Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cyclone Mandous: তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়েছে মন্দৌস, দুর্যোগের কবলে চেন্নাই

    Cyclone Mandous: তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়েছে মন্দৌস, দুর্যোগের কবলে চেন্নাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মধ্যরাতে তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস (Cyclone Mandous)। রাত দেড়টা নাগাদ পুদুচেরি ও শ্রীহরিকোটার মধ্যে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে প্রায় দুশোটি গাছ উপড়ে পড়েছে তামিলনাড়ুর উপকূল সংলগ্ন এলাকায়। ভারী বৃষ্টির জেরে জল জমেছে বিভিন্ন এলাকায়। একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে বিমানও।      

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ল্যান্ডফলের পরেই শক্তি কমতে শুরু করে মন্দৌস (Cyclone Mandous)। এখন তা আবার দুর্বল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। চেঙ্গালপাট্টু জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইস্ট কোস্ট রোড ও জিএসটি রোডে গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচল ব্যহত হয়েছে।

    ব্যহত হয়েছে ট্রেন-বিমান  

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Mandous) জেরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে চেন্নাইতে। একাধিক এলাকা জলমগ্ন। ১৩টি ডোমেস্টিক ও ৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ট্রেন চলাচলও আপাতত বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও অন্ধ্রপ্রদেশে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে। বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ট্রলার ও নৌকাগুলিকে মাঝসমুদ্র থেকে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। এনডিআরএফ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। ১৬৯ টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা  হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Mandous) খুব বেশি প্রভাব পড়েনি বাংলায়। আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও পরোক্ষ প্রভাব থাকবে। 

    তামিলনাড়ুর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত চলছে। আপাতত মহাবলীপুরম ও তার আশেপাশের অঞ্চলে এই ঝড়ের (Cyclone Mandous) প্রভাব রয়েছে। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে ট্রাফিক পুলিশ। সিরুমালাই এবং কোদাইকানালে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেন বাতিল হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে চেন্নাই রেলওয়ে।

    ১৬০০০ পুলিশ এবং ১৫০০ হোমগার্ডকে মোতায়েন করা হয়েছে। ‘মন্দৌস’ (Cyclone Mandous) একটি আরবি শব্দ। এই শব্দের অর্থ গুপ্তধনের বাক্স। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

                                                                                   

     

  • Halal: হালাল জিহাদ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার হায়দ্রাবাদে, কেন জানেন?

    Halal: হালাল জিহাদ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার হায়দ্রাবাদে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুধর্ম বাঁচাতে হলে সচেতন হতে হবে হিন্দুদের (Hindus)। তাই হিন্দুদের সচেতন করতে হায়দ্রাবাদে (Hyderabad) পথে নামল হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। প্রচার চালাল হালাল (Halal) জিহাদ (Jihad) নিয়েও। হিন্দু সম্প্রদায় ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হালাল জিহাদ কী, ব্যাখ্যা করলেন তাও। সম্প্রতি এরকমই একটি প্রোগ্রাম হয়ে গেল কাচিগুডার বদরুকা কলেজে।

    হালাল…

    সচেতনতামূলক প্রচার হিসেবে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, হালালের বিরুদ্ধে আমাদের ধর্মযুদ্ধ চলছেই। এই হালাল হিন্দু বিশেষত হিন্দু ব্যবসায়ীদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। আমাদের বুঝতে হবে হালাল সম্পর্কে না জেনেই কীভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই গ্রুপে জয়েন করুন। আমাদের উদ্বেগের কারণ বুঝুন। এবং হালাল নামক দৈত্যকে শেষ করে দিন। হাতে গোণা অল্প কিছু হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী হালাল প্রোডাক্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই হালালই এখন বাজার কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। হালাল প্রোডাক্ট নিয়ে সুর চড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কারণ এই হালাল প্রোডাক্টই সর্বনাশ ডেকে আনছে হিন্দু ব্যবসায়ীদের।

    আরও পড়ুন: ‘রামমন্দির নির্মাণ বন্ধ করে অযোধ্যায় বাবরি গড়ুন’, ভারতকে বলল পাকিস্তান, কী জবাব দিল নয়াদিল্লি?

