Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • ABVP: এবিভিপি-র আন্দোলনের জের, ধর্মীয় মৌলবাদ ছড়ানোর অভিযোগে দায়িত্ব থেকে সরানো হল ৬ শিক্ষককে

    ABVP: এবিভিপি-র আন্দোলনের জের, ধর্মীয় মৌলবাদ ছড়ানোর অভিযোগে দায়িত্ব থেকে সরানো হল ৬ শিক্ষককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি আইন কলেজের মোট ছ’জন শিক্ষককে সরানো হল দায়িত্ব থেকে। উগ্র মৌলবাদ ছড়ানো এবং দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারের অভিযোগ ছিল ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এই ছ’জনের মধ্যে চারজন শিক্ষক মুসলিম ধর্মাবলম্বী বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত আমারই এক অংশ’, পদ্মভূষণ পেয়ে বললেন সুন্দর পিচাই

    আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের (ABVP) অভিযোগের পর, বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলাকালীন এই শিক্ষকরা পাঁচ দিনের জন্য ক্লাসে পড়াতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ। এবিভিপি কর্মীরা (ABVP), শাসাকিয়া নবীন বিধি মহাবিদ্যালয়ের (সরকারি নতুন আইন কলেজ) ক্যাম্পাসের এই ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। তার জেরেই সরানো হল দায়িত্ব থেকে।   

    আরও পড়ুন: গুজরাটে ভোটদানের হার কম, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?

    এবিভিপি-র বিবৃতি

    কলেজের এবিভিপি ইউনিটের (ABVP) সভাপতি দীপেন্দ্র ঠাকুর, কলেজ অধ্যক্ষ ডঃ ইনামুর রহমানের কাছে একটি অভিযোগ করেন, যে কলেজের কিছু শিক্ষক প্রথম বর্ষের ছাত্রদের মধ্যে “ধর্মীয় মৌলবাদ এবং সরকার ও সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক কথা” প্রচার করেছেন। এবিভিপি-র আরও অভিযোগ, লাভ জেহাদের প্রচারও চালাচ্ছিলেন এই শিক্ষকরা। 

    আরও পড়ুন: ‘সবাই একটাই বিয়ে করবে’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে কমিটি গড়ে বললেন চৌহান

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতি

    কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “এবিভিপি-র  (ABVP) অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে জেলা আদালতের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এই তদন্ত করবেন। তদন্ত যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সেজন্য অভিযুক্ত ছয় শিক্ষককে আগামী পাঁচ দিনের জন্য সমস্ত রকম দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: দেশকে রক্ষা করার জন্য ছাড়লেন আইআইটি-র সুযোগ! জানুন গৌরব যাদবের স্বপ্নপূরণের কাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Uniform Civil Code: ‘সবাই একটাই বিয়ে করবে’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে কমিটি গড়ে বললেন চৌহান

    Uniform Civil Code: ‘সবাই একটাই বিয়ে করবে’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে কমিটি গড়ে বললেন চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করতে কমিটি গঠন করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। বৃহস্পতিবারই এ খবর জানান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। তিনি বলেন, এখন গোটা ভারতে (India) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা উচিত। এদিন বড়োয়ানিতে এক জন সমাবেশে যোগ দেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের সময় এসে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে আমি একটি কমিটি গঠন করছি। তিনি বলেন, সবার জন্য একটিমাত্র বিয়ের সুযোগ থাকবে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি…

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) হল দেশের সব নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং সন্তান দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রেও দেশের সব নাগরিককেই একই আইন মেনে চলতে হবে। ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এর উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রকে।

    এদিনের বক্তৃতার ভিডিও ফুটেজ ট্যুইট করেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার সময় এসেছে। আমি সত্যের পক্ষে। কেন কেউ একাধিক বিয়ে করবে? আমি মধ্য প্রদেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করছি। দিন কয়েক আগে গুজরাটের এক জনসভায় সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংগাভিও বলেছিলেন, রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ, হিমাচলে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নাড্ডার

