Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Congress President Poll: এবার স্বচ্ছ ভোটের দাবিতে এআইসিসিকে চিঠি দিলেন শশী তারুর, কী লিখলেন জানেন?

    Congress President Poll: এবার স্বচ্ছ ভোটের দাবিতে এআইসিসিকে চিঠি দিলেন শশী তারুর, কী লিখলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Poll)। এই ভোটে প্রার্থী হতে পারেন গান্ধী (Gandhi) পরিবারের বিরোধী শিবিরের কেউ কেউ। তবে দলে স্বচ্ছ নির্বাচন (Fair Election) হয় না বলেই অভিযোগ। এবার যাতে স্বচ্ছ নির্বাচন হয়, সেই কারণেই শশী তারুর (Shashi Tharoor)  সহ কংগ্রেসের চার সাংসদ চিঠি দিলেন এআইসিসির কেন্দ্রীয় নির্বাচন অথরিটির প্রধান মধুসূদন মিস্ত্রিকে। ওই চিঠিতে তাঁরা স্বচ্ছ ভোট হবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রত্যেকে যেন পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

    বছর দুয়েক ধরে খালি পড়ে রয়েছে কংগ্রেস সভাপতির পদ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই পদে বসানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। ভোটে বিজেপির (BJP) কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। হারের দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণে তিনি আর দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। দায়িত্ব নিতে রাজি নন রাহুলও। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে ওই পদে। এই পদে এবার লড়তে পারেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ জি-২৩ গোষ্ঠীর শশী থারুর। মিস্ত্রিকে যে চার সাংসদ চিঠি দিয়েছেন, তাঁর মধ্যে রয়েছেন থাথুর স্বয়ং। ৬ সেপ্টেম্বর মিস্ত্রিকে লেখা ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন কার্তি চিদাম্বরম, প্রদ্যুৎ বরদলই এবং আবদুল খালেকও।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, পার্টির কোনও অভ্যন্তরীণ তথ্য বাইরে আসুক, আমরা তা চাই না। এই তথ্য সামনে এলে আমাদের ভুল ব্যাখ্যা করা হতে পারে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পার্টির কেন্দ্রীয় ইলেকশন অথরিটি অবশ্যই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সেই সব সদস্যদের নাম জানান, যাঁরা ইলেকটোরাল কলেজে থাকবেন। যদি এটা প্রকাশ করতে অথরিটির কোনও আপত্তি থাকে, তাহলে তা যেন এমনভাবে প্রকাশ করা হয়, যাতে তা ভোটার এবং প্রার্থীদের কাছে সেটি পৌঁছায়। কারণ নির্বাচন খতিয়ে দেখতে প্রার্থী কিংবা ভোটারদের ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি এবং ৯টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ছুটে যাওয়া সম্ভব নয়। ইলেকটোরাল কলেজে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের নাম প্রকাশ করা গেলে তবেই স্বচ্ছ ভোট হওয়া সম্ভব বলেই মত প্রকাশ করেন ওই চার সাংসদ।

     

  • Netaji: নেতাজির জীবন কাহিনী ফুটিয়ে তুলল ২৫০টি ড্রোন

    Netaji: নেতাজির জীবন কাহিনী ফুটিয়ে তুলল ২৫০টি ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আকাশে ২৫০ টি ড্রোনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হল ভারতের বীর, স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী। শুক্রবার, সেন্ট্রাল ভিস্তার স্কাইলাইনে সন্ধ্যা নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই একদল প্রযুক্তিবিদ ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের কাজে। ইন্ডিয়া গেটের কাছে একত্রিত ২৫০টি ড্রোনকে একটি পাওয়ার গ্রিডে সংযোগ করার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তাঁদের সফল চেষ্টার পর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শুরু হয় বহু প্রতিক্ষীত ড্রোন শো।

