Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: ‘যারা উন্নয়নের বিপক্ষে, তাদের লালকার্ড দেখানো উচিত’, শিলংয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘যারা উন্নয়নের বিপক্ষে, তাদের লালকার্ড দেখানো উচিত’, শিলংয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা উন্নয়নের পক্ষে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়াবে, তাদের লালকার্ড (Red Card) দেখানো উচিত আমাদের। পূবে তাকাও (Look East) এবং পূবে কাজ কর (Act East)-এর বদলে নয়া নীতি হল পূবে কাজ কর এবং প্রথমে কর উত্তর পূর্বে। রবিবার মেঘালয়ের শিলংয়ে (Shillong) এই কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নর্থ-ইস্টার্ন কাউন্সিলের একটি বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ভাষণ দেন। সেই সময়ই তিনি উত্তর পূর্ব ভারতের দিকে বেশি করে নজর দেওয়ার ওপর জোর দেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে উদ্বোধন হয়েছিল নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের। এই কাউন্সিলের এবার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। সেই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নর্থ-ইস্টার্ন রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা।

    মোদি উবাচ…

    এদিন ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের যখন সুবর্ণ জয়ন্তী চলছে, তখন দেশে চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। নর্থ ইস্টার্ন অঞ্চলের আটটি রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী অষ্টলক্ষ্মী বলে উল্লেখ করেন প্রায়ই। এদিন তিনি বলেন, সরকারের উচিত এই অঞ্চলে আটটি ফাউন্ডেশন পিলার তৈরি করা। এই আটটি পিলার কী, তা নিজেই ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এই আটটি পিলার হল শান্তি, ক্ষমতা, পর্যটন, ৫ জি কানেক্টিভিটি, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক আবাদ, স্পোর্টস ও পোটেনসিয়াল।

    আরও পড়ুন: “অনার কিলিং- এর নামে প্রতিবছর এ দেশে শয়ে শয়ে মানুষ খুন হয়”, উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি যে তাঁর কাছে অবহেলিত নয়, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার সরকারের কাছে উত্তর-পূর্ব ও তার সীমান্ত এলাকা দেশের শেষ এলাকা নয়। এটা প্রতিরক্ষা ও সমৃদ্ধির গেটওয়ে। এই রাজ্যগুলি থেকে যে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা হয় এবং নিরাপত্তা বজায় থাকে, তাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নর্থ-ইস্টে উন্নয়নের করিডর বানানোর ওপর জোর দিচ্ছি আমরা, সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্বের জন্য নয়। মোদি বলেন, চলতি বছর উত্তর-পূর্বে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে কেন্দ্র ৭ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করছে। আট বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকারও কম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nitin Gadkari: ২০২৪- এর মধ্যে ভারতের রাস্তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো, দাবি সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীর

    Nitin Gadkari: ২০২৪- এর মধ্যে ভারতের রাস্তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো, দাবি সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি, বৈদ্যুতিক যানবাহন সংক্রান্ত অগ্রগতিতেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari) জানান যে, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগে ভারতের সড়ক পরিকাঠামো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমান হবে।

    কী বলেন নিতিন? 

    এফআইসিসিআই- এর ৯৫ তম বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে নিতিন গড়কড়ি বলেন, “আমরা দেশে বিশ্বমানের সড়ক পরিকাঠামো তৈরি করেছি এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগে আমাদের সড়ক পরিকাঠামো আমেরিকার সমান মানের হবে।” পাশাপাশি, লজিস্টিকের খরচের বিষয়ে, নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari) জানান, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এটি ৯ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।” 

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী (Nitin Gadkari) বলেন, “আমাদের লজিস্টিক খরচ একটা বড় সমস্যা। বর্তমানে এই খরচ ১৬%। তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ আমরা সেই খরচ ৯ শতাংশে নামিয়ে আনব।” মন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা অন্যান্য বিকল্পগুলি গ্রহণ করে নির্মাণ কাজে স্টিলের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি। আমরা জানি যে নির্মাণ শিল্প কেবল পরিবেশ দূষণই ঘটায় না বরং বিশ্বের ৪০ শতাংশেরও বেশি পণ্য ও সম্পদ ব্যবহার করে।”

    আরও পড়ুন: ভারতে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার, মৃত্যু ৪০ জনের   

