Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাঝে এবারে দুই উচ্চপদস্থ কর্তা নিজেই নিজেদের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ালেন (Meta & WhatsApp)। পদত্যাগ করলেন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু ও একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন মেটা ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর রাজীব আগরওয়াল। ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই এই সংস্থা থেকে বেরিয়ে গেলেন এই সংস্থার পাবলিক পলিসির প্রধান রাজীব আগরওয়াল। মেটার দুই বড় কর্তাই মঙ্গলবার তাঁদের পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

    কেন পদত্যাগ করলেন?

    ইনস্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ভারত সহ গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় (Meta & WhatsApp)। একদিন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপের দায়ভার সম্পূর্ণ ছিল অভিজিৎ বসুর উপর। ফলে আচমকা তাঁর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত তা বিষয়ে জানা যায়নি। লিঙ্কডইন-এ অভিজিৎ বসু জানিয়েছেন, তিনি ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম কান্ট্রি হেড ছিলেন। তিনি এবার কোন সংস্থায় যোগ দিচ্ছেন, তা অবশ্য জানাননি তিনি। তবে অভিজিৎ জানান, আপাতত ছোট্ট বিরতি নিচ্ছেন তিনি। এরপর, ফের এই প্রযুক্তির জগতে যোগদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত অভিজিতের জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে আসা হবে।

    অন্যদিকে ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার ২ সপ্তাহের মধ্যেই রাজীব আগরওয়াল পদত্যাগ করলেন। অজিত মোহন বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা স্ন্যাপ-এ যোগ দেবেন। স্ন্যাপ-এ এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। আর এই সুযোগের জন্যই তিনি মেটা ছেড়েছেন। ফলে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজীবও অন্য এক সংস্থায় যোগ দেবেন বলেই এই চাকরি ছাড়লেন তিনি। তবে তাঁর থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আপাতত রাজীবের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর শিবনাথ ঠুকরালের উপর (Meta & WhatsApp)।

    হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট অভিজিৎকে পরবর্তী কাজের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন (Meta & WhatsApp)। তাঁর হাত ধরেই যে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ নয়া উচ্চতা অর্জন করেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। অভিজিতের কাজের ধারাকেই ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সংস্থার কর্তব্য বলেও অন্যান্য কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন উইল।

    উল্লেখ্য, ট্যুইটারের পর দিন কয়েক আগেই গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে মেটাও। একসঙ্গে ১১ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেন মার্ক জুকারবার্গ। ফলে মেটার খারাপ আর্থিক রিপোর্টের আবহে এই একের পর এক উচ্চপদস্থ পদত্যাগের ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (Meta & WhatsApp)।

  • Anti Terror Agency: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    Anti Terror Agency: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুরে (Udaipur) রেল লাইনে বিস্ফোরণের (Railway Track Explosion) ঘটনায় এবার তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা রেল ট্র্যাকে গত রবিবার রাতে বিস্ফোরণ ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেললাইনের একাংশ। জানা গিয়েছে, স্থানীয়রাই বিস্ফোরণের খবর দিয়েছিল রেলকে। কিছুক্ষণ পরেই ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আসারওয়া-উদয়পুর এক্সপ্রেসের। তার আগেই ঘটে বিস্ফোরণ। এর পরেই ওই রুটের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    গতকালই নাশকতার বিষয়ে জানার পরেই তদন্তের নির্দেশ দেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (CM Ashok Gehlot)। এরপরেই তদন্তের ভার নেয় এনআইএ। এর আগে তদন্তের দায়িত্ব ছিল রাজস্থানের পুলিশের ওপর।

    রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই ব্রডগেজ রেললাইনের (Broad-gauge Railway Track)  উদ্বোধন করেছিলেন। তারপরই রবিবার রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাই অনেকেই একে নাশকতার ঘটনা বলেই মনে করছেন।

    কী ঘটেছে?