    প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ভারতে ড্রোন শো-য়ের মাধ্যমে দেখানো হয় নেতাজির ছোট থেকে বড় হওয়া, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর যোগদান, সুভাষ থেকে নেতাজি হয়ে ওঠার নানান কাহিনী। সবশেষ দেখান হয়, কালো গ্র্যানাইট পাথরে তৈরি নেতাজির ২৮ ফুট উচ্চতার মূর্তি। নেতাজির স্মৃতিতে এই মূর্তি নির্মান করে ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার এই মূর্তি উন্মোচন করেন।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    শুক্রবারের অনুষ্ঠান দেখতে সমবেত হয়েছিলেন বহু মানুষ। ২৫০টি ড্রোন বিভিন্ন সময়ে আকাশে উড়ে আটটি আলাদ গঠন তৈরি করে মানুষের মনোরঞ্জন করে। একই সঙ্গে স্মরণ করা হয় দেশের বীর যোদ্ধাকে। সবচেয়ে বড় নেতাকে। যাঁকে নেতাজি নাম দিয়েছিল ভারতবাসী। দশ মিনিট ধরে ড্রোন শোটি চলে।

    এই ড্রোন শো যাঁরা পরিচালনা করেন,  সেই একই দল বছরের শুরুর দিকে বিজয় চকের উপরে বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানে ১০০০ ড্রোন শো পরিচালনা করেছিল। অভিনব এই শো ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। কেউ কেউ আবার লনে শুয়ে পড়ে উপর দিকে তাকিয়ে শুধুই অনুভব করছিলেন নেতাজির লড়াই। অনেকে ফোনে রেকর্ড করছিলেন এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ আইন (PMLA) লাগু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তার পরেই এই আইনে অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নেমে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা চার্জশিট পেশ করেছে ৯৯২টি অভিযোগে।

    অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির চেয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইডি। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইনে (FEMA) ইডি এ পর্যন্ত ৮ হাজার শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে। যে সকল অভিযুক্তের সম্পত্তি এজেন্সি অ্যাটাচ করেছে ইডি, সেই সম্পত্তি বিক্রি করে ২৩ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংককে। কেবল আর্থিক তছরুপ নয়, ইডি তদন্ত করছে যাঁরা ফেমা (FEMA) এবং ফিউজিটিভ ইকনোমিক অফেন্ডার্স অ্যাক্টেও অভিযুক্ত তাঁদের। 

    যদিও আর্থিক তছরুপ কেলেঙ্কারিতে প্রচুর পরিমাণ মামলা বকেয়া পড়ে রয়েছে, তা সত্ত্বেও ১৭ বছরের পুরানো একটি আইনে এ পর্যন্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে ইডি। এসব করতে গিয়ে নানা সময়ে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। তার পরেও অবশ্য দমানো যায়নি ইডিকে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইডি আর্থিক তছরুপ আইনে তদন্ত করেছে নথিভুক্ত ৫ হাজার ৪০০ মামলা।  সরকারি তরফের অভিযোগ অথবা চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করেছে ইডি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।  ইডি ১ হাজার ৭০০ অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার ইস্যু করেছে। এক লক্ষ কোটির বেশি সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। 

    আরও পড়ুন : দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    কুখ্যাত তিনটি আর্থিক কেলেঙ্কারিরও তদন্ত করছে ইডি। এই তিনটি কেলেঙ্কারির মূল হোতা হলেন বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি ও মেহুল চোকসি। এই তিনজনের ১৯ হাজার কোটিও বেশি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। এর মধ্যে ইডি বিক্রিও করেছে প্রচুর সম্পত্তি। উদ্ধার করেছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। শুধু তাই নয়, এসবিআইয়ের নেতৃত্বে কয়েকটি ব্যাংকের কনসর্টিয়াম ইডি যে সম্পত্তি হস্তান্তর করেছে, তা বিক্রি করে পেয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা সেঁটেছে ভারতের (India) গায়ে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বেড়েছে জিডিপি (GDP)-র হারও। এমতাবস্থায় ফের একবার আশার কথা শোনাল মুডি’জ (Moodys)। বিশ্ব অর্থনীতির তুল্যমূল্য বিচার করে এই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা। তারাই জানাল, ভারতের অর্থনীতি টালমাটাল নয়, বরং স্থিতিশীল। অর্থনীতি বৃদ্ধির হারও ক্রমবর্ধমান। 