    নিতিন (Nitin Gadkari) বলেন, “আমরা সম্পদের ব্যয় কমানো এবং নির্মাণের মান উন্নত করার দিকে নজর দিচ্ছি। সিমেন্ট এবং ইস্পাত নির্মাণের প্রধান উপকরণ। তাই আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করে নির্মাণ কাজে স্টিলের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি।”  

    তিনি (Nitin Gadkari) আরও বলেন, “বর্তমানে ভারত নিজেকে শক্তি রপ্তানিকারক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। সবুজ হাইড্রোজেন অদূর ভবিষ্যতে শক্তির একটি প্রধান উৎস হবে। এই সবুজ হাইড্রোজেন ভবিষ্যতে বিমান চলাচল, রেলপথ, সড়ক পরিবহণ, রাসায়নিক এবং সার শিল্পে শক্তির একটি প্রধান উৎস।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

       

  • Bilkis Bano: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ বিলকিস বানোর আর্জি

    Bilkis Bano: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ বিলকিস বানোর আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ হয়ে গেল বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) আর্জি। সাজার মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া হয় বিলকিসের ধর্ষকদের। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিলকিস। তাঁর তরফে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিলকিসের আইনজীবী শোভার দাবি ছিল, ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুতর অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। আজ, শনিবার বিলকিস বানোর সেই আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।

    বিলকিস ধর্ষণ মামলা…

    ১৫ অগাস্ট বিলকিস ধর্ষণ মামলায় ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকে ছেড়ে দেয় গুজরাট সরকার। যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেলে ছিল। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন দেশের বিরোধী দলগুলির নেতারা। এরই মধ্যে দেশের শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন বিলকিস। আর্জিতে তাঁর দাবি, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ওই ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছে গুজরাট সরকার। যা সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাটে (Gujarat) শুরু হয় হিংসা। ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড়ে ভয়াবহ হামলা হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে (Bilkis Bano) গণধর্ষণ করা হয়। আছড়ে মেরে ফেলা হয় তাঁর তিন বছরের মেয়েকে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে বিরল থেকে বিরলতম আখ্যা দিয়ে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল সিবিআই (CBI)। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। মুক্তি দেওয়া হয় ১১ জনকে।

    বিলকিসের (Bilkis Bano) পিটিশনে বলা হয়েছে, দেশ যখন ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছিল, তখন সব সাজাপ্রাপ্তকে আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে তাদের মালা পরানো হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল সংবর্ধনা। মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল। তা থেকেই বর্তমান মামলাকারী (বিলকিস), পুরো দেশ ও দুনিয়া জানতে পারে যে দেশের অন্যতম জঘণ্য অপরাধে দণ্ডিতদের আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Kolar: কর্নাটকের কোলার সোনার খনি থেকে সোনা উত্তোলনের জন্যে দরপত্রের আহ্বান জানাতে চলেছে সরকার

    Kolar: কর্নাটকের কোলার সোনার খনি থেকে সোনা উত্তোলনের জন্যে দরপত্রের আহ্বান জানাতে চলেছে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে ঔপনিবেশিক যুগের খনিগুলির (Kolar) একটি ক্লাস্টারে ৫০০ লক্ষ টন প্রক্রিয়াজাত আকরিক থেকে সোনা উত্তোলনের জন্য দরপত্রের আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার এক সরকারি আধিকারিক এ কথা ঘোষণা করেন।

    কী পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার?

    বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত কোলার সোনা ক্ষেত্র দেশের প্রাচীনতম সোনার খনিগুলির (Kolar) মধ্যে অন্যতম। ২০ বছরেরও বেশি আগে বন্ধ হওয়া কোলার খনিগুলিতে প্রায় ২১০ কোটি টাকা মূল্যের সোনা রয়েছে। ভারত নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে অতীতে প্রক্রিয়াজাত করা আকরিকের অবশিষ্টাংশ থেকেও সোনা বের করতে আগ্রহী।   

    ওই সরকারি আধিকারিক বলেন, “সোনা ছাড়াও, সরকার প্রক্রিয়াজাত আকরিক বা ডাম্প থেকে প্যালাডিয়াম নিষ্কাশনেরও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রক্রিয়াজাত আকরিকে আটকে থাকা সোনা কীভাবে নিষ্কাশন (Kolar) করা যায়, তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে দোতলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিলেন শিক্ষিকা

