Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: মোদিই সব চেয়ে বড় ভোট ক্যাচার, কেন জানেন?

    PM Modi: মোদিই সব চেয়ে বড় ভোট ক্যাচার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড গড়ে ফের গুজরাটের (Gujarat) রশি এসেছে বিজেপির (BJP) হাতে। গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে পদ্ম শিবির জয়ী হয়েছে ১৫৬টিতে। বিজেপি ঝড়ে কার্যত দুরমুশ হয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। এর যাবতীয় কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দিচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব। মোদি নিজেও স্বীকার করেছেন, ভূপেন্দ্রকে জেতাতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে নরেন্দ্রকে। প্রশ্ন হল, কেন মোদিই বৃহত্তম ভোট ক্যাচার?

    গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে...

    দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে। ১২ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন ওই পদে। পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দিল্লি চলে যান। তাঁর নেতৃত্বেই দু দুবার দিল্লির তখতে বসে বিজেপি। এর প্রধান কারণ মোদির নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে যখন ধুঁকছিল গোটা বিশ্বের অর্থনীতি, তখনও ভারতের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হয়নি। সাময়িক টাল খেয়েছে বটে, তবে ফের তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যার জেরে গোটা বিশ্বে ভারতের অর্থনীতির ঠাঁই হয়েছে পঞ্চম স্থানে। এতদিন যে স্থান দখল করেছিল ব্রিটেন।

    মোদির (PM Modi) সুশাসনও তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। গুজরাট হিংসায় নাম জড়িয়েছিল মোদির। পরে আদালতে কলঙ্কমুক্ত হন তিনি। ওই হিংসার সময়কার পরিস্থিতিও দক্ষ হাতে সামলেছেন মোদি। অন্যান্য রাজ্যে যেখানে বেকারত্ব বেড়েছে চড়চড়িয়ে, সেখানে মোদির গুজরাটে তা কমেছে দিনের পর দিন। এর পর কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী হন মোদি। তাঁর নেতৃত্বেই হয়েছে দেশে একের পর এক উন্নয়ন। বেকারত্ব সমস্যার সমাধানও হয়েছে আগের সরকারের তুলনায় ঢের বেশি পরিমাণে। মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে বিজেপি রয়েছে প্রায় সাত বছর। এই সময়সীমায় একটাও দাঙ্গা দেখেনি দেশ। সর্বোপরি, বিশ্বের দরবারে নানা সময় উজ্জ্বল হয়েছে দেশের মুখ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোদি আর ভারত হয়েছে সমার্থক। এর নেপথ্য নায়ক সেই মোদিই।

    আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    মোদির (PM Modi) ক্যারিশ্মাও তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ। সেই কারণেই তিনি ভোট পান সমাজের উচ্চতম শ্রেণির পাশাপাশি সমাজের দরিদ্রতম অংশেরও। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের কাছে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। মোদির জনপ্রিয়তার কাছে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বড়ই ম্লান। এসব কারণেই দিনের পর দিন বাড়ছে বিজেপির জনপ্রিয়তা। দুর্বল হচ্ছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    Narendra Modi: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে বিজেপির আজ ঐতিহাসিক জয়। জয় নিশ্চিত হতেই গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিল এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুই জনকেই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তিনি। আজকের এই রেকর্ড জয়ের খুশীতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আজ গুজরাটের দলের প্রত্যেক কর্মীকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ বলে সম্বোধন করেছেন। কারণ গেরুয়া শিবির এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। ফলে তিনি তাঁর আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে তিনি ট্যুইট করে তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন।

    ট্যুইটে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ট্যুইট করে লিখেছেন, “গুজরাট বিজেপির সমস্ত পরিশ্রমী কার্যকর্তাদের আমি বলতে চাই – আপনারা প্রত্যেকেই একজন চ্যাম্পিয়ন! এই ঐতিহাসিক জয় আমাদের দলের প্রকৃত শক্তি, আমাদের কার্যকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনওই এটি সম্ভব হত না।”