    করোনা পরিস্থিতিতে হাঁড়ির হাল হয়েছিল বিশ্ব অর্থনীতির। ক্রমেই সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল করোনা পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে ভারতও। তবে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি যে ক্রমবর্ধমান তা ধরা পড়েছে জিডিপির হারে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপির হার ১৩.৫। ভারতের অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে অন্যত্রও। সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। সমীক্ষা বলছে, ২০২৯ সালের মধ্যেই ভারত হয়ে বিশ্বের তৃতীয বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। জার্মানি এবং জাপানকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। 

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    স্টেটনব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টেও উঠে এসেছে আশার খবর। সেখানেও জানানো হয়েছে, ভারতের অর্থনীতির হাল শক্ত। এবার একই কথা জানাল মুডি’জও। বিশ্ব অর্থনীতির হালহকিকত খতিয়ে দেখতে নানান সমীক্ষা করে এই সংস্থা। সেই সংস্থারই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির উচ্চ বৃদ্ধিরক সম্ভাবনার কথা। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারও যথেষ্ট পোক্ত। ভারতীয় অর্থনীতিতে নগদের জোগানও রয়েছে। তাই এখানকার অর্থনীতি ঝুঁকিবিহীন। 

    মুডি’জ-এর বিচারে ভারতের রেটিং ‘বিএএ৩’। মুডি’জ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, নগদের জোগান ভাল থাকায় ভারতে ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করা কম ঝুঁকির। করোনা অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে ভারত যে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে, রিপোর্টে জানানো হয়েছে তাও। প্রসঙ্গত, মুডি ভবিষ্যবাণী করেছিল, ভারতে রিয়েল জিডিপি ’২৩ অর্থবর্ষে ৭.৬ শতাংশ থেকে পরের আর্থিক বর্ষে ৬.৩ শতাংশে পৌঁছবে।

  • Amit shah: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    Amit shah: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) বিজেপির (BJP) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই তাঁকে অবশ্যই উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। মুম্বইয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে শাহ সাফ জানিয়ে দেন, রাজনীতিতে আমরা সব কিছু সহ্য করতে পারি, তবে বিশ্বাসঘাতকতা নয়।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চেয়েছিলেন শিসবেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের প্রাক্তন সতীর্থ একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের প্রস্তাব খারিজ করে দেন উদ্ধব। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসাম উড়ে যান শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। হন মুখ্যমন্ত্রী।

    সূত্রের খবর, শিবসেনা ভেঙে যাওয়া এবং তৎপরবর্তী ঘটনার জন্য উদ্ধবকেই দায়ী করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লোভের কারণেই দলের একটা বড় অংশ তাঁর (উদ্ধব ঠাকরে) বিরুদ্ধে চলে যায়। তার জেরেই পতন হয় ঠাকরের নেতৃত্বে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের। নয়া সরকার গড়েন শিন্ডে। এদিন শাহ বলেন, উদ্ধব ঠাকরে কেবল বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেননি, তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতি এবং মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : এবার ভাঙন শিবসেনা পরিবারে, শিন্ডে শিবিরে উদ্ধবের ভাইপোও!

