Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Escape Tunnel: নয়া সাফল্য ভারতীয় রেলওয়ের! তৈরী হল দেশের দীর্ঘতম ‘এসকেপ টানেল’

    Escape Tunnel: নয়া সাফল্য ভারতীয় রেলওয়ের! তৈরী হল দেশের দীর্ঘতম ‘এসকেপ টানেল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেকর্ড ভারতীয় রেলওয়ের! জম্মু-কাশ্মীরে তৈরি করা হল ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘এসকেপ টানেল’ (Escape Tunnel)। এটি ভারতের দীর্ঘতম এসকেপ টানেল। এটি তৈরি করে দেশের মুকুটে নয়া পালক যুক্ত করল ভারতীয় রেলওয়ে। উধমপুর শ্রীনগর বারামুল্লা রেল লিঙ্কের (USBRL) অধীনে বানিহাল-কাটরা সেকশনে এই ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ শেষ হল।

    ভারতের দীর্ঘতম  সুরঙ্গ

    এর আগেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১২.৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল টি-৪৯  তৈরি করা হয়েছিল। আর এর পরে এটি বানিহাল-কাটরা লাইনের চতুর্থ টানেল। গতকাল, বৃহস্পতিবার ভারতীয় রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বানিহাল থেকে কাটরা অবধি ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কোনও জরুরি অবস্থা বা বিপর্যয়ের সময় উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্যই এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।

    দীর্ঘতম এসকেপ টানেল সম্পর্কে কিছু তথ্য

    ১) কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এটি বানিহাল-কাটরা রুটের চতুর্থ টানেল (Escape Tunnel)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, টি-৪৯ নামক ১২.৭৫ কিমির টানেলটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    ২) ১১১ কিমি দীর্ঘ সুড়ঙ্গটি ভারতের সবথেকে বড় এসকেপ টানেল (Escape Tunnel), যা বিপর্যয়ের সময়ে নিরাপদভাবে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যেতে সাহায্য করবে।

    ৩) এর আগে উধমপুর শ্রীনগর বারামুল্লা রেল লিঙ্কের (USBRL) অধীনেই রিয়াসি জেলার কৌরি অঞ্চলে চেনাব নদীর উপর বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ও কাশ্মীরের যোগাযোগের ইতিহাসে নতুন মাইলস্টোন তৈরি করেছে ভারতীয় রেল।

    ৪) এই সুরঙ্গ বা টানেলটি (Escape Tunnel) ঘোড়ার নালের আকারের মত, যা দক্ষিণ দিকে সাম্বার স্টেশন ইয়ার্ডের সঙ্গে খোদা গ্রামের খোদা নল্লার ৪ নম্বর সেতু অতিক্রম করার পরে উত্তর দিকে টি-৫০ টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সাম্বারের দক্ষিণ প্রান্তটি প্রায় ১৪০০.৫ মিটার উঁচু, যখন উত্তর প্রান্তটি ১৫৫৮.৮৪ মিটার উঁচু।

    ৫) হিমালয়ের রামবান অঞ্চলের উপর দিয়ে এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে। সুড়ঙ্গের পাশ দিয়েই অতিবাহিত হয়েছে খরস্রোতা চেনাব নদী।

    ৬) কর্তৃপক্ষের মতে, টানেল টি-৪৯ হল একটি টুইন টিউব টানেল, যার একটি মূল টানেল (১২.৭৫ কিমি) এবং এসকেপ টানেলের (১২.৮৯৫ কিমি) অন্তর্গত ও ৩৩টি ক্রস-প্যাসেজ দ্বারা সংযুক্ত।

    ৭)ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সুরঙ্গের নির্মাণের সময় বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাদের। তবে শেষপর্যন্ত এই টানেল তৈরি করা সম্পূর্ণ হয়েছে।

  • Hooch Tragedy: ছাপরা বিষ মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ১০০ পার? দাবি সুশীল মোদির