    এ দেশের একমাত্র গোয়ায় লাগু হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তবে শিবরাজ সিং চৌহান যে দলের মুখ্যমন্ত্রী সেই বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। যেমন ভোটের আগে দেওয়া হয়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাটে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীও এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এও জানিয়েছেন, কাজ চলছে। আগামী ছ মাসের মধ্যে উত্তরাখণ্ডে লাগু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ludhiana: এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার লুধিয়ানা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হ্যাপি

    Ludhiana: এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার লুধিয়ানা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হ্যাপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার লুধিয়ানা আদালত (Ludhiana Court Blast) বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ‘হ্যাপি মালয়েশিয়া’ (Happy Malaysia)। শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) এক কর্তা জানিয়েছেন, রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খলিস্তানি জঙ্গি হরপ্রীত সিং ওরফে হ্যাপি মালয়েশিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালে লুধিয়ানা আদালত চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত হরপ্রীতের মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    গ্রেফতার কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গি হ্যাপি

    হরপ্রীত সিং অমৃতসরের বাসিন্দা৷ তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বব্বর খালসা, খলিস্তান লিবারেশন ফোর্সের মত বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগের প্রমাণ রয়েছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর। এছাড়াও পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠন যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনার মূলচক্রী ছিল এই হরপ্রীত সিং। আজ অবশেষে একে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    এনআইএ সূত্রে খবর, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়েছিলেন এনআইএ-এর আধিকারিকরা যে, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুর থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে আসছিলেন অভিযুক্ত হরপ্রীত। ফলে বিমান থেকে নামতেই তাকে আটক করা হয়।

    কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বোমা বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে উঠেছিল লুধিয়ানা আদালত চত্বর ((Ludhiana)। এতে নিহত হন এক জন ও গুরুতর আহত হন পাঁচ জন। বিস্ফোরণে গগনদীপ নামে এক কনস্টেবল নিহত হয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে যে, পাঞ্জাব পুলিশের বরখাস্ত হওয়া এই কনস্টেবল গগনদীপ সিং এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।

    হরপ্রীতের গ্রেফতারির আগে লুধিয়ানা বিস্ফোরণে ((Ludhiana) এনআইএ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। তারা হল, সুরমুখ সিং সাম্মু, দিলবাগ সিং বাগ্গো এবং রাজনপ্রিত সিং। রাজনপ্রিত বিস্ফোরক এনে গগনদীপ সিং-কে দিয়েছিল। গগনদীপ আদালতের ভিতরে বিস্ফোরক লাগাতে গিয়েই ফেটে মারা যায়।

    গত বছরের ঘটনার ((Ludhiana) পর হরপ্রীত সিং-কে ধরার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এই ঘটনা ছাড়াও হরপ্রীতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় তার নাম রাখা হয়। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের আইএসওয়াইএফ-এর মাথা লখবীর সিং এর সহকারীও এই হরপ্রীত সিং।

  • G20: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি

    G20: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর ধরে জি ২০র (G20) সভাপতিত্ব করবে ভারত। এটা যে ভারতের কাছে সুবর্ণ সুযোগ, তা আগেই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বিশ্বের কাছে রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ – জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারি। এদের মোকাবিলা করতে বিশ্বকে সহযোগিতা করতে হবে।