    এবার জেনে নেওয়া যাক হালাল কী? ইসলামিক রীতিতে ভোগের উদ্দেশ্যে কোনও প্রাণী হত্যা করা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে প্রাণীটির গলা কাটা হয় আড়াই প্যাঁচে। এতে কাটা পড়ে প্রাণীটির জাগুলার ভেন, ক্যারোটিড আর্টারি এবং শ্বাসনালী। প্রাণীটিকে হত্যার আগে করা হয় প্রার্থনা। এই কারণে মুসলিমদের কাছে হালাল করা মাংসের চাহিদা বিপুল। বিশেষত যাঁরা গোঁড়া মুসলমান, তাঁরা হালাল করা মাংস ছাড়া খান না। সেই কারণেই বিভিন্ন দোকানে লেখা থাকে এখানে হালাল করা মাংস পাওয়া যায়।

    মুসলিমদের কাছে হালাল করা মাংস যে কারণে জনপ্রিয়, সেই ধর্মীয় কারণেই হিন্দু ব্যবসায়ীদের সিংহভাগ হালাল করা মাংস বিক্রি করেন না। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিতে হালাল করা মাংসের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। স্বাভাবিকভাবেই মার খাচ্ছেন হিন্দু মাংস ব্যবসায়ীরা। তাঁরা না পারছেন হালাল করা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে, না খুঁজে পাচ্ছেন ব্যবসার অন্য কোনও পন্থা। সেই কারণেই হিন্দু ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে করা হচ্ছে নানা প্রোগ্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ram Temple: ‘রামমন্দির নির্মাণ বন্ধ করে অযোধ্যায় বাবরি গড়ুন’, ভারতকে বলল পাকিস্তান, কী জবাব দিল নয়াদিল্লি?

    Ram Temple: ‘রামমন্দির নির্মাণ বন্ধ করে অযোধ্যায় বাবরি গড়ুন’, ভারতকে বলল পাকিস্তান, কী জবাব দিল নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফয়সালা হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। অযোধ্যায় রামের (Lord Ram) জন্মস্থানেই গড়ে উঠছে রামমন্দির (Ram Temple)। এক সময় ওই জায়গায় ছিল বাবরি মসজিস। সেই মসজিদ কমিটিকে অযোধ্যারই অন্যত্র জমি দেওয়া হয়েছে। রামের জন্মভূমিতে যেমন রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে, বাবরি মসজিদ কমিটিকে যেখানে জমি দেওয়া হয়েছে, কাজ চলছে সেখানেও। এমতাবস্থায় আমরা পেরিয়ে এলাম আরও একটা ৬ ডিসেম্বর। এদিনই ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ভারতকে বলেছে, রামমন্দির গড়া বন্ধ রাখতে। ওই জায়গায় তৈরি হোক বাবরি মসজিদ। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানোকে ভাল চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি। ভারতে যে ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে, ইসলামাবাদকে তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    বাবরি মসজিদ…

    ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার পূর্তি দিবস। এদিনই ভারতকে মন্দির নির্মাণ বন্ধ রেখে ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ গড়ে তুলতে বলেছে পাকিস্তান। ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই বলেও দাবি করেছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যে স্বধর্ম পালন করেন ইসলামাবাদকে সেকথা জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কেবল তাই নয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় যে মন্দির এবং গুরুদ্বার ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে, সেকথাও শাহবাজ শরিফের সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তানে যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরন্তর হুমকির মুখে পড়ছেন, সেকথাও বারংবার জানিয়েছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানে যাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভাল থাকেন, সেই বিষয়টি যেন পাক সরকার নিশ্চিত করে, এমন অনুরোধও করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিকে, জোরকদমে চলছে রামমন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ। মন্দির গড়ছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা। তার আগে চলছে মন্দিরের গর্ভগৃহ নির্মাণের নকসা ঘিরে উদ্যোগ। জানা গিয়েছে, রাজস্থান থেকে ইতিমধ্যেই বিশেষ ধরনের পাথর এসে পৌঁছেছে রাম মন্দির নির্মাণর জন্য। মন্দিরের ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই জানান, ইতিমধ্যেই রামমন্দিরের গর্ভগৃহটি বিশেষ জ্যামিতিক আকারে তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, গর্ভগৃহটি এমনভাবে নির্মিত হবে যে প্রতি রামনবমীতে দুপুরে সূর্যের আলো এসে সরাসরি পড়বে রামলালার ওপরে। এও জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বানসি পাহাড়পুর থেকে বিশেষ বেলে পাথর নিয়ে এসে ওই গর্ভগৃহ তৈরি হবে। ৪.৭৫ কিউবিক ফুটের ওই বেলেপাথর দিয়েই তৈরি হবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মন্দিরের (Ram Temple) দরজা খুলে যাবে ভক্তদের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cyclone Mandous: আজ মধ্যরাতেই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস, লাল সতর্কতা জারি তামিলনাড়ুতে

    Cyclone Mandous: আজ মধ্যরাতেই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস, লাল সতর্কতা জারি তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই চর্চায় রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’ (Cyclone Mandous)। এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বার বার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগেই তামিলনাড়ুর ১৩ টি জেলায় ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনায় ১৩ টি জেলায় লাল সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে চেন্নাই, তিরুভেল্লুর, চেঙ্গালপট্টু, ভেলোর রানিপেট্টাই, কাঞ্চিপূরম। এনডিআরএফ- এর দল ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। তারা ১০টি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    নির্দেশিকা জারি সরকারের 

    তৎপর রয়েছে তামিলনাড়ু সরকারও। সূত্রের খবর, আজ মধ্যরাতেই চেন্নাই উপকূল পেরোবে ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস (Cyclone Mandous)। ইতিমধ্যেই ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যে। ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির আশঙ্কায় আজ চেন্নাই, তিরুইভাল্লুর, ভেলোরসহ ১২ জায়গায় স্কুল, কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে সকাল থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সমুদ্র তীরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূলের সমস্ত দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত পার্কে, ময়দানে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গাছের নিচে গাড়ি পার্ক করতেও নিষেধ করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে চেন্নাই ৫২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গোটা শহর বিপর্যস্ত।

    শুক্রবার মাঝরাতে উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়টি। শ্রীহরিকোটায় ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে বইতে শুরু করেছে ঝোড়ো হাওয়া। কারাইকাল উপকূল থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে মন্দৌস (Cyclone Mandous)।

    পরিস্থিতি (Cyclone Mandous) সামাল দিতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ গাইডলাইন জারি করেছে তামিলনাড়ু সরকার। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। বাড়িতে শুকনো খাবার মজুত করে রাখতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মোমবাতি, ব্যাটারি টর্চ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেচ দফতর একাধিক জায়গায় অতিরিক্ত জল ছাড়ার সতর্কতা জারি করেছে। 

    ৫০৯৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। শুধু চেন্নাইতেই ১৬৯টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস (Cyclone Mandous) শুরু হয়ে গিয়েছে। পণ্ডিচেরি, চেঙ্গালপেট্টু, ভিল্লুপুরম, কাঞ্চিপুরমে অতিভারি বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Svanidhi Scheme: মেয়াদ বাড়ল পিএম স্বনিধি প্রকল্পের, কবে পর্যন্ত মিলবে সুবিধা, জানেন?