    Hooch Tragedy: ছাপরা বিষ মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ১০০ পার? দাবি সুশীল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে বিষমদ কাণ্ডের (Hooch Tragedy) জেরে বিপাকে পড়েছে নীতিশের গটবন্ধন সরকার। বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ইতিমধ্যেই বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এখনও অনেকেই অসুস্থ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    এরই মাঝে এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। তাঁর দাবি, বিষ মদ কাণ্ডে (Hooch Tragedy) মৃতের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। তথ্য লুকোনোর চেষ্টা করছে বিহার সরকার। তিনি আরও দাবি করেন, অসুস্থদের মধ্যে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। সেই তথ্যও প্রকাশ্যে আনেনি নীতিশ প্রশাসন। সুশীল মোদি বলেন, “ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভয়ে মৃত দেহ লুকিয়ে রাখছে সরকার। এটাই প্রথম না। এই ঘটনার কিছুদিন আগে আরও এক জায়গায় বিষ মদ খেয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।” 

    এর আগে ১৫ ডিসেম্বর নীতিশ প্রশাসনকে এক হাত নেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, “মদ (Hooch Tragedy) অনেকটা ঈশ্বরের মতো। চোখে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে।” আরও এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে দাবি করেন রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অপারক নীতিশ প্রশাসন।

    এদিকে বিষমদ কাণ্ডের (Hooch Tragedy) তদন্ত এবং মৃতের পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণের বিষয়ে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজ শুক্রবার, রাজ ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। 

    ২০১৬ সালেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছে। তবুও মদ বিভীষিকা পিছু ছাড়ছে না নীতিশ কুমারের। নিয়মিতহারে বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে রাজ্যের যত্রতত্র। এই মৃত্যু কোথায় গিয়ে থামবে তা এখনও কেউই বলতে পারছেন না।

    এই ঘটনায় (Hooch Tragedy) নীতিশ সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। উত্তাল হয়েছে বিধানসভা। বিজেপি বিধায়করা নীতিশের পদত্যাগের দাবি করেছেন। এমনকী বিধানসভায় নীতীশ কুমার তাঁর আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, এমন দাবিও তোলা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার নীতীশ বিষ মদ কাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “মদ অত্যন্ত খারাপ একটি জিনিস। মদ খেলে মরতেই হবে। সাম্প্রতিক ঘটনা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।” নীতিশের এই ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্যের পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিহার বিধানসভা।

    আরও পড়ুন: সুপারম্যান চরিত্রে আর ফিরবেন না, নিজেই জানালেন হেনরি ক্যাভিল

    ছাপরার বিষ মদ কাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে স্টেশন হাউস অফিসার রীতেশ মিশ্র, কনস্টেবল বিকেশ তিওয়ারীকে বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। মরহৌরা সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার যোগেন্দ্র কুমারের সুপারিশে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি আর কারা এই ঘটনায় জড়িত তাঁদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

    ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী বললেন নীতিশ? 

    বিরোধীরা মৃতের পরিবারকে (Hooch Tragedy) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুললে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তিনি বলেন, “শেষবার যখন বিষমদ কাণ্ডে কারোর মৃত্যু হয়েছিল সেই সময় তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিলেন কয়েকজন। কেউ মদ্যপান করেন তাঁরা মারা যাবেন। এবং তার উদাহরণ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। সমবেদনা জানাই। এতে সরকারের কিছু করার নেই।” তিনি এদিন আরও বলেন, “আমি পুলিশ অফিসারদের বলেছি, তাঁরা যেন দরিদ্রদের না গ্রেফতার করেন। যারা রাজ্যে মদ তৈরি করছে এবং এর ব্যবসা চালাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা উচিত। তারা এই কাজ ছেড়ে নতুন করে অন্য কোনও কাজ শুরু করতে চাইলে বিহার সরকার তাদের নতুন কাজ শুরু করার জন্য ১ লক্ষ টাকা দিতে প্রস্তুত। দরকার পড়লে আমরা এই টাকার পরিমাণও বাড়িয়ে দেব। তবে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Agni 5: সাবধান বেজিং! প্রায় গোটা চিনই এখন ভারতের ‘অগ্নি ৫’-এর নিশানায়

    Agni 5: সাবধান বেজিং! প্রায় গোটা চিনই এখন ভারতের ‘অগ্নি ৫’-এর নিশানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফল উৎক্ষেপণ! চিন ও পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারেই অগ্নি-৫-এর (Agni 5) পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। ফলে ভারতীয় সেনার মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। ৫০০০ কিমি দূরে লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এই সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপণ

    কয়েকদিন আগে থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্ত। চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। ফলে অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সংঘর্ষের (Tawang Clash) পরই এই উৎক্ষেপণকে (Agni 5) তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৫০০০ কিলোমিটার দূরের কোনও টার্গেটেও আঘাত হানতে পারে অগ্নি-৫ (Agni 5)। অর্থাৎ প্রায় গোটা চিনের বেজিং সহ যে কোনও জায়গায় গিয়ে আঘাত হানতে পারবে এই মিসাইল। ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম যাচাই করার জন্য গতকাল এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হল, যা সাফল্য এনে দিয়েছে ভারতকে।

    আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    অগ্নি-৫-এর বিষয়ে কিছু তথ্য

    ১) অগ্নি ৫-এর সিরিজে সব থেকে এগিয়ে থাকা মিসাইলগুলির মধ্যে অন্যতম ‘অগ্নি ৫’ (Agni 5)। ৫০০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে পারে এই মিসাইল। অগ্নি ১ ক্ষেপণাস্ত্র ৭০০ কিমি, অগ্নি ২ মিসাইল ২০০০ কিমি, অগ্নি ৩ এবং ৪  আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ২) অগ্নি-৫-এর (Agni 5) দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৭ মিটার। পরিধি ২ মিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম, যেটি ৫০০০ কিমির দূরে লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত করতে সক্ষম। এটি সমগ্র এশিয়া, ইউরোপের কিছু এলাকাকেও তার লক্ষ্যের আওতায় আনতে সক্ষম।

    ৩) অগ্নি-৫-এর (Agni 5) মাধ্যমে পরমাণু হামলাও চালানো যাবে। ১,৫০০ কেজি পরমাণু অস্ত্র বহন করতে সক্ষম এই অগ্নি-৫।

    ৪) অগ্নি-৫ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হল চিনের বিরুদ্ধে ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।

    ৫) এই নিয়ে টানা নবমবারের জন্য অগ্নি -৫-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হল। এর আগে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর অগ্নি-৫-এর (Agni 5) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল। আবার এ বছর ১৫ ডিসেম্বর ওড়িশা উপকূলে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হয়। প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল ২০১২ সালে।

    ৬) এই সফল পরীক্ষার মাধ্যমে, অগ্নি ৫ (Agni 5) ভারতের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কমান্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছে।

    উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনার হাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র (Agni 5) চলে আসায় চিন ও পাকিস্তান অনেকটাই উদ্বিগ্ন থাকবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ, ৫০০০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুকে ঘায়েল করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ এছাড়াও ৯ ডিসেম্বরের ভারত-চিন সীমান্তের সংঘর্ষের পর নজরদারি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। আবার এরই মধ্যে মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ স্বাভাবিকভাবেই চাপে ফেলল শত্রু দেশগুলোকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tawang: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    Tawang: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ফের শুরু হয়েছে চিনা সেনাদের উৎপাত। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং (Tawang) সেক্টরে ফের চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে৷ আর এবারে এই ঘটনা নিয়েই চিনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত আর ১৯৬২ তে নেই। যদি কেউ ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তবে তাকে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা যোগ্য জবাব দেবে।  

    কী ঘটেছিল?

    চলতি মাসের ৯ তারিখ তাওয়াংয়ে (Tawang) দুই দেশের সেনা জওয়াানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ভারতীয় জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। আর এই অবস্থায় উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে চিনের সেনা জওয়ানরাই বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতে কোনও প্রাণহানি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিনারা প্রায় ৩০০ সেনা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তৈরি ছিল ভারতীয় সেনারাও। অবশেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হার মেনে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।

    আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের! কারণ কি জানেন?

    চিনাদের অনুপ্রবেশের ঘটনায় গতকাল চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চিনের সেনাকে আটকে দিয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যতক্ষণ নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততক্ষণ কেউ ভারতের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারবে না।”

    অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    এরপরেই ভারত-চিন সংঘর্ষ(Tawang) নিয়ে কড়া ভাষায় বিবৃতি দিলেন পেমা খাণ্ডুও। তিনি বলেছেন, “এটা ১৯৬২ সাল নয়। যদি কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তাকে কড়া জবাব দেবে ভারতীয় বীর জওয়ানরা। অনুপ্রবেশের কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী। ইয়াংতসে আমার বিধানসভা অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। প্রত্যেক বছর আমি সেনা জওয়ান ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করি।” আবার ভারতীয় সেনাবাহিনীদের ফলে চিনারা পিছু হটতে বাধ্য হলে তিনি জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমাদের জওয়ানরা ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয় না, ইটের জবাব লোহা দিয়ে দেয়।”

  • Police Bribery: ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা এক পুলিশকর্মীর! গলা থেকে টেনে বের করা হল সেই টাকা!

