Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রবেশের জন্য ইভি জায়ান্ট টেসলা (Tesla) তার রিটেল বিক্রয় কেন্দ্র শুরু করতে দুটি জায়গা নির্বাচন করেছিল – মুম্বই (Mumbai) এবং দিল্লি। তবে শেষমেশ আগামী মাসেই মুম্বইয়ে খুলতে চলেছে ভারতে টেসলার প্রথম শোরুম।

    মাস্ক-মোদি বৈঠক (Tesla)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের। তার পরেই কোম্পানিটি ভারতে চাকরির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া শুরু করে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এবার খুলতে চলেছে ভারতে এই বিশ্বখ্যাত কোম্পানির প্রথম শোরুম। পরে খোলা হবে নয়াদিল্লিতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি বাজার। ভারতে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে এর বিক্রি বাড়াতে পারে। ইউরোপ এবং চিনে অবশ্য বিক্রি কমেছে এই গাড়ির।

    টেসলার দাম কত 

    ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেসলা ভারতীয় বাজারে রিয়ার হুইল ড্রাইভ কনফিগারেশন-সহ মডেল ওয়াই চালু করবে। জানা গিয়েছে, এই ইভি টেসলার চিনের কারখানা থেকে আমদানি করা হবে। ট্যাক্স ছাড়াই টেসলা মডেল ওয়াইয়ের দাম হতে পারে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৮.৪৮ লাখ টাকারও বেশি। তবে বাজারে ব্রান্ডের অবস্থান এবং এর মার্জিন বিবেচনা করে চূড়ান্ত দাম পরিবর্তিত হতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গাড়িটি যদি উচ্চ মূল্যের ট্যাগ নিয়ে বাজারে ঢোকে, তাহলে এটি অটোমেকারের বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    জুলাই মাসে মুম্বইতে প্রথম শোরুম খোলার পরে নয়াদিল্লিতে একটি নতুন শোরুম করবে টেসলা। ডিলারশিপগুলি চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেদারল্যান্ডস থেকে সুপারচার্জার উপাদান, গাড়ির আনুষাঙ্গিক খুচরো যন্ত্রাংশ এবং পণ্য আমদানি করেছে (Tesla)।

    প্রসঙ্গত, আমদানি কর এবং স্থানীয় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক বছরের বিলম্বের পর এবার ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে টেসলা। চলতি (Mumbai) বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাস্ক-মোদির বৈঠকের পরেই অগ্রগতি ঘটে এই প্রকল্পের (Tesla)।

  • Kishanganj: কুপ্রস্তাবে রাজি নন, তাই বউমাকে খুন শ্বশুর ও দেওরের

    Kishanganj: কুপ্রস্তাবে রাজি নন, তাই বউমাকে খুন শ্বশুর ও দেওরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর তেইশের আনসারি বেগম ও তাঁর বছর দেড়েকের মেয়েকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন। বিহারের কিষানগঞ্জ (Kishanganj) জেলার পোঠিয়া থানা এলাকার তেলিবস্তির ঘটনা। ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Crime)। একজন আনসারির শ্বশুর ফারুক আলম এবং অন্যজন আনসারির দেওর এহসান আলম। ফারুকের বয়স পঞ্চান্নর কাছাকাছি। আর এহসানের বয়স উনিশের আশপাশে। পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা কবুল করেছে দুই অভিযুক্তই।

    আনসারি ও তাঁর শিশুকন্যার গলা কাটা দেহ (Kishanganj)

    জানা গিয়েছে, ১৯ জুন খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে আনসারি ও তাঁর শিশুকন্যার গলা কাটা দেহ। নিহতের বাবা নাজিমউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয় এফআইআর। তদন্তের জন্য সিট গঠন করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, বছর ছয়েক আগে ফারুকের বড় ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় আনসারির। বছর দুয়েক আগে মারা যান আনসারির স্বামী। অভিযোগ, তারপর থেকেই ফারুক বিধবা পুত্রবধূ আনসারিকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপও দিতে থাকেন।