    শাহের মতে, ক্ষমতার লোভের কারণেই তাঁর দল সংকুচিত হয়েছে, বিজেপির জন্য নয়। কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ আমি আবারও বলতে চাই, আমরা উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর কোনও প্রতিশ্রুতি কখনও দিইনি। আমরা খোলাখুলি রাজনীতি করি, বন্ধ ঘরের মধ্যে নয়। এর পরেই শাহ ঘোষণা করেন, রাজনীতিতে যাঁরা প্রতারণা করেন, তাঁরা অবশ্যই শাস্তি পাবেন। মহারাষ্ট্র পুরসভা নির্বাচনে ১৫০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। দেশের ধনীতম পুরসভা হল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। সেখানেই নির্বাচন। শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাইডেন্সে বিজেপি এবং আসল শিবসেনা জোট বৃহন্মুম্বই পুরসভা নির্বাচনে লড়ে ১৫০ আসনে জয়ী হবে। মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন জনতা। উদ্ধব ঠাকরের দলের সঙ্গে তাঁরা নেই। কারণ তিনি নীতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi on Netaji: ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    Modi on Netaji: ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু স্বাধীন ভারতে সেইভাবে মর্যাদা পেলেন না নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Bose)। তাঁর আদর্শে চললে আজ ভারত হয়ত বা ‘জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন’ লাভ করত। দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের কাছে ২৮ ফুট লম্বা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি উদ্বোধন করে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    এদিন নেতাজির মূর্তি উদ্বোধনের পর ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকার কথা স্মরণ করেন মোদি। তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সরকার নেতাজিকে সম্মান দেয়নি। মোদি বলেন, ‘‘আজ, ইন্ডিয়া গেটে জাতীয় নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই সুবিশাল মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হল। এটি শক্তিশালী ভারতের প্রতীক। আগে এখানে ব্রিটিশ শাসকদের তৈরি বিভিন্ন মূর্তি ছিল।’’ এরপরই আক্ষেপের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যদি স্বাধীনতার পর ভারত সুভাষবাবুর প্রদর্শিত পথে চলত, তাহলে দেশ আজ কোথায় পৌঁছে যেত। কিন্তু, দূর্ভাগ্যজনক ভাবে, স্বাধীনতার পরই আমরা আমাদের এই মহান নেতাকে ভুলে গেলাম! তাঁর দেখানো পথ, এমনকি তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত চিহ্নকেও উপেক্ষা করা হল।’’

    লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের কথা স্মরণ করে মোদি বলেন, ‘‘নেতাজি স্বপ্ন দেখেছিলেন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেই অভিজ্ঞতার অংশীদার। আমি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের সৌভাগ্য অর্জন করেছি। আমি ভাগ্যবান নেতাজির এই মূর্তি উন্মোচন করতে পেরেছি।’’

    আরও পড়ুন: “দারুণ কাজ করছেন”, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

    ২৮০ মেট্রিক টনের ওই মূর্তি একটি গ্রানাইট শিলাকেই কেটে তৈরি করা হয়েছে। যে শ্রমিকরা ওই মূর্তি তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন তাদের সঙ্গে এদিন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানান মোদি। ২০২৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানান।

    এদিন মোদি রাজপথ অ্যাভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে কর্তব্য পথ নামকরণ করেন। এই নাম পরিবর্তনও যে ভারতের আত্মনির্ভরতার অঙ্গ বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pet Attack: ডেলিভারি বয় থেকে ১১ বছরের শিশু, পোষ্যের হাতে আক্রমণের একাধিক ঘটনা, দায়ী কে? 

    Pet Attack: ডেলিভারি বয় থেকে ১১ বছরের শিশু, পোষ্যের হাতে আক্রমণের একাধিক ঘটনা, দায়ী কে? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে বাড়ছে একের পর এক গৃহপালিত কুকুরের (Pet Dog) হাতে আক্রান্ত (Pet Dog Attacks Zomato Delivery Boy) হওয়ার ঘটনা। গাজিয়াবাদ, নয়ডার পর এবার মুম্বই। এবার আক্রান্ত জোম্যাটো ডেলিভারি বয় (Zomato Delivery Boy)। লিফটের মধ্যে একটি জার্মান শেফার্ড আক্রমণ করে তাঁকে। সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় লিফটের সেই ভিডিও। লিফটে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে ঢুকছিলেন এক ব্যক্তি। সেইসময় লিফট থেকে বেরোচ্ছিলেন জোম্যাটোর সেই ডেলিভারি বয়। আর তখনই আক্রমণ করে সেই কুকুর। ছিড়ে নেয় ওই ব্যক্তির গোপনাঙ্গ। ভিডিও- তে দেখা যায় প্যান্ট ভেসে যাচ্ছে রক্তে। ব্যাথায় ছটফট করছেন ওই ব্যক্তি। ভিডিওটি দেখে বিচলিত হয়েছে গোটা দেশ।  