    এরপরে তিনি (Narendra Modi) গুজরাটবাসীদের উদ্দেশেও বার্তা দিলেন ট্যুইটের মাধ্যমে। নির্বাচনের ফলাফলের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’র কাছে ‘প্রণাম’ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “ধন্যবাদ গুজরাট। অভূতপূর্ব নির্বাচনের ফলাফল দেখে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এই ফলাফল দেখে আমি আপ্লুত। মানুষ উন্নয়নের রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছে এবং একই সঙ্গে এই উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে চায় বলে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে জনগণ। আমি গুজরাটের জনশক্তির কাছে প্রণাম জানাই।”

    আরও পড়ুন: ফের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সোমবার শপথগ্রহণ, উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ

    হিমাচলবাসীদেরও ধন্যবাদ জানালেন মোদি

    এদিন হিমাচল প্রদেশে আশানুরুপ ফল না করতে পারলেও হিমাচল প্রদেশের মানুষকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। আলাদা ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিজেপির প্রতি ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য হিমাচল প্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। রাজ্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভবিষ্যতে আমরা আরও পরিশ্রম করব। মানুষের সমস্যাগুলির কথা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে তুলে ধরব।”

    উল্লেখ্য, ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯২ আসন। গত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৯৯টি আসন। তবে এবার বিজেপি ১৫৮ আসনে জয়ী। দীর্ঘ ২৭ বছরে এত ভোট বা আসন পায়নি বিজেপি। অন্যদিকে আপ ও কংগ্রেস পদ্ম শিবিরের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদিন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। ফলে এই ঐতিহাসিক জয়ের পর নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) হওয়ার পথ আরও মসৃণ হয়ে গেল বলেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

  • Gujarat Election:  ধোনির স্টাইলে ফিনিশ! পিছিয়ে পড়েও বড় ব্যবধানে জয়ী রবীন্দ্র জাদেজার পত্নী রিভাবা

    Gujarat Election: ধোনির স্টাইলে ফিনিশ! পিছিয়ে পড়েও বড় ব্যবধানে জয়ী রবীন্দ্র জাদেজার পত্নী রিভাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী পিচে প্রথমবার নেমেই জামনগর উত্তর কেন্দ্রে দুর্দান্ত জয় পেলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা। ৩ বছর আগে বিজেপিতে যোগ দেন রবীন্দ্র পত্নী রিভাবা। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই ৮৩ হাজার ভোট পেলেন জামনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থী। গুজরাট নির্বাচনের ফল বেরনোর আগেই রোড শো শুরু করলেন রিভাবা জাদেজা। 

    বড় জয় রিভাবার

    ভোটে জয় প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পর এদিন সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘যারা আনন্দিত হয়ে আমাকে প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছেন, আমার জন্য কাজ করেছেন, মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন আমারা বার্তা নিয়ে – আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এটা শুধু আমার নয়, আমাদের সবার জয়।’ প্রথমবার নির্বাচনের ময়দানে পা রেখেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার করতে নেমেছিলেন পরিবারে নিকটাত্মীয়রাই। কেন পরিবারের বিরুদ্ধ মতাদর্শের দলে যোগদান করেছেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সমস্ত সমস্যা আর সমালোচনাকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে দিলেন তিনি। প্রথম থেকেই রিভাবার স্পষ্ট কথা ছিল, এটা আদর্শের লড়াই। পরিবারের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই। যেই দলকে যে সমর্থন করে তাঁর হয়ে সে প্রচার করছে। পাশাপাশি তিনি ধারাবাহিক ভাবে এও বলে এসেছেন যে রবীন্দ্র জাদেজা তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন।মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী রিভাবা এর আগে রাজস্থানে কর্নি সেনার হয়ে কাজ করেছেন। তবে এই প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে পথ চলা শুরু হবে রিভাবার। 