    জি ২০…

    গত মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হয়েছে জি ২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনেই আগামী জি ২০ সম্মেলনের দায়িত্ব পায় ভারত (India)। আগামী বছর হবে ওই সম্মেলন। বালির ওই সম্মেলন যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। সেখানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ওই যুদ্ধ শুরু হয়। এখনও থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বালির জি ২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে সদস্য দেশগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জি ২০ (G20) প্রেসিডেন্সি। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধের কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের এই যুগ, যুদ্ধের নয়।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা অনেক বড় বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। এগুলি হল, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারি। নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে এগুলির মোকাবিলা করা যাবে না। এর সমাধান করতে হবে একযোগে কাজ করে। তাঁর এদিনের এই মন্তব্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলা কথার প্রতিধ্বনি।  ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে সেপ্টেম্বরে পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন খাদ্য, রাসায়নিক সার এবং মেডিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে অরাজনৈতিকরণের লক্ষ্যে এগোবে ভারত। ভারত এটা করবে কারণ তাতে বিশ্বে কমবে উত্তেজনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেমন আমাদের পরিবারের মধ্যে হয়, যাঁদের প্রয়োজন সব চেয়ে বেশি, তাঁদের সমস্যার সমাধানই আগে করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়বস্তুগুলি নিয়ে কেবল জি ২০ (G20) সদস্য দেশগুলির সঙ্গেই আলোচনা করা হবে, তা নয়। যাঁদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না, তাঁদের সঙ্গেও আলোচনা করব। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গেও কথা বলব। গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিশ্বের নিরাপত্তা নিয়েই আলোচনা করব তাদের সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পলিগ্রাফ টেস্টের পর বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নারকো পরীক্ষাও করা হল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Poonawalla)। আর এই পরীক্ষা চলাকালীনই বেরিয়ে এল একের পর এক সত্য। এদিন সে আবার বলে, “হ্যাঁ, আমিই খুন করেছি শ্রদ্ধাকে।” সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল তাকে রোহিণীর বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে সকালে নিয়ে যাওয়া হয় ও প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে তার নারকো টেস্ট। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আফতাবের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

    আফতাবের নারকো টেস্ট

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল আফতাবকে (Aftab Poonawalla) তিহার জেল থেকে কড়া নিরাপত্তায় বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল প্রায় ৮টা ৪০ মিনিটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ও তাকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর তার নারকো টেস্ট শুরু হয় সকাল ১০টা নাগাদ। এরপর দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর ১টার দিকে ফের তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এফএসএল থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ এবং ফরেনসিক দল তার উত্তর সন্তোষজনক না মনে হয়, তবে আফতাবকে আরেকটি নারকো পরীক্ষার জন্য ডাকা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: শেষ হল পলিগ্রাফ পরীক্ষা, ডিসেম্বরের শুরুতেই আফতাবের নারকো টেস্ট?

    নারকো টেস্টে কী কী বলল আফতাব?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নারকো পরীক্ষায় অবচেতন মনে শ্রদ্ধাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আফতাব (Aftab Poonawalla)। পলিগ্রাফ টেস্টের মত এই টেস্টেও সে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পরীক্ষার সময় আফতাব দাবি করেছে, রাগ ও ক্ষোভের বশেই সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৭টি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হত্যার পর সেই সব অস্ত্র সে কোথায় ফেলেছে, তাও জেরায় জানিয়েছে আফতাব। শ্রদ্ধার মোবাইল ও জামাকাপড় কোথায় ফেলেছে, তাও এদিন জানিয়েছে আফতাব।

    আরও জানা গিয়েছে, গতকাল আফতাবের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো ছিল ফলে পুনাওয়ালার নারকো পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। পুলিশ কমিশনার সাগর প্রীত হুডা জানিয়েছেন, নারকো টেস্টের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ও  পরীক্ষার পরেও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তবে আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পলিগ্রাফ টেস্ট বা নারকো টেস্টই যথেষ্ট নয়, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, যদি তার পলিগ্রাফ এবং নারকো বিশ্লেষণের ফলাফল অনিশ্চিত হয়, তবে তারা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেইন ম্যাপিং করাতে পারে। ফলে পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিং করার জন্য আদালতের অনুমতি চাইতে যেতে পারে তারা। পরে আর কোনও নারকো টেস্ট হয় কিনা আফতাবের (Aftab Poonawalla) বা টেস্ট হলেও নতুন কোন তথ্য সামনে বেরিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার।

  • BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ড্রোন তৈরির ইতিহাসে নয়া সংযোজন। বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারত-পাক সীমান্তে শুরু হয়েছে শত্রুপক্ষের ড্রোনের উৎপাত। আর এবারে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ড্রোনকে ধ্বংস করতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরী করা হচ্ছে। সীমান্তরক্ষীদের ব্যবহারের জন্য ভারতে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ড্রোন। এদিন বিএসএফ (BSF) থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে, তা অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় অনেক গুণ ভালো ও শক্তিশালী।

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন

    বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) থেকে বলা হয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনগুলি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক বহনকারী ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। চলতি বছরে এই বিশেষ ড্রোন প্রায় ১৬ টির মত অনুপ্রবেশকারী ড্রোনকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

    বিএসএফ-এর (BSF) ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং বলেন, “ড্রোন একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ যদিও আমরা সীমান্তে একটি অ্যান্টি-ড্রোন সেট আপ করেছি, তবে আমাদের এমন কোনও সেটআপ নেই যা পুরো পশ্চিমাঞ্চলকে কভার করে৷ আমরা অনেক ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছি৷ আগামী দিনে, আমরা এই নতুন প্রযুক্তিটি আরও অনেক এলাকায় ব্যবহার করতে পারি।”

    তিনি আরও বলেছেন, এমন ড্রোনও তৈরি করা হচ্ছে যা কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফেলতে পারে। তিনি বলেন, “টেকানপুরে, আমাদের টিয়ার-গ্যাস ইউনিট এই ধরণের ড্রোন তৈরি করেছে যেগুলি পাঁচটির মতো শেলও বহন করতে পারে, এবং শেলগুলিকে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত, এই প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র তৈরি করা হয়েছে এবং কোনও সেনাবাহিনীদের দেওয়া হয়নি।

    আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    বিএসএফ-এর (BSF) মতে যেসব ড্রোন সাধারণত ব্যবহার করা হয় তা চিনে তৈরি ও ব্যয়বহুলও। ফলে বিদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনের থেকে দেশীয় প্রযুক্তির ড্রোন অনেক নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও এগুলো ভালোভাবে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। তাই তারা এখন থেকে দেশের তৈরি ড্রোন তৈরিতেই বেশি নজর দিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো ঘন কুয়াশাতেও যাতে কাজ করতে পারে ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস শনাক্ত করতে পারে, সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এই ড্রোনগুলো দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কড়া নজর রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, সীমান্তে প্রায় ৫,৫০০ ক্যামেরা লাগাতে চলেছেন তাঁরা। আর এসবের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে অস্ত্রশস্ত্র, মাদক, জাল টাকা পাঠানো হচ্ছে ভারতে। আকাশপথে তার মোকাবিলা করার প্রযুক্তি এতদিন ভারতের অধরা থাকলেও এবারে অনুপ্রবেশকারী পাক ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে আসতে চলেছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন।

  • Himanta Biswa Sarma: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেধাবীদের স্কুটার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেধাবীদের স্কুটার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের স্কুটার বিলি করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের হাতে ওই স্কুটার (Scooter) তুলে দেন তিনি। প্রয়াগ ভারতী প্রকল্পের অধীনে দেওয়া হয়েছে ডাঃ বাণীকান্ত কাকাতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড। চলতি বছর সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৬ হাজার ৫২ জন। আর ছাত্রীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৪৮ জন।

    পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা…

    তবে মুফতে মেলেনি এই পুরস্কার। এজন্য পুরস্কার দাতাদের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল মাণদণ্ড। যেসব ছাত্র অসম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিল থেকে ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাঁদেরই হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্কুটার। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে নম্বরের গণ্ডি ছিল ৬০ শতাংশ। এদিন মূল অনুষ্ঠানটি হয় কামরূপ জেলায়। কামরূপ মেট্রোপলিটনের পড়ুয়াদের হাতে স্কুটারের চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। অসম সরকারের এক আধিকারিক বলেন, বাকি পুরস্কার প্রাপকের হাতে স্কুটারের চাবি তুলে দেওয়া হবে চলতি বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে।