     

    কিন্তু একই ঘটনা এই প্রথম নয়। গত সপ্তাহেই গাজিয়াবাদে এক এগারো বছরের শিশু পার্কে খেলার সময় পিটবুলের হাতে আক্রান্ত (Pet Dog Attacks 11YO) হয়। বাচ্চার ক্ষতবিক্ষত মুখে ২০০টি সেলাই পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হঠাতই কুকুরটি ছুটে এসে বাচ্চাটির মুখ খুবলে নেয়। এরপরেই ওই বাচ্চার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন। কুকুরের মালিকদের এই বেপরোয়া আচরণের বিরুদ্ধ অনেকেই আওয়াজ তোলেন।

    আরও পড়ুন: শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে লিফটে এক বালককে উরুতে কামড়ে দেয় এক কুকুর। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে ছেলেটি। কিন্তু কুকুরের মালকিন তখনও নির্বিকার। শুধু তাই নয়, লিফটের দরজা খুলে যাওয়ার পর ছেলেটিকে কোনরকম সাহায্য না করেই পোষ্যকে নিয়ে বেরিয়ে যায় সেই মহিলা। আক্রান্ত বালকের বাবা স্থানীয় থানায় মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরও এক ঘটনা ঘটে নয়ডার সেক্টর ৭৫-এ। সেখানেও লিফটে দুজন ছিলেন। একজনের সাথে ছিল পোষ্য জার্মান শেফার্ড কুকুর। লিফটে কুকুরটি শান্তই ছিল, কিন্তু যখনই অপর ব্যক্তি নামতে যান তখনই তাঁর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুরটি। আদেও ওই ব্যক্তিকে কুকুরে কামড়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানা যায়নি।  

     

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    যখন দেশ জুড়ে নানা জায়গায় ঘটছে, স্বাভাবিক ভাবেই নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। নেটিজেনরা প্রশ্ন করছেন, লিফটের মধ্যে কুকুরকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ কেন দেওয়া হচ্ছে? অনেকের বক্তব্য, কুকুরের মালিকরা তাদের পোষ্যকে ঠিক করে পালন করছে না বলেই এরকম ঘটনা বার বার ঘটছে! গাফিলতি কুকুরদের না, তাদের মালিকদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • RSS Slams Congress: ‘ওদের বাপ-দাদারাও চেষ্টা করেছিল…’, ট্যুইট-বিতর্কে কংগ্রেসকে একহাত আরএসএসের

    RSS Slams Congress: ‘ওদের বাপ-দাদারাও চেষ্টা করেছিল…’, ট্যুইট-বিতর্কে কংগ্রেসকে একহাত আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি’। কথাটির যথার্থতা প্রমাণ করার দায়িত্ব যেন একাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (Congress)। দলের ভাঙনে গান্ধী পরিবারের যে মনোবল ভেঙেছে, তা আগেই বার বার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেই ভাঙন মানতে না পেরে ন্যক্করজনক কাণ্ড করে বসল সোনিয়া গান্ধীর দল। বিরোধী সংস্কৃতির সমস্ত পাঠ ভুলে সরাসরি ‘বিলো দ্য বেল্ট’ আক্রমণ। তাও আবার কোনও রাজনৈতিক দলকে নয়। অরাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক সংঘকে (Rashtriya Swayamsewak Sangh) কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: এবার আরএসএসের দিল্লির দফতরের নিরাপত্তায় সিআইএসএফ 