    শ্বশুর-দেওরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

    শ্বশুরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন আনসারি। ফারুকের ছোট ছেলে এহসানও আনসারিকে বিয়ে করতে উঠেপড়ে লাগে বলে অভিযোগ। যদিও আনসারি তাতেও রাজি হননি। একাধিকবার চেষ্টা করার পরেও আনসারিকে যৌন সম্পর্ক কিংবা বিয়েতে রাজি করাতে না পেরে তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করে ফারুক ও তার ছোট ছেলে এহসান। অভিযোগ, এর পরেই রাতের অন্ধকারে আনসারির ঘরে ঢুকে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে আনসারি ও তাঁর শিশুকন্যাকে। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে আনসারির শ্বশুর ও দেওর। সেই কারণে তারা ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভেন্টিলেটর গলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গা ঢাকা দেয় (Kishanganj)।

    মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারের পর জাল বিছানো হয় তদন্তের। এর পরেই পুলিশ তৈয়বপুরের তেলিভাটা থেকে গ্রেফতার করে গুণধর শ্বশুর এবং কীর্তিমান দেওরকে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং অন্যান্য (Kishanganj) প্রমাণও উদ্ধার করা হয়েছে। আনসারির বাবা নাজিমউদ্দিন মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তাঁকে (Crime) হুমকি দেওয়ার অভিযোগও করেছেন।

  • Pahalgam: পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা ২ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    Pahalgam: পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা ২ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam) তদন্তে বড় সাফল্য পেল এনআইএ। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে নিশানা করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ধর্ম দেখে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এর ফলে গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে যায়। ঘটনার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। এই ঘটনার তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দুই সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে এনআইএ দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নাম পারভেজ আহমেদ জোথার, যিনি পহেলগাঁওয়ের বাটকোট এলাকার বাসিন্দা। অপরজন বসির আহমেদ জোথার যিনি হিল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি পহেলগাঁও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিয়েছিল। তদন্তে এনআইএকে তারা এও জানিয়েছে, ওই জঙ্গিরা নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত।

    হামলার (Pahalgam) বিষয়ে আগেই জানত তারা

    গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি হামলার পুরো পরিকল্পনার বিষয়ে আগেই অবগত ছিল বলে দাবি এনআইএ-এর। তারা হিল পার্ক এলাকার একটি বাড়িতে তিনজন সশস্ত্র জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং তাদের খাবার, আশ্রয় ও অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করেছিল। প্রসঙ্গত, পারভেজ ও বসিরকে ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA)-এর ১৯ নম্বর ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের উপর নির্মম জঙ্গি হামলার (Pahalgam) পর দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করে ভারত সরকার।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের তরফে স্থগিত করে দেওয়া হয় সিন্ধু জল চুক্তি। এর পরেই মে মাসের শুরুতে ভারতের সেনাবাহিনী প্রয়োগ করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো এই অপারেশন ছিল সম্পূর্ণ সফল। শুধু তাই নয়, ভারতের জবাবি পদক্ষেপ এখানেই থেমে থাকেনি। পরবর্তী পর্যায়ে পাকিস্তানের (Pahalgam) একাধিক সামরিক ঘাঁটির ওপরও লক্ষ্য করে পাল্টা আঘাত হানে ভারত।

  • Simhastha 2028: ঢাকে কাঠি পড়ে গেল উজ্জয়িনী সিংহস্থ কুম্ভ মেলার, প্রস্তুতিপর্ব শুরু

    Simhastha 2028: ঢাকে কাঠি পড়ে গেল উজ্জয়িনী সিংহস্থ কুম্ভ মেলার, প্রস্তুতিপর্ব শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকে কাঠি পড়ে গেল উজ্জয়িনী (Ujjain) সিংহস্থ ওরফে সিংহস্থ কুম্ভ মেলার (Simhastha 2028)। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী শহরে প্রতি ১২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। এই মেলাকে অনেকে সিংহস্থ নামেও ডাকেন। কারণ, এই মেলা যখন অনুষ্ঠিত হয়, তখন সৌরজগতের বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে অবস্থান করে।এক যুগ পরে এই মেলা ফের হবে ২০২৮ সালে। চলবে এক মাস ধরে। লাখ লাখ পুণ্যার্থী ভিড় করেন এই মিলন মেলায়।

    পাঁচ বছরে ৪ কুম্ভ (Simhastha 2028)