    PM Svanidhi Scheme: মেয়াদ বাড়ল পিএম স্বনিধি প্রকল্পের, কবে পর্যন্ত মিলবে সুবিধা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডরর্স আত্মনির্ভর নিধি প্রকল্পের (PM Svanidhi Scheme) মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র। মেয়াদ বেড়ে হল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, সরকার তৃতীয় লোন দেওয়াও চালু করল। লোন পেতে পারেন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রথম দফায় মিলবে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন। আর দ্বিতীয় দফায় পেতে পারেন ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এজন্য গোটা দেশেই চালু হয়েছে স্বনিধি সে সমৃদ্ধি প্রকল্প।

    আত্মনির্ভর নিধি…

    করোনা (Covid-19) অতিমারি পরিস্থিতিতে হকারদের (Street Vendor) মুখ থুবড়ে পড়া ব্যবসা ফের চাঙা করতে ২০২০ সালের ১ জুন একটি নয়া প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। নাম দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডরর্স আত্মনির্ভর নিধি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধুঁকতে থাকা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবেন স্ট্রিট ভেন্ডররা। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ নিতে পারবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে লক্ষ লক্ষ হকার এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।

    জানা গিয়েছে, চলতি বছর নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই সুবিধা পেয়েছেন ৩১.৭৩ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডর। তাঁরা প্রত্যেকে ১০ হাজার করে টাকা পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে আবার ৫.৮১ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডর পেয়েছেন ২০ হাজার করে টাকা। ৬ হাজার ৯২৬ জন স্ট্রিট ভেন্ডর তৃতীয় লোনের সুবিধা পেয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে পেয়েছেন ৫০ হাজার করে টাকা। ইউনিয়ন মিনিস্ট্রি অফ হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পিএম স্বনিধি প্রকল্পে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৪২ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডরকে এই প্রকল্পে লোন দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের (PM Svanidhi Scheme) সব চেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এই লোন নিতে গেলে কোনও সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয় না ঋণ-প্রাপককে। শুধু তাই নয়, এক বছরের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ সুদে গৃহীত লোন শোধ করলেই ভেন্ডরদের জন্য রয়েছে ভর্তুকির সুবিধা। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় লোন মিলতে পারে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় মিলতে পারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই লোন শোধ হলে মিলতে পারে তৃতীয় দফার লোন। এতে মিলতে পারে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cyber Attack: এইমসে সাইবার হানা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে লাল সতর্কতা!

    Cyber Attack: এইমসে সাইবার হানা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে লাল সতর্কতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এইমসের (AIIMS) সার্ভার হ্যাক করে রোগীদের বিপদে ফেলেছিল হ্যাকাররা। বিপদে পড়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। এবার নিশানায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের আইসিএমআরের সার্ভার। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এক দিনে কয়েক হাজার সাইবার হানা (Cyber Attack) হয়েছে আইসিএমআরের সার্ভারে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এইমসের সার্ভারে র‌্যানসামওয়্যার অ্যাটাক হয়েছিল। এই সাইবার অ্যাটাকের কারণে দিল্লির সার্ভার দশ দিনেরও বেশি বন্ধ ছিল। এখনও ম্যানুয়ালি চলছে এইমসের সব পরিষেবা। সংস্থার তরফে ডেটা ফিরে পাওয়ার সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।