    রাজস্থান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল উদয়পুর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ওধা ব্রিজের উপরে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইনে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরে ট্রেন চলচাল বন্ধ হয় যায় ওই রুটে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পরবর্তীতে রাজস্থান পুলিশের পাশাপাশি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া এনআইকেও। 

    রাজস্থান পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণ ঘটাতে খনিতে ব্যবহৃত ‘সুপারপাওয়ার ৯০’ ব্যবহার করা হয়েছিল। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বিকট শব্দ পান। তাঁরাই রেলের নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানান। তারপরে সেখানে পৌঁছায় ফরেন্সিক ও সন্ত্রাসদমন স্কোয়াডের সদস্যরা। একযোগে তদন্ত শুরু করে এটিএস (ATS), এনআইএ ও আরপিএফ (RPF)। উদয়পুরে বিস্ফোরণে নাশকতার ছক উড়িয়ে দিচ্ছে না এনআইএ ও অন্য তদন্তকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, রীতিমতো পরিকল্পনা করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
     
     

     

     
  • Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ (Forced Religious Conversion) ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বিষয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এই নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত। কেন্দ্রকে সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানি

    জোর করে ধর্মান্তকরণ, লোভ দেখিয়ে বা ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ রুখতে কেন্দ্র পদক্ষেপ নিই, অভিমত শীর্ষ আদালতের।  এই ধরনের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে বলেও মত আদালতের। ক্ষুণ্ণ হতে পারে নাগরিকের অধিকার তথা ধর্মীয় অধিকার।

    সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি  এম আর শাহ (MR Shah) এব হিমা কোহলির (Hima Kohli) বেঞ্চে। বেঞ্চ জানায়, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জোর করে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নচেত আগামী দিনে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    কেন্দ্রের মতে

    এই বিষয়ে সলিসিটার জেনারেল (Solicitor General)  তুষার মেহতা (Tushar Mehta) বলেন, “দু’টি আইন আছে। একটি ওড়িশা সরকারের এবং অন্যটি মধ্যপ্রদেশ সরকারের। ওই আইনে প্রতারণা বা জালিয়াতি, কিংবা অর্থের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। বিবেচনার জন্য দুটি আইনকে আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়। শীর্ষ আদালত ওই আইনগুলির বৈধতা বহাল রেখেছে।” আদালতে তিনি জানান, যে আদিবাসী অঞ্চলে মাঝেমাঝেই জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ, সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা উচিত। কিন্তু জোর করে ধর্ম পরিবর্তন কখনওই কাম্য নয়। কেন্দ্রকে এই বিষয়ে মত জানানোর জন্য ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে ২৮ নভেম্বরে পরবর্তী শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: বালিতে গিয়ে সুনক, মাক্রঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, কেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Honour Killing: ২১ বছরের মেয়েকে খুন করল বাবা, স্যুটকেসে ভরল মা! দিল্লিতে ফের নৃশংস খুন

    Honour Killing: ২১ বছরের মেয়েকে খুন করল বাবা, স্যুটকেসে ভরল মা! দিল্লিতে ফের নৃশংস খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, আর এরই মধ্যে ফের এক নৃশংস খুনের খবর সামনে এসেছে (Honour Killing)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারে এক ২১ বছর বয়সী তরুণীকে গুলি করে খুন করেছে তরুণীর বাবা। আর মৃতদেহ প্লাস্টিকে মুড়ে স্যুটকেসে ভরতে সাহায্য করেছে মা। তারপর সেই স্যুটকেস ফেলে দিয়ে আসে এক রাস্তায়। হাড় হিম করা ঘটনা! ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তরুণীর নাম আয়ুষি যাদব। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বালুনির বাসিন্দা আয়ুষির পরিবার ও পরে তাঁরা রাজধানী দিল্লিতে চলে এসেছেন। তবে কেন এই খুন, তার রহস্য বেরিয়ে আসতেই হতভম্ব সবাই।

    খুন করার কারণ কী?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘অনার কিলিং’য়ের শিকার আয়ুষি যাদব (Honour Killing)। আয়ুষি তাঁর বাবা-মা-এর সম্মতি ছাড়াই এক ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করায় তাঁকে খুন করেছে তাঁর বাবা নীতেশ যাদব। পুলিশের দাবি, ছত্রপাল নামে অন্য জাতের এক তরুণকে বিয়ে করেছিলেন আয়ুষি এবং সেটা বাড়িতে না জানিয়েই। মেয়ের এই আচরণের ফলেই খুন করে তাঁর বাবা-মা। পরিবারের ‘সম্মানরক্ষায়’ ঘটেছে এই কাণ্ড, সূত্রের খবর।

    পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে আয়ুষির বাবা নীতেশ জানিয়েছেন, গত ১৭ নভেম্বর, দিল্লির বদরপুরের মদবন্দ গ্রামে তাঁদের বাড়িতে নিজের লাইসেন্সড বন্দুক দিয়েই আয়ুষিকে খুন করেছেন তিনি। তারপর দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে স্যুটকেসে ভরতে সাহায্য করেছেন তাঁর স্ত্রী ব্রজবালা যাদব ও এরপর মৃতদেহ গাড়ি করে নিয়ে গিয়ে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে ফেলে আসেন (Honour Killing)।

    আরও পড়ুন: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    কী ঘটেছে?