    এই বিপুল সংখ্যক ভক্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করতে, মধ্যপ্রদেশ সরকার শহরের পরিবহণ ও নাগরিক পরিকাঠামোর একটি ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির একটি হল, চারটি প্রধান রেলস্টেশন নিউ খেড়ি, পিংলেশ্বর, চিন্তামণ এবং বিক্রম নগরের প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ। এই স্টেশনগুলিতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর সুবিধা যোগ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালে দুটি কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এর একটি হবে হরিদ্বারে এবং অন্যটি নাসিকে। তার পরের বছর হবে সিংহস্থ। তারও দু’বছর পরে ২০৩০ সালে অর্ধকুম্ভ হবে প্রয়াগরাজে।

    অত্যাধুনিক ব্যবস্থা

    ১৯ জুন মুম্বই ও উজ্জয়িনের শীর্ষ কর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক কৌশলগত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, চারটি রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিকীকরণ করা হবে। এর আওতায় থাকবে ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার, উচ্চ রেজোলিউশনের সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোনচালিত আকাশ নজরদারি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এর মূল উদ্দেশ্য হল সিংহস্থ মেলায় প্রত্যাশিত বিপুল জনসমাগমের মধ্যে সন্দেহজনক আচরণ করা ব্যক্তিদের সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে সমস্যা মেটানো। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উজ্জয়িনের আইজি উমেশ যোগা, মুম্বই আরপিএফের আইজি অজয় সাদানি, ডিআইজি নভনীত ভাসিন, এসপি প্রদীপ শর্মা-সহ রেল ও পুলিশ বিভাগের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এই চারটি স্টেশনের আধুনিকীকরণে কাজ শেষ হবে দু’বছরের মধ্যেই (Simhastha 2028)।

    প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় সাফল্য

    প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার (Ujjain) সাফল্যে প্রাণিত হয়ে, যেখানে ভিড় ও পরিকাঠামো ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। উজ্জয়িনের কর্তৃপক্ষও স্থানীয় প্রেক্ষাপটে উপযোগী পরিকল্পনা নিচ্ছে। আরপিএফ কর্মী ও স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের জন্য নজরদারি যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। সম্প্রতি এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে স্থির হয়েছে, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী, হোম গার্ড, র‍্যাপিড রেসপন্স টিম, বিশেষ মহিলা পুলিশের দল এবং সাদা পোশাকের নজরদারি ইউনিট মোতায়েন করা হবে। সব ঘাট, মন্দিরপথ এবং ধর্মশালাগুলিতে সর্বদা নজরদারি চলবে একটি কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে (Simhastha 2028)। সিংহস্থ এলাকা সম্পূর্ণভাবে সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতায় থাকবে। আকাশপথে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে ড্রোন, আর রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে ডেটা অ্যানালিটিক্স সফটওয়্যার, অটো-নম্বর প্লেট স্বীকৃতি ব্যবস্থা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক মুখ চিনে নেওয়ার প্রযুক্তি (Ujjain)।

    ৪০টি পরিকাঠামো প্রকল্পে অনুমোদন

    প্রধান সচিব অনুরাগ জৈন ১৮ মে সিংহস্থ ২০২৮ প্রস্তুতির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৪০টি পরিকাঠামো প্রকল্পে অনুমোদন দেন। এই প্রকল্পগুলির কাজ হবে উজ্জয়িন ও সংলগ্ন দেবাস, মন্দসৌর, শাজাপুর এবং খান্ডওয়া জেলায়। প্রধান সচিব জৈন প্রকল্পগুলির স্বচ্ছ বাস্তবায়ন ও সময় মতো সম্পন্ন করার ওপর জোর দেন। তিনি নির্দেশ দেন, সমস্ত সড়ক নির্মাণ কাজ অবশ্যই ইন্ডিয়ান রোডস কংগ্রেসের মানদণ্ড মেনে চলতে হবে। নির্মাণ কাঠামোর ডিজাইন, প্রবেশযোগ্যতা ও দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত প্রকল্পগুলি ৪৮টি প্রকল্পের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যা বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়িত হবে। এজন্য আনুমানিক মোট বিনিয়োগ ধরা হয়েছে ২,৮৬৫ কোটিরও বেশি টাকা (Simhastha 2028)।

    উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়ন

    শিপ্রা নদীর পাশে অবস্থিত পনেরোটি ঘাটে উন্নয়ন কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে আরও উন্নত স্নান প্ল্যাটফর্ম, রাস্তার আলো ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন। ছত্রি চৌক এবং রিগ্যাল টকিজ এলাকা একটি পাবলিক প্লাজায় রূপান্তরিত হবে, যেখানে থাকবে পার্কিং, দোকান ও বিশ্রামের ব্যবস্থা (Ujjain)। শহরের সৌন্দর্যায়নের অংশ হিসেবে ন’টি ওয়েলকাম গেট নির্মাণ করা হচ্ছে শহরের প্রবেশপথে। পাশাপাশি পানওয়াসা এলাকায় পুনর্বাসিত ৬৫৪টি পরিবারের জন্য রাস্তা, ড্রেনেজ, বাগান, স্ট্রিটলাইট, জল সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশনের মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য মোট ব্যয় হবে ১০ কোটিরও বেশি টাকা। মেলাকে কেন্দ্র করে কঠিন বর্জ্য ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে ৫.৫ কোটির একটি লিগাসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে (Simhastha 2028)।

    প্রসঙ্গত, সিংহস্থ ২০২৮-এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আইআইএম ইন্দোরকে তাদের ৫ ‘ই’  কাঠামোর মাধ্যমে জনসমাগম ব্যবস্থাপনার ওপর একটি গঠনমূলক ও সমালোচনামূলক (Ujjain) গবেষণা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ৫ ‘ই’ কাঠামোটি হল শিক্ষা (Education), আইন প্রয়োগ (Enforcement), ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering), পরিবেশ (Environment) এবং জরুরি অবস্থা (Emergency)।

  • Operation Sindhu: নিরাপদে ফিরছেন ভারতীয়রা, এবার ইরান থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও উদ্ধার ভারতের

    Operation Sindhu: নিরাপদে ফিরছেন ভারতীয়রা, এবার ইরান থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও উদ্ধার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাহায্যে আবার এগিয়ে এল ভারত। এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতি। ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel conflict) মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের জেরে, পশ্চিম এশিয়ায় আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাতে ভারত শুরু করেছে ‘অপারেশন সিন্ধু’ (Operation Sindhu)। এই উদ্ধার অভিযানে ভারত শুধু নিজ দেশের নাগরিকদের নয়, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরানের ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুরোধে, ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের উদ্ধার কার্যক্রমে এই দুই দেশের নাগরিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।” নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের জন্য একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বরও প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস।

    জোর কদমে চলছে উদ্ধার অভিযান

    এদিকে ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর আওতায় তেহরানের সামরিক ও পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলার প্রেক্ষিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করে। শুরু হয় ‘অপারেশন সিন্ধু’ (Operation Sindhu)। ইতিমধ্যেই ৫১৭ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার মাশহাদ, ইরান থেকে বিশেষ বিমানযোগে ২৯০ জন ভারতীয় পড়ুয়া দিল্লি বিমানবন্দরে নিরাপদে এসে পৌঁছান। দেশের মাটিতে পা রেখে ভারত ‘মাতা কি জয়’ স্লোগানে বিমানবন্দর চত্বর মুখরিত করলেন উদ্ধার হওয়া ভারতীয়রা। এদের অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপদে ফেরত আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবারগুলি।

    প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    তবে, শুধু ভারতের নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে দুই রাষ্ট্র নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও ইরান থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। জানা গিয়েছে, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে ভারত সরকারের কাছে। এরপরেই ইরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

    ন্ধের বিমানে ফিরবেন আরও অনেকে

    ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে প্রথম বিমানটি শুক্রবার রাত ১১টায় দিল্লিতে অবতরণ করে। ওই বিমানে ছিলেন ২৯০ জন ভারতীয়। শনিবার সকালে আরও একটি বিমান নেমেছে দিল্লিতে। আজ সন্ধেয় আরও একটি বিমান দিল্লিতে নামার কথা। দিল্লি থেকে ওই নাগরিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাবেন সেই সেই রাজ্যের সরকার। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীকে আর্মেনিয়ার স্থলপথে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বিমানে দিল্লি আনা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জানিয়েছেন, আরও শিক্ষার্থীদের আর্মেনিয়ার মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান

    শুরুর দিকে ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে সমস্যা হচ্ছিল কারণ ইরানের আকাশসীমা বন্ধ ছিল। এবার ইরান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে। ফলে এরপর অনেক দ্রুত অবশিষ্ট ভারতীয়দের ফেরানো যাবে বলে আশাবাদী দিল্লি। ভারতে অবস্থিত ইরান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন মোহাম্মদ জাভেদ হোসেইনি বলেন, “আমরা ভারতীয়দের আমাদের নিজেদের লোক মনে করি। বর্তমানে ইরানের আকাশসীমা বন্ধ থাকলেও, এই বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আমরা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে যাওয়ার জন্য এটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।” যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি থেকে দেশে ফিরে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে ভারতীয় পড়ুয়া এবং তীর্থযাত্রীরা। তড়িঘড়ি দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় পতাকা হাতে ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের

    নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি

    শনিবার ভোর ৩টেয় তুর্কমেনিস্তানের আশগাবাত থেকে আরেকটি বিমান দিল্লি পৌঁছায়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট ৫১৭ জন ভারতীয় ‘অপারেশন সিন্ধু’র আওতায় দেশে ফিরেছেন। ভারতীয় দূতাবাস সোমবার একটি সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ইরানে অবস্থানরত সমস্ত ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা এড়িয়ে চলতে, সতর্ক থাকতে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও দূতাবাসের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেও ইরান সরকার বিশেষ অনুমতি দিয়ে ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ সহজ করেছে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত। সরকারি নজরদারিও তুঙ্গে।

  • DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নির্দেশে সংস্থার তিন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অর্থাৎ ডিজিসিএ (DGCA)-র নির্দেশে এই পদক্ষেপ করল টাটার মালিকানাধীন বিমান সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই তিন আধিকারিক এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান কর্মীদের বিভিন্ন সূচি নির্ধারণের (Roster Management) দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন। ডিজিসিএ-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তিন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে কাজের নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে। তারা বারবার একই ভুল করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    কর্তব্যে গাফিলতি

    কোনও কোনও কর্মীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ছাড়াই তাঁদের বিমানে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কিছু কর্মীকে টানা ডিউটি করানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই ডিজিসিএ তিনজন দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ আধিকারিককে চিহ্নিত করে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে (DGCA)।

    তিন শীর্ষ আধিকারিকের পরিচয় (DGCA)

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিসিএ যে তিনজন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে, তাঁরা হলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ডিভিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট চুরা সিং, ডিরেক্টর অফ অপারেশনস (ক্রু সিডিউলিং) পিঙ্কি মিত্তল এবং ক্রু সিডিউলিং-এর চিফ ম্যানেজার পায়েল অরোরা। আগেই ডিজিসিএ-র (DGCA) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়া স্বেচ্ছায় জানিয়েছে, বিমানকর্মীদের সূচি নির্ধারণ, নিয়মানুবর্তিতা এবং অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতে গাফিলতি হয়েছে। এই গাফিলতির সঙ্গে যে আধিকারিকরা সরাসরি যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি, এটা উদ্বেগের।’’

    অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ (DGCA)

    কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, খুব শীঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট ডিজিসিএ-কে জমা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, অল্প কিছু দিন আগে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় পড়ে, যাতে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি একটি ভবনে ধাক্কা খায়। এই ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়। এবার ওই সংস্থার তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ।

  • Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) আর কখনওই কার্যকর হবে না।” ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ১৯৬০ সালের এই চুক্তিকে সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। কারণ পাকিস্তান বারবার ভারতের শান্তি ও অগ্রগতির মূলে কুঠারাঘাত করে চলেছে। অথচ এর ওপর ভিত্তি করেই এই চুক্তি হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো একতরফাভাবে বাতিল করা যায় না। তবে স্থগিত রাখার অধিকার আমাদের ছিল। এবং আমরা তা-ই করেছি।”

    জল পাঠানো হবে রাজস্থানে (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “যে জল অন্যায়ভাবে পাকিস্তানে প্রবাহিত হচ্ছিল, তা এখন রিডিরেক্ট করে ভারতের রাজস্থান প্রভৃতি রাজ্যে পাঠানো হবে। ভারত নিজের প্রাপ্য জলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি খালও নির্মাণ করবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সেই জল ব্যবহার করব যা ভারতের প্রাপ্য। পাকিস্তান যে জল এতদিন অন্যায়ভাবে পাচ্ছিল, তা আর পাবে না।” শাহি সাক্ষাৎকারে অবধারিতভাবেই উঠে এসেছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কথা। যে হত্যাকাণ্ডের পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এই হত্যাকাণ্ডকে শাহ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন। যার উদ্দেশ্য উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করা। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের যুব সমাজ এখন এই দুষ্ট পরিকল্পনা বুঝতে পারছে। হামলার পর উপত্যকার প্রতিটি শহরে প্রতিবাদ হয়েছে।” তিনি বলেন, এটি ছিল কাশ্মীরবাসীর পক্ষ থেকে অভূতপূর্ব ঐক্য ও প্রতিবাদের প্রকাশ (Indus Waters Treaty)।