    জামনগর বিধানসভা এলাকায় নাগরিকদের মধ্যে একাধিক কাজ করেন রিভাবা। তাঁর কাজে খুশি হয়েই বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly Election) তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজাকে সরিয়ে রিভাবাকে প্রার্থী করা হয়। ভোটে নিকটতম প্রার্থী কংগ্রেসের বিপেন্দ্রসিং চতুরসিং জাদেজাকে তিনি ৪০,৯৬৩ ভোটের বড় ব্যবধানে পরাস্ত করলেন। তবে, গণনার শুরুতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। জামনগর উত্তর বিধানসভার নির্বাচনে আপের কর্ষণভাই কামরুর এবং কংগ্রেসের বিপেন্দ্রসিং চতুরসিং জাদেজার পিছনে তিন নম্বরে ছিলেন তিনি। তবে, ঠিক এমএস ধোনি স্টাইলে ‘ফিনিশ’ করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা রিভাবা।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

  • Kerala High Court: “কেন শুধুমাত্র মহিলাদের রাতে তালাবন্ধ করে রাখা হবে, পুরুষদের কেন নয়?” প্রশ্ন কেরল হাইকোর্টের

    Kerala High Court: “কেন শুধুমাত্র মহিলাদের রাতে তালাবন্ধ করে রাখা হবে, পুরুষদের কেন নয়?” প্রশ্ন কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন শুধুমাত্র মেয়েরা এবং মহিলাদের রাতে “লক আপ” বা তালাবন্ধ করে রাখা হবে? রাজ্যের ছেলে বা পুরুষদের মত তাদের কেন স্বাধীনতা দেওয়া হবে না? এমনটাই প্রশ্ন করল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। ৭ ডিসেম্বর, বুধবার হস্টেলে কারফিউ জারির সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে, কোঝিকোড়ের মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ এমবিবিএস ছাত্রীর করা আবেদন বিবেচনা করার সময় এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে কেরল হাইকোর্ট। হস্টেলে মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য কারফিউ জারি করার কেরল সরকারের আদেশের উপর প্রশ্ন করলেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন।

    ঘটনাটি ঠিক কী?

    ২০১৯ সালে কেরল সরকার, সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির হোস্টেলের ছাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ সরকারি আদেশ জারি করেছিল। সেই আদেশে কোনও কারণ ছাড়াই রাত ৯.৩০টার পর হস্টেলে ছাত্রীদের প্রবেশ এবং প্রস্থান নিষিদ্ধ করেছিল। সেই সঙ্গে ছাত্রীদের পড়াশোনা করার এবং স্টাডি হল ব্যবহার করার নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিয়েছিল। এই শর্তগুলি মানলে তবেই ছাত্রীরা হস্টেল পেতে পারেন, এমন শর্ত আরোপ করা হয়। আর কেরল সরকারের এই আদেশকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ওই পাঁচ ছাত্রী। তাঁদের দাবি, কেরল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস অ্যাক্টের ৪২ নম্বর ধারার অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি আরোপ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    বিচারপতি কী বললেন?

    গতকাল এই মামলার শেষ শুনানিতে বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের একক-বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, মহিলা হস্টেলে কারফিউ জারি করে কোনও উদ্দেশ্য পূরণ করা যাবে না। রাতকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। সরকারের উদ্দেশে বলা হয়েছে, এমন কারফিউ জারি না করে, এটি নিশ্চিত করা উচিত যে, রাতে বাইরে বেরনো যাতে সবার জন্য নিরাপদ হয়। আবার তিনি প্রশ্ন করেন যে, কেন শুধুমাত্র মহিলা বা মেয়েদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন এবং ছেলে বা পুরুষদের কেন নয়? কেন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে মহিলাদের জন্য রাত ৯:৩০ মিনিটের পর কারফিউ জারি করা হয়েছে?

    বিচারপতি রামচন্দ্রন আরও বলেন, “মেয়েদেরও এই সমাজে থাকতে হবে। রাত সাড়ে ন’টার পর মেয়েরা বেরলে কি পাহাড় কি ধসে পড়বে? ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের দায়বদ্ধতা রয়েছে। পুরুষদের তালাবদ্ধ করে রাখুন। কারণ তারাই ঝামেলা করে। রাত ৮টার পর পুরুষদের জন্য কারফিউ জারি করুন। মহিলাদের বের হতে দিন।”