    Police Bribery: ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা এক পুলিশকর্মীর! গলা থেকে টেনে বের করা হল সেই টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নিচ্ছিলেন এক পুলিশকর্মী (Police Bribery)। আর ঘুষের টাকা নেওয়ার সময়েই ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে এমন এক কাণ্ড করে বসলেন ওই পুলিশকর্মী, যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। ভিজিল্যান্স অফিসারদের হাতে ধরা পড়তেই সেই টাকা ঢুকিয়ে দিলেন মুখে এবং টাকা গিলে ফেলারও চেষ্টা করলেন তিনি। যদিও সঙ্গে সঙ্গে সেই পুলিশ আধিকারিকের মুখে আঙুল ঢুকিয়ে টাকা বের নেয় ভিজিল্যান্স অফিসাররা। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে।

    ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা পুলিশকর্মীর

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই পুলিশকর্মীর নাম মহেন্দ্র উলা। তিনি হরিয়ানা পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর পদে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, একটি মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নিচ্ছিলেন তিনি। সেই মোষ মালিক শম্ভু নাথকে  মহেন্দ্র উলা বলেছিলেন, ১০ হাজার টাকা দিলেই তাঁর মামলার তদন্ত করা হবে। সেই কথা মত মহেন্দ্রকে প্রথমে ৬০০০ টাকা দিয়েও দিয়েছিলেন শম্ভু। পরে ৪০০০ টাকা দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন শম্ভু নাথ। কিন্তু পরে তিনি এই বিষয়ে ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে ওই পুলিশকর্মীর নামে অভিযোগ (Police Bribery) করে দেন। এরপর সেই অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে ধরতে ফাঁদ পাতেন অফিসাররা। সেই বাকি টাকা দেওয়ার নাম করে হাতেনাতে ধরে ফেলে অফিসাররা। আর তারপরেই করে বসে অদ্ভুত কাণ্ড। সেই টাকা মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলার চেষ্টা করেন মহেন্দ্র উলা।

    ভিজিল্যান্স অফিসারও এখানে থেমে থাকেনি। সাব ইন্সপেক্টরটির মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা বের করে আনেন তাঁরা। নিজেকে বাঁচাতে ভিজিল্যান্স আধিকারিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে টাকা উদ্ধার হতেই অভিযুক্ত মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করেন ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা (Police Bribery)।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমতাবস্থায়, একজন পুলিশ অফিসারের এহেন কাণ্ডকারখানা দেখে সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ।

  • Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী শক্তির জয় জয়কার। ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার বিশেষ বাহিনীতে এবার থেকে যোগ দিতে পারবেন মহিলা কমান্ডোরাও। তবে তার জন্য তাঁদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। সমস্ত মাপকাঠি মেনেই তাঁদের চলতে হবে। নিতে হবে কঠোর প্রশিক্ষণ। দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।

    মার্কোসে মেয়েরা

    নৌসেনায় কর্মরত যে কোনও মহিলা মেরিন কমান্ডোর বিশেষ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। নৌসেনার কমান্ডো বাহিনীকে মার্কোস নামে ডাকা হয়। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করায় এই বাহিনীর সুনাম দুনিয়া জুড়ে। জল, স্থল, অন্তরীক্ষ— তিন জায়গাতেই সমান ভাবে লড়াই করতে পারে মার্কোস। এবার থেকে মহিলাদের জন্য সেই বাহিনীর দরজাও খুলে গেল। তবে এর জন্য অবশ্যই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁদের। যেতে হবে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে। ভারতীয় সেনার মধ্যে নৌসেনাই প্রথম, যাদের বিশেষ বাহিনীতে কমান্ডো হিসাবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে চলেছে। বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের কঠিন অনুশাসনের মধ্যে কঠিনতম পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। যা সাধারণ ভাবে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য বলে বিবেচিত হয়। তবে মহিলারা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে এবং যে কোনও কষ্টকেই সহজে জয় করতে পারে, বলে দাবি করেন এক নৌসেনা আধিকারিক। তাই তাঁরা যেকোনও বিভাগে যোগ দিতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌসেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশেষ অভিযান থেকে শুরু করে বোমারু বিমান ওড়ানো, যুদ্ধজাহাজে দায়িত্বপালন, নৌসেনার সমস্ত শাখাতেই এখন মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি চলছে। নৌসেনা নিজেকে পুরোপুরি লিঙ্গনিরপেক্ষ বাহিনীতে বদলে ফেলেছে।