    গত সপ্তাহেই মথুরা পুলিশ জানিয়েছিল, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে একটি স্যুটকেসবন্দি দেহ পেয়েছে তাঁরা। নিহতের পরিচয় জানতে তদন্ত করা হচ্ছিল। এরপর গতকাল, সোমবার সেই স্যুটকেসের সূত্র খুঁজতে গিয়ে তদন্তে উঠে আসে এই নৃশংস কাণ্ড। জানতে পারা যায়, তরুণীকে খুন করেছে তাঁর বাবা-মা। মৃতদেহের পরিচয় জানতে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি রাস্তায় পোস্টারও সাঁটানো হয়, সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হয়। এরপর রবিবার সকালে এক অজানা ব্যক্তির থেকে ফোন আসে ও তিনি নিহতের বিষয়ে তথ্য দেন। এরপর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আয়ুষির মা এবং ভাই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁরা দেহ শনাক্ত করেন। এরপর যখন তাঁর দেহ শনাক্ত করতে তাঁর বাবা নীতেশ আসে, তখন তাঁদের প্রশ্ন করা হলে তাঁদের উত্তরে সন্দেহ হলে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকেই। এর পরে জেরায় বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আয়ুশি যাদবের ভাইও এই খুনের বিষয়টি জানতেন। হত্যাকাণ্ডের অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ (Honour Killing)।

    সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মার্তন্ড প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, আয়ুশির বাবা নীতেশ যাদব ও মা ব্রজবালা যাদবকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৩০২ এবং ২০১ -এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। 

  • Delhi Murder: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    Delhi Murder: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম।’ আদালতে বিচারকের সামনে জানায় শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব। যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    দিল্লির সাকেত আদালতে পেশ আফতাবকে

    আজ, মঙ্গলবার পাঁচদিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আফতাবকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সে এমন মন্তব্য করেছে। শুনানি শেষে অভিযুক্ত আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আফতাব বিচারকের সামনে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ও দেহের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে হতবাক সবাই। আফতাব বিচারকের সামনে বলেছে, ‘HEAT OF THE MOMENT’ হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার খুলি উদ্ধার, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়

    আদালতে কী কী বলল আফতাব?

    আফতাব আরও জানায় যে, সে তদন্তে সহযোগিতা করেছে। সে কীভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের অংশ টুকরো টুকরো করেছে ও কোথায় সেগুলো ফেলেছে, সেসব বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তবে সে বলেছে যে, ঘটনার অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তিনি সবকিছু মনে করতে পারছে না।

    তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, সে খুনের কথা স্বীকার করলেও কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়নি। আদালতে পুলিশ তার নামে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, আফতাব ভুল তথ্য দিয়েছে ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করছে।

    নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্ট

    এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশকে ৫ দিনের মধ্যে আফতাবের নার্কো টেস্ট করার নির্দেশ দেয় আদালত। এখন আবার পলিগ্রাফ টেস্ট করানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তভার দিল্লি পুলিশের থেকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে মেহুরুলির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়ে এসেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল আফতাব। দিল্লি পুলিশ তাঁর সেই স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে তিন বার তল্লাশি চালায়। আর এরই মধ্যে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ফলে পরবর্তীতে দিল্লি পুলিশের হাতে  আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohit Gupta Zomato: ৩% কর্মী ছাঁটাই জোম্যাটোর, সংস্থা ছাড়লেন সহপ্রতিষ্ঠাতা

    Mohit Gupta Zomato: ৩% কর্মী ছাঁটাই জোম্যাটোর, সংস্থা ছাড়লেন সহপ্রতিষ্ঠাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছেন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোম্যাটো (Zomato)। বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাঁটাই (Zomato Layoffs) করা হচ্ছে কর্মীদের। বহু কর্মীকে তারা ইস্তফা দিতে বলেছে। জানা গিয়েছে, যে এই পর্বে প্রায় ৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় দেড়শো কর্মীর চাকরি যাবে। উচ্চ পদস্থ কর্মীরাও প্রভাবিত হবে এই ছাঁটাইয়ে। প্রযুক্তি, পণ্য এবং বিপণন-সহ অন্য বিভাগগুলি এই কর্মী ছাঁটাইয়ে প্রভাবিত হয়েছে। কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন এটি নিয়মিত মূল্যায়নের একটি অংশ মাত্র। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মশক্তি ৩ শতাংশের নিচে ছাঁটাই করা হচ্ছে। এটি একটি নিয়মিত পারফরম্যান্স-ভিত্তিক প্রক্রিয়া। এর বেশি কিছু নয়।” 