    এরপর বিচারপতি এই কলেজের ছাত্রীদের অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেছেন, “সব বাবা-মাই যখন চান তাঁদের মেয়েদের বন্দি করে রাখা হোক, তখন সরকার কীভাবে তা না বলতে পারে? তবে রাজ্যের আর কোনও হস্টেলে তো কারফিউ জারি করা হয়নি, তবে সেখানে বসবাসকারী ছাত্রীদের কি বাবা-মা নেই?” তাই তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিধি-নিষেধ আরোপ করায় কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যাই নিয়ম করা হোক না কেন, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার জন্য যাতে সমান হয়। রাজ্য এবং সরকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মেয়েদের এবং মহিলাদের আটকে রাখার পরিবর্তে তাদের নিজেদের যত্ন নেওয়ার জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে।

  • NJAC: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    NJAC: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন (NJAC) আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে মানুষের রায়কে উপেক্ষা করেছে শীর্ষ আদালত। রাজ্যসভা অধিবেশনের প্রথম দিন এমনটাই বললেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    চলতি বছর অগাস্টে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন জগদীপ ধনখড়। এই শীতকালীন অধিবেশনেই প্রথমবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করার পরেই ধনখড় তাঁর প্রথম ভাষণে বলেন, “শীর্ষ আদালতের এনজেএসি (NJAC) আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত, সংসদীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে গুরুতর আপস এবং জনগণের আদেশ উপেক্ষার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।” তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসদে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এটাই আশ্চর্যের।” 

    আরও পড়ুন: ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও

    তিনি বলেন, “রাজ্যসভা এবং লোকসভার একত্রিত হয়ে জনগণের আদেশ (NJAC) পালন করাই প্রধান দায়িত্ব। তারা এই সমস্যাটির সমাধান করতে বাধ্য এবং আমি নিশ্চিত যে দুই হাউজ তাই করবে।”

    তিনি আরও বলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে (NJAC) দেশের শীর্ষ আদালত ‘অসাংবিধানিক’ বলছে, এমন নজির বিশ্বে আর নেই!” তাঁর প্রশ্ন, “সংসদে পাশের পরেও জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইনকে সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। তখনই কেন প্রশ্ন তুলল না আইনসভা?”

     

    আলোচনায় এনজেএসি 

    উল্লেখ্য,  কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে বহু দিন ধরেই। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত ওই কলেজিয়ামই সম্ভাব্য বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করে। তার পরে সেই নামগুলি বিবেচনা করে সরকার। কলেজিয়ামের পুনর্বিবেচনার জন্য সরকার নাম ফেরত পাঠাতে পারে। কিন্তু কলেজিয়াম (NJAC) সেই নামগুলি ফেরত পাঠালে সরকার তা মানতে বাধ্য। 

    ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে দীর্ঘ দুই দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে নতুন আইন এনেছিল। কলেজিয়ামের বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (NJAC) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই উদ্দেশে সংসদ ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় বিলও পাশ করানো হয়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এনজেএসি গড়ার ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে কলেজিয়াম প্রথাকেই বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু কলেজিয়াম (NJAC) পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, কলেজিয়ামের মধ্যে যে নিয়োগ হচ্ছে, তাতে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। আর এরপরেই ফের এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।     

  • ICMR: আইসিএমআর-এর সাইটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা! কিন্তু ব্যর্থ হ্যাকাররা

    ICMR: আইসিএমআর-এর সাইটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা! কিন্তু ব্যর্থ হ্যাকাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি এইমস-এর পর এবারে হ্যাকিং-এর চেষ্টা আইসিএমআর-এও (ICMR)। তবে শেষপর্যন্ত সফল হয়নি হ্যাকাররা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একদিনে ৬ হাজার বার আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইট হ্যাক করতে চাইলেও ব্যর্থ হয় হ্যাকাররা। গত ৩০ নভেম্বর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ হাজার বারের বেশি আইসিএমআর-এর সাইটে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল হ্যাকাররা। কিন্তু সাইট হ্যাক করতে কালঘাম ছুটল তাদের।

