূজারি!’ তার জেরে বিজেপির নিশানায় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। দেশজুড়েও শুরু হয় প্রবল সমালোচনা।

    প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) নিজেকে তৃণমূলের সৈনিক বলে দাবি করেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি সব সময় সংবিধানের পথ অনুসরণ করেন। যে সংবিধান ভারতের বৈচিত্রকে সম্মান করতে শেখায়। সেই আজাদের মুখেই প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে তাঁর পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় তৃণমূলও। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে ক্ষমা চান ক্রিকেটার রাজনীতিক কীর্তি আজাদ।

    আরও পড়ুন: নববর্ষের উপহার! ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেবে কেন্দ্র

    এদিকে, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালা কীর্তির মন্তব্য নিয়ে সিডিউল ট্রাইব কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, মেঘালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরেছিলেন সেই পোশাক ট্রাইবাল সম্প্রদায়ের বড় গর্বের। বিশেষত মেঘালয় এবং উত্তর-পূর্বে। একে উপহাস করছেন, কারণ আপনি একজনকে ঘৃণা করছেন, আপনি গোটা উত্তর-পূর্বের সংস্কৃতিকে ঘৃণা করতে শুরু করেছেন, ঘৃণা করতে শুরু করেছেন উত্তর-পূ্র্বের সমগ্র ট্রাইবাল সম্প্রদায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

  • Bharat Jodo Yatra: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

    Bharat Jodo Yatra: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সহ একাধিক দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Corona)। ভারতেও (India) খবর মিলেছে  সংক্রমণের। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসভা বাতিল করেছেন তিনি। সংসদ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেখানে ভিড় হচ্ছে, সেখানেই মাস্ক পরে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় করোনা বিধি না মেনেই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। করোনা সংক্রমণের আবহে তাঁর এই কর্মসূচি কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    ভারত জোড় যাত্রা…

    কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছে কংগ্রেস। এই পদযাত্রায় শামিল হয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধী। বর্তমানে হরিয়ানায় পালিত হচ্ছে এই কর্মসূচি। তার আগে হয়েছে রাজস্থানে। রাহুলের ভারত জোড় যাত্রা যখন রাজস্থানে, তখনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য রাহুলকে চিঠি লিখে করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। না হলে আপাতত যাত্রা স্থগিত রাখার নিদান দেন। তার পরেও ভারত জোড় যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। আগামিকাল, শনিবার ভারত জোড় যাত্রা ঢুকবে দিল্লিতে। বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে শনিবারের পর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই কর্মসূচি।

    রাহুলের এই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কর্মসূচিতে অনড় থাকার সিদ্ধান্তে তাঁকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, মাসাধিক কাল ধরে চলছে ভারত জোড় যাত্রা। এর মধ্যে ফের হানা দিয়েছে করোনা। করোনার মোকাবিলায় ভারত সরকার পদক্ষেপ করছে। তাহলে কংগ্রেস কেন বিরোধিতা করছে? করোনাবিধি সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী এনএস তোমর বলেন, গোটা দেশেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। দল বাঁচাতে হচ্ছে ভারত জোড় যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে নিউ ইন্ডিয়া নির্মাণ হচ্ছে, তা হজম করতে পারছে না কংগ্রেস। করোনা বিধিকে রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা না করাই ভাল। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি জোশী বলেন, আমি চাই রাহুল গান্ধী ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কর্মসূচি পালন করুন। তাঁর একটা রেকর্ড রয়েছে। সেটি হল, যেখানেই তিনি যান, সেখানেই কংগ্রেস পরাজিত হয়। তবে আমি আশা করব, তিনি করোনাবিধি মেনে চলবেন।

     

  • RJD: ‘বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হও…’, ছেলেমেয়েদের উপদেশ দিয়ে বিতর্কে আরজেডি নেতা

    RJD: ‘বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হও…’, ছেলেমেয়েদের উপদেশ দিয়ে বিতর্কে আরজেডি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখানের পরিবেশ ভাল নয়, বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হও। নিজের ছেলেমেয়েদের এই উপদেশই দিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির (RJD) এক নেতা। আবদুর বারি সিদ্দিকি (Abdul Bari Siddiqui) নামের এই নেতা লালুর দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে বিহারজুড়ে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিহার বিজেপি (BJP)।