    কংগ্রেসকে শাহি জবাব

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। তা নিয়ে সমালোচনা করা হয় কংগ্রেসের তরফে।। এই সাক্ষাৎকারে তারও জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিতে বড় ক্ষতি করেছে। কিন্তু অসামরিক লক্ষ্যে আঘাত করা থেকে বিরত থেকেছে।” ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি (Amit Shah) বলেন, “ভারতীয় সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত কার্যকর অস্ত্র ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছেন এবং তাঁদের নিখুঁত পরিকল্পনার জন্যই এই সফলতা এসেছে।” শাহ বলেন, “আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান খুব দ্রুত হামলা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিল।”

    প্রসঙ্গ জম্মু-কাশ্মীর

    এই সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একবার ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার এটা বলেছেন। তাই এ নিয়ে আর কোনও বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।” পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “ইসলামাবাদের কোনও নতুন দুঃসাহসিকতায় ভারত পুরো শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না।” জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “উপযুক্ত সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।” তিনি জানান, সরকার নির্বিঘ্নে নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদের অন্তর্নিহিত অনুভূতিকে শেষ করে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন, ঠিক সময়েই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Indus Waters Treaty)।

    আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়

    ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে শাহ বলেন, “জল ও সীমান্ত সংক্রান্ত আগ্রাসনের প্রতি কঠোর অবস্থান মোদি সরকারের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক নীতির অংশ। আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়। ভারতে আসতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে।” তিনি (Amit Shah) সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের নিরাপত্তা তা নদীই হোক বা সীমান্ত বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনওভাবেই আপস করা হবে না।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সিন্ধু জলচুক্তি। সেই চুক্তিই ভারত স্থগিত করে দেয় দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর। সেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এই ঘটনার জেরে ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। দেশের বিস্তীর্ণ অংশে দেখা দেয় জলসংকট। তার পরেই পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তজা ভারতের জল শক্তি মন্ত্রককে একের পর এক চারটি পাঠিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান (Indus Waters Treaty)। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাঠানো সব চিঠিই পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের কাছে। তবে এখন অবধি ভারতের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি (Amit Shah)।

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বিশ্বে শান্তির পথ দেখায় যোগ। গ্রাম থেকে শহর, যোগ সবার। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। শনিবার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Day of Yoga) অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Yoga Day)। এদিন বিশাখাপত্তমে ২৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫ লক্ষ মানুষের সঙ্গে যোগে অংশ নেন মোদি। বিশ্ব শান্তিতে যোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম হল ‘এক পৃথিবী ও এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’। আরকে বিচে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা ৪৫ পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও যোগ দেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাজ্যপাল এস আবদুল নাজির, উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ এবং সেই রাজ্যের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ। এখানেই মানুষের জীবনে যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সবার জন্য যোগ—সীমাহীন একতা

    বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্তে মানুষ যোগকে নিজের জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করে ভারত। সেকথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১১ বছর পর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে যোগ। ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের জন্য ভারত প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই বিশ্বের ১৭৫টি দেশ তা সাদরে গ্রহণ করে। আজ সেই যোগ পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও, যেখানে নভোচারীরাও যোগাভ্যাস করছেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “যোগ কারও একার নয়, এটি সবার। এটি বয়স, জাতি, ভাষা কিংবা শারীরিক সামর্থ্যের ঊর্ধ্বে।”

    যোগের মাধ্যমে সমষ্টির কল্যাণ

    ভারতের প্রাচীন মন্ত্র “সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ” উদ্ধৃত করে মোদি জানান, যোগ মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত করে, সমাজমুখী করে তোলে। তিনি বলেন, “যোগ কেবল ব্যায়াম নয়, এটি এক সামাজিক নৈতিকতা—সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ও সেবার শিক্ষা দেয়। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। একইসঙ্গে এটা একটা ব্যবস্থা যেটা আমাদের আমি থেকে আমরা করে। আমরা বিচ্ছিন্ন নই, আমরা প্রকৃতির অংশ।”