    আইসিএমআর-এর ওয়াবসাইটে হ্যাকারদের হানা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (ICMR) সাইট এতবার হ্যাক করার চেষ্টা করা হলেও হ্যাকাররা ব্যর্থ হয়। কারণ ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য নিরাপদে রয়েছে। এই ওয়েবসাইটের তথ্য পর্যবেক্ষণে রাখে NIC Data Center। এইসব ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য যে ফায়ারওয়াল দেওয়া হয় সেটাও নিয়মিত ভাবে আপডেট করে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার। সুতরাং, ওয়েবসাইটের ফায়ারওয়াল ছিল আপডেটেড। এ ছাড়াও সমস্ত নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থাও যথাযথ ভাবে মেনে চলা হয়েছিল। তাই হ্যাকারদের হাজার প্রচেষ্টা বিফলে যায়। ফলে স্বস্তির খবর এটিই যে এতবার হ্যাকাররা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার পরেও সবকিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এইমস সাইবার হানা, ৩ কোটি মানুষের তথ্য এখনও বিপদে, ২০০ কোটির দাবি হ্যাকারদের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের এক কর্তা জানিয়েছেন, হংকংয়ের একটি কালো তালিকাভুক্ত আইপি ঠিকানা থেকে ওই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। আপাতত আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইটের সুরক্ষা আরও বাড়ানোর কাজ চলছে।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই দিল্লি এইমস-এর ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল। খোয়াতে হয়েছিল প্রচুর তথ্য। ব্যাপক প্রভাব পড়ে পরিষেবায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, টানা ১০ দিন সার্ভার বন্ধ রেখে ম্যানুয়ালি কাজ করা হয়। ফলে এইমসের সার্ভারে বেশ বড়সড় হ্যাকার হানা হয়েছিল। আবার গত ৪ ডিসেম্বর, দিল্লির এইমসের মূল ভবনের উল্টো দিকের সফদরজং হাসপাতালের সার্ভারও হ্যাক করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ঠিক করে নেওয়া হয়।

    তবে যাইহোক, আইসিএমআর-এর (ICMR) ওয়েবসাইট এতটাই সুরক্ষিত যে, হ্যাকাররা ৬ হাজার বারের বেশি চেষ্টা করলেও তা বিফলে যায়। কোনও তথ্যই হাতিয়ে নিতে পারেনি হ্যাকাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nirmala Sitharaman: ‘বড় মাছদের জালে তুলুন’, মাদক পাচার রুখতে দাওয়াই নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: ‘বড় মাছদের জালে তুলুন’, মাদক পাচার রুখতে দাওয়াই নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় মাছদের জালে তুলুন। রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের অনুষ্ঠানে গোয়েন্দা কর্তাদের একথা বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। আজ, মঙ্গলবার ওই অনুষ্ঠান হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিরাট পরিমাণে কোকেন আসছে দেশে। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন, এর অর্থ কি ভারতের (India) মধ্যে দিয়ে এখন আর চোরাচালান হচ্ছে না? ভারতেই কেবল কোকেন সেবন বেড়েছে?

    নির্মলা উবাচ…

    এদিন মন্ত্রী রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান যাতে করে  এই মাদক পাচারের (Drug Trafficking) নেপথ্যে কারা রয়েছে সেই বড় চাঁইদের নাগাল পাওয়া যায়। তিনি বলেন, মাদক পাচারকারী, যারা বিক্রি করছে, তাদের ধরছেন। কিন্তু পর্দার পিছনে থাকা বড় মাছদের ধরতে পারছেন কি?

    কেবল মাদকই পাচার হচ্ছে না, মাদকের সঙ্গে সঙ্গে সোনাও পাচার হচ্ছে। মাদক, সোনা পাচার রুখতে রাজস্ব গোয়েন্দাদের সক্রিয় হতে বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, প্রতি বছর ৮০০ কেজি করে সোনা ধরা পড়ছে। সাধারণত বলা হয়, আমদানি শুল্ক বাড়লে সোনা পাচার বাড়ে। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে আদৌ সম্পর্ক রয়েছে কিনা, নাকি সোনা পাচার নিজস্ব নিয়মে চলছে, তা দেখা দরকার।