    এদিনের অনুষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক মাইলস্টোন তাঁদের জীবনে, যাঁরা ডাঃ বাণীকান্ত কাকাতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রাপকদের তালিকা তৈরি করেছেন। এটা সমাজের তরফে একটা উপহার এবং আশীর্বাদ তাঁদের, যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছেন।

    আরও পড়ুন: অসম-মেঘালয় সীমান্তে মাফিয়া-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ৬, বন্ধ ইন্টারনেট

    হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) বলেন, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বিকাশের মূল মন্ত্র হয়ে উঠবে ডিজিটাইজেশন। তাই ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, এতে কী হবে, কোনও এক ব্যক্তি চাকরি খোঁজার চেয়ে অন্যদের চাকরি দেবেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা মেধাবী, তাঁদের সব সময় লক্ষ্য হওয়া উচিত আকাশছোঁয়া। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা যদি নিজেদের গ্রেড ৩ কিংবা গ্রেড ৪ এর চাকরিতে বেঁধে ফেল, তাহলে তা হবে তোমাদের মেধার অপব্যবহার। আগামী বছর থেকে মেধাবীদের ইলেকট্রিক স্কুটার দেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর মতে, এতে জ্বালানির খরচ কমবে। আরও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানান হিমন্ত। তিনি জানান, যেসব ছাত্রী স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হবেন, তাঁদের বছরে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • KCR Daughter: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    KCR Daughter: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির তদন্ত এখন তেলঙ্গানায় পৌঁছেছে। আর এই কেলেঙ্কারি মামলায় নাম উঠে এসেছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়ে কে. কবিতার নাম। আজ ইডি তাদের রিপোর্টে কে কবিতার বিষয়ে এই তথ্য জানান। শুধু তাই নয়, ইডি এদিন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এর কন্যার (KCR Daughter) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে কবিতা প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে আম আদমি পার্টি-কে।

    দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে নাম এসেছে কেসিআর কন্যার

    এই মামলায় গত মঙ্গলবার গুরুগ্রাম থেকে ব্যবসায়ী অমিত অরোরাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এরপর ধৃত অমিত অরোরার বক্তব্যের ভিত্তিতে দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি দাবি করেছে যে, কেসিআরের মেয়ে কে কবিতা “সাউথ গ্রুপ” এর একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন ও তিনি অন্য এক ধৃত ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের মাধ্যমে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর স্থানীয় আদালত মদ কোম্পানি বাডি রিটেইল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক অমিত অরোরাকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতে পাঠায়।

    কেন্দ্রীয় সংস্থা একটি রিপোর্টে দাবি করেছে যে আপ নেতারা, যাদের মধ্যে কিছু সরকারে রয়েছেন, তাঁরা দিল্লির আবগারি নীতিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের খরচে অবৈধ তহবিল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করতেন। এছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে যে, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এক পিএ সহ ব্যবসায়ী, খুচরো মদ বিক্রেতা এবং আমলা মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন ডিজিটাল প্রমাণ লোপাটে ১৭০ টি মোবাইল সেট ধ্বংস করেছে।