    চিনা হ্যাকার…

    জানা গিয়েছে, গত দু দিন ধরে সিইআরটি-ইন এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট যার নেতৃত্বে রয়েছেন ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (রিটায়ার্ড) রাজেশ পান্ত এইমসের সার্ভারগুলিতে ড্রাই রান চালাচ্ছে। সরকারি আধিকারিকদের একাংশের মতে, এই যে সাইবার হানা (Cyber Attack), এর নেপথ্যে রয়েছে চিনা হ্যাকারদের হাত। যাঁরা এইমসের সাইবার হানার সম্পর্কে পরিচিত, তাঁরা জানিয়েছেন, সাইবার হানার ফলে যেসব সার্ভার কোরাপ্টেড হয়ে গিয়েছিল, সেগুলিকে আইসোলেটেড করা হয়েছে। চলছে ওই সার্ভারগুলির সিস্টেম পরীক্ষার কাজ। এইমসের মতো ভিভিআইপি হাসপাতালে যাতে ফের এ রকম ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পূর্ণ সময়ের সাইবার সিকিউরিটি ডিভিশন থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তাঁরা। তা না হলে ফের সম্মুখীন হতে হবে এমন বিপদের। জানা গিয়েছে, দিল্লির এইমস কর্তৃপক্ষকে হায়ারআর্চিক্যাল কম্পিউটার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    ডিসেম্বরের ৪ তারিখে দিল্লির সফদারজং হাসপাতালেও হয়েছিল সাইবার হানা (Cyber Attack)। মিডিয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে এইমসের মতো এতটা ক্ষতি করতে পারেনি হানাদাররা। অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধের নয়া রূপ হবে সাইবার হানা। সেই কারণে আমেরিকা, চিন এবং ফ্রান্স তাদের দেশের সরকারি ডেটা যাতে সুরক্ষিত থাকে, তাই সার্ভারগুলিতে এফেকটিভ ফায়ারওয়াল গড়ে তুলেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে সাইবার হানা হলেও, সুরক্ষিত থাকবে ডেটা। জানা গিয়েছে, এইমসের কম্পিউটার এবং আইটি আপগ্রেডেশনের পরিকল্পনার জন্য ৩১ ডিসেম্বরের সময়সীমা স্থির করা হয়েছে। এর মধ্যে আইটি ভেন্ডরদের কাছ থেকে আগ্রহ প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Demonetisation: “নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গ ছিল”, আদালতে জানাল আরবিআই

    Demonetisation: “নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গ ছিল”, আদালতে জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটবন্দির (Demonitisation) সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সৈয়দ আবদুল নাজিরের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এরপরেই অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, যাবতীয় নথি মুখবন্ধ খামে আদালতকে দিতে হবে। এর আগে আরবিআইয়ের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নোটবন্দির প্রভাব সম্পর্কে সরকারকে অবগত করা হয়েছিল কিনা। আরবিআই কি সরকারকে জানিয়েছিল যে নোটবন্দির ফলে দেশের ৮৬ শতাংশ নোটই বাতিল হবে। এই আবহে এবার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। নোটবন্দি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ৫৮টি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলির শুনানি চলছে। 

    আরও পড়ুন: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    আদালতে সওয়াল-জবাব 

    এস আব্দুল নজিরের সাংবিধানিক বেঞ্চকে জবাবে আরবিআই এর পক্ষ থেকে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বলেন, “আড়ম্বরপূর্ণ শব্দ মনে হলেও, নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের একটি বড় অংশ ছিল। অনেকের মতামত নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কেও অবগত ছিলেন আধিকারিকরা। কেউ কেউ এক মত নাও হতে পারেন। সেটাই স্বাভাবিক।”

    শুনানির সময় এক পর্যায়ে বিচারপতি বি.ভি. নাগারথনা, আইনজীবী গুপ্তকে ব্যাংক এবং এটিএম-এর বাইরে দীর্ঘ লাইনের কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “গোটা দেশ অর্থাভাবে ভুগেছিল।”  

    আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট পি চিদাম্বরম বলেন, “প্রতিটি ব্যাংকের (Demonitisation) কেবল সীমিত নগদ টাকা ছিল, যা তাদের শাখাগুলির মধ্যে বিতরণ করতে হয়েছিল। এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল, ১০০ জন লোক তাদের নোট পরিবর্তন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু ১০১তম ব্যক্তিকে ফিরে আসতে হয়েছিল ব্যাংক থেকে।”

    এর উত্তরে গুপ্ত বলেন, “কিছু কষ্ট হয়তো হয়েছে। তা প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই আমাদের সবকিছু ঠিক করা ছিল। একদিন টাকা বের করে পরের দিন রিমানিটাইজ করা সম্ভব নয়। অযথা কারও টাকা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছিল।” 