    তিনি আরও বলেন, “সরকার আগামী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমাদের একমাত্র সীমাবদ্ধতা হল শুধুমাত্র বিদেশি কোম্পানিগুলির প্রক্রিয়াজাত আকরিক থেকে সোনা নিস্কাশন (Kolar) করার প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের তা নেই। তবে বিদেশি কোম্পানিগুলি স্থানীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে। এমনকি একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করতে পারে।” 

    প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ভারত বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা মেটাতে সোনা আমদানির উপর শুল্ক ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১২.৫% করেছে। কোলার (Kolar) মুলত সোনার খনির জন্য খ্যাত। ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও প্রধান সোনার খনি কোলারে অবস্থিত। পরাধীন ভারতে সোনার খনিকে কেন্দ্র করে কোলারে জনপদ গড়ে উঠেছিল। ২০০১ সালে খনি বন্ধ হওয়ার আগে দেড়শো বছর ধরে সোনা তোলা হয়েছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

     

  • Kiren Rijiju: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    Kiren Rijiju: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি (Judges) নিয়োগের নয়া ব্যবস্থা তৈরি না হলে উচ্চ আদালতে (High Court) শূন্য পদের সমস্যা মিটবে না। পুরানো মামলার পাহাড়ও কমানো যাবে না। শুক্রবার রাজ্যসভায় এই কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। মাসখানেক আগে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু বিচারপতি নিয়োগের যে কলেজিয়াম ব্যবস্থা রয়েছে, তার সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। এদিনও কলেজিয়ামকেই ফের একবার নিশানা করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। এর আগে বৃহস্পতিবারও তিনি বলেছিলেন, এত মামলা যখন ঝুলে রয়েছে, তখন জামিনের আর্জি শোনা উচিত নয় সুপ্রিম কোর্টের।

    শূন্যপদের সংখ্যা…

    এদিন রাজ্যসভায় মোদি (PM Modi) সরকারের আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতে বকেয়া মামলার সমস্যা মিটছে না। শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিত। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আদালতে ছুটির তালিকা যে দীর্ঘ, এদিন তারও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। রিজিজু বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বছরে ১৪১ দিন, হাইকোর্টগুলিতে বছরে ১৫৫ দিন ছুটি থাকে। অনেক দিন ছুটি থাকায় মানুষের বিচার পেতে সমস্যা হচ্ছে। শুধু আইনমন্ত্রী নন, সংসদের চলতি অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও বিঁধেছিলেন বিচার বিভাগকে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সংসদে পাশ হওয়ার পরেও জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন খারিজ করে দেওয়ার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মামলার সংখ্যা পাঁচ কোটির কাছাকাছি। তিনি বলেন, এর অনেক কারণ রয়েছে। তবে তার মধ্যে প্রধান কারণটি হল, বিচারপতি নিয়োগ এবং শূন্যপদ পূরণ। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, ডিস্ট্রক্ট এবং লোয়ার কোর্টগুলিতে বিচারপতি ও বিচারক মিলিয়ে রয়েছেন ১৯ হাজার ১৯২ জন। যদিও পদ রয়েছে ২৫ হাজার ১১টি। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে পিটিশন জমা পড়ে রয়েছে ৫৯.৫৬ লক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর (Nehru) ভারত (India) নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের (China) কাছে। এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। এ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর দাবি, চিন যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্বেগ নেই। সরকার বিষয়টিতে গুরুত্বই দিচ্ছে না। রাহুলের এহেন মন্তব্যেরই পাল্টা দিল বিজেপি।

    রাহুলকে নিশানা…

    বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন রাহুল গান্ধী। এদিন তাঁকেই নিশানা করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী চিনের এতটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন যে তিনি বুঝে যাচ্ছেন, চিন এবার কী করবে। রাহুলকে মুখের মতো জবাব দিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ টানেন বিজেপির মুখপাত্র। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভারত জোড় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধী দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন, যাতে দেশের সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এর পরেই তিনি বলেন, এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের কাছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তি হয়েছে বলেও দাবি করেন রাঠোর। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চলে চিনের টাকায়। তার পরেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তির হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাঠোর বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিকবার দখলদারির চেষ্টা করেছিল চিন। তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদির আমলে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে তিনগুণ। প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় হাতাহাতি হয় চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার। এই প্রসঙ্গেই রাহুল বলেছিলেন, লাদাখের কাছে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঘুমিয়ে রয়েছে। এর পরেই রাহুলকে একহাত নেয় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bilawal Bhutto Zardari: প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনজির’ আক্রমণ, বিলাওয়ালের কুশপুতুল পোড়াবে বিজেপি