    আবদুর বারি সিদ্দিকি বলেন…

    বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ কুমার ফের হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের (Congress) পাশাপাশি এবার তিনি জোট বেঁধেছেন লালু প্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গেও। যার জেরে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে লালু প্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবকে। তেজস্বীর দলের প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকি বলেন, দেশের পরিবেশ ভাল নয়। আমার একটি ছেলে রয়েছে। সে হাভার্ডে পড়াশোনা করছে। আমার মেয়ে লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স থেকে পড়াশোনা করেছে। তিনি বলেন, আমি ছেলেমেয়েদের বলেছি, বাইরেই চাকরি খুঁজে নিও। যদি সম্ভব হয়, সেখানকার নাগরিকত্বও নিয়ে নাও। রাষ্ট্রীয় জনতা  দলের প্রবীণ এই নেতা বলেন, প্রথমে আমার ছেলেমেয়ের একথা বিশ্বাস করতে চায়নি। তারা বলেছিল, আমি তো ভারতেই রয়েছি। তখন আমি তাদের বলি, তোমরা এখানে মানিয়ে নিতে পারবে না।

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে দৃষ্টান্ত! দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট সানিয়া মির্জা

    আরজেডির (RJD) এই প্রবীণ নেতা তাঁর উদ্ধৃতি-পর্বের কোথাও বিজেপি সরকারের নামোল্লেখ করেননি। মুসলমানদের প্রতি তাঁর প্রত্যক্ষ কোনও বার্তাও নেই। তা সত্ত্বেও ‘ইঙ্গিত’ বুঝে তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিহারের বিজেপি নেতৃত্ব। সিদ্দিকিকে তাঁদের পরামর্শ, পাকিস্তানে চলে যান। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দ বলেন, সিদ্দিকির মন্তব্য ভারত বিরোধী। তিনি বলেন, তিনি যদি এখানে এতটাই অসহায় বোধ করেন, তাহলে তাঁর সমস্ত সুযোগ সুবিধা ছেড়ে দেওয়া উচিত, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে যা তিনি এ দেশে পান। তাঁর পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। বিজেপির মুখপাত্র বলেন, তাঁকে (সিদ্দিকিকে) কেউ আটকাবে না। নিখিল আনন্দ বলেন, সিদ্দিকি আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ। তাঁর এই মন্তব্যেই স্পষ্ট মুসলমান তুষ্টি নিয়ে তাঁর দলের সংস্কৃতি কী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NIA: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    NIA: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুন মাসে এক মর্মান্তিক ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল নামে এক দরজিকে নির্মমভাবে খুন হতে হয় মৌলবাদীদের হাতে। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) এই মামলার দুই প্রধান আসামী, মহম্মদ রিয়াজ আত্রি এবং মহম্মদ গৌস সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে দুই পাকিস্তানি নাগরিকেরও।  

    আরও পড়ুন: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চায় পুতিন

    চলতি বছর জুন মাসে রাজস্থানের উদয়পুরের দরজি কানহাইয়ালালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এমনকী আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে কানহাইয়ালালের মাথা কেটে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ গাউস ও রিয়াজ মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    কী জানিয়েছে এনআইএ?   

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (NIA) মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, “হত্যার ভিডিও সারা দেশে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” হত্যার ঘটনাটি প্রথমে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরে এনআইএ এই মামলার তদন্তভার কাঁধে তুলে নেয়। ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কার্যকলাপ আইন এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় জয়পুরের একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ওই গোয়েন্দা সংস্থা। 

    এনআইএ- র (NIA) মুখপাত্র আরও বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা, সন্ত্রাসী গ্যাং-মডিউল হিসাবে কাজ করে। প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরেই এই ষড়যন্ত্র।”  

    তিনি (NIA) আরও বলেন, “অভিযুক্তরা উগ্রপন্থী কার্যকলাপ থেকে এবং ভারতের ভিতরে এবং বাইরে প্রচারিত অডিও- ভিডিও বার্তা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিল। অভিযুক্তরা পুরো পরিকল্পনা মাফিক হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা কানহাইয়ালালকে এবং তাঁর দোকানে এক সহকর্মীকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের।” 

    এনআইএ (NIA) চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, মোহাম্মদ রিয়াজ আত্তারি, গাউস মহম্মদ, মহসিন খান, আসিফ হুসেন, মহাম্মদ মহসিন, ওয়াসিম আলী, ফরহাদ মহম্মদ শেখ, মহম্মদ জাভেদ, মুসলিম খান ওরফে মুসলিম রাজা এবং পাকিস্তানি নাগরিক সালমান ও আবু ইব্রাহিম। দুজনই করাচির বাসিন্দা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share