    যোগ হোক নতুন মানবতার নীতি

    বিশ্বে ক্রমবর্ধমান সংঘাত, অস্থিরতা এবং মানসিক চাপের প্রেক্ষিতে মোদি বলেন, “যোগ হচ্ছে সেই ‘পজ বাটন’, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।” তিনি আহ্বান জানান নতুন উদ্যোগ ‘যোগা ফর হিউম্যানিটি ২.০’-এর, যেখানে “আভ্যন্তরীন শান্তি হোক আন্তর্জাতিক নীতি”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন অস্থিরতা, চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের শান্তির দিশা দেয় যোগ।”

    বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় যোগের বিকাশ

    যোগা বয়স, সীমানা নির্বিশেষে সকলের জন্য। মোদি জানান, এইমস-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছে যে, হৃদরোগ, স্নায়ু সমস্যা, নারী স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতায় যোগ অত্যন্ত কার্যকর। মোদি জানান, জাতীয় আয়ুষ মিশনের অধীনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যোগচিকিৎসার প্রচার চলছে, এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লাখ লাখ মানুষ যোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

    স্থূলতা রুখতে যোগ ও খাদ্য সংস্কার

    কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন যোগগুরু স্বামী রামদেব এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। একইভাবে আন্তর্জাতিক যোগাসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এদিন সকালে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন রামকৃষ্ণ বিচে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘১০ শতাংশ কম তেল’ চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “তেল কমান, খারাপ খাদ্য এড়ান, যোগ করুন—এটাই আপনার প্রাকৃতিক ফিটনেস ফর্মুলা।”

    যোগ হোক বিশ্বজুড়ে এক গণ-আন্দোলন

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে যোগাসনের জনপ্রিয়তা। ইউকে তে যোগাসনের বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজা চার্লস। সেখানে যোগের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে রাজা চার্লস বলেন, “যোগ ঐক্য, সহানুভূতি এবং কল্যাণের আন্তর্জাতিক নীতিগুলি তুলে ধরে। এটির বার্ষিক উদযাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য ও সুখের প্রেরণা দেয়।” এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান, প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যোগকে অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি বলেন, “প্রতিটি মানুষ তার দিন শুরু করুক যোগের মাধ্যমে, প্রতিটি সমাজ সংহত হোক যোগের মাধ্যমে, আর বিশ্ব হোক শান্তি ও সুস্থতার পথযাত্রী।”

  • RSS: যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর শাখায় আবশ্যক করেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার

    RSS: যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর শাখায় আবশ্যক করেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৫ সালে। প্রতিষ্ঠা করেন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার। ভারতীয় যুবকদের সংগটিত করতে, তাঁদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের আদর্শের বীজ রোপণ করতে তিনি এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর পাশাপাশি দেশের যুবকদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে তার সঙ্গেই যুক্ত করা হয় যোগাভ্যাসকে, যাতে যুবকদের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক উন্নতি হয়। তাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখাতে সূর্য নমস্কার, প্রণায়াম, ধ্যান এবং আরও বিভিন্ন যোগাসন করানো হতে থাকে তখন থেকেই।

    যোগাভ্যাসের কথা বলতেন আরএসএস-এর দ্বিতীয় সরসংঘচালক

    যোগাভ্যাসের (Yoga) মাধ্যমে স্বয়ংসেবকদের মধ্যে গড়ে উঠতে থাকে, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সমাজসেবা, সম্প্রীতি এবং আধ্যাত্মিকতা প্রভৃতি গুণ। জানা যায়, ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার নিয়মিতভাবে যোগাভ্যাস করতেন এবং তিনি শাখা পদ্ধতিতেও (RSS) যোগাভ্যাসকে রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে গুরু গোলওয়ালকর, যিনি সংঘের দ্বিতীয় সরসংঘচালক, তিনিও যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর অংশ হিসেবেই রেখে দেন। গুরুজি গোলওয়ালকর বলতেন, যদি জনগণ যোগাসন করে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্য যেমন রক্ষা হয়, সেরকমই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। জনস্বাস্থ্য এই যোগাভ্যাসের মাধ্যমে উন্নত হবে এবং তাদের রোগ নিরাময়ে ওষুধ কেনার খরচও কমবে। সমস্ত দিক থেকেই তারা লাভবান হবে।