    আরও পড়ুন: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্সেও মেয়েরা

    শুধু নৌসেনা নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো ফোর্সেও যোগ দিতে পারবেন মহিলা অফিসাররা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মাপকাঠি পূরণ করলে বায়ুসেনার স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে (Garud commando force) যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনও বাধা থাকবে না। গত বছরই স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে মহিলাদের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, ওই ‘এলিট’ বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য কোনও মাপকাঠি শিথিল করা হবে না। সম্পূর্ণ মাপকাঠি পূরণ করলে তবেই ওই বাহিনীতে সুযোগ মিলবে।  লিঙ্গ সাম্যের পথে এটাই প্রথম ধাপ নয় ভারতীয় বায়ুসেনার। অতীতে শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক কারণে সামরিক ভূমিকা থেকে মহিলাদের দূরে রাখা হত। কিন্তু ২০১৫ সালে ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক নয়া অধ্যায় রচিত হয়। সেই বছর মহিলা পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমোদন দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Acid Attack: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লিতে কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা! গ্রেফতার তিন

    Acid Attack: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লিতে কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা! গ্রেফতার তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনা। ফের অ্যাসিড অ্যাটাকের (Acid Attack) শিকার হতে হল এক কিশোরীকে। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে রাস্তায় অ্যাসিড ছুঁড়ে দেওয়া হল তরুণীর মুখে-চোখে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকায়। দুই যুবক বাইক চেপে ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। আজ, বুধবার একেবারে সকাল ৯টা, ব্যস্ত সময়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে ফের প্রশ্নের মুখে রাজধানীর দিল্লির বুকে মহিলা সুরক্ষা। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা

    দিল্লির বুকে এই নারকীয় অ্যাসিড হামলার (Acid Attack) দৃশ্য  সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে। যা দেখে শিউরে উঠছেন মানুষ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তার একপাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দুই কিশোরী। হঠাৎ করেই একটি বাইক আসে এবং তাঁদের সামনে ধীরে হয়ে যায়। আর তাদের দিকে তাকাতেই ওই কিশোরীকে লক্ষ্য করে মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ চেপে ধরে দৌড়াতে দেখা যায় মেয়েটিকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার পর সফদরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অ্যাসিড হামলার জেরে ওই কিশোরীর মুখের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তার চোখও অ্যাসিডে ক্ষতিগ্রস্থ বলে জানা যাচ্ছে। ফলে সফদরগঞ্জ হাসপাতালের আইসিইউতে ওই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে বলে খবর।

    অন্যদিকে ঘটনার (Acid Attack) পরেই ওই কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর দুই মেয়ে। একজনের বয়স ১৭ এবং অন্যজনের ১৩। সকালে দুজনেই তাঁরা বের হয়। আর এরপরেই এই ঘটনা ঘটে। তাঁর মেয়েকে কেউ বিরক্ত করত কিনা তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, “আমার মেয়েকে এর আগে কেউ বিরক্ত করেছে বলে আমার জানা নেই। আমি ওকে সব জায়গায় নিয়ে যেতাম। দুই বোন মেট্রোতে করে একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করত।”

    গ্রেফতার তিন

    দিল্লির অ্যাসিড ছোঁড়ার (Acid Attack) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালেই এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত ওই যুবককে জেরা করাও শুরু হয়েছে। কেন এই ঘটনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার পরে বিকেলে এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

    হামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    এই নারকীয় ঘটনা (Acid Attack) নিয়ে সরব হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির অ্যাসিড হামলা প্রসঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “এটি একেবারেই মেনে নেওয়া যাবে না। অপরাধীদের এত সাহস হল কী করে? অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতর সাজা দিতে হবে। দিল্লির প্রতিটি মেয়ের নিরাপত্তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

  • Tawang: তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের! কারণ কি জানেন?