    পদত্যাগ সহপ্রতিষ্ঠাতার       

    সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা মোহিত গুপ্ত (Mohit Gupta Zomato)। স্টক এক্সচেঞ্জের রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থা। গত সাড়ে চার বছর ধরে জোম্যাটোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোহিত। তবে এই প্রথম নয়, মোহিত গুপ্তর পদত্যাগের আগে প্রাক্তন আধিকারিক রাহুল গাঞ্জু ও সিদ্ধার্থ ঝাওয়ার কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। মোহিত গুপ্ত ২০১৮ সালে এই সংস্থায় যোগ দেন। ২০২১ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসাবে সংস্থার দায়িত্ব নেন। জোম্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগে মোহিত গুপ্ত ভ্রমণ পোর্টাল মেক মাই ট্রিপ-এর চিফ  অপারেটিং অফিসার (COO) ছিলেন।

    আরও পড়ুন: জেলেই স্নানের সময় ড্রাম থেকে জল তুলে গায়ে ঢেলে দেওয়ার লোকের বায়না ধরলেন পার্থ

    মোহিত গুপ্ত তার বিদায়ী নোটে বলেছেন, ”সাড়ে চার বছর আগে আমি সেরা ফুডটেক কোম্পানি তৈরি করতে দীপেন্দর গোয়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। আমি শুধু বলতে পারি যে, মহামারী ও কঠিন প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও আমরা একটি বড় ও লাভজনক কোম্পানি তৈরি করতে পেরেছি।” মোহিতের উদ্দেশ্যে দীপেন্দ্র গোয়েল প্রশংসা করে বলেন, “আপনি এখানে একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন, কোম্পানিকে লাভের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আমি গুপ্তকে মিস করব।” 

    ২০২০ সালের মে মাসে করোনা ভাইরাস মহামারীর পরে ব্যবসায় মন্দার কারণে ফুড ডেলিভারি অ্যাপটি প্রায় ৫২০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছিল। যা ছিল মোট কর্মী সংখ্যার ১৩%। এই মুহূর্তে শেষ ছাঁটাইয়ের পরে ৩,৮০০ কর্মী রয়েছে সংস্থাটির। 

    স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি শিল্প করোনার পরে উভয়ই আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমাজন, মেটা এবং ট্যুইটার-সহ বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলি বিশ্বব্যাপী কয়েক হাজার কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে। ট্যুইটারের নতুন ইলন মাস্ক আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mangaluru: আইএস আদর্শে অনুপ্রাণিত মেঙ্গালুরু অটো বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত

    Mangaluru: আইএস আদর্শে অনুপ্রাণিত মেঙ্গালুরু অটো বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস – এর আদর্শে অনুপ্রাণিত মেঙ্গালুরু (Mangaluru) অটো বিস্ফোরণের মূল হোতা। এমনকি ডার্ক ওয়েবের সাহায্যে দেশের জঙ্গি সংগঠনদের মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই জঙ্গি। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কর্নাটক পুলিশের তদন্তে।  

    কর্নাটক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা দাবি করেছেন, আইএস-প্রভাবিত ‘আল হিন্দ’-সহ দেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করতেন মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মহম্মদ শরিক। দুটি মামলায় অভিযুক্ত আফাফত আলির নির্দেশেই কাজ করতেন শরিক। আরাফতের সঙ্গে আল হিন্দ মডিউলের মুসবির হুসেনের যোগাযোগ ছিল। তবে আব্দুল মতিন ত্বহা হলেন শরিকের প্রধান হ্যান্ডলার। এ ছাড়া, আরও দুতিন জনের সঙ্গেও কাজ করছেন শরিক। যাঁদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    ওই পুলিশ কর্তা আরও দাবি করেন, “মাইসুরুতে শরিকের ঘাটিসহ কর্নাটকের ৫টি জায়গায় হানা দিয়েছে পুলিশ। শরিকের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে। আইএস আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের বাড়িতেই বোমা তৈরি করতেন শরিক। সেই বোমা পরীক্ষা করার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দু’জনের সঙ্গে শিবমোগ্গার জঙ্গলে বিস্ফোরণও ঘটিয়েছিলেন।” 