    আবগারি নীতি দুর্নীতি

    গত বছরের ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে নতুন আবগারি আইন চালু করা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন দোকান ও সংস্থাকেও মদ তৈরি ও বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা এই আবগারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই জুলাই মাসে ওই নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ও পুরনো নীতিই চালু করা হয়। এক্ষেত্রে বিজেপিও সরব হয়েছিল ও অভিযোগ করেছিল, নতুন আবগারি নীতিতে আপ সরকার নিজেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকেই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। পরে আবগারি নীতির দুর্নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ একাধিক আমলার নাম জড়িয়েছে। দিল্লির আবগারি আইন নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রশ্ন তোলার পরই তদন্ত শুরু করে  সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এফআইআরের ভিত্তিতেই আর্থিক তছরুপের মামলায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এরপরেই ইডি কেসিআর কন্যা (KCR Daughter) কে কবিতার নামও উল্লেখ করল। আর এই অভিযোদ আসার পরেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর মেয়ে বলেছেন, “আমরা ইডিকে স্বাগত জানিয়েছি এবং তাঁদের সাথে সহযোগিতা করব।”

  • Bypoll Results: মুখ পুড়ল নীতীশের, কুরহানিতে জয়ী বিজেপি, আজম ‘গড়ে’ও ফুটল পদ্ম

    Bypoll Results: মুখ পুড়ল নীতীশের, কুরহানিতে জয়ী বিজেপি, আজম ‘গড়ে’ও ফুটল পদ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ নির্বাচনের ফলে (Bypoll Results) মুখ পুড়েছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)! একই দশা অখিলেশ যাদবেরও! নীতীশ এবং অখিলেশের গড়ের রাশ এবার এল বিজেপির (BJP) হাতে। উত্তর প্রদেশের রামপুর কেন্দ্রটি সমাজবাদী পার্টি (SP) নেতা আজম খানের (Azam Khan) গড় হিসেবেই পরিচিত। এখানেই এবার উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে সমাজবাদী পার্টি। জয়ী হয়েছে বিজেপি।

    বিজেপি প্রার্থী…

    তার পরেই নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ তুললেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মে দলের তরফে পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সপা সুপ্রিমো অখিলেশ। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগও করেছেন তিনি। ২০০২ সাল থেকে রামপুর কেন্দ্রের রাশ রয়েছে সপার হাতে। এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক আজম খান ও তাঁর পরিবার ১৯৮০ সাল থেকে একবার বাদে প্রতিবার জয়ী হয়েছেন। একটি মামলায় জেলবন্দি আজম খান বিধায়ক পদ খোয়ানোয় উপনির্বাচন হয় এই কেন্দ্রে। সেখানেই হেরে যান সপা প্রার্থী আজম ঘনিষ্ঠ আসিম রাজা। শেষ হাসি হাসেন বিজেপি প্রার্থী আকাশ সাক্সেনা।

    আরও পড়ুন: এক পদ, দাবিদার ৪, হিমাচলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কে?

    রামপুর কেন্দ্রে জয়কে বড় পাওনা হিসেবেই দেখছে বিজেপির একটা অংশ। এই কেন্দ্রের ভোটারদের বড় অংশই মুসলিম। এই কেন্দ্রে এর আগে কখনও জেতেনি বিজেপি। ১৯৮০ থেকে পরের তের বছর বিভিন্ন দলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন আজম। ২০০২ সাল থেকে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তিনি কিংবা তাঁর আত্মীয়রা। এদিকে, বিহারে মহাজোটের হাত ধরার পর এই প্রথমবার ধাক্কা খেল নীতীশ কুমার। বিহারের কুরহানি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে নীতীশের দল জেডিইউয়ের শরিক দল আরজেডি প্রার্থী অনিলকুমার সাহানি। এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কেদার গুপ্তা। জেডিইউ প্রার্থী মনোজ খুশওয়াকে ৩ হাজার ৬৬২ ভোটে পরাজিত করেছেন কেদার।