    তিনি আরও বলেন, “সকলকে একটি যুক্তিসঙ্গত সুযোগ এবং পুরোনো টাকা বদলে নেওয়ার যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। যখনই সমস্যা দেখা দিয়েছে, নীতি পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুমও চালু ছিল।” 

    বিচারপতি নাগারথনা প্রত্যুত্তরে বলেন “নোট বদল (Demonitisation) করার শেষ দিন, ২০১৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বরও বহু লোক ৫০০-১০০০ টাকার নোট বদল করতে না পেরে ফিরে এসেছেন। কারণ ব্যাংকের বাইরে দীর্ঘ লাইন ছিল।” 

    গুপ্ত জবাবে বলেন, “সেই সময়ে ব্যাংকগুলি ২৪ ঘণ্টা কাজ করত। ব্যাংক অফিসাররা সিস্টেমটিকে সমর্থন করেছিলেন।” বিচারপতি নাগারথনা বলেন, “ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানো অনেক লোকই হয়তো গৃহ সহায়ক এবং দিনমজুর ছিলেন, যারা পুরোনো মুদ্রায় বেতন পেয়েছিলেন এবং দিনের পর দিন তা বদল করার অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়েছেন।”

    গুপ্ত যুক্তি দিয়ে বলেন, “পুরোনো নোটে বেতন দেওয়া অবৈধ ছিল (Demonitisation)। ৯ নভেম্বর থেকে, নতুন নোটগুলিই একমাত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।     

     

     

     

  • Amit Shah: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    Amit Shah: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ  দুপুর ১২ টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উঠবে বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সামগ্রিক অবনতির কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবেন সুকান্ত। পাশাপাশি ভূপতিনগর সহ রাজ্যে যে যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে সে সম্পর্কেও অভিযোগও জানাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জানা যাচ্ছে, দলের সাংগঠনিক বিষয়েও অমিত শাহর (Amit Shah) পরামর্শ নিতে পারেন সুকান্ত।

    শাহ-সুকান্ত আলোচনা

    বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি হাজির হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কথা ছিল, তিনি বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে আসবেন। কিন্তু তা হচ্ছে না। বুধবার আচমকাই সুকান্ত মজুমদারের কাছে নির্দেশ এসেছে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে হবে। কী কারণে এই সাক্ষাতপর্ব তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনুমান, রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সুকান্তর সঙ্গে কথা হবে শাহের। আসন্ন নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে যে দুর্নীতি একটা বড় ইস্যু হতে চলেছে তা স্পষ্ট। এছাড়া যেভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হচ্ছে তাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেও হাতিয়ার করতে পারে বঙ্গ বিজেপি। সরকারি কর্মীদের ডিএ না পাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখছে বঙ্গ শিবির। সেই ইস্যুগুলি নিয়েই মূলত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জি-২০-র সভাপতিত্ব করার বিরাট সুযোগ পেয়েছে ভারত, ফের বললেন মোদি

    বিজেপি সূত্রে খূবর, গুজরাট ভোটের ফল প্রকাশের পর শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সুকান্ত। গুজরাট নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় বেশ কয়েকমাস পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। এবার ফের বাংলার ওপর জোর দিতে চাইছেন তাঁরা। তাই রাজ্যের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হতে পারে ২ জনের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G20: জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে শুক্রবার ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা

    G20: জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে শুক্রবার ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জি-২০ (G20) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই ফের আরও একবার মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদি-মমতা। তবে এবার ভার্চুয়ালি। আগামী শুক্রবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    আরও পড়ুন: চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ক্ষুব্ধ গিলগিট বালতিস্তানের বাসিন্দারা

    উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জি-২০-এর (G20) সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন পরিচালনা করবে ভারতই। তার আগে এই বছরের ডিসেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ২০০ টিরও বেশি জি-২০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই কারণেই জি-২০ – এর প্রস্তুতি নিয়ে গত সোমবার একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। সর্বদলীয় বৈঠকে সরকারের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অংশগ্রহণ করেন।