     ২০ সেপ্টেম্বর শরিকের ২ সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু শরিক পালিয়ে যান।  ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে মাইসুরুতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন ওই জঙ্গি। সেখানেও চলত বোমা বাঁধার কাজ। 

    তদন্তে এনআইএ:

    এবার বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তের ভার পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুতে এক  বিস্ফোরণে একটি অটোয় আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের সামান্য শব্দও শোনা যায়।  অটোর যাত্রী ও চালককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম অটোচালক দাবি করেন, অটোর এক যাত্রীর ব্যাগে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরেনসিক টিম। বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করে তারা। পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাগের ভিতরে ছিল একটি প্রেশার কুকার। যেটি ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা ছিল।    

    মামলার মূল অভিযুক্ত মহম্মদ শরিকও অগ্নিদগ্ধ হন ওই বিস্ফোরণে। মেঙ্গালুরুর ফাদার মুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। এডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) অলোক কুমার জানিয়েছেন,  অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মেঙ্গালুরুতে এবং একটি শিবমোগা জেলায়। দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং তৃতীয় মামলায় ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Nalini Sriharan: ‘নতুন জীবন পেলাম…’ দীর্ঘ ৩১ বছর পর জেলের বাইরে এসে কী বললেন নলিনী শ্রীহরণ?

    Nalini Sriharan: ‘নতুন জীবন পেলাম…’ দীর্ঘ ৩১ বছর পর জেলের বাইরে এসে কী বললেন নলিনী শ্রীহরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অবশেষে মুক্তি পেল নলিনী শ্রীহরণ। দীর্ঘ ৩১ বছর পর ফের একবার খোলা আকাশের নীচে। তাঁর সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে তাঁর স্বামী মুরুগান শ্রীহরণও। শুক্রবারই সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশে তিন দশক অবশেষে জেলের বাইরে পা রাখলেন রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত নলিনী শ্রীহরণ (Nalini Sriharan) ও তাঁর স্বামী। এছাড়াও দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর(Rajiv Gandhi) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত নলিনী ও তাঁর স্বামী সহ ৬জনকেই মুক্তির আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর গতকাল তামিলনাড়ুর ভেলোর জেল থেকে মুক্তি পান নলিনী।

    সংবাদমাধ্যমে কী বললেন নলিনী?

    ‘নতুন জীবন পেলাম’। শনিবার জেল থেকে বেরিয়ে এটাই ছিল রাজীব হত্যায় দোষী নলিনী শ্রীহরণের প্রথম প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, “আমার স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে এটি আমার নতুন জীবন।” এছাড়াও তিনি বলেন, “আমাকে সমর্থন করার জন্য আমি তামিল জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।” তাঁর মুক্তির জন্য তিনি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্ত ৬ বন্দির জীবন এবার কোন পথে?

    এরপর সাংবাদিকরা গান্ধী পরিবারের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, “আমি গান্ধী পরিবারের জন্য খুব দুঃখিত, আমরা বহু বছর ধরে এটি নিয়ে চিন্তা করেছি এবং তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইতে চাই, আমরা সত্যি অনুতপ্ত।” এরপর প্রয়াত রাজীব গান্ধীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়েও জবাব দেন তিনি। তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন যে, তিনি কোনওমতেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাননা। তিনি বলেন, ‘গান্ধী পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা আমার নেই।’ তিনি এরপর কোথায় থাকবেন অর্থাৎ তিনি চেন্নাইয়ে নাকি লন্ডনে মেয়ের সঙ্গে থাকবেন, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী যেখানে থাকবেন, তিনিও সেখানেই থাকবেন।

    সাজা মকুব

    উল্লেখ্য, আসামীদের প্রত্যেকেই তিন দশকের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। সেই সময়ে তাদের আচার-আচরণ ভাল ছিল এবং তারা সকলেই জেলে বসে বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আসামীদের মধ্যে কয়েকজন শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছেন। সবদিক বিবেচনা করেই তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এছাড়া এর আগেও শ্রীপেরুমবুদুরে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার পর রাজ্য সরকারের সুপারিশ এবং সোনিয়া গান্ধীর আপিলের ভিত্তিতে তামিলনাড়ুর গর্ভনর ২০০০ সালে নলিনীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে রেহাই দিয়েছিলেন। তার অন্য তিনটি সাজার মেয়াদও ২০১৪ সালে কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে গতকাল পুরোপুরিভাবে মুক্তি দেওয়া হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Rajiv Gandhi assassination: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্ত ৬ বন্দির জীবন এবার কোন পথে?