    Tawang: তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের! কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াংয়ের (Tawang) ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের। এর প্রধান কারণ, তাওয়াং জায়গাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। শুধু তাই নয়, ধর্মীয় গুরুত্বের জন্যও তাওয়াংয়ের বিশেষ কদর রয়েছে চিনে (China)। সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে তাওয়াংকেই পাখির চোখ করেছে ড্রাগনের দেশ।

    তাওয়াং…

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত তাওয়াং। জায়গাটি ১৯৬২ সালে ভারত-চিন সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণে ভারত এবং চিন দুই দেশের কাছেই তাওয়াংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ৬২-র যুদ্ধে তাওয়াং দখল করার পর ম্যাকমোহন লাইনের ভিতরে পড়ে যাওয়ায় চিন এটি খালি করেছিল। পরে চিন ম্যাকমোহন লাইন মানতে অস্বীকার করে। তাই ফের তাওয়াং দখল করতে চাইছে চিন। তাওয়াং নিজের কবজায় নিয়ে এসে ড্রাগনের দেশ চাইছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশাপাশি তিব্বতকে পর্যবেক্ষণ করতে। এই তাওয়াংয়ের সঙ্গে তিব্বতের ধর্মীয় নেতা বতর্মান দালাই লামার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৫৯ সালে তিব্বত ছেড়ে যাওয়ার পর এখানে কিছু দিন কাটিয়েছিলেন দালাই।

    চিন থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের জন্য দুটি পয়েন্ট সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি তাওয়াং (Tawang), অন্যটি চাম্বা উপত্যকা। তাওয়াং রয়েছে চিন-ভুটান সংযোগস্থলে। আর চাম্বার অবস্থান নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। তাওয়াং দখল করতে পারলে চিন দাবি করবে, অরুণাচল প্রদেশ তাদেরই অংশ।  

    আরও পড়ুন: “কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে’’, ডিএ মামলা ছাড়লেন বিচারপতিরা! পিছল শুনানি

    এদিকে, তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষ পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, তাওয়াং সীমান্তের কাছে গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে চিন। এর পাশাপাশি একটি রাস্তাও তৈরি করেছে চিনা সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, ৯ ডিসেম্বর তাওয়াংয়ের (Tawang) ইয়াঙ্গাটসে অঞ্চলে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিন সেনার। ওই এলাকায় থাকা ভারতীয় সেনা বাহিনীর ছাউনি সরাতে আসে প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। তাদের হাতে ছিল কাঁটাযুক্ত লোহার লাঠি। ভারত বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। বেশ কিছুক্ষণ পরে পিছু হঠে চিনা সেনা। জানা গিয়েছে, পক্ষকাল ধরে এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল চিন সেনা। এ ব্যাপারে ভারত প্রথমেই সতর্ক হয়ে যাওয়ায় দ্রুত বদলে যায় পরিস্থিতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Water Distribution: জল বণ্টন সমস্যার সমাধানে আন্তঃরাজ্য কমিটি গঠনের প্রস্তাব কেন্দ্রের

    Water Distribution: জল বণ্টন সমস্যার সমাধানে আন্তঃরাজ্য কমিটি গঠনের প্রস্তাব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশি রাজ্য গুলোর মধ্যে বিভিন্ন নদ নদীর জল বণ্টন (Water Distribution) সমস্যার সমাধানে আন্তঃরাজ্য কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। জল বন্টনে নিজেদের মধ্যে বিরোধ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড ও বিহারকে নিয়ে তিনি একটি যৌথ কমিটি গঠন করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পৌরহিত্যে শনিবার নবান্ন লাগোয়া সভাঘরে এ  রাজ্য সহ পূর্বের মোট চার রাজ্যকে নিয় পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক বসে। সেখানে রাজ্যগুলির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা জল বিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের তরফে এই প্রস্তাব বলে জানা গেচে।বৈঠক নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও তরফেই কিছু জানানো হয়নি।তবে সূত্রের খবর গঙ্গা পদ্মার ভাঙ্গন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত একটি মাস্টার প্ল্যান গ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।

    সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা, বিএসএফ ও রাজ্য প্রশাসনের (Water Distribution) সমন্বয়ের বিষয়টিও বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা মজবুত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সম্বয় বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর অমিত শাহ বৈঠকে বসলেন সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব কেবল মাত্র সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নয়। দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেও। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্তে ফেন্সিং ও সেক্টর অফিস তৈরি করার জন্য মাত্রাতিরিক্ত জমি চাইছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে অভিযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: “প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেশ এক থাকবে”, বিলাবল ভুট্টের মন্তব্যে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি শশী থারুর

    শাহ বিএসএফকে বিষয়টি নিয়ে নমনীয় হওয়ার নির্দেশ দেন বলে খবর। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে (Water Distribution) রেলের অনেক জমি জবরদখল হয়ে যাওয়ায় প্রকল্প তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে বলে বৈঠকে উপস্থিত রেল বোর্ডের সদস্য বৃজেশ কুমার অভিযোগ জানান। রাজ্য গুলোর তরফে পাল্টা জানানো হয় উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।রেলের অব্যবহৃত জমি কিভাবে গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করা যায় রাজ্যগুলিকে সেই বিষয়েও ভেবে দেখার কথা বলা হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ও সমন্বয় বৃদ্ধির উপরে জোর দেন।শনিবার নবান্নের বৈঠকে শাহ ও মমতার পাশাপাশি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

    বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের মন্ত্রিসভার প্রবীণ মুখ প্রদীপ আমাত উপস্থিত ছিলেন। শাহের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়, নিরাপত্তা, সমস্যা সমাধানের কৌশল ইত্যাদি বিষয় সামনে (Water Distribution) রেখে গত ৫ নভেম্বর নবান্ন সভাঘরে পূর্বাঞ্চল পরিষদের ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে যায়। বৈঠকের শুরুতে আয়োজক রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা অতিথিদের হাতে ডোকরার দুর্গা প্রতিমা , বাঁকুড়ার ঘোড়া, কাঁথা স্টিচের উত্তরীয় ও হলুদ গোলাপের স্তবক তুলে দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jharkhand Crime: ঝাড়খণ্ডে যুবতীকে খুন করে ৫০ টুকরো, গ্রেফতার তাঁর স্বামী

    Jharkhand Crime: ঝাড়খণ্ডে যুবতীকে খুন করে ৫০ টুকরো, গ্রেফতার তাঁর স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকারের দেহ। রাজস্থানের জয়পুরে কাকিমাকে খুন করে দেহ ১০ টুকরো করেছেন এক শিক্ষিত যুবক! এবার প্রায় সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)। ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে স্ত্রীকে খুন করে ৫০ টুকরো করল জনৈক যুবক। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রুবিকা পাহাদিন। তাঁর স্বামী দিলদার আনসারিই তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। দিলদারকে আটক করেছে পুলিশ।

    রুবিকা-দিলদার…

    পুলিশ সূত্রে খবর, রুবিকা দিলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। বছর দুয়েক ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সম্প্রতি বিয়ে করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সাহেবগঞ্জের সান্থালি মোমিন তোলা এলাকা থেকে এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহাংশ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করেছিল, বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ওই মহিলাকে ফাঁকা, শুনশান জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে খুন করা হয় তাঁকে। টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় দেহ। ওই যুবতীর পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলে দেহাংশ উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। দেহ শনাক্ত করেন মৃতের পরিবারের লোকজন।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া! কাকিমাকে খুন করে ১০ টুকরো করলেন যুবক

    সাহেবগঞ্জের পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বছর বাইশের এক যুবতীর দেহের ১২টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে। ওই যুবতী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এখনও শরীরের বেশ কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ ওই যুবতীর স্বামী দিলদার আনসারিকে আটক করেছে। যাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তিনি দিলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।

    ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন বিজেপির ঝাড়খণ্ড মুখপাত্র প্রতুল সহদেব। তিনি বলেন, হেমন্ত সরকারে আমলে কন্যা সন্তানদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা বাড়ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু ফ্রাসট্রেটেড মানুষ এই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তার পরেও সরকার ঠুঁটো হয়ে বসে রয়েছে। কিছুই করছে না। তিনি বলেন, যদি সরকার দৃঢ় কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে আমরা পথে নামব। সরকারকে যোগ্য জবাবও দেব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share