    শুক্রবার এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি যোগ দেবেন বলেই খবর। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীরও জি-২০ (G20) সংক্রান্ত এই বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে।

    জি-২০ (G20) তে ভারত ছাড়াও আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য হিসেবে রয়েছে।

    বৈঠকের মূল লক্ষ্য 

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে এই বৈঠক শুরু হবে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জি-২০ (G20) সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্র প্রধানরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। যাদের সামনে দেশের উন্নতিকে তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্র। আর সেই কারণেই এই বৈঠক। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে জি-২০ সম্মেলনের অংশ হিসাবে একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেমন নতুন বছরের শুরুতেই একাধিক বৈঠক হবে কলকাতাতে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

     

        

  • MCD Election: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চাই’’, দিল্লি পুরভোটে জিতে কেজরিওয়াল

    MCD Election: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চাই’’, দিল্লি পুরভোটে জিতে কেজরিওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিধানসভার পর এ বার দিল্লি পুরনিগমও এল আম আদমি পার্টির হাতে। পুরনিগম ভোটে (Delhi Municipal Election) জয় পেয়ে দিল্লিবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একইসঙ্গে কেন্দ্রের কাছেও সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ’ চাইলেন তিনি। 

    দ্বিতীয় বিজেপি

    এদিন সকালে দিল্লি পুরনিগম ভোটের গণনার শুরু থেকেই আম আদমি পার্টি এবং বিজেপির মধ্যে লড়াই চলে সমানে সমানে। প্রথমদিকে গেরুয়া শিবির এগিয়ে ছিল। তবে বেলা যত বাড়তে থাকে, ততই আপের ঝুলিতে আসনের সংখ্যা বাড়ে। দুপুর ২টো নাগাদ আপ ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১২৬ পেরিয়ে যেতেই ভোটের ফলাফল একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যায়। অবশেষে সওয়া ৩টে নাগাদ ভোট গণনা সম্পূর্ণ হয় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলকেই জয়ী বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আপ পেয়েছে মোট ১৩৪টি আসন। বিজেপি-র আসন সংখ্যা ১০৪। কংগ্রেস পেয়েছে ৯টি আসন। অন্যান্যরা পেয়েছে ৩টি।  ভোটে জয়ের পর কেজরিওয়াল বললেন, ‘যারা আমাদের ভোট দেননি, তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আগে আপনাদের কাজ করব। তারপর বাকিদের কাজ করব। আমাদের কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রীরও আশীর্বাদ চাই দিল্লিকে দুর্নীতি মুক্ত করতে। আমরা নেগেটিভ রাজনীতি করি না। স্কুল ও হাসপাতাল থেকে ভোট মেলে।’

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    রবিবারই দিল্লির পুরনিগমের ২৫০ আসনে ভোট গ্রহণ হয়। রাজ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় থাকলেও, গত ১৫ বছর ধরে দিল্লি পুরনিগম ছিল বিজেপির হাতে। এবার তার দখল নিল আপ। তবে লড়াই হয়েছে সমানে সমানে। একজিট পোলে সকলে বলেছিল বিজেপি ৭০-৮০ আসন পাবে। ‘আজ তকে’র বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল বিজেপি ৬৯ থেকে ৯১টি আসন পাবে। ‘টাইমস নাউ’ বলেছিল বিজেপির আসন সংখ্যা হবে ৮৪ থেকে ৯৪। কিন্তু, সব পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণিত করে বিজেপি ১০৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া, ভোট শতাংশের হারও বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এবারের পুরভোটে বিজেপি পেয়েছে ৩৯.১২ শতাংশ ভোট। সেখানে ২০১৭ সালে ছিল ৩৬.০৮ শতাংশ। অন্যদিকে, আপ এবছর পেয়েছে ৪২.২ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, আপ ও বিজেপির মধ্যে ভোট শতাংশের পার্থক্য কেবল ৩ শতাংশের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share