    যোগ হল বিশ্বমঞ্চে ভারতের উপহার, প্রস্তাব পাশ হয় আরএসএস-এর প্রতিনিধি সভায়

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) মনে করে যে, যোগ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির উন্নতির জন্য কোনও অভ্যাস বা অনুশীলন নয়, এটি হচ্ছে সামাজিক উন্নতির জন্যই প্রয়োজন। যোগের মাধ্যমে দেশ গঠিত হবে। দেখা যায়, আরএসএস-এর বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ বর্গে যোগাসন এবং ধ্যানকে বর্তমানে রাখা হয়। যোগ-এর মাধ্যমে স্বয়ংসেবকরা শৃঙ্খলা, উৎসাহ, শারীরিক সুস্থতা পান, যা তাঁদের সমাজের কাজ করতে আরও উৎসাহিত করে। বর্তমানে যোগাভ্যাস আবশ্যিক করা হয়েছে আরএসএস-এর যে কোনও প্রশিক্ষণ শিবিরে। যে কোনও শাখাতেও যোগাভ্যাস চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুলে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরেছেন যোগ-এর গুরুত্ব (Yoga)। ২০১৫ সালে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে প্রস্তাব পাস করা হয় যে যোগ হল বিশ্বমঞ্চে ভারতের উপহার।

    ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের ৬৯তম সাধারণ সভায় ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা ছিল প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত, কারণ যোগাভ্যাস ভারত থেকে উদ্ভূত। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই প্রস্তাবটি রাখেন। নেপালসহ ১৭৫টি রাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয় ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর।

    সংস্কৃতিভেদে বিশ্বজুড়ে চলছে যোগ-এর অনুশীলন

    সারা বিশ্বজুড়ে অজস্র মানুষ বর্তমানে নানারকম সমস্যায় ভুগছেন, শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা। যোগ হল একমাত্র উপায় বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলির নিরাময় সম্ভব এবং তা প্রাকৃতিক উপায়ে সম্ভব। তাই বিশ্বব্যাপী এই যোগাভ্যাসের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। মানুষ যোগকে গ্রহণ করেছেন তাঁদের সুস্থ থাকার জন্য, মানসিক ও শারীরিক উন্নতির জন্য। যোগ তাই আজ নির্দিষ্ট কোনও গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নেই। পৃথিবীর যে কোনও সাধারণ মানুষ থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা প্রত্যেকেই আজ যোগাভ্যাস করেন। এর মধ্যে আছেন বড় বড় শিল্পপতি থেকে কূটনীতিকরাও।

    যোগ শব্দের উৎপত্তি কীভাবে, ব্যাখ্যা করেছে আরএসএস

    ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে (RSS) যোগের উপর যে প্রস্তাবনা হয়, সেখানে স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ব্যাখ্যা করে যে যোগের মূলগত উৎস এসেছে ‘যুজ’ (Yug) থেকে, যার অর্থ সংযুক্তিকরণ। যোগাসন শুধুমাত্র একটি শারীরিক অনুশীলন নয়। মহর্ষি পতঞ্জলির মতে, এটি হল একটি পবিত্র জীবনযাপনের অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মাকে একত্রিত করে। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে, যোগাভ্যাসের নানা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে বলা হয়েছে—যোগব্যায়াম অশান্ত মনকে শান্ত করে। যোগ শব্দের অর্থ হলো মনের প্রশান্তি। এই ব্যাখ্যার ফলে এই দর্শনকে অনুসরণ করে নিজেদের জীবনে যোগাভ্যাসকে নিয়মিতভাবে অনুশীলন করে আজ ব্যক্তিজীবন সুন্দর ও শান্তিময় হয়ে উঠেছে।

    ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগ গুরু এবং যোগ প্রশিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে আরএসএস

    আরএসএস বিভিন্ন সময়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগ গুরু এবং যোগ প্রশিক্ষকদের, যাঁরা বিশ্বমঞ্চে যোগাভ্যাসকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। একইসঙ্গে আরএসএস ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারতীয় কূটনীতিকদের, যাঁরা রাষ্ট্রসংঘসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে অবদান রেখেছেন। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রতিটি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন যোগকে শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং গবেষণার কাজেও অন্তর্ভুক্ত করে, যাতে সমাজের প্রতিটি স্তরে যোগাভ্যাসের প্রসার ঘটানো যায়।

LinkedIn
Share