    প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার কুরহানি কেন্দ্রে হার স্বীকার করতে হল নীতীশের দলকে। কিছুতেই এই আসনটির রশি হাতে নিতে পারেনি তারা। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোটে শামিল হওয়ার পর থেকে নীতীশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই আসনটি দখল করা। কিন্তু সেখানেই চরম ব্যর্থ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Badruddin Ajmal: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    Badruddin Ajmal: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম রাজ্য মহিলা কমিশন বৃহস্পতিবার এআইইউডিএফ প্রধান তথা ধুবরির লোকসভা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলকে (Badruddin Ajmal) একটি নোটিশ জারি করে হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে তার বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। আজমলকে দেওয়া নোটিশে কমিশন বলেছে, রাজনীতিবিদকে তিন দিনের মধ্যে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে, তা না হলে তাকে কমিশনে হাজির হতে হবে। হিন্দু মহিলাদের বিয়ের বয়স সম্পর্কে তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অসামাজিক, যৌনতাবাদী, আপত্তিকর এবং অনৈতিক বলে অভিহিত করেছে কমিশন।

    আজমল (Badruddin Ajmal) ইতিমধ্যেই হিন্দু ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়স এবং বিয়ের আগে তাদের আচরণ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে প্রচুর সমালোচিত হয়েছেন। অনেকে আজমলের উর্বর জমির সঙ্গে নারীর তুলনা করাতেও আপত্তি জানিয়েছেন। হিন্দু মহিলাদের কম বয়সেই বিয়ে করা উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন তিনি। এআইইউডিএফ প্রধানের মতে, বিয়ে এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দু মহিলাদের উচিত মুসলিম ‘ফরমুলা’ অনুসরণ করা।

    আরও পড়ুন: আজ মধ্যরাতেই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস, লাল সতর্কতা জারি তামিলনাড়ুতে

    কী সেই মন্তব্য? 

    গত সপ্তাহে বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) বলেন, “সরকারের নির্দেশ এবং আইন মেনে, ১৮ বছরেই মুসলিম মেয়েরা এবং ২১ বছরের ছেলেরা বিয়ে করেন। কিন্তু, হিন্দুরা ৪০ বছরের আগে বিয়ে করেন না। যদিও তার আগে তারা ২-৩টি অবৈধ সম্পর্ক এবং স্ত্রী রাখেন। সেই সময়ে কোনও সন্তানের জন্ম দেন না, খরচ বাঁচান। তারপরে পরিবারের চাপে বিয়ে করেন। ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করে কী পাবেন? আপনার কী করে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে?” আজমলের আরও বলেন, “১৮-২০ বছর বয়সে মেয়েদের এবং ২১ বছরেই ছেলেদের বিয়ে হওয়ার কারণেই মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিন্দুদের উচিত বিয়ের ক্ষেত্রে ‘মুসলিমদের ফর্মুলা’ ব্যবহার করা। কারণ, বাঁজা জমিতে ফসল উৎপাদন হয় না। ভাল ফসল হয় একমাত্র উর্বর জমিতে।”

    আজমলের (Badruddin Ajmal) এই মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। আজমলের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে বিজেপি। অসমের বিজেপি বিধায়ক ডি কালিতা সতর্ক করে বলেন, “এই ধরনের অপমানজনক কথা হিন্দুরা কোনও মতেই মেনে নেবে না। এই রকম অপমানজনক কথার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এবার থেকে সংযত থাকুন। আর তা করতে না পারলে বাংলাদেশ চলে যান। এটা ভগবান রাম এবং মা সীতার দেশ। এখানে বাংলাদেশিদের কোন জায়গা নেই। আপনি একজন মুসলিম এবং আমরা হিন্দু। আমাদের আপনার এবং আপনাদের কাছে শিখতে হবে না।”

    সে রাজ্যের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেন, “বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) চাইছেন সবাই ১৫-২০টা করে সন্তান জন্ম দিক। তারপরে তারা অশিক্ষিত হয়ে থাকবে, আর চুরি করবে। তারপরে ধনীরা যেন তাদের শোষণ করতে পারে।” আজমলের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। 

    যদিও এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ক্ষমা চেয়ে নেন আজমল (Badruddin Ajmal) । তিনি বলেন, “আমি কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। তবে, যদি আমার মন্তব্য কারোর আবেগে আঘাত করে থাকে তাহলে আমি আমার বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share