    Bilawal Bhutto Zardari: প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনজির’ আক্রমণ, বিলাওয়ালের কুশপুতুল পোড়াবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বেনজির-পুত্র, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। পাক বিদেশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে পথে নামছে বিজেপি। আজ, শনিবার দেশজুড়ে জানানো হবে প্রতিবাদ। পোড়ানো হবে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির কুশপুতুলও। প্রসঙ্গত, বিলাওয়াল প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সে দেশের নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে।

    বিজেপির কর্মসূচি…

    এদিনের কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির তরফে জারি করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়েছে, দিল্লি সহ দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, বিজেপির কার্যকর্তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করবেন। এভাবেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। শুক্রবার দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। সেখানেই তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাটের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনাচক্রে এদিনই ছিল বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতীয় সেনার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর বিজয় দিবস। এমন একটি দিনে আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিলাওয়ালের ওই মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে হয় সমালোচনা। এদিনই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয় বিবৃতি। তাতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, বিলাওয়ালের দাদু জুলফিকর আলি ভুট্টোর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ই পাকিস্তানে ধর্ষণ, হত্যালীলা চালিয়েছিল পাক সেনা।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর মানসিক দেউলিয়াপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেটি ওসামা বিন লাদেনকে শহিদ হিসাবে মানে এবং লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর এবং দাউদ ইব্রাহিমের মত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য তাদের দেশের মানের তুলনায় বেশ নিচু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    Narendra Modi: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক লড়াইয়ে উত্তর দিতে না পেরে অবশেষে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ব্যক্তিগতভাবে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনের তুলনা করে বসলেন তিনি। আর এর ফলে তাঁকেও ভারত থেকে কড়া ভাষায় জবাব দেওয়া হল। বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যকে ‘অসভ্য’ বলে কড়া নিন্দা করা হল ভারতের (India) তরফে। অন্যদিকে দিল্লিতে বিজেপির দলীয় কর্মীরাও এই মন্তব্যের জেরে ‘বিলাওয়াল ভুট্টো মাফি মাঙ্গো’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।

    কী বলেছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো?

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের পর্দাফাঁস করে দেন জয়শঙ্কর। বিশ্বজুড়ে কীভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান, তা একেবারে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। ফলে বিশ্বের মঞ্চে সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে জয়শঙ্করের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে না পেরে মোদির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যক্তিগত আক্রমণে নামেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন, কিন্তু গুজরাটের কসাই বেঁচে আছেন এবং তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী।”

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    পাক মন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল’ বলা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর মানসিক দেউলিয়াপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেটি ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ হিসাবে মানে এবং লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর এবং দাউদ ইব্রাহিমের মত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়।”

    আরও পড়ুন: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও তাঁর মন্তব্যের তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন। মীনাক্ষি লেখি বলেছেন, “তিনি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং তিনি নিজেই ব্যর্থ, তাই পাকিস্তানও ব্যর্থ। যাদের সন্ত্রাসী মানসিকতা আছে, তাদের কাছ থেকে আপনি কী আশা করতে পারেন?” অনুরাগ ঠাকুর এই মন্তব্যকে “জঘন্য ও লজ্জাজনক” বলে অভিহিত করেছেন।  আবার নয়াদিল্লির পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির যুব মোর্চা।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত নিম্নমানের। এটি পাকিস্তানের জন্য়ও নিম্নমানের।’ এই মন্তব্যকে ‘অসভ্য’ বলে কড়া নিন্দা করা হল ভারতের (India) তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারতীয় সেনার সামনে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরকে ভুলে গিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি সেনা যেভাবে হিন্দু এবং বাংলাদেশিদের উপর অত্যাচার শুরু করে, আজকের দিনে তার পরিসমাপ্তি হয়। সেই সব কথা পাকিস্তান ভুলে গিয়েছে বলেও বিলাওয়াল ভুট্টোকে কড়া আক্রমণ করে দিল্লি।

    বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ

    গুজরাটের কসাই (Narendra Modi) মন্তব্যকে তীব্র নিন্দা করে দিল্লিতে বিজেপির কর্মীরা পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে বসেছেন। তাঁরা ‘পাকিস্তান হায় হায়’ ও ‘বিলাওয়াল ভুট্টো মাফি মাঙ্গো’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দিল্লি পুলিশ বিজেপি কর্মীদের পাক দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিতে ব্যারিকেড দিয়েছিল। তবে বিক্ষোভকারীরা প্রথম দফা ব্যারিকেড ভেঙ্গে দূতাবাসের দিকে মিছিল করতে থাকে।

  • J & K: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা হাসপাতালের সামনে গুলি, হত ২

    J & K: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা হাসপাতালের সামনে গুলি, হত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরিতে (Rajouri) সেনা হাসপাতালের (Military hospital) সামনেই অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিদের (unidentified terrorists) গুলিতে মৃত্যু (death) হল দুই ব্যক্তির। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ ও নিরাপত্তা আধিকারিকেরা।

    কী হয়েছিল

    এপ্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পসের (White Knight Corps) তরফ থেকে ট্যুইট বার্তায় জানান হয়, “শুক্রবার ভোরে রাজৌরির সেনা হাসপাতালের কাছে অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিরা আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। এর ফলে সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ (Police), নিরাপত্তা বাহিনী (security forces) ও স্থানীয় প্রশাসনের (civil administration) আধিকারিকরা (officials) রয়েছেন।” এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও এক যুবক। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  মৃতদের নাম শালিন্দর কুমার ও কমল কিশোর। দুজনেই রাজৌরির বাসিন্দা। এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ভেতরে ক্য়ান্টিন রয়েছে। সম্ভবত সেদিকেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই গুলি চালান হয়।

    আরও পড়ুন: আজ না হয় কাল, জম্মু ও কাশ্মীর ফের রাজ্যের তকমা পাবে! ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    স্থানীয়দের বিক্ষোভ

    এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনজন রোজই ভোর সাড়ে ৫টা-৬টা নাগাদ ক্যান্টিনে যেত। এদিনও সকাল ৬টা ১৫ নাগাদ তারা আলফা গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেনা সূত্রে খবর, মৃত দুই যুবক সেনা ছাউনিতে পোর্টারের কাজ করতেন। জখম সিভিলিয়ানের অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার পরই  এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে পাথর ছুঁড়তে থাকে। জম্মু-পুঞ্চ হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে গুলি চালানোর সঠিক কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। গোটা এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জম্মু থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে রাজৌরি সেক্টরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের ‘এপিসেন্টার’ এখনও সক্রিয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ফের একবার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে (Pakistan) বেআব্রু করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের দ্বিচারিতা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে অংশ নিয়ে বুধবার তিনি বলেছিলেন, যে দেশ ওসামা বিন লাদেন এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়, অন্যদের উপদেশ দেওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই তাদের। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে ভালো প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে হিলারি ক্লিনটনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে জয়শঙ্কর বলেন, এক দশক আগে হিলারি ক্লিনটন তাঁর পাকিস্তান সফর চলাকালীন বলেছিলেন, যদি তুমি নিজের বাগানে সাপ রাখ, তাহলে সেই সাপ শুধুমাত্র আপনার প্রতিবেশীদেরই কামড়াবে, এই আশা করতে পারেন না। তিনি বলেন, পাকিস্তান পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। সেই কারণেই গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলে মনে করে।

    ইসলামাবাদকে নিশানা করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, পাকিস্তানের মন্ত্রীরা রয়েছেন, তারা বলতে পারবেন পাকিস্তান কতদিন সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ চালু রাখার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব বোকা নয়, তারা ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত দেশ ও সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমার পরামর্শ হল, নিজেদের কার্যকলাপ শোধরান ও একজন ভাল প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করুন।

    আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    চিন ও পাকিস্তান যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। দুই প্রতিবেশী দেশের নাম না করেই তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ কোনও সীমান্ত, নাগরিকত্ব বা জাতি মানে না। সন্ত্রাসবাদের বিপদ যে দিন দিন বাড়ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বা হুমকি বর্তমানে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি আল কায়দা, দয়েশ, বোকো হারাম ও আল সাবাব সহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কীভাবে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share