    প্রসঙ্গত, রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৪০৫ কোটি টাকার সোনা আটক করা হয়েছে। পশ্চিম এশিয়া থেকে এখন সোনা আসছে মায়ানমার থেকে, মণিপুর দিয়ে। জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৩ হাজার ৪৬৩ কেজি হেরোইনও বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৮৩৩ কেজি। আর কোকেন উদ্ধার হয়েছিল ৩২১ কেজি।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, অপরাধ চক্র দ্রুত বদলাচ্ছে। তারা সোনা, মাদক পাচারের নতুন নতুন পন্থা বের করছে। তিনি বলেন, আপনারা ছোট ছোট ব্যবসায়ী, পাচারকারীদের ধরছেন। তাঁর প্রশ্ন, এটাই কী যথেষ্ট? সীতারামণ বলেন, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হলে এটা যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন পাচারের নেপথ্যে যেসব বড় বড় চাই রয়েছে, তাদের ধরা। তিনি বলেন, যতক্ষণ না আপনারা কয়েকটা বড় মাথাকে ধরতে পারছেন, ততক্ষণ মানুষের মনে প্রশ্নটা থেকেই যাবে, কারা করাচ্ছে এসব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GST Collection: নভেম্বরেও বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    GST Collection: নভেম্বরেও বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর নভেম্বর মাসে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের (GST Collection) পরিমাণ। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রকের তরফে শেয়ার করা হয় ডেটা (Data)। তাতেই দেখা গিয়েছে, জিএসটি (GST) সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসে যে পরিমাণ জিএসটি আদায় হয়েছে, এবার তার ১১ শতাংশ বেশি। এটি হল নবম মাস যখন জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছাড়াল ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডী।

    গ্রস জিএসটি…

    অর্থমন্ত্রকের তরফে শেয়ার করা হয় ডেটা থেকে এও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বরে গ্রস জিএসটি রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিজিএসটি রয়েছে ২৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এসজিএসটি রয়েছে ৩২ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা, আইজিএসটি রয়েছে ৭৭ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রকের ওই বিবৃতিতে থেকে জানা গিয়েছে, সরকার সিজিএসটিতে ৩৩ হাজার ৯৯৭ কোটি এবং এসজিএসটিতে ২৮ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা সেটেলড করেছে।

    আরও পড়ুন: বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন? দিতে হতে পারে জিএসটি, জেনে নিন নিয়ম

    নভেম্বরে কেন্দ্র ও রাজ্যের রেগুলার সেটেলমেন্ট সিজিএসটির (GST Collection) জন্য ৫৯ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। এসজিএসটির পরিমাণ ৬১ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। এই মাসেই কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ দিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি মাসে পণ্য আমদানি বাবদ রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে ২০ শতাংশ। ডোমেস্টিক ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৮ শতাংশ বেশি। জানা গিয়েছে, জিএসটি (GST) কাউন্সিলের ৪৮তম বৈঠকটি হবে ১৭ ডিসেম্বর। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। 

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর 

    প্রসঙ্গত, জুলাই মাসেও ভারতের জিএসটি সংগ্রহের (GST Collection) পরিমাণ ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। পণ্য এবং পরিষেবা করের কারণে ভারতের রাজকোষে মোট ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে গতমাসে। এই নিয়ে টানা পঞ্চম মাসে বৃদ্ধি অব্যহত। আগের বছরের জুলাই মাস থেকে এ বছরের জুলাই মাসে ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে জিএসটি সংগ্রহ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিএসটি সংগ্রহ ছিল ১১, ৬৩৯৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BSF: ভারতে প্রবেশের চেষ্টা! বিএসএফের গুলিতে খতম এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী

    BSF: ভারতে প্রবেশের চেষ্টা! বিএসএফের গুলিতে খতম এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে পাকিস্তানি ড্রোনের উৎপাত, অন্যদিকে পাকিস্তানিদের অনুপ্রবেশ দুই-ই বেড়ে চলেছে। এমনই এক ঘটনা ঘটল গতকাল গভীর রাতে। এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে হত্যা করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) জওয়ানরা। সোমবার লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) পেরিয়ে রাজস্থান দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের অপরাধে তাকে গুলি করে হত্যা করে রাজস্থান বিএসএফ (BSF)।

    পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে নিকেশ বিএসএফ জওয়ানদের

    ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের গঙ্গানগর হারমুখ চেকপোস্টের কাছে। ১৪ এস নামক ওই গ্রাম দিয়ে এর আগেও অনেক পাকিস্তানি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে প্রশাসনের ধারণা। সূত্রের খবর, গতকাল টহলদারির সময় বিএসএফ জওয়ানরা দেখতে পান, ওই ব্যক্তি সীমান্তের ওপার থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। জওয়ানরা বারবার তাকে সতর্ক করে ও সেখান থেকে সরে যেতে বলে। যদিও ওই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী তাতে কান দেয়নি। অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। গুলিতে মৃত্যু হয় অনুপ্রবেশকারীর।

    আরও পড়ুন: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    এক সিনিয়র বিএসএফ (BSF) কর্মকর্তা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ও বলেছেন, “সোমবার হারমুখ চেকপোস্টের কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তান থেকে আসা এক অনুপ্রবেশকারীকে সতর্ক করে বিএসএফ জওয়ানরা। অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আসার জন্য এগোতে থাকে। তখনই তাকে গুলি করা হয় ও তল্লাশি অভিযানের সময় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছন, এলাকাটি ঘেরাও করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ওই ব্যক্তি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিনি (BSF) বলেন, “আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে পাকিস্তান রেঞ্জারদের জানিয়েছি। তবে তারা অনুপ্রবেশকারীর পরিচয় যাচাই করতে ও তার মৃতদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে।” আরও জানানো হয়েছে, শেষপর্যন্ত পাকিস্তান মৃতদেহের পরিচয় দিতে অস্বীকার করলে শবদেহ দাহ করে দেওয়া হবে।  

    সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং মাদক চোরাচালনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই কাজে পাক ড্রোনেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে যেমন জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করাতে মরিয়া তেমনি রাজস্থান এবং পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার প্রতিনিয়ত করে চলেছে পাকিস্তান। ফলে অনুপ্রবেশ নিয়ে নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। চলতি বছরে শীতের সময়েই আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। আর বাড়তি নজরের ফলেই গতকাল এই অনুপ্রবেশকারীকে খতম করতে সফল হল বিএসএফ (BSF)।

  • Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় শীতের আমেজ বজায় থাকলেও কনকনে শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল নিম্নচাপ। নতুন করে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত যা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতরের থেকেও জানানো হয়েছে, ধেয়ে আসছে মন্দৌস ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Mandous)। আগামীকাল, ৭ নভেম্বর থেকে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন ভাবে বাংলায় পড়বে না। কারণ এটির অভিমুখ দক্ষিণমুখী। ফলে এর প্রভাব দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেই বেশি পড়বে।  

    ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানডাউস’

    বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি ঘূর্ণাবর্তটি ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর নামকরণ করা হয়েছে মন্দৌস (Cyclone Mandous)। দুর্যোগ আরও ঘনীভূত হয়ে ৮ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে উত্তর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, উপকূলে পৌঁছে গিয়ে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু ৭ ডিসেম্বর থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কারাইকালের উপর বৃষ্টিপাত শুরু হবে। ৮ ও ৯ ডিসেম্বর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, বলছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন:পারদ ওঠা-নামার মাঝেই নিম্নচাপের পূর্বাভাস, বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    কলকাতার আবহাওয়া

    অন্যদিকে গতকালের তুলনায় আজ কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় ফের সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান ঠাণ্ডার আমেজ বজায় থাকবে। এরপর ২-৩ দিনের জন্য তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, তৈরি হতে পারে মেঘলা আকাশ, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজকের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গতকাল ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। তবে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দুদিন তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণবঙ্গেও তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে ৮ ডিসেম্বরের থেকে নিম্নচাপের (Cyclone Mandous) পরোক্ষ প্রভাব হিসাবে বাংলায় তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

LinkedIn
Share