    Rajiv Gandhi assassination: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্ত ৬ বন্দির জীবন এবার কোন পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু সরকারের সুপারিশে রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Gandhi assassination) মামলায় যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত ছয় বন্দিকেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। মে মাসে, শীর্ষ আদালত এজি পেরারিভালানের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছিলেন। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিভি নাগারথনার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দোষীদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে। মুক্তি দেওয়া হয়েছে নলিনী, শান্তন, মুরুগান, শ্রীহরণ, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রনকে। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধী ও আরও ২১ জনের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত।

    সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের জন্য জেলের দরজা খুলে দিয়েছে, এবার কী অপেক্ষা করছে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার ছয় আসামির জন্যে?

    প্রথমত, নলিনীকে চেন্নাই থেকে ফিরে আসতে হবে এবং ভেলোরের মহিলাদের জন্য বিশেষ কারাগারে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কারণ এই সপ্তাহান্তে তাঁর প্যারোলের মেয়াদ শেষ হবে। তারপরে তাঁকে চূড়ান্ত মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। রবিচন্দ্রনের প্যারোলের মেয়াদ বৃহস্পতিবার বাড়ানো হয়েছিল এবং তিনি আরও এক মাসের জন্য বাইরে থাকতে পারবেন, যদি না কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফেরত চায় যাতে তিনিও মুক্ত হতে পারেন। 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শ্রীহরন ওরফে মুরুগান, রবার্ট পায়াস, জয়কুমার এবং সানথান – চার বিদেশীর নাগরিকত্বের বিষয়টি আপাতত ঝুলে রয়েছে। অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জেল প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রীলঙ্কায় নির্বাসনের জন্য জরুরি ভ্রমণের কাগজপত্রের ব্যবস্থা করার বিষয়ে কথা বলেছে। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী   

    চারজন এই ব্যবস্থার জন্য সম্মত হবেন কিনা বা শ্রীহরনরা অন্য কোনও ব্যবস্থার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবেন কি না এখন সেটাই দেখার পালা। 

    আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে তাঁরা কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করার আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের হার্ড কপির জন্য অপেক্ষা করবেন এবং এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি না সেটাও দেখতে চান তাঁরা । শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত, তারের বা ডাকযোগে কোন আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ আসেনি, বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

      
  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে যেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে, সেই এলাকাকে সংরক্ষণের নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এদিন একটি অন্তর্বর্তী রায়ে শীর্ষ আদালত জানায়, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে যে প্রস্তাবিত শিবলিঙ্গ রয়েছে, তা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ গত ১৭ মের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও এদিন সুপ্রিম কোর্ট বারাণসী জেলা আদালতে হিন্দুপক্ষকে জ্ঞানবাপী মসজিত নিয়ে আবেদন করার অনুমতিও দিয়েছে।  

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী কাণ্ডে কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে দিল বারাণসী আদালত

    সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি পিএস নরসিংহ-র বেঞ্চ জানায়, পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত ১৭ মে- র রায়ই বহাল থাকবে। চলতি বছরের ১৭ মে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, জ্ঞানব্যাপী মসজিদে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে, সেটি রক্ষা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় ওই রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে এও বলা হয়েছিল, মসজিদে মুসলিমদের অধিকারও রক্ষা করতে হবে।  

    কেন আলোচনায় জ্ঞানবাপী? 

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) রয়েছে শৃঙ্গার গৌরী। যা আপাতত ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত। সেখানে পুজোর অধিকার চেয়ে মামলা করেন তাঁরা। মামলাকারীদের আরও দাবি, মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এর পরেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নির্দেশে এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। মসজিদের ভিতরে তদন্ত করে তারা। করা হয় ভিডিওগ্রাফিও। এর পরেই ভিডিওর একটি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের মতো আকৃতির কিছু একটা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, সেটি শিবলিঙ্গ। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, সেটি পুরানো ফোয়ারার অংশ। হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ শিবলিঙ্গের বয়স জানার জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আর্জি জানায় সুপ্রিম কোর্টে। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বারাণসী আদালতের মতে, কার্বন ডেটিং হলে শিবলিঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share