    সোমবার রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) ষষ্ট দিনে সকালে কংগ্রেসের তরফে একটি ট্যুইট করে লেখা হয়, “দেশকে ঘৃণার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে এবং বিজেপি-আরএসএস- এর করা ক্ষতি মুছতে ধাপে ধাপে আমরা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি।” এর সঙ্গেই ট্যুইটে একটি জ্বলতে থাকা খাকি হাফ প্যান্টের ছবি পোস্ট করেছে কংগ্রেস। সঙ্গে লেখা আরও ১৪৫ দিন। 

     

    প্রসঙ্গত, খাকি হাফপ্যান্টের সঙ্গে আরএসএস-একটা দীর্ঘ যোগসূত্র রয়েছে। ফলত, এই ধরনের পোস্টের মাধ্যমে যে সরাসরি আরএসএসকেই আক্রমণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট। জবাবে, কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছে সংঘ। ট্যুইট বিতর্কে চাঁচাছোলা ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করল আরএসএস। আরএসএস-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বা সহসরকার্যবাহ মনমোহন বৈদ্য (RSS Joint General Secretary Manmohan Vaidya) সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ঘৃণা দিয়ে ভারতের জনগণকে জুড়তে চাইছে কংগ্রেস। ওদের বাপ-দাদারাও আমাদের আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পারেনি। হিন্দুত্বর পক্ষে দেশবাসীর সমর্থন বাড়ছে।” 

    আরও পড়ুন: আদর্শ সমাজের লক্ষ্যে রায়পুরে বসতে চলেছে আরএসএস-এর বার্ষিক সমন্বয় বৈঠক

     

    কংগ্রেসের সোশ্যাল পোস্টকে উস্কানিমূলক বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি। এই ট্যুইটের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির সাংসদ তেজস্বী সূর্য (BJP MP Tejasvi Surya)। তিনি পাল্টা ট্যুইটে লেখেন, “এই ছবি কংগ্রেসের আগুন জ্বালানোর রাজনীতির প্রতীক। ১৯৮৪ সালের দিল্লি, ২০০২ সালের গোধরাতেও তাই করেছিল ওরা। কংগ্রেস ফের হিংসার রাজনীতির ডাক দিয়েছে। রাহুল গান্ধীর দেশের বিরুদ্ধে লড়ছেন, আর সেই সঙ্গেই সাংবিধানিক পথে চলা বন্ধ করে দিয়েছে কংগ্রেস।” 

     

    কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও ( Sambit Patra)। তাঁর কটাক্ষ, “ভারত জোড়ো যাত্রা নয় , ভারত ভাঙো এবং আগুন লাগাও যাত্রা করছে কংগ্রেস। এর আগেও কংগ্রেস এরকম করেছে।” রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “আপনি কি দেশে হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন?” কংগ্রেসের ট্যুইটার থেকে ছবি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন সম্বিত পাত্র।

    ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের শ্রীনগর পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোমবার কংগ্রেসের গন্তব্য কেরলের তিরুঅনন্তপুরম। প্রায় ১৫০ দিনের যাত্রায় প্রথম থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

  • Yakub Memon: ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    Yakub Memon: ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই বোমা হামলার দায়ে ফাঁসি হয়েছে ডি কোম্পানির (D Company) অন্যতম মাথা ইয়াকুব মেমনের (Yakub Memon)। পরে কবরস্থ করা হয় দেহ। অভিযোগ, সেই ইয়াকুবের কবরের সৌন্দর্যায়ন (Beautification) করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) উদ্ধব ঠাকরের আমলে। এবার সেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল মহারাষ্ট্রেরই একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) সরকার।

    ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ২৫৭ জন। ওই ঘটনায় অন্যতম চক্রী ছিল ইয়াকুব। ঘটনার পরে পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে কার্যকর করা হয় তার প্রাণদণ্ডের আদেশ। তার আগে দু দুবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল সে। দুবারই খারিজ হয়ে যায় তার প্রাণভিক্ষার আবেদন। এহেন কুখ্যাত ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। জানা গিয়েছে, এজন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।

    দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারেই ঢাকা ছিল ইয়াকুবের কবর। মাস কয়েক আগে কবরস্থান সাজানো হয় এলইডি লাইট দিয়ে। বিজেপির অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের আমলেই করবের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই খুলে ফেলা হয়েছে আলো। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিধায়ক রাম কদম বলেন, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আমলেই ইয়াকুবের কবর স্থানকে স্মৃতিসৌধে পরিণত করা হয়েছে। এই ইয়াকুব মেমনই পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। তাঁর প্রশ্ন, এটাই কি তাঁদের (ঠাকরে সরকারের) মুম্বইয়ের প্রতি ভালবাসা? এটাই কী তাঁদের দেশপ্রেম? তাঁর দাবি, উদ্ধব ঠাকরের পাশাপাশি রাহুল গান্ধী এবং শরদ পাওয়ারেরও মুম্বইবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন : শিন্ডেতেই ‘আস্থা’ মহারাষ্ট্রের! শিবসেনার পরিষদীয় নেতাও একনাথ

    বিজেপি নেতারা ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়নের কাজ নিয়ে হইচই করতেই পুলিশ দ্রুত এলইডি লাইট খুলে নেয়। ডিসিপি স্তরের অফিসার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, কবর সৌন্দর্যায়নের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে চিঠি দিয়েছেন শিবসেনা বিধায়করাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SEZ Work From Home: সবাইকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’! সেজ-কর্মীদের জন্য বিশেষ ভাবনা কেন্দ্রের

    SEZ Work From Home: সবাইকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’! সেজ-কর্মীদের জন্য বিশেষ ভাবনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাড়ি থেকে বসে কাজ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। কোভিড পরবর্তী  সময়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ( Work From Home) চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করাচ্ছেন। বহু কর্মী অফিস থেকে নয়,বরং বাড়ি থেকে কাজের পক্ষে সওয়াল করছেন। স্পেশাল ইকোনমিক জোন ( Special Economic Zone) বা সেজের (SEZ) কর্মীরাও তার ব্যতিক্রম নন। তাঁরাও চাইছেন বাড়ি থেকে কাজ করতে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ( Piyush Goyal) জানিয়েছেন তাঁরা বিষয়টা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন।

    আরও পড়ুন: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি, মার্কিন অ্যাঙ্করকে মোক্ষম জবাব শশী থারুরের

    কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন “কোভিডের সময় আমরা  সেজ সেক্টরকে বাড়ি থেকে কাজের অনুমতি দিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে কাজের ফলে আমাদের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল রফতানি পরিষেবা। আমরা আশা করছি, এই বছর রফতানি পরিষেবা আরও বৃদ্ধি পাবে। বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা দেওয়ায় সবাই উপকৃত হয়েছিল। অনেকেই এই পরিষেবা দেওয়ার পক্ষে সওয়ালও করেছে।”

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে ভারত! বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা

    ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও রয়েছেন। সেজ সেক্টরের থেকে অবশ্য ১০০ শতাংশ কর্মীকেই বাড়ি থেকে কাজের দাবি রাখা হয়েছে। কর্মক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে কেন্দ্র সেই বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাড়ি থেকে কর্মীদের কাজ করতে দিলে ছোট শহরগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। ফলে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। তাই কেন্দ্র এ নিয়ে ভাবছে।” কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ দিলে তাতে দেশেরই উপকার হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এখন সেজের আওতায় ৫০ শতাংশ কর্মী সর্বাধিক এক বছর পর্যন্ত বাড়িতে বসে